ইনসাইড পলিটিক্স

বিএনপি-জামায়াত সম্পর্ক: প্রকাশ্যে বিরোধ, গোপনে আঁতাত

প্রকাশ: ০৬:০০ পিএম, ০৩ সেপ্টেম্বর, ২০২২


Thumbnail বিএনপি-জামায়াত সম্পর্ক: প্রকাশ্যে বিরোধ, গোপনে আঁতাত

বিএনপির সঙ্গে জামায়াতের কোনো সম্পর্ক নেই। আনুষ্ঠানিকভাবে জামায়াতের আমীর এই তথ্য প্রকাশ করেছেন। এ তথ্য প্রকাশের পর রাজনৈতিক অঙ্গনে কিছুটা চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছিলো। এ নিয়ে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে গণমাধ্যমকর্মীরা জিজ্ঞাসা করেছিলেন। কিন্তু মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এই প্রশ্নের উত্তর এড়িয়ে গেছেন। তিনি বলেছেন, উত্তর না দেওয়ারও অধিকার তার রয়েছে। বিএনপি-জামায়াত সম্পর্ক নিয়ে এই টানাপোড়েনের ভিতরেই দেশের বিভিন্ন স্থানে দেখা গেছে বিএনপি এবং জামায়াত ঐক্যবদ্ধভাবে রাজনৈতিক সহিংসতায় জড়িয়ে পড়ছে। নারায়ণগঞ্জ, নেত্রকোনা, নরসিংদীসহ দেশের অন্তত পাঁচটি স্থানে সাম্প্রতিক সময়ে যে বিক্ষোভ হয়েছে সেখানে বিএনপির পাশাপাশি জামায়াতের কর্মীদের সক্রিয় উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে। অর্থাৎ প্রকাশ্যে জামায়াত বিএনপির বিরোধিতা করলেও গোপনে গোপনে এখন সরকারবিরোধী আন্দোলনে বিএনপির সঙ্গে আছে জামায়াত। নারায়ণগঞ্জের ঘটনার কথা যদি ধরা যায়, নারায়ণগঞ্জে যে সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে সেই সহিংসতার ঘটনায় বিএনপির মিছিলে ছিল জামায়াতের শতাধিক কর্মী এবং জামায়াতের নেতারাই প্রথম পুলিশের ওপর আক্রমণাত্মক ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছিলো। একই ঘটনা ঘটেছিলো ভোলায় এবং নরসিংদীতে। যার ফলে অনেকে মনে করছে যে, আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা দিয়ে বিএনপির সঙ্গে সম্পর্ক ত্যাগ করে আসলে বিএনপি সাথে মাঠে মিলেমিশে একাকার হওয়ার একটা কৌশল জামায়াত নিয়েছে। শুধু তাই নয়, নারায়ণগঞ্জের সহিংসতায় নিহত শাওনের গায়েবানা জানাজা হয় দেশের বিভিন্ন স্থানে। সবগুলো গায়েবানা জানাজাতেই জামায়াতের সরব উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে।

কিছুদিন ধরেই বিএনপি-জামায়াত সম্পর্ক নিয়ে বিএনপির উপর চাপ বাড়ছে। বিশেষ করে ২০১৮ সালের নির্বাচনে যখন বিএনপি জামায়াতের জন্য ২০টি আসন ছেড়ে দিয়েছিলো তখনই এর তীব্র সমালোচনা হয়েছিলো। বিশেষ করে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডল থেকে বলা হয়েছিলো যে, বিএনপি যদি জামায়াতের সঙ্গে সম্পর্ক ত্যাগ না করে তাহলে এই দলটি আন্তর্জাতিক গ্রহণযোগ্যতা পাবে না। ২০১৮ সালের নির্বাচনের পর থেকে আস্তে আস্তে প্রকাশ্যে জামায়াতের কাছ থেকে সরে আসতে শুরু করে বিএনপি। এই সময় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন বিএনপিকে অনুরোধ করে তারা যেন জামায়াতের সাথে সম্পর্ক ছেদের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেয়। কিন্তু বিএনপি কখনোই সেই আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেয়নি। বরং জামায়াতের সাথে সম্পর্ক নিয়ে এক ধরনের লুকোচুরি খেলা খেলেছে। তবে বিএনপি এবং জামায়াতের ২০ দলীয় জোটকে ২০১৮ সালের নির্বাচনের পর থেকে অনেকটা অকার্যকর করে রাখা হয়েছিলো। এর মধ্যেই জামায়াত সারাদেশে সংগঠন পুনর্গঠন করার কাজ করে এবং প্রান্তিক পর্যায় পর্যন্ত সংগঠনকে শক্তিশালী করার মিশনে অনেকখানি সফল হয়। তাই গত দুই সপ্তাহ আগে জামায়াতের নেতা ঘোষণা করেন যে, ২০ দলীয় জোট আনুষ্ঠানিকভাবে নেই এবং তারাও বিএনপির সঙ্গে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনে শরিক নন। কিন্তু জামায়াত নেতার এই কথা প্রতিফলন মাঠে দেখা যাচ্ছেনা। সারাদেশে বিএনপি যে আন্দোলন করছে সেই আন্দোলনে জামায়াতই তাদের একমাত্র অংশীদার এবং জামায়াতের সমর্থন, সহযোগিতা নিয়েই আন্দোলনগুলো মারমুখী হয়ে উঠছে।

ইতিমধ্যে যুবলীগের নেতা শেখ ফজলে শামস পরশ এ প্রসঙ্গকে উত্থাপন করে তিনি বলেছেন যে, বিএনপি-জামায়াতকে প্রতিহত করতে হবে। বিএনপির এমন একটি স্থানীয় কোন রকম কর্মসূচি করেনি যেখানে জামায়াতের উপস্থিতি ছিল না। তাহলে প্রকাশ্য বিরোধিতা করে গোপনে বিএনপির সঙ্গে আঁতাত করার উদ্দেশ্য কি? এর পিছনে প্রধান কারণ হলো জামায়াত একটা সহিংস অবস্থা দেশে তৈরি করতে চাচ্ছে, রাজনৈতিক উত্তেজনা তৈরি করতে চাচ্ছে এবং সেখানে তারা বিএনপিকে সামনে ব্যবহার করছে। বিএনপির সমাবেশ গুলোতে তারা উপস্থিত হয়ে সেই সমাবেশ গুলোকে সহিংসতার দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। রাজনৈতিক অস্থিরতা সৃষ্টি করলে বিএনপির ওপর সরকারের নজর যাবে এবং জামায়াত তার সংগঠনকে আরও শক্তিশালী করতে পারবে, এরকম একটি ভাবনা থেকেই হয়তো তারা করছে। তবে কোনো কোনো রাজনৈতিক বিশ্লেষক মনে করছেন, বিএনপি-জামায়াত আসলে কখনোই ভাগ হয়ে যায়নি। বিএনপি-জামায়াত হলো একটি দেহের দুটি চোখ। কাজেই তারা আলাদা হবে এটি অবান্তর একটি ভাবনা। প্রকাশ্যে তারা আন্তর্জাতিক মহলের সহানুভূতি আদায়ের জন্য এবং সুশীলদের কাছে গ্রহণযোগ্য হবার জন্য নিজেদের সম্পর্ক ছিন্নের কথা বলছেন। কিন্তু গোপনে তারা একে অন্যের পরিপূরক।

বিএনপি   জামায়াত  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

ডোনাল্ড লু’র ঢাকা সফর: যা বললেন আওয়ামী লীগ-বিএনপির শীর্ষ নেতারা

প্রকাশ: ১১:০০ পিএম, ১৩ মে, ২০২৪


Thumbnail

যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক সহকারী মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু আগামীকাল মঙ্গলবার ঢাকায় আসছেন। এ সফরে তিনি ব্যবসা-বিনিয়োগ, নিরাপত্তা, প্রতিরক্ষা, জলবায়ু পরিবর্তন, নাগরিক অধিকারসহ দুই দেশের অগ্রাধিকারের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে আলোচনা করবেন বলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে। 

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে গত বছর ডোনাল্ড লু’র সফর ছিল বেশ আলোচনায়। সরকার পতনের এক দফা আন্দোলন করা বিএনপি বেশ চাঙ্গা হয়ে উঠেছিল। ভোট হয়ে যাওয়ার চার মাস পর যুক্তরাষ্ট্রের এই সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবার ঢাকায় আসছেন। রাজনৈতিক অঙ্গনে তাঁর ঢাকা সফর নিয়ে বেশ আলোচনা হলেও ৭ জানুয়ারি নির্বাচনের আগে লু’র সফর নিয়ে যেভাবে বিভিন্ন ধরনের গুঞ্জন বা আতঙ্কের কথা শোনা গিয়েছিল এবার সেটি হচ্ছে না। কিন্তু তারপরও তাঁর ঢাকা সফর নিয়ে কথা বলেছেন আওয়ামী লীগ এবং বিএনপির শীর্ষ নেতাদের মধ্যে কথা বাহাস লক্ষ্য করা গেছে।


লু’র ঢাকা সফর নিয়ে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, কে আসলো আর কে গেলো তা নিয়ে মাথা ঘামানোর সময় নেই। যদিও নির্বাচনের আগে লু’র ঢাকা সফর নিয়ে সবচেয়ে বেশি উচ্ছ্বসিত ছিল বিএনপির নেতারা। তবে এবার দলটির মহাসচিব সুর পাল্টে বলছেন, ‘কে আসলো আর কে গেলো তা নিয়ে মাথাঘামানোর সময় নেই। তিনি বলছেন তার দলের প্রধান শক্তি হলো জনগণ।’

লু’র ঢাকায় আসাটা গুরুত্বপূর্ণ নয় উল্লেখ্য করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু’র আসা-না আসায় কিছু যায়-আসে না। লু তো অনেক দূরের কথা। আমরা শঙ্কিত দেশের অবস্থা নিয়ে। 


এদিকে লু’র এবারের সফর দুই দেশের সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাবে বলে মনে করছে আওয়ামী লীগ। দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘ডোনাল্ড লু বাংলাদেশের সরকারের সঙ্গে কথাবার্তা বলবেন। দুই দেশের মধ্যকার সম্পর্ক এগিয়ে নিতে তিনি আসবেন। বিএনপি মনে করেছে, আবার নতুন করে নিষেধাজ্ঞা দেবে কি না। এই ধরনের উদ্ভট চিন্তা করছে। এ রকম উদ্ভট চিন্তা তারা আগেও করেছিল।’

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, বিদেশিদের কাছে বারবার ধরর্না দিয়ে কোনো কিছুই করতে পারেনি বিএনপি। এজন্য লু’র ঢাকা সফর নিয়ে প্রকাশ্যে উচ্ছ্বাস দেখাচ্ছেনা বিএনপি। দেশে শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচন হওয়া এবং বর্তমান সরকারের সাথে কাজ করার ঘোষণা দেওয়ায় বিএনপির মোহভঙ্গ হয়েছে। তাই প্রকাশ্যে লু’র সফর নিয়ে উচ্ছ্বাস দেখাচ্ছে না বিএনপির নেতারা।



ডোনাল্ড লু   আওয়ামী লীগ   বিএনপি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

কারামুক্ত হলেন বিএনপি নেতা হাবিব উন নবী সোহেল

প্রকাশ: ০৯:৩৩ পিএম, ১৩ মে, ২০২৪


Thumbnail

জামিনে কেরাণীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সাবেক সভাপতি হাবিব উন নবী খান সোহেল।

সোমবার (১৩ মে) সন্ধ্যা পৌনে সাতটার দিকে কেন্দ্রীয় কারাগার কেরানীগঞ্জ থেকে মুক্তি লাভ করেন তিনি। এ সময় ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন নাসিরসহ বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মী তাকে ফুলের মালা দিয়ে বরণ করেন।

বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান জানান, মুক্তি পাওয়ার পর তিনি নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে যান। 
এর আগে গত ৩১ মার্চ আদালতে জামিন নিতে গেলে জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানো হয় সোহেলকে।

বিএনপি   হাবিব উন নবী সোহেল  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

ইইউ রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে বিএনপির বৈঠক

প্রকাশ: ০৯:২৮ পিএম, ১৩ মে, ২০২৪


Thumbnail

ঢাকায় নিযুক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলির সঙ্গে বৈঠক করেছেন বিএনপি নেতারা। সোমবার (১৩ মে) দুপুরে ইইউ রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলির সঙ্গে তার গুলশানস্থ বাসভবনে এ বৈঠক হয়।

বৈঠকে বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও ফরেন অ্যাফেয়ার্স কমিটির সদস্য শামা ওবায়েদ এবং ফরেন অ্যাফেয়ার্স কমিটির সদস্য তাবিথ আউয়াল উপস্থিত ছিলেন। বিএনপি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। 

তবে বৈঠকের বিষয়ে বিএনপির পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানানো হয়নি।

ইইউ রাষ্ট্রদূত   বিএনপি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

চীন সফরে ৯ বাম নেতা

প্রকাশ: ০৮:৫২ পিএম, ১৩ মে, ২০২৪


Thumbnail

চীন সফরে গেছেন ক্ষমতাসীন ১৪ দলের শরিক দল জাসদ, ওর্য়ার্কাস পার্টি ও সাম্যবাদী দলের নয় সদস্যের একটি উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধি দল।

সোমবার (১৩ মে) বিকেল ৩টায় রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে চায়না ইস্টার্নের একটি বিমানে চীনের কুংমিংয়ের উদ্দেশে যাত্রা করেন তারা। বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূত প্রতিনিধি দলকে বিদায় জানান। এ সময় জাসদের দফতর সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেনও উপস্থিত ছিলেন।
 
সফরে যাওয়া বাম নেতারা হলেন- ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, সাম্যবাদী দলের সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়া, জাসদের সাধারণ সম্পাদক শিরীন আখতার, জাসদের কার্যকারী সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা রবিউল আলম, জাসদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোহম্মদ মোহসীন, ওয়ার্কার্স পার্টির নারী নেত্রী লুৎফুন্নেছা খান, ওয়ার্কার্স পার্টির পলিটব্যুরোর সদস্য মোস্তফা লুৎফুল্লাহ, সাম্যবাদী দলের অধ্যাপক তৃপ্তি বড়ুয়া ও হ মোশাহিদ প্রমুখ।
 
জানা গেছে, সফরকালে বাম নেতারা কুনমিংয়ে ইউনান একাডেমি অব এগ্রিকালচার সাইন্স একাডেমি, কেপিসি ফার্মাসিউটিক্যালস পরিদর্শন করবেন। নেতারা রুট (ওয়েলিন কমিউনিটি) লেভেলে চীনা কমিউনিস্ট পার্টি কার্যক্রম সম্পর্কে জানবেন। এছাড়া প্রতিনিধি দলটি চীনা কমিউনিস্ট পার্টি, ইউনান প্রদেশের সরকারের বৈদেশিক শাখার প্রধানসহ অন্যদের সঙ্গে পরিবর্তিত বিশ্বপরিস্থিতি নিয়ে আলোচনায় অংশ নেবেন। সফর শেষে আগামী ১৮ মে দেশে ফেরার কথা প্রতিনিধি দলটির।

চীন সফর   বাম দল   জাসদ   ওর্য়ার্কাস পার্টি   সাম্যবাদী দল  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

দলে শৃঙ্খলা ফেরাতে কঠোর অবস্থানে যাচ্ছে আওয়ামী লীগ

প্রকাশ: ০৮:০০ পিএম, ১৩ মে, ২০২৪


Thumbnail

অবশেষে আর ছাড় নয়, আওয়ামী লীগ তাঁর দলের শৃঙ্খলা ফেরাতে কঠোর অবস্থানে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল একাধিক সূত্রগুলো বলছে, দলের ভেতর যারা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছে, দলের সিদ্ধান্ত অমান্য করছে এবং দলের ভেতরের কোন্দল করছে তাদেরকে আর ছাড় দেওয়া হবে না। তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থাগ্রহণ করা হবে এবং এই যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের অংশ হিসেবে কোন্দলরত এলাকাগুলোতে কমিটি বাতিল করে দেওয়া হবে। যারা কোন্দলের সঙ্গে জড়িত তাদেরকে আহ্বায়ক কমিটিতে রাখা হবে না। 

একই সাথে যারা দলের সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করে আত্মীয় স্বজনদেরকে উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী করেছেন তাদের প্রার্থিতা পর্যালোচনা করা হবে এবং তারা এলাকায় কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠার জন্য এ ধরনের কর্মকাণ্ড করেছেন কি না সেটি যাচাই বাছাই করা হবে। যাচাই বাছাই শেষে যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হবে তাদেরকে স্থানীয় পর্যায়ের কমিটিগুলো থেকে বাদ দেওয়া হবে এবং ভবিষ্যতে তাদের বিরুদ্ধে আরও ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। আপাতত আওয়ামী লীগ কোন্দল কমানোর জন্য যে পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে তা হল কমিটি বিলুপ্ত করা এবং কমিটি থেকে বাদ দেওয়া। 

এ বছরের ৭ জানুয়ারি নির্বাচনের পর থেকেই আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলে আসছিলেন যে দলের ভেতর যারা নির্বাচন কেন্দ্রিক করেছেন সেই কোন্দল যেন অবিলম্বে বন্ধ করা হয় এবং যা হয়েছে সেটা ভুলে গিয়ে মিলে মিশে সকলে মিলে যেন কাজ করে। কিন্তু বাস্তবে আওয়ামী লীগ সভাপতির এই নির্দেশনা মান্য করেনি অধিকাংশ নেতা কর্মীরা। বরং নির্বাচনের পর কর্তৃত্ব দখলের লড়াই আরও জাঁকিয়ে বসে। বিশেষ করে যে সমস্ত নির্বাচনী এলাকাগুলোতে স্বতন্ত্রদের সাথে আওয়ামী লীগের হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হয়েছিল, সে সমস্ত এলাকাগুলোতে সংঘাত সহিংসতার ঘটনা আরও বেড়ে যায়। এরকম পরিস্থিতিতে আওয়ামী লীগ সভাপতি সবাইকে সতর্কবার্তা দেন। কিন্তু তারপরও এই বিরোধ মিটছে না। এখন আওয়ামী লীগ অ্যাকশনে যাচ্ছে। 

আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল সূত্রগুলো বলছে, বিবদমান এলাকাগুলোকে চিহ্নিত করার জন্য এবং সেই সমস্ত এলাকায় কারা দায়ী তাদেরকে শনাক্ত করার জন্য সাংগঠনিক সম্পাদকদেরকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। সাংগঠনিক সম্পাদকরা এই বিষয়টি নিয়ে খতিয়ে দেখছে। 

আওয়ামী লীগের একজন প্রেসিডিয়াম সদস্য বলছেন, আগামী ২৩ জুন আওয়ামী লীগের ৭৫ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। এবার ৭৫ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী আওয়ামী লীগ অনেক জামজমকপূর্ণ ভাবে ঘটা করে করতে চায়। এ জন্য প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পর্যন্ত অপেক্ষা করা হবে। এরপপর যারা দলের সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করেছেন, দলের অবস্থানের বিরুদ্ধে কাজ করেছেন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 

উপজেলা নির্বাচনগুলোতেও আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল যে, দলের ভেতর যেন স্বজনরা প্রার্থী না হন। কিন্তু তারপরও যারা এই সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করেছেন তাদের কমিটি থেকে বাদ দেওয়া বলে আওয়ামী লীগ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে।


শৃঙ্খলা   আওয়ামী লীগ   উপজেলা নির্বাচন  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন