ইনসাইড পলিটিক্স

মনোনয়ন ঝুঁকিতে ১০ মন্ত্রী

প্রকাশ: ০৮:০০ পিএম, ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০২২


Thumbnail মনোনয়ন ঝুঁকিতে ১০ মন্ত্রী

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনয়নে ব্যাপক পরিবর্তন আনবে। এই কথা প্রধানমন্ত্রী গত বুধবার সংবাদ সম্মেলনেই ঘোষণা করেছেন। এই কথার প্রেক্ষিতে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বাংলা ইনসাইডারকে বলেছেন যে, পঙ্কজের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা এ ব্যাপারে সুস্পষ্ট একটি বার্তা। কতগুলো আসনে পরিবর্তন করা হবে, সে ব্যাপারে আওয়ামী লীগের কোনো নেতাই এখন পর্যন্ত নিশ্চিত করে বলতে পারেনি। বরং আওয়ামী লীগের নেতারা বলছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৩০০ আসনের ওপরই খোঁজ-খবর রাখছেন এবং এই আসনগুলোতে যারা ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থানে আছেন, যাদের জনপ্রিয়তা হ্রাস পেয়েছে, যারা দলীয় কোন্দলে বিভক্ত হয়েছেন এবং যারা নানারকম বার্ধক্যজনিত কারণে দায়িত্ব পালনে অক্ষম হবেন তাদেরকে সরিয়ে দেওয়া হবে।

আওয়ামী লীগের বিভিন্ন নেতারা প্রাথমিক হিসাব প্রাক্কলন করে বলেছেন যে, অন্তত একশ থেকে দেড়শ আসনে প্রার্থী পরিবর্তন হতে পারে। আর এই প্রার্থী পরিবর্তনে মনোনয়ন ঝুঁকিতে রয়েছেন অন্তত ১০ জন মন্ত্রী। এদের মধ্যে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতা এবং মন্ত্রীও আছেন, যাদের এলাকায় অবস্থান টলটলায়মান এবং নানা রকম বিতর্কের মধ্যে তারা জড়িয়ে পড়েছেন। এদের ব্যাপারে আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবার নির্দয় হতে পারেন বলে জানা গেছে। মনোনয়ন ঝুঁকিতে থাকা ১০ জনের মধ্যে ৫ জনই পূর্ণমন্ত্রী। এদের মধ্যে একজন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতা। তার এলাকায় আওয়ামী লীগের প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী অত্যন্ত শক্ত অবস্থান গ্রহণ করেছেন এবং নানা রকম কোন্দলের কারণে তিনি বিতর্কিত। তাছাড়া তার আত্মীয় এবং স্থানীয় সমর্থক নেতৃবৃন্দের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনসহ একাধিক অভিযোগ উত্থাপন করা হয়েছে। এই সমস্ত বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর নজরে এসেছে এবং প্রধানমন্ত্রীর অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ এবং আস্থাভাজন হওয়ার পরও তিনি মনোনয়ন ঝুঁকিতে আছেন বলে আওয়ামী লীগের একাধিক সূত্র বাংলা ইনসাইডারকে নিশ্চিত করেছে।

আওয়ামী লীগের একজন নেতা বলেছেন জাহাঙ্গীর কবির নানকও শেখ হাসিনার অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ, আস্থাভাজন ছিলেন। কিন্তু তারপরও ২০১৮ সালের নির্বাচনে তিনি মনোনয়ন পাননি। কাজেই, যাকে এলাকায় ঝুঁকিপূর্ণ মনে করা হবে, যিনি এলাকায় ঐক্য রাখতে পারবেন না, বিতর্কিত হিসেবে আবির্ভূত হবেন তাকে সরিয়ে দিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কোনো কার্পণ্য করবেন না। পূর্ণমন্ত্রীদের মধ্যে সিলেট অঞ্চলের একজন মন্ত্রী রয়েছেন যিনি নানা কর্মকাণ্ডের জন্য আলোচিত, বিতর্কিত এবং সাম্প্রতিক সময়ে সিলেটেও তার বিরুদ্ধে একটা নতুন মেরুকরণ হচ্ছে। নারায়ণগঞ্জে একজন এমপি যিনি এবার মন্ত্রী হয়েছেন তার বিরুদ্ধেও এলাকায় ভূমি দখলসহ নানা অভিযোগ উত্থাপিত হয়েছে। এই অভিযোগগুলো এখন প্রধানমন্ত্রীর টেবিলে। তার বিরুদ্ধেও নারায়ণগঞ্জের নেতৃবৃন্দ ঐক্যবদ্ধ হচ্ছেন এবং তিনিও মনোনয়ন ঝুঁকির মধ্যে আছেন বলে একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে। এছাড়াও সরকারের একজন প্রভাবশালী মন্ত্রী যিনি গত নির্বাচনে মনোনয়ন ঝুঁকিতে ছিলেন, এলাকায় তার জনপ্রিয়তা কম ছিল বলে শেষ জরিপে ফলাফল এসেছিলো। কিন্তু তারপরও প্রধানমন্ত্রী তাকে মনোনয়ন দিয়েছিলেন। শুধু মনোনয়নই দেননি, মনোনয়নের পর তিনি একটি গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেয়েছেন। এবার তিনি নিজেও মনোনয়ন ঝুঁকিতে রয়েছেন বলে জানা গেছে। অন্তত দুইজন প্রবীণ মন্ত্রী আছেন যাদের একজন সিলেট অঞ্চলে। তারা এবার মনোনয়ন ঝুঁকির মধ্যে রয়েছেন বার্ধক্যজনিত কারণে। হয়তো শেষ পর্যন্ত তারা নির্বাচনে অংশগ্রহণ নাও করতে পারেন। প্রতিমন্ত্রীদের মধ্যে উত্তরাঞ্চলের একজন প্রতিমন্ত্রী, ময়মনসিংহ-নেত্রকোনা অঞ্চলের একজন প্রতিমন্ত্রী, খুলনা অঞ্চলের দুইজন প্রতিমন্ত্রী, বরিশাল অঞ্চলের একজন মন্ত্রীও মনোনয়ন ঝুঁকিতে রয়েছেন।

আওয়ামী লীগের একাধিক সূত্রগুলো বলছে যে, মূলত মনোনয়ন দেয়ার ক্ষেত্রে এবার পাঁচটি বিষয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতি বিবেচনা করছেন। প্রথমত, এলাকায় তার জনপ্রিয়তা কতটুকু অটুট রয়েছে। দ্বিতীয়ত, তিনি এলাকায় যে সমস্ত অঙ্গীকারগুলো করেছে সে অঙ্গীকারগুলো কতটুকু পালন করেছেন। তৃতীয়ত, এলাকায় তিনি কোনো বিতর্কিত কর্মকাণ্ড যেমন নিয়োগ বাণিজ্য, কমিটি বাণিজ্য, গ্রুপিং ইত্যাদির সঙ্গে জড়িত কিনা সেটি বিবেচনায় নেয়া হচ্ছে। চতুর্থত, তার নিজস্ব গ্রুপ এলাকায় কোনো অনিয়ম বিশৃঙ্খলা তৈরি করেছে কিনা সেটা বিবেচনা করা হচ্ছে। পঞ্চমত, বিবেচনা করা হচ্ছে অন্য যারা আছেন আওয়ামী লীগে প্রার্থী হওয়ার জন্য তারা কতটুকু উপযুক্ত এবং তাদের জনপ্রিয়তা কতটুকু। এই পাঁচটি বিষয় বিবেচনায় নিয়েই এই ১০ জন মন্ত্রী এখন মনোনয়ন ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল সূত্রগুলো বলছে, এখনও নির্বাচনের এক বছরের বেশি সময় বাকি আছে। এই সময়ের মধ্যে তারা নিশ্চয়ই সুযোগ পাবেন তাদেরকে জনপ্রিয় করে তোলার জন্য। তবে তারা যদি এই সময়ের মধ্যে বিতর্কের ঊর্ধ্বে উঠতে না উঠতে পারেন এবং এলাকায় তাদের জনপ্রিয়তা পুনঃপ্রতিষ্ঠা না করতে পারেন সেক্ষেত্রে তাদের জন্য মনোনয়ন পাওয়া কঠিন হয়ে পড়বে।


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

ডোনাল্ড লু’র ঢাকা সফর: যা বললেন আওয়ামী লীগ-বিএনপির শীর্ষ নেতারা

প্রকাশ: ১১:০০ পিএম, ১৩ মে, ২০২৪


Thumbnail

যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক সহকারী মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু আগামীকাল মঙ্গলবার ঢাকায় আসছেন। এ সফরে তিনি ব্যবসা-বিনিয়োগ, নিরাপত্তা, প্রতিরক্ষা, জলবায়ু পরিবর্তন, নাগরিক অধিকারসহ দুই দেশের অগ্রাধিকারের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে আলোচনা করবেন বলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে। 

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে গত বছর ডোনাল্ড লু’র সফর ছিল বেশ আলোচনায়। সরকার পতনের এক দফা আন্দোলন করা বিএনপি বেশ চাঙ্গা হয়ে উঠেছিল। ভোট হয়ে যাওয়ার চার মাস পর যুক্তরাষ্ট্রের এই সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবার ঢাকায় আসছেন। রাজনৈতিক অঙ্গনে তাঁর ঢাকা সফর নিয়ে বেশ আলোচনা হলেও ৭ জানুয়ারি নির্বাচনের আগে লু’র সফর নিয়ে যেভাবে বিভিন্ন ধরনের গুঞ্জন বা আতঙ্কের কথা শোনা গিয়েছিল এবার সেটি হচ্ছে না। কিন্তু তারপরও তাঁর ঢাকা সফর নিয়ে কথা বলেছেন আওয়ামী লীগ এবং বিএনপির শীর্ষ নেতাদের মধ্যে কথা বাহাস লক্ষ্য করা গেছে।


লু’র ঢাকা সফর নিয়ে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, কে আসলো আর কে গেলো তা নিয়ে মাথা ঘামানোর সময় নেই। যদিও নির্বাচনের আগে লু’র ঢাকা সফর নিয়ে সবচেয়ে বেশি উচ্ছ্বসিত ছিল বিএনপির নেতারা। তবে এবার দলটির মহাসচিব সুর পাল্টে বলছেন, ‘কে আসলো আর কে গেলো তা নিয়ে মাথাঘামানোর সময় নেই। তিনি বলছেন তার দলের প্রধান শক্তি হলো জনগণ।’

লু’র ঢাকায় আসাটা গুরুত্বপূর্ণ নয় উল্লেখ্য করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু’র আসা-না আসায় কিছু যায়-আসে না। লু তো অনেক দূরের কথা। আমরা শঙ্কিত দেশের অবস্থা নিয়ে। 


এদিকে লু’র এবারের সফর দুই দেশের সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাবে বলে মনে করছে আওয়ামী লীগ। দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘ডোনাল্ড লু বাংলাদেশের সরকারের সঙ্গে কথাবার্তা বলবেন। দুই দেশের মধ্যকার সম্পর্ক এগিয়ে নিতে তিনি আসবেন। বিএনপি মনে করেছে, আবার নতুন করে নিষেধাজ্ঞা দেবে কি না। এই ধরনের উদ্ভট চিন্তা করছে। এ রকম উদ্ভট চিন্তা তারা আগেও করেছিল।’

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, বিদেশিদের কাছে বারবার ধরর্না দিয়ে কোনো কিছুই করতে পারেনি বিএনপি। এজন্য লু’র ঢাকা সফর নিয়ে প্রকাশ্যে উচ্ছ্বাস দেখাচ্ছেনা বিএনপি। দেশে শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচন হওয়া এবং বর্তমান সরকারের সাথে কাজ করার ঘোষণা দেওয়ায় বিএনপির মোহভঙ্গ হয়েছে। তাই প্রকাশ্যে লু’র সফর নিয়ে উচ্ছ্বাস দেখাচ্ছে না বিএনপির নেতারা।



ডোনাল্ড লু   আওয়ামী লীগ   বিএনপি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

কারামুক্ত হলেন বিএনপি নেতা হাবিব উন নবী সোহেল

প্রকাশ: ০৯:৩৩ পিএম, ১৩ মে, ২০২৪


Thumbnail

জামিনে কেরাণীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সাবেক সভাপতি হাবিব উন নবী খান সোহেল।

সোমবার (১৩ মে) সন্ধ্যা পৌনে সাতটার দিকে কেন্দ্রীয় কারাগার কেরানীগঞ্জ থেকে মুক্তি লাভ করেন তিনি। এ সময় ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন নাসিরসহ বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মী তাকে ফুলের মালা দিয়ে বরণ করেন।

বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান জানান, মুক্তি পাওয়ার পর তিনি নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে যান। 
এর আগে গত ৩১ মার্চ আদালতে জামিন নিতে গেলে জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানো হয় সোহেলকে।

বিএনপি   হাবিব উন নবী সোহেল  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

ইইউ রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে বিএনপির বৈঠক

প্রকাশ: ০৯:২৮ পিএম, ১৩ মে, ২০২৪


Thumbnail

ঢাকায় নিযুক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলির সঙ্গে বৈঠক করেছেন বিএনপি নেতারা। সোমবার (১৩ মে) দুপুরে ইইউ রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলির সঙ্গে তার গুলশানস্থ বাসভবনে এ বৈঠক হয়।

বৈঠকে বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও ফরেন অ্যাফেয়ার্স কমিটির সদস্য শামা ওবায়েদ এবং ফরেন অ্যাফেয়ার্স কমিটির সদস্য তাবিথ আউয়াল উপস্থিত ছিলেন। বিএনপি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। 

তবে বৈঠকের বিষয়ে বিএনপির পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানানো হয়নি।

ইইউ রাষ্ট্রদূত   বিএনপি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

চীন সফরে ৯ বাম নেতা

প্রকাশ: ০৮:৫২ পিএম, ১৩ মে, ২০২৪


Thumbnail

চীন সফরে গেছেন ক্ষমতাসীন ১৪ দলের শরিক দল জাসদ, ওর্য়ার্কাস পার্টি ও সাম্যবাদী দলের নয় সদস্যের একটি উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধি দল।

সোমবার (১৩ মে) বিকেল ৩টায় রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে চায়না ইস্টার্নের একটি বিমানে চীনের কুংমিংয়ের উদ্দেশে যাত্রা করেন তারা। বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূত প্রতিনিধি দলকে বিদায় জানান। এ সময় জাসদের দফতর সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেনও উপস্থিত ছিলেন।
 
সফরে যাওয়া বাম নেতারা হলেন- ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, সাম্যবাদী দলের সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়া, জাসদের সাধারণ সম্পাদক শিরীন আখতার, জাসদের কার্যকারী সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা রবিউল আলম, জাসদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোহম্মদ মোহসীন, ওয়ার্কার্স পার্টির নারী নেত্রী লুৎফুন্নেছা খান, ওয়ার্কার্স পার্টির পলিটব্যুরোর সদস্য মোস্তফা লুৎফুল্লাহ, সাম্যবাদী দলের অধ্যাপক তৃপ্তি বড়ুয়া ও হ মোশাহিদ প্রমুখ।
 
জানা গেছে, সফরকালে বাম নেতারা কুনমিংয়ে ইউনান একাডেমি অব এগ্রিকালচার সাইন্স একাডেমি, কেপিসি ফার্মাসিউটিক্যালস পরিদর্শন করবেন। নেতারা রুট (ওয়েলিন কমিউনিটি) লেভেলে চীনা কমিউনিস্ট পার্টি কার্যক্রম সম্পর্কে জানবেন। এছাড়া প্রতিনিধি দলটি চীনা কমিউনিস্ট পার্টি, ইউনান প্রদেশের সরকারের বৈদেশিক শাখার প্রধানসহ অন্যদের সঙ্গে পরিবর্তিত বিশ্বপরিস্থিতি নিয়ে আলোচনায় অংশ নেবেন। সফর শেষে আগামী ১৮ মে দেশে ফেরার কথা প্রতিনিধি দলটির।

চীন সফর   বাম দল   জাসদ   ওর্য়ার্কাস পার্টি   সাম্যবাদী দল  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

দলে শৃঙ্খলা ফেরাতে কঠোর অবস্থানে যাচ্ছে আওয়ামী লীগ

প্রকাশ: ০৮:০০ পিএম, ১৩ মে, ২০২৪


Thumbnail

অবশেষে আর ছাড় নয়, আওয়ামী লীগ তাঁর দলের শৃঙ্খলা ফেরাতে কঠোর অবস্থানে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল একাধিক সূত্রগুলো বলছে, দলের ভেতর যারা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছে, দলের সিদ্ধান্ত অমান্য করছে এবং দলের ভেতরের কোন্দল করছে তাদেরকে আর ছাড় দেওয়া হবে না। তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থাগ্রহণ করা হবে এবং এই যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের অংশ হিসেবে কোন্দলরত এলাকাগুলোতে কমিটি বাতিল করে দেওয়া হবে। যারা কোন্দলের সঙ্গে জড়িত তাদেরকে আহ্বায়ক কমিটিতে রাখা হবে না। 

একই সাথে যারা দলের সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করে আত্মীয় স্বজনদেরকে উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী করেছেন তাদের প্রার্থিতা পর্যালোচনা করা হবে এবং তারা এলাকায় কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠার জন্য এ ধরনের কর্মকাণ্ড করেছেন কি না সেটি যাচাই বাছাই করা হবে। যাচাই বাছাই শেষে যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হবে তাদেরকে স্থানীয় পর্যায়ের কমিটিগুলো থেকে বাদ দেওয়া হবে এবং ভবিষ্যতে তাদের বিরুদ্ধে আরও ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। আপাতত আওয়ামী লীগ কোন্দল কমানোর জন্য যে পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে তা হল কমিটি বিলুপ্ত করা এবং কমিটি থেকে বাদ দেওয়া। 

এ বছরের ৭ জানুয়ারি নির্বাচনের পর থেকেই আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলে আসছিলেন যে দলের ভেতর যারা নির্বাচন কেন্দ্রিক করেছেন সেই কোন্দল যেন অবিলম্বে বন্ধ করা হয় এবং যা হয়েছে সেটা ভুলে গিয়ে মিলে মিশে সকলে মিলে যেন কাজ করে। কিন্তু বাস্তবে আওয়ামী লীগ সভাপতির এই নির্দেশনা মান্য করেনি অধিকাংশ নেতা কর্মীরা। বরং নির্বাচনের পর কর্তৃত্ব দখলের লড়াই আরও জাঁকিয়ে বসে। বিশেষ করে যে সমস্ত নির্বাচনী এলাকাগুলোতে স্বতন্ত্রদের সাথে আওয়ামী লীগের হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হয়েছিল, সে সমস্ত এলাকাগুলোতে সংঘাত সহিংসতার ঘটনা আরও বেড়ে যায়। এরকম পরিস্থিতিতে আওয়ামী লীগ সভাপতি সবাইকে সতর্কবার্তা দেন। কিন্তু তারপরও এই বিরোধ মিটছে না। এখন আওয়ামী লীগ অ্যাকশনে যাচ্ছে। 

আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল সূত্রগুলো বলছে, বিবদমান এলাকাগুলোকে চিহ্নিত করার জন্য এবং সেই সমস্ত এলাকায় কারা দায়ী তাদেরকে শনাক্ত করার জন্য সাংগঠনিক সম্পাদকদেরকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। সাংগঠনিক সম্পাদকরা এই বিষয়টি নিয়ে খতিয়ে দেখছে। 

আওয়ামী লীগের একজন প্রেসিডিয়াম সদস্য বলছেন, আগামী ২৩ জুন আওয়ামী লীগের ৭৫ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। এবার ৭৫ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী আওয়ামী লীগ অনেক জামজমকপূর্ণ ভাবে ঘটা করে করতে চায়। এ জন্য প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পর্যন্ত অপেক্ষা করা হবে। এরপপর যারা দলের সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করেছেন, দলের অবস্থানের বিরুদ্ধে কাজ করেছেন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 

উপজেলা নির্বাচনগুলোতেও আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল যে, দলের ভেতর যেন স্বজনরা প্রার্থী না হন। কিন্তু তারপরও যারা এই সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করেছেন তাদের কমিটি থেকে বাদ দেওয়া বলে আওয়ামী লীগ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে।


শৃঙ্খলা   আওয়ামী লীগ   উপজেলা নির্বাচন  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন