ইনসাইড পলিটিক্স

সর্বদলীয় নেতা হচ্ছেন জিএম কাদের?

প্রকাশ: ০৯:০০ পিএম, ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০২২


Thumbnail সর্বদলীয় নেতা হচ্ছেন জিএম কাদের?

জাতীয় পার্টির অবস্থা এখন টলটলায়মান। একদিকে রওশন এরশাদ জাতীয় সম্মেলন ডেকেছেন, অন্যদিকে মশিউর রহমান রাঙ্গাকে দলের সব দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে. বিভিন্ন সূত্রগুলো বলছে যে জাতীয় পার্টিতে এখন নির্বাচনবিরোধী শক্তি ক্রমশ শক্তি সঞ্চার করেছে এবং ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। জিএম কাদেরের নেতৃত্বে জাতীয় পার্টি এখন একটি ভিন্ন রকম অবস্থান গ্রহণ করতে চায়। তারা মনে করে যে বিরোধী দল হিসেবে যদি তারা এখন মাঠে থাকে তাহলে তাদের অস্তিত্ব থাকবে। এই বিবেচনা থেকেই জাতীয় পার্টি এখন জি এম কাদেরের নেতৃত্বে সরকার বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান গ্রহণ করেছে। আর এ কারণেই জাতীয় পার্টির মধ্যে একটা ভাঙ্গনের চেষ্টা করা হচ্ছে বলেও জাতীয় পার্টির নেতারা জানিয়েছেন। জাতীয় পার্টি একদিকে যেমন নিজের ঘর সামলাতে ব্যস্ত, অন্যদিকে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গেও গোপনে-প্রকাশ্যে যোগাযোগ করছেন। জিএম কাদের ইতিমধ্যে জানিয়ে দিয়েছেন তারা মহাজোটে নেই। আগামী নির্বাচন তারা একা করবে। তবে আগামী নির্বাচনকে ঘিরে একটি সর্বদলীয় জোটের কথা শোনা যাচ্ছে। এই জোটের নেতা হতে পারেন জিএম কাদের। নির্বাচন করুক বা আন্দোলন, সর্বদলীয় জোটের মাধ্যমে করা হবে বলে বিভিন্ন সূত্র গুলো আভাস দিচ্ছে এবং এ নিয়ে প্রাথমিক আলাপ-আলোচনা শুরু হয়েছে বলে জানা গেছে। এমনকি এই সরকারবিরোধী সর্বদলীয় জোটে বিএনপিও থাকতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

গত দুই সপ্তাহে বিএনপির সঙ্গে জাতীয় পার্টির অন্তত দুই দফা বৈঠক হয়েছে। বৈঠকগুলোতে জিএম কাদের ছাড়াও জাতীয় পার্টির ২ জন গুরুত্বপূর্ণ নেতা ছিলেন। এসব বৈঠকে সরকারের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ বা যুগপৎ আন্দোলনের কৌশল নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। জিএম কাদেরকে সর্বদলীয় জাতীয় পার্টির নেতা হিসেবে বিএনপির কোনো আপত্তি নেই বলে বলা হয়েছে। আর এ কারণেই রওশন এরশাদকে বাদ দিয়ে জি এম কাদেরকে বিরোধী দলের নেতা হিসেবে করার প্রস্তাব দিয়েছিল জাতীয় পার্টি থেকে বলে একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে। কারণ, তাহলে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে এটি দেখানো সুবিধা হবে যে, সংসদে বিরোধী দল এবং রাজপথে বিরোধী দল, দুটো মিলেই সরকারবিরোধী আন্দোলন করছেন। তবে জাতীয় পার্টি-বিএনপি ছাড়াও এই দলে জামায়াত, গণতন্ত্র মঞ্চসহ অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলো থাকবে। জাতীয় পার্টির একজন নেতা বলেছেন যে, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ আবার ক্ষমতায় দখল করতে চায় যেকোনো উপায়ে। ইভিএমসহ নানা রকম কারচুপির মাধ্যমে ক্ষমতা দখল করার যে প্রক্রিয়া শুরু করেছে তা প্রতিহত করা হবে। জাতীয় পার্টি কি নির্বাচন বর্জন করবে কিনা এরকম প্রশ্নের উত্তরে জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়ামের একজন সদস্য বলেছেন যে, এটি নির্ভর করবে সময় এবং পরিস্থিতির উপর। যদি পরিস্থিতি এরকম থাকে যে অবাধ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের কোন সুযোগ নেই তাহলে আমরা নির্বাচন বর্জন করবো। তবে জাতীয় পার্টি সবসময় নির্বাচনের পক্ষে।

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাম্প্রতিক সময়ে বলেছেন যে, সব রাজনৈতিক দলগুলোকে নিয়ে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন গড়ে তোলা হবে। এ নিয়ে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর একাধিক রাজনৈতিক দলের সাথে বৈঠকও করেছিলেন। সেই বৈঠকে জাতীয় পার্টি ছিল না। বিএনপির সাথে কৌশলগত কারণে প্রকাশ্য বৈঠক করছে না জিএম কাদের কিন্তু গোপনে বিএনপির সঙ্গে একটা সম্পর্ক রাখা হয়েছে। বিভিন্ন সূত্র বলছে যে, শুধু বিএনপির সঙ্গে নয়, জিএম কাদের সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গেও বৈঠক করছেন। আর সুশীল সমাজের একটা পরিকল্পনা আছে আগামী নির্বাচন হতে না দেওয়া। সকল দলগুলো যদি ঐক্যবদ্ধভাবে নির্বাচন বর্জন করে তাহলে সরকারের জন্য আগামী নির্বাচন করা কঠিন হয়ে পড়বে। সে বিবেচনা থেকেই জিএম কাদের এখন সুশীল সমাজ এবং বিএনপির কাছে অত্যন্ত লোভনীয় একজন ব্যক্তি। জিএম কাদেরও তাদের ফাঁদে পা দিয়েছেন বলে জাতীয় পার্টির অনেক নেতা মনে করছেন। সেজন্যই তিনি এখন বিএনপির চেয়েও কঠোর সরকারবিরোধী হয়ে পড়েছেন এবং সরকারের বিরুদ্ধে নানারকম বক্তব্য রাখছেন। আগামী দুই-তিন মাসের মধ্যেই সরকারবিরোধী একটি সর্বদলীয় ঐক্যজোট হতে যাচ্ছে বলে বিভিন্ন রাজনৈতিক সূত্র ধারণা করছে। এই সর্বদলীয় জোটে বিএনপি, জাতীয় পার্টি, গণতন্ত্র মঞ্চসহ সকল দলগুলোকে রাখার চেষ্টা করা হচ্ছে। সেই সর্বদলীয় জোটের নেতা জিএম কাদের হতে পারেন। একটি প্রশ্ন বিভিন্ন মহলে উঠেছে যে, বিরোধী দলের নেতা কে হবে? তারা যদি ক্ষমতায় জয়ী হয় তাহলে তাদের সভাপতি কে হবে? সেই বিবেচনা থেকেই জিএম কাদেরকে সামনে নিয়ে আসা হচ্ছে। বিএনপি'র মধ্য থেকেও একটা সংকেত পাওয়া গেছে যে, জাতীয় পার্টির সঙ্গে ঐক্যবদ্ধ হতে তাদের আপত্তি নাই, যদি তাতে সরকারের পতন ঘটে। বিএনপির একমাত্র লক্ষ্য হলো সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করা। তাতে যদি তারা জিএম কাদেরকে নেতা মানেন তাদের কোনো সমস্যা নেই।


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

বিএনপি নেতানিয়াহুর দোসরে পরিণত হয়েছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

প্রকাশ: ০২:১৮ পিএম, ১৪ মে, ২০২৪


Thumbnail

ফিলিস্তিনের পক্ষে না দাঁড়িয়ে বিএনপি ইসরায়েলের দোসরে পরিণত হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

মঙ্গলবার (১৪ মে) সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বাংলাদেশ স্বাধীনতা পরিষদ আয়োজিত ফিলিস্তিনে গণহত্যা বন্ধ ও বিএনপির দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে এক মানববন্ধন ও সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বিএনপি ফিলিস্তিনের পক্ষে না দাঁড়িয়ে ইসরায়েলের দোসরে পরিণত হয়েছে, নেতানিয়াহুর দোসরে পরিণত হয়েছে। ইসরায়েলের এজেন্টদের সঙ্গে মিলে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। আমাদের কাছে তথ্য প্রমাণ আছে। এদের মুখোশ উন্মোচন করতে হবে।

তিনি বলেন, পুরো পৃথিবী এই বর্বরতার প্রতিবাদে সোচ্চার হয়েছে কিন্তু আমরা দেখতে পাচ্ছি বিএনপি ও জামায়াত, যারা ধর্ম নিয়ে রাজনীতি করার চেষ্টা করে, এই মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধের বিরুদ্ধে একটা শব্দও উচ্চারণ করেনি। কারণ কেউ অসন্তুষ্ট হতে পারে। গত নির্বাচনে তাদের পরিকল্পনা ভেস্তে যাওয়ার পর ইসরায়েলি লবিস্টদের সঙ্গে মিলে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। 

তিনি আরও বলেন, আমাদের দেশে কিছু ইসলামী দল আছে, তারা কারণে-অকারণে বায়তুল মোকাররমের দাঁড়িয়ে যান। আপনারা কোথায় এখন? আপনাদের কেন খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। নির্বাচনের আগে সরকার নামানোর জন্য বায়তুল মোকাররমের সামনে এসে আন্দোলন করেন, কই ফিলিস্তিনি ভাইদের পক্ষে, ইসরায়েলের বিপক্ষে তো একটা বড় মিছিল করতে দেখলাম না।

সামাজিক মাধ্যমে সরকারের সমালোচনাকারীদের নিয়ে বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনেককেই দেখি সরকারের বিরুদ্ধে বড় বড় ভাষণ দেয়, সরকারের বিরুদ্ধে বিষোদগার করে। নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে তাদের কথা বলতে তো শুনলাম না। এরা কোথায়? এরা কোথায় লুকিয়ে আছে? এরা আসলে ইসলাম প্রেমী নয়, এরা হলো মুখোশধারী ধর্ম ব্যবসায়ী। এদের মুখোশও উন্মোচন করতে হবে।

এরপর ফিলিস্তিনি মানুষদের প্রতি সহমর্মিতা প্রকাশ করে তিনি বলেন, ইসরায়েলি বর্বরতার কারণে যারা নিহিত হয়েছেন তাদের মাগফেরাত কামনা করি। যারা আহত হয়েছেন তাদের প্রতি সহানুভূতি জানাই। বাংলাদেশের মানুষের অবস্থান সবসময় মুক্তিকামী মানুষের পক্ষে ছিল। আমাদের নীতি ফিলিস্তিনি মুক্তিকামী মানুষের পক্ষে।


বিএনপি   নেতানিয়াহু   দোসর   হাছান মাহমুদ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

স্ত্রীকে নিয়ে সিঙ্গাপুর গেলেন মির্জা আব্বাস

প্রকাশ: ০১:৪৫ পিএম, ১৪ মে, ২০২৪


Thumbnail

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস ও তার স্ত্রী মহিলা দলের সভাপতি আফরোজা আব্বাস চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরের উদ্দেশ্যে ঢাকা ছেড়েছেন। 

মঙ্গলবার (১৪ মে) সকালে হযতর শাহজালাল বিমানবন্দর থেকে বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটে সিঙ্গাপুর যান তারা। 

বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান গণমাধ্যমকে জানান, মঙ্গলবার সকালে মির্জা আব্বাস ও তার স্ত্রী আফরোজা দুইজনই চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুর গিয়েছেন। চিকিৎসা শেষে তারা কবে দেশে ফিরবেন সেটা এখনি বলতে পারছেন না তিনি। 


সিঙ্গাপুর   মির্জা আব্বাস   বিএনপি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

মার্কিন স্যাংশন, ভিসানীতির পরোয়া করে না আওয়ামী লীগ: কাদের

প্রকাশ: ০১:০০ পিএম, ১৪ মে, ২০২৪


Thumbnail

আওয়ামী লীগ সরকার মার্কিন স্যাংশন, ভিসানীতি পাত্তা দেয় না বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। 

তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগ কাউকে দাওয়াত করে আনে নি,তাদের এজেন্ডা আছে। তারা সেসব নিয়ে ঢাকায় এসেছে। ওপরে ওপরে বিএনপি তাদের পাত্তা দেয় না বললেও, তলে তলে  বিএনপির সঙ্গে তাদের কি আছে, তারাই ভালো জানে। 

মঙ্গলবার (১৪ মে) সচিবালয়ে সমসাময়িক বিষয়ে আলোচনাকালে এসব কথা বলেন তিনি।  

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ভারতীয় পণ্য বর্জনের ডাক বিএনপির আন্দোলনের ব্যর্থ চেষ্টা। আন্দোলনে ব্যর্থ হয়ে খড়কুটো ধরে বাজতে চায় তারা। আসলে তাদের কোনো ইস্যু নাই। তারা ভারতীয় পণ্য বর্জনকে ইস্যু বানাতে চায়। আমার প্রশ্ন হলো-ভারতীয় মসলা ছাড়া কি আমাদের চলে?  

তিনি বলেন, ভারতের মসলা ছাড়া আমাদের চলে না। শুধু মসলা কেন, ভারত থেকে শাড়ী-কাপড় আসবে, এছাড়া আরও কিছু নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যও আসবেই। 

তিনি আরও বলেন, সম্প্রতি ঢাকায় বিএনপির দুইটা সমাবেশই ফ্লপ হয়েছে। বিএনপি ও তাদের সমমনাদের আন্দোলনের ডাকে জনগণের সাড়া নেই। দলটির কর্মীরা হতাশ, তাদের আর নেতাদের ওপর আস্থা নেই। সে কারণেই বিএনপির কর্মীরা তাদের সমাবেশে যোগ দেয় না।


মার্কিন স্যাংশন   ভিসানীতি   আওয়ামী লীগ   ওবায়দুল কাদের  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

ডোনাল্ড লু’র ঢাকা সফর: যা বললেন আওয়ামী লীগ-বিএনপির শীর্ষ নেতারা

প্রকাশ: ১১:০০ পিএম, ১৩ মে, ২০২৪


Thumbnail

যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক সহকারী মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু আগামীকাল মঙ্গলবার ঢাকায় আসছেন। এ সফরে তিনি ব্যবসা-বিনিয়োগ, নিরাপত্তা, প্রতিরক্ষা, জলবায়ু পরিবর্তন, নাগরিক অধিকারসহ দুই দেশের অগ্রাধিকারের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে আলোচনা করবেন বলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে। 

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে গত বছর ডোনাল্ড লু’র সফর ছিল বেশ আলোচনায়। সরকার পতনের এক দফা আন্দোলন করা বিএনপি বেশ চাঙ্গা হয়ে উঠেছিল। ভোট হয়ে যাওয়ার চার মাস পর যুক্তরাষ্ট্রের এই সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবার ঢাকায় আসছেন। রাজনৈতিক অঙ্গনে তাঁর ঢাকা সফর নিয়ে বেশ আলোচনা হলেও ৭ জানুয়ারি নির্বাচনের আগে লু’র সফর নিয়ে যেভাবে বিভিন্ন ধরনের গুঞ্জন বা আতঙ্কের কথা শোনা গিয়েছিল এবার সেটি হচ্ছে না। কিন্তু তারপরও তাঁর ঢাকা সফর নিয়ে কথা বলেছেন আওয়ামী লীগ এবং বিএনপির শীর্ষ নেতাদের মধ্যে কথা বাহাস লক্ষ্য করা গেছে।


লু’র ঢাকা সফর নিয়ে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, কে আসলো আর কে গেলো তা নিয়ে মাথা ঘামানোর সময় নেই। যদিও নির্বাচনের আগে লু’র ঢাকা সফর নিয়ে সবচেয়ে বেশি উচ্ছ্বসিত ছিল বিএনপির নেতারা। তবে এবার দলটির মহাসচিব সুর পাল্টে বলছেন, ‘কে আসলো আর কে গেলো তা নিয়ে মাথাঘামানোর সময় নেই। তিনি বলছেন তার দলের প্রধান শক্তি হলো জনগণ।’

লু’র ঢাকায় আসাটা গুরুত্বপূর্ণ নয় উল্লেখ্য করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু’র আসা-না আসায় কিছু যায়-আসে না। লু তো অনেক দূরের কথা। আমরা শঙ্কিত দেশের অবস্থা নিয়ে। 


এদিকে লু’র এবারের সফর দুই দেশের সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাবে বলে মনে করছে আওয়ামী লীগ। দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘ডোনাল্ড লু বাংলাদেশের সরকারের সঙ্গে কথাবার্তা বলবেন। দুই দেশের মধ্যকার সম্পর্ক এগিয়ে নিতে তিনি আসবেন। বিএনপি মনে করেছে, আবার নতুন করে নিষেধাজ্ঞা দেবে কি না। এই ধরনের উদ্ভট চিন্তা করছে। এ রকম উদ্ভট চিন্তা তারা আগেও করেছিল।’

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, বিদেশিদের কাছে বারবার ধরর্না দিয়ে কোনো কিছুই করতে পারেনি বিএনপি। এজন্য লু’র ঢাকা সফর নিয়ে প্রকাশ্যে উচ্ছ্বাস দেখাচ্ছেনা বিএনপি। দেশে শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচন হওয়া এবং বর্তমান সরকারের সাথে কাজ করার ঘোষণা দেওয়ায় বিএনপির মোহভঙ্গ হয়েছে। তাই প্রকাশ্যে লু’র সফর নিয়ে উচ্ছ্বাস দেখাচ্ছে না বিএনপির নেতারা।



ডোনাল্ড লু   আওয়ামী লীগ   বিএনপি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

কারামুক্ত হলেন বিএনপি নেতা হাবিব উন নবী সোহেল

প্রকাশ: ০৯:৩৩ পিএম, ১৩ মে, ২০২৪


Thumbnail

জামিনে কেরাণীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সাবেক সভাপতি হাবিব উন নবী খান সোহেল।

সোমবার (১৩ মে) সন্ধ্যা পৌনে সাতটার দিকে কেন্দ্রীয় কারাগার কেরানীগঞ্জ থেকে মুক্তি লাভ করেন তিনি। এ সময় ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন নাসিরসহ বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মী তাকে ফুলের মালা দিয়ে বরণ করেন।

বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান জানান, মুক্তি পাওয়ার পর তিনি নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে যান। 
এর আগে গত ৩১ মার্চ আদালতে জামিন নিতে গেলে জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানো হয় সোহেলকে।

বিএনপি   হাবিব উন নবী সোহেল  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন