ইনসাইড পলিটিক্স

সাংবিধানিক কাঠামোর মধ্যে তত্ত্বাবধায়ক সরকার: বিএনপির ৩ ফর্মুলা

প্রকাশ: ০৮:০০ পিএম, ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২২


Thumbnail সাংবিধানিক কাঠামোর মধ্যে তত্ত্বাবধায়ক সরকার: বিএনপির ৩ ফর্মুলা

বিএনপি বলেছে নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া আগামী নির্বাচনে তারা অংশগ্রহণ করবে না। অবাধ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য তারা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিকল্প নেই বলেও ঘোষণা করেছে। এ নিয়ে তারা রাজপথে আন্দোলন জমাতে না পারলেও কূটনৈতিক অঙ্গনেও ঘটা করেই বৈঠক বিভিন্ন রকম বৈঠক করছেন। আর এই বৈঠকগুলোতে তারা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের যৌক্তিকতা তুলে ধরার চেষ্টা করছেন। তবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ কোয়াডভুক্ত দেশগুলো জানিয়ে দিয়েছে যে, শুধুমাত্র তত্ত্বাবধায়ক সরকারের জন্য সংবিধান সংশোধনকে তারা সমর্থন করে না। বরং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বিএনপিকে সাংবিধানিক কাঠামোর মধ্যেই কোনো সমাধান খুঁজে বের করার জন্য পরামর্শ দিয়েছে। এই পরামর্শের আলোকেই বিএনপির আইনজীবীরা এখন সাংবিধানিক কাঠামোর মধ্যে তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠনের সম্ভাব্যতা যাচাই করছে এবং এ ব্যাপারে তারা তিনটি পথ খুঁজে পেয়েছে বলেও একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র নিশ্চিত করেছে। বিএনপি সূত্রে বলা হয়েছে, এই তিনটি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ফর্মুলা নিয়ে তারা আবার কূটনৈতিকদের সঙ্গে কথা বলবেন এবং কূটনীতিকরা যেটির ব্যাপারে সবুজ সংকেত দিবেন সেটিকে আরও পরিপূর্ণ করে আনুষ্ঠানিকভাবে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের রূপরেখা হিসেবে উপস্থাপন করবেন। বিএনপির পক্ষ থেকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের যে তিনটি ফর্মুলা দেওয়া হয়েছে তার মধ্যে রয়েছে:

১. টেকনোক্র্যাট প্রধানমন্ত্রী: বিএনপি আইনজীবীরা মনে করছেন বর্তমান সাংবিধানিক কাঠামোর মধ্যে একজন নিরপেক্ষ ব্যক্তিকে প্রধানমন্ত্রী করা যায়। বর্তমান সংবিধানে এক-দশমাংশ টেকনোক্র্যাট মন্ত্রী রাখার সুযোগ রয়েছে। এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে যেকোনো একজন সকলের কাছে গ্রহণযোগ্য ব্যক্তিকে মন্ত্রী বানাতে পারেন এবং সেই মন্ত্রী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করতে পারেন এবং প্রধানমন্ত্রী ছুটিতে বা নিষ্ক্রিয় হয়ে থাকতে পারেন। এই ফর্মুলায় বলা হয়েছে, এমনকি যদি বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও প্রধানমন্ত্রী থাকেন কিন্তু তিনি যদি কোনো দপ্তর না রাখেন এবং টেকনোক্র্যাট ব্যক্তির কাছে যদি স্বরাষ্ট্র, জনপ্রশাসন, পররাষ্ট্র, প্রতিরক্ষার মত গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয় দেয়া যায় তাহলে তার নেতৃত্বে একটি নির্বাচন করা সম্ভব। তবে এই মতের ব্যাপারে বিএনপির কোনো কোনো আইনজীবী বলছেন, সংবিধানে প্রধানমন্ত্রীকে নিরঙ্কুশ ক্ষমতা দেয়া হয়েছে। কোনো মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে না থাকলেও তিনি সকল ক্ষমতার অধিকারী। কাজেই এটি করা হলেও শেষ পর্যন্ত শেখ হাসিনার অধীনেই নির্বাচন করা হবে। তাছাড়া এই দাবিটি বিএনপির দাবির সাথে সাংঘর্ষিক। তবে বিএনপির কোনো কোনো নেতা বলছে এটি মন্দের ভালো। একজন গ্রহণযোগ্য টেকনোক্র্যাট মন্ত্রীর হাতে যদি গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়গুলো দেয়া হয় এবং প্রধানমন্ত্রী যদি নিষ্ক্রিয় থাকেন তাহলে বিএনপির দাবি আংশিক হলেও পূরণ হয়।

২. রাষ্ট্রপতির কর্তৃত্ব: বিএনপির নেতারা মনে করছেন যে, প্রধানমন্ত্রী এবং মন্ত্রিসভা থাকার পরও যদি রাষ্ট্রপতির হাতে নির্বাচনকালীন সময়ে কর্তৃত্ব রাখা হয় এবং রাষ্ট্রপতির পদকে যদি নির্বাচনকালীন সময়ে রাজনৈতিক ঐক্যের মাধ্যমে গুরুত্বপূর্ণ করা হয় তাহলে বর্তমান সরকারের অধীনে একটি নির্বাচন সম্ভব। তবে এটি নির্ভর করবে সরকার রাষ্ট্রপতি কাকে নিয়োগ করছে তার ওপর। কারণ আগামী কয়েক মাসের মধ্যেই আওয়ামী লীগকে একজন নতুন রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত করতে হবে এবং এই রাষ্ট্রপতির নেতৃত্বে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। একজন গ্রহণযোগ্য ব্যক্তি যদি রাষ্ট্রপতি হন তাহলে তাকে ক্ষমতায়ন করে বর্তমান সাংবিধানিক কাঠামোর মধ্যে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব বলে অনেকে মনে করছেন।

৩. নির্বাচনকালীন মন্ত্রিসভাকে নিষ্ক্রিয় রাখা: বিএনপির তৃতীয় ফর্মুলা হচ্ছে নির্বাচনকালীন যে মন্ত্রিসভা থাকবে সে মন্ত্রিসভা নিষ্ক্রিয় থাকবে এবং এই নিষ্ক্রিয় মন্ত্রিসভায় আওয়ামী লীগ এবং অন্যান্য বিরোধী দলের সমপরিমাণ সদস্য সংখ্যা থাকবে। তবে তারা শুধু নামেই মন্ত্রী থাকবেন কিন্তু কোনো দায়িত্ব পালন করতে পারবেন না। বরং এই দায়িত্ব গুলো পালন করবে একটা উপদেষ্টামণ্ডলী যেটি প্রধানমন্ত্রী তৈরি করবেন। বর্তমান সরকারেরও বেশকিছু উপদেষ্টা আছেন। ওই নির্বাচনকালীন সময়ে প্রধানমন্ত্রী ১০জন উপদেষ্টা নিয়োগ দিবেন এবং উপদেষ্টারাই দেশ পরিচালনা করবেন, মন্ত্রীরা শুধুমাত্র নামে মন্ত্রী থাকবেন। এরকম একটি পদ্ধতি যদি শেষ পর্যন্ত হয় এবং এটি নিয়ে যদি রাজনৈতিক সমঝোতা হয় তবে সেভাবেও আগামী নির্বাচন হতে পারে।

তবে বিএনপির নীতিনির্ধারকরা বলছে যে, তারা এখন পর্যন্ত নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিকল্প ভাবছেন না। কিন্তু শেষ পর্যন্ত একটি সমঝোতার জায়গা হিসেবে এ বিষয়গুলো আলোচনা হতে পারে এবং আলোচনার পরই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে যে, কিভাবে নির্বাচন সুষ্ঠু করা যায় এবং কোন পদ্ধতিতে নির্বাচনে বিএনপি অংশগ্রহণ করবে।


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

বিএনপি নেতানিয়াহুর দোসরে পরিণত হয়েছে: হাছান মাহমুদ

প্রকাশ: ০২:১৮ পিএম, ১৪ মে, ২০২৪


Thumbnail

ফিলিস্তিনের পক্ষে না দাঁড়িয়ে বিএনপি ইসরায়েলের দোসরে পরিণত হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

মঙ্গলবার (১৪ মে) সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বাংলাদেশ স্বাধীনতা পরিষদ আয়োজিত ফিলিস্তিনে গণহত্যা বন্ধ ও বিএনপির দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে এক মানববন্ধন ও সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বিএনপি ফিলিস্তিনের পক্ষে না দাঁড়িয়ে ইসরায়েলের দোসরে পরিণত হয়েছে, নেতানিয়াহুর দোসরে পরিণত হয়েছে। ইসরায়েলের এজেন্টদের সঙ্গে মিলে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। আমাদের কাছে তথ্য প্রমাণ আছে। এদের মুখোশ উন্মোচন করতে হবে।

তিনি বলেন, পুরো পৃথিবী এই বর্বরতার প্রতিবাদে সোচ্চার হয়েছে কিন্তু আমরা দেখতে পাচ্ছি বিএনপি ও জামায়াত, যারা ধর্ম নিয়ে রাজনীতি করার চেষ্টা করে, এই মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধের বিরুদ্ধে একটা শব্দও উচ্চারণ করেনি। কারণ কেউ অসন্তুষ্ট হতে পারে। গত নির্বাচনে তাদের পরিকল্পনা ভেস্তে যাওয়ার পর ইসরায়েলি লবিস্টদের সঙ্গে মিলে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। 

তিনি আরও বলেন, আমাদের দেশে কিছু ইসলামী দল আছে, তারা কারণে-অকারণে বায়তুল মোকাররমের দাঁড়িয়ে যান। আপনারা কোথায় এখন? আপনাদের কেন খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। নির্বাচনের আগে সরকার নামানোর জন্য বায়তুল মোকাররমের সামনে এসে আন্দোলন করেন, কই ফিলিস্তিনি ভাইদের পক্ষে, ইসরায়েলের বিপক্ষে তো একটা বড় মিছিল করতে দেখলাম না।

সামাজিক মাধ্যমে সরকারের সমালোচনাকারীদের নিয়ে বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনেককেই দেখি সরকারের বিরুদ্ধে বড় বড় ভাষণ দেয়, সরকারের বিরুদ্ধে বিষোদগার করে। নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে তাদের কথা বলতে তো শুনলাম না। এরা কোথায়? এরা কোথায় লুকিয়ে আছে? এরা আসলে ইসলাম প্রেমী নয়, এরা হলো মুখোশধারী ধর্ম ব্যবসায়ী। এদের মুখোশও উন্মোচন করতে হবে।

এরপর ফিলিস্তিনি মানুষদের প্রতি সহমর্মিতা প্রকাশ করে তিনি বলেন, ইসরায়েলি বর্বরতার কারণে যারা নিহিত হয়েছেন তাদের মাগফেরাত কামনা করি। যারা আহত হয়েছেন তাদের প্রতি সহানুভূতি জানাই। বাংলাদেশের মানুষের অবস্থান সবসময় মুক্তিকামী মানুষের পক্ষে ছিল। আমাদের নীতি ফিলিস্তিনি মুক্তিকামী মানুষের পক্ষে।


বিএনপি   নেতানিয়াহু   দোসর   হাছান মাহমুদ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

স্ত্রীকে নিয়ে সিঙ্গাপুর গেলেন মির্জা আব্বাস

প্রকাশ: ০১:৪৫ পিএম, ১৪ মে, ২০২৪


Thumbnail

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস ও তার স্ত্রী মহিলা দলের সভাপতি আফরোজা আব্বাস চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরের উদ্দেশ্যে ঢাকা ছেড়েছেন। 

মঙ্গলবার (১৪ মে) সকালে হযতর শাহজালাল বিমানবন্দর থেকে বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটে সিঙ্গাপুর যান তারা। 

বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান গণমাধ্যমকে জানান, মঙ্গলবার সকালে মির্জা আব্বাস ও তার স্ত্রী আফরোজা দুইজনই চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুর গিয়েছেন। চিকিৎসা শেষে তারা কবে দেশে ফিরবেন সেটা এখনি বলতে পারছেন না তিনি। 


সিঙ্গাপুর   মির্জা আব্বাস   বিএনপি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

মার্কিন স্যাংশন, ভিসানীতির পরোয়া করে না আওয়ামী লীগ: কাদের

প্রকাশ: ০১:০০ পিএম, ১৪ মে, ২০২৪


Thumbnail

আওয়ামী লীগ সরকার মার্কিন স্যাংশন, ভিসানীতি পাত্তা দেয় না বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। 

তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগ কাউকে দাওয়াত করে আনে নি,তাদের এজেন্ডা আছে। তারা সেসব নিয়ে ঢাকায় এসেছে। ওপরে ওপরে বিএনপি তাদের পাত্তা দেয় না বললেও, তলে তলে  বিএনপির সঙ্গে তাদের কি আছে, তারাই ভালো জানে। 

মঙ্গলবার (১৪ মে) সচিবালয়ে সমসাময়িক বিষয়ে আলোচনাকালে এসব কথা বলেন তিনি।  

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ভারতীয় পণ্য বর্জনের ডাক বিএনপির আন্দোলনের ব্যর্থ চেষ্টা। আন্দোলনে ব্যর্থ হয়ে খড়কুটো ধরে বাজতে চায় তারা। আসলে তাদের কোনো ইস্যু নাই। তারা ভারতীয় পণ্য বর্জনকে ইস্যু বানাতে চায়। আমার প্রশ্ন হলো-ভারতীয় মসলা ছাড়া কি আমাদের চলে?  

তিনি বলেন, ভারতের মসলা ছাড়া আমাদের চলে না। শুধু মসলা কেন, ভারত থেকে শাড়ী-কাপড় আসবে, এছাড়া আরও কিছু নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যও আসবেই। 

তিনি আরও বলেন, সম্প্রতি ঢাকায় বিএনপির দুইটা সমাবেশই ফ্লপ হয়েছে। বিএনপি ও তাদের সমমনাদের আন্দোলনের ডাকে জনগণের সাড়া নেই। দলটির কর্মীরা হতাশ, তাদের আর নেতাদের ওপর আস্থা নেই। সে কারণেই বিএনপির কর্মীরা তাদের সমাবেশে যোগ দেয় না।


মার্কিন স্যাংশন   ভিসানীতি   আওয়ামী লীগ   ওবায়দুল কাদের  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

ডোনাল্ড লু’র ঢাকা সফর: যা বললেন আওয়ামী লীগ-বিএনপির শীর্ষ নেতারা

প্রকাশ: ১১:০০ পিএম, ১৩ মে, ২০২৪


Thumbnail

যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক সহকারী মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু আগামীকাল মঙ্গলবার ঢাকায় আসছেন। এ সফরে তিনি ব্যবসা-বিনিয়োগ, নিরাপত্তা, প্রতিরক্ষা, জলবায়ু পরিবর্তন, নাগরিক অধিকারসহ দুই দেশের অগ্রাধিকারের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে আলোচনা করবেন বলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে। 

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে গত বছর ডোনাল্ড লু’র সফর ছিল বেশ আলোচনায়। সরকার পতনের এক দফা আন্দোলন করা বিএনপি বেশ চাঙ্গা হয়ে উঠেছিল। ভোট হয়ে যাওয়ার চার মাস পর যুক্তরাষ্ট্রের এই সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবার ঢাকায় আসছেন। রাজনৈতিক অঙ্গনে তাঁর ঢাকা সফর নিয়ে বেশ আলোচনা হলেও ৭ জানুয়ারি নির্বাচনের আগে লু’র সফর নিয়ে যেভাবে বিভিন্ন ধরনের গুঞ্জন বা আতঙ্কের কথা শোনা গিয়েছিল এবার সেটি হচ্ছে না। কিন্তু তারপরও তাঁর ঢাকা সফর নিয়ে কথা বলেছেন আওয়ামী লীগ এবং বিএনপির শীর্ষ নেতাদের মধ্যে কথা বাহাস লক্ষ্য করা গেছে।


লু’র ঢাকা সফর নিয়ে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, কে আসলো আর কে গেলো তা নিয়ে মাথা ঘামানোর সময় নেই। যদিও নির্বাচনের আগে লু’র ঢাকা সফর নিয়ে সবচেয়ে বেশি উচ্ছ্বসিত ছিল বিএনপির নেতারা। তবে এবার দলটির মহাসচিব সুর পাল্টে বলছেন, ‘কে আসলো আর কে গেলো তা নিয়ে মাথাঘামানোর সময় নেই। তিনি বলছেন তার দলের প্রধান শক্তি হলো জনগণ।’

লু’র ঢাকায় আসাটা গুরুত্বপূর্ণ নয় উল্লেখ্য করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু’র আসা-না আসায় কিছু যায়-আসে না। লু তো অনেক দূরের কথা। আমরা শঙ্কিত দেশের অবস্থা নিয়ে। 


এদিকে লু’র এবারের সফর দুই দেশের সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাবে বলে মনে করছে আওয়ামী লীগ। দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘ডোনাল্ড লু বাংলাদেশের সরকারের সঙ্গে কথাবার্তা বলবেন। দুই দেশের মধ্যকার সম্পর্ক এগিয়ে নিতে তিনি আসবেন। বিএনপি মনে করেছে, আবার নতুন করে নিষেধাজ্ঞা দেবে কি না। এই ধরনের উদ্ভট চিন্তা করছে। এ রকম উদ্ভট চিন্তা তারা আগেও করেছিল।’

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, বিদেশিদের কাছে বারবার ধরর্না দিয়ে কোনো কিছুই করতে পারেনি বিএনপি। এজন্য লু’র ঢাকা সফর নিয়ে প্রকাশ্যে উচ্ছ্বাস দেখাচ্ছেনা বিএনপি। দেশে শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচন হওয়া এবং বর্তমান সরকারের সাথে কাজ করার ঘোষণা দেওয়ায় বিএনপির মোহভঙ্গ হয়েছে। তাই প্রকাশ্যে লু’র সফর নিয়ে উচ্ছ্বাস দেখাচ্ছে না বিএনপির নেতারা।



ডোনাল্ড লু   আওয়ামী লীগ   বিএনপি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

কারামুক্ত হলেন বিএনপি নেতা হাবিব উন নবী সোহেল

প্রকাশ: ০৯:৩৩ পিএম, ১৩ মে, ২০২৪


Thumbnail

জামিনে কেরাণীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সাবেক সভাপতি হাবিব উন নবী খান সোহেল।

সোমবার (১৩ মে) সন্ধ্যা পৌনে সাতটার দিকে কেন্দ্রীয় কারাগার কেরানীগঞ্জ থেকে মুক্তি লাভ করেন তিনি। এ সময় ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন নাসিরসহ বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মী তাকে ফুলের মালা দিয়ে বরণ করেন।

বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান জানান, মুক্তি পাওয়ার পর তিনি নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে যান। 
এর আগে গত ৩১ মার্চ আদালতে জামিন নিতে গেলে জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানো হয় সোহেলকে।

বিএনপি   হাবিব উন নবী সোহেল  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন