সাম্প্রতিক সময়ে বিএনপির একজন সিনিয়র নেতার বেফাস বক্তব্য দলটির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে এক ধরনের বেকাদায় ফেলেছে বলে রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোচনা হচ্ছে। গত শনিবার সকালে রাজধানীতে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ওলামা দলের ৪৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনায় ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমান বলেছেন, আগামী ১০ ডিসেম্বরের পর বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের কথায় দেশ চলবে, অন্য কারো কথায় নয়। এরপর তার এই বক্তব্য নিয়ে দলের ভেতরে-বাইরে এক ধরনের তোলপাড় সৃষ্টি হয়। তার এই বক্তব্যের কারণে বিএনপির নেতাদের কেউ কেউ হতবাক হয়েছেন বলে জানা গেছে। বিএনপির নেতারা বলছেন, তারা এখন নির্দলী নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে আন্দোলন করছেন ঠিকই কিন্তু আমান উল্লাহ আমান যেভাবে বক্তব্য দিয়েছেন তাতে এক ধরনের আইনি জটিলতার মধ্যে পরার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। আর সেটা যদি শেষ পর্যন্ত হয়ে যায় তাহলে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবেন দলটির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া।
বেগম খালেদা জিয়া সরকারের নিবার্হী আদেশে এখন বাসায় থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন। দুটি শর্তে তার সাজা স্থগতি রেখে তাকে বাসা থেকে চিকিৎসা নেয়ার সুযোগ দিয়েছে সরকার। উল্লেখ্য যে, খালেদা জিয়ার পরিবারের আবেদনের প্রেক্ষিতে গত ১৮ সেপ্টেম্বর ষষ্ঠবারের সাজা স্থগিত রেখে খালেদার জিয়ার মুক্তির মেয়াদ আরও ৬ মাস বাড়ানো হয়েছে। দুটি শর্ত অনুসারে তিনি বাসায় থেকে চিকিৎসা নিবেন এবং বিদেশে যেতে পারবেন না। তাছাড়া আইন অনুসারে তিনি এ সময় কোন রাজনৈতিক কর্মসূচির সঙ্গেও সম্পৃক্ত হতে পারেন না। কিন্তু আমান উল্লাহ আমান যেভাবে খালেদা জিয়াকে সামনে আনলে সেটি রীতিমতো অপরাধ বটে। কারণ খালেদা জিয়া আদালত কর্তৃক দন্ডিত। সেই বিবেচনায় তিনি কোন রাজনৈতিক কর্মসূচিতে অংশ নিতে পারেন না। আর আমান উল্লাহ আমান যে ঘোষণা দিয়েছেন বেগম খালেদা জিয়া এ ধরনের কোন নিদের্শনা দেননি বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। তাহলে আমান উল্লাহ কেন এই ঘোষণা দিলেন সেটি একটি প্রশ্ন হয়ে উঠেছে। তার এই ঘোষণার জন্য পরবর্তীতে খালেদা জিয়ার মুক্তির মেয়াদ বাড়বে কিনা সেটি নিয়েও বিএনপিতে এখন এক ধরনের ধোয়াশা তৈরি হয়েছে। কারণ বিষয়টি নিয়ে সরকারের মন্ত্রিসভার একজন প্রভাবশালী মন্ত্রী বিষয়টি নিয়ে কথা করেছেন। তিনি বলেছেন যে, ‘দেশ পরিচালনার বিষয়ে আমান উল্লাহ আমান সাহেবরা যদি উল্টাপাল্টা স্বপ্ন দেখতে থাকেন তাহলে সরকারকে ভাবতে হবে বেগম খালেদা জিয়ার প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে বদান্যতা দেখিয়েছেন সেটির আদৌ প্রয়োজন আছে না কি তাকে আবার কারাগারে পাঠাতে হবে।’
এদিকে, আমান উল্লাহ আমানের এ ধরনের বক্তব্যে খোদ খালেদা জিয়ার পরিবারও নাখোশ হয়েছেন বলে বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে ফিসফিস আলোচনা হচ্ছে। বিশেষ করে খালেদা জিয়ার ভাই এবং তার বোন বিষয়টি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বলে বিভিন্ন সূত্রগুলো বলছে। তারা বলছে যে, বিএনপি আন্দোলন করে যখন খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে ব্যর্থ হয়েছে তখন এ ধরনের বক্তব্য কাণ্ডজ্ঞানহীন ছাড়া কিছুই নয়। বরং আমানের এ ধরনের বক্তব্য খালেদা
রাজিনীতি বিএনপি খালেদা জিয়া আমান উল্লাহ
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগ মোহাম্মদ সাঈদ খোকন ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের রুহুল কবির রিজভী
মন্তব্য করুন
নাশকতার অভিযোগে রাজধানীর পল্টন থানায় দায়ের করা মামলায় বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক কমিটির সদস্য ও ঢাকা মহানগর বিএনপির সিনিয়র সদস্য ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেনকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।
রোববার (১৯ মে) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ আস-সামছ জগলুল হোসেন এ আদেশ দেন।
এ মামলায় উচ্চ আদালত থেকে জামিনে ছিলেন ইশরাক। আজ আদালতে হাজির হয়ে আইনজীবীর মাধ্যমে জামিন বর্ধিত করার আবেদন করেন তিনি। শুনানি শেষে আদালত তার জামিন বাড়ানোর আবেদন বাতিল করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
সংশ্লিষ্ট আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর তাপস কুমার পাল বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।
নাশকতা মামলা বিএনপি ইশরাক হোসেন
মন্তব্য করুন
‘ব্যাংকে সাংবাদিক ঢুকবে কেন’-আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের এমন বক্তব্যের সমালোচনা করেছেন রুহুল কবির রিজভী। বিএনপির এই সিনিয়র নেতা বলেছেন, ব্যাংকে সাংবাদিক ঢুকবে না, তাহলে কী মাফিয়া, মাস্তান, ঋণ খেলাপিরা ঢুকবে?
রোববার (১৯ মে) রাজধানীর নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আর্থিক সহায়তা প্রদান অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের কাছে তিনি এ প্রশ্ন রাখেন। এসময় গত ১৮ এপ্রিল সন্ধ্যায় মধুখালী উপজেলার ডুমাইন ইউনিয়নের পঞ্চপল্লী গ্রামের কালী মন্দিরে আগুনের ঘটনায় হামলায় নিহত ২ নির্মাণশ্রমিকের পরিবারকে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান পক্ষ থেকে সহায়তা প্রদান করা হয়।
রিজভী আরও বলেন, যারা ব্যাংকের টাকা লুটপাট করে সম্পদের মালিক হয়েছেন, দেশের বাইরে বাড়ি করেছেন তাদের কথা সাংবাদিকরা যেন না জানতে পারেন তার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিকদের ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না।
‘ব্যাংক মাফিয়া মাস্তান ঋণখেলাপি
মন্তব্য করুন
সংসদে বিরোধী দলীয় নেতা ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের বলেছেন, দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা ভয়াবহ। সামনের সংকট আরো প্রকট আকার ধারণ করতে পারে। সে জন্যই সাংবাদিকদের বাংলাদেশ ব্যাংকে প্রবেশাধিকার নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এটা সরকারের একটা গণবিরোধী সিদ্ধান্ত এবং যা অবিলম্বে প্রত্যাহার করা উচিত।
রোববার (১৯ মে) দুপুরে রংপুর সার্কিট হাউজে এসে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় কালে তিনি এসব কথা বলেন।
এর আগে দুপুরে জিএম কাদের ঢাকা থেকে বিমানযোগে সৈয়দপুর বিমান বন্দরে যান। সেখান থেকে সরাসরি রংপুর সার্কিট হাউজে পৌঁছান। সেখানে জেলা প্রশাসক মোবাস্বের হাসান, পুলিশ সুপার ফেরদৌস আলম চৌধুরী, মহানগর জাপার সাধারণ সম্পাদক এস এম ইয়াসির, জেলা সভাপতি আলাউদ্দিন মিয়াসহ প্রশাসনের ও পার্টির নেতাকর্মীরা তাকে ফুল দিয়ে স্বাগত জানান।
পরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে জিএম কাদের বলেন, সামনে অর্থনৈতিক সংকটের কারণে ভয়াবহ অবস্থার সৃষ্টি হতে পারে। দেশের রিজার্ভ এখন ১৩ বিলিয়ন ডলারের নিচে নেমে এসেছে, যা এ যাবৎ কালের সর্বনিম্ন।
তিনি আরও বলেন, সরকার যতই রির্জাভের কথা বলুক আসলে ১০ বিলিয়ন ডলারই আছে বলে আমার মনে হয় না। এসব আমাদের জন্য অশুভ সংকেত। দেশে টাকা নেই প্রতিদিন রিজার্ভ কমে যাচ্ছে। দেশে বিনিয়োগ আসছে না। যে অর্থ আসে তা বিদেশে চলে যাচ্ছে। ফলে ডলারের এবং দেশীয় টাকার চরম অবমূল্যায়ন হচ্ছে। দিন দিন টাকার ভ্যালু কমে যাচ্ছে।
জিএম কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ অনেক বড় বড় কথা বলে। দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরকে আমি রেসপেক্ট করি। কিন্তু তিনি যেসব কথা বলছেন এটা জনগণ আর বিশ্বাস করে না। আওয়ামী লীগ আগে জনগণকে ধারণ করলেও এখন তারা জনগণের ঘাড়ে চেপে বসেছে। আগে আওয়ামী লীগ একটা গাছের মতো ছিল। জনগণ যেখানে বিশ্রাম নিতো। এখন সেটা পরগাছা হয়ে গেছে। তারা দেশের জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।
মন্তব্য করুন
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর থেকে আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরীণ কোন্দল এবং একে অন্যের বিরুদ্ধে কাদা ছোড়াছুড়ি যেন কিছুতেই থামানো যাচ্ছে না। নির্বাচন পরবর্তী কোন্দল বন্ধে বিভিন্ন রকম উদ্যোগও ব্যবস্থা গ্রহণ করছে আওয়ামী লীগ। দলের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজেই একাধিক বার দলীয় কোন্দল বন্ধের জন্য তাগাদা দিয়েছেন। কিন্তু কোন কিছুতেই কাজ হচ্ছে না। বরং আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরীণ কোন্দল নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে। সাংগঠনিক অবস্থা রীতিমতো ভেঙে পড়েছে। এই কোন্দল এখন এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে আওয়ামী লীগ সরকারের উন্নয়ন বা অর্জন প্রশ্নবিদ্ধ করছেন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরাই। দলের এই কোন্দল এতদিন তৃণমূল পর্যায় থাকলেও সেটি এখন কেন্দ্রীয় নেতৃত্বেও শুরু হয়েছে।