ইনসাইড পলিটিক্স

বিএনপির সমাবেশে এতো লোক কেন?

প্রকাশ: ০৬:০০ পিএম, ১৫ অক্টোবর, ২০২২


Thumbnail বিএনপির সমাবেশে এতো লোক কেন?

বিএনপি ঢাকার কর্মসূচি শেষ করে এখন প্রতিটি বিভাগের কর্মসূচি পালন করছে। চট্টগ্রাম বিভাগের কর্মসূচির পর আজ ময়মনসিংহ বিভাগে মহাসমাবেশ করছে দলটি। চট্টগ্রামের জনসভাটি অনুষ্ঠিত হয়েছিল পলো গ্রাউন্ড মাঠে এবং সেখানে বিপুল জনসমাগম হয়েছিল বলে সাধারণ পর্যবেক্ষকরা মনে করছেন। আজ ময়মনসিংহেও বিএনপির জনসভায় বিপুল জনসমাগম হয়েছে। এই বিপুল জনসমাগম হওয়ার ফলে বিএনপির নেতারা উল্লোসিত এবং তারা মনে করছে যে, বিএনপির জনসমর্থন বেড়েছে এবং বিএনপির প্রতি জনগণের আস্থা আছে। এ কারণেই জনসমাগম হচ্ছে। আর এটা নিয়ে বিএনপির মধ্যে এক ধরনের উজ্জীবিত ভাব লক্ষ্য করা যাচ্ছে। তবে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন যে, বিনপির জনসভাগুলোতে লোকসমাগম বেশি হওয়াটা মোটেও অবাক হওয়ার মত বিষয় নয়। বরং এটিই প্রত্যাশিত। কি কারণে বিএনপির জনসভায় লোকসমাগম বেশি হচ্ছে এ ব্যাপারে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক মহল একাধিক কারণ উল্লেখ করেছেন।

১. কর্মীদের আগ্রহ: দীর্ঘদিন পর বিএনপির নেতাকর্মীরা কর্মসূচি পেয়েছে এবং এই কর্মসূচিগুলোতে তারা অংশগ্রহণ করতে চাচ্ছে। বিএনপির কর্মীরা দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে ক্ষমতার বাইরে। তারা মনে করছে যে, রাজপথে আন্দোলন করা উচিত এবং রাজপথে আন্দোলনের ব্যাপারে তৃণমূল থেকে এক ধরনের চাপও বিএনপির মধ্যে আছে। আর সে কারণেই এই কর্মসূচিগুলোর ব্যাপারে বিএনপি কর্মীরা আগ্রহী। তারা প্রায় সকলেই কর্মসূচিতে যোগদান করেছেন। এ কারণে সমাবেশগুলোতে সমাগম বেশি হচ্ছে। 

২. বিরোধী পক্ষের বক্তব্য কি শোনার আগ্রহ: সাধারণ মানুষ সাধারণত সরকারের সমালোচনা এবং বিরোধী পক্ষের বক্তব্য গুলো শুনতে চায়। এতোদিন বিএনপি কোনো ধরনের সভা-সমাবেশ করেনি, শুধুমাত্র প্রেসক্লাব, রিপোর্টার্স ইউনিট মুখী কর্মসূচির মাধ্যমে ঘরোয়া সংবাদ করে সরকারের সমালোচনা করেছে। বিএনপির মধ্য থেকে বিভিন্ন সময়ে দাবি উঠেছিল যে, সারা দেশে বিএনপির আন্দোলন ছড়িয়ে দিতে হবে। সেজন্য বিএনপিকে ঢাকার বাইরে যেতে হবে। জনগণকে সংগঠিত করতে হবে। সাধারণত সব সময় সাধারণ মানুষ বিরোধী দলের বক্তব্য কি শুনতে চায়। সরকারের বক্তব্যের চেয়ে বিরোধী দলের বক্তব্য শোনার প্রতি মানুষের একটা আগ্রহ থাকে। আর এই কারণেই বিএনপি জনসভাগুলোতে সাধারণ মানুষও আগ্রহ নিয়ে যাচ্ছে যে তারা কি বলে সেটা শোনার জন্য। বিভিন্ন সময়ে রাজনৈতিক ইতিহাস বিশ্লেষণ করলে দেখা যায় সব সময় বিরোধী দলের সমাবেশগুলোর ব্যাপারে রাজনীতির ক্ষেত্রে উৎসাহী মানুষের আগ্রহ থাকে। 

৩. দেশের বর্তমান পরিস্থিতি: দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে মানুষের মধ্যে উদ্বেগ উৎকণ্ঠা বাড়ছে। বিশেষ করে সাম্প্রতিক সময়ে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, লোডশেডিং ইত্যাদি নিয়ে জনগণের মধ্যে এক ধরনের অস্বস্তি রয়েছে। এই প্রেক্ষিতে বিরোধীদলগুলো কি বলে সেটি শোনার জন্যই অনেকের আগ্রহ রয়েছে এবং সে কারণে তারা যাচ্ছে। 

৪. বিএনপি সংগঠিত হচ্ছে: এটা অস্বীকার করার উপায় নেই যে, সাম্প্রতিক সময়ে বিএনপি অনেক সংগঠিত হচ্ছে। বিশেষ করে বিভিন্ন কমিটিগুলো করার মধ্য দিয়ে বিএনপির কর্মীদের মধ্যে এক ধরনের সাংগঠনিক ঐক্য তৈরি হয়েছে এবং তারা মনে করছে, যেকোনো মূল্যে সংগঠনকে টিকিয়ে রাখতে হবে। আর এ কারণেই এখন তারা সাংগঠনিকভাবে অনুষ্ঠানগুলোতে যোগ দিচ্ছে। তাছাড়া এখন বিএনপির বিভিন্ন কমিটিগুলো হচ্ছে। কাজেই এই কমিটিগুলো গঠনের মাধ্যমে কর্মীরাও তাদের চেহারা দেখিয়ে কমিটিতে জায়গা পাওয়া বা নেতৃত্ব পাওয়ার জন্য এক ধরনের প্রতিযোগিতা করছে। এ কারণেও বিএনপির সমাবেশে লোকসমাগম হচ্ছে। কিন্তু কোনো জনসমাবেশের লোকসমাগম মানেই তাদের প্রতি জনসমর্থন রয়েছে এমন ভাবার কোনো কারণ নেই। 

বাংলাদেশের রাজনীতিতে বিভিন্ন সময় দেখা গেছে যে, জনগণ অনেক জনসভায় যায়। কিন্তু তাদের মতামত এবং চিন্তা ভাবনাগুলো অন্যরকম। মাওলানা ভাসানীর জনসভাতেও প্রচুর লোক যেতেন। কিন্তু ভোটের বাজারে সেই উপস্থিতি মূল্যহীন পড়তো। কাজেই বিএনপির এই জনসমাবেশ গুলোতে লোক যাচ্ছে ঠিকই। কিন্তু সেই লোকরা আসলে বিএনপির কথায় আন্দোলন করবে কিনা সে নিয়ে বিভিন্ন মহলের সংশয় রয়েছে। 

বিএনপি   সমাবেশ   জনসমাগম  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

ওবায়দুল কাদেরকে রিজভীর পাল্টা প্রশ্ন

প্রকাশ: ০৪:৩৩ পিএম, ১৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরকে এবার পাল্টা প্রশ্ন ছুড়ে দিলেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। ‘ব্যাংকে সাংবাদিক ঢুকবে কেন’— ওবায়দুল কাদেরের এমন বক্তব্যের সমালোচনা করে বিএনপির এই নেতা বলেছেন, ব্যাংকে সাংবাদিক ঢুকবে না, তাহলে কী মাফিয়া, মাস্তান, ঋণ খেলাপিরা ঢুকবে?

রোববার (১৯ মে) রাজধানীর নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আর্থিক সহায়তা প্রদান অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের কাছে তিনি এ প্রশ্ন রাখেন। এসময় গত ১৮ এপ্রিল সন্ধ্যায় মধুখালী উপজেলার ডুমাইন ইউনিয়নের পঞ্চপল্লী গ্রামের কালী মন্দিরে আগুনের ঘটনায় হামলায় নিহত ২ নির্মাণশ্রমিকের পরিবারকে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান পক্ষ থেকে সহায়তা প্রদান করা হয়।

অনুষ্ঠানে রিজভী বলেন, এক মর্মান্তিক পরিস্থিতির মধ্যে দেশের মানুষ দিন অতিক্রম করছে। এখানে জীবন ও সম্পদের কোনো নিরাপত্তা নেই। জনগণের মনোভাব ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার জন্য সরকার একের পর এক পন্থা অবলম্বন করছে। মধুখালীতে শ্রমিকদের পিটিয়ে হত্যা এটি একটি পন্থা। এরা মানুষকে মানুষ হিসেবে বিবেচনা করে না। এরা মানুষের লাশ ও রক্তপাতের ওপর দিয়ে হেঁটে যেতে ভালোবাসেন।

আওয়ামী লীগ গোটা জাতিকে একটি গোরস্তান বানানোর প্রক্রিয়ায় লিপ্ত উল্লেখ করে রিজভী বলেন, আজ লাশ হচ্ছে জীবন্ত মানুষ। তার একটি ঘটনা মধুখালীতে। সরকার তার বহুমুখী ব্যর্থতা ঢাকতেই একের পর নাটক করে যাচ্ছে।

তিনি বলেন, শুধু ব্যাংক থেকে ১২ হাজার কোটি টাকা লোপাট হয়ে গেছে। এটা আমার বক্তব্য না। এটা সিডিপির বক্তব্য। আমাদের জিডিপি ১২ শতাংশ নাই হয়ে গেছে। ৯২ হাজার কোটি টাকা শুধু ব্যাংক থেকে লোপাট হয়ে গেছে। লোপাটকারী সবাই ক্ষমতাসীন দলের লোক ও আত্মীয়-স্বজন।

রিজার্ভ থেকে ৫০ বিলিয়ন ডলার উধাও করে দেওয়া হয়েছে মন্তব্য করে রিজভী বলেন, এখন তলানিতে রিজার্ভ। সরকার বলছে, ১৩ বিলিয়ন ডলার আছে। অথচ যারা সচেতন মানুষ তারা বলছেন ৭ থেকে ৮ বিলিয়ন ডলার আছে। এর মধ্যে বিদ্যুৎ খাতের ঋণ পরিশোধ করতে ৪ বিলিয়ন ডলার যাবে।

রিজভী আরও বলেন, যারা ব্যাংকের টাকা লুটপাট করে সম্পদের মালিক হয়েছেন, দেশের বাইরে বাড়ি করেছেন তাদের কথা সাংবাদিকরা যেন না জানতে পারেন তার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিকদের ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না।

আওয়ামী লীগ   সাধারণ সম্পাদক   ওবায়দুল কাদের   রুহুল কবির রিজভী  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

নাশকতার মামলায় বিএনপি নেতা ইশরাক কারাগারে

প্রকাশ: ০৪:০৬ পিএম, ১৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

নাশকতার অভিযোগে রাজধানীর পল্টন থানায় দায়ের করা মামলায় বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক কমিটির সদস্য ঢাকা মহানগর বিএনপির সিনিয়র সদস্য ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেনকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।

রোববার (১৯ মে) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ আস-সামছ জগলুল হোসেন আদেশ দেন।

মামলায় উচ্চ আদালত থেকে জামিনে ছিলেন ইশরাক। আজ আদালতে হাজির হয়ে আইনজীবীর মাধ্যমে জামিন বর্ধিত করার আবেদন করেন তিনি। শুনানি শেষে আদালত তার জামিন বাড়ানোর আবেদন বাতিল করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

সংশ্লিষ্ট আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর তাপস কুমার পাল বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।


নাশকতা   মামলা   বিএনপি   ইশরাক   কারাগা  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

‘‌‌‌‍‍‍‍ব্যাংকে কী মাফিয়া, মাস্তান, ঋণ খেলাপিরা ঢুকবে?’

প্রকাশ: ০৩:৫৭ পিএম, ১৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

ব্যাংকে সাংবাদিক ঢুকবে কেন’-আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের এমন বক্তব্যের সমালোচনা করেছেন রুহুল কবির রিজভী। বিএনপির এই সিনিয়র নেতা বলেছেন, ব্যাংকে সাংবাদিক ঢুকবে না, তাহলে কী মাফিয়া, মাস্তান, ঋণ খেলাপিরা ঢুকবে?

রোববার (১৯ মে) রাজধানীর নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আর্থিক সহায়তা প্রদান অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের কাছে তিনি প্রশ্ন রাখেন। এসময় গত ১৮ এপ্রিল সন্ধ্যায় মধুখালী উপজেলার ডুমাইন ইউনিয়নের পঞ্চপল্লী গ্রামের কালী মন্দিরে আগুনের ঘটনায় হামলায় নিহত নির্মাণশ্রমিকের পরিবারকে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান পক্ষ থেকে সহায়তা প্রদান করা হয়।

রিজভী আরও বলেন, যারা ব্যাংকের টাকা লুটপাট করে সম্পদের মালিক হয়েছেন, দেশের বাইরে বাড়ি করেছেন তাদের কথা সাংবাদিকরা যেন না জানতে পারেন তার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিকদের ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না।


‘‌‌‌ব্যাংক   মাফিয়া   মাস্তান   ঋণখেলাপি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা ভয়াবহ: জিএম কাদের

প্রকাশ: ০৩:৪৬ পিএম, ১৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

সংসদে বিরোধী দলীয় নেতা জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের বলেছেন, দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা ভয়াবহ। সামনের সংকট আরো প্রকট আকার ধারণ করতে পারে। সে জন্যই সাংবাদিকদের বাংলাদেশ ব্যাংকে প্রবেশাধিকার নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এটা সরকারের একটা গণবিরোধী সিদ্ধান্ত এবং যা অবিলম্বে প্রত্যাহার করা উচিত। 

রোববার (১৯ মে) দুপুরে রংপুর সার্কিট হাউজে এসে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় কালে তিনি এসব কথা বলেন।

এর আগে দুপুরে জিএম কাদের ঢাকা থেকে বিমানযোগে সৈয়দপুর বিমান বন্দরে যান। সেখান থেকে সরাসরি রংপুর সার্কিট হাউজে পৌঁছান। সেখানে জেলা প্রশাসক মোবাস্বের হাসান, পুলিশ সুপার ফেরদৌস আলম চৌধুরী, মহানগর জাপার সাধারণ সম্পাদক এস এম ইয়াসির, জেলা সভাপতি আলাউদ্দিন মিয়াসহ প্রশাসনের পার্টির নেতাকর্মীরা তাকে ফুল দিয়ে স্বাগত জানান।

পরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে জিএম কাদের বলেন, সামনে অর্থনৈতিক সংকটের কারণে ভয়াবহ অবস্থার সৃষ্টি হতে পারে। দেশের রিজার্ভ এখন ১৩ বিলিয়ন ডলারের নিচে নেমে এসেছে, যা যাবৎ কালের সর্বনিম্ন।

তিনি আরও বলেন, সরকার যতই রির্জাভের কথা বলুক আসলে ১০ বিলিয়ন ডলারই আছে বলে আমার মনে হয় না। এসব আমাদের জন্য অশুভ সংকেত। দেশে টাকা নেই প্রতিদিন রিজার্ভ কমে যাচ্ছে। দেশে বিনিয়োগ আসছে না। যে অর্থ আসে তা বিদেশে চলে যাচ্ছে। ফলে ডলারের এবং দেশীয় টাকার চরম অবমূল্যায়ন হচ্ছে। দিন দিন টাকার ভ্যালু কমে যাচ্ছে।

জিএম কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ অনেক বড় বড় কথা বলে। দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরকে আমি রেসপেক্ট করি। কিন্তু তিনি যেসব কথা বলছেন এটা জনগণ আর বিশ্বাস করে না। আওয়ামী লীগ আগে জনগণকে ধারণ করলেও এখন তারা জনগণের ঘাড়ে চেপে বসেছে। আগে আওয়ামী লীগ একটা গাছের মতো ছিল। জনগণ যেখানে বিশ্রাম নিতো। এখন সেটা পরগাছা হয়ে গেছে। তারা দেশের জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।


দেশ   অর্থনৈতিক   জিএম কাদের  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে বিএনপির অভ্যন্তরীণ কোন্দল

প্রকাশ: ০৯:১৯ এএম, ১৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে বিএনপির অভ্যন্তরীণ কোন্দল। সারা দেশেই বাড়ছে দলটির গৃহদাহ। দল পুনর্গঠন চলমান স্থানীয় সরকার নির্বাচন ঘিরে দলীটির বিবাদ প্রকাশ্যে আসছে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, স্থানীয় সরকার নির্বাচন নিয়ে কেন্দ্রীয় নির্দেশ সবচেয়ে বেশি লঙ্ঘন করছেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির নেতারা। তাদের অনেকে এলাকায় গিয়ে দলীয় সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করতে গোপনে উসকে দিচ্ছেন স্থানীয় নেতাদের। ঢাকায় ফিরে তারাই আবার দলীয় সিদ্ধান্ত লঙ্ঘনের দায়ে সংশ্লিষ্ট নেতাদের বহিষ্কারের মাধ্যমে নিজেদের পথ প্রশস্ত করছেন। এতে পারস্পরিক সন্দেহ-অবিশ্বাস ঘনীভূত হচ্ছে।

দলের নির্ভরযোগ্য সূত্রগুলো জানায়, গত বছরের ২৮ অক্টোবরের দলীয় মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে কারাগারে যাওয়া নেতাদের অনেকের ভূমিকা রহস্যজনক বলে মনে করছেন দলীয় অনেকে। নিয়ে দলের ভিতরে রয়েছে বিতর্ক। সুনির্দিষ্ট প্রমাণের (অডিও-ভিডিও) ভিত্তিতে বেশ কয়েকজন কেন্দ্রীয় নেতার বিরুদ্ধে ব্যবস্থাও নেওয়া হয়েছে কেন্দ্র থেকে। অনেককে অঘোষিতভাবেওএসডিকরা হয়েছে সাংগঠনিক কার্যক্রমের ক্ষেত্রে। নিয়ে ক্ষোভে কেউ কেউ রাজনীতি থেকেই নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়ছেন। চলে যাচ্ছেন দেশ ছেড়ে।

এসব বিষয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, বিএনপি মহাসাগরের মতো বিস্তৃত একটি বিশাল রাজনৈতিক দল। দলে নেতাদের মধ্যে কোনো বিষয়ে মতামত প্রদানের ক্ষেত্রে পার্থক্য থাকতেই পারে। তবে কোনো রকমের অভ্যন্তরীণ বিরোধ বা কোন্দল নেই।

জানা গেছে, সম্প্রতি সবচেয়ে বেশি বিরোধ-কোন্দল সৃষ্টি হয়েছে চলমান উপজেলা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে। এই নির্বাচনের প্রাক্কালে দলের হাইকমান্ডের পক্ষ থেকে বয়কটের পক্ষে নেতা-কর্মীদের মধ্যে গণসচেতনতা সৃষ্টির জন্য সারা দেশে সাংগঠনিক সহ-সাংগঠনিক সম্পাদকদের সুনির্দিষ্ট দায়িত্ব দেওয়া হয়। কিন্তু বেশির ভাগ নেতাই তাদের নিজ নিজ এলাকায় সেই দায়িত্ব পালন করেননি। অনেকে এলাকাতেই যাননি। জেলা বিএনপির শীর্ষকর্তারাও তেমন কোনো ভূমিকা রাখেননি। বরং উল্লিখিত নেতাদের এলাকাতেই ভোট কেন্দ্রে সবচেয়ে বেশি ভোটারের উপস্থিতি দেখা গেছে। নির্বাহী কমিটির দায়িত্বপ্রাপ্ত এসব নেতার দ্বৈত ভূমিকায় তৃণমূলের নেতারা ক্ষুব্ধ।


বিএনপি   অভ্যন্তরীণ   কোন্দল  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন