ইনসাইড পলিটিক্স

এক রাতেই মারা যেতে পারেন আওয়ামী লীগের ৩ লাখ নেতাকর্মী!

প্রকাশ: ০৯:১৩ পিএম, ১৯ অক্টোবর, ২০২২


Thumbnail এক রাতেই মারা যেতে পারেন আওয়ামী লীগের ৩ লাখ নেতাকর্মী!

আগামী নির্বাচনে যদি শেখ হাসিনার সরকার না থাকে, তাহলে প্রথম রাতেই কমপক্ষে তিন লাখ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী হত্যাকে হত্যা করা হতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য শাহাবুদ্দিন ফরাজী। সেজন্য তিনি দলের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন।

বুধবার (১৯ অক্টোবর) দুপুরে মানিকগঞ্জের ঘিওরে ডিএন পাইলট উচ্চবিদ্যালয় মাঠে উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

শাহাবুদ্দিন ফরাজী বলেন, নেতা-কর্মীরা যদি এক ও অভিন্ন থাকে তাহলে বাংলাদেশে এমন কোনো রাজনৈতিক শক্তি নাই, যারা আওয়ামী লীগকে পরাজিত করতে পারে। আমাদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। আমি কী পেলাম আর কী পেলাম না সেটা বড় কথা নয়, বড় কথা হলো শেখ হাসিনাকে আবারও দেশের প্রধানমন্ত্রী বানাতে হবে। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ আবার এই দেশে সরকার গঠন করবে এটাই আমাদের শপথ।

সম্মেলনের প্রধান অতিথি আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম বিএনপি মহাসচিবকে উদ্দেশ করে বলেন, ভবিষ্যতে লাঠি-মিছিল করার চিন্তাভাবনা করবেন না। আপনারা লাঠি নিয়ে বের হলে, আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা তসবি নিয়ে মাঠে নামবে না। আপনাদের লাঠির জবাব আমরা লাঠি দিয়েই দেব। তখন কিন্তু পালাবার কোনো পথ পাবেন না।

তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগকে পরাস্ত করবে এমন কোনো রাজনৈতিক দল বা শক্তি বাংলাদেশে নেই। তাই আমাদের রাজপথের ভয় দেখিয়ে কোনো লাভ হবে না। আগামী নির্বাচনে জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়ে আওয়ামী লীগ আবারও ক্ষমতায় আসবে।

আট বছর পর মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনে উপস্থিত জ্যেষ্ঠ নেতাদের মতামতের ভিত্তিতে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি পদে আবদুল আলীম ওরফে মিন্টু এবং এবং সাধারণ সম্পাদক পদে হামিদুর রহমান নির্বাচিত হন।

সম্মেলনের উদ্বোধন করেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা গোলাম মহীউদ্দীন। সম্মেলনের প্রথম পর্বে দলের সাংগঠনিক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম এবং প্রধান বক্তা ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুস সালাম।

উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অধ্যক্ষ হাবিবুর রহমানের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য দেন মানিকগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য এ এম নাঈমুর রহমান দুর্জয়, দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মো. শাহাবুদ্দিন ফরাজী, জেলা আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা এ বি এম হেলাল উদ্দিন, সহসভাপতি আবদুল মজিদ ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সুলতানুল আজম খান প্রমুখ।

বিকেলর দিকে সম্মেলনের দ্বিতীয় অধিবেশন শুরু হয়। উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি পদে চারজন এবং সাধারণ সম্পাদক পদে আটজন প্রার্থী ছিলেন। তাদের নিজেদের মধ্যে সমঝোতা করে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নাম উত্থাপনের নির্দেশনা দেন দলের জ্যেষ্ঠ নেতারা। তবে সমঝোতা না হওয়ায় উপস্থিত জ্যেষ্ঠ নেতাদের সম্মতিতে সভাপতি পদে আবদুল আলিম ও সাধারণ সম্পাদক পদে হামিদুর রহমানের নাম ঘোষণা করা হয়।

আওয়ামী লীগ   শাহাবুদ্দিন ফরাজী  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

আজ নয়াপল্টনে বিএনপির সমাবেশ

প্রকাশ: ১১:৫৭ এএম, ১০ মে, ২০২৪


Thumbnail

দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার চিকিৎসা ও নিঃশর্ত মুক্তি এবং ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারসহ কারাবন্দি নেতাদের মুক্তির দাবিতে সমাবেশ করবে বিএনপি।

শুক্রবার (১০ মে) বিকেল ৩টায় রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এ সমাবেশে অনুষ্ঠিত হবে।

বিএনপির চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইংয়ের সদস্য শামসুদ্দিন দিদার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখবেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।

দিদার বলেন, সমাবেশের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। সমাবেশ সফল করতে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপি কয়েক দফায় যৌথ সভাও করেছে।

বিএনপি নেতারা বলছেন, সরকার পতনের এক দফার আন্দোলন ও দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঠেকাতে গিয়ে নানাভাবে ক্ষতিগ্রস্ত বিএনপির নেতাকর্মীরা। গ্রেপ্তার এড়াতে কেন্দ্রীয় অসংখ্য নেতা ছিলেন আত্মগোপনে। ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের আগে ও পরে অসংখ্য নেতাকর্মী কারাগারে গেছেন। সম্প্রতি শতাধিক নেতাকর্মী কারাবন্দি হয়েছেন। গ্রেপ্তার ও আটক থেমে নেই। এরই মধ্যে শুরু হয়েছে উপজেলা নির্বাচন; কিন্তু বিএনপি এই উপজেলা নির্বাচনও বর্জন করেছে। পাশাপাশি নির্বাচনে ভোটদানে বিরত থাকতে সারা দেশে লিফলেট বিতরণসহ কর্মিসভা করছে।

বিএনপির নেতাদের দাবি, তাদের আন্দোলন শেষ হয়নি; বিরতি চলছে। হামলা-মামলায় ক্ষতিগ্রস্ত নেতাকর্মীদের উজ্জীবিত করতে নানামুখী তৎপরতা চলছে। যে কোনো সময় আন্দোলনের বড় কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে। তার আগে ধারাবাহিক কর্মসূচির মাধ্যমে নেতাকর্মীদের আরও ঐক্যবদ্ধ এবং সক্রিয় করা হবে।

এদিকে নতুনভাবে গ্রেপ্তার বন্ধ এবং কারাবন্দিদের মুক্তির দাবিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে স্মারকলিপি প্রদানের চিন্তা করছে বিএনপির হাইকমান্ড। গত বুধবার রাতে দলের স্থায়ী কমিটির সভায় এ বিষয়সহ একাধিক ইস্যুতে আলোচনা হয়েছে। তা ছাড়া আজ এবং আগামীকালের সমাবেশের পর ৩০ মে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে জুনের প্রথমার্ধ পর্যন্ত স্বাভাবিক কর্মসূচি পালন করবে বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনগুলো। এর আগে গত ১ মে শ্রমিক দিবসে বড় ধরনের শোডাউন করেছে জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দল।

উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার ১৯টি শর্তে নয়াপল্টনে বিএনপিকে সমাবেশ করার অনুমতি দিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। ডিএমপির উপপুলিশ কমিশনার (অপারেশন্স) মো. আবু ইউসুফের স্বাক্ষর করা এক চিঠিতে এই অনুমতি দেওয়া হয়।


নয়াপল্টন   বিএনপি   সমাবেশ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

যুক্তরাষ্ট্রে নিউ ইংল্যান্ড মহিলা আওয়ামী লীগ সভাপতির লাশ উদ্ধার

প্রকাশ: ১১:২১ এএম, ১০ মে, ২০২৪


Thumbnail

যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইংল্যান্ড মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নাসিম পারভীনের মরদেহ তার নিজ বাড়ি থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ।

মঙ্গলবার (৭ মে) যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাসাচুসেটস অঙ্গরাজ্যের বোস্টনের নিকটস্থ শহর ওয়েষ্ট রক্সবুরির নিজ বাড়ির দরজা ভেঙ্গে পুলিশ তার মরদেহ উদ্ধার করে। বিষয়টি সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেছেন বোস্টনের আওয়ামী লীগ নেতা ওসমান গণি।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘনিষ্ঠ বান্ধবী নাসিম পারভীন সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আব্দুল মোমেনের সাবেক স্ত্রী। দীর্ঘদিন ধরে তিনি ওই বাড়িতে একাই বসবাস করতেন।

তাদের বিবাহ বিচ্ছেদের পর তিনি ১ ছেলে ও ১ মেয়ে নিয়ে ম্যাসাচুসেটস অঙ্গরাজ্যের (বোস্টনের নিকটস্থ) ওয়েষ্ট রক্সবুরির বাড়িতে দীর্ঘদিন ধরে বসবাস করতেন। পরে ছেলেমেয়েরা চাকুরির জন্য অন্যান্য শহরে বসবাস শুরু করলে তিনি ওই বাড়িতে একাই থাকতেন।

ছেলে-মেয়েদের ব্যস্ততার কারণে মাঝে মধ্যে মায়ের সঙ্গে দেখা হতো। সর্বশেষ মায়ের সঙ্গে তাদের ফোনে কথা হয় ২রা মে বৃহস্পতিবার। এরপর অনেক চেষ্টা করেও তারা আর মাকে ফোনে পাননি। এতে তাদের সন্দেহ হলে মঙ্গলবার বিকেলে ওয়েষ্ট রক্সবুরির বাসায় গিয়ে কলিং বেল টিপে এবং দরজায় ধাক্কা দিয়ে সাড়া না দিলে পুলিশে খবর দেন তার ছেলে। পুলিশ এসে দরজা ভেঙ্গে নাসিম পারভীনের মরদেহ উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। তবে তার মৃত্যুর কারণ জানা যায়নি।

নাসিম পারভীনের দেশের বাড়ি পাবনা জেলায়। পুলিশের কাছ থেকে মরদেহ হস্তান্তরের পর তার নামাজে জানাজা ও দাফনের ব্যবস্থা করা হবে বলে স্থানীয় মুসলিম কমিউনিটির নেতারা জানিয়েছেন।


নিউ ইংল্যান্ড   মহিলা আওয়ামী লীগ   লাশ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

উপজেলা নির্বাচন: দেড় দশকের মধ্যে ভোটের হার সর্বনিম্ন

প্রকাশ: ১১:০০ এএম, ১০ মে, ২০২৪


Thumbnail

উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দেড় দশকের মধ্যে এবারের ভোটের হার সর্বনিম্ন। বিএনপির নির্বাচন বর্জনের মুখে দলীয় প্রতীক না দিয়ে প্রার্থিতা উন্মুক্ত রেখেছিল আওয়ামী লীগ। তবুও ভোটারদের উপস্থিতির হার বেশি ছিল না।

বিগত তিনটি উপজেলা নির্বাচনে ভোটের হার ধারাবাহিকভাবে কমেছে। তবে এবার ভোটের হার সবচেয়ে নিচে নেমেছে। প্রথম ধাপের নির্বাচনে ১৩৯টি উপজেলার মধ্যে ৮১টিতেই চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন নির্বাচনী এলাকার মোট ভোটারের ২০ শতাংশের কম ভোট পেয়ে।

১৫ বছর আগে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোট ক্ষমতায় আসার পর ২০০৯ সালে তৃতীয় উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে ভোট পড়েছিল ৬৮ দশমিক ৩২ শতাংশ। এরপর ২০১৪ সালে অনুষ্ঠিত চতুর্থ উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে ভোট পড়েছিল ৬১ শতাংশের মতো। আর ২০১৯ সালে প্রথমবার দলীয় প্রতীকে উপজেলা নির্বাচনে ভোটারের উপস্থিতি ছিল ৪০ দশমিক ২২ শতাংশ। এবার প্রথম ধাপে ভোটের হার ৩৬ শতাংশে নেমে এসেছে। পরপর চারটি উপজেলা নির্বাচনে ভোট কমেছে ধারবাহিকভাবে। এবার ভোটের হার সর্বনিম্ন।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটের হার কম হওয়ার বিষয় নিয়ে আলোচনা চলছিল। এমন পটভূমিতে উপজেলায় ভোটের হার আরও কম পড়েছে। ফলে নির্বাচন নিয়ে ভোটারদের অনীহার বিষয়টি নতুন করে উঠে আসলো।

নির্বাচন কমিশনের (ইসি) হিসাবে, বুধবার (৮ মে) অনুষ্ঠিত ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের প্রথম ধাপের নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ভোট পড়েছে ৩৬ দশমিক ১ শতাংশ। এর মধ্যে ইভিএমে ভোটের হার ৩১ দশমিক ৩১ শতাংশ আর ব্যালটে ৩৭ দশমিক ২২ শতাংশ। প্রসঙ্গত, ইসির হিসাবেই গত ৭ জানুয়ারির জাতীয় নির্বাচনে ভোট পড়ার হার ছিল ৪১ দশমিক ৮ শতাংশ।

বেশির ভাগ উপজেলায় খুব কম ভোট পেয়েও চেয়ারম্যান পদে বসতে যাচ্ছেন নির্বাচিত ব্যক্তিরা। প্রথম ধাপের ১৩৯টি উপজেলার মধ্যে ৮১টিতে ২০ শতাংশের কম ভোট পেয়ে যাঁরা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন, তাঁদের মধ্যে ১০ জন মোট ভোটারের ১০ শতাংশের কম ভোট পেয়েছেন। অবশ্য প্রদত্ত ভোটের হিসাবে তাঁদের ভোট পাওয়ার হার আরও বেশি। এর বাইরে দুটি উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে একক প্রার্থী বিনা ভোটে জয়ী হয়েছেন।

‘নৌকা প্রতীক’ না দেওয়ার পেছনে উপজেলা নির্বাচনকে প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক করাও অন্যতম লক্ষ্য ছিল আওয়ামী লীগের। কিন্তু সেই লক্ষ্যও পূরণ করা যায়নি। প্রথম ধাপের ৬৩টি উপজেলায় তেমন কোনো প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়নি। এসব উপজেলায় বিজয়ী প্রার্থীর সঙ্গে নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বীর ভোটের ব্যবধান ১০ হাজারের বেশি।

মাত্র ১৩টি উপজেলায় প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়েছে বেশি। এই উপজেলাগুলোতে ব্যবধান ১ হাজার ভোটের কম। ৩১টি উপজেলায় ভোটের ব্যবধান হয়েছে ৩ হাজারের কম।

সবচেয়ে বেশি ভোটের ব্যবধান হয়েছে ঢাকার কেরানীগঞ্জ উপজেলায়। সেখানে মোট ভোটার ছিলেন ৬ লাখ ১১ হাজার ৬১০ জন। ভোট পড়েছে ৩৮ দশমিক ১৮ শতাংশ। বিজয়ী প্রার্থী আওয়ামী লীগের নেতা শাহিন আহমেদ পেয়েছেন ১ লাখ ৬৬ হাজার ৮৩৬ ভোট। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আলতাব হোসেন পেয়েছেন ৬০ হাজার ২৯৩ ভোট। ভোটের ব্যবধান হয়েছে ১ লাখের বেশি।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা বলছেন, জাতীয় সংসদ বা স্থানীয় সরকারব্যবস্থার নির্বাচন—সব ধরনের ভোটেই মানুষ আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছেন। এর প্রতিফলন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর উপজেলায়ও দেখা যাচ্ছে। ভোটারের অনীহার বিষয়টি এখন আওয়ামী লীগের নেতাদেরও অনেকে স্বীকার করেন। এর কারণ কী এবং দায় কার—এ প্রশ্নে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে বিতর্ক রয়েছে। তবে নির্বাচন প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক হচ্ছে না এবং উপজেলা নির্বাচনও হয়নি—সেটিই ভোটারদের নির্বাচনবিমুখ করার অন্যতম একটি কারণ। আওয়ামী লীগ ও বিএনপি—দুই দলই তা মনে করছে।

অন্যদিকে বিএনপি দায় দিচ্ছে ক্ষমতাসীনদের ওপর। দলটি নির্দলীয় সরকারের দাবিতে দীর্ঘ সময় ধরে আন্দোলন করছে। এই দাবিতে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের পর উপজেলা নির্বাচনও বর্জন করেছে। যদিও দলের সিদ্ধান্ত অমান্য করে উপজেলা নির্বাচনে দলটির কিছু নেতা অংশ নিয়েছেন। বিএনপির নেতারা বলছেন, ভোটার উপস্থিতি কম হওয়ার পেছনে নির্বাচন নিয়ে মানুষের অনাস্থার বিষয়টি কাজ করেছে।

আওয়ামী লীগ নেতারা বিএনপির অভিযোগ মানতে রাজি নন। তারা বলছেন, এবার মোট চার ধাপে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। পরের ধাপগুলোতে ভোটার উপস্থিতি বাড়ানোর চেষ্টা তারা করবেন।

যদিও ভোটের এই হার নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। বুধবার (৮ মে) সংবাদ সম্মেলন তিনি বলেন, বিক্ষিপ্ত কিছু ঘটনা ছাড়া ভোট শান্তিপূর্ণ, সুষ্ঠু ও অবাধ হয়েছে—এ বিষয়টিকেই তাঁরা গুরুত্ব দিতে চাইছেন।

তবে নির্বাচনব্যবস্থা ও নির্বাচন কমিশনের প্রতি মানুষের অনাস্থাকেই মূল কারণ হিসেবে উল্লেখ করছেন বিশ্লেষকেরা। তারা বলছেন, ‘মানুষ শঙ্কায় থাকেন ভোট দিতে যেতে পারবেন কি না; গেলেও পছন্দ অনুযায়ী ভোট দিতে পারবেন কি না; ভোট দিলেও সেটা গণনা হবে কি না। এ অনাস্থার কারণে মানুষ এখন ভোটবিমুখ’।

সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার গণমাধ্যমকে বলেন, নির্বাচনের প্রতি মানুষের অনাস্থার প্রতিফলন এই ভোটের ফলাফল। আর এই অনাস্থার কারণে মানুষ এখন ভোটবিমুখ।


উপজেলা নির্বাচন   ভোটের হার   আওয়ামী লীগ   বিএনপি   নির্বাচন কমিশন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

মা দিবস উপলক্ষে খালেদা জিয়ার ছবি সংবলিত পোস্টার লাগিয়েছে বিএনপি

প্রকাশ: ০৮:২৪ এএম, ১০ মে, ২০২৪


Thumbnail

বিশ্ব মা দিবস উপলক্ষে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার প্রতি সম্মান জানিয়ে তার ছবি সম্বলিত একটি বড় ব্যানার টানানো হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৯ মে) রাত ১১টার দিকে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলের উদ্যোগে এ ব্যানার টানানো হয়।

মায়েদের প্রতি সম্মান জানিয়ে প্রতি বছর মে মাসের দ্বিতীয় রোববার বিশ্ব মা দিবস হিসেবে পালন করা হয়। এ বছর রোববার (১২ মে) পালিত হবে বিশ্ব মা দিবস।

দিবসটি উপলক্ষে বৃহস্পতিবার দুপুরে খালেদা জিয়ার ছবি সম্বলিত পোস্টার উন্মোচন করেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। বিএনপির নয়াপল্টন কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে আশপাশের এলাকায় পোস্টার লাগিয়ে এ কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন ওলামা দলের সাধারণ সম্পাদক আবুল হোসেন, যুবদলের সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদক মেহবুব মাসুম শান্ত, ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডা. তৌহিদুর রহমান আউয়াল, সাবেক স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা ইমতিয়াজ বকুল প্রমুখ।

বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের দেয়ালে খালেদা জিয়ার ছবি সম্বলিত পোস্টার টানান যুবদলের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মোনায়েম মুন্না।



মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

মন্ত্রী হবার অফার: মান্নার নতুন স্টান্টবাজি

প্রকাশ: ১০:০০ পিএম, ০৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

রাজনীতিতে প্রায় পরিত্যক্ত আবর্জনার ডাস্টবিনে পড়ে থাকা মাহমুদুর রহমান মান্না নিজের ওজন বাড়াতে এবং রাজনীতিতে নিজের অবস্থান জানান দেওয়ার জন্য নতুন স্টান্টবাজি গ্রহণ করেছেন। সাম্প্রতিক সময়ে তিনি দৈনিক মানবজমিন পত্রিকায় এক সাক্ষাৎকারে দাবি করেছেন, নির্বাচনের আগে মাহমুদুর রহমান মান্নাকে মন্ত্রী হওয়ার অফার দেওয়া হয়েছিল এবং তিনি সেই প্রস্তাব গ্রহণ করেননি। 

বাংলা ইনসাইডারের নিজস্ব অনুসন্ধানে দেখা গেছে, মাহমুদুর রহমান মান্না ডাহা মিথ্যা কথা বলেছেন। শুধু মিথ্যা কথাই নয়, পুরো ঘটনাটা ছিল উল্টা। আমরা যদি নির্বাচনকালীন সময়ে বিশেষ করে ২৮ অক্টোবর থেকে ৭ জানুয়ারি পর্যন্ত ঘটনা প্রবাহ বিশ্লেষণ করি তখন সেই সময় দেখব মাহমুদুর রহমান মান্নাকে নিয়ে একাধিক জাতীয় দৈনিকে বেশ কিছু রহস্যময় প্রতিবেদন প্রকাশিত হচ্ছে। ২৮ অক্টোবরের পর থেকে হঠাৎ করেই পর্দার আড়ালে চলে যান মাহমুদুর রহমান মান্না। বিএনপি নেতারাও তাকে খুঁজে পাননি। যুগপৎ কর্মসূচির জন্য তাকে অনুরোধ জানানো হলেও তাদের ডাকে মান্না সাড়া দেননি। এসময় গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়েছিল যে মাহমুদুর রহমান মান্না নির্বাচনে যাবেন এবং নির্বাচনে যাওয়ার জন্য তিনি জোট করছেন না। আর এই রকম জোটের জন্য তিনি সরকারের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকাও দাবি করেছিলেন। 

মাহমুদুর রহমান মান্নার সঙ্গে কথা বলেছিলেন এরকম একজন কর্মকর্তা বাংলা ইনসাইডারকে থেকে নিশ্চিত করেছেন যে, মাহমুদুর রহমান মান্নার সঙ্গে সরকারের পক্ষ থেকে বা সরকারের কোন সংস্থা যোগাযোগ করেননি। বরং মান্নাই উপযাচক হয়ে তিনশ আসনে নির্বাচন করার জন্য প্রস্তাব দিয়েছিলেন এবং এজন্য তিনি তিনশ কোটি টাকার একটি বাজেটও চেয়েছিলেন। কিন্তু মাহমুদুর রহমান মান্নার এই প্রস্তাব যখন আওয়ামী লীগের নীতি নির্ধারক মহলকে দেওয়া হয় তখন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই প্রস্তাব নাকচ করে দেন। 

প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, মাহমুদুর রহমান মান্নাকে দিয়ে ভোটের রাজনীতি হবে না। তাকে এই মুহূর্তে দরকার নেই। সে যদি নির্বাচন করতে চায় তাহলে নিজ দায়িত্বে নির্বাচন করুক। আর এখানেই মাহমুদুর রহমান মান্নার অধ্যায়ের সমাপ্তি ঘটে। 

বিশ্লেষকরা বলছেন, যদি সত্যি সত্যি মাহমুদুর রহমানকে প্রস্তাব দেওয়া হত তাহলে মাহমুদুর রহমান মান্না কেন সেই সময়ে সেটি প্রকাশ করলেন না। মাহমুদুর রহমান মান্না কেন ২৮ অক্টোবরের পর ঘরে বসেছিলেন এবং তাকে নিয়ে যে গুঞ্জন হয়েছিল, সেই গুঞ্জনে জবাব তিনি দেননি। 

মূল বিষয় হলো মান্না ওই সময় সরকারের সঙ্গে গোপন আঁতাত করেছিলেন নিজ উদ্যোগে। এই সময়ে যারা যারা নির্বাচনে গেছেন বা আওয়ামী লীগে যোগদান করেছেন, তারা প্রত্যেকেই নিজ উদ্যোগে সরকারের সঙ্গে আপোষ সমঝোতা করতে চেয়েছেন। এই সময় জেনারেল ইবরাহিম নির্বাচনে যাওয়ার ঘোষণা দেন এবং ইবরাহিম এর এই ঘোষণার বিষয়টি মাহমুদুর রহমান মান্না জানতেন বলে নিশ্চিত তথ্য পাওয়া গেছে। 

মাহমুদুর রহমান মান্নাই জেনারেল ইবরাহিমকে আশ্বস্ত করেছিলেন যে, আপনি যান। আমরা পরিস্থিতি দেখি, তারপর কী করা যায়। ভাববো। মাহমুদুর রহমান মান্না হলেন সেই পঁচা বামদের একজন যিনি বারবার ভোল পাল্টিয়েছেন, মিথ্যার আশ্রয় নিয়েছেন এবং পর্দার আড়ালে থেকে অনৈতিক সুবিধা আদায় করেছেন।

আওয়ামী লীগের সঙ্গে নির্বাচনের আগে এরকম একটি অনৈতিক সুবিধা আদায়ের চেষ্টা করেই তিনি ব্যর্থ হয়েছিলেন। আর এটি বিএনপির নেতারা ভালো করেই জানেন। আর এজন্যই নির্বাচনের পর মাহমুদুর রহমান মান্নাকে বিএনপি এড়িয়ে যাচ্ছে। বিএনপিতেও এখন তাঁর আগের কদর নেই। রাজনীতিতে তিনি এখন আবর্জনা হিসেবে পরিগণিত হচ্ছেন। আর এরকম উদ্বাস্তু জীবন থেকে নিজের দাম একটু বাড়ানোর জন্যই মাহমুদুর রহমান মান্না মন্ত্রিত্বের স্টান্টবাজি করছেন বলে একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র নিশ্চিত করেছে।




মাহমুদুর রহমান মান্না  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন