বগুড়া
জেলা বিএনপির সভাপতি পদে নির্বাচিত হয়েছেন রেজাউল করিম বাদশা। সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচিত
হয়েছেন আলী আজগর তালুকদার হেনা। বুধবার রাত ১০টার দিকে ওই দুটি পদের ভোট গণনা সম্পন্ন
হয়।
তবে
সাংগঠনিক সম্পাদকের তিনটি পদের ফল এখনো প্রকাশ করা হয়নি।
বিএনপির
নেতৃত্ব নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তার দায়িত্ব পালনকারী আজগর আলী বলেন, সভাপতি এবং
সাধারণ সম্পাদক পদে ভোট গণনা শেষ হয়েছে। তবে সাংগঠনিক সম্পাদক পদের গণনা শেষ না হওয়া
পর্যন্ত চূড়ান্ত ফল ঘোষণা করা সম্ভব হচ্ছে না। সব পদে ভোট গণনা শেষ হলে এক সঙ্গে ফল
ঘোষণা করা হবে।
রিটার্নিং
কর্মকর্তার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, সভাপতি পদে রেজাউল করিম বাদশা পেয়েছেন ১ হাজার ১৫৩
ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সাবেক সভাপতি ভিপি সাইফুল ইসলাম পেয়েছেন ৯১৩ ভোট। সাধারণ
সম্পাদক পদে এম আলী আজগর তালুকদার হেনা পেয়েছেন ১ হাজার ৯৪ ভোট। তার একমাত্র নিকটতম
প্রতিদ্বন্দ্বী এমআর ইসলাম স্বাধীন পেয়েছেন ১ হাজার ৬৬ ভোট। নির্বাচনে ২ হাজার ২২২
ভোটারের মধ্যে ৯৭ দশমিক ৪৭ শতাংশ বা ২ হাজার ১৬৬ জন তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন।
এর
আগে বুধবার দুপুর ১২টায় শহীদ টিটু মিলনায়তনে বগুড়া জেলা বিএনপির সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
দীর্ঘ ১১ বছর পর অনুষ্ঠিত সম্মেলনের দ্বিতীয় পর্বে দুপুর ২টায় গোপন ব্যালটে নেতৃত্ব
নির্বাচন শুরু হয়।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
১৪ দল আওয়ামী লীগ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
মন্তব্য করুন
ওবায়দুল কাদের আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক
মন্তব্য করুন
বিএনপি ধর্মঘট রাজনীতির খবর তারেক জিয়া
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগ উপজেলা নির্বাচন কার্যনির্বাহী কমিটি ওবায়দুল কাদের রাজনীতির খবর
মন্তব্য করুন
ওবায়দুল কাদের বেশ কদিন ধরে দাপটে ছিলেন। তিনি প্রতিদিন সংবাদ সম্মেলন করতেন এবং উপজেলা নির্বাচন নিয়ে কঠোর সতর্কবার্তা জারি করতেন। বিশেষ করে উপজেলা নির্বাচনে আত্মীয় স্বজনরা যেন প্রার্থী না হয় সে ব্যাপারে তিনি কঠোর হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছিলেন এবং যারা দলের সিদ্ধান্ত মানবেন না তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য তিনি ঘোষণা দিয়েছিলেন।
বিএনপি এখন দিশেহারা দিগ্বিদিকহীন একটি রাজনৈতিক দল। দলটি কী করছে, কী বলছে সে সম্পর্কে তাদের নিজেদেরই যেন কোন হিসেব নেই। গত ২ দিন ধরে বিএনপির নেতারা এক নৈব্যক্তিক অবস্থায় আছেন। তারা কেউই কোন কথা বলছেন না। দলের রুটিন কার্যক্রম অর্থাৎ সভা সমাবেশ ছাড়া দলের নেতাদেরকে আগ্রহ নিয়ে কোনো তৎপরতা চালাতে দেখা যাচ্ছে না।
মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয় স্বজনরা নির্বাচন করতে পারবে না- এই অবস্থান থেকে শেষ পর্যন্ত আওয়ামী লীগ পিছু হঠেছে। আজ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সংবাদ সম্মেলনে দেওয়া বক্তব্য থেকে স্পষ্ট প্রতীয়মান হয়েছে যে, যারা দলের সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করে এ ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে অর্থাৎ নিজেদের আত্মীয় স্বজনদের উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী করেছেন তাদের আপাতত কিছু হচ্ছে না। অথচ ক’দিন আগেও দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এ ব্যাপারে কঠোর অবস্থান গ্রহণ করেছিলেন। তিনি বারবার নির্দেশনা দিচ্ছিলেন এবং যারা এই দলীয় সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করবে তাদের বিরুদ্ধে দলের কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলেও তিনি জানিয়েছিলেন। কিন্তু আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠকে এ বিষয়ে কোন সিদ্ধান্ত হয়নি। আজ আওয়ামী লীগ সভাপতি এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকেও তাদের ব্যাপারে নমনীয় মনে হয়েছে।