ইনসাইড পলিটিক্স

বিএনপির আন্দোলন: আওয়ামী লীগের ৪ কৌশল

প্রকাশ: ১০:০০ পিএম, ১১ নভেম্বর, ২০২২


Thumbnail

আগামীকাল ফরিদপুরে মহাসমাবেশ করছে বিএনপি। বিএনপি তাঁর সাংগঠনিক বিভাগগুলোতে প্রতি সপ্তাহে শনিবার করে একটি মহাসমাবেশ করছে। এই মহাসমাবেশ গুলোকে ঘিরে রাজনৈতিক পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠছে। বিশেষ করে মহাসমাবেশের আগে ওই এলাকায় গণপরিবহন বন্ধ হয়ে যাওয়ার বিষয়টিকে বিভিন্ন মহল রাজনৈতিক কৌশল হিসেবে মনে করছেন। মহাসমাবেশে যেন লোকসমাগম কম হয় সেই রকম একটি পরিস্থিতি সৃষ্টি করার জন্য সরকারের উদ্যোগেই গণপরিবহনে ধর্মঘট ডাকা হচ্ছে বলে কেউ কেউ অভিযোগ করেছেন। যদিও সরকারের পক্ষ থেকে এই বক্তব্য অস্বীকার করা হয়েছে। বরং সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে যে, বিএনপি অতীতে অগ্নিসংযোগ করেছে, গাড়িতে আগুন লাগিয়েছে। এ কারণেই গণপরিবহনের মালিক-শ্রমিকরা নিরাপত্তাহীনতা এবং জীবননাশের হুমকি অনুভব করেন। আর এ কারণেই তারা বিএনপির এসমস্ত সমাবেশের আগে ধর্মঘট করেন। যদিও বলা হচ্ছে যে, নসিমন-করিমন মহাসড়কে চলার প্রতিবাদে তারা ধর্মঘট গুলো করছে। কিন্তু আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে ধর্মঘটের এরকম ব্যাখ্যাও দেয়া হচ্ছে। যে ব্যাখ্যা দেওয়া হোক না কেন এই সমস্ত ধর্মঘটে মহাসমাবেশের উপর খুব একটা প্রভাব পড়ছে না। বিভিন্ন মহাসমাবেশ গুলোতে দেখা যাচ্ছে যে, আগে থেকেই লোকরা সেখানে জমায়েত হচ্ছে এবং বিএনপি ১৪ বছরের মধ্যে প্রথম বিভিন্ন জায়গায় সফলভাবে মহাসমাবেশ করে কিছুটা উজ্জীবিত। তবে বিএনপি উজ্জীবিত হলেও বিএনপির এই সমস্ত কর্মসূচি নিয়ে আওয়ামী লীগ এখন পর্যন্ত উদ্বিগ্ন নয়। আওয়ামী লীগ বরং এই সমস্ত মহাসমাবেশকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে গ্রহণ করেছে। আওয়ামী লীগের একাধিক নেতার সাথে কথা বলে দেখা গেছে যে, তারা মনে করছেন বিএনপির আন্দোলন নিয়ে আওয়ামী লীগ মোটেও উদ্বিগ্ন নয়। বরং আওয়ামী লীগ মনে করে যে, এই সমস্ত আন্দোলনের ফলে বিএনপি শেষ পর্যন্ত নির্বাচনে আসবে। বিএনপির আন্দোলন ঠেকাতে আওয়ামী লীগের পাঁচটি কৌশল ক্রমশ দৃশ্যমান হচ্ছে। এই কৌশলগুলোর মধ্যে রয়েছে-

১. আওয়ামী লীগের শোডাউন: যখন বিএনপি বিভিন্ন জায়গায় সমাবেশ করে নিজেদের জনসমর্থনের কথা জানান দিচ্ছে আওয়ামী লীগ সেই সময় তার সাংগঠনিক শক্তি প্রদর্শন করছে। আজ যেমন ঢাকায় যুবলীগের মহাসমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়ে গেল। এই মহাসমাবেশ ছিল জাঁকজমকপূর্ণ এবং জনসমাবেশের দিক থেকে বিএনপির মহাসমাবেশ গুলোর তুলনায় আকর্ষণীয়। এরকম সমাবেশ আওয়ামী লীগ আরও করবে। আওয়ামী লীগের নেতারা বলছেন, ডিসেম্বরজুড়ে আওয়ামী লীগের বিভিন্ন সাংগঠনিক কর্মসূচি রয়েছে। বিভিন্ন অঙ্গ-সহযোগী এবং ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনগুলোর সম্মেলন রয়েছে। এই সমস্ত সম্মেলনের মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগ বড় ধরনের শোডাউন করবে। জনগণ শুধু বিএনপির পক্ষে আছে এমনটি মনে করার কোনো কারণ নেই। আওয়ামী লীগের পক্ষেও আছে, এটিও আওয়ামী লীগ দৃশ্যমান করতে চায়।

২. বিএনপির সমালোচনা: আওয়ামী লীগ এখন বিএনপির সমালোচনা ইস্যুগুলোকে গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু হিসেবে সামনে আনছে। ক'দিন আগেই বিএনপির ২০১৩-১৪ সালের অগ্নি সন্ত্রাসে আহত-নিহতদের নিয়ে এক আবেগঘন অনুষ্ঠান হয়ে গেল যে অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী উপস্থিত ছিলেন। তাছাড়াও আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে বিএনপির আমলে যে সমস্ত অনিয়ম-দুর্নীতি হয়েছে, হাওয়া ভবনের মাধ্যমে যে লুটপাট হয়েছে সেগুলো তুলে ধরার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এই পাল্টা প্রচারণা জনগণকে ২০০১ থেকে ২০০৬ সালের দুঃশাসনের কথা মনে করিয়ে দেবে বলেই আওয়ামী লীগের নেতারা মনে করছেন।

৩. পুরনো মামলাগুলোকে সচল করা: আওয়ামী লীগ সরকারের উদ্যোগে বিএনপির বিভিন্ন নেতার বিরুদ্ধে অগ্নি সন্ত্রাস-নাশকতাসহ বিভিন্ন রকম অপরাধের মামলা গুলোকে আবার পুনরুজ্জীবিত করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। যারা এই সমস্ত মামলায় জড়িত তাদেরকে আবার নতুন করে গ্রেফতার করার ক্ষেত্রে অভিযান চলছে। এই সমস্ত অভিযান এবং গ্রেপ্তারের ঘটনাগুলোতে বিএনপি চাপে পড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

৪. বেগম জিয়া এবং তারেক জিয়া: আওয়ামী লীগের স্বস্তির সবচেয়ে বড় কারণ হলো তাদের শীর্ষ প্রধান দুই নেতা অকার্যকর। বেগম খালেদা জিয়া দুটি মামলায় দণ্ডিত হয়েছেন। সরকারের অনুকম্পায় তিনি এখন ফিরোজায় থাকছেন। প্রধানমন্ত্রী সরাসরি বলেছেন, বিএনপি যদি বাড়াবাড়ি করে তাহলে বেগম খালেদা জিয়াকে আবার জেলে পাঠিয়ে দেবেন। অন্যদিকে তারেক জিয়ার আপাতত বাংলাদেশে আসার কোনো সম্ভাবনা নেই। এই দুই নেতার নাজুক অবস্থাই সরকারের জন্য সবচেয়ে বড় প্লাস পয়েন্ট বলে আওয়ামী লীগের নেতারা মনে করছেন।

এ সমস্ত কারণে আওয়ামী লীগ বিএনপির আন্দোলনে ভীত নয়। বরং আন্দোলন যত তীব্র হবে তত বিএনপির ওপরই পাল্টা চাপ পড়বে বলে তারা মনে করছেন। এর ফলে শেষ পর্যন্ত বিএনপি নির্বাচনমুখী হতে বাধ্য হবে বলেই আওয়ামী লীগের নীতি-নির্ধারকদের ধারণা।


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

আওয়ামী লীগের শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশ আজ

প্রকাশ: ০৮:২৩ এএম, ১১ মে, ২০২৪


Thumbnail

আওয়ামী লীগের শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে আজ শনিবার। বিকেল সাড়ে ৩টায় মোহাম্মদপুর আড়ংয়ের সামনে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। শুক্রবার (১০ মে) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে দলের এক যৌথ সভার শুরুতে এ কথা জানান দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

ওবায়দুল কাদের বলেন, অনেকে বলে আমরা পাল্টাপাল্টি সমাবেশ করছি, আসলে আমরা কোনো সমাবেশ করছি না। আজ আমরা এখানে যৌথসভা করছি। আগামীকাল শনিবার আমাদের মন্ত্রিসভার সদস্য, আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানকের সংসদীয় এলাকায় আমরা একটি শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশ করব। সেখানে সবাইকে আমন্ত্রণ জানাচ্ছি।

এর আগে দলের দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়ার সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আওয়ামী লীগের নেতাদের সঙ্গে ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণ ও ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ এবং সব সহযোগী সংগঠনের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকদের যৌথসভা আজ শুক্রবার (১০ মে) অনুষ্ঠিত হয়।


আওয়ামী লীগ   শান্তি সমাবেশ   ওবায়দুল কাদের  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

কর্মীদের দাবি রিজভী, তারেকের পছন্দ খসরু

প্রকাশ: ১০:০০ পিএম, ১০ মে, ২০২৪


Thumbnail

বিএনপিতে নতুন মহাসচিব নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। লন্ডনে পলাতক বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়া বিভিন্ন জেলার স্থানীয় পর্যায়ের নেতাদের সঙ্গে নৈশ বৈঠকের আয়োজন করছেন। এ পর্যন্ত নোয়াখালী, কুমিল্লা, সিলেট, বরিশালসহ অন্তত দশটি জেলায় এই ধরনের জুম বৈঠক আয়োজন করা হয়েছে। যে বৈঠকগুলোতে লন্ডনে পলাতক তারেক জিয়া সরাসরি তৃণমূলের নেতাকর্মীদের সঙ্গে কথা বলছেন। তৃণমূলের নেতাকর্মী ছাড়াও ছাত্রদল, যুবদল, কৃষক দলের মতো বিভিন্ন অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের স্থানীয় পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ তারেক জিয়ার সঙ্গে কথা বলছেন। 

নোয়াখালীতে এ রকম বৈঠকের আয়োজন করা হয়েছে, যেখানে প্রজেক্টরের মাধ্যমে তারেক জিয়া সরাসরি কর্মীদের সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন এবং তাদের মতামত দিয়েছেন। এই সমস্ত মতামতে দল পুনর্গঠন, নতুন নেতৃত্ব ইত্যাদি বিষয় নিয়ে তারেক জিয়া দলের নেতৃবৃন্দের খোলাখুলি মতামত জানতে চান। আর এই খোলাখুলি মতামতে যদি মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর মহাসচিব না থাকেন তাহলে কাকে মহাসচিব করা যেতে পারে সেই প্রশ্নটি উত্থাপন করেন।

জানা গেছে, অধিকাংশ তৃণমূলের কর্মীরা তাদের পছন্দের কথা জানাতে প্রথমে অস্বস্তি প্রকাশ করেন। পরবর্তীতে তারেক তাদেরকে আশ্বস্ত করেন যে, এই বৈঠকের খবর বাইরে প্রকাশিত হবে না এবং বৈঠকে উপস্থিত নেতৃবৃন্দকেও সতর্ক করা হয় তারা যেন এই বৈঠকের বিষয়টি দলের কেন্দ্রীয় নেতা বা সিনিয়রদের সঙ্গে আলোচনা না করে। এরপর এই বৈঠকে মতামত প্রকাশের জন্য সবাইকে স্বাগত জানানো হয়। এই সব বৈঠকে বিভিন্ন জেলার অধিকাংশ কর্মীরা দলের পরবর্তী মহাসচিব হিসেবে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর নাম উচ্চারণ করেছেন। তার পেছনে বিএনপির নেতাকর্মীরা যুক্তি দেখিয়েছেন, তিনি নিবেদিতপ্রাণ ত্যাগী। কর্মীদের কাছে তিনি শ্রদ্ধার আসনে আসীন। তাছাড়া সব সংকটেই তাকে সাহসী ভাবে দেখা যায়। এ কারণে রিজভীর মহাসচিব হওয়া উচিত বলে অনেকে মনে করছেন। 

তবে বেশ কিছু স্থানীয় পর্যায়ের নেতা মনে করেন যে, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সবচেয়ে যোগ্য ব্যক্তি। এখন পর্যন্ত তাঁর কোনো বিকল্প নেই। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর দলের মহাসচিব থেকে সরে গেলে দলের জন্য সমস্যা হবে বলেও তারা অভিমত ব্যক্ত করেছেন। 

তারেক জিয়া উপযাচক হয়ে কয়েকটি বৈঠকে আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী যদি বিএনপির মহাসচিব হয় তাহলে সেটি কেমন হয়- এই প্রশ্নটা জিজ্ঞেস করছেন। এর উত্তরে স্থানীয় পর্যায়ের কিছু নেতা নীরবতা অবলম্বন করেছেন। অনেকে নেতিবাচক মন্তব্য করেছেন। খুব অল্প সংখ্যক ব্যক্তি আমীর খসরু মাহমুদকে ইতিবাচকভাবে দেখেছেন। তবে বিএনপির অধিকাংশ তৃণমূলের নেতারাই মনে করছেন যে, তারেক জিয়া যদি নেতৃত্বে থাকেন তাহলে কে মহাসচিব হলেন সেটি বড় বিষয় নয়। তারা জিয়া পরিবারের বাইরে যেন নেতৃত্ব না যায় সে ব্যাপারেও তারেক জিয়ার কাছে অনুরোধ করেছেন।

বিভিন্ন সূত্রগুলো বলছে, মির্জা ফখরুল মহাসচিব হিসেবে থাকতে চান না। তিনি কয়েক দফা এই বিষয়টি নিয়ে তারেক জিয়ার সঙ্গে কথা বলেছেন। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এখন এমন একটি অবস্থানে গেছেন শেষ পর্যন্ত যদি তাতে মহাসচিব পদে রাখার জন্য বাধ্য করা হয় তাহলে তিনি পদত্যাগ করতে পারেন বলেও ধারণা করা হচ্ছে। তাছাড়া ইদানিং তিনি দলের কার্যক্রম থেকে নিজেকে গুটিয়ে নিয়েছেন। এ রকম অবস্থায় নতুন মহাসচিব অনুসন্ধানের অংশ হিসেবে তারেক জিয়া বিভিন্ন জেলায় বৈঠক করছেন বলে অনেকের ধারণা।

বিএনপি   আমির খসরু   মির্জা ফখরুল   রুহুল কবির রিজভী  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

আওয়ামী লীগের শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশ শনিবার

প্রকাশ: ০৮:৫২ পিএম, ১০ মে, ২০২৪


Thumbnail

আওয়ামী লীগের শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে শনিবার (১১ মে)। বিকেল সাড়ে ৩টায় মোহাম্মদপুর আড়ংয়ের সামনে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে।

শুক্রবার (১০ মে) বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলের এক যৌথসভায় দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এ কথা জানান।

তিনি বলেন, অনেকে বলে আমরা পাল্টাপাল্টি সমাবেশ করছি, আসলে আমরা কোনো সমাবেশ করছি না। আজকে আমরা এখানে যৌথসভা করছি। আগামীকাল শনিবার আমাদের মন্ত্রিসভার সদস্য আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানকের সংসদীয় এলাকায় আমরা একটি শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশ করব। সেখানে আজকের সকলকে আমন্ত্রণ জানাচ্ছি।

এর আগে, দলের দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়ার সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আওয়ামী লীগের নেতাদের সঙ্গে ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণ ও ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ এবং সব সহযোগী সংগঠনের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকদের যৌথসভা আজ (১০ মে) অনুষ্ঠিত হয়।

আওয়ামী লীগ   শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

সূচনা বক্তব্যেই শেষ হলো আওয়ামী লীগের যৌথ সভা!

প্রকাশ: ০৭:২৬ পিএম, ১০ মে, ২০২৪


Thumbnail

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ, উত্তর, সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনকে দলের কর্মসূচি অবহিত করতে যৌথ সভা ডেকেছিল ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ। তবে সেই যৌথ সভা সূচনা বক্তব্যেই শেষ হয়ে যায়।

শুক্রবার (১০ মে) বিকেলে বঙ্গবন্ধু এভিনিউর আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে এ যৌথ সভা ডাকা হয়। সেখানে উপস্থিত ছিলেন দলের কেন্দ্রীয় নেতারা, ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণ ও ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ এবং সব সহযোগী সংগঠনের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকরা।


জানা যায়, আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ৪টা ১২ মিনিটে সূচনা বক্তব্য শুরু করে প্রায় ৩৬ মিনিট বক্তব্য রাখেন। বক্তব্যের শেষ পর্যায়ে সাধারণ সম্পাদক দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ড. রাজ্জাক ও জাহাঙ্গীর কবির নানককে উদ্দেশ্য করে বলেন, আর কেউ কিছু বলবেন? বলেন... এসময় আওয়ামী লীগের এই দুই সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ‘না’ বলেন। এর মধ্য দিয়ে শেষ হয়ে যায় যৌথ সভা। পরে কেন্দ্রীয় নেতারা কার্যালয় থেকে বের হয়ে যান। আর সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের কার্যালয়ে নিজ অফিসে চলে যান।


যৌথ সভায় উপস্থিত ছিলেন- আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ছাড়াও সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ড. আব্দুর রাজ্জাক, মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, অ্যাড. কামরুল ইসলাম, জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ, মাহবুবউল আলম হানিফ, ডা. দীপু মনি, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, বিএম মোজাম্মেল হক, মির্জা আজম, আফজাল হোসেন, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক মৃণাল কান্তি দাশ, আইন বিষয় সম্পাদক নাজিবুল্লাহ হিরু প্রমুখ।

আওয়ামী লীগ   যৌথ সভা  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

বাংলাদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব ভারতের কাঁটাতারে ঝুলছে: গয়েশ্বর

প্রকাশ: ০৭:০২ পিএম, ১০ মে, ২০২৪


Thumbnail

ফেলানীর মতো বাংলাদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব ভারতের কাঁটাতারে ঝুলছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।

শুক্রবার (১০ মে) বিকেলে রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এক সমাবেশে তিনি এ মন্তব্য করেন।

গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ওবায়দুল কাদের বলেছিলেন সারাবিশ্বের মানুষ ষড়যন্ত্র করছিল, তখন ভারত যদি আমাদের পাশে না থাকত এই নির্বাচন করতে পারতাম না। তার মানে আওয়ামী লীগের কাছে গণতন্ত্র হচ্ছে অব দ্য ভারত, বাই দ্য ভারত, ফর দ্য ভারত। এর বেশি কিছু বলে মনে হয় না।

বাংলাদেশ আজ কাঁটাতারে ঝুলছে দাবি করে তিনি বলেন, অনেক বছর আগে প্রতীক ছিল ফেলানী। ফেলানী যেমন কাঁটাতারে ঝুলছিল, আজ বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব কাঁটাতারে ঝুলছে।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির এ সদস্য বলেন, অনেকে বলেন শেখ হাসিনার জনসমর্থন শূন্যের কোটায়। পায়ের নিচে মাটি নেই। আসলে তো মাটি নেই। উনি তো পাথরের ওপর হাঁটেন। সাধারণ মর্ম তিনি বোঝেন না।

এসময় প্রধানমন্ত্রীর জনসমর্থনের দরকার নেই বলে মন্তব্য করেন গয়েশ্বর। আওয়ামী লীগ জোড়াতালির সরকার মন্তব্য করে তিনি বলেন, এদের ক্ষমতায় বসিয়ে রাখলে বছরের পর বছর মিছিল করবেন, মিটিং করবেন, লাখ লাখ লোক হবে, কিন্তু তার (শেখ হাসিনা) জায়গায় সে থাকবে।

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আব্দুস সালামের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য দেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। আরও উপস্থিত ছিলেন দলের যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, সাংগঠনিক সম্পাদক এমরান সালেহ প্রিন্স, আব্দুস সালাম আজাদ, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী প্রমুখ।

সমাবেশে নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় সামনে থেকে মিছিল বের করে নাইটেঙ্গেল মোড় ঘুরে ফকিরাপুল হয়ে আবার নয়াপল্টনে এসে শেষ হয়।

গয়েশ্বর চন্দ্র রায়   বিএনপি  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন