ইনসাইড পলিটিক্স

লজ্জা থাকলে পদ্মা সেতুতে ওঠার আগে বিএনপি নেতারা ক্ষমা চাইতেন: তথ্যমন্ত্রী

প্রকাশ: ০৭:১০ পিএম, ১৪ নভেম্বর, ২০২২


Thumbnail

পদ্মা সেতুর বিরুদ্ধে চরম অপপ্রচারকারী বিএনপি নেতাদের লজ্জা থাকলে তারা সেতুতে ওঠার আগে প্রধানমন্ত্রী ও জাতির কাছে ক্ষমা চাইতেন বলেছেন তথ্যমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।

মিশরে বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রীর প্রতিনিধি হিসেবে যোগদান শেষে সোমবার সকালে দেশে ফিরেই দুপুরে সচিবালয়ে সমসাময়িক বিষয় নিয়ে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় করেন মন্ত্রী হাছান মাহমুদ। এ সময় সাংবাদিকরা ‘বিএনপি নেতারা পদ্মা সেতু দিয়ে ফরিদপুরের সমাবেশে যাওয়া আসা করেছেন’ এ বিষয়ে প্রশ্ন করলে তিনি এ কথা বলেন।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, অবশ্যই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আওয়ামী  লীগ সরকার সবার জন্যই পদ্মা সেতু নির্মাণ করেছে। কিন্তু মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেবদের আসলে লজ্জা নেই। লজ্জা যদি থাকতো তাদের বলা উচিত ছিল- পদ্মা সেতুতে ওঠার আগে আমরা যে এ নিয়ে অপপ্রচার করেছি সেজন্য জাতির কাছে, জননেত্রী শেখ হাসিনার কাছে ক্ষমাপ্রার্থী। লজ্জা-শরম নেই তো, সে জন্য তারা চুপিসারে পদ্মা সেতুর ওপর দিয়ে যাওয়া আসা করেছেন।

পদ্মা সেতু ও হার্ডিঞ্জ ব্রিজ নির্মাণের তুলনামূলক খরচের হিসাবটা মন্ত্রী নিজে পার্লামেন্টে দিয়েছিলেন উল্লেখ করে ড. হাছান বলেন, খরচের তুলনামূলক হিসাবটা ধরা হয় স্বর্ণের মূল্য দিয়ে। কারণ টাকার মূল্যমান বা ডলারের মূল্যমান স্ট্যাটিক নয়, কিন্তু স্বর্ণের মূল্যমান স্ট্যাটিক। সেই হিসেবে, হার্ডিঞ্জ  ব্রিজের তুলনায় পাঁচ ভাগের এক ভাগ টাকা খরচ হয়েছে পদ্মা সেতুতে।

বিএনপির সরকার পতনের আন্দোলন নিয়ে প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ বলেন, ‘প্রথমত বিএনপি তো আজকে প্রায় ১৪ বছর ধরেই বলে আসছে সরকারের পতন ঘটাবে এবং পতন না ঘটিয়ে তারা ঘরে ফিরে যাবে না। অথচ প্রত্যেক সমাবেশের শেষে তারা ঘরেই ফিরে যায়। কারণ জনগণ তাদের কাছ থেকে সরে গেছে। তারা যতই আন্দোলন করছে, তাতে আমাদের একটা লাভ হচ্ছে- আমাদের কর্মীরা চাঙ্গা হচ্ছে এবং অপশক্তিকে মোকাবিলা করার জন্য প্রস্তুত হচ্ছে।’

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের একটা গুণ হচ্ছে, কেউ যদি খোঁচা দেয় আওয়ামী লীগের কর্মীরা তখন ঐক্যবদ্ধ হয়, উজ্জীবিত হয়। সেটিরই বহি:প্রকাশ আপনারা দেখেছেন যে যুবলীগের সম্মেলনে লাখ লাখ যুবকের সমাবেশ হয়েছে। তাদের মতো এতো হাঁকডাক দেয়নি। আর এটি আওয়ামী লীগের নয়, যুবলীগের সমাবেশ, তাতেই লাখ লাখ যুবকের সমাবেশ ঘটেছে।

বিএনপি মহাসচিব সরকারের বিরুদ্ধে মেগা প্রকল্প থেকে বিধবা ভাতা পর্যন্ত চুরির অভিযোগ এনেছেন, এ বিষয়ে প্রশ্ন করলে মন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি পরপর পাঁচবার বাংলাদেশকে দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন বানিয়েছিল, চারবার এককভাবে আর একবার যুগ্ম চ্যাম্পিয়ন। যার বিশ্বচোর তারা সবকিছুতেই চুরির গন্ধ খোঁজে। বিএনপি যখন ক্ষমতায় ছিল, তখন তো হাওয়া ভবন বানিয়ে সব ব্যবসায় টোল বসিয়ে চাঁদাবাজি করেছিল। মির্জা ফখরুল সাহেব কয়েক দিন আগে বলেছেন যে, সরকারের পতন হলে তারেক জিয়ার নেতৃত্বে জাতীয় সরকার হবে। অর্থাৎ হাওয়া ভবনের বিশ্বচোর আবার বাংলাদেশে আসবে এবং তার নেতৃত্বেই তারা জাতীয় সরকার গঠন করতে চায়। দেশের মানুষ এটা কখনো মেনে নেবে না।’

বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলনের ওপর আলোকপাত করতে গিয়ে তথ্যমন্ত্রী ও পরিবেশবিদ ড. হাছান মাহমুদ বলেন, উন্নত দেশগুলো বলেছে গত বছর তারা জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাত মোকাবিলার আন্তর্জাতিক তহবিলে ৮২ বিলিয়ন ডলার দিয়েছে। এর মধ্যে একটা বিরাট শুভংকরের ফাঁকি আছে। কারণ বিশ্ব জলবায়ু অর্থায়নের বিষয়ে প্যারিস চুক্তিতে স্পষ্ট লেখা আছে যে ‘ইন এডিশন টু প্রেজেন্ট ওডিএ (ওভারসিজ ডিভালপমেন্ট এসিস্ট্যান্স)’। অর্থাৎ বর্তমানে উন্নত বিশ্ব যে ওভারসিজ ডিভালপমেন্ট এসিস্ট্যান্স দেয়, সেই অর্থ এই তহবিলে যুক্ত বলে গণ্য হবে না। জলবায়ু তহবিলে এর অতিরিক্ত অর্থ দিতে হবে। কিন্তু তারা বর্তমান ওডিএ’র অর্থায়নকেও যুক্ত করে গত বছর উন্নয়নশীল দেশগুলোকে ৮২ বিলিয়ন ডলার দিয়েছে বলে একটি হিসাব দাঁড় করিয়েছে। এর সাথে আমরা একমত নই।

এই বিষয়গুলোই সেখানে আলোচিত হচ্ছে এবং এখনো চলমান সম্মেলনের শেষের দিকেই ঐক্যমত বা সমঝোতা বা রোডম্যাপগুলো হয় জানিয়ে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘রাজনৈতিক কর্মসূচির জন্য আমি দেশে ফিরে এলেও সেখানে আমাদের পরিবেশমন্ত্রী আছেন, পররাষ্ট্রমন্ত্রীও গতকাল গেছেন। তবে এবারকার সম্মেলনে বিশ্ব নেতাদের অংশগ্রহণে প্রমাণিত হয়েছে যে, উষ্ণায়নের হাত থেকে বিশ্বকে রক্ষা করার জন্য বিশ্বনেতারা গুরুত্ব দিচ্ছে।’

তথ্যমন্ত্রী   ড. হাছান মাহমুদ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

খালেদা জিয়ার ছবি দিয়ে পোস্টার সাঁটানো কর্মসূচি শুরু

প্রকাশ: ০৩:২২ পিএম, ১১ মে, ২০২৪


Thumbnail

বিশ্ব মা দিবস উপলক্ষে দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার ছবি সম্বলিত পোস্টার সাঁটানো কর্মসূচি গ্রহণ করেছে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপি। একইসঙ্গে বিশ্ব মা দিবস উপলক্ষে বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবি জানিয়েছেন দলটির নেতাকর্মীরা। ওই পোস্টারে লেখা হয়েছে- ‘মা আমায় দিচ্ছে ডাক, স্বৈরাচার নিপাত যাক, গণতন্ত্র মুক্তি পাক’।

শনিবার (১১ মে) নয়াপল্টনে মহানগর বিএনপির কার্যালয়ের সামনে এবং আশপাশের এলাকায় খালেদা জিয়ার ছবি সম্বলিত পোস্টার সাঁটানো কর্মসূচি উদ্বোধন করেন মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আবদুস সালাম।

এ সময় সালাম বলেন, ‘বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া আজ নিপীড়িত জনগণের মা। তাকে অন্যায়ভাবে মিথ্যা মামলায় আটকে রাখা হয়েছে। এবারের মা দিবসে বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে আমাদের এই ব্যতিক্রমী উদ্যোগ। আমরা দাবি করছি, অনতিবিলম্বে বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্তি দেওয়ার। তিনি চলমান গণতান্ত্রিক আন্দোলনের নেতৃত্ব দেবেন।’

বিএনপি নেতা আব্দুস সালাম আরও বলেন, ‘ধারাবাহিকভাবে সব ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে এই পোস্টার লাগানোর মধ্য দিয়ে বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবি তরান্বিত করা হবে।’

এ সময় উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনু, যুগ্ম আহ্বায়ক আলহাজ ইউনুস মৃধা, মোহাম্মদ মোহন, আব্দুস সাত্তার, সদস্য খালেদ সাইফুল্লাহ রাজন, আরিফা সুলতানা রুমা, বিএনপির তথ্য ও প্রযুক্তি দপ্তরের কর্মকর্তা মাহফুজ কবির মুক্তাসহ মহানগর দক্ষিণ বিএনপির অন্যান্য নেতাকর্মীরা।


বিএনপি   চেয়ারপারসন   বেগম খালেদা জিয়া  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

জরুরি সংবাদ সম্মেলনে আসছেন মির্জা ফখরুল

প্রকাশ: ০২:১৭ পিএম, ১১ মে, ২০২৪


Thumbnail

জরুরি সংবাদ সম্মেলন ডেকেছে বিএনপি। আগামীকাল রোববার দুপুর ১২টায় রাজধানীর গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানান।

এতে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বক্তব্য রাখবেন। এর মধ্য দিয়ে ছয় মাসেরও বেশি সময় পর সংবাদ সম্মেলনে আসছেন মির্জা ফখরুল।

এর আগে ২০২৩ সালের ২৭ অক্টোবর সংবাদ সম্মেলন করেছিলেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। সে সময় ২৮ অক্টোবর ঢাকায় বিএনপি মহাসমাবেশ ডেকেছিল। গত ২৮ অক্টোবর ঢাকার নয়াপল্টনে বিএনপির মহাসমাবেশ পুলিশ পণ্ড করে দেওয়ার পরদিনই মির্জা ফখরুল গ্রেপ্তার হন। প্রায় সাড়ে তিন মাস কারাবাসের পর ১৫ ফেব্রুয়ারি জামিনে মুক্তি পান তিনি।

কারাগারে যাওয়ার পর থেকে বিএনপি মহাসচিব ও তার স্ত্রী রাহাত আরা বেগম উভয়ে শারীরিক নানা জটিলতায় ভুগছেন। এ জন্য কারাগার থেকে মুক্তির পর ৪ মার্চ তারা চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরে যান। সেখান থেকে দেশে ফিরে আবার গত ২ মে পবিত্র ওমরাহ পালনে স্ত্রী রাহাত আরা বেগমকে নিয়ে সৌদি আরব যান মির্জা ফখরুল। প্রথমে তারা মদিনায় হজরত মুহাম্মদ (সা.) রওজা মোবারক জিয়ারত করেন। গত ৫ মে মক্কায় এসে পবিত্র ওমরাহ পালন করেন তারা।


মির্জা ফখরুল  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

আওয়ামী লীগের শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশ আজ

প্রকাশ: ০৮:২৩ এএম, ১১ মে, ২০২৪


Thumbnail

আওয়ামী লীগের শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে আজ শনিবার। বিকেল সাড়ে ৩টায় মোহাম্মদপুর আড়ংয়ের সামনে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। শুক্রবার (১০ মে) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে দলের এক যৌথ সভার শুরুতে এ কথা জানান দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

ওবায়দুল কাদের বলেন, অনেকে বলে আমরা পাল্টাপাল্টি সমাবেশ করছি, আসলে আমরা কোনো সমাবেশ করছি না। আজ আমরা এখানে যৌথসভা করছি। আগামীকাল শনিবার আমাদের মন্ত্রিসভার সদস্য, আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানকের সংসদীয় এলাকায় আমরা একটি শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশ করব। সেখানে সবাইকে আমন্ত্রণ জানাচ্ছি।

এর আগে দলের দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়ার সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আওয়ামী লীগের নেতাদের সঙ্গে ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণ ও ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ এবং সব সহযোগী সংগঠনের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকদের যৌথসভা আজ শুক্রবার (১০ মে) অনুষ্ঠিত হয়।


আওয়ামী লীগ   শান্তি সমাবেশ   ওবায়দুল কাদের  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

কর্মীদের দাবি রিজভী, তারেকের পছন্দ খসরু

প্রকাশ: ১০:০০ পিএম, ১০ মে, ২০২৪


Thumbnail

বিএনপিতে নতুন মহাসচিব নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। লন্ডনে পলাতক বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়া বিভিন্ন জেলার স্থানীয় পর্যায়ের নেতাদের সঙ্গে নৈশ বৈঠকের আয়োজন করছেন। এ পর্যন্ত নোয়াখালী, কুমিল্লা, সিলেট, বরিশালসহ অন্তত দশটি জেলায় এই ধরনের জুম বৈঠক আয়োজন করা হয়েছে। যে বৈঠকগুলোতে লন্ডনে পলাতক তারেক জিয়া সরাসরি তৃণমূলের নেতাকর্মীদের সঙ্গে কথা বলছেন। তৃণমূলের নেতাকর্মী ছাড়াও ছাত্রদল, যুবদল, কৃষক দলের মতো বিভিন্ন অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের স্থানীয় পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ তারেক জিয়ার সঙ্গে কথা বলছেন। 

নোয়াখালীতে এ রকম বৈঠকের আয়োজন করা হয়েছে, যেখানে প্রজেক্টরের মাধ্যমে তারেক জিয়া সরাসরি কর্মীদের সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন এবং তাদের মতামত দিয়েছেন। এই সমস্ত মতামতে দল পুনর্গঠন, নতুন নেতৃত্ব ইত্যাদি বিষয় নিয়ে তারেক জিয়া দলের নেতৃবৃন্দের খোলাখুলি মতামত জানতে চান। আর এই খোলাখুলি মতামতে যদি মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর মহাসচিব না থাকেন তাহলে কাকে মহাসচিব করা যেতে পারে সেই প্রশ্নটি উত্থাপন করেন।

জানা গেছে, অধিকাংশ তৃণমূলের কর্মীরা তাদের পছন্দের কথা জানাতে প্রথমে অস্বস্তি প্রকাশ করেন। পরবর্তীতে তারেক তাদেরকে আশ্বস্ত করেন যে, এই বৈঠকের খবর বাইরে প্রকাশিত হবে না এবং বৈঠকে উপস্থিত নেতৃবৃন্দকেও সতর্ক করা হয় তারা যেন এই বৈঠকের বিষয়টি দলের কেন্দ্রীয় নেতা বা সিনিয়রদের সঙ্গে আলোচনা না করে। এরপর এই বৈঠকে মতামত প্রকাশের জন্য সবাইকে স্বাগত জানানো হয়। এই সব বৈঠকে বিভিন্ন জেলার অধিকাংশ কর্মীরা দলের পরবর্তী মহাসচিব হিসেবে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর নাম উচ্চারণ করেছেন। তার পেছনে বিএনপির নেতাকর্মীরা যুক্তি দেখিয়েছেন, তিনি নিবেদিতপ্রাণ ত্যাগী। কর্মীদের কাছে তিনি শ্রদ্ধার আসনে আসীন। তাছাড়া সব সংকটেই তাকে সাহসী ভাবে দেখা যায়। এ কারণে রিজভীর মহাসচিব হওয়া উচিত বলে অনেকে মনে করছেন। 

তবে বেশ কিছু স্থানীয় পর্যায়ের নেতা মনে করেন যে, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সবচেয়ে যোগ্য ব্যক্তি। এখন পর্যন্ত তাঁর কোনো বিকল্প নেই। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর দলের মহাসচিব থেকে সরে গেলে দলের জন্য সমস্যা হবে বলেও তারা অভিমত ব্যক্ত করেছেন। 

তারেক জিয়া উপযাচক হয়ে কয়েকটি বৈঠকে আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী যদি বিএনপির মহাসচিব হয় তাহলে সেটি কেমন হয়- এই প্রশ্নটা জিজ্ঞেস করছেন। এর উত্তরে স্থানীয় পর্যায়ের কিছু নেতা নীরবতা অবলম্বন করেছেন। অনেকে নেতিবাচক মন্তব্য করেছেন। খুব অল্প সংখ্যক ব্যক্তি আমীর খসরু মাহমুদকে ইতিবাচকভাবে দেখেছেন। তবে বিএনপির অধিকাংশ তৃণমূলের নেতারাই মনে করছেন যে, তারেক জিয়া যদি নেতৃত্বে থাকেন তাহলে কে মহাসচিব হলেন সেটি বড় বিষয় নয়। তারা জিয়া পরিবারের বাইরে যেন নেতৃত্ব না যায় সে ব্যাপারেও তারেক জিয়ার কাছে অনুরোধ করেছেন।

বিভিন্ন সূত্রগুলো বলছে, মির্জা ফখরুল মহাসচিব হিসেবে থাকতে চান না। তিনি কয়েক দফা এই বিষয়টি নিয়ে তারেক জিয়ার সঙ্গে কথা বলেছেন। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এখন এমন একটি অবস্থানে গেছেন শেষ পর্যন্ত যদি তাতে মহাসচিব পদে রাখার জন্য বাধ্য করা হয় তাহলে তিনি পদত্যাগ করতে পারেন বলেও ধারণা করা হচ্ছে। তাছাড়া ইদানিং তিনি দলের কার্যক্রম থেকে নিজেকে গুটিয়ে নিয়েছেন। এ রকম অবস্থায় নতুন মহাসচিব অনুসন্ধানের অংশ হিসেবে তারেক জিয়া বিভিন্ন জেলায় বৈঠক করছেন বলে অনেকের ধারণা।

বিএনপি   আমির খসরু   মির্জা ফখরুল   রুহুল কবির রিজভী  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

আওয়ামী লীগের শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশ শনিবার

প্রকাশ: ০৮:৫২ পিএম, ১০ মে, ২০২৪


Thumbnail

আওয়ামী লীগের শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে শনিবার (১১ মে)। বিকেল সাড়ে ৩টায় মোহাম্মদপুর আড়ংয়ের সামনে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে।

শুক্রবার (১০ মে) বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলের এক যৌথসভায় দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এ কথা জানান।

তিনি বলেন, অনেকে বলে আমরা পাল্টাপাল্টি সমাবেশ করছি, আসলে আমরা কোনো সমাবেশ করছি না। আজকে আমরা এখানে যৌথসভা করছি। আগামীকাল শনিবার আমাদের মন্ত্রিসভার সদস্য আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানকের সংসদীয় এলাকায় আমরা একটি শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশ করব। সেখানে আজকের সকলকে আমন্ত্রণ জানাচ্ছি।

এর আগে, দলের দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়ার সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আওয়ামী লীগের নেতাদের সঙ্গে ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণ ও ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ এবং সব সহযোগী সংগঠনের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকদের যৌথসভা আজ (১০ মে) অনুষ্ঠিত হয়।

আওয়ামী লীগ   শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশ  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন