ইনসাইড পলিটিক্স

গাজীপুর আওয়ামী লীগ: দল বাঁচাতে যোগ্য নেতৃত্ব চান নেতাকর্মীরা

প্রকাশ: ১০:০০ পিএম, ১৭ নভেম্বর, ২০২২


Thumbnail

রাজনৈতিক অঙ্গনে গাজীপুর একটি গুরুত্বপূর্ণ এলাকা। রাজধানীকেন্দ্রিক রাজনীতিতে গাজীপুরের রাজনীতির একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব রয়েছে। নির্বাচন আসন্ন। সবকিছু মিলিয়ে গাজীপুরে যোগ্য নেতৃত্ব চান তৃণমূলের নেতাকর্মীরা। আগামী ১৯ নভেম্বর গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলন। আর এই সম্মেলনকে ঘিরে নেতাকর্মীদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা বিরাজ করছে। সম্মেলন সফল করতে চলছে ব্যাপক প্রস্তুতি, মহানগরের থানা এবং ওয়ার্ডগুলোতে হচ্ছে আওয়ামী লীগের কর্মীসভা। নগরীর অধিকাংশ থানা আওয়ামী লীগের সম্মেলন সম্পন্ন হয়েছে।

দীর্ঘদিন ধরেই গাজীপুরের রাজনীতি নানা ধরণের সমস্যায় জর্জরিত। অভ্যন্তরীণ কোন্দল, অনুপ্রবেশকারী ইত্যাদি মিলিয়ে গাজীপুরে আওয়ামী লীগের রাজনীতি এখন সঙ্কটকাল পার করছে বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। তাই গাজীপুরের রাজনীতির ভবিষ্যৎ নিয়ে চলছে নানা জল্পনা-কল্পনা। তাই গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের নতুন নেতৃত্বে কারা আসবেন তা নিয়ে নেতাকর্মীদের মধ্যে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা কাজ করছে। সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদ দুটিকে ঘিরেই সকলের আগ্রহ থাকলেও সাধারণ সম্পাদক পদই এখন আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে।

গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি পদে অ্যাডভোকেট আজমত উল্লা খান ও যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেলের নাম শোনা যাচ্ছে। তবে অ্যাডভোকেট আজমত উল্লা খানই সভাপতি হবেন বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। অন্যদিকে সাধারণ সম্পাদক পদ নিয়েই চলছে মূল জল্পনা-কল্পনা। সাধারণ সম্পাদক হিসেবে যাদের নাম শোনা যাচ্ছে তারা হলেন- ব্যারিস্টার মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন, আতাউল্লাহ মণ্ডল, অ্যাডভোকেট আব্দুল হাদী শামীম, মো. মতিউর রহমান মতিসহ আরও কয়েকজন।

সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থীদের মধ্যে কে এগিয়ে

ব্যারিস্টার মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন: গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পদের প্রার্থী হিসেবে সবচেয়ে আলোচিত নাম ব্যারিস্টার মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন। মহানগর আওয়ামী লীগের তৃণমূল থেকে শুরু করে দলীয় নেতাকর্মীদের মুখে শোনা যাচ্ছে তার নাম। ১৯৮৬ সালে কাউলতিয়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের প্রচার সম্পাদক নির্বাচিত হন। ১৯৮৭ সালে ঢাকা কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৮৮ সালে জয়দেবপুর থানা ছাত্রলীগের কমিটিতে সাংগঠনিক সম্পাদক পদে নির্বাচিত হন। ১৯৮৯ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আইন বিভাগে ভর্তি হন। ১৯৯০ সালে স্বৈরাচার এরশাদবিরোধী আন্দোলনে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন তিনি। ১৯৯১ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কবি জসীমউদ্দীন হল ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। ১৯৯৪ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নির্বাচিত হন। ১৯৯৮ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি নির্বাচিত হন সাজ্জাদ হোসেন।

মেধাবী এই ছাত্রনেতা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের সভাপতি থাকাকালে আওয়ামী লীগের বিভিন্ন গণতান্ত্রিক আন্দোলন-সংগ্রামে রাজপথে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। নেতৃত্বকালে ঢাবি ছাত্রলীগকে সুসংগঠিত ও শক্তিশালীতে পরিণত করেছিলেন তিনি। দলের খারাপ সময়ে সব সময় পাশে ছিলেন তিনি। আওয়ামী লীগের বিশ্বস্ত ও পরীক্ষিত এই নেতা সাধারণ সম্পাদক পদে প্রার্থী হওয়ায় তৃণমূলসহ সচেতনমহলে সাড়া পড়েছে। তিনি ২০০০-১০ সালে ইউকে আওয়ামী লীগের সদস্য নির্বাচিত হন। ২০১০-১২ সালে আওয়ামী লীগের সক্রিয় সদস্য নির্বাচিত হন। ২০১৩ সালে আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় উপকমিটির সহসম্পাদক নির্বাচিত হন। ২০১৬ সালে গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সদস্য নির্বাচিত হন। বঙ্গবন্ধু আইনজীবী পরিষদ প্রস্তুতি কমিটির সদস্য নির্বাচিত হন।

এ বিষয়ে গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের তৃণমূলের নেতাকর্মীদের বলেন, আমাদের প্রত্যাশা দলকে সার্বক্ষণিক সময় দিতে পারবে, গাজীপুরে আওয়ামী লীগের রাজনীতির বর্তমান সংকটে নেতৃত্ব দিয়ে দলকে এগিয়ে নেবে এবং শেখ হাসিনার আস্থাভাজন ও মতামতদর্শী হয়ে তৃণমূল নেতাকর্মীদের চিন্তাচেতনা ফুটিয়ে তুলবেন এমন নেতা। আর সেক্ষেত্রে সাজ্জাদ ব্যারিস্টার সাজ্জাদ হোসেন সকলের চেয়ে এগিয়ে।

সাজ্জাদ হোসেন সাধারণ মানুষের বিপদে আপদে পাশে থেকে যেই ভাবে সহযোগিতা করেন, দলের জন্য বিপদকালীন সময়ে লড়াই সংগ্রাম করে দলকে সুসংগঠিত রেখেছেন তাই ব্যারিস্টার সাজ্জাদ হোসেনকে গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বে দিলে গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগ রাজনৈতিক দৈন্য থেকে মুক্তি পাবে বলে মনে করেন তৃণমূলের নেতাকর্মীরা। গাজীপুর আওয়ামী লীগে তাঁর বিকল্প নেই বলেও মনে করেন নেতাকর্মীরা।

তবে ব্যারিস্টার সাজ্জাদ হোসেন সুপ্রিম কোর্টে সময় বেশী দেন। দলীয় প্রোগ্রাম ছাড়া নেতাকর্মীদের বেশী সময় দিতে পারেন না তিনি। তবে মেয়র জাহাঙ্গীরের বহিষ্কারের পর থেকে এলাকার রাজনীতিতে ব্যাপক জনপ্রিয়তা বেড়েছে। 

আতাউল্লাহ মন্ডল: গাজীপুর মহানগরের বর্ষীয়ান রাজনৈতিক আতাউল্লাহ মন্ডল যিনি মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন। এর আগে গাজীপুরে আওয়ামী লীগের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্বে নিয়োজিত ছিলেন। তিনি এবার মহানগর সাধারণ সম্পাদক পদে প্রার্থী হয়েছেন। কিন্তু বর্তমানে তাঁর বয়স ৭৪ বছর। আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে উত্তপ্ত রাজনৈতিক অঙ্গনে তিনি কতটুকু কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারবেন তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠেছে। এছাড়াও ১৯৭৫ সাল থেকে ১৯৮৮ সাল পর্যন্ত বিএনপির সংসদ সদস্য ও নেতা হাবিবউল্লাহর 'দক্ষিণ হস্ত' হিসেবে কাজ করেছে। ডিলারশীপ এবং বিভিন্ন পারমিট এর ব্যবসা করে কোটি টাকার মালিক হয়েছেন। উপজেলা ইলেকশনে বিদ্রোহী প্রার্থী ছিলেন বলেও অভিযোগ রয়েছে। ফলে নিজেও ফেল করেছেন এবং দলীয় প্রার্থীর পরাজয়ের পেছনে মুখ্য ভূমিকা রেখেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। গাজীপুরের রাজনীতিতে দলীয় কোন্দলেও তৃণমূল পর্যন্ত ছড়িয়ে দিয়েছেন। ২০১৯ সালে প্রকাশ্যে ঘোষণা দিয়ে শারীরিক অসুস্থতার কারণে রাজনীতি ছেড়ে দেন। কিন্তু মেয়র জাহাঙ্গীর আলম বহিষ্কার হওয়ার পর রাজনীতিতে আবার সক্রিয় হন।

আব্দুল হাদী শামীম: আব্দুল হাদী শামীম ১৯৮৭ সালে গাজীপুর জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি নির্বাচিত হন। স্বৈরাচার এরশাদবিরোধী আন্দোলনে নেতৃত্ব দেন। ১৯৯১ সালে গাজীপুর পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত হন। ২০০৪ সালে গাজীপুর জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। ২০১৭ সালে গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের নবগঠিত কমিটির কার্যনির্বাহী সদস্য নির্বাচিত হন।

আব্দুল হাদী শামীম গাজীপুরের আদি অধিবাসী নন। তাঁর পিতার চাকুরী সূত্রে গাজীপুরে বসবাস শুরু করেন। গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে কাউন্সিল পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। তেমন জনসমর্থন না থাকায় চতুর্থ স্থান অর্জন করেন। সম্প্রতি সময়ে একটি নারী কেলেঙ্কারির ঘটনায় জড়িয়ে পড়েন। রেবেকা সুলতানা নামের এক মহিলা আব্দুল হাদী শামীমকে তার সন্তানের পিতা দাবী করে আওয়ামী লীগ নেতাদের কাছে বিচার প্রার্থনা করেছে। এরপর নিজ পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন একা বাসা নিয়ে থাকেন। এসকল ঘটনার প্রেক্ষাপটে গাজীপুরের রাজনীতিতে তিনি অনেকটাই কোণঠাসা।

মতিউর রহমান মতি: আরেক বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ মতিউর রহমান মতি যিনি ভাওয়াল বীর শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার এমপির ছোট ভাই। তিনি বর্তমানে গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন। এবার তিনি সাধারণ সম্পাদক পদে প্রার্থী হয়েছেন। কিন্তু গাজীপুরের প্রায় সকল ধরনের অপরাধ কর্মকান্ডের সঙ্গে তাঁর জড়িত থাকার অভিযোগ পাওয়া গেছে। বৈধ কোন পেশা না থাকলেও কোটি কোটি টাকার মালিক হয়েছেন বলেও অভিযোগ রয়েছে। তাঁর কর্মকাণ্ডে শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টারের ইমেজ এখন হুমকির সম্মুখীন বলে জানা যায়।

আফজাল হোসেন রিপন: গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি রাজনীতিবিদ আফজাল হোসেন সরকার রিপন এবার সাধারণ সম্পাদক পদে প্রার্থী হয়েছেন। তিনি ২০০২ সালে ভাওয়াল বদরে আলম সরকারি কলেজ ছাত্র সংসদ ছাত্রলীগের মনোনয়নে ভিপি নির্বাচিত হন। ২০০৩ সালে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের সহ-সম্পাদক নির্বাচিত হন। ২০১৩ সালে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপকমিটির সহ-সম্পাদক নির্বাচিত হন। 

সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী রিপনের বিরুদ্ধে রয়েছে বিস্তর অভিযোগ। মেয়র জাহাঙ্গীরের বহিস্কারের পর গাজীপুরের ঝুট ব্যবসার প্রধান নিয়ন্ত্রক হিসেবে আবির্ভূত হন তিনি। মতিউর রহমান মতির সঙ্গে সমঝোতা করে এলাকা ভাগ করে নিয়েছেন। তাঁর দুই শ্যালক বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। একজন স্থানীয় কমিশনার, অন্যজন পরিবহন শ্রমিক দলের নেতা। গাছা থানা আওয়ামী লীগের নেতার একমাত্র সন্তানকে প্রকাশ্যে হত্যা করে পরবর্তীতে কোটি টাকায় সমঝোতা হয় বলে তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে। মানুষের সঙ্গে তিনি সর্বদা দুর্ব্যবহার করেন বলে অভিযোগ রয়েছে। সাধারণ মানুষ এবং তৃণমূলের নেতাকর্মীদের কাছে তাঁর গ্রহণযোগ্যতা প্রায় শূন্যের কোটায় পৌঁছেছে বলে দাবি করেছেন অনেকেই।

গাজীপুরের সাম্প্রতিক সময়ের রাজনৈতিক তথ্য পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, স্থানীয় সরকার ও প্রশাসন গাজীপুরের সহিংসতা, জঙ্গিবাদ দমনে অনেকটাই ব্যর্থ। কিছুক্ষেত্রে অপরাধীরা স্থানীয় রাজনৈতিক মদদও পেয়েছে বলে অভিযোগ আছে। ধর্মের ব্যবহার ও অর্থের বিনিময়ে বহিরাগতদের মাধ্যমে গাজীপুরের অপরাধমূলক কার্যক্রম অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে এবং রাজনৈতিকভাবে এদের অপব্যবহার ব্যাপকহারে বেড়েছে। এতে গাজীপুরে স্থানীয় সরকার ব্যবস্থা ও রাজনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। তাই যারাই মহানগর আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে আসবেন তাদের অনেক চ্যালেঞ্জ নিতে হবে।

২০২২ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী গাজীপুরে ৫২ লাখের বেশি মানুষের বাস এবং ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জের পরেই গাজীপুরে জনসংখ্যার ঘনত্ব সবচেয়ে বেশি। গাজীপুরের মোট জনগোষ্ঠীর সিংহভাগই মুসলিম, মাত্র ছয় শতাংশ ভিন্নধর্মাবলম্বী। ভৌগোলিক অবস্থান ও শিল্পঘনিষ্ঠতার কারণে গাজীপুরে প্রচুর বহিরাগতের আগমন ও বসবাস। এটিও নতুন নেতৃত্বের জন্য এক ধরনের চ্যালেঞ্জ। 

অন্যদিকে, গাজীপুরে সম্প্রতি অদ্ভুত এক তরুণ রাজনৈতিক শ্রেণির উদ্ভব হয়েছে। এই শ্রেণি মাদক ও ঝুটের ব্যবসায়ের মাধ্যমে অঢেল অবৈধ বিত্তের মালিক হয়েছে। গাজীপুরের শতকোটি টাকা ঝুটের ব্যবসাকে নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে এই শ্রেণি রাজনীতিতে নাম লেখাচ্ছে। এসবও নিয়ন্ত্রণ করতে হবে আওয়ামী লীগের নতুন নেতৃত্বের। 

সংশ্লিষ্টরা বলেন, গাজীপুরে এমন একটি রাজনৈতিক নেতৃত্ব প্রয়োজন যার সুশিক্ষার পাশাপাশি সমৃদ্ধ রাজনৈতিক অতীত ও অভ্যাস আছে। এর পাশাপাশি আছে কেন্দ্রের সঙ্গে যোগাযোগ ও সমন্বয়ের দক্ষতা। তিনি তার সহজাত নেতৃত্ব দিয়ে ও নিয়মিত মনিটরিং দিয়ে গাজীপুরের সঠিক সক্ষমতার উন্মেষ ও বিকাশ ঘটাতে পারবেন এবং ধর্মের মোড়কে পুরে শান্তিপ্রিয় এই জনপদকে জঙ্গিবাদ ও সাম্প্রদায়িকতার কবল থেকে মুক্ত করতে পারবেন।

নির্বাচন কমিশনের ঘোষণা অনুযায়ী জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনের ১৩ মাস বাকি। তাই ডিসেম্বরে আওয়ামী লীগের এবারের জাতীয় সম্মেলনের গুরুত্ব অন্যান্য বছরের চেয়ে বেশি। তাই আওয়ামী লীগকে সাধারণ সম্পাদক বাছাইয়ে অনেক কৌশলী হতে হবে।

দলীয় সূত্র বলছে, যেসব নেতাকর্মীরা দলের মধ্যে থেকে‘পারফর্মেন্স দেখাতে ব্যর্থ হয়েছেন’ এবং বিতর্কিত কর্মকাণ্ড করে দলের সুনাম নষ্ট করেছে কাউন্সিলে তাদের কপাল পুড়তে পারে। এছাড়া বেশ কয়েকজন সাবেক নেতা এবার নতুন করে কমিটিতে জায়গা পেতে পারেন।

সবমিলিয়ে গাজীপুরের অস্থির রাজনীতিতে সাধারণ সম্পাদকের পদ নিয়েই চলছে মূল জল্পনা-কল্পনা। আগামী ১৯ নভেম্বর মহানগর আওয়ামী লীগের সম্মেলনের মধ্য দিয়ে জানা যাবে কে হবেন সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক। তবে যারাই নির্বাচিত হন গাজীপুরের সার্বিক পরিস্থিতি ঠিক রাখতে তাদের ব্যাপক ভূমিকা পালন করতে হবে।


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

আন্দোলনের মাঠ ছেড়ে বিদেশে দুই ডজনের বেশি বিএনপি নেতা

প্রকাশ: ০৮:৫৭ পিএম, ০২ জুন, ২০২৪


Thumbnail

সরকার পতনের এক দাবি আদায়ের আন্দোলন ব্যর্থ হলেও হাল ছাড়েনি রাজপথের প্রধান বিরোধী দল বিএনপি। বরং নির্বাচনের পরও আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার প্রত্যয় ঘোষণা করেছে দলটি। এখনও প্রতিনিয়ত সরকারের প্রতি হুশিয়ারি উচ্চারণ করছেন দলের নেতারা। শিগগিরই সরকারের পতন হবে বলেও বক্তব্য রাখছেন কেন্দ্রীয় নেতারা। দলটি আবার নতুন করে আন্দোলন শুরু করবে বলেও দাবি নেতাকর্মীদের। ইতোমধ্যে সমমনাদের সঙ্গে আলোচনাও শুরু করেছে বিএনপি। গত মে ১২ দলীয় জোটের সঙ্গে বৈঠক করেছে বিএনপির লিয়াজো কমিটি। কিন্তু বিএনপি যখন আন্দোলনের প্রস্তুতি নিচ্ছে ঠিক সে সময় আন্দোলনের মাঠ ছেড়ে বিদেশে অবস্থান করছেন দলটির দুই ডজনের বেশি কেন্দ্রীয় নেতা। ফলে সরকারবিরোধী আন্দোলনে কেন্দ্রীয় নেতাদের ভূমিকা নিয়েই নানা প্রশ্ন উঠেছে।

বিএনপির দায়িত্বশীল সূত্র গুলো বলছে, জাতীয় স্থায়ী কমিটি, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলসহ নির্বাহী কমিটির কর্মকর্তা ও সদস্যদের মধ্যে অন্তত ২৮ জন এখন বিদেশে আছেন। এদের অনেকেই দেশে মামলা, হামলা ও নির্যাতনের শিকার হয়ে বিদেশে যেতে বাধ্য হয়েছেন। আবার কয়েকজন গেছেন উন্নত চিকিৎসা নিতে।

জানা যায়, দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়া দীর্ঘদিন ধরে লন্ডনে পলাতক আছেন। সেখান থেকে দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। এছাড়াও খোঁজ নিয়ে জানা যায়, স্থায়ী কমিটির সদস্যদের মধ্যে এখন বিদেশে রয়েছেন আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু। চিকিৎসার কাজে দীর্ঘদিন ধরে দিল্লিতে অবস্থান করছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহ উদ্দিন আহমেদ। চলতি বছরের মার্চে ভারতের শিলং আদালত তাকে খালাস দিলে কিছুদিন পর তিনি দিল্লি যান। সেখানে তিনি স্ত্রীসহ অবস্থান করছেন।

উপদেষ্টাদের মধ্যে বিদেশে রয়েছেন কাজী শাহ মোফাজ্জল হোসেন, ড. ওসমান ফারুক ও গিয়াসউদ্দিন কাদের চৌধুরী। নিষ্ক্রিয় রয়েছেন অ্যাডভোকেট হারুন আল রশিদ ও মেজর জেনারেল (অব.) মাহমুদুল হাসানসহ আরও কয়েকজন।

২০৯ জন জাতীয় নির্বাহী কমিটির কর্মকর্তাদের মধ্যে অনেক পদ শূন্য, অনেকে নিষ্ক্রিয় আছেন। এর মধ্যে সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য যারা, তাদের মধ্যে বিদেশে রয়েছেন আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক মুহিদুর রহমান, ব্যারিস্টার নওশাদ জামির (বেশির ভাগ সময় বিদেশে থাকেন), তথ্য ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক অধ্যাপক একেএম ওয়াহিদুজ্জামান, ক্ষুদ্রঋণবিষয়ক সম্পাদক এমএ কাইয়ুম, কর্মসংস্থানবিষয়ক সম্পাদক জাকারিয়া তাহের সুমন (বেশির ভাগ সময় বিদেশে থাকেন), সহ-আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক হুমায়ুন কবির, আনোয়ার হোসেন খোকন, নাজমুল আবেদীন মোহন, বেবি নাজনীন ও শাকিরুল ইসলাম শাকিল ও প্রবাসীকল্যাণ বিষয়ক সহ-সম্পাদক ব্যারিস্টার মুহাম্মদ আব্দুস সালাম।

২৯৩ জন জাতীয় নির্বাহী কমিটির মধ্যে বিদেশে রয়েছেন গাজী শাহজাহান জুয়েল, শেখ সুজাত মিয়া, আলী আজগর লবী, মোশারফ হোসেন, কয়ছর এম আহমেদ, আব্দুল লতিফ সম্রাট, মির্জা খোকন, সাইদুর রহমান লিটন ও ফয়সাল আহমেদ চৌধুরী। নিষ্ক্রিয় রয়েছেন রওশান আরা ফরিদ, আব্দুল মান্নান, রফিকুল ইসলাম দুলাল, মেজর (অব.) মঞ্জুর কাদের, লুৎফুল লতিফ, এসএ খালেক, আহমেদ ইকবাল হাসান, খুরশিদ আলী মোল্লা, অধ্যাপক রেজাউল করিম, জামাল শরীফ হিরু, জিএম ফজলুল হক, সাইমুন বেগম, এম শামসুল আলম, এমডিএম কামালউদ্দিন চৌধুরী, খালেদা রব্বানী, শহিদুজ্জামান বেল্টু, কাজী মনিরুল হুদা, মতিয়ার রহমান তালুকদার, ফারুক আহমেদ তালুকদার, জিবা খান, নুরুল ইসলাম খান, নাছিমা আক্তার কল্পনা, এসএম শফিউজ্জামান খোকন, সেলিনা রউফ চৌধুরী, রিজিয়া পারভীন, মিজানুর রহমান চৌধুরী ও তাহমিনা আওরঙ্গসহ আরও বেশ কয়েকজন নেতা। তবে নির্বাহী কমিটির সদস্যদের মধ্যে অনেকে আবার বিএনপির জেলা কমিটির শীর্ষ পদে আছেন।

মালয়েশিয়া আছেন বিএনপির তথ্য ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক অধ্যাপক একেএম ওয়াহিদুজ্জামান।


বিএনপি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

জামায়াতে ইসলামীর রাজনীতি সমর্থন করি না: মির্জা ফখরুল

প্রকাশ: ০৮:০৭ পিএম, ০২ জুন, ২০২৪


Thumbnail

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আমি জামায়াতের রাজনীতি সমর্থন করি না। কিন্তু তাদের যে সাংগঠনিক কাঠামো তা অত্যন্ত বিজ্ঞানসম্মত। নিজেরা নিজেরা পড়ালেখা করে ও পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হয়। সেজন্যই বলি রাজনীতির জায়গায় রাজনীতি থাকুক। আপনারা গবেষণা করুন। থিংক ট্যাংক হিসেবে কাজ করুন।

রোববার (৩ জুন) জাতীয় প্রেসক্লাবের আব্দুস সালাম হলে আয়োজিত আলোচনা অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের (বীর উত্তম) ৪৩তম শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষে এই আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশন (জেডআরএফ)।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘জামায়াতের ছাত্রশিবিরের স্টাডি সেল আছে। তাদের প্রত্যেককে লেখাপড়া করতে হয়। নিজেরা বই-পত্রিকা প্রকাশ করে। জ্ঞানের চর্চা ছাড়া সফল হতে পারবেন না।’

বর্তমান সরকারকে উদ্দেশ্যে বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘পত্রিকা খুললে শুধু লুট আর লুট। তারা দেশ থেকে লুট করে বিদেশে পাচার করছে। ক্ষমতা চলে গেলেই বিদেশে চলে যাবে। যারা রাষ্ট্রের বড় দায়িত্বে, তারা লুটপাট করছে। সংসদ সদস্য চোরাচালানে জড়িত। শেয়ারবাজারে রথী-মহারথীরা লুটপাট করছে। কেউ দরবেশ, কেউ সন্ন্যাসী বেশে এসব কাজের সঙ্গে জড়িত। কোনো জবাবদিহি নেই, চিন্তা নেই। একটাই ভাবনা-ক্ষমতায় থাকতে হবে। সব প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করে রক্ষী তৈরি করেছে এই সরকার।’

ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে ঋণের বোঝায় ডুবিয়ে দেওয়া হচ্ছে অভিযোগ করে মির্জা ফখরুল বলেন, মাথাপিছু ঋণ এখন ১ লাখ ৫৫ হাজার টাকা দাঁড়িয়েছে। বিভিন্ন শর্তে যেসব ঋণ নেওয়া হচ্ছে, সুস্থ মানুষের দেশপ্রেম থাকলে এগুলো করতে পারতো না বলে মন্তব্য করেন তিনি।

সব প্রতিকূলতা থেকে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে হলে জিয়াউর রহমানকে জানতে হবে বলে উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, শুধু স্লোগান দিয়ে রাজনীতি করলে হবে না। জেনে শুনে রাজনীতি করতে হবে। জিয়াউর রহমানকে বুঝতে হলে তার কাজের গভীরে যেতে হবে। এখন জিয়াউর রহমানকে নিয়ে কথা বলা যায় না। সত্য বললে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা দিয়ে দেওয়া হয়।

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সাবেক অধ্যাপক নূরুল আমিন ব্যাপারী, বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের সদস্যসচিব কাদের গণি চৌধুরী ও জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপক ফরহাদ হালিম।

জামায়াতে ইসলামী   মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

‘বেনজীর যেখানেই থাকুক, আইন নিজস্ব গতিতে চলবে’

প্রকাশ: ০২:৪০ পিএম, ০২ জুন, ২০২৪


Thumbnail

বাংলাদেশ পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদ দুর্নীতির অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হলে তাকে দেশে ফিরে আসতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

তিনি বলেন, ‘বেনজীর আহমেদ যদি দুর্নীতির দায়ে দোষী সাব্যস্ত হয় তাহলে তাকে দেশে ফিরে আসতেই হবে।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘বেনজীর যেখানেই থাকুক, আইন নিজস্ব গতিতে চলবে। বিচার হবেই, একদিন না একদিন তাকে বিচারের মুখোমুখি হতে হবে।বেনজীর ইস্যুতে যদি অন্য কারও গাফিলতি থাকে তবে তাদেরও বিচার হবে বলে জানান তিনি।

রোববার ( জুন) দুপুরে রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ের এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বেনজীর আহমেদের বিষয়টি দুদক তদন্ত করছে। এটা একটা প্রক্রিয়া। সরকার আগবাড়িয়ে কিছু করতে পারে না।

সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘মানি লন্ডারিংয়ের কথা বলতে হলে তারেক রহমানের কথা আগে বলতে হবে। তারেক দণ্ডিত হয়ে পাচারকৃত টাকা দিয়ে বিদেশে বসে আয়েশি জীবনযাপন করছে।

সাংবাদিকদের উদ্দেশে ওবায়দুল কাদের বলেন, বেনজীর আহমেদ যে এত অন্যায় করল তখন গণমাধ্যম কী করতেছিল। সাংবাদিকরা একটা সংবাদও প্রচার করল না কেন?


বেনজীর   আইন   ওবায়দুল কাদের  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

‘প্লাটিনাম জয়ন্তী’ উপলক্ষ্যে আওয়ামী লীগের ১০ দফা কর্মসূচি

প্রকাশ: ০১:০০ পিএম, ০২ জুন, ২০২৪


Thumbnail

২৩ জুন দেশের প্রাচীন বৃহত্তম রাজনৈতিক সংগঠন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। প্রতিষ্ঠার ৭৫ বছর-‘প্লাটিনাম জয়ন্তীউদযাপন করবে দলটি।শনিবার ( জুন) রাতে এক সংবাদ বিবৃতিতে তথ্য জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

দলের দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া স্বাক্ষরিত ওই বিবৃতিতে ওবায়দুল কাদের বলেন, দেশের মানুষের ভালোবাসা আকাঙ্ক্ষাকে ধারন করেই আওয়ামী লীগ পথ চলেছে এবং ভবিষ্যতেও চলবে। গত সাড়ে সাত দশক ধরে আওয়ামী লীগের পথচলা ছিল গৌরবোজ্জ্বল।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবিসংবাদিত নেতৃত্বে স্বাধীনতা সংগ্রামের পথ ধরে মহান মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে স্বাধীন বাংলাদেশ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা হয়। এদেশের মানুষের যা কিছু মহৎ অর্জন তা আওয়ামী লীগের নেতৃত্বেই অর্জিত হয়েছে। কালের বিবর্তনের সঙ্গে তাল মিলিয়ে আজ ডিজিটাল বাংলাদেশের পথ পেরিয়ে স্মার্ট বাংলাদেশের স্বাপ্নিক অভিযাত্রী বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। দীর্ঘ সাফল্য-সংগ্রামের পথ ধরে সফল রাষ্ট্রনায়ক বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার সুদক্ষ নেতৃত্বে বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে।

প্লাটিনাম জয়ন্তী উপলক্ষ্যে ১০ দফা কর্মসূচি

. ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ আয়োজন। এতে বীর মুক্তিযোদ্ধা, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ এবং নাগরিক সমাজ পেশাজীবীদের আমন্ত্রণ।

. দলের সব সাংগঠনিক শাখায় বছরব্যাপী উপযোগী কর্মসূচি গ্রহণ। তৃণমূলের কর্মসূচিতে কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের অংশগ্রহণ।

. রাজধানীতে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা আনন্দ র‌্যালির আয়োজন। একইসঙ্গে সকল দলীয় কার্যালয় স্থাপনায় আলোকসজ্জা, আনন্দ র‌্যালি, সভা-সমাবেশ, সেমিনার আলোচনা সভা আয়োজন।

. সারাদেশে এতিমখানা হাসপাতালে এবং কর্মজীবী, গরীব, অসহায় দুস্থ মানুষের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ।।

. শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে চিত্রাঙ্কন রচনা প্রতিযোগিতা এবং পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান আয়োজন।

. ক্রোড়পত্র, বিশেষ স্মরণিকা গ্রন্থ প্রকাশ এবং পোস্টার, ব্যানার আলোকচিত্র প্রদর্শনী। বিশেষ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে উপযোগী পোস্টার, ব্যানার ভিজ্যুয়াল কনটেন্ট প্রচার

. বিশেষ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন।

. ডকুমেন্টারি চিত্র প্রদর্শনীসহ বিভিন্ন উপযোগী কর্মসূচি গ্রহণ।

. দলের সর্বস্তরের প্রবীণ নেতাদের সম্মাননা প্রদান।

১০. প্লাটিনাম জয়ন্তী উপলক্ষ্যেসবুজ ধরিত্রীকর্মসূচি গ্রহণ।

বিবৃতিতে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির সঙ্গে সঙ্গতি রেখে জেলা/মহানগর, উপজেলা/থানা, পৌর, ইউনিয়ন ওয়ার্ডসহ সকল শাখাসমূহে কর্মসূচি গ্রহণ এবং বাস্তবায়নের জন্য সাংগঠনিক নির্দেশনা প্রদান করেছেন ওবায়দুল কাদের।


প্লাটিনাম জয়ন্তী   আওয়ামী লীগ   কর্মসূচি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

স্ত্রীর মর্যাদা দাবি: ছাত্রলীগ নেতার কাছে ছাত্রলীগ নেত্রীর

প্রকাশ: ১২:০৯ পিএম, ০২ জুন, ২০২৪


Thumbnail

সামাজিকভাবে বিয়ের স্বীকৃতি স্ত্রীর মর্যাদা দাবি করতে গিয়ে ছাত্রলীগের  কেন্দ্রীয় কমিটির এক সহসভাপতির কাছে মারধরের শিকার হয়েছেন এক তরুণী। তার ভাষ্য, ক্ষমতাসীন দলের সহযোগী সংগঠনের ওই নেতা তাকে বিয়ে করেছেন এবং জোর করে গর্ভপাত ঘটিয়েছেন। অভিযোগকারী তরুণী ইডেন কলেজের ছাত্রলীগ নেত্রী। তবে বন্ধুত্বের বাইরে অন্য কোনো সম্পর্ক নেই দাবি করে শাহাদাত বলছেন, তার বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগই ভিত্তিহীন। বন্ধুত্বের বাইরে তাদের আর কোনো সম্পর্ক ছিল না; বরং অনেক দিন ধরে তাকেই মানহানিসহ নানা ধরনের হুমকি দেওয়া হচ্ছে।

জানা গেছে, শাহাদাতের প্রতারণা নির্যাতনের অভিযোগ তুলে এর প্রতিকার চেয়ে গত ২৪ মে ছাত্রলীগ সভাপতি সাধারণ সম্পাদককে লিখিত অভিযোগ করেন ওই তরুণী। এতে বলা হয়, ফুয়াদ হোসেন শাহাদাতের সঙ্গে তার ১০ বছরের সম্পর্ক। এই দীর্ঘ সময়ে তার সঙ্গে ঘটে যাওয়া নানা ধরনের অন্যায়ের বিষয়ে তিনি গত ১৮ ফেব্রুয়ারি আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরকে অবহিত করেন। ওবায়দুল কাদের বিষয়টি মীমাংসার জন্য ছাত্রলীগ সভাপতি সাধারণ সম্পাদককে দায়িত্ব দেন। সে অনুযায়ী গত এপ্রিল মীমাংসার সময় নির্ধারণ করা হয়।

কিন্তু এর দুদিন আগে পারিবারিকভাবে সমাধানের কথা বলে শাহাদাত তাকে বাসায় ডেকে নিয়ে যান। ভুক্তভোগী তরুণীর দাবি, বাসায় যাওয়ার পর সমাধানের পরিবর্তে শাহাদাত তাকে এলোপাতাড়ি লাথি মারে এবং গুরুতর জখম করে। নিরুপায় হয়ে তিনি ৯৯৯- কল করেন। এরপর পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাকে উদ্ধার করে। সেখান থেকে বেরিয়ে ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফকে বিষয়টি জানান। পরে তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসা নেন। ঘটনায় তিনি মানসিক শারীরিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েন।

অভিযোগপত্রে ওই তরুণী বলেন, ‘আমি সামাজিকভাবে স্বীকৃতি চাওয়ার পর থেকেই শাহাদাত আমার পরিবারের সবার নামে মামলা দেওয়া এবং বিভিন্নভাবে ক্ষতি করার হুমকি দেয়। এমনকি আমাকে প্রতিনিয়ত প্রাণনাশের হুমকি প্রদান আমার মান-সম্মান যাতে না থাকে, সেই ব্যবস্থা করার হুমকি দেয়। তাই তার এসব কার্যকলাপে আমি আতঙ্কিত। ২০১৬ সালে মুসলিম আইন অনুসারে আমাদের বিয়ে হয় এবং সব ডকুমেন্ট নিজের কাছে আটকে রাখে। পরে তা অস্বীকার করে।

বিষয়টি নিয়ে গত ২৬ মে হাজারীবাগ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরিও (জিডি) করেছেন ভুক্তভোগী। এতে বলা হয়, ‘ফুয়াদ হোসেন শাহাদাত আমার স্বামী। তার সঙ্গে আমার বিয়ে হয় ২০১৬ সালে। পারিবারিক কলহের পর সে গত ১৮ মে আমাকে হোয়াটসঅ্যাপে কল করে মেরে ফেলার হুমকি দেয় এবং মিথ্যা মামলা দেবে বলে হুমকি প্রদান করেছে।এর আগে গত বছরের নভেম্বর একই থানায় ওই তরুণীর বিরুদ্ধে ফুয়াদ হোসেন শাহাদাত একটি সাধারণ ডায়েরি করেছিলেন।

চলতি বছরের এপ্রিলে শাহবাগ থানায় করা আরেকটি জিডিতে তিনি (ফুয়াদ হোসেন শাহাদাত) উল্লেখ করেন, গত এপ্রিল ওই তরুণী হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরে কল দিয়ে শাহাদাতকে বলেন, তার (তরুণী) কথা যদি শাহাদাত না শোনেন এবং কথামতো যদি কাজ না করেন, তাহলে তিনি তার কণ্ঠ নকল করে এআই বা অ্যাপের মাধ্যমে অপ্রীতিকর মন্তব্য ছোট ছোট অডিও ক্লিপ বানিয়ে সবার কাছে পাঠাবেন। কণ্ঠ ক্লোন করে এসব ক্লিপ বানানো হবে গুরুত্বপূর্ণ মানুষকে নিয়ে, যাতে প্রয়োগ করা হবে খারাপ অশ্লীল শব্দ।

সার্বিক বিষয়ে ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান বলেন, ‘গত ২৪ মে বিষয়ে আমরা একটি অভিযোগ পেয়েছি। ঘূর্ণিঝড় রিমালের কারণে সাংগঠনিক ব্যস্ততা থাকায় নিয়ে কাজ করতে পারিনি। শিগগির আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখব এবং তদন্তসাপেক্ষে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।


ছাত্রলীগ   সাদ্দাম   ইনান  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন