ইনসাইড পলিটিক্স

কারা আসছেন স্বাচিপের নেতৃত্বে?

প্রকাশ: ০৬:০৫ পিএম, ২৪ নভেম্বর, ২০২২


Thumbnail

আওয়ামী লীগের ভ্রাতৃপ্রতিম চিকিৎসক সংগঠন স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের পঞ্চম জাতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে আগামীকাল। এই সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। সম্মেলনকে ঘিরে চিকিৎসকদের মধ্যে নানামুখী আলাপ-আলোচনা চলছে। বিশেষ করে স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের নেতৃত্বে কে আসবেন, নেতৃত্বে পরিবর্তন হবে কিনা এ নিয়ে নানারকম জল্পনা-কল্পনা চলছে। বর্তমানে স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন অধ্যাপক ডা. এম ইকবাল আর্সলান এবং মহাসচিবের দায়িত্ব পালন করছেন অধ্যাপক ডা. এমএ আজিজ। এবার সম্মেলনের মধ্য দিয়ে এই নেতৃত্বের পরিবর্তন হবে কিনা, সেটি এখন সবচেয়ে বড় আলোচনার বিষয়। একাধিক দায়িত্বশীল সূত্রগুলো বলছে যে, স্বাচিপের নেতৃত্বে পরিবর্তন আসতে পারে। বিশেষ করে স্বাচিপের বর্তমান সভাপতি ডা. এম ইকবাল আর্সলানকে সরিয়ে নতুন কোনো সভাপতিকে নিয়োগ দেওয়ার কথা ভাবা হচ্ছে। নতুন সভাপতি হিসেবে বর্তমান মহাসচিব ডা. এম এ আজিজ, বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া এবং ডা. কামরুল হাসানের নাম জোরেশোরেই উচ্চারিত হচ্ছে। এদের মধ্যে যে কেউ একজন সভাপতি হতে পারেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে বিভিন্ন সূত্রগুলো বলছে, ডা. আজিজ এবং ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া মধ্যে যদি কেউ সভাপতি হয় তাহলে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না।

অন্যদিকে স্বাচিপের মহাসচিব পদেও বড় ধরনের পরিবর্তন আসতে যাচ্ছে বলে বিভিন্ন সূত্র থেকে আভাস দেওয়া হয়েছে। স্বাচিপের বর্তমান মহাসচিব যদি শেষ পর্যন্ত সভাপতি হন তবে সেখানে স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক ডা. আবু ইউসুফ ফকির, স্বাচিপের কেন্দ্রীয় নেতা বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের নিউরোসার্জারি বিভাগের ডিন ও নিউরোসার্জন অধ্যাপক মোহাম্মদ হোসেন এবং ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের রেডিওলোজির অধ্যাপক ও ঢাকা মেডিকেল অনুষদের ডিন ডা. শাহরিয়ার নবী শাকিলের নাম আলোচনায় রয়েছে বেশ জোরেশোরে। চিকিৎসকদের সবচেয়ে বড় এই সংগঠনের নেতৃত্ব নানা কারণে গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশের রাজনীতিতে বিভিন্ন সঙ্কটে চিকিৎসকরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। বিশেষ করে ১৯৯০ সালের স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনের সময় বিএমএ'র নেতা ডা. মিলনের মৃত্যুর মধ্য দিয়ে এরশাদ পতনের মূল পথযাত্রা সূচনা হয়েছিল। সেই সময়ে বিএমএ'র মহাসচিব ছিলেন ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন।

স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ মূলত মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পক্ষের চিকিৎসকদের সংগঠন। কিন্তু টানা ১৪ বছর আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকার কারণে স্বাচিপই এখন চিকিৎসকদের প্রধান সংগঠনে পরিণত হয়েছে। স্বাচিপের নেতারাই বিএমএ নির্বাচনে ভূমিকা রাখে। বর্তমানে স্বাচিপের সভাপতি যিনি আছেন তিনি আওয়ামী লীগের একজন ত্যাগী চিকিৎসক নেতা। বিভিন্ন সঙ্কটে তার ভূমিকা ছিল অত্যন্ত গৌরবোজ্জ্বল। বিশেষ করে এক-এগারোর সময় তিনি ভূমিকা রেখেছিলেন। কিন্তু তিনি বিরল একজন স্বাচিপ নেতা যিনি আওয়ামী লীগ ১৪ বছর ক্ষমতায় থাকার পরও তেমন কিছুই পাননি। এমনকি তাকে বিএমএ'র নির্বাচনেও মনোনয়ন দেওয়া হয়নি। নানা কারণে তিনি বঞ্চিত হয়েছেন। ইকবাল আর্সলান এবার কি সভাপতি থাকবেন কিনা, সেটি একটি বড় প্রশ্ন। কারণ, তার বিরুদ্ধ মত এখন অত্যন্ত সক্রিয় রয়েছে। ইকবাল আর্সলানকে বাদ দিয়ে যে কাউকে করার পক্ষে কিছু কিছু মত তৈরি হয়েছে। তবে শেষ পর্যন্ত স্বাচিপের নতুন নেতৃত্ব চূড়ান্ত করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাই। আগামীকালই বোঝা যাবে স্বাচিপের নেতৃত্বে কি পরিবর্তন আসছে, নাকি আগের নেতৃত্বই থাকছে।


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

মির্জা ফখরুল লাখো জনতার সামনে ভাষণ দিচ্ছেন, কই ঠেকাতে পেরেছেন?

প্রকাশ: ০৫:৩০ পিএম, ২২ সেপ্টেম্বর, ২০২৩


Thumbnail

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুলকে নিয়ে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপসের বক্তব্যের জবাব দিয়েছেন দলটির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদীন ফারুক। তিনি তাপসের উদ্দেশে বলেছেন, ‘কথাবার্তা বলতে একটু মুখটা সাবধান করে বলবেন। মির্জা ফখরুল তো লাখো জনতার উদ্দেশে ভাষণ দিচ্ছেন। কই ঠেকাতে পেরেছেন?’

শুক্রবার (২২ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে জিয়াউর রহমান সমাজকল্যাণ ফোরাম (জিসফ) আয়োজিত প্রতীকী অবস্থান কর্মসূচিতে এসব কথা বলেন তিনি। 

প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে বিএনপির এ নেতা আরও বলেন, আপনার (শেখ হাসিনার) বিনা ভোটের মেয়র বলেন মির্জা ফখরুলকে ঢাকায় ঢুকতে দেবেন না। তাপস, তোমার বাবার সঙ্গে রাজনীতি করার সৌভাগ্য হয়েছে আমার। কথাবার্তা বলতে একটু মুখটা সাবধান করে বলো। মির্জা ফখরুল তো লাখো জনতার উদ্দেশে ভাষণ দিচ্ছেন, ঠেকাতে পেরেছেন? তাই এসব কথা বলে নিজের দুর্বলতা প্রকাশ করছেন।’

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জিসফের সভাপতি মনজুর রহমান ভূঁইয়া। সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক মো. শাহ আলমের পরিচালনায় প্রতীকী অবস্থান কর্মসূচিতে আরও উপস্থিত ছিলেন- সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের সদস্য সচিব কাদের গণি চৌধুরী, তাঁতী দলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক কাজী মনিরুজ্জামান মনির, মৎস্যজীবী দলের সদস্য ইসমাইল হোসেন সিরাজী, গণঅধিকার পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক মো. তারেক রহমান, নবীন দলের সভাপতি হুমায়ুন কবির প্রমুখ।

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর   বিএনপি   ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন   শেখ ফজলে নূর তাপস  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

আব্দুল্লাহপুর ও যাত্রাবাড়ীতে বিএনপির সমাবেশ চলছে

প্রকাশ: ০৫:১৫ পিএম, ২২ সেপ্টেম্বর, ২০২৩


Thumbnail

খালেদা জিয়ার মুক্তি ও সরকার পতনের একদফা দাবিতে বিএনপির সমাবেশ শুরু হয়েছে। শুক্রবার (২২ সেপ্টেম্বর) বিকাল ৩টায় রাজধানীর যাত্রাবাড়ীর শহীদ ফারুক সড়কে এই সমাবেশ শুরু হয়।

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপি এই সমাবেশের আয়োজক। সমাবেশ উপলক্ষে দুপুর থেকেই নেতাকর্মীরা এসে ভিড় করেছেন।বৃষ্টি উপেক্ষা করে নেতাকর্মীদের সমাবেশস্থলে নানা স্লোগান দিতে দেখা গেছে।

দুপুর থেকে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির বিভিন্ন ইউনিটের নেতাকর্মীরা মিছিল নিয়ে সমাবেশস্থলে জড়ো হতে থাকেন।তাদের হাতে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের ছবি সংবলিত নানা প্ল্যাকার্ড দেখা গেছে।

সমাবেশে প্রধান অতিথি আছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস। বিশেষ অতিথি হিসেবে আছেন স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান। সভাপতিত্ব করবেন মহানগর দক্ষিণের আহ্বায়ক আবদুস সালাম।

এদিকে রাজধানীর আবদুল্লাহপুরে জড়ো হয়েছেন মহানগর উত্তর বিএনপির নেতাকর্মীরা। শুক্রবার (২২ সেপ্টেম্বর) বিকাল ৩টায় রাজধানীর আব্দুল্লাহপুর পলওয়েল মার্কেট সংলগ্ন ময়দানে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির উদ্যোগে এই সমাবেশ শুরু হয়। 

সমাবেশের জন্য আব্দুল্লাহপুর পলওয়েল মার্কেট সংলগ্ন ময়দানে অস্থায়ী মঞ্চ তৈরি করা হয়েছে। 

মঞ্চের ব্যানারে লেখা হয়েছে, অবৈধ সরকারের পদত্যাগ, সংসদ বিলুপ্ত, নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি। 

সমাবেশে সভাপতিত্ব করছেন ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক ডা. ফরহাদ হালিম ডোনার এবং সঞ্চালনা করবেন সদস্য সচিব আমিনুল হক। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

বিএনপির সমাবেশ   নির্বাচন   এক দফা আন্দোলন   সরকার পতন   মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

তারেক জিয়া কি দেশে আসছে?

প্রকাশ: ০২:০০ পিএম, ২২ সেপ্টেম্বর, ২০২৩


Thumbnail

গত কয়েকদিন ধরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিএনপির নেতাকর্মীরা একটি পোস্ট দিচ্ছে। ‘লিডার আসছে’—এই শিরোনামে পোস্ট বিএনপি এবং রাজনৈতিক অঙ্গনে চাঞ্চল্য সৃষ্টি করছে।

বিএনপির একাধিক নেতাকে এই পোস্টের ব্যাপারে জিজ্ঞেস করা হলো তারা রহস্যময় উত্তর দিয়েছেন। তবে নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিএনপির স্থায়ী কমিটির একজন সদস্য বলছেন, তারেক জিয়ার দেশে আসার একটি পরিকল্পনা রয়েছে। এই পরিকল্পনাটি বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার প্রেক্ষাপটে তৈরি করা হয়েছে বলেও বিএনপির স্থায়ী কমিটির ওই সদস্য বাংলা ইনসাইডারকে নিশ্চিত করেছেন। 

এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা অত্যন্ত নাজুক। আজ সকালে তার (খালেদা জিয়া) শারীরিক অবস্থার অবনতির কারণে আবার সিসিইউতে স্থানান্তর করা হয়েছে। তার লিভারে পানি জমে ছিল, পানি বের করতে হয়েছে এবং তার হিমোগ্লোবিন ৮ এর নিচে। এরকম পরিস্থিতিতে বেগম খালেদা জিয়ার যেকোনো সময় যেকোনো ঘটনা ঘটতে পারে বলে চিকিৎসকরা বলছেন। যদিও গত দুই দিন ধরে তার অবস্থা কিছুটা স্থিতিশীল ছিল। 

বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটলে বা তার কোনো চূড়ান্ত পরিণতি ঘটলে বিএনপি এক তান্ডবের মহাপরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। এই তাণ্ডবের মহাপরিকল্পনার একটি অংশ আছে তারেক জিয়ার বাংলাদেশে আসা এবং বর্তমান সরকার বিরোধী এক দফা আন্দোলনকে চূড়ান্ত পরিণতির দিকে নিয়ে যাওয়া। তারেক জিয়া নিজেও এধরনের বার্তা বিভিন্ন স্থায়ী কমিটির সদস্যদেরকে দিয়েছেন। 

মায়ের শেষ পরিণতি হলে বাংলাদেশে আসলে জনগনের মধ্যে একটা আবেগ কাজ করবে, সাধারণ মানুষ তার এই আসাটাকে ইতিবাচকভাবে নেবে—এমনটি মনে করছেন বিএনপির নেতারা। তাছাড়া এরকম ঘটনা ঘটলে তারেক জিয়া যদি দেশে আসে তাহলে বিমানবন্দরে তাকে আটক করাটাও কঠিন হতে পারে বলে বিএনপির নেতারা হিসেব কষে দেখছেন। এটি তার জন্য দেশে আসার সুবর্ণ সুযোগ বলে তারা মনে করছেন। 

উল্লেখ্য, একুশে আগস্টে গ্রেনেড হামলা সহ একাধিক মামলায় দণ্ডিত তারেক জিয়া। একুশ আগস্ট গ্রেনেড হামলার মামলায় তারেক জিয়াকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এখন এই দণ্ডিত আসামী যদি দেশে আসেন তাহলে তাকে অবশ্যই আগে আত্মসমর্পণ করতে হবে, জেলে যেতে হবে। তারপর তার জামিনের জন্য তাকে আবেদন করতে হবে এবং আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমেই তাকে মুক্ত করতে হবে। কিন্তু বিএনপির নেতারা এটি করতে চান না। তারা জানেন যে, যে মামলাগুলো হয়েছে এবং যে রায় দেওয়া হয়েছে সেখান থেকে বাঁচার পথ নেই বললেই চলে। এরকম পরিস্থিতিতে একটা ঘটনা ঘটিয়ে তারেক জিয়াকে দেশে আনার পরিকল্পনা রয়েছে। সেরকম একটি বড় ঘটনা ঘটতে পারে খালেদা জিয়ার জীবনের চূড়ান্ত পরিণতি। 

তবে বিএনপির অনেক নেতাই মনে করেন, তারেক জিয়া এখন লন্ডনে যে বিলাসবহুল আরাম-আয়েশ জীবন যাপন করছেন সেখান থেকে তিনি কোনো অবস্থাতেই দেশে ফিরবেন না। তারেক জিয়া শুধু নিজেকেই ভালোবাসেন, তার মা বা দলের জন্য তার কোনো টান আদৌ আছে কিনা তা নিয়ে বিএনপির মধ্যেই সন্দেহ রয়েছে। কারণ তা যদি থাকতো তাহলে মায়ের এই অবস্থায় তিনি না আসুন, তার স্ত্রী কিংবা তার কন্যাকে পাঠাতে পারতেন। কিন্তু বেগম জিয়ার এই দীর্ঘ পাঁচ বছরের কঠিন সময়ে তারেক জিয়া এবং তার স্ত্রী কন্যারা একবারও আসেননি। তাই এবারও তারেক জিয়া দেশে আসছে বলে যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুঞ্জন ছড়ানো হচ্ছে তার স্রেফ একটা প্রতারণা বলেই মনে করছেন অনেকে। কারণ নেতাকর্মীরা বিভ্রান্ত হয়ে পড়ছেন, তারা নেতৃত্বের প্রতি আস্থা হারাচ্ছেন। আর এ কারণেই ‘লিডার আসছে’ বলে বিএনপির নেতাকর্মীদের সঙ্গে নতুন করে প্রতারণার ফাঁদ ফাদা হচ্ছে।

তারেক জিয়া   বিএনপি   খালেদা জিয়া   এভারকেয়ার হাসপাতাল   এক দফা আন্দোলন   ২১ আগস্ট   গ্রেনেড হামলা  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

মির্জা ফখরুলকে নিয়ে পাল্টাপাল্টি অবস্থানে মেয়র তাপস-ইশরাক

প্রকাশ: ০১:০০ পিএম, ২২ সেপ্টেম্বর, ২০২৩


Thumbnail

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে ঢাকায় ঢুকতে না দেওয়া নিয়ে মহানগর দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ফজলে নূর তাপসের বক্তব্যের কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন বিএনপির আন্তর্জাতিকবিষয়ক কমিটির সদস্য ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন। 

তাপসকে উলটো প্রশ্ন ছুড়ে বলেছেন, ঢাকা শহরে ঢুকতে দেওয়া না দেওয়ার আপনি কে?

বৃহস্পতিবার (২১ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর গোপীবাগে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির শুক্রবারের সমাবেশ উপলক্ষ্যে আয়োজিত প্রস্তুতিসভায় ইশরাক হোসেন এ কথা বলেন।

এ সময় তিনি বলেন, ঢাকা শহরই শুধু নয়, এই বাংলাদেশ কারও পৈতৃক সম্পত্তি নয়। আর তিনিও (তাপস) পৈতৃক সম্পত্তির সূত্রে সিটি করপোরেশনের মেয়রের চেয়ারে বসেননি। 

একজন নাগরিক তিনি মহাসচিব হোন কিংবা সাধারণ কোনো মানুষ হোন, তাকে ঢাকা শহরে ঢুকতে দেওয়া না দেওয়ার আপনি কেউ-ই না। এটা বলারও আপনার কোনো অধিকার নেই।

উল্লেখ্য, এর আগে বুধবার রাজধানীর বনশ্রীতে ২নং ওয়ার্ডের উন্নয়ন উৎসবে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে আর ঢাকায় ঢুকতে দেওয়া হবে না বলে মন্তব্য করেছিলেন মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস। 

মির্জা ফখরুল   মেয়র তাপস   ইশরাক হোসেন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

শারীরিক অবস্থার অবনতি, ফের সিসিইউতে খালেদা জিয়া

প্রকাশ: ১২:৪২ পিএম, ২২ সেপ্টেম্বর, ২০২৩


Thumbnail

বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার আবার অবনতি ঘটেছে। আজ শুক্রবার (২২ সেপ্টেম্বর) তাকে আবারও সিসিইউতে স্থানান্তর করা হয়েছে। এভারকেয়ার হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, বেগম খালেদা জিয়ার লিভারে এবং হার্টে পানি জমছে। সেখোন থেকে তার পানি বের করতে হচ্ছে। পানি বের করার ফলে তিনি শারীরিক ভাবে দুর্বল হয়ে পড়ছেন। কারণ শরীরের হিমোগ্লোবিন পরিমাণও কম। ৮ এর নিচে তার হিমোগ্লোবিন রয়েছে। 

চিকিৎসকরা বলছে, তার (খালেদা জিয়া) অবস্থার অবনতি হওয়ার কারণেই তাকে সিসিইউতে স্থানান্তর করা হয়েছে।

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা কখনও কিছুটা উন্নতি, আবার কখনও খারাপ হচ্ছে। চিকিৎসকদের পরামর্শে বর্তমানে তিনি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। এ অবস্থায় ফের স্বাস্থ্যের অবনতি হওয়ায় তাকে কেবিন থেকে করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) নেওয়া হয়েছে।

উল্লেখ্য, এর আগে রোববার (১৭ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত ২টার দিকে তাকে সিসিইউতে স্থানান্তর করা হয়েছিল। এক মাসেরও বেশি সময় ধরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন খালেদা জিয়া। গত ৯ আগস্ট রাতে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য খালেদা জিয়াকে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেই থেকে তিনি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এখন তার লিভার, হৃদযন্ত্র ও কিডনির সমস্যা জটিল অবস্থায় রয়েছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।

এর আগে ২০২১ সালের ২৮ নভেম্বর খালেদা জিয়ার লিভার সিরোসিসে আক্রান্তের বিষয়টি সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছিল তার মেডিকেল বোর্ড। তখন থেকে প্রায় দুই বছরে পরিপাকতন্ত্রে কয়েকবার রক্তক্ষরণ হয়েছে তার।

সিসিইউ   খালেদা জিয়া   এভারকেয়ার হাসপাতাল  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন