৮১ সদস্যের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্যদের নাম চূড়ান্ত করেছে আওয়ামী লীগ। গত শনিবার (২৪ ডিসেম্বর) আওয়ামী লীগের ২২তম সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। পরে রবিবার (১ জানুয়ারি) দলটির কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্যদের নাম চূড়ান্ত করা হয়েছে। ২৮টি সদস্য পদের মধ্যে ২৭ জনের নাম ঘোষণা করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে আওয়ামী লীগের বিভিন্ন সূত্র।
রবিবার (১ জানুযারি) সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে আওয়ামী লীগের সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। পরে গণভবনের সামনে অপেক্ষমান সাংবাদিকদের কাছে আওয়ামী লীগের নতুন কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্যদের নাম ঘোষণা করেন দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্যরা হলেন- আবুল হাসনাত আবদুল্লাহ, নুরুল ইসলাম ঠান্ডু, বিপুল ঘোষ, দীপংকর তালুকদার, আমিনুল আলম মিলন, বেগম আখতার জাহান, ডা. মুশফিক হোসেন চৌধুরী, মেরিনা জামান, পারভীন জামান কল্পনা, অ্যাড. সফুরা বেগম রুমি, অধ্যাপক মো. আলী আরাফাত, তারানা হালিম, সানজিদা খানম, হোসনে আরা লুৎফা ডালিয়া, আনোয়ার হোসেন, আনিসুর রহমান, শাহাবুদ্দিন ফরাজি, ইকবাল হোসেন অপু, গোলাম রব্বানি চিনু, মারুফা আক্তার পপি, রেমন্ড আরেং, গ্লোরিয়া সরকার ঝর্ণা, সাঈদ খোকন, আজিজুর রহমান ডন, সাখাওয়াত হোসেন শফিক, দীলিপ কুমার চ্যাটার্জি ও তারিক সুজাত। অবশিষ্ট একজনের নাম পরে ঘোষণা করা হবে বলে জানানো হয়।
নতুন ঘোষণা দেওয়া ২৭টি নামের মধ্যে নতুন মুখ হিসেবে এসেছেন সাবেক প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম, সুচিন্তা ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী আরাফাত, দীলিপ কুমার চ্যাটার্জি ও তারিক সুজাত। এ ছাড়া আওয়ামী লীগের উপ-প্রচার সম্পাদক হয়েছেন গত কমিটির সদস্য সৈয়দ আব্দুল আওয়াল শামীম। আর গত কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক শাখাওয়াত হোসেন শফিককে কেন্দ্রীয় সদস্য হিসেবে রাখা হয়েছে। আওয়ামী লীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে প্রেসিডিয়াম সদস্যের একটি পদ ও শ্রম বিষয়ক সম্পাদক পদে এখনো কারো নাম ঘোষণা করা হয়নি।
প্রসঙ্গত, গত শনিবার (২৪ ডিসেম্বর) আওয়ামী লীগের ২২তম জাতীয় সম্মেলনের মধ্য দিয়ে টানা দশমবারের মতো নতুন সভাপতি শেখ হাসিনা এবং তৃতীয়বারের মতো ওবায়দুল কাদেরকে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচন করা হয়। ওই দিন ৮১ সদস্যের কমিটির মধ্যে ৪৮টি পদে মনোনীত নেতাদের নাম ঘোষণা করেন দলের সভাপতি শেখ হাসিনা। পরে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর বৈঠকে যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক মাশরাফি বিন মুর্তজাকে নির্বাচিত করা হয়। এছাড়া আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য হয়েছেন সিলেটের সৈয়দা জেবুন্নেছা হক।
আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটি সদস্য
মন্তব্য করুন
সরকারবিরোধী আগামীর আন্দোলন শুরুর আগে কর্মসূচি প্রণয়ন ও আন্দোলন পরিচালনায় শক্তিশালী লিয়াজোঁ কমিটি চায় বিএনপির মিত্ররা। তারা মনে করে, লিয়াজোঁ কমিটি না থাকায় বিগত আন্দোলন পরিচালনায় এক ধরনের সমন্বয়হীনতা ছিল।
কারণ, যুগপতের সব দল ও জোটের সঙ্গে বিএনপির পৃথক বৈঠক শেষে তাদের স্থায়ী কমিটিতে কর্মসূচি চূড়ান্ত হওয়াকে যথাযথ প্রক্রিয়া এবং আন্দোলনের সঠিক প্ল্যাটফর্ম বলে মনে করে না শরিকরা, বিশেষ করে গণতন্ত্র মঞ্চ। তাই এবার এ প্রশ্নে একটা সিরিয়াস মীমাংসা চান মঞ্চের নেতারা।
বিএনপির সঙ্গে বুধবার (১৫ মে) রাতে চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে লিয়াজোঁ কমিটি গঠনের পরামর্শ দিয়ে গণতন্ত্র মঞ্চের নেতারা বলেন, প্রতিটি জোট ও দল থেকে একজন করে নিয়ে ১০-১২ সদস্যবিশিষ্ট একটি লিয়াজোঁ কমিটি গঠন করতে হবে। সেই লিয়াজোঁ কমিটিতে আলোচনার ভিত্তিতে আন্দোলনের কর্মসূচি প্রণীত হবে। তার আগে নিজ নিজ দল ও জোটের সিদ্ধান্ত নিয়ে সংশ্লিষ্ট নেতারা বৈঠকে উপস্থিত হবেন।
নব্বইয়ে এরশাদবিরোধী আন্দোলনসহ অতীতের আন্দোলনগুলোতে লিয়াজোঁ কমিটি এভাবে কাজ করেছে। কিন্তু বিগত আন্দোলনে এ প্রক্রিয়ায় কর্মসূচি প্রণীত হয়নি। পাঁচ-দশ মিনিট আগে মিত্রদের কর্মসূচির বিষয়ে জানানো হতো এবং কর্মসূচির সঙ্গে সহমত না হলেও সেটাই তারা ঘোষণা করতেন। বৈঠক সূত্রে এমন তথ্য জানা গেছে।
যুগপৎ আন্দোলন পুনরুজ্জীবিত করে সরকারের পদত্যাগ ও নতুন নির্বাচনের দাবিতে ঈদুল আজহার পর মাঠে নামার পরিকল্পনা করছে বিএনপি। সেই আন্দোলনের কর্মকৌশল নির্ধারণে পরামর্শ নিতে গত রোববার থেকে মিত্রদের সঙ্গে ধারাবাহিক বৈঠক করছে দলটি। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের পর এ ধরনের বৈঠক এবারই প্রথম। এর অংশ হিসেবে বৃহস্পতিবার (১৬ মে) এনডিএম, বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ এবং মিয়া মসিউজ্জামান ও ফারুক হাসানের নেতৃত্বাধীন গণঅধিকার পরিষদের সঙ্গে বৈঠক করে বিএনপির লিয়াজোঁ কমিটি।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গণতন্ত্র মঞ্চ ছাড়াও এর আগে গত সোমবার বিএনপির সঙ্গে বৈঠকে আন্দোলনের কর্মসূচি প্রণয়নে সমন্বয়হীনতা দূরীকরণে যুগপতের সব দল ও জোট থেকে দু-একজন করে নিয়ে শক্তিশালী লিয়াজোঁ কমিটি গঠনের ওপর জোর দেন সমমনা জোটের নেতারা।
মন্তব্য করুন
শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন বিএনপি
মন্তব্য করুন
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জাতীয় প্রেস ক্লাব
মন্তব্য করুন
বিএনপি ভারত বিরোধী মার্কিন বিরোধী মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর
মন্তব্য করুন
শেখ হাসিনা বাহাউদ্দিন নাছিম আওয়ামী লীগ ঢাকা-৮
মন্তব্য করুন
১৯৮১ সালের ১৭ মে। স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। আওয়ামী লীগ সভাপতি স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করেছিলেন এক বৃষ্টিমুখর দিনে। সেই দিনে লাখো মানুষ মানিক মিয়া এভিনিউতে জড়ো হয়েছিল জাতির পিতার কন্যাকে দেখার জন্য। তাদের শোক এবং আবেগ ছিল হৃদয়স্পর্শী। সারা বাংলাদেশ উত্তাল হয়েছিল। জাগরণের এক গান গেয়ে স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করেছিলেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বাংলাদেশের জন্ম হওয়ার পর থেকেই প্রতিবেশী দেশ বাংলাদেশকে নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেছে। এই সরকার পুরোপুরিভাবে নতজানু সরকারে পরিণত হয়েছে। শুধু ফারাক্কা নয়, গঙ্গার পানি নয়, বাংলাদেশের ১৫৪টি নদীতে পানি দিতে তারা গড়িমসি করে যাচ্ছে। তিস্তা নদীর পানি বণ্টন, এ করছি, এ হচ্ছে এমন করে সময় শেষ করছে সরকার। এ যে ব্যর্থতা এর মূল কারণ হচ্ছে, সরকারে যারা আছে তারা পুরোপুরিভাবে একটা নতজানু সরকার।