প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর শাড়ি নিয়ে বিবাদে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) বঙ্গমাতা হল ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় উভয় গ্রুপের অন্তত দশ জন আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে চারজনের নাম জানা গেছে। তারা হলেন- কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক মুক্তিযুদ্ধ ও গবেষণা বিষয়ক উপ-সম্পাদক ও হলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক রওনক জাহান রাইন, প্রশিক্ষণ উপ-সম্পাদক তানিয়া আক্তার তাপসী, ছাত্রলীগ কর্মী সুলতানা ও সাধারণ শিক্ষার্থী শাহিদা আক্তার। আহতরা বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেল সেন্টার থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।
শুক্রবার (৬ জানয়ারি) রাতে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকতের অনুসারীদের মধ্যে এই মারামারির ঘটনা ঘটে।
হল সূত্রে জানা গেছে, ছাত্রলীগের সাবেক প্রশিক্ষণ বিষয়ক উপ-সম্পাদক তানিয়া আক্তার তাপসী বঙ্গমাতা হলের শিক্ষার্থী। বর্তমানে তিনি ঢাবি সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকতের অনুসারী হিসেবে পরিচিত। আর হলের বর্তমান সভাপতি কোহিনূর আক্তার রাখি সাদ্দাম হোসেনের অনুসারী এবং সানজিনা ইয়াসমিন কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ ইনানের অনুসারী।
সম্প্রতি ছাত্রলীগের নতুন কমিটি হওয়ার পর তাপসী ওই হলের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের সঙ্গে রাজনীতি না করে এককভাবে তানভীর হাসান সৈকতের রাজনীতি করতে চান। প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে তার অনুসারীদের জন্য বর্তমান হল সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের কাছে আলাদা শাড়ি দাবি করেন। কিন্তু সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক তাপসী ছাড়া তার বাকি অনুসারীদের শাড়ি দিতে অস্বীকৃতি জানান। পরে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে আলাদাভাবেই অংশগ্রহণ করেন তাপসী ও তার অনুসারীরা। ওই দিন প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠান শেষে সন্ধ্যায় হলে ফিরে যাওয়ার পর এ নিয়ে উত্তেজনা তৈরি হয়। এক পর্যায়ে দুই গ্রুপের মধ্যে কথা-কাটাকাটি, হাতাহাতি এবং মারামারির ঘটনা ঘটে।
এ সময় হল ছাত্রলীগের সভাপতি কোহিনূর আক্তার রাখি ও সাধারণ সম্পাদক সানজিনা ইয়াসমিন নিজেরাও চড়াও হয়ে মারধর ও হাতাহাতিতে অংশ নেন বলে জানান একাধিক প্রত্যক্ষদর্শী। রাত ৮টার দিকে শুরু হওয়া হাতাহাতি ও সংঘর্ষ চলে রাত ১০টা পর্যন্ত।
পরে ঘটনাস্থলে যান বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. একেএম গোলাম রব্বানী, হল প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. নিলুফার পারভীন, ঢাবি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মাজহারুল কবির শয়ন ও সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকত। তারা উভয়পক্ষের সঙ্গে আলাপ করে বিষয়টির সমাধান করেন। এ ঘটনা তদন্ত করে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন ছাত্রলীগ নেতারা।
শাড়ি বঙ্গমাতা হল ছাত্রলীগ মারামরি
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
১৪ দল আওয়ামী লীগ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
মন্তব্য করুন
ওবায়দুল কাদের আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক
মন্তব্য করুন
বিএনপি ধর্মঘট রাজনীতির খবর তারেক জিয়া
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগ উপজেলা নির্বাচন কার্যনির্বাহী কমিটি ওবায়দুল কাদের রাজনীতির খবর
মন্তব্য করুন
ওবায়দুল কাদের বেশ কদিন ধরে দাপটে ছিলেন। তিনি প্রতিদিন সংবাদ সম্মেলন করতেন এবং উপজেলা নির্বাচন নিয়ে কঠোর সতর্কবার্তা জারি করতেন। বিশেষ করে উপজেলা নির্বাচনে আত্মীয় স্বজনরা যেন প্রার্থী না হয় সে ব্যাপারে তিনি কঠোর হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছিলেন এবং যারা দলের সিদ্ধান্ত মানবেন না তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য তিনি ঘোষণা দিয়েছিলেন।
বিএনপি এখন দিশেহারা দিগ্বিদিকহীন একটি রাজনৈতিক দল। দলটি কী করছে, কী বলছে সে সম্পর্কে তাদের নিজেদেরই যেন কোন হিসেব নেই। গত ২ দিন ধরে বিএনপির নেতারা এক নৈব্যক্তিক অবস্থায় আছেন। তারা কেউই কোন কথা বলছেন না। দলের রুটিন কার্যক্রম অর্থাৎ সভা সমাবেশ ছাড়া দলের নেতাদেরকে আগ্রহ নিয়ে কোনো তৎপরতা চালাতে দেখা যাচ্ছে না।
মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয় স্বজনরা নির্বাচন করতে পারবে না- এই অবস্থান থেকে শেষ পর্যন্ত আওয়ামী লীগ পিছু হঠেছে। আজ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সংবাদ সম্মেলনে দেওয়া বক্তব্য থেকে স্পষ্ট প্রতীয়মান হয়েছে যে, যারা দলের সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করে এ ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে অর্থাৎ নিজেদের আত্মীয় স্বজনদের উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী করেছেন তাদের আপাতত কিছু হচ্ছে না। অথচ ক’দিন আগেও দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এ ব্যাপারে কঠোর অবস্থান গ্রহণ করেছিলেন। তিনি বারবার নির্দেশনা দিচ্ছিলেন এবং যারা এই দলীয় সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করবে তাদের বিরুদ্ধে দলের কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলেও তিনি জানিয়েছিলেন। কিন্তু আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠকে এ বিষয়ে কোন সিদ্ধান্ত হয়নি। আজ আওয়ামী লীগ সভাপতি এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকেও তাদের ব্যাপারে নমনীয় মনে হয়েছে।