ইনসাইড পলিটিক্স

বিএনপি সমাবেশ করে দেশে অশান্তি সৃষ্টির লক্ষ্যে: তথ্যমন্ত্রী

প্রকাশ: ০৫:২১ পিএম, ১৬ জানুয়ারী, ২০২৩


Thumbnail

তথ্যমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, 'আমাদের দল আজকে যে সমাবেশ করছে এবং ঢাকা শহরের বিভিন্ন জায়গায় যে সমাবেশগুলো আমরা করেছি, সেগুলো শান্তি সমাবেশ। আর নয়াপল্টন, প্রেসক্লাবসহ বিভিন্ন জায়গায় বিএনপি যে সমাবেশগুলো করছে সেগুলো হচ্ছে দেশে অশান্তি সৃষ্টি করার লক্ষ্যে সমাবেশ। এই হচ্ছে আমাদের সমাবেশের সাথে তাদের সমাবেশের পার্থক্য।' 

সোমবার (১৬ জানুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ আয়োজিত ‘বিএনপি, জামাতের সন্ত্রাস নৈরাজ্যের প্রতিবাদে শান্তিপূর্ণ অবস্থান কর্মসূচি’তে বক্তৃতায় মন্ত্রী একথা বলেন। 

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘তারা দেশে অশান্তি সৃষ্টি করতে চায়। কিন্তু অশান্তি সৃষ্টির অপচেষ্টা চালিয়ে আর বিদেশিদের পদলেহন করে কোন লাভ হয় নাই। আমাদের নেতা-কর্মীরা সবসময় সতর্ক পাহারায়, সতর্ক অবস্থানে থেকে শান্তি সমাবেশ করার কারণে বিএনপি দেশে, ঢাকা শহরে অপচেষ্টা চালালেও অশান্তি সৃষ্টি করতে পারে নাই।’ 

তিনি বলেন, ‘মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী সফরে এসে বলেছেন, বাংলাদেশের পরিস্থিতি অনেক ভালো হয়েছে এবং র‌্যাব, পুলিশ, বিজিবিসহ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ট্রেনিং দিতে চায়, সহায়তা করতে চায়। এটি হচ্ছে তাদের সর্বশেষ ঘোষণা। সুতরাং বিদেশিদের পদলেহন করে বিএনপির কোন লাভ হয় নাই। আর আজ বিএনপি  ৫৪ দল মিলে সমাবেশ করেছে, প্রেসক্লাবের সামনে ১২ দল না ১৪ দল মিলে মঞ্চে ২৪ জন আর সামনে ছিল ১০ জন। আরো কয়েক জায়গায় বিএনপি সমাবেশ করেছে- দল হচ্ছে ১৪ টা, মানুষ একশ’র বেশি নাই।’

সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, ‘আগে বিএনপির জোটে ছিল ২২ দল। সেটা ভেঙ্গে বানিয়েছে ১২ দল। দেশে জোট বড় হয় আর বিএনপির জোট ছোট হয়।’ 

হাছান মাহমুদ বলেন, ‘বিএনপি বলেছিল সরকার পদ্মা সেতু করতে পারবে না। এখন তারা গোপনে পদ্মা সেতু দিয়ে ওপারে যায় আর ওপারে গিয়ে আমাদের বিরুদ্ধে বক্তৃতা করে। করোনার টিকার বিরুদ্ধেও বিএনপি অপবাদ দিয়েছিল। পরে নেতারা গোপনে টিকা নিয়েছেন। মেট্রোরেল চালু হওয়ায় সমগ্র বাংলাদেশ খুশি কিন্তু বিএনপি খুশি না। এখন আমরা অপেক্ষায় আছি কখন আপনারা মেট্রোরেলে চড়বেন।’ 

মন্ত্রী হাছান বলেন, ‘আমি কাগজে দেখলাম মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেব আর মির্জা আব্বাস সাহেব হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। আমি তাদের রোগ মুক্তি কামনা করি। মির্জা ফখরুল, গয়েশ্বর বাবু আর মির্জা আব্বাসসহ নেতাদের জন্য আমরা করোনার এক্সট্রা ডোজ রেখেছি। আপনাদের দরকার হলে এক্সট্রা ডোজ নেন। আপনারা সুস্থ থাকুন, সরকারের বিরোধিতা করুন। কিন্তু দয়া করে দেশে অশান্তি সৃষ্টি করার অপচেষ্টা চালাবেন না। তাহলে দেশের মানুষ অতীতের মতোই আপনাদের প্রতিহত করবে। আর নির্বাচনে আসুন। নির্বাচনে না আসলে অন্য কতগুলো দলের মতো আপনারাও হাওয়ায় মিলিয়ে যাবেন।’ 

আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে দলের এই যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘বিএনপি হচ্ছে সাপের মতো। যখনই সুযোগ পাবে তখনই ছোবল মারবে। তাই সবসময় সতর্ক থাকবে হবে। নির্বাচন পর্যন্ত আমরা রাজপথে থাকবো, সতর্ক থাকবো, বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারিদের প্রতিহত করবো জনগণকে সাথে নিয়ে এবং নির্বাচনে বিজয় ছিনিয়ে এনে আবার জননেত্রী শেখ হাসিনাকে প্রধানমন্ত্রীর আসনে বসিয়ে আমরা ঘরে ফিরে যাবো। তার আগে যাবো না।’ 

আওয়ামী লীগের ঢাকা মহানগর দক্ষিণ শাখার সভাপতি আবু আহম্মেদ মান্নাফীর সভাপতিত্বে দলের সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, প্রেসিডিয়াম সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দীন, এড. কামরুল ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবীর প্রমুখ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন। 

বিএনপি   তথ্যমন্ত্রী   ড. হাছান মাহমুদ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

কাল আওয়ামী লীগের যৌথসভা

প্রকাশ: ১০:০৭ এএম, ০৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

আওয়ামী লীগের নেতাদের সঙ্গে ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণ ও ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ এবং সব সহযোগী সংগঠনের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকদের যৌথসভা আগামীকাল শুক্রবার (১০ মে) অনুষ্ঠিত হবে। দলের দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়ার সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শুক্রবার (১০ মে) বিকেল ৪টায় বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউস্থ দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আওয়ামী লীগের নেতাদের সঙ্গে ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণ ও ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ এবং সব সহযোগী সংগঠনের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকদের এক যৌথসভা অনুষ্ঠিত হবে।

সভায় সভাপতিত্ব করবেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।


আওয়ামী লীগ   যৌথসভা  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

উপজেলা নির্বাচন: ভোটার খরায় সম্পন্ন প্রথম ধাপ

প্রকাশ: ১০:০১ এএম, ০৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথমধাপের ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে গতকাল বুধবার (৮ মে)। এবারের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনও বর্জন করেছে বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলো। নির্বাচন অনেকটা আওয়ামী লীগ বনাম আওয়ামী লীগের মধ্যে সীমাবদ্ধ। ফলে উপজেলা নির্বাচনের প্রথম ধাপের ভোটের মূল বৈশিষ্ট্য হয়ে দাঁড়ায় ভোটারের খরা।

বুধবার (৮ মে) অনুষ্ঠিত প্রথম ধাপের উপজেলা নির্বাচনে বিচ্ছিন্ন কিছু সংঘাতের খবর পাওয়া গেছে। জাল ভোট দেওয়া, জবরদস্তি এবং ভোট কিনতে টাকা বিলানো, মন্ত্রী-সংসদ সদস্যদের প্রভাব বিস্তার এসবের অভিযোগও ছিল।

মাদারীপুর সদর, মুন্সিগঞ্জের গজারিয়া, সুনামগঞ্জের শাল্লা, নোয়াখালীর সুবর্ণচরে কিছু কেন্দ্রে সংঘর্ষ এবং পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এসব ঘটনায় বোমাবাজি, ইটপাটকেল নিক্ষেপ এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পক্ষ থেকে কাঁদানে গ্যাসের শেল ও রাবার বুলেট নিক্ষেপের ঘটনাও ঘটে। ভোটে অনিয়মের অভিযোগে বগুড়ায় দুই সহকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তাকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। এ ছাড়া ওই জেলার আরেক কেন্দ্রে প্রিসাইডিং কর্মকর্তাসহ দুজনকে আটক করা হয়।

শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ভোটের এদিনে রাত সাড়ে ১২টায় ১২২টি উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে বেসরকারিভাবে বিজয়ী প্রার্থীদের নাম জানা গেছে। তাদের মধ্যে ১০১ জনই আওয়ামী লীগের।

দেশে নির্বাচন কমিশনে (ইসি) নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল আছে ৪৪টি। এর মধ্যে প্রথম ও দ্বিতীয় ধাপ মিলিয়ে জাতীয় পার্টি, জেপি, জাসদ ও ওয়ার্কার্স পার্টি—এই চারটি দলের মোট ১২ জনের মতো দলীয় প্রতীকে প্রার্থী হয়েছেন।

আওয়ামী লীগ এবার তাদের কোনো প্রার্থীকে দলীয় প্রতীক না দিলেও প্রতিটি উপজেলায় দলটির একাধিক নেতা স্বতন্ত্র হিসেবে একে অপরের প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা, প্রচারে উত্তেজনা ও প্রভাব বিস্তারের যে তথ্য ভোটের আগে ছিল, এর প্রায় সবগুলোর সঙ্গেই আওয়ামী লীগের প্রার্থী এবং তাদের কর্মী-সমর্থকদের নাম এসেছে।

গতকাল বুধবার (৮ মে) প্রথম ধাপে ১৩৯টি উপজেলায় ভোট গ্রহণ করা হয়েছে। ৮ চেয়ারম্যানসহ ২৮ জন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়েছেন। তাদের প্রায় সবাই আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মী ও সমর্থক। ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ উপজেলা ভোটের প্রথম পর্ব নিয়ে অখুশি নয়।

দলটির নীতিনির্ধারকেরা মনে করছেন, বিএনপিসহ বিরোধী দলবিহীন ভোটে ৪০ শতাংশ ভোট পড়লেই তারা সন্তুষ্ট থাকবেন। বরং ভোটের দিন বড় সংঘাত, প্রাণহানি হয়নি এটাই বড় সাফল্য। পরের পর্বগুলোতে ভোটারের উপস্থিতি আরও বাড়তে পারে বলে মনে করছেন তারা।

ভোট গ্রহণ শেষে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, উপজেলা নির্বাচনে ভোটের হার ৩০ থেকে ৪০ শতাংশের মধ্যে হতে পারে বলে প্রধান নির্বাচন। নির্বাচনে বিচ্ছিন্ন কিছু ঘটনা ঘটেছে। এমন ৩৪টি ঘটনায় ৩৭ জনকে আটক করা হয়েছে। দুটি কেন্দ্রে ভোট স্থগিত করা হয়েছে।

এর আগে, নির্বাচন কমিশন জানিয়েছিল, দুপুর ১২টা পর্যন্ত প্রথম চার ঘণ্টায় ১৫ থেকে ২০ শতাংশ ভোট পড়ে থাকতে পারে। আর প্রথম দুই ঘণ্টার হিসাব জানিয়ে বলা হয়েছিল, ৭ থেকে ৮ শতাংশের মতো ভোট পড়েছে।

ভোটারের কম উপস্থিতির ব্যাখ্যায় সিইসি বলেন, ‘আমাদের বলা হয়েছে অনেকেই ধান কাটতে থাকায় ওরা ভোট দিতে আসেননি। সকালে বেশ কিছু জায়গায় ঝড়–বৃষ্টি হয়েছে, এটা একটা কারণ হতে পারে।’ ভোটের হার নিয়ে সন্তুষ্ট কি না, এমন প্রশ্নে কোনো মন্তব্য করতে চাননি সিইসি।

উপজেলা নির্বাচনের ইতিহাস বিশ্লেষণে দেখা যায়, প্রথম চারটি নির্বাচনে গুরুত্বপূর্ণ সব রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণ ছিল। সেগুলোতে ভোটারের উপস্থিতিও ছিল বেশি। সর্বশেষ ২০১৯ সালে বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলো উপজেলা নির্বাচন বর্জন করে। সেবার ভোট পড়ে ৪০ দশমিক ২২ শতাংশ। এবারও বিএনপি, জামায়াত, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি) ইসলামী আন্দোলনসহ গুরুত্বপূর্ণ দলগুলো ভোট বর্জন করেছে।

চলতি বছরের ৭ জানুয়ারি বিরোধী দলের বর্জনের মধ্য দিয়ে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ভোটার উপস্থিতি ও প্রতিদ্বন্দ্বিতা বাড়াতে প্রথমবারের মতো দলীয় সিদ্ধান্তে নৌকার প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে দলের নেতাদের স্বতন্ত্র ভোট করার সুযোগ দেয় আওয়ামী লীগ।

ইসির হিসাবে, জাতীয় নির্বাচনে ভোট পড়ার হার ৪১ দশমিক ৮ শতাংশ। এই নির্বাচনের চার মাসের মাথায় উপজেলা নির্বাচন শুরু হলো। চার ধাপে ৪৫০টির মতো উপজেলায় ভোট হওয়ার কথা রয়েছে। সর্বশেষ ধাপের ভোট হবে ৫ জুন।

এদিকে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, নির্বাচনে ৩০-৪০ শতাংশ ভোটারের উপস্থিতি সন্তোষজনক। অনেকের আশঙ্কা ছিল স্থানীয় সরকার নির্বাচন খুনোখুনি–মারামারির মাধ্যমে সমাপ্ত হবে। প্রাণহানি ছাড়া একটা শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হয়েছে।

২০১৯ সালে প্রথমবার দলীয় প্রতীকে উপজেলা নির্বাচনে ভোটারের উপস্থিতি ছিল ৪০ দশমিক ২২ শতাংশ। সেবার পাঁচ ধাপে উপজেলা ভোট অনুষ্ঠিত হয়। ভোটারদের নির্বাচনবিমুখতা গণতন্ত্রের জন্য অশনিসংকেত বলে তখন জাতীয় সংসদে বলেন বিরোধী দলের সংসদ সদস্যরা।

এর আগে, ২০১৪ সালে অনুষ্ঠিত চতুর্থ উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে ভোট পড়েছিল ৬১ শতাংশের মতো। সে বছর ছয় ধাপে উপজেলা নির্বাচন হয়। দেড় দশক আগে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর ২০০৯ সালের ২২ জানুয়ারি তৃতীয় উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে ভোট পড়েছিল ৬৮ দশমিক ৩২ শতাংশ। অর্থাৎ গত দুই নির্বাচনে ভোটারের উপস্থিতি ব্যাপকভাবে কমেছে।

২০১৯ সালে প্রথমবার বিএনপি ও তাদের সমমনা দলগুলো উপজেলা নির্বাচন বর্জন করে। এর আগের নির্বাচনগুলোতে দলটির নেতারা অংশ নিয়েছিল। এরপর থেকেই ভোটারের উপস্থিতি কমতে থাকে। এবার দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান এবং নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে বিএনপির ৭৫ জন অংশ নিয়েছেন। তাদের দল থেকে বহিষ্কারও করেছে বিএনপি।

আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ১৪-দলীয় জোটের শরিকদের বেশির ভাগেরই উপজেলা ভোটে কোনো তৎপরতা দেখা যায় না। দু-একটা দলের স্থানীয় নেতারা কিছু কিছু উপজেলায় প্রার্থী হয়েছেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ১৪–দলীয় জোটের একটি শরিক দলের শীর্ষ নেতা বলেন, অর্থ, প্রভাব, পেশিশক্তি ও লোকবল—এসব বিবেচনায় আওয়ামী লীগের সঙ্গে ভোটযুদ্ধে নামার মতো শক্তি তাঁদের নেই। এ ছাড়া প্রশাসন আওয়ামী লীগের নেতা ছাড়া অন্যদের খুব একটা পাত্তাও দেয় না। ফলে শুধু শুধু ভোটে নেমে লাভ কী?

এদিকে, ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ উপজেলা ভোটের প্রথম পর্ব নিয়ে অখুশি নয়। দলটির নীতিনির্ধারকেরা মনে করছেন, বিএনপিসহ বিরোধী দলবিহীন ভোটে ৪০ শতাংশ ভোট পড়লেই তারা সন্তুষ্ট থাকবেন। বরং ভোটের দিন বড় সংঘাত, প্রাণহানি হয়নি—এটাই বড় সাফল্য। পরের পর্বগুলোতে ভোটারের উপস্থিতি আরও বাড়তে পারে বলে মনে করছেন আওয়ামী লীগ।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আওয়ামী লীগের একজন নেতা বলেন, এখন ৪০ শতাংশ ভোটই একটা রীতিতে পরিণত হয়েছে। ভোটে প্রাণহানি এড়ানোই বড় সাফল্য মনে করেন তারা।

বুধবার (৮ মে) সন্ধ্যায় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘নির্বাচনে ৩০-৪০ শতাংশ ভোটারের উপস্থিতি সন্তোষজনক। অনেকের আশঙ্কা ছিল স্থানীয় সরকার নির্বাচন খুনোখুনি–মারামারির মাধ্যমে সমাপ্ত হবে। প্রাণহানি ছাড়া একটা শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হয়েছে’।

তবে নির্বাচন পর্যবেক্ষকেরা মনে করেন, উপজেলার এই নির্বাচন শান্তিপূর্ণ হলেও ভোট নিয়ে মানুষের মধে৵ আস্থার সংকট রয়েছে। সে কারণে স্থানীয় সরকারব্যবস্থার নির্বাচনেও ভোটারের উপস্থিতি কম।

সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার বলেন, একসময় বাংলাদেশের নারীদের দল বেঁধে ভোট দেওয়ার ঘটনা বিশ্বে খবর হতো। এখন আস্থাহীনতার কারণে ভোটার আসে না। কারণ, ভোট দিতে পারবে কি না, দিলে সঠিকভাবে গণনা হবে কি না এবং ফলাফল পাওয়া যাবে কি না, সেই আস্থাহীনতা আছে।

তিনি আরও বলেন, বিরোধী দলগুলোর নির্বাচন বর্জনও ভোটার কমিয়ে দিয়েছে। মূলত নির্বাচন কমিশন ও ভোট-ব্যবস্থার ওপর আস্থাহীনতার কারণে দলগুলোও ভোট বর্জন করছে। এটা গণতন্ত্রের জন্য দুঃসংবাদ।


উপজেলা নির্বাচন   ভোটার খরা   ইসি   আওয়ামী লীগ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

বেগম জিয়াকে বিদেশ নিতে এবার লবিস্ট ফার্ম

প্রকাশ: ০৯:০০ পিএম, ০৮ মে, ২০২৪


Thumbnail

বেগম খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশ নেওয়ার দাবি বিএনপির দীর্ঘদিনের। শুধু দাবি নয়, এ নিয়ে বিএনপির তদবিরও করছে। সরকারের সাথে পর্দার আড়ালে নানা রকম আলাপ আলোচনাও চলছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত এ ক্ষেত্রে তেমন কোন অগ্রগতি হয়নি। আর বিএনপি বেগম খালেদা জিয়ার উন্নত চিকিৎসা নিশ্চিত করার জন্য তাঁকে বিদেশে যাওয়ার অনুমতি যেন সরকার দেয় এ জন্য দুটি লবিস্ট ফার্ম নিয়োগ করেছে বলে একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র নিশ্চিত করেছে। এই লবিস্ট ফার্মের একটি যুক্তরাজ্য ভিত্তিক, অন্যটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক। এই লবিস্ট ফার্মগুলো যুক্তরাজ্য এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সরকারের সঙ্গে আলাপ আলোচনা করবে এবং বাংলাদেশ সরকারের ওপর যেন এক ধরনের চাপ প্রয়োগ করা হয় সে জন্য চেষ্টা করবে। 

তবে বিএনপির একাধিক সূত্র বলছে, সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টি নয়, বরং তাঁরা সরকারের সাথে এই ইস্যুটি নিয়ে আলাপ আলোচনা করব, একটা সম্মানজনক সমাধানের জন্য চেষ্টা করবে। উল্লেখ্য, বেগম খালেদা জিয়ার ছোট ভাই শামীম ইস্কান্দার বেগম জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশ নিতে সবচেয়ে বেশি তৎপর। তিনি ইতোমধ্যে সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন এবং যে কোন শর্তে তিনি রাজি আছেন এমন বার্তাও দিয়েছেন। 

তবে বেগম খালেদা জিয়ার ঘনিষ্ঠরা এবং বিএনপি নেতারা রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমাভিক্ষার আবেদন করে বেগম জিয়াকে বিদেশ নেওয়ার বিপক্ষে। এ নিয়ে তারা কঠোর অবস্থান গ্রহণ করেছে। আর এ কারণেই শেষ চেষ্টা হিসেবে দুটি লবিস্ট ফার্মের দ্বারস্থ হয়েছে। এই দুটি লবিস্ট ফার্ম প্রধানমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগে যারা প্রভাবশালী তাদের ঘনিষ্ঠদের সঙ্গে যোগাযোগ করবে এবং খালেদা জিয়াকে বিদেশ নিয়ে যাওয়ার জন্য যেন তারা সরকারের সঙ্গে একধরনের দর কষাকষি করে সেজন্য চেষ্টা করবে। 

উল্লেখ্য, যুক্তরাজ্যের লবিস্ট ফার্মটি লেবার পার্টির সঙ্গে অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ এবং তারেক জিয়া সরাসরি এই লবিষ্ট ফার্মের সঙ্গে কথা বলছেন বলেও জানা গেছে। এই লবিষ্ট ফার্মের কাজ হবে যে, তারা যুক্তরাজ্য সরকার এবং প্রধানমন্ত্রীর ঘনিষ্ঠদের সঙ্গে আলাপ আলোচনার মাধ্যমেই বেগম জিয়াকে বিদেশে নিয়ে যাওয়ার অনুমতি নেওয়ার জন্য সরকারকে রাজি করাবে। অন্যদিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের লবিষ্ট ফার্মটির প্রধান কাজ হবে সরকারের ওপর এ সংক্রান্ত চাপ সৃষ্টি করা যেন সরকার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে স্বাভাবিক সম্পর্ক রাখার জন্য হলেও বেগম খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশ যাওয়ার অনুমতি দিতে রাজি হয়। 

তবে সরকারের একাধিক শীর্ষ স্থানীয় ব্যক্তির সঙ্গে আলাপ করে জানা গেছে, সরকার এ ক্ষেত্রে তাঁর অবস্থানের কোন পরিবর্তন করেনি। সরকারের একজন গুরুত্বপূর্ণ নীতি নির্ধারক বলেছেন যে, বেগম খালেদা জিয়ার উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশ যাওয়ার বিষয়টি রাজনৈতিক নয়। এটি আইনগত বিষয়। তার মতে, বেগম খালেদা জিয়ার বিদেশ যাওয়ার ক্ষেত্রে তিনটি পথ খোলা রয়েছে। প্রথমত, তিনি রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমার আবেদন করতে পারেন। রাষ্ট্রপতি যদি তাঁর ক্ষমার আবেদন মঞ্জুর করেন তাহলে তার দণ্ড মওকুফ হয়ে যাবে। তখন তিনি একজন মুক্ত ব্যক্তি হবেন এবং মুক্ত ব্যক্তি হিসাবে তিনি বিদেশ যেতে পারবেন। 

দ্বিতীয় উপায় হলো কেগম খালেদা জিয়া আদালতের আশ্রয় নিবেন। আদালত যদি তার দণ্ড স্থগিত করে বিদেশ যাওয়ার অনুমতি দেয় সেক্ষেত্রে সরকার বাঁধা দিবে না।

তৃতীয়ত, বেগম খালেদা জিয়া যদি তার বর্তমানে যে নির্বাহী আদেশের জামিন সেই জামিন প্রত্যাহারের আবেদন করেন এবং তিনি কারাগারে যান, সেখান থেকে তিনি নতুন করে আবেদন করলে সেই আবেদন সরকার বিবেচনা করবে। তবে বিএনপির বিভিন্ন নেতার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে যে, তারা এই তিন সমাধানের কোনটিতে যেতে চায় না। বরং সরকার স্বপ্রণোদিত হয়ে বেগম খালেদা জিয়াকে বিদেশে যাওয়ার অনুমতি দিবে এটি তারা প্রত্যাশা করে। আর শেষ পর্যন্ত বেগম খালেদা জিয়াকে বিদেশ নেওয়ার ক্ষেত্রে যুক্তরাজ্য এবং যুক্তরাষ্ট্রের লবিস্ট ফার্ম কতটুকু সফল হয় সেটাই এখন দেখার বিষয়।

খালেদা জিয়া   লবিস্ট ফার্ম   বিএনপি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

উপজেলায় প্রভাব বিস্তারকারীরা দলের পদ হারাবেন, ভবিষ্যতের মনোনয়ন ঝুঁকিতে

প্রকাশ: ০৮:০০ পিএম, ০৮ মে, ২০২৪


Thumbnail

আজ প্রথম দফায় ১৩৯টি উপজেলার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রথম ধাপে অনুষ্ঠিত উপজেলা নির্বাচন মোটামুটি শান্তিপূর্ণ হয়েছে। তবে বিভিন্ন স্থানে সহিংসতা এবং প্রভাব বিস্তারের ঘটনা ঘটেছে। নির্বাচন কমিশন যেমন উপজেলা নির্বাচন তাদের নিজেদের মতো করে পর্যবেক্ষণ করছে, যারা আচরণবিধি এবং নির্মাণের নির্বাচনের আইন কানুন লঙ্ঘন করেছে তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের উদ্যোগ গ্রহণ করছে, ঠিক তেমনই আওয়ামী লীগ তার নিজস্ব উদ্যোগে দলের শৃঙ্খলা এবং মন্ত্রী-এমপিদের কার্যক্রম পর্যালোচনা করছে।

আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল সূত্র বলছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিজস্ব উদ্যোগে বিভিন্ন এলাকায় টিম সরাসরি কাজ করেছে এবং তারা প্রথম দফায় অনুষ্ঠিত সবগুলো উপজেলার নির্বাচন মনিটরিং করেছে। যেখানে তারা খোঁজখবর নিয়েছে যে, মন্ত্রী-এমপিরা নির্বাচনে কতটা প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করছে; অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ নির্বাচনকে তারা কতটা বাধাগ্রস্ত করতে চেষ্টা করেছে এবং তাদের কারণে নির্বাচনে কী কী ধরনের পরিবেশ নষ্ট হয়েছে। আর এক্ষেত্রে যারা নির্বাচনের স্বাভাবিক এবং স্বতস্ফূর্ত পরিবেশ নষ্টের জন্য দায়ী থাকবেন, তাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন রকম ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

আওয়ামী লীগের একজন প্রেসিডিয়াম সদস্য বলেছেন যে, এই উপনির্বাচনগুলোতে যারা প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করবে তাদের বিরুদ্ধে একাধিক ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নীতিগত অবস্থান নেওয়া হয়েছে। যারা নির্বাচনে তাদের নিজস্ব প্রার্থী বা আত্মীয়স্বজনকে জেতানোর জন্য প্রশাসন বা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে ব্যবহার করতে চাইবে বা নির্বাচনের পেশি শক্তি প্রয়োগ করতে চাইবে তারা দলের পদ হারাবেন। উপজেলা নির্বাচনের সবগুলো ধাপ অনুষ্ঠিত হওয়ার পর আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠকে এ বিষয়গুলো নিয়ে চুলচেরা বিশ্লেষণ হবে বলেও আওয়ামী লীগের ওই প্রেসিডিয়াম সদস্য জানিয়েছেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চেয়েছেন- একটি অবাধ, সুষ্ঠু এবং নিরপেক্ষ নির্বাচন। যে নির্বাচনে জনগণ স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভোটাধিকার প্রয়োগ করবে। আর এক্ষেত্রে স্বতঃস্ফূর্ত ভোটাধিকার প্রয়োগে যারা বাধা দেবে; অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ নির্বানেকে যারা কলুষিত করতে চাইবে, তাদেরকে আওয়ামী লীগের কোন পদে থাকা রাখা হবে না, তারা যে পর্যায়ে বা যে পদেই থাকুন না কেন।

বিশেষ করে যে সমস্ত মন্ত্রী-এমপিরা তাদের মাই ম্যান হিসাবে প্রার্থীদেরকে দাঁড় করিয়েছেন, তারা যদি নির্বাচনে প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করে তাহলে যারা প্রার্থী এবং যারা প্রার্থীদেরকে মদত দিচ্ছেন তারা উভয়ে দলের পদ হারানোর ঝুঁকিতে রয়েছেন। আর সবচেয়ে বড় কথা হল যে, এই সব উপজেলা নির্বাচনে যারা দলের নির্দেশ অমান্য করে প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করবেন, নিজস্ব পছন্দের ব্যক্তিকে জয়ী করার জন্য পেশিশক্তি প্রয়োগ করবেন ভবিষ্যতে মনোনয়নের খাতা থেকে খাতা থেকে তাদের নাম বাদ যাবে। তাদেরকে ভবিষ্যতে মনোনয়ন দেওয়ার ব্যাপারে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী কঠোর অবস্থান গ্রহণ করবেন।

উল্লেখ্য যে, এর আগেও যারা দলের শৃঙ্খলা পরিপন্থি কাজ করেছিল এবং বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে অবস্থান গ্রহণ করেছিল তাদের অনেককেই গত নির্বাচনে মনোনয়ন দেওয়া হয়নি। দলের বিরুদ্ধে গিয়ে এলাকায় নিজস্ব কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা একটি শাস্তিযোগ্য অপরাধ এবং এ সমস্ত কর্মকাণ্ডের সঙ্গে যারা জড়িত থাকবেন, আগামী নির্বাচনে তাদের মনোনয়ন ঝুঁকিতে পড়বে বলেই আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতারা জানিয়েছেন।


উপজেলা নির্বাচন   আওয়ামী লীগ   প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা   কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

ওমরাহ শেষে দেশে ফিরলেন মির্জা ফখরুল

প্রকাশ: ০৩:৩৪ পিএম, ০৮ মে, ২০২৪


Thumbnail

সৌদি আরবে ওমরাহ হজ পালন শেষে দেশে ফিরেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বুধবার (৮ মে) দুপুর দেড়টার দিকে সস্ত্রীক ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে পৌঁছেন তিনি।

বিএনপি মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে গত ২ মে মির্জা ফখরুল বাংলাদেশ বিমানে মদিনা পৌঁছেন। মদিনা পৌঁছে বিএনপি মহাসচিব ও তার স্ত্রী রাহাত আরা বেগম মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) রওজা মোবারক জিয়ারত করেন। শুক্রবার মসজিদে নববীতে জুম্মার নামাজ আদায় করেন বিএনপি মহাসচিব। শনিবার এশার নামাজের পর সৌদি আরবের মক্কায় ওমরাহর আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করেন।

বিএনপি মহাসচিব   মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন