গণ অধিকার পরিষদের সদস্য সচিব নুরুল হক নুর বলেছেন, এই সরকার আদর্শ পাবলিকেশন্স, গার্ডিয়ান পাবলিকেশন্সের মতো জনপ্রিয় পাবলিকেশন্সগুলোকে বইমেলায় বই প্রকাশের অনুমতি দেয় না। এমন হলে আমরা বইমেলা বর্জন করব।
নুর বলেন, ‘সারাদেশের মানুষকে আমরা জানিয়ে দিতে চাই, আদর্শ পাবলিকেশন, গার্ডিয়ানসহ জনপ্রিয় পাবলিকেশন্সগুলোকে যদি বইমেলায় স্টল বরাদ্দ দেওয়া না হয়, তাহলে আমরা বইমেলা বর্জন করব। আমরা ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা রাখতে চাই। বইমেলাকে সার্বজনীন করতে চাই। আজকে যদি তাদেরকে বইমেলায় স্টল দেওয়া না হয়, তাহলে আপনারা কেউ বইমেলায় যাবেন না। এক পয়সার বইও কিনবেন না।’
শুক্রবার (২০ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে তিনি এ হুমকি দেন। বিদ্যুৎ, তেল, গ্যাসসহ নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে এবং নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে এ বিক্ষোভের আয়োজন করে গণ অধিকার পরিষদ ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণ।
নুর বলেন, ‘আজকের দেশে যারা মুক্তচিন্তার কথা বলেন, স্বাধীনতার কথা বলেন তাদের কাছে প্রশ্ন রাখতে চাই- আপনারা কেন আদর্শ পাবলিকেশন, গার্ডিয়ান পাবলিকেশন্সকে বইমেলায় বই প্রকাশের অনুমতিসহ স্টল না দেওয়ার বিষয়ে কথা বলছেন না।’
তিনি আরও বলেন, ‘প্রশাসনের ভাইদেরকে বলতে চাই আজকে আপনারা অন্যায়ভাবে বিরোধী দলের লোকদের ওপর মামলা দিচ্ছেন, হামলা করছেন, নির্যাতন করছেন। এগুলো অমানবিক এবং বেআইনি। যারা এসব কাজে নেতৃত্ব দিচ্ছেন তাদের কিন্তু ক্ষমা হবে না। আজকে আমরা দেখেছি গাজীপুরে এক ভাইকে থানায় নিয়ে পিটিয়ে মেরে ফেলেছে। ওসি নাজিমউদ্দিন এক তরুণকে পিটিয়ে নির্মম নির্যাতন করেছে।’
সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘সরকার আমেরিকাসহ বিশ্বের পশ্চিমা দেশগুলোকে বলছেন যে দেশের আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী সংবিধান অনুযায়ী কাজ করছে। জনগণের রক্ষাকবচ হিসেবে কাজ করছে। আপনারা যদি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বেআইনি দমন-পীড়নকে সমর্থন না করেন তাহলে অভিযুক্ত কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিন।’
তিনি আরও বলেন, ‘এখন বিশ্ববাসী জেগে উঠেছে, এখন তারা বারবার একটা কথাই বলছে আগামী দিন বাংলাদেশে অবাক সুষ্ঠু নির্বাচন চায়। সুতরাং সরকার চাইলেও ১৪ ও ১৮ সালের মতো নির্বাচন করতে পারবে না। আপনার সুযোগ ছিল সিঙ্গাপুরের লি কুয়ান ইউ, মালয়েশিয়ার মাহাথির মোহাম্মদের মতো বাংলাদেশের উন্নতি করার। কিন্তু আপনি সুযোগের সদ্ব্যবহার করেননি।’
সরকারকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, ‘আপনাদের আমলে যে উন্নয়ন হয়েছে, সেটি শুধুমাত্র নেতা-কর্মীদের উন্নয়ন হয়েছে। তারা লন্ডন দুবাই সিঙ্গাপুরে বাড়ি কিনেছে। আওয়ামী লীগের লুটেরারা দেশের টাকা বাইরে পাচার করে বাংলাদেশের অর্থনীতিকে ধ্বংসের মুখে ফেলেছে। এখন সরকার ভিক্ষার ঝুলি নিয়ে আইএমএফের কাছে ঘুরছে আর আইএফএফের কথায় বারবার জনগণের উপর দুর্ভোগ চাপিয়ে দিচ্ছে। তারা বিদ্যুৎ এবং গ্যাসের দাম বাড়াচ্ছে। আমরা স্পষ্টভাবে বলছি এই বিদ্যুৎ এবং গ্যাসসহ কোন জ্বালানি দাম আর এক পয়সাও বাড়ানো যাবে না।’
বিক্ষোভ সমাবেশে গণঅধিকার পরিষদ ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
বিক্ষোভ সমাবেশ গণ অধিকার পরিষদ নুরুল হক নুর
মন্তব্য করুন
চার ধাপে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এ পর্যন্ত (তৃতীয় ধাপ) ২০৪ জনকে দল থেকে বহিষ্কার করেছে বিএনপি। দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় তাদের বহিষ্কার করা হয়।
এরমধ্যে তৃতীয় ধাপের নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় তৃণমূলের ৫৫ নেতাকে বহিষ্কার করে বিএনপি। আর প্রথম ধাপে ভোটের জন্য ৮০ জন, দ্বিতীয় ধাপে ৬৯ জনকে বহিষ্কার করে দলটি।
বর্তমান সরকার ও নির্বাচন কমিশনের অধীনে উপজেলাসহ কোনো নির্বাচনে অংশ না নিচ্ছে না বিএনপি। গত ১৬ এপ্রিল দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলেন, দলের স্থায়ী কমিটির বৈঠকে গৃহীত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, শেখ হাসিনার সরকার ও তার আজ্ঞাবহ নির্বাচন কমিশন, বেসামরিক ও পুলিশ প্রশাসন একটি অবাধ, সুষ্ঠু, অংশগ্রহণমূলক ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আয়োজন করতে পারে না। অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠানের পরিবেশ নেই। তাই উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেবে না দল।
দেশে চার ধাপে ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। তফসিল অনুযায়ী, গত ৮ মে প্রথম ধাপে ১৩৯টি উপজেলায় ভোট গ্রহণ হয়। এই ধাপের নির্বাচনে বিএনপির বহিষ্কৃত ৭ জন চেয়ারম্যান পদে, ৩ জন ভাইস চেয়ারম্যান পদে জয়লাভ করে বলেও জানা যায়।
দ্বিতীয় ধাপের ১৬১টি উপজেলা পরিষদের নির্বাচনের ভোট গ্রহণ করা হবে ২১ মে। তৃতীয় ধাপে ১১২টি উপজেলা পরিষদের নির্বাচন ২৯ মে অনুষ্ঠিত হবে। চতুর্থ ধাপের উপজেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে ৫ জুন।
মন্তব্য করুন
সরকারবিরোধী আগামীর আন্দোলন শুরুর আগে কর্মসূচি প্রণয়ন ও আন্দোলন পরিচালনায় শক্তিশালী লিয়াজোঁ কমিটি চায় বিএনপির মিত্ররা। তারা মনে করে, লিয়াজোঁ কমিটি না থাকায় বিগত আন্দোলন পরিচালনায় এক ধরনের সমন্বয়হীনতা ছিল।
কারণ, যুগপতের সব দল ও জোটের সঙ্গে বিএনপির পৃথক বৈঠক শেষে তাদের স্থায়ী কমিটিতে কর্মসূচি চূড়ান্ত হওয়াকে যথাযথ প্রক্রিয়া এবং আন্দোলনের সঠিক প্ল্যাটফর্ম বলে মনে করে না শরিকরা, বিশেষ করে গণতন্ত্র মঞ্চ। তাই এবার এ প্রশ্নে একটা সিরিয়াস মীমাংসা চান মঞ্চের নেতারা।
বিএনপির সঙ্গে বুধবার (১৫ মে) রাতে চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে লিয়াজোঁ কমিটি গঠনের পরামর্শ দিয়ে গণতন্ত্র মঞ্চের নেতারা বলেন, প্রতিটি জোট ও দল থেকে একজন করে নিয়ে ১০-১২ সদস্যবিশিষ্ট একটি লিয়াজোঁ কমিটি গঠন করতে হবে। সেই লিয়াজোঁ কমিটিতে আলোচনার ভিত্তিতে আন্দোলনের কর্মসূচি প্রণীত হবে। তার আগে নিজ নিজ দল ও জোটের সিদ্ধান্ত নিয়ে সংশ্লিষ্ট নেতারা বৈঠকে উপস্থিত হবেন।
নব্বইয়ে এরশাদবিরোধী আন্দোলনসহ অতীতের আন্দোলনগুলোতে লিয়াজোঁ কমিটি এভাবে কাজ করেছে। কিন্তু বিগত আন্দোলনে এ প্রক্রিয়ায় কর্মসূচি প্রণীত হয়নি। পাঁচ-দশ মিনিট আগে মিত্রদের কর্মসূচির বিষয়ে জানানো হতো এবং কর্মসূচির সঙ্গে সহমত না হলেও সেটাই তারা ঘোষণা করতেন। বৈঠক সূত্রে এমন তথ্য জানা গেছে।
যুগপৎ আন্দোলন পুনরুজ্জীবিত করে সরকারের পদত্যাগ ও নতুন নির্বাচনের দাবিতে ঈদুল আজহার পর মাঠে নামার পরিকল্পনা করছে বিএনপি। সেই আন্দোলনের কর্মকৌশল নির্ধারণে পরামর্শ নিতে গত রোববার থেকে মিত্রদের সঙ্গে ধারাবাহিক বৈঠক করছে দলটি। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের পর এ ধরনের বৈঠক এবারই প্রথম। এর অংশ হিসেবে বৃহস্পতিবার (১৬ মে) এনডিএম, বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ এবং মিয়া মসিউজ্জামান ও ফারুক হাসানের নেতৃত্বাধীন গণঅধিকার পরিষদের সঙ্গে বৈঠক করে বিএনপির লিয়াজোঁ কমিটি।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গণতন্ত্র মঞ্চ ছাড়াও এর আগে গত সোমবার বিএনপির সঙ্গে বৈঠকে আন্দোলনের কর্মসূচি প্রণয়নে সমন্বয়হীনতা দূরীকরণে যুগপতের সব দল ও জোট থেকে দু-একজন করে নিয়ে শক্তিশালী লিয়াজোঁ কমিটি গঠনের ওপর জোর দেন সমমনা জোটের নেতারা।
মন্তব্য করুন
শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন বিএনপি
মন্তব্য করুন
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জাতীয় প্রেস ক্লাব
মন্তব্য করুন
বিএনপি ভারত বিরোধী মার্কিন বিরোধী মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর
মন্তব্য করুন
১৯৮১ সালের ১৭ মে। স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। আওয়ামী লীগ সভাপতি স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করেছিলেন এক বৃষ্টিমুখর দিনে। সেই দিনে লাখো মানুষ মানিক মিয়া এভিনিউতে জড়ো হয়েছিল জাতির পিতার কন্যাকে দেখার জন্য। তাদের শোক এবং আবেগ ছিল হৃদয়স্পর্শী। সারা বাংলাদেশ উত্তাল হয়েছিল। জাগরণের এক গান গেয়ে স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করেছিলেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বাংলাদেশের জন্ম হওয়ার পর থেকেই প্রতিবেশী দেশ বাংলাদেশকে নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেছে। এই সরকার পুরোপুরিভাবে নতজানু সরকারে পরিণত হয়েছে। শুধু ফারাক্কা নয়, গঙ্গার পানি নয়, বাংলাদেশের ১৫৪টি নদীতে পানি দিতে তারা গড়িমসি করে যাচ্ছে। তিস্তা নদীর পানি বণ্টন, এ করছি, এ হচ্ছে এমন করে সময় শেষ করছে সরকার। এ যে ব্যর্থতা এর মূল কারণ হচ্ছে, সরকারে যারা আছে তারা পুরোপুরিভাবে একটা নতজানু সরকার।