আওয়ামী যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ বলেছেন, ‘বিএনপির দেশ পরিচালনার কোনো যোগ্যতা নেই। বিএনপিকে এই যোগ্যতা প্রমাণ করতে হলে দুর্নীতি, নৈরাজ্য, মানুষ হত্যা থেকে সরে আসতে হবে।’
শনিবার (২১ জানুয়ারি) দুপুরে রাজশাহীর শহীদ এএইচএম কামরুজ্জামান মিলনায়তনে আয়োজিত যুবলীগের বর্ধিত সভায় এ মন্তব্য করেন তিনি। আগামী ২৯ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জনসভা সফল করার লক্ষ্যে রাজশাহীতে যুবলীগের এই বিভাগীয় বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত হয়।
যুবলীগ চেয়ারম্যান বলেন, ‘বিএনপিকে ক্ষমতায় যেতে হলে জনগণের কাছে ক্ষমা চাওয়ার পাশাপাশি নাকে খত দিতে হবে। কিন্তু তারা (বিএনপি নেতারা) তা পারবে না। আর এ জন্যই তারা বাংলাদেশকে ধ্বংস করতে ক্ষমতায় আসার ষড়যন্ত্র করছে। ক্ষমতায় আসতে বিদেশি প্রভুদের কাছে গিয়ে লাভ হবে না। ক্ষমতায় আসতে হলে আগে জনগণের কাছে মাফ চান। নাকে খত দিয়ে আসেন। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়নের যোগ্যতা একমাত্র শেখ হাসিনার আছে। প্রধানমন্ত্রীর জনপ্রিয়তার কারণে তার প্রতি এ দেশের জনগণের আকর্ষণ অনেক বেড়ে গেছে। সেটাই আগামী ২৯ জানুয়ারির জনসভায় প্রমাণিত হবে।’
ফজলে শামস পরশ বলেন, ‘আজকের পর যুবলীগের নেতাকর্মীরা নিজ নিজ ইউনিটে গিয়ে সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নেবেন। সমাবেশ আমাদেরকে একটি চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিতে হবে। সমাবেশে শক্তি প্রদর্শন ও জন সম্পৃক্ততার মাধ্যমে আমরা বিরোধী শক্তিকে জানাতে চাই, শেখ হাসিনা সারা পৃথিবীতে বিশেষ করে এই মুহূর্তে বাংলাদেশে সবচেয়ে জনপ্রিয় ও আদর্শিক নেত্রী। আপনাদের সর্বোচ্চ জনবল নিয়ে সমাবেশে শরিক হবেন। আজ থেকেই সেই প্রস্তুতি নিতে হবে।’
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সভাপতি মণ্ডলীর সদস্য আব্দুর রহমান বলেন, ‘যারা নতুন করে হাওয়া ভবন, খোয়াব ভবন তৈরি করতে চায় তাদেরকে যুবলীগ প্রতিহত করবে। বিএনপি-জামায়াতের স্বপ্ন পূরণ হতে দেব না। প্রধানমন্ত্রীর আগমনে রাজশাহী জনসমুদ্রে পরিণত হবে।’
তিনি বলেন, ‘শেখ ফজলুল হক মনি যুবলীগকে শক্তিশালী করেছিলেন। তাকেও হত্যা করা হয়েছিল। মনির সুযোগ্য সন্তান পরশ ও নিখিলকে শেখ হাসিনা দায়িত্ব দিয়েছেন। রাজশাহীতে যুবলীগের যত ইউনিট আছে তাদেরকে মাঠে, গ্রামে, নগর-বন্দরে গিয়ে জনমত গঠন করতে হবে। আগামী দিনের ক্ষমতা বদলের মালিক হবেন এ দেশের জনগণ।’
আব্দুর রহমান বলেন, ‘ওরা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। তাদের বলতে চাই, সংবিধান বহির্ভূত এ দেশে কোনো নির্বাচন হবে না। আগামী নির্বাচনের সরকার প্রধান থাকবেন শেখ হাসিনা। বিএনপি নতুন করে আগুন জ্বালাতে, যানবাহন পোড়াতে চায়। যুবলীগ তা ভেঙে দেবে। আগামী নির্বাচনে অতন্দ্র প্রহরী হয়ে আমাদেরকে কাজ করতে হবে। কারণ রাজশাহীর ৬টি আসনেই আওয়ামী লীগকে জনগণ ম্যান্ডেট দেবেন।’
সম্মানিত অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুকন্যা ইতোমধ্যে পৃথিবীর যেকোনো দেশের চেয়ে আগেই করোনার ৩ ডোজ টিকা দেওয়ার ব্যবস্থা করেছেন। প্রধানমন্ত্রী যেখানেই জনসভা করছেন সেখানেই জনসমুদ্রে রূপ নিচ্ছে। আমরা রাজশাহীবাসী দেখিয়ে দিতে চাই ২৯ জানুয়ারির শেখ হাসিনার জনসভা হবে জনসমুদ্র। যারা আন্দোলনের নামে জনগণের ক্ষতি করবে, যে হাত দিয়ে গাড়ি ভাঙবে, আগুন দেবে সেই হাত ভেঙে দেওয়া হবে।’
অনুষ্ঠানে আওয়ামী যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশের সভাপতিত্বে সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন। বিশেষ অতিথি ছিলেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন আওয়ামী যুবলীগের চেয়ারম্যান সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিল। এ বর্ধিত সভায় রাজশাহী মহানগরসহ বিভাগের আট জেলা ও উপজেলার যুবলীগের নেতাকর্মীরা অংশ নেন।
যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ রাজশাহী বর্ধিত সভা
মন্তব্য করুন
সরকারবিরোধী আগামীর আন্দোলন শুরুর আগে কর্মসূচি প্রণয়ন ও আন্দোলন পরিচালনায় শক্তিশালী লিয়াজোঁ কমিটি চায় বিএনপির মিত্ররা। তারা মনে করে, লিয়াজোঁ কমিটি না থাকায় বিগত আন্দোলন পরিচালনায় এক ধরনের সমন্বয়হীনতা ছিল।
কারণ, যুগপতের সব দল ও জোটের সঙ্গে বিএনপির পৃথক বৈঠক শেষে তাদের স্থায়ী কমিটিতে কর্মসূচি চূড়ান্ত হওয়াকে যথাযথ প্রক্রিয়া এবং আন্দোলনের সঠিক প্ল্যাটফর্ম বলে মনে করে না শরিকরা, বিশেষ করে গণতন্ত্র মঞ্চ। তাই এবার এ প্রশ্নে একটা সিরিয়াস মীমাংসা চান মঞ্চের নেতারা।
বিএনপির সঙ্গে বুধবার (১৫ মে) রাতে চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে লিয়াজোঁ কমিটি গঠনের পরামর্শ দিয়ে গণতন্ত্র মঞ্চের নেতারা বলেন, প্রতিটি জোট ও দল থেকে একজন করে নিয়ে ১০-১২ সদস্যবিশিষ্ট একটি লিয়াজোঁ কমিটি গঠন করতে হবে। সেই লিয়াজোঁ কমিটিতে আলোচনার ভিত্তিতে আন্দোলনের কর্মসূচি প্রণীত হবে। তার আগে নিজ নিজ দল ও জোটের সিদ্ধান্ত নিয়ে সংশ্লিষ্ট নেতারা বৈঠকে উপস্থিত হবেন।
নব্বইয়ে এরশাদবিরোধী আন্দোলনসহ অতীতের আন্দোলনগুলোতে লিয়াজোঁ কমিটি এভাবে কাজ করেছে। কিন্তু বিগত আন্দোলনে এ প্রক্রিয়ায় কর্মসূচি প্রণীত হয়নি। পাঁচ-দশ মিনিট আগে মিত্রদের কর্মসূচির বিষয়ে জানানো হতো এবং কর্মসূচির সঙ্গে সহমত না হলেও সেটাই তারা ঘোষণা করতেন। বৈঠক সূত্রে এমন তথ্য জানা গেছে।
যুগপৎ আন্দোলন পুনরুজ্জীবিত করে সরকারের পদত্যাগ ও নতুন নির্বাচনের দাবিতে ঈদুল আজহার পর মাঠে নামার পরিকল্পনা করছে বিএনপি। সেই আন্দোলনের কর্মকৌশল নির্ধারণে পরামর্শ নিতে গত রোববার থেকে মিত্রদের সঙ্গে ধারাবাহিক বৈঠক করছে দলটি। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের পর এ ধরনের বৈঠক এবারই প্রথম। এর অংশ হিসেবে বৃহস্পতিবার (১৬ মে) এনডিএম, বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ এবং মিয়া মসিউজ্জামান ও ফারুক হাসানের নেতৃত্বাধীন গণঅধিকার পরিষদের সঙ্গে বৈঠক করে বিএনপির লিয়াজোঁ কমিটি।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গণতন্ত্র মঞ্চ ছাড়াও এর আগে গত সোমবার বিএনপির সঙ্গে বৈঠকে আন্দোলনের কর্মসূচি প্রণয়নে সমন্বয়হীনতা দূরীকরণে যুগপতের সব দল ও জোট থেকে দু-একজন করে নিয়ে শক্তিশালী লিয়াজোঁ কমিটি গঠনের ওপর জোর দেন সমমনা জোটের নেতারা।
মন্তব্য করুন
শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন বিএনপি
মন্তব্য করুন
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জাতীয় প্রেস ক্লাব
মন্তব্য করুন
বিএনপি ভারত বিরোধী মার্কিন বিরোধী মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর
মন্তব্য করুন
শেখ হাসিনা বাহাউদ্দিন নাছিম আওয়ামী লীগ ঢাকা-৮
মন্তব্য করুন
১৯৮১ সালের ১৭ মে। স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। আওয়ামী লীগ সভাপতি স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করেছিলেন এক বৃষ্টিমুখর দিনে। সেই দিনে লাখো মানুষ মানিক মিয়া এভিনিউতে জড়ো হয়েছিল জাতির পিতার কন্যাকে দেখার জন্য। তাদের শোক এবং আবেগ ছিল হৃদয়স্পর্শী। সারা বাংলাদেশ উত্তাল হয়েছিল। জাগরণের এক গান গেয়ে স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করেছিলেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বাংলাদেশের জন্ম হওয়ার পর থেকেই প্রতিবেশী দেশ বাংলাদেশকে নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেছে। এই সরকার পুরোপুরিভাবে নতজানু সরকারে পরিণত হয়েছে। শুধু ফারাক্কা নয়, গঙ্গার পানি নয়, বাংলাদেশের ১৫৪টি নদীতে পানি দিতে তারা গড়িমসি করে যাচ্ছে। তিস্তা নদীর পানি বণ্টন, এ করছি, এ হচ্ছে এমন করে সময় শেষ করছে সরকার। এ যে ব্যর্থতা এর মূল কারণ হচ্ছে, সরকারে যারা আছে তারা পুরোপুরিভাবে একটা নতজানু সরকার।