ইনসাইড পলিটিক্স

এবার কি তারা মনোনয়ন পাবেন

প্রকাশ: ০৯:০০ পিএম, ২৭ জানুয়ারী, ২০২৩


Thumbnail

আওয়ামী লীগ বিরোধী দলের আন্দোলন মোকাবেলার পাশাপাশি নির্বাচনের প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে। দফায় দফায় আওয়ামী লীগ বিভিন্ন নির্বাচনী এলাকায় জরিপ করছেন। আওয়ামী লীগ সভাপতি সম্প্রতি দলের সংসদীয় কমিটির বৈঠকে সুস্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছেন, যাদের এলাকায় গ্রহণযোগ্যতা নেই, এলাকায় যারা যান না এবং জনগণের সাথে সম্পর্কহীন তাদেরকে আগামী নির্বাচনে মনোনয়ন দেয়া হবে না। 

আওয়ামী লীগের বিভিন্ন সূত্রগুলো বলছে, একশ থেকে দেড়শ আসনে আওয়ামী লীগ আগামী নির্বাচনে মনোনয়ন পাল্টাতে পারে এবং আগামী নির্বাচনে বড় ধরনের চমক আসছে। গত নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়নের ক্ষেত্রে বড় চমক ছিল যে, বেশ কয়েকজন হেভিওয়েট কেন্দ্রীয় নেতাকে মনোনয়ন বঞ্চিত করা হয়েছিল। এবার সেক্ষেত্রে বড় ধরনের পরিবর্তন হবে কিনা বা মনোনয়ন বঞ্চিত ওই সমস্ত নেতারা নতুন করে মনোনয়ন পাবেন কিনা তা নিয়ে নানামুখী আলাপ-আলোচনা চলছে। 

গত বছর আওয়ামী লীগের যে সমস্ত হেভিওয়েট নেতাদের মনোনয়ন বঞ্চিত হয়েছিলেন তাঁদের মধ্যে ছিলেন মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, জাহাঙ্গীর কবির নানক, আবদুর রহমান, আ. ফ. ম. বাহাউদ্দিন নাছিম, এস এম কামাল এবং বিএম মোজাম্মেল। এদের মধ্যে এদের মধ্যে মনোনয়ন বঞ্চিত দুজনকে বিপুলভাবে পুরস্কৃত করা হয়েছে। তাদের মধ্যে অন্যতম মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া এবং মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন। 

মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া: মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়াকে গত বছরে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়ামে অন্তর্ভুক্ত করা হয় এবং এই প্রেসিডিয়ামে  অন্তর্ভুক্তির মধ্য দিয়ে তাকে পুরস্কৃত করা হয়েছে বলে আওয়ামী লীগের বিভিন্ন নেতাকর্মীরা মনে করছেন। অন্যদিকে মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন ১/১১ এর সময় সংস্কারপন্থী হিসেবে পরিচিত ছিল। এজন্য তিনি রাজনীতিতে কোণঠাসা হয়ে পড়েন। সেখান থেকে তিনি প্রথমে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটি, পরে বিএমএ সভাপতি এবং সর্বশেষ তিনি আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য হিসেবে মনোনীত হয়েছেন। এর ফলে এই দুইজনের আগামী নির্বাচনে মনোনয়ন পাওয়ার সম্ভাবনা নেই বলে বিভিন্ন মহল মনে করছেন। যদিও মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া এখনও চাঁদপুরে তার নির্বাচনী এলাকায় বিভিন্ন গণসংযোগ মূলক কার্যক্রম পরিচালনা করছেন। কিন্তু আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল সূত্রগুলো বলছেন, এই দুই জনের মনোনয়ন পাওয়ার সম্ভাবনা একেবারেই কম। কারণ লালবাগে হাজী সেলিমের পরিবর্তে তার পুত্র ইরফান সেলিম ইতোমধ্যেই সেখানে ব্যাপক গণসংযোগ এবং নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করেছেন। 

জাহাঙ্গীর কবির নানক: জাহাঙ্গীর কবির নানক মোহাম্মদ থেকে ২০১৪ নির্বাচনে বিজয়ী হয়েছিলেন। এর আগে ২০০৯ সালেও তিনি একই আসন থেকে বিজয়ী হন। গত নির্বাচনে জাহাঙ্গীর কবির নানককে মনোনয়ন না দিয়ে সাদেক খানবে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছিল। এবার জাহাঙ্গীর কবির নানক আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পাবেন বলেই বিভিন্ন মহল মনে করছেন। বিশেষ করে গত পাঁচ বছরে তার সাংগঠনিক তৎপরতা এবং দলের জন্য পরিশ্রমের পুরস্কার তিনি পেতে যাচ্ছেন বলে মনে করা হচ্ছে। তবে তিনি মোহাম্মদপুর আসনে মনোনয়ন পাবেন নাকি ধানমন্ডিতে নির্বাচন করবেন সেটি এখন পর্যন্ত নিশ্চিত হয়নি। তবে একাধিক সূত্র বলছে, জাহাঙ্গীর কবির নানক আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পাবেন এটি মোটামুটি নিশ্চিত।

আবদুর রহমান: আওয়ামী লীগের আরেক প্রেসিডিয়াম সদস্য আবদুর রহমানের বিষয়টি এখনও নিশ্চিত হয়নি। আবদুর রহমানের মূল আসন ফরিদপুর-১ যেখানে একজন আমলাকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছিল। তিনি তার এলাকায় কোনো প্রভাব বিস্তার করতে পারেনি। ফরিদপুরে কোনো আসনে আওয়ামী লীগের এই নেতা এবার মনোনয়ন পাবেন কিনা তা এখন পর্যন্ত নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে মনোনয়নপত্র আবদুর রহমান চেষ্টা করছেন। 

বাহাউদ্দিন নাছিম: বাহাউদ্দিন নাছিম গত নির্বাচনে মাদারীপুর থেকে মনোনয়ন না পাওয়াটা ছিল বিস্ময়কর। তবে এবার নির্বাচনে বাহাউদ্দিন নাছিম মনোনয়ন পেতে যাচ্ছেন এমনটি নিশ্চিত করেছেন বিভিন্ন মহল। কারণ রাজনৈতিক নেতা হিসেবে তার দক্ষতা, কর্মীদের সঙ্গে তার সখ্যতা এবং সততার কারণে তিনি আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হতে যাচ্ছেন। তাছাড়া ওই নির্বাচনী এলাকায় কোনো কোনো ব্যক্তিকে নিয়ে বিভিন্ন রকম বিতর্ক সৃষ্টির প্রেক্ষিতে বাহাউদ্দিন নাছিম এখন লাইমলাইটে এসেছেন বলেও বিভিন্ন মহল মনে করছেন। 

এস এম কামাল: এস এম কামাল খুলনার একটি আসন থেকে নির্বাচনে মনোনয়ন পেতে আগ্রহী। তবে শেষ পর্যন্ত তিনি মনোনয়ন পাবেন কিনা তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। তবে একাধিক সূত্র বলছে, এস এম কামালের প্রতি দলের হাইকমান্ডের সহানুভূতি এবং সুস্পষ্ট সমর্থন রয়েছে। আগামী নির্বাচনে তিনি যদি শেষ পর্যন্ত মনোনয়ন পান তাহলে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না।

বিএম মোজাম্মেল: বিএম মোজাম্মেল ২০১৮ নির্বাচনে মনোনয়ন পাননি। এবারও তার মনোনয়ন পাওয়ার খুব একটা সম্ভাবনা আছে বলে কেউ মনে করেন না। তবে শেষ পর্যন্ত মনোনয়নের বিষয়টি চূড়ান্ত হবে আরও পরে। যখন নির্বাচনের সময় আরও কাছাকাছি চলে আসবে।

আওয়ামী লীগ   নির্বাচন   এস এম কামাল  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

চট্টগ্রাম-৮ আসনের উপ নির্বাচনে আ.লীগের প্রার্থী নোমান

প্রকাশ: ০১:৩৯ পিএম, ২৫ মার্চ, ২০২৩


Thumbnail

চট্টগ্রাম-৮ আসনের উপ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রাথী হিসেবে মনোনয়ন পেয়েছেন চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও মহানগর যুবলীগের সাবেক সভাপতি নোমান আল মাহমুদ।

শনিবার (২৫ মার্চ) আওয়ামী লীগের সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ড সভা শেষে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। সভার সভাপতিত্ব করেন দলের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

উল্লেখ্য, গত ৫ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে মারা যান চট্টগ্রাম-৮ আসনের সংসদ সদস্য ও চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোছলেম উদ্দিন আহমদ। তার মৃত্যুতে আসনটি শূন্য ঘোষণা করা হয়। 

নির্বাচন কমিশন ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় ২৭ মার্চ, বাছাই ২৯ মার্চ। মনোনয়নপত্র আবেদন প্রত্যাহারের শেষ দিন ৫ এপ্রিল, প্রতীক বরাদ্দ ৬ এপ্রিল।

চট্টগ্রাম-৮   উপ নির্বাচন   নোমান আল মাহমুদ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

জনগণকে চূড়ান্তভাবে ক্ষমতাহীন করা হয়েছে: ফখরুল

প্রকাশ: ০১:০৪ পিএম, ২৫ মার্চ, ২০২৩


Thumbnail

১৯৭১ সালে যে আশা-আকাঙ্খা নিয়ে দেশের মানুষ স্বাধীনতাযুদ্ধে অবতীর্ণ হয়েছিল- তা আজও পূরণ হয়নি বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব বিপন্ন করার জন্য আজও দেশি-বিদেশী চক্রান্তকারীরা নানামুখী ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছেবলেও অভিযোগ করেন তিনি।

শনিবার (২৫ মার্চ) মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বাণীতে তিনি এসব কথা বলেন। 

তিনি বলেন,  সুষ্ঠু নির্বাচনকে চিরদিনের জন্য নির্বাসিত করার মাধ্যমে জনগণকে চূড়ান্তভাবে ক্ষমতাহীন করা হয়েছে।  গুম, হত্যা, মিথ্যা মামলা, নির্যাতন-নিপীড়ণের মধ্য দিয়ে প্রায় ৩৫ লাখ মানুষকে অমানবিক হয়রানী করা হচ্ছে। রাষ্ট্রকে একটি সন্ত্রাসী রাষ্ট্রে পরিণত করা হয়েছে। নজীরবিহীন দুর্নীতি, সীমাহীন নির্যাতন ও দুঃশাসনের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশকে একটি ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করা হয়েছে। তাই আজকের এই মহান দিনে বাংলাদেশের সকল দেশপ্রেমিক মানুষের প্রতি আহবান জানাচ্ছি দলমত নির্বিশেষে ইস্পাতদৃঢ় ঐক্যের মাধ্যমে দুর্বার গণআন্দোলন গড়ে তুলে এই দেশবিরোধী গণআবিরোধী শক্তিকে অপসারিত করে একটি জনগণের গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র নির্মাণের জন্য। সাম্য, মানবিক মূল্যবোধ ও সামাজিক ন্যায়বিচারের মাধ্যমে কল্যাণমূলক রাষ্ট্র নির্মাণ করতে।

মির্জা ফখরুল বলেন, বিশাল রক্তস্রোত আর ত্যাগ-তিতিক্ষার বিনিময়ে মহিমান্বিত আমাদের স্বাধীনতা। অথচ আজও বাংলাদেশকে তাবেদার রাষ্ট্রে পরিণত করার এক গভীর চক্রান্ত চলছে। লাখো শহীদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত আমাদের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বকে বিপন্ন করার অপতৎপরতা এখনও বিদ্যমান। সকল ষড়যন্ত্র চক্রান্ত প্রতিহত করে মাতৃভূমির স্বাধীনতা সুরক্ষা এবং গণতন্ত্রের নুয়ে পড়া পতাকাকে সমুন্নত রাখতে সকলকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। এজন্য গড়ে তুলতে হবে সুদৃঢ় জাতীয় ঐক্য।  



মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

সরকারের বলয়ে ভিপি নুর?

প্রকাশ: ১০:০০ পিএম, ২৪ মার্চ, ২০২৩


Thumbnail কাতারে নুরুল হক নুর। ছবি: ফেসবুক থেকে সংগৃহীত

বিএনপির সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলনে থাকা সমমনা ৫৪ দল ও সংগঠনের অনেকেই সরকারের কাছ থেকে টাকা-পয়সা নিচ্ছে বলে জানুয়ারিতে এক গণমাধ্যমে সাক্ষাৎকারে এই অভিযোগ করেছেন গণতন্ত্র মঞ্চের শরিক গণঅধিকার পরিষদের সদস্য সচিব নুরুল হক নুর ওরফে ভিপি নুর। তিনি বলেন, বিরোধী জোটের শরিকদের কেউ কেউ সরকারের সঙ্গেও লিয়াজোঁ করছেন এবং আসন ভাগাভাগি করে ঐকমত্যে পৌঁছে যাচ্ছেন। অথচ সেই একই অভিযোগ এবার নুরের বিরুদ্ধে উঠেছে। অভিযোগ উঠেছে নুরুল হক নুর এখন সরকারের বলয়ে। গণঅধিকার পরিষদের সিনিয়র নেতাদের মুখেই এখন এই কথার চর্চা হচ্ছে।

দলীয় সূত্রে জানা গেছে, গত সোমবার কাতার সফরে গেছেন নুরুল হক নুর। এর আগে রোববার রাতে তিনি দলের বেশ কয়েকজন সিনিয়র নেতাকে এসএমএস পাঠান। এসএমএসে তিনি লিখেন, ‘আগামীকাল (সোমবার) সকাল নয়টায় আমার ফ্লাইট। সকাল ৭টায় এয়ারপোর্টে থাকব, ইনশাল্লাহ্। আমার ঘনিষ্ট একজনের পারিবাবিক অনুষ্ঠানে অংশ নিতে কাতার যাচ্ছি। টিকেটসহ খরচ তারাই দিয়েছে। পাশাপাশি কাতারের নেতাকর্মীদের সাথে দেখা সাক্ষাৎ করব আর সুযোগ হলে কাতার থেকে আর দুই/তিন দেশে যাব। সকলের দোয়া প্রত্যাশী। ধন্যবাদ। 


পারস্য উপসাগরের তীরে নুরুল হক নুর। ছবি: নুরের ফেসবুক থেকে সংগৃহীত।

হঠাৎ নুরুল হক নুর এর কাছ থেকে এমন এসএমএস পেয়ে অনেকে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন। তারা এ কারণেই বিস্ময় করেছেন যে, এসএমএস পাওয়ার আগে অর্থাৎ শনিবার নুর ঘোষণা করেছেন যে, ২০২৪ সালে গণঅধিকার পরিষদ সরকার গঠন করবে। এর আগে তিনি বিভিন্ন সময় সরকারকে ফেলে দেওয়ার হুমকি উচ্চারণ করেছিলেন। কিন্তু এমন অবস্থায় তিনি কাতার যাচ্ছেন দলের নেতাকর্মীদের একেবারে অন্ধকারে রেখে। তার সফর সম্পর্কে কেউ অবগত নন বলে দাবি করছেন দলের সিনিয়র নেতারা। নুর কাতার যাচ্ছেন কিন্তু কি ধরনের প্রোগ্রামে যাচ্ছেন আর কবেই বা তিনি ফিরে আসবেন এব্যাপারে দলের কারো কাছে কোনো তথ্য নেই। এ রকম একটা পরিস্থিতিতে এখন তার অবস্থান নিয়ে গণঅধিকার পরিষদের মধ্যে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে। তিনি আড়ালে সরকারের সঙ্গে সমঝোতা করে চলছেন কিনা সেটা নিয়ে কারো কারো কৌতুহল রয়েছে। চলমান আন্দোলনেরই মধ্যে একাধিক বার বিদেশ যাত্রা গণঅধিকারে পরিষদে বেশ রহস্য তৈরি করেছে। এর আগে সৌদি আরবে তার ওমরা যাওয়ার কথা থাকলেও তিনি প্রথমে কাতার গিয়েছিলেন।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে গণঅধিকার পরিষদের একাধিক নেতা জানান, নুরের বিদেশ যাওয়ার ব্যাপারে আমাদের কোনো আপত্তি নেই। কিন্তু তার বিদেশ যাওয়া-আসার ব্যাপারে তিনি কখনো আমাদেরকে পরিষ্কার করেননি। এর আগে সৌদ আরবের সঙ্গে তার একটি চুক্তি হয়েছে বলে আলোচনা রয়েছে। কিন্তু সেই চুক্তি কি? এ ব্যাপারে গণঅধিকার পরিষদের কেউ কিছু জানে না। সৌদ আরব, কাতার, দুবাইসহ বেশ কয়েকটি দেশ থেকে তিনি অনুদান পেয়েছেন বলেও জানা গেছে। কিন্তু সে ব্যাপারে দলের সিনিয়র নেতাদের কেউই অবগত নন। ফলে দলের মধ্যে নুরকে নিয়ে সন্দেহ বাড়ছে। সরকারের সঙ্গে সমঝোতা অংশ হিসেবেই তিনি এ ধরনের সুযোগ সুবিধা পাচ্ছেন কিনা সেটিই এখন গণঅধিকার পরিষদের নেতাদের কোটির টাকার প্রশ্ন।

ভিপি নুর   গণঅধিকার পরিষদ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

ফের রওশন-জিএম কাদেরের সম্পর্কের ফাঁটল!

প্রকাশ: ০৮:৫৮ পিএম, ২৪ মার্চ, ২০২৩


Thumbnail

বলা হয়ে থাকে, জাতীয় পার্টির অভ্যন্তরীণ কোন্দল যখনই বাড়বে বা রাজনীতিতে জাতীয় পার্টি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠবে, বুঝতে হবে তখনই জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় ঘনিয়ে আসছে। সংসদীয় গণতন্ত্রে বিরোধী দলের ভূমিকা অনেক। কিন্তু বাংলাদেশের সংসদীয় গণতন্ত্রের ইতিহাসে দশম সংসদে জাতীয় পার্টি দেখিয়েছে, কী করে 'বিরোধী দল' হতে হয়। একাদশ জাতীয় সংসদেও জাতীয় পার্টি কাগজে-কলমে বিরোধী দলের অবস্থানে রয়েছে। সংসদে বিরোধী দলীয় নেতা রওশন এরশাদ এবং উপনেতা জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদের।

এদিকে আসছে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরেও ফের আলোচনায় আসছে জাতীয় পার্টি। এখন প্রশ্ন ওঠেছে আসছে দ্বাদশ জাতীয় সংসদে ফের কি বিরোধী দল হচ্ছে জাতীয় পার্টি? কেননা জাতীয় পার্টির এই দুই শীর্ষ নেতা রওশন এরশাদ এবং জি এম কাদের এবার তাঁদের দলের প্রতিষ্ঠাতা হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের জন্মদিন উদযাপন করেছেন পৃথক কর্মসূচির মধ্য দিয়ে। রমজানেও তাঁরা ইফতার অনুষ্ঠান আলাদাভাবে আয়োজন করছেন বলে জানিয়েছে সূত্র।     

সূত্র বলছে, এই পৃথক অনুষ্ঠান ইঙ্গিত দিচ্ছে যে জ্যেষ্ঠ নেতা রওশন এরশাদ ও দলের চেয়ারম্যান জি এম কাদেরকে ঘিরে জাপায় বিভাজনটা রয়েই গেছে। আগামী জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে বিভাজন আরও দানা বাঁধতে পারে। তবে রাজনীতিতে সরব রয়েছেন পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের। 

সূত্র জানায়, এর আগে জাতীয় পার্টির অভ্যন্তরীণ কোন্দল শুরু হয়েছিল সংসদে বিরোধী দলীয় নেতা ইস্যুকে কেন্দ্র করে। সংসদে বিরোধী দলীয় নেতা রওশন এরশাদ। কিন্তু এই চেয়ারে বসতে চান তার দেবর, জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের সংক্ষেপে জিএম কাদের। এই নিয়েই অভ্যন্তরীণ কোন্দল দিন দিন ঘণীভূত হচ্ছে। ২০২২ সালের ৪ অক্টোবর জাপা থেকে বহিষ্কৃত জিয়াউল হক মৃধা জি এম কাদেরের বিরুদ্ধে এক মামলা করেন। বাদীর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ৩১ অক্টোবর ঢাকার প্রথম যুগ্ম জেলা জজ আদালত জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হিসেবে জি এম কাদেরের যাবতীয় দলীয় কার্যক্রমে নিষেধাজ্ঞার অস্থায়ী আদেশ দেন। 

পরে চলতি বছরের ৫ ফেব্রুয়ারি জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালনে নিষেধাজ্ঞা কেটে যায় গোলাম মোহাম্মদ (জিএম) কাদেরের। নিম্ন আদালতের রায় স্থগিত করে হাইকোর্ট। বিচারপতি মুহাম্মদ আব্দুল হাফিজের একক হাইকোর্ট বেঞ্চ  নিম্ন আদালতের রায় স্থগিত করে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হিসেবে জিএম কাদেরের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালনের পথ প্রসস্থ করেন। সেই সঙ্গে নিম্ন আদালতের এই রায় কেন চূড়ান্তভাবে বাতিল করা হবেনা, তা জানতে চেয়ে রুলও জারি করেন হাইকোর্ট। এরপর থেকেই জাতয়ি পার্টির চেয়ারম্যান হিসেবে দরীয় বিভিন্ন কার্যক্রমে সরব রয়েছেন জিএম কাদের। অন্যদিকে রওশন এরশাদকে কোনো দলীয় মিছিল-মিটিংয়ের সরব ভুমিকায় দেখা যায় যাচ্ছে না।

সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্র বলছে, এবার প্রয়াত হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের জন্মদিন উপলক্ষে চারটি অনুষ্ঠান করেছে জাতীয় পার্টি (জাপা)। এর একটিতেও রওশন এরশাদ ছিলেন না। তিনি আলাদা অনুষ্ঠান করেন তাঁর গুলশানের বাসায়। জাপার দায়িত্বশীল সূত্রগুলো বলছে, রওশন ও ছেলে সাদ এরশাদকে পৃথক অনুষ্ঠান না করে জন্মদিনের দলীয় আয়োজনে অংশ নিতে বলা হয়েছিল। কিন্তু তাঁরা যাননি।  যদিও এ মুহূর্তে দুজনের সম্পর্ক এতটা খারাপ নয়। আবার খুব যে ভালো, তা–ও নয়। রওশন চুপচাপ আছেন। জি এম কাদেরও খড়্গ কাটিয়ে চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

রওশন এরশাদ দীর্ঘ সময় বিদেশে চিকিৎসা শেষ গত বছরের নভেম্বরে দেশে ফেরেন। এরপর তাঁর সঙ্গে জি এম কাদেরের কয়েকবার দেখা হয়। তাঁদের মধ্যে সমঝোতা হয়েছে বলে দলটির পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল। এখন আবার দলের প্রতিষ্ঠাতার জন্মদিন পালন এবং ইফতার অনুষ্ঠান তাঁরা আলাদাভাবে আয়োজন করছেন। এটি তাঁদের ঐক্যে ফাটল ধরার ইঙ্গিত দিচ্ছে বলে দলটির নেতাদের অনেকে মনে করেন। 

এসব বিষয়ে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, ক্ষমতার ভাগ-দখল নিয়েই সাধারণত রাজনৈতিক দলগুলোতে বিভাজন, কলহ-কোন্দল দেখা দেয়। যেহেতু বিএনপি নির্বাচনে আসবে না বলে ঘোষণা দিয়েছে, সেহেতু দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচেনের আগে জাতীয় পার্টি বিরোধী দল দেশের রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠেছে। এখন বিষয়টি এই পর্যায়ে গিয়েছে যে, দেবর-ভাবীর ক্ষমতা ভাগ-ভাটোয়ারার বিষয়। এই সম্পর্কের ফাঁটল এটা নতুন কিছু নয়, ভাগ-ভাটোয়ারা ঠিক-ঠাক হলেই এ সমস্যা মিটে যাবে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। তারা বলছেন, তবে এখন দেখার বিষয় হচ্ছে কোন কোন দাবি-দাওয়া পূরণ করা হলে রওশন-কাদের সম্পর্ক আবারও মধুর হবে।

রওশন এরশাদ   জিএম কাদের  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

রমজানে সাংগঠনিক শক্তি যাচাই করছে বিএনপি

প্রকাশ: ০৮:০৭ পিএম, ২৪ মার্চ, ২০২৩


Thumbnail

নির্দলীয়, নিরপেক্ষ, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে দীর্ঘদিন ধরেই রাজপথের আন্দোলনে রয়েছে বিএনপি। এরই মধ্যে নির্বাচন কমিশন থেকে বিএনপিকে ‘সংলাপ’-এ অংশগ্রহণের জন্য চিঠিও দিয়েছে বলে জানা গেছে। তবে নির্বাচন কমিশনের সংলাপের আমন্ত্রণ বিএনপি প্রত্যাখ্যান করেছে বলে জানিয়েছে সূত্র। সূত্রটি বলছে, রমজানের রোজা চলে আসায় বিএনপির আন্দোলন এখন কেবল ইফতার পার্টি ঘিরেই সীমাবদ্ধ থাকছে। তবে রমজান মাসজুড়ে সাংগঠনিক শক্তি যাচাইয়ের উদ্যোগ নিয়েছে বিএনপি। বিশেষ করে ঢাকা মহানগরের সক্ষমতা প্রমাণে দেওয়া হচ্ছে বিশেষ গুরুত্ব। এর অংশ হিসাবে রমজানজুড়ে ইফতার রাজনীতির আড়ালে সাংগঠনিক শক্তির মহড়া দেবে দলটি। 

এদিকে বিএনপিকে সংলাপে আমন্ত্রণ জানিয়ে নির্বাচন কমিশনের চিঠি নিয়েও শুরু হয়েছিল নানা গুঞ্জন। রাজনৈতিক মহলে কথা ওঠেছিল, বিএনপি এই নির্বাচন কমিশন পূনর্গঠন চায়। যেহেতু এই নির্বাচন কমিশন নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে বিএনপির, সেহেতু এই নির্বাচন কমিশনের সাথে বিএনপি সংলাপে বসতে পারে না। রাজনৈতিক  মহল মনে করেন, নির্বাচনে না এসে বিএনপি আন্দোলনে যাওয়ার যে সাংগঠনিক শক্তি যাচাইয়ের মহড়া দিচ্ছে- তাতে কোনো ফলাফল পাবে না দলটি। কেননা নির্বাচনে না এলে জাতীয় সংসদ ভবন থেকে শুরু করে তৃণমূলের রাষ্ট্রীয় কোনো অবস্থানেই থাকছে না বিএনপি। ফলে স্বার্থের লোভ দেখিয়ে আমজনতা দিয়ে বিএনপি যে আন্দোলনের পরিকল্পনা করছে, তা ব্যর্থ হবে। ইতিমধ্যে এই ধরনের বহু আন্দোলনের প্রয়াসে বিএনপি ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে।          
সূত্র জানায়, প্রথমবারের মতো বিএনপির পক্ষ থেকে রাজধানীর ৫০টি থানায় ইফতারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। মহানগর বিএনপির উদ্যোগে এ ইফতার পার্টিতে উপস্থিত থাকবেন অঙ্গসংগঠনের স্থানীয় সব নেতাকর্মীও। যুগপৎ আন্দোলনে অংশ নেওয়া দলগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক জোরদার ও বিভিন্ন পেশাজীবীদের সমর্থন আদায়ে বিএনপির পক্ষ থেকেও একাধিক ইফতারের আয়োজন করা হয়েছে। একইসঙ্গে সমমনা দল ও বিএনপিপন্থি পেশাজীবীরাও আয়োজন করবে ইফতার পার্টি।

বিএনপির একাধিক সূত্র জানায়, সোমবার (২০মার্চ) দলের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম জাতীয় স্থায়ী কমিটির ভার্চুয়াল বৈঠকে নির্বাহী কমিটির সভার বিষয়ে নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়। সেই বৈঠকে রমজানকে সাংগঠনিক মাস ধরে পুরো কার্যক্রম পরিচালনা করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সিদ্ধান্ত মোতাবেক এই রমজান মাসজুড়েই চলবে সাংগঠনিক শক্তির মহড়া। কোথাও কোনো কোন্দল বা দুর্বলতা থাকলে তা দূর করা হবে। ইফতার পার্টির মাধ্যমে নেতাকর্মীদের মধ্যে ঐক্য আরও সুদৃঢ় করার চিন্তা রয়েছে দলটির। এর মধ্য দিয়ে বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতকর্মীদের মধ্যে দীর্ঘদিনের সমন্বয়হীনতা দূর হবে। এছাড়া রমজানকেন্দ্রিক সাংগঠনিক তৎপরতায় সরকার সেভাবে বাধাও দিতে পারবে না।

বিএনপি সূত্র জানা গেছে, নির্বাচন ও আন্দোলনের বছর হওয়ার ঘরোয়া রাজনীতির অংশ হিসাবে এবার ইফতারকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। বিএনপির পক্ষ থেকে চারটি ইফতারের আয়োজন করা হবে। প্রথম রমজানে লেডিস ক্লাবে এতিম ও আলেম উলামাদের সঙ্গে হবে ইফতার- যা ইতিমধ্যেই আজ প্রথম রোজার দিন সম্পন্ন করা হয়েছে। এরপর ৪ রমজান পেশাজীবী, ৭ রমজান কূটনৈতিক ও ১১ রমজান বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাদের সম্মানে ইফতারের আয়োজন করবে বিএনপি। এসব ইফতারে আমন্ত্রিতদের সর্বোচ্চ উপস্থিতি নিশ্চিতে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।

তবে এবারের ইফতার রাজনীতির বিশেষ গুরুত্ব হচ্ছে প্রথমবারের মতো ঢাকা মহানগরীর ৫০টি থানায় এ কর্মসূচি পালন করা হবে। অতীতে মহানগরের উদ্যোগে একটি ইফতার পার্টির আয়োজন করা হতো। কিন্তু আন্দোলনের প্রস্তুতির অংশ হিসাবে এবার ৫০টি থানায় আলাদা অলাদাভাবে এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। 

সূত্র জানায়, মঙ্গলবার (২১ মার্চ) যুবদলের এক যৌথ সভা হয়। সেই সভায় উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণের নেতারা। এছাড়া ছাত্রদল, স্বেচ্ছাসেবক দলসহ অঙ্গসংগঠনের শীর্ষ নেতারাও সেখানে উপস্থিত ছিলেন। ওই সভায় সিদ্ধান্ত হয়, এবার মহানগরের উদ্যোগে রাজধানীর সব থানায় ইফতারের আয়োজন করা হবে। সেই ইফতারের সব অঙ্গসংগঠনের নেতারা উপস্থিত থাকবেন। ইফতার সফলভাবে আয়োজনের লক্ষ্যে করা হয় প্রস্তুতি সভাও। এই আয়োজনকে সফল করতে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণকে ১৬টি জোনে ভাগ করা হয়েছে। প্রতিটি জোনে অন্তত তিনটি থানা রয়েছে। একই দিন তিন থানায় হবে ইফতার। ২৮ মার্চ থেকে শুরু হবে এ কর্মসূচি। এসব কর্মসূচিতে উপস্থিত থাকবেন কেন্দ্রীয় নেতারা।

বিএনপির একাধিক নেতারা বলছেন, বিগত আন্দোলনে ঢাকা মহানগর নিয়ে অনেকের নানা অভিযোগ আছে। তারা রাজপথে কাঙ্ক্ষিত সক্ষমতা দেখাতে পারেনি। সারাদেশের মতো ঢাকা মহানগরীতে আন্দোলন হলে সরকার দাবি মেনে নিতে বাধ্য হতো। সেই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকাতে নতুন নেতৃত্ব আনা হয়। দায়িত্ব পাওয়ার পর তারা প্রতিটি ইউনিট, ওয়ার্ড ও থানা পুনর্গঠন করে। কিন্তু তারপরও থানা এলাকায় বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের মধ্যে সমন্বয়হীনতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। অনেক এলাকায় থানা বিএনপি নেতাদের কথা অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা মানছে না। যার যার মতো করে কর্মসূচি পালন করা হয়। এ সমন্বয়হীনতা দূর করে সবার মধ্যে ঐক্য গড়ে তুলতে বিশেষ নজর দেওয়া হয়েছে।

এছাড়া বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের উদ্যোগে অন্যান্য মহানগরীতেও ইফতার মাহফিলের আয়োজন করা হবে। ইতোমধ্যে যুবদলের পক্ষ থেকে ১০ মহানগরীতে ইফতার পার্টির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। জানতে চাইলে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্য সচিব আমিনুল হক জানান, এবার রমজানে ব্যাপকভাবে ইফতার মাহফিল করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এর ফলে দলের নেতাকর্মীদের মধ্যে ঐক্য সুদৃঢ় হবে। যা আগামী আন্দোলনে ইতিবাচক প্রভাব পড়বে।

যুবদলের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম মিল্টন বলেন, প্রথমবারের মতো ঢাকা মহানগরীর প্রতিটি থানায় ইফতারের আয়োজন করা হচ্ছে। এর ফলে নেতাকর্মীদের মধ্যে কোনো সমন্বয়হীনতা থাকলে দূর হবে। বাড়বে ঐক্য। শুধু ঢাকা নয়, অন্যান্য মহানগরীতেও ইফতারের আয়োজন করা হচ্ছে। এর মাধ্যমে সাংগঠনিক শক্তিও যাচাই করার সুযোগ হবে।

এসব বিষয়ে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, বিএনপির শক্তি, পরিকল্পনা এবং আন্দোলন- ইতিমধ্যে সকল কিছু পরিলক্ষিত হয়েছে। বিএনপি যদি আন্দোলনের নামে নাশকতার কোনো পরিকল্পনা করে- তবে সে বিষয়টিও রুখে দেওয়ার জন্য বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী প্রস্তত রয়েছে। বস্তুত এসব করে কোনো ফলাফল পাবে না বিএনপি। বিএনপির মূল লক্ষ্য হওয়া উচিৎ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা এবং অন্ততপক্ষে রাষ্ট্রক্ষমতার অংশবিশেষ হলেও দখল করা। সেখান থেকে কোনো অভিযোগ থাকলে তা বক্তব্যে প্রকাশ করা। তবে এখন দেখার বিষয় হচ্ছে সাংগঠনিক শক্তি যাচাই করে কি ফলাফল পায় বিএনপি।

রমজান   বিএনপি   সাংগঠনিক শক্তি  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন