ইনসাইড পলিটিক্স

রাজনৈতিক মাঠে উত্তাপ ছড়াচ্ছে অরাজনৈতিক ব্যক্তি!

প্রকাশ: ১০:০২ পিএম, ০৫ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩


Thumbnail

সম্প্রতি বিএনপির এমপিদের পদত্যাগ করা ছয়টি আসনে উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই উপনির্বাচনে অন্যান্য আসনগুলোর ফলাফল নিয়ে বিতর্ক না হলেও বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) আসনের উপনির্বাচন নিয়ে আলোচনা-সমালোচনার ঝড় বইছে বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে। এ ছয়টি আসনের ভোটে অনিয়ম বা কারচুপির উল্লেখযোগ্য কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি বলেও দাবি করেছেন সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল। তিনি বলেছেন, ‘ছয়টি আসনে ভোটগ্রহণ শান্তিপূর্ণ ও সুষ্ঠু হয়েছে। ছয়টি আসনে ৪০ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। ৮৬৭টি ইভিএমের মাধ্যমে ভোটগ্রহণ করা হয়েছে এবং ছয়টি আসনে ভোটার সংখ্যা ছিল ২২ লাখ ৫৪ হাজার ।’

সূত্রমতে, বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) আসনের উপনির্বাচনে মহাজোটের প্রার্থী জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) নেতা রেজাউল করিম তানসেন বেসরকারিভাবে সংসদ সদস্য (এমপি) নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি মশাল প্রতীকে ২০ হাজার ৪০৫ ভোট পেয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. আশরাফুল হোসেন আলম ওরফে হিরো আলম একতারা প্রতীকে পেয়েছেন ১৯ হাজর ৫৭১ ভোট। নির্বাচনী ফলাফল ঘোষণার পর নির্বাচনে কারচুপি করা না হলেও ফলাফল নিয়ে কারচুপি করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন পরাজিত প্রার্থী মো. আশরাফুল হোসেন আলম ওরফে হিরো আলম। পরে এই প্রার্থীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে নির্বাচন কমিশন (ইসি) থেকে এই অভিযোগের কোনো ভিত্তি নেই বলেও জানিয়েছিলেন নির্বাচন কমিশনার রাশেদা সুলতানা।

নির্বাচন পর্যবেক্ষকরা বলছেন, খুব সহজেই সমাজের নিম্নবর্গের মানুষের সমর্থন পেয়েছিলেন ইউটিউবার খ্যাত হিরো আলম। কিন্তু ভোটে তিনি জয়লাভ করতে পারেননি। তিনি নির্বাচন চলাকালেও নির্বাচনে কারচুপি নিয়ে কোনো অভিযোগ করেননি। পরে তিনি কার পরামর্শে, কাদের ইন্ধনে নির্বাচনে ফলাফল কারচুপি করা হয়েছে বলে অভিযোগ করলেন, সেটি খতিয়ে দেখা একান্ত জরুরী। এ নিয়ে মন্তব্য করতে গিয়ে হিরো আলমের চ্যালেঞ্জের মুখেও পড়েছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তাছাড়া মিডিয়া এ ঘটনাটিকে ফুলিয়ে-ফাঁপিয়ে অনেক বড় করে তুলেছে। অথচ এ ঘটনাটি নিতান্তই একটি তুচ্ছ ব্যাপার, মজার খোরাক।  

নির্বাচন পর্যবেক্ষকরা মনে করছেন, উপনির্বাচন নিয়ে এই বিতর্ক সৃষ্টি উপনির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতেই করা হচ্ছে। হাস্যরস করে তথাকথিত হিরো আলমকে সমাজের অশিক্ষিত নিম্নবর্গের মানুষজন উস্কানি দিতেই পারেন, তবে তার পেছনে বিরোধী কোনো ইন্ধনও থাকতে পারে বলেও মনে করছেন নির্বাচন পর্যবেক্ষক মহল। তারা মনে করছেন, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বিএনপির মনোবাসনা পূর্ণ না হওয়ার যে মন্তব্য হিরো আলমকে নিয়ে করেছিলেন, তার পেছনে যথেষ্ট যুক্তি রয়েছে। যে কারণেই আজ রোববার (৫ ফেব্রুয়ারি) হিরো আলম চ্যালেঞ্জের তীর ছুড়ে দিয়েছেন তাঁর দিকে। অথচ হিরো আলমের পক্ষেও সাফাই গেয়েছিলেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ফলে হিরো আলমকে নিয়ে আওয়ামী লীগ এবং বিএনপির মধ্যে পাল্টাপাল্টি বক্তব্যের ঘটনা ঘটেছে।              

সূত্র জানায়, বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) আসনে পুনর্নির্বাচন দিয়ে সেখানে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরকে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী হওয়ার জন্য চ্যালেঞ্জ করেছেন মো. আশরাফুল হোসেন ওরফে হিরো আলম। রোববার (৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে হিরো আলম বগুড়া-৪ আসনের ৪৫টি কেন্দ্রের ভোট পুনর্গণনার জন্য বগুড়া জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক সাইফুল ইসলামের কাছে আবেদন জমা দেন।। এ সময় তিনি সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে ওই মন্তব্য করেছেন।

ওবায়দুল কাদেরের উদ্দেশে হিরো আলম বলেন, ‘ওবায়দুল কাদের স্যার কথায় কথায় বলেন, ‘খেলা হবে। শক্তিশালী দল হলে খেলা হবে।’ খেলা হওয়ার মতো নাকি তিনি শক্তিশালী খেলোয়াড় খুঁজে পান না। তাঁকে জোর গলায় বলতে চাই, শক্তিশালী দলের সঙ্গে আপনাকে খেলতে হবে না। যেখানে মিথ্যা কথা বলে আমার ফল পাল্টে দেওয়া হয়েছে, সেই বগুড়া-৪ আসনের ভোটে আসুন, আমার সঙ্গে ভোট করে দেখুন। আপনি দল থেকে দাঁড়াবেন, আমি স্বতন্ত্র থেকে প্রার্থী হব। কেন্দ্রে কেন্দ্রে সিসিটিভি থাকবে। ভোটারদের ভয় দেখানো হবে না। সুষ্ঠু ভোট দিয়ে দেখুন তো দেখি, খেলা হয় কি না?’

হিরো আলমের এমন বক্তব্যকে বিরোধী চক্রান্ত বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। তারা মনে করছেন, ইউটিউবার খ্যাত সাংস্কৃতিক অঙ্গনের একজন অসাংস্কৃতিক ব্যক্তি এ ধরনের মন্তব্য করার যে সাহস দেখিয়েছেন, তার পেছনে শক্তিশালী বিরোধী কোনো চক্রের ইন্ধন রয়েছে। দেশের সাংস্কৃতিক অঙ্গনে সরকার বিরোধী অনেক সাংস্কৃতিক কর্মীই রয়েছেন। তারা কখনও এ ধরনের ঔদ্ধত্যপূর্ণ কোনো মন্তব্য করেছেন বলে মনে পড়ে না।   

এদিকে, আলোচিত ইউটিউবার আশরাফুল হোসেন আলম ওরফে হিরো আলমের পর, বগুড়া-৪ (নন্দীগ্রাম-কাহালু) ও বগুড়া-৬ (সদর) আসনের উপনির্বাচনের ফল প্রত্যাখান করেছেন জাকের পার্টির প্রার্থীরা। রোববার (৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে বগুড়া প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে তারা এ ঘোষণা দেন। জাকের পার্টির প্রার্থীরা হলেন; বগুড়া-৬ আসনের মোহাম্মদ ফয়সাল বিন শফিক সনি ও বগুড়া-৪ আসনের আলহাজ্ব আব্দুর রশিদ সরদার।

রোববার (৫ ফেব্রুয়ারি) এই সংবাদ সম্মেলনে জাকের পার্টির প্রার্থীরা বলেন, গত ১ ফেব্রুয়ারি উপনির্বাচনের দিন কী ঘটেছে আপনারা দেখেছেন। ভোটকেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতি ও ইভিএম মেশিন নিয়ে যা হলো- তা দুঃখজনক। বাস্তবে দেখা যাচ্ছে, ইভিএম মেশিনে ভোট প্রদান প্রশ্নবিদ্ধ। এটি হ্যাক করা যায়। এক মার্কায় ভোট দিলে অন্য মার্কায় চলে যাওয়াসহ কারিগরি ত্রুটি দেখা দেয়। ভোটকেন্দ্র পরিদর্শনকালে সাধারণ ভোটাররা আমাদের কাছে এসব তথ্য তুলে ধরেন। জাকের পার্টি বর্তমানে সুসংগঠিত ও বৃহৎ রাজনৈতিক দল। বগুড়ায় জাকের পার্টি ও সহযোগী সংগঠন সমূহের সাংগঠনিক বিস্তৃতি ব্যাপক। দলীয় ভোটারও প্রচুর। কিন্তু নির্বাচনের ফলাফলে আমাদের গোলাপ ফুল প্রার্থীদের স্বল্প ভোটের কোটায় রাখা হয়েছে।

এসব বিষয়ে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, ইউটিউবে কিংবা ফেসবুকে বা সোশ্যাল মিডিয়ায় হিট বাড়ানোর জন্য অবান্তর মন্তব্য করে কিংবা কৌতুকপূর্ণ কথা বলে কন্টেন্ট ভাইরাল করা হয়ে থাকে। হিরো আলম এ ধরনের মন্তব্যে পটু। তিনি এসব করেই ফেসবুক এবং ইউটিউব থেকে অর্থ উপার্জন করে থাকেন। তাছাড়া সোশ্যাল মিডিয়াতে ব্যবসা থাকার কারণে ইউটিউবার এবং ফেসবুক প্লাটফর্ম ব্যবহারকারীরা এ ধরনের অবান্তর মন্তব্য করা লোকজনই খুঁজে বেড়ায়। বাংলাদেশের রাজনীতি সোশ্যাল মিডিয়া নির্ভর নয়। তবে মূলধারার গণমাধ্যমগুলো এসব নিয়ে কেন এতো তোলপাড় করছে- তা বোধগম্য নয় এবং এর পিছনে বিরোধী কোনো ইন্দন রয়েছে বলেই মনে করা হচ্ছে। এ ঘটনা নিয়ে গভীর কোনো ষড়যন্ত্র বা তার প্রেক্ষাপট সৃষ্টি করতেই তৎপর বিরোধীরা। এখন শুধুই দেখার বিষয় এই ঘটনা এবং এই ঘটনা নিয়ে ষড়যন্ত্রের পথ কোন দিকে মোড় নেয়।

হিরো আলম   উপনির্বাচন   রাজনীতি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

ডোনাল্ড লু’র ঢাকা সফর: যা বললেন আওয়ামী লীগ-বিএনপির শীর্ষ নেতারা

প্রকাশ: ১১:০০ পিএম, ১৩ মে, ২০২৪


Thumbnail

যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক সহকারী মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু আগামীকাল মঙ্গলবার ঢাকায় আসছেন। এ সফরে তিনি ব্যবসা-বিনিয়োগ, নিরাপত্তা, প্রতিরক্ষা, জলবায়ু পরিবর্তন, নাগরিক অধিকারসহ দুই দেশের অগ্রাধিকারের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে আলোচনা করবেন বলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে। 

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে গত বছর ডোনাল্ড লু’র সফর ছিল বেশ আলোচনায়। সরকার পতনের এক দফা আন্দোলন করা বিএনপি বেশ চাঙ্গা হয়ে উঠেছিল। ভোট হয়ে যাওয়ার চার মাস পর যুক্তরাষ্ট্রের এই সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবার ঢাকায় আসছেন। রাজনৈতিক অঙ্গনে তাঁর ঢাকা সফর নিয়ে বেশ আলোচনা হলেও ৭ জানুয়ারি নির্বাচনের আগে লু’র সফর নিয়ে যেভাবে বিভিন্ন ধরনের গুঞ্জন বা আতঙ্কের কথা শোনা গিয়েছিল এবার সেটি হচ্ছে না। কিন্তু তারপরও তাঁর ঢাকা সফর নিয়ে কথা বলেছেন আওয়ামী লীগ এবং বিএনপির শীর্ষ নেতাদের মধ্যে কথা বাহাস লক্ষ্য করা গেছে।


লু’র ঢাকা সফর নিয়ে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, কে আসলো আর কে গেলো তা নিয়ে মাথা ঘামানোর সময় নেই। যদিও নির্বাচনের আগে লু’র ঢাকা সফর নিয়ে সবচেয়ে বেশি উচ্ছ্বসিত ছিল বিএনপির নেতারা। তবে এবার দলটির মহাসচিব সুর পাল্টে বলছেন, ‘কে আসলো আর কে গেলো তা নিয়ে মাথাঘামানোর সময় নেই। তিনি বলছেন তার দলের প্রধান শক্তি হলো জনগণ।’

লু’র ঢাকায় আসাটা গুরুত্বপূর্ণ নয় উল্লেখ্য করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু’র আসা-না আসায় কিছু যায়-আসে না। লু তো অনেক দূরের কথা। আমরা শঙ্কিত দেশের অবস্থা নিয়ে। 


এদিকে লু’র এবারের সফর দুই দেশের সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাবে বলে মনে করছে আওয়ামী লীগ। দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘ডোনাল্ড লু বাংলাদেশের সরকারের সঙ্গে কথাবার্তা বলবেন। দুই দেশের মধ্যকার সম্পর্ক এগিয়ে নিতে তিনি আসবেন। বিএনপি মনে করেছে, আবার নতুন করে নিষেধাজ্ঞা দেবে কি না। এই ধরনের উদ্ভট চিন্তা করছে। এ রকম উদ্ভট চিন্তা তারা আগেও করেছিল।’

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, বিদেশিদের কাছে বারবার ধরর্না দিয়ে কোনো কিছুই করতে পারেনি বিএনপি। এজন্য লু’র ঢাকা সফর নিয়ে প্রকাশ্যে উচ্ছ্বাস দেখাচ্ছেনা বিএনপি। দেশে শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচন হওয়া এবং বর্তমান সরকারের সাথে কাজ করার ঘোষণা দেওয়ায় বিএনপির মোহভঙ্গ হয়েছে। তাই প্রকাশ্যে লু’র সফর নিয়ে উচ্ছ্বাস দেখাচ্ছে না বিএনপির নেতারা।



ডোনাল্ড লু   আওয়ামী লীগ   বিএনপি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

কারামুক্ত হলেন বিএনপি নেতা হাবিব উন নবী সোহেল

প্রকাশ: ০৯:৩৩ পিএম, ১৩ মে, ২০২৪


Thumbnail

জামিনে কেরাণীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সাবেক সভাপতি হাবিব উন নবী খান সোহেল।

সোমবার (১৩ মে) সন্ধ্যা পৌনে সাতটার দিকে কেন্দ্রীয় কারাগার কেরানীগঞ্জ থেকে মুক্তি লাভ করেন তিনি। এ সময় ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন নাসিরসহ বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মী তাকে ফুলের মালা দিয়ে বরণ করেন।

বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান জানান, মুক্তি পাওয়ার পর তিনি নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে যান। 
এর আগে গত ৩১ মার্চ আদালতে জামিন নিতে গেলে জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানো হয় সোহেলকে।

বিএনপি   হাবিব উন নবী সোহেল  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

ইইউ রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে বিএনপির বৈঠক

প্রকাশ: ০৯:২৮ পিএম, ১৩ মে, ২০২৪


Thumbnail

ঢাকায় নিযুক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলির সঙ্গে বৈঠক করেছেন বিএনপি নেতারা। সোমবার (১৩ মে) দুপুরে ইইউ রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলির সঙ্গে তার গুলশানস্থ বাসভবনে এ বৈঠক হয়।

বৈঠকে বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও ফরেন অ্যাফেয়ার্স কমিটির সদস্য শামা ওবায়েদ এবং ফরেন অ্যাফেয়ার্স কমিটির সদস্য তাবিথ আউয়াল উপস্থিত ছিলেন। বিএনপি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। 

তবে বৈঠকের বিষয়ে বিএনপির পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানানো হয়নি।

ইইউ রাষ্ট্রদূত   বিএনপি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

চীন সফরে ৯ বাম নেতা

প্রকাশ: ০৮:৫২ পিএম, ১৩ মে, ২০২৪


Thumbnail

চীন সফরে গেছেন ক্ষমতাসীন ১৪ দলের শরিক দল জাসদ, ওর্য়ার্কাস পার্টি ও সাম্যবাদী দলের নয় সদস্যের একটি উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধি দল।

সোমবার (১৩ মে) বিকেল ৩টায় রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে চায়না ইস্টার্নের একটি বিমানে চীনের কুংমিংয়ের উদ্দেশে যাত্রা করেন তারা। বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূত প্রতিনিধি দলকে বিদায় জানান। এ সময় জাসদের দফতর সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেনও উপস্থিত ছিলেন।
 
সফরে যাওয়া বাম নেতারা হলেন- ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, সাম্যবাদী দলের সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়া, জাসদের সাধারণ সম্পাদক শিরীন আখতার, জাসদের কার্যকারী সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা রবিউল আলম, জাসদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোহম্মদ মোহসীন, ওয়ার্কার্স পার্টির নারী নেত্রী লুৎফুন্নেছা খান, ওয়ার্কার্স পার্টির পলিটব্যুরোর সদস্য মোস্তফা লুৎফুল্লাহ, সাম্যবাদী দলের অধ্যাপক তৃপ্তি বড়ুয়া ও হ মোশাহিদ প্রমুখ।
 
জানা গেছে, সফরকালে বাম নেতারা কুনমিংয়ে ইউনান একাডেমি অব এগ্রিকালচার সাইন্স একাডেমি, কেপিসি ফার্মাসিউটিক্যালস পরিদর্শন করবেন। নেতারা রুট (ওয়েলিন কমিউনিটি) লেভেলে চীনা কমিউনিস্ট পার্টি কার্যক্রম সম্পর্কে জানবেন। এছাড়া প্রতিনিধি দলটি চীনা কমিউনিস্ট পার্টি, ইউনান প্রদেশের সরকারের বৈদেশিক শাখার প্রধানসহ অন্যদের সঙ্গে পরিবর্তিত বিশ্বপরিস্থিতি নিয়ে আলোচনায় অংশ নেবেন। সফর শেষে আগামী ১৮ মে দেশে ফেরার কথা প্রতিনিধি দলটির।

চীন সফর   বাম দল   জাসদ   ওর্য়ার্কাস পার্টি   সাম্যবাদী দল  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

দলে শৃঙ্খলা ফেরাতে কঠোর অবস্থানে যাচ্ছে আওয়ামী লীগ

প্রকাশ: ০৮:০০ পিএম, ১৩ মে, ২০২৪


Thumbnail

অবশেষে আর ছাড় নয়, আওয়ামী লীগ তাঁর দলের শৃঙ্খলা ফেরাতে কঠোর অবস্থানে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল একাধিক সূত্রগুলো বলছে, দলের ভেতর যারা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছে, দলের সিদ্ধান্ত অমান্য করছে এবং দলের ভেতরের কোন্দল করছে তাদেরকে আর ছাড় দেওয়া হবে না। তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থাগ্রহণ করা হবে এবং এই যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের অংশ হিসেবে কোন্দলরত এলাকাগুলোতে কমিটি বাতিল করে দেওয়া হবে। যারা কোন্দলের সঙ্গে জড়িত তাদেরকে আহ্বায়ক কমিটিতে রাখা হবে না। 

একই সাথে যারা দলের সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করে আত্মীয় স্বজনদেরকে উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী করেছেন তাদের প্রার্থিতা পর্যালোচনা করা হবে এবং তারা এলাকায় কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠার জন্য এ ধরনের কর্মকাণ্ড করেছেন কি না সেটি যাচাই বাছাই করা হবে। যাচাই বাছাই শেষে যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হবে তাদেরকে স্থানীয় পর্যায়ের কমিটিগুলো থেকে বাদ দেওয়া হবে এবং ভবিষ্যতে তাদের বিরুদ্ধে আরও ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। আপাতত আওয়ামী লীগ কোন্দল কমানোর জন্য যে পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে তা হল কমিটি বিলুপ্ত করা এবং কমিটি থেকে বাদ দেওয়া। 

এ বছরের ৭ জানুয়ারি নির্বাচনের পর থেকেই আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলে আসছিলেন যে দলের ভেতর যারা নির্বাচন কেন্দ্রিক করেছেন সেই কোন্দল যেন অবিলম্বে বন্ধ করা হয় এবং যা হয়েছে সেটা ভুলে গিয়ে মিলে মিশে সকলে মিলে যেন কাজ করে। কিন্তু বাস্তবে আওয়ামী লীগ সভাপতির এই নির্দেশনা মান্য করেনি অধিকাংশ নেতা কর্মীরা। বরং নির্বাচনের পর কর্তৃত্ব দখলের লড়াই আরও জাঁকিয়ে বসে। বিশেষ করে যে সমস্ত নির্বাচনী এলাকাগুলোতে স্বতন্ত্রদের সাথে আওয়ামী লীগের হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হয়েছিল, সে সমস্ত এলাকাগুলোতে সংঘাত সহিংসতার ঘটনা আরও বেড়ে যায়। এরকম পরিস্থিতিতে আওয়ামী লীগ সভাপতি সবাইকে সতর্কবার্তা দেন। কিন্তু তারপরও এই বিরোধ মিটছে না। এখন আওয়ামী লীগ অ্যাকশনে যাচ্ছে। 

আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল সূত্রগুলো বলছে, বিবদমান এলাকাগুলোকে চিহ্নিত করার জন্য এবং সেই সমস্ত এলাকায় কারা দায়ী তাদেরকে শনাক্ত করার জন্য সাংগঠনিক সম্পাদকদেরকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। সাংগঠনিক সম্পাদকরা এই বিষয়টি নিয়ে খতিয়ে দেখছে। 

আওয়ামী লীগের একজন প্রেসিডিয়াম সদস্য বলছেন, আগামী ২৩ জুন আওয়ামী লীগের ৭৫ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। এবার ৭৫ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী আওয়ামী লীগ অনেক জামজমকপূর্ণ ভাবে ঘটা করে করতে চায়। এ জন্য প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পর্যন্ত অপেক্ষা করা হবে। এরপপর যারা দলের সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করেছেন, দলের অবস্থানের বিরুদ্ধে কাজ করেছেন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 

উপজেলা নির্বাচনগুলোতেও আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল যে, দলের ভেতর যেন স্বজনরা প্রার্থী না হন। কিন্তু তারপরও যারা এই সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করেছেন তাদের কমিটি থেকে বাদ দেওয়া বলে আওয়ামী লীগ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে।


শৃঙ্খলা   আওয়ামী লীগ   উপজেলা নির্বাচন  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন