কিশোরগঞ্জে শিবিরের মিছিল থেকে ককটেল হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে আহত হয়েছেন উপ-পরিদর্শকসহ পুলিশের সাত সদস্য। এ ঘটনায় শিবিরের ২১ নেতাকর্মীকে আটক করেছে পুলিশ। আটক ২১ জনের মধ্যে শিবিরের কিশোরগঞ্জ জেলা শাখার সদস্য মাসুম বিল্লাহ ও কলেজ শাখার সেক্রেটারি এমদাদ উল্লাহ রয়েছেন। সোমবার (৬ ফেব্রুয়ারি) সকালে কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার প্যাড়াভাঙ্গা ও নতুন জেলখানা মোড়ে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।
সোমবার (৬ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে কিশোরগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মাদ দাউদ গণ্যমাধ্যমকে এসব তথ্য জানিয়েছেন।
পুলিশ জানায়, সোমবার সকালে ৪৬তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে ইসলামী ছাত্রশিবির নতুন জেলাখানার সামনের সড়কে র্যালি বের করে। খবর পেয়ে পুলিশ সেখানে গেলে পুলিশকে লক্ষ্য করে দু’টি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটান শিবিরের নেতাকর্মীরা। এতে এসআই কামালসহ পুলিশের সাত সদস্য আহত হন। এসময় পুলিশ আত্মরক্ষার্থে ১৭ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোড়ে। পরে পালানোর সময় প্যাড়াভাঙ্গা ও নতুন জেলখানা মোড় থেকে শিবিরের ২১ নেতাকর্মীকে আটক করে পুলিশ।
কিশোরগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মাদ দাউদ জানান, পুলিশের ওপর হামলা ও নাশকতার অভিযোগে ২১ জনকে আটক করা হয়েছে। তাদের ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
কিশোরগঞ্জ শিবির ককটেল হামলা আহত পুলিশ আটক
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
১৪ দল আওয়ামী লীগ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
মন্তব্য করুন
ওবায়দুল কাদের আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক
মন্তব্য করুন
বিএনপি ধর্মঘট রাজনীতির খবর তারেক জিয়া
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগ উপজেলা নির্বাচন কার্যনির্বাহী কমিটি ওবায়দুল কাদের রাজনীতির খবর
মন্তব্য করুন
ওবায়দুল কাদের বেশ কদিন ধরে দাপটে ছিলেন। তিনি প্রতিদিন সংবাদ সম্মেলন করতেন এবং উপজেলা নির্বাচন নিয়ে কঠোর সতর্কবার্তা জারি করতেন। বিশেষ করে উপজেলা নির্বাচনে আত্মীয় স্বজনরা যেন প্রার্থী না হয় সে ব্যাপারে তিনি কঠোর হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছিলেন এবং যারা দলের সিদ্ধান্ত মানবেন না তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য তিনি ঘোষণা দিয়েছিলেন।
বিএনপি এখন দিশেহারা দিগ্বিদিকহীন একটি রাজনৈতিক দল। দলটি কী করছে, কী বলছে সে সম্পর্কে তাদের নিজেদেরই যেন কোন হিসেব নেই। গত ২ দিন ধরে বিএনপির নেতারা এক নৈব্যক্তিক অবস্থায় আছেন। তারা কেউই কোন কথা বলছেন না। দলের রুটিন কার্যক্রম অর্থাৎ সভা সমাবেশ ছাড়া দলের নেতাদেরকে আগ্রহ নিয়ে কোনো তৎপরতা চালাতে দেখা যাচ্ছে না।
মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয় স্বজনরা নির্বাচন করতে পারবে না- এই অবস্থান থেকে শেষ পর্যন্ত আওয়ামী লীগ পিছু হঠেছে। আজ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সংবাদ সম্মেলনে দেওয়া বক্তব্য থেকে স্পষ্ট প্রতীয়মান হয়েছে যে, যারা দলের সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করে এ ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে অর্থাৎ নিজেদের আত্মীয় স্বজনদের উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী করেছেন তাদের আপাতত কিছু হচ্ছে না। অথচ ক’দিন আগেও দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এ ব্যাপারে কঠোর অবস্থান গ্রহণ করেছিলেন। তিনি বারবার নির্দেশনা দিচ্ছিলেন এবং যারা এই দলীয় সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করবে তাদের বিরুদ্ধে দলের কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলেও তিনি জানিয়েছিলেন। কিন্তু আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠকে এ বিষয়ে কোন সিদ্ধান্ত হয়নি। আজ আওয়ামী লীগ সভাপতি এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকেও তাদের ব্যাপারে নমনীয় মনে হয়েছে।