নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে বিএনপি ও পুলিশের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় পুলিশের হামলায় অন্তত ১০ জন নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন বলে দাবি বিএনপির।
শনিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) বেলা সোয়া ১টার দিকে উপজেলার সাতগ্রাম ইউনিয়নের পাঁচরুখী এলাকায় ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে সংঘর্ষের এই ঘটনা ঘটে।
বিএনপির অভিযোগ, তাদের শান্তিপূর্ণ পদযাত্রা কর্মসূচিতে পুলিশ হামলা চালিয়েছে। তবে পুলিশ বলছে, মহাসড়কে যান চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি না করার অনুরোধ জানালে বিএনপি নেতা-কর্মীরা পুলিশের উপর চড়াও হয়।
জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক লুৎফর রহমান আবদু জানান, বিদ্যুৎ, গ্যাস, নিত্যপণ্যসহ কৃষি উপকরণের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে এবং গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার, সরকারের পদত্যাগ, খালেদা জিয়া ও নেতাকর্মীদের মুক্তিসহ ১০ দফা দাবিতে কেন্দ্রঘোষিত পদযাত্রার অংশ হিসেবে সাতগ্রাম ইউনিয়ন বিএনপির পক্ষ থেকে মিছিল বের করা হয়। এ সময় কেন্দ্রীয় বিএনপির সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক নজরুল ইসলাম আজাদসহ বিএনপি ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের কয়েক শ’ নেতা-কর্মী উপস্থিত ছিলেন।
তিনি বলেন, নেতা-কর্মীরা পাঁচরুখী বাজার থেকে পদযাত্রা শুরু করে। বাজার থেকে কিছুদূর গিয়ে পদযাত্রা শেষ করার পরিকল্পনা ছিল আমাদের। কিন্তু ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে নেতা-কর্মীদের বাধা দিয়ে লাঠিচার্জ শুরু করে পুলিশ। পরে রাবার বুলেট ও টিয়ারশেল ছোড়ে। এতে সাতগ্রাম ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি নাহিদ, ছাত্রদল নেতা ফারুক, যুবদল নেতা হাবিবসহ দশজন আহত হন। হাবিবের চোখের নিচে রাবার বুলেট লেগে মারাত্মক জখম হয়েছে।
আহতরা স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা নিয়েছেন বলেও জানান বিএনপির এই নেতা।
এদিকে আড়াইহাজার থানা পুলিশের ওসি আজিজুল হক বলেন, ‘রাস্তা অবরোধ করে যান চলাচলে বাধা সৃষ্টি করে কর্মসূচি পালন করছিল বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীরা। এতে মহাসড়কে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। তাদের সড়ক ছেড়ে দিতে অনুরোধ করা হয়। কিন্তু অনুরোধ না শুনে পুলিশের উপর চড়াও হয়ে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করতে শুরু করেন তারা। পরে পুলিশ অ্যাকশনে যায়। আত্মরক্ষার্থে পুলিশ কয়েক রাউন্ড রাবার বুলেট ও টিয়ার গ্যাস নিক্ষেপ করে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়।’
ওসি আজিজুল হক আরও জানান, এ ঘটনায় পুলিশের এসআই নূর আলম, এএসআই সৈয়দ আলী, কনস্টেবল আলমগীরও আহত হয়েছেন৷ তারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিয়েছেন৷ ঘটনাস্থল থেকে কাউকে আটক করা না গেলেও এই ঘটনায় থানায় মামলা হবে।
নারায়ণগঞ্জ আড়াইহাজার বিএনপি পুলিশ সংঘর্ষ আহত
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচনে যে সমস্ত বিএনপি নেতারা প্রার্থী হয়েছেন, সেই সমস্ত প্রার্থীদেরকে ইতোমধ্যে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে যে, তারা যদি মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেন তাহলে তাদেরকে দলে ফিরিয়ে আনা হবে। কিন্তু মজার ব্যাপার হল যে, বিএনপিতে বহিষ্কৃত এই সমস্ত উপজেলা নির্বাচনের প্রার্থীদের পক্ষে কাজ করছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা।
কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে উপজেলা নির্বাচনের প্রার্থীদের যোগাযোগ হচ্ছে। একাধিক কেন্দ্রীয় নেতা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে উপজেলা নির্বাচনে তাদের প্রার্থীর পক্ষে কাজ করার জন্য নেতাকর্মীদের নির্দেশ দিয়েছেন। অনেকেই উপজেলা নির্বাচনে যারা প্রার্থী হয়েছেন তাদের পক্ষে কাজ করার জন্য কর্মীদেরকে টেলিফোনেও বার্তা দিচ্ছেন। ফলে উপজেলা নির্বাচন নিয়ে বিএনপির মধ্যে একটি স্ববিরোধী অবস্থান লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
উল্লেখ্য যে, বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল যে, উপজেলা নির্বাচনে বিএনপি অংশগ্রহণ করবে না। ওই বৈঠকেই আরও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় যে, যারা উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে তাদেরকে দল থেকে আজীবন বহিষ্কার করা হবে এবং সেই ধারাবাহিকতায় ৭৩ জন বিএনপি নেতাকে বহিষ্কার করা হয়েছিল উপজেলা নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার জন্য। কিন্তু বিএনপির অধিকাংশ তৃণমূলের নেতা যারা উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন তারা শেষ পর্যন্ত মনোনয়ন প্রত্যাহার করেননি।
প্রথম ধাপে ধাপে বিএনপির ৬৭ জন উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছিলেন। তাদের মধ্যে মাত্র আটজন মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন। এখনও ৫৯ জন বিএনপির প্রার্থী ১৫০টি উপজেলার নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছে। যে সমস্ত প্রার্থীরা উপজেলা নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করেছেন তাদের এলাকার কেন্দ্রীয় নেতারা সাবেক এমপি বা বিএনপির গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা ওই সমস্ত উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থীর বিরুদ্ধে প্রার্থীর পক্ষে কাজ করছেন এবং তাদের জন্য ভিন্ন কৌশলে প্রচারণা চালাচ্ছেন।
প্রচারণার ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় নেতারা অত্যন্ত সতর্কতা অবলম্বন করছেন। উপজেলা নির্বাচনে যারা প্রার্থী হয়েছেন তারা দলের স্থানীয় পর্যায়ের কর্মীদেরকে একত্রিত করছেন কর্মীসভার আদলে এবং সেই কর্মীসভায় বিএনপির সিনিয়র নেতৃবৃন্দ উপস্থিত হচ্ছেন। তারা বক্তব্য রাখছেন এবং শুধু বক্তব্য রেখেই ক্ষান্ত হননি, তারা উপজেলায় স্বতন্ত্র ওই প্রার্থীর পক্ষে কাজ করার জন্য নেতাকর্মীদেরকে আহ্বান জানাচ্ছেন। তারা দলের ঐক্য বজায় রাখার জন্য নির্দেশনা দিচ্ছেন এবং ঐক্যবদ্ধভাবে আওয়ামী লীগকে মোকাবিলার জন্য বার্তা দিচ্ছেন।
উপজেলা নির্বাচনে আওয়ামী লীগ দলগতভাবে অংশ গ্রহণ করছে না। সেখানে তাদের একাধিক প্রার্থী রয়েছে। প্রায় অধিকাংশ উপজেলা আওয়ামী লীগের গড়ে তিন জন করে প্রার্থী রয়েছে। এরকম বাস্তবতায় বিএনপির যারা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছেন, তারা মনে করছেন যে, এটি তাদের জন্য একটি অনবদ্য সুযোগ। কারণ এর ফলে উপজেলাগুলোতে আওয়ামী লীগের কোন্দলের ফসল তারা ঘরে তুলতে পারবে। আর এ কারণেই উপজেলা নির্বাচনের ব্যাপারে লন্ডনে পলাতক বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়ার সিদ্ধান্ত অনেকে মানছেন না। আর বাস্তবতা অনুধাবন করে যারা এলাকার এমপি তারাও উপজেলায় একটা ভিত্তি রাখার জন্য বিদ্রোহী প্রার্থীদেরকে সমর্থন করছেন।
বিএনপি আওয়ামী লীগ উপজেলা নির্বাচন মির্জা ফখরুল ড. মঈন খান নজরুল ইসলাম খান
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগ কার্যনির্বাহী কমিটি উপজেলা নির্বাচন শেখ হাসিনা
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচনে যে সমস্ত বিএনপি নেতারা প্রার্থী হয়েছেন, সেই সমস্ত প্রার্থীদেরকে ইতোমধ্যে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে যে, তারা যদি মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেন তাহলে তাদেরকে দলে ফিরিয়ে আনা হবে। কিন্তু মজার ব্যাপার হল যে, বিএনপিতে বহিষ্কৃত এই সমস্ত উপজেলা নির্বাচনের প্রার্থীদের পক্ষে কাজ করছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা।
আগামী ৩০ এপ্রিল আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হচ্ছে। উপজেলা নির্বাচনে মন্ত্রী-এমপিদের অবাধ্যতা, দলের শৃঙ্খলা ভঙ্গ এবং উপজেলা নির্বাচনে প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা ইত্যাদি নিয়ে এই বৈঠকের দিকে তাকিয়ে আছে সারা দেশে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। আওয়ামী লীগ সভাপতি কী অবস্থান গ্রহণ করেন এবং কীভাবে তিনি বিদ্রোহীদের মোকাবেলা করেন সেটির দিকে তাকিয়ে আছে তৃণমূলের আওয়ামী লীগ।