ইনসাইড পলিটিক্স

আওয়ামী লীগের রাজনীতির মাঠ দখল: তৃণমূলকে কেন্দ্রের চার নির্দেশনা

প্রকাশ: ০৯:৪০ পিএম, ১১ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩


Thumbnail আওয়ামী লীগের রাজনীতির মাঠ দখল: তৃণমূলকে কেন্দ্রের চার নির্দেশনা

রাজনীতির মাঠে বিএনপি নানান কর্মসূচি দিলেও মাঠ দখলে রাখছে আওয়ামী লীগ। রাজনৈতিক মাঠ কোনোভাবেই দখলে রাখতে পারছে না বিএনপি। আগামী নির্বাচন সামনে রেখে এটাই আওয়ামী লীগের কৌশল বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের একাধিক নেতা। সংসদ ও সরকারের মতো রাজপথও নিজেদের দখলে রাখতে চাইছেন তারা। এজন্য এরই মধ্যে জেলা কমিটিকেও দলের পক্ষ থেকে এ ধরনের একটি নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।

শনিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) ছিল বিএনপির সারাদেশে ইউনিয়ন পর্যায়ে পদযাত্রা কর্মসূচি। একই দিনে ইউনিয়ন পর্যায়ে শান্তি সমাবেশ কর্মসূচি পালন করে আওয়ামী লীগ। দলটির কেন্দ্রীয় নেতাদের বিভিন্ন জেলায় দায়িত্ব দিয়ে এই কর্মসূচি সফল করারও নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এমনকি জেলা কমিটিগুলোকে দলের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে চিঠিও দেওয়া হয়েছে। চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, ‘আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে বছরব্যাপী সাংগঠনিক কর্মসূচি গ্রহণ ও বাস্তবায়ন এবং কার্যক্রম জোরদার করার নির্দেশ প্রদান করেছেন।’

এসব নিয়ে আওয়ামসী লীগ নেতাদের কাছে প্রশ্ন ছিল- বিএনপি কর্মসূচি ঘোষণা দিলে নানা কর্মসূচি নিয়ে মাঠ দখলে রাখে আওয়ামী লীগ। রাজনৈতিক মাঠে জায়গাই পাচ্ছে না বিএনপি। এমনটা কেন?- এমন প্রশ্নের উত্তরে দলটির নেতারা বলছেন, ‘জনমনে যেন আতঙ্কের সৃষ্টি না হয় এবং বিএনপির কর্মসূচির মধ্যে জামায়াত-শিবির অনুপ্রবেশ করে কোনো ধরনের নাশকতার সৃষ্টি যেন করতে না পারে সেজন্য আওয়ামী সতর্ক অবস্থান গ্রহণ করে।’

এ বিষয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘নির্বাচন পর্যন্ত আমাদের কর্মসূচি (রাজনৈতিক) প্রতিদিন আছে। ইউনিয়ন পর্যায়ে যে কর্মসূচি তা পাল্টাপাল্টি কোনো কর্মসূচি নয়। জনগণের জানমাল রক্ষা করা আমাদের কর্তব্য। তাই নির্বাচনের আগে আমাদের দলীয় কর্মসূচি থাকবে।’

এ বিষয়ে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও জাতীয় সংসদের হুইপ আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন বলেন, ঘর পোড়া গরু সিঁদুরে মেঘ দেখলে ভয় পায়। বিএনপি-জামায়াত যে কোনো রাজনৈতিক কর্মসূচি ঘোষণা করলেই জনমনে আতঙ্কের সৃষ্টি হয়। তারা আবার নাশকতা, গণপরিবহনে আগুন, মানুষ পোড়ানো শুরু করে কি না- এই ভয়, আশঙ্কার উদ্ভব হয়। জনমনে যেন আতঙ্কের সৃষ্টি না হয় এবং বিএনপির কর্মসূচির মধ্যে জামায়াত-শিবির অনুপ্রবেশ করে কোনো ধরনের নাশকতার সৃষ্টি করতে না পারে সেজন্য আওয়ামী সতর্ক অবস্থান নেয়। বিএনপির নেতাদের নিজ দল ও জামায়াত-শিবিরের সশস্ত্র ক্যাডারদের কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই। ফলে আওয়ামী সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করে। তবে আওয়ামী লীগ কোনোভাবে কোন উসকানি দেবে না বা উসকানিতে পা দেবে না। কোনো দলের যে কোনো শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে বাধা দেবে না।

দলটির আরেক সাংগঠনিক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দীর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘বিএনপি এরই মধ্যে কর্মসূচির নামে নৈরাজ্য সৃষ্টি করেছে, জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে। যার কারণে নৈরাজ্যের প্রতিবাদে আওয়ামী লীগ সব সময় সতর্ক অবস্থানে থাকে। আমরা সহিংসতা করছি না বা পাল্টা কর্মসূচি দিচ্ছি না। মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্য কর্মসূচি দিচ্ছি। মানুষের জানমাল রক্ষার জন্য আমাদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি। যাতে জনমনে স্বস্তি কাজ করে, এলাকায় এলাকায় শান্তি বিরাজ করে। আমরা প্রতিহিংসায় বিশ্বাস করি না, শান্তি ও সহাবস্থানে বিশ্বাস করি।’

তৃণমূলে দেওয়া আওয়ামী লীগের চিঠি

সম্প্রতি তৃণমূলে চিঠি পাঠাচ্ছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। দলটির সাধারণ সম্পাদক স্বাক্ষরিত ও সভাপতির নির্দেশ সম্বলিত এই  চিঠি জেলা কমিটিকে লেখা। ওই চিঠিতে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে বছরব্যাপী সাংগঠনিক কর্মসূচি গ্রহণ ও বাস্তবায়ন এবং কার্যক্রম জোরদার করার নির্দেশ দিয়েছেন। বছরব্যাপী কর্মসূচির অংশ হিসেবে ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ শনিবার সারাদেশে ইউনিয়ন পর্যায়ে বিএনপি-জামায়াত অশুভশক্তির সন্ত্রাস-নৈরাজ্য ও ষড়যন্ত্রমূলক অপরাজনীতির বিরুদ্ধে ‘শান্তি সমাবেশ’ আয়োজন; পাশাপাশি ২১ ফেব্রুয়ারি মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস, ঐতিহাসিক ৭ মার্চ, ১৭ মার্চ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মবার্ষিকীও জাতীয় শিশু দিবস উদযাপন, ২৫ মার্চ গণহত্যা দিবস ও ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে মার্চ মাসব্যাপী বিভিন্ন উপযোগী কর্মসূচি গ্রহণের সাংগঠনিক নির্দেশনা দেওয়া হচ্ছে। একই সঙ্গে আগামী জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে সাংগঠনিক কার্যক্রম গতিশীল করতে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সর্বস্তরের নেতাদের নিম্ন লিখিত নির্দেশাবলি পালনের জন্য অনুরোধ জানানো হচ্ছে।’

কেন্দ্র থেকে দেওয়া সাংগঠনিক চার নির্দেশনা

ওই চিঠিতে আওয়াশী লীগের নেতা-কর্মীদের চারটি সাংগঠনিক নির্দেশনাও দেওয়া হয়েছে। এগুলো হলো- 

১. ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ শনিবার সারাদেশে বিএনপি-জামায়াত অশুভ শক্তির সন্ত্রাস-নৈরাজ্য ও ষড়যন্ত্রমূলক অপরাজনীতির বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের অংশগ্রহণে ইউনিয়ন পর্যায়ে ‘শান্তি সমাবেশ’ আয়োজন।

২. ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে সারাদেশে প্রভাতফেরি, শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদন ও আলোচনাসহ বিভিন্ন উপযোগী কর্মসূচি গ্রহণ।

৩. ঐতিহাসিক ৭ মার্চ দিবস পালন, ১৭ মার্চ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস, ২৫ মার্চ গণহত্যা দিবস এবং ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে মাসব্যাপী কর্মসূচি গ্রহণ।

৪. সারাদেশে ‘সদস্য সংগ্রহ অভিযান’ জোরদার করা এবং যে সব সাংগঠনিক জেলা ও উপজেলা শাখার সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে দ্রুত সে সব শাখার পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করা। মেয়াদোত্তীর্ণ সাংগঠনিক উপজেলা/থানা/পৌর/ইউনিয়ন/ওয়ার্ড ও ইউনিটের সম্মেলন সম্পন্ন করা। 


আওয়ামী লীগ   রাজনীতির মাঠ   দখল   তৃণমূল   কেন্দ্র   নির্দেশনা  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

সরকারি খরচে হজে যাচ্ছেন বাম নেতা

প্রকাশ: ০৫:৪৫ পিএম, ১৪ মে, ২০২৪


Thumbnail

এ বছর সরকারি খরচে হজে যাচ্ছেন ৭১ জন। তাদের মধ্যে অবসরপ্রাপ্ত সচিব, বর্তমান বিচারপতি, বীর মুক্তিযোদ্ধা, রাজনৈতিক ব্যক্তি ও সরকারি কর্মচারী রয়েছেন। তালিকায় প্রবীণ রাজনীতিক বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সাবেক সভাপতি মো. মঞ্জুরুল আহসান খানের নাম রয়েছে।

সরকারের আর্থিক সহায়তায় হজ পালনে যাওয়া ব্যক্তিদের নামে ইতিমধ্যে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে ধর্ম মন্ত্রণালয়। তাতে বলা হয়, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ফ্লাইট পাওয়া সাপেক্ষে তারা আগামী ৬ জুন সৌদি আরব যাবেন। হজ শেষে তাদের দেশে ফেরার কথা আগামী ১০ জুলাই।

ধর্ম মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, এতে সরকারের খরচ হবে প্রায় তিন কোটি টাকা।

এবার সরকারি খরচে হজে যাওয়া ব্যক্তিরা বিমানের টিকিট বাবদ ১ লাখ ৯৪ হাজার ৮০০ টাকা জমা দেবেন। এ ছাড়া প্রত্যেককে ৩৫ হাজার টাকা করে হজ অফিসে জমা দিতে হবে খাওয়া বাবদ।

উল্লেখ্য, শৃঙ্খলাবিরোধী কর্মকাণ্ডের দায়ে চলতি বছরের ২৬ ফেব্রুয়ারি মনজুরুল আহসান খানকে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) উপদেষ্টার পদ থেকে স্থায়ী অব্যাহতি দেওয়া হয়।

সরকারি খরচ   হজ   মঞ্জুরুল আহসান খান  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

যুক্তরাষ্ট্র-বিএনপির সম্পর্কে দূরত্ব কেন?

প্রকাশ: ০৫:০০ পিএম, ১৪ মে, ২০২৪


Thumbnail

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু বাংলাদেশ সফরে এসেছেন। আজ তিনি আওয়ামী লীগের বেসরকারি বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানের সঙ্গে নৈশভোজে মিলিত হবেন। এছাড়াও তিনি সরকারের জলবায়ু পরিবর্তন এবং পরিবেশ মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরীর সঙ্গে বৈঠক করবেন। সুশীল সমাজের সঙ্গে বৈঠক করবেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে তাঁর সৌজন্য সাক্ষাতেরও কথা রয়েছে। আর এই সফর সূচিতে বিএনপির সঙ্গে তাদের কোনো বৈঠক নেই। বিএনপি এখন ডোনাল্ড লু কে নিয়ে সুর পাল্টেছে, ভিন্ন সুরে কথা বলছেন।  


বিএনপি নেতারা বলছেন, ডোনাল্ড লু’র ব্যাপারে তাদের কোন আগ্রহ নেই। এই সফর নিয়েও তারা উৎসাহি নয়। কিন্তু এর আগে যখন ডোনাল্ড লু বাংলাদেশ সফরে এসেছিলেন তখন বিএনপির উত্তেজনা এবং আগ্রহ কেউ চাপিয়ে রাখতে পারেনি। বরং বিএনপির নেতারা এ নিয়ে তাদের আনন্দ অনুভূতি প্রকাশ্যে উচ্চারণ করেছিলেন। সেই সময় বিএনপি নেতারা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগকে হটিয়ে দিবে এমন প্রত্যাশায় বিভোর ছিল। কিন্তু বাস্তবে সেটি হয়নি। এখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বিএনপির সম্পর্কের এক ধরনের ফাটল লক্ষ্য করা যাচ্ছে। বিশেষ করে ৭ জানুয়ারির নির্বাচনের পর মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার ডি হাসের সঙ্গেও বিএনপি নেতাদেরকে মাত্র দু’টি সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে দেখা গেছে। 

আফরিন আখতার বাংলাদেশের সফরে এলে বিএনপি নেতারা ওয়েস্টিন হোটেলে একটি বৈঠক করেন৷ তবে সেই বৈঠক ইতিবাচক ছিল না। তাছাড়া এখন মার্কিন রাষ্ট্রদূতের পক্ষ থেকেও বিএনপির সঙ্গে আগের মতো আর যোগাযোগ করা হয় না। তাহলে কি বিএনপি-মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কের ফাটল ধরেছে? বিএনপির সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের দূরত্ব তৈরি করতে চাইছে?

এরকম প্রশ্নের উত্তরে কূটনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন যে, নানা কারণে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এখন বিএনপি থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। আর এটি বোঝার কারণেই বিএনপি এখন নিজেদেরকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাবমুক্ত হিসেবে প্রমাণ করার চেষ্টা করছে। 

অন্যদিকে বিএনপির কোন কোন নেতা মনে করছেন যে, ৭ জানুয়ারি নির্বাচন নিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আসলে আওয়ামী লীগের পক্ষেই কাজ করেছে এবং বিএনপি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কূটনীতির কারণে প্রতারিত হয়েছে। 

বিএনপির নেতা গোলাম মাওলা রনি বিভিন্ন টকশোতে বলছেন, ‘মার্কিন রাষ্ট্রদূত আওয়ামী লীগের পক্ষে কাজ করেছেন বিএনপি তা বুঝতে পারেননি।’ আর এ ধরনের বক্তব্য এখন বিএনপির প্রায় সব নেতাই করছেন।

বিএনপির বিভিন্ন সূত্রগুলো বলছে যে, আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় আনার জন্য ভারতের পক্ষে কাজ করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। যদিও কূটনৈতিক বিশ্লেষকরা এই ধরনের বক্তব্যের কোনো যৌক্তিকতা পায়নি। তবে বাংলাদেশে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বিএনপির যে একটা দূরত্ব তৈরি হয়েছে তা সহজেই অনুমান করা যায়। এই দূরত্বের কারণ একাধিক। 


১.  ৭ জানুয়ারির নির্বাচনে বিএনপির অংশগ্রহণ না করা: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র চেয়েছিল ৭ জানুয়ারি নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক হোক এবং এই নির্বাচনে সকল রাজনৈতিক দলগুলো অংশগ্রহণ করে। বিএনপিকে যুক্তরাষ্ট্র নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার জন্য অনুরোধও জানিয়েছিলো। কিন্তু বিএনপি তাদের অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করেছে। নির্বাচন ছাড়া গণতন্ত্র ক্ষমতার পালাবদলের অন্য কোন উপায় নেই। বিএনপির এই নির্বাচনে না যাওয়াটাকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র একপ্রকার হতাশা হিসেবে দেখছে। 

২. বিএনপির নেতৃত্বশূন্যতা: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির ওপর কিছুটা বিরক্ত বলেও কূটনৈতিক মহল আভাস দিয়েছেন। কারণ তাদের সিদ্ধান্ত দেওয়ার মতো কোন নেতা নেই। বিএনপির কাছে যখন কোন সিদ্ধান্ত জানতে চাওয়া হয় তখন বিএনপি নেতারা তাৎক্ষণিকভাবে কোন প্রশ্নের উত্তর দিতে পারেন না। দলে যারা ক্রিয়াশীল এবং যারা কাজ করছেন তারা কেউই বিএনপির নেতৃত্বের মধ্যে নেই। আর একারণেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির উপর আস্থা রাখতে পারছে না।

আরও পড়ুন: স্ত্রীকে নিয়ে সিঙ্গাপুর গেলেন মির্জা আব্বাস 

৩. জামায়াতের সাথে সম্পর্ক: তারা আবার স্বাধীনতা বিরোধী, উগ্র মৌলবাদি দলের সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি করছে। এ বিষয়টি যুক্তরাষ্ট্রের নজরে এসেছে আর তাই তারা এখন বিএনপির ব্যাপারে তেমন একটা আগ্রহী নয়।


বিএনপি   লু   যুক্তরাষ্ট্র  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

বিএনপি নেতানিয়াহুর দোসরে পরিণত হয়েছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

প্রকাশ: ০২:১৮ পিএম, ১৪ মে, ২০২৪


Thumbnail

ফিলিস্তিনের পক্ষে না দাঁড়িয়ে বিএনপি ইসরায়েলের দোসরে পরিণত হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

মঙ্গলবার (১৪ মে) সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বাংলাদেশ স্বাধীনতা পরিষদ আয়োজিত ফিলিস্তিনে গণহত্যা বন্ধ ও বিএনপির দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে এক মানববন্ধন ও সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বিএনপি ফিলিস্তিনের পক্ষে না দাঁড়িয়ে ইসরায়েলের দোসরে পরিণত হয়েছে, নেতানিয়াহুর দোসরে পরিণত হয়েছে। ইসরায়েলের এজেন্টদের সঙ্গে মিলে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। আমাদের কাছে তথ্য প্রমাণ আছে। এদের মুখোশ উন্মোচন করতে হবে।

তিনি বলেন, পুরো পৃথিবী এই বর্বরতার প্রতিবাদে সোচ্চার হয়েছে কিন্তু আমরা দেখতে পাচ্ছি বিএনপি ও জামায়াত, যারা ধর্ম নিয়ে রাজনীতি করার চেষ্টা করে, এই মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধের বিরুদ্ধে একটা শব্দও উচ্চারণ করেনি। কারণ কেউ অসন্তুষ্ট হতে পারে। গত নির্বাচনে তাদের পরিকল্পনা ভেস্তে যাওয়ার পর ইসরায়েলি লবিস্টদের সঙ্গে মিলে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। 

তিনি আরও বলেন, আমাদের দেশে কিছু ইসলামী দল আছে, তারা কারণে-অকারণে বায়তুল মোকাররমের দাঁড়িয়ে যান। আপনারা কোথায় এখন? আপনাদের কেন খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। নির্বাচনের আগে সরকার নামানোর জন্য বায়তুল মোকাররমের সামনে এসে আন্দোলন করেন, কই ফিলিস্তিনি ভাইদের পক্ষে, ইসরায়েলের বিপক্ষে তো একটা বড় মিছিল করতে দেখলাম না।

সামাজিক মাধ্যমে সরকারের সমালোচনাকারীদের নিয়ে বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনেককেই দেখি সরকারের বিরুদ্ধে বড় বড় ভাষণ দেয়, সরকারের বিরুদ্ধে বিষোদগার করে। নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে তাদের কথা বলতে তো শুনলাম না। এরা কোথায়? এরা কোথায় লুকিয়ে আছে? এরা আসলে ইসলাম প্রেমী নয়, এরা হলো মুখোশধারী ধর্ম ব্যবসায়ী। এদের মুখোশও উন্মোচন করতে হবে।

এরপর ফিলিস্তিনি মানুষদের প্রতি সহমর্মিতা প্রকাশ করে তিনি বলেন, ইসরায়েলি বর্বরতার কারণে যারা নিহিত হয়েছেন তাদের মাগফেরাত কামনা করি। যারা আহত হয়েছেন তাদের প্রতি সহানুভূতি জানাই। বাংলাদেশের মানুষের অবস্থান সবসময় মুক্তিকামী মানুষের পক্ষে ছিল। আমাদের নীতি ফিলিস্তিনি মুক্তিকামী মানুষের পক্ষে।


বিএনপি   নেতানিয়াহু   দোসর   হাছান মাহমুদ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

স্ত্রীকে নিয়ে সিঙ্গাপুর গেলেন মির্জা আব্বাস

প্রকাশ: ০১:৪৫ পিএম, ১৪ মে, ২০২৪


Thumbnail

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস ও তার স্ত্রী মহিলা দলের সভাপতি আফরোজা আব্বাস চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরের উদ্দেশ্যে ঢাকা ছেড়েছেন। 

মঙ্গলবার (১৪ মে) সকালে হযতর শাহজালাল বিমানবন্দর থেকে বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটে সিঙ্গাপুর যান তারা। 

বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান গণমাধ্যমকে জানান, মঙ্গলবার সকালে মির্জা আব্বাস ও তার স্ত্রী আফরোজা দুইজনই চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুর গিয়েছেন। চিকিৎসা শেষে তারা কবে দেশে ফিরবেন সেটা এখনি বলতে পারছেন না তিনি। 


সিঙ্গাপুর   মির্জা আব্বাস   বিএনপি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

মার্কিন স্যাংশন, ভিসানীতির পরোয়া করে না আওয়ামী লীগ: কাদের

প্রকাশ: ০১:০০ পিএম, ১৪ মে, ২০২৪


Thumbnail

আওয়ামী লীগ সরকার মার্কিন স্যাংশন, ভিসানীতি পাত্তা দেয় না বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। 

তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগ কাউকে দাওয়াত করে আনে নি,তাদের এজেন্ডা আছে। তারা সেসব নিয়ে ঢাকায় এসেছে। ওপরে ওপরে বিএনপি তাদের পাত্তা দেয় না বললেও, তলে তলে  বিএনপির সঙ্গে তাদের কি আছে, তারাই ভালো জানে। 

মঙ্গলবার (১৪ মে) সচিবালয়ে সমসাময়িক বিষয়ে আলোচনাকালে এসব কথা বলেন তিনি।  

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ভারতীয় পণ্য বর্জনের ডাক বিএনপির আন্দোলনের ব্যর্থ চেষ্টা। আন্দোলনে ব্যর্থ হয়ে খড়কুটো ধরে বাজতে চায় তারা। আসলে তাদের কোনো ইস্যু নাই। তারা ভারতীয় পণ্য বর্জনকে ইস্যু বানাতে চায়। আমার প্রশ্ন হলো-ভারতীয় মসলা ছাড়া কি আমাদের চলে?  

তিনি বলেন, ভারতের মসলা ছাড়া আমাদের চলে না। শুধু মসলা কেন, ভারত থেকে শাড়ী-কাপড় আসবে, এছাড়া আরও কিছু নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যও আসবেই। 

তিনি আরও বলেন, সম্প্রতি ঢাকায় বিএনপির দুইটা সমাবেশই ফ্লপ হয়েছে। বিএনপি ও তাদের সমমনাদের আন্দোলনের ডাকে জনগণের সাড়া নেই। দলটির কর্মীরা হতাশ, তাদের আর নেতাদের ওপর আস্থা নেই। সে কারণেই বিএনপির কর্মীরা তাদের সমাবেশে যোগ দেয় না।


মার্কিন স্যাংশন   ভিসানীতি   আওয়ামী লীগ   ওবায়দুল কাদের  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন