ইনসাইড পলিটিক্স

জিয়াউর রহমানের রাষ্ট্রক্ষমতা দখল: দুঃসময়ের সে কালো অধ্যায়!

প্রকাশ: ০৯:১২ পিএম, ১৬ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩


Thumbnail

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের আগে বাংলাদেশের সংবাদপত্রগুলোতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রশংসা করে খবর ও মন্তব্য প্রকাশ পেতে দেখা গেলেও বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পর অর্থাৎ ১৫ আগস্টের পর গণমাধ্যমে দেখা গেছে উল্টো সুর। সেনা সমর্থিত রাষ্ট্রপতি আবু সাদাত মোহাম্মদ সায়েমের সরকার মূলত মেজর জিয়ার নির্দেশে পরিচালিত হতো। সে সময়টি ছিল মিথ্যাচার এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ভুলুণ্ঠিত করার নীল নকশার বহিঃপ্রকাশ। সে সময়ের জাতীয় দৈনিক পত্রিকাগুলোতে কেবলই শেখ মুজিব ও আওয়ামী লীগের সমালোচনা করে প্রবন্ধ, নিবন্ধ, সংবাদ পরিবেশন করা হতো। কেন এই মিথ্যাচার? কেন এই প্রহসন বাঙালি জাতির সাথে? প্রশ্নগুলো যখন সামনে এলো, তখন এর উত্তরগুলো খুঁজে দেখার চেষ্টা করেছিলেন দেশের রাজনৈতিক বিশ্লেষক এবং ইতিহাসবোদ্ধারা।       

ইতিহাসবিদরা জানান, বাংলাদেশের রাজনীতির ইতিহাসে ভয়ঙ্কর একটি সময় অতিবাহিত হয়েছে বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পরের সময়গুলোতে, বিশেষ করে মেজর জিয়ার শাসনামলে। ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের সময় থেকেই বাংলাদেশে সামরিক শাসন জারি করা হয়েছিল। সামরিক ফরমান অনুযায়ী সভা-সমাবেশ ছিল নিষিদ্ধ। বাক স্বাধীনতা ছিল না। নির্দেশনা ছিল, বেতার ও টেলিভিশনের পাশাপাশি সংবাদপত্রে সরকারের সমালোচনা করা যাবে না। এমন কোনো প্রচারপত্র প্রকাশ ও বিলি করা যাবে না, যেখানে সরকারের বিন্দুমাত্র সমালোচনা থাকে। সরকার যাদের পছন্দ করে না কিংবা প্রতিপক্ষ হিসেবে গণ্য করে তাদের কোনো খবরও প্রকাশ বা প্রচার করা যাবে না। পত্রিকায় সামরিক সরকার যা লিখতে বলতো, সেটাই লেখা হতো। ভয়ঙ্কর একটি ব্যাপার তখন বাংলাদেশের গণমাধ্যমে পরিলক্ষিত হয়েছিল। 

ইতিহাসবিদদের মতে, সামরিক শাসনামলে এমনটিই হওয়া কথা। কিন্তু তারপরও সেখানে ১৫ আগস্টের পর এমন ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছিলেন মেজর জিয়াউর রহমান নিজে। বিচারপতি আবু সাদাত মোহাম্মদ সায়েম সেনাশাসক জিয়াউর রহমানের তুলনা করেছেন ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় গণহত্যা-ধর্ষণ-লুটপাটের প্রধান হোতা যুদ্ধাপরাধী জেনারেল ইয়াহিয়া খানের সঙ্গে। বঙ্গবন্ধু এবং তাঁর পরিবারের নারী-শিশুদের হত্যাকাণ্ডের প্রধান হোতাদের তালিকায় খোন্দকার মোশতাক, জিয়াউর রহমান, ফারুক রহমানসহ অনেকের নাম উচ্চারিত হয়েছে বার বার। বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের সপ্তাহ যেতে না যেতেই জিয়াউর রহমানকে সোনাবাহিনী প্রধান পদে নিয়োগ দেয় খন্দকার মোশতাক আহমদ। এসব বিষয় নিয়ে বিচারপতি সায়েম লিখেছেন, ‘মিলিটারি মানে সেনাবাহিনী; আর মিলিটারি বা সেনাবাহিনীর শাসন মানে সেনাপ্রধানের নেতৃত্ব।’ (সূত্র: বঙ্গভবনের শেষ দিনগুলি: আবু সাদাত মোহাম্মদ সায়েম, পৃষ্ঠা ২৯)।

দেশের রাজনৈতিক ইতিহাস বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, বাংলাদেশের প্রথম প্রধান বিচারপতি ছিলেন আবু সাদাত মোহাম্মদ সায়েম। তিনি বিশ্বের একমাত্র প্রধান বিচারপতি, যিনি প্রধান সামরিক আইন প্রশাসকের পদ গ্রহণ করেছিলেন। এটা সংবিধানের লঙ্ঘন, কিন্তু এ নিয়ে অনুতাপ করেছেন, এমনটি নেই তাঁর বইয়ে (বঙ্গভবনের শেষ দিনগুলি)। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট নিষ্ঠুরভাবে হত্যা করে রাষ্ট্রক্ষমতা জবর দখল করেছিল যে দুর্বৃত্তচক্র, প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক ও রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা ব্যবহার করে তাদের শাস্তি প্রদানে কোনো উদ্যোগ তিনি নিয়েছেন, এমন কোনো কথাও নেই তাঁর বইয়ে। তবে জিয়াউর রহমান তার কাছ থেকে ক্ষমতা ছিনিয়ে নিয়েছেন, এ নিয়ে অসন্তুষ্টি গোপন রাখেননি বিচারপতি আবুসাদাত মোহাম্মদ সায়েম। অদ্ভূত ক্ষমতার পালাবদলের নির্মম সত্য ঠিকই প্রকাশ করেছেন তিনি।

তিনি লিখছেন, ‘কীভাবে সেনাপ্রধান (মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমান) একটি স্থায়ী সার্ভিসের অফিসার হিসেবে কর্মরত থাকা অবস্থায় প্রেসিডেন্ট হয়েছিলেন এবং সেই সঙ্গে স্থল, নৌ ও বিমান, তিন সশস্ত্র বাহিনীর প্রত্যেকটির ভারপ্রাপ্ত প্রধানের দায়িত্ব নিজের হাতে তুলে নিয়েছিলেন। এসব পদে জেনারেল ইয়াহিয়া বহাল ছিলেন বাংলাদেশের চূড়ান্ত মুক্তি ও বিজয় না হওয়া পর্যন্ত।’ (সূত্র: বঙ্গভবনের শেষ দিনগুলি, পৃষ্ঠা ২২)।

এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র-শিক্ষকদের মধ্যে প্রচণ্ড ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। তখন ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য ছিলেন অধ্যাপক শামসুল হক। তিনি চ্যান্সেলর বিচারপতি সায়েম কিংবা শিক্ষা বিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক আবুল ফজলের কাছে না গিয়ে হাজির হলেন সেনাবাহিনী প্রধান ও উপ্রধান সামরিক আইন প্রশাসক জিয়াউর রহমানের কাছে। তার কাছ থেকে ক্ষতিপূরণ হিসেবে আদায় করলেন বিশ্ববিদ্যালয় মাঠে একটি সুইমিংপুল নির্মাণের অর্থ বরাদ্দের প্রতিশ্রুতি। বিচারপতি সায়েম এটা মেনে নিয়েছিলেন। কারণ তিনি জানতেন, সেনাবাহিনী প্রধান হচ্ছেন মিলিটারি ডিক্টেটর, যিনি সব পারেন। তার কথা না শুনলে বিপদের শেষ নেই।

ইতিহাস বলছে, লে. কর্নেল হামিদ (বিএনপির ঘোরতর সমর্থক ও প্রখ্যাত ফুটবলার কায়সার হামিদের পিতা) জিয়াউর রহমানের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ ছিলেন। তিনি লিখেছেন, ‘জিয়াউর রহমান তাকে ১৯৭৫ সালের ২৪ আগস্ট ফোন করে তার কাছে যেতে বলেন। আমি একটু পরে আসছি বলায় তিনি রেগে বলে ওঠেন, শাটআপ এক্ষুণি আস। আমি তার অফিসে গেলে তিনি বলে ওঠেন, যথাযথভাবে স্যালুট দাও। তুমি এখন সেনাবাহিনী প্রধানের কক্ষে প্রবেশ করেছ। তিনি আমাকে এ পদে নিয়োগের জন্য প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের চিঠি দেখান। তাকে বলি, সেনাবাহিনী প্রধান মেজর জেনারেল শফিউল্লাহ কি এটা জানেন? তিনি হয়ত দায়িত্ব হস্তান্তরের জন্য কয়েকদিন সময় নিতে পারেন। উত্তরে জিয়া বলেন, শাট আপ, আমি আগামীকালই দায়িত্ব নেব। পরদিন জিয়া প্রকাশ্যে ঘোষণা দেন, আজ থেকে আমি সেনাবাহিনী প্রধান। সকলকে শৃঙ্খলা মেনে চলতে হবে। অন্যথায় কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

ইতিহাস পর্যালোচনায় দেখা যায়, ১৯৭৬ সালের ২১ জুলাই কর্নেল (অব.) আবু তাহেরকে প্রহসনের বিচারে ফাঁসি দেওয়া হয় (মৃত্যুদণ্ডের রায় দেওয়া হয়েছিল ১৭ জুলাই। পরদিন রাষ্ট্রপতি ও প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক তার অনুমোদন দেন)। সে সময় বিচারপতি সায়েম প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক এবং জিয়াউর রহমান উপ-প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক পদে ছিলেন। বিচারপতি সায়েম কেন এ অন্যায়ের বিরুদ্ধে অবস্থান নেননি? কেনই বা ১৯৭৫ সালের ৩১ ডিসেম্বর ‘দালাল আইন ১৯৭২’ বাতিল করেছিলেন? এ আইনে মুক্তিযুদ্ধের সময় হত্যা, ধর্ষণ, অগ্নিসংযোগ ইত্যাদি অপরাধের জন্য যাদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছিল, সায়েম-জিয়ার সরকার তাদেরকে কেন মুক্তি দেয়? বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ড ও ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে জাতীয় চারনেতাকে হত্যার মতো কর্নেল তাহেরের হত্যাকাণ্ডও ছিল গুরুতর অপরাধ। 

জানা যায়, ১৯৭৫ সালের ১১ নভেম্বর জিয়াউর রহমান বেতার ও টেলিভিশনে ভাষণ দিয়ে বলেছিলেন, ‘রাষ্ট্রবিরোধী চক্রান্ত চলছে। সকলকে সতর্ক থাকতে হবে।’ কোন ক্ষমতাবলে উপপ্রধান সামরিক আইন প্রশাসক এ ভাষণ দিয়েছিলেন? ১৯৭৫ সালের ১৫ ডিসেম্বর বিজয় দিবসের প্রাক্কালে বিচারপতি সায়েম ও মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমান বেতার ও টেলিভিশনে জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দেন। বিচারপতি সায়েম রাষ্ট্রপতি হিসেবে ভাষণ দিয়েছিলেন। কিন্তু জিয়াউর রহমান কোন অধিকার ও ক্ষমতাবলে ভাষণ দিয়েছিলেন?

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, মেজর জিয়ার রাষ্ট্রক্ষমতা দখল এবং সে সময়কার কার্যকলাপ সম্পূর্ণরূপে আইন বিরোধী ছিল। জিয়াউর রহমান অবৈধভাবে রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করেই প্রথমে সেনাপ্রধান এবং পরে রাষ্ট্রপতি হয়েছিলেন। ইতিহাস এর সাক্ষী। বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাস পর্যালোচনা করলে মেজর জিয়ার মিথ্যাচার এবং ক্ষমতা দখলের যে কালো অধ্যায় দেখা যায়, সে থেকেই বর্তমান বিএনপির সৃষ্টি। কাজেই বিএনপির রাজনৈতিক ইতিহাস কি, কিভাবে বিএনপির সৃষ্টি হয়েছিল- তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। স্বাধীন রাষ্ট্র বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবদান কিভাবে মুছে ফেলা যায়, সে ষড়যন্ত্রের নীল নকশা তৈরি করেছিলেন মেজর জিয়া। এছাড়া বঙ্গবন্ধুর প্রতিষ্ঠিত আওয়ামী লীগকে সমূলে ধ্বংস করতেই বন্দুকের নলের মুখে জিয়া প্রতিষ্ঠা করেছিলেন বর্তমান রাজনৈতিক দল বিএনপি।      

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা আরও জানান, জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় থাকাকালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রশংসা তো দূরের কথা, গণমাধ্যমে তাঁর নাম নেওয়া এবং এমনকি ‘জয় বাংলা’ স্লোগান নিষিদ্ধ করেছিলেন। তবে বঙ্গবন্ধু ও আওয়ামী লীগের নিন্দা করে কিছু প্রকাশ করলে তাতে উৎসাহ দেওয়া হতো। বঙ্গবন্ধুর নিন্দা করে, মিথ্যার আশ্রয় নিয়ে কুৎসা রটনা করে যা কিছু লেখা বা বলা হতো, সব ছিল জায়েজ। বাংলাদেশকে এই দুঃসময় কাটিয়ে উঠে সত্য ও ন্যায় প্রতিষ্ঠা করতে দুই দশকের বেশি সময় লেগেছিল। কিন্তু একাত্তরে বিজয়ী বাংলাদেশ হার মানেনি। ইতিহাস সাক্ষী।


জিয়াউর রহমান   রাষ্ট্রক্ষমতা   দখল   দুঃসময়   কালো অধ্যায়  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

খালেদা জিয়ার ছবি দিয়ে পোস্টার সাঁটানো কর্মসূচি শুরু

প্রকাশ: ০৩:২২ পিএম, ১১ মে, ২০২৪


Thumbnail

বিশ্ব মা দিবস উপলক্ষে দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার ছবি সম্বলিত পোস্টার সাঁটানো কর্মসূচি গ্রহণ করেছে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপি। একইসঙ্গে বিশ্ব মা দিবস উপলক্ষে বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবি জানিয়েছেন দলটির নেতাকর্মীরা। ওই পোস্টারে লেখা হয়েছে- ‘মা আমায় দিচ্ছে ডাক, স্বৈরাচার নিপাত যাক, গণতন্ত্র মুক্তি পাক’।

শনিবার (১১ মে) নয়াপল্টনে মহানগর বিএনপির কার্যালয়ের সামনে এবং আশপাশের এলাকায় খালেদা জিয়ার ছবি সম্বলিত পোস্টার সাঁটানো কর্মসূচি উদ্বোধন করেন মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আবদুস সালাম।

এ সময় সালাম বলেন, ‘বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া আজ নিপীড়িত জনগণের মা। তাকে অন্যায়ভাবে মিথ্যা মামলায় আটকে রাখা হয়েছে। এবারের মা দিবসে বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে আমাদের এই ব্যতিক্রমী উদ্যোগ। আমরা দাবি করছি, অনতিবিলম্বে বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্তি দেওয়ার। তিনি চলমান গণতান্ত্রিক আন্দোলনের নেতৃত্ব দেবেন।’

বিএনপি নেতা আব্দুস সালাম আরও বলেন, ‘ধারাবাহিকভাবে সব ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে এই পোস্টার লাগানোর মধ্য দিয়ে বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবি তরান্বিত করা হবে।’

এ সময় উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনু, যুগ্ম আহ্বায়ক আলহাজ ইউনুস মৃধা, মোহাম্মদ মোহন, আব্দুস সাত্তার, সদস্য খালেদ সাইফুল্লাহ রাজন, আরিফা সুলতানা রুমা, বিএনপির তথ্য ও প্রযুক্তি দপ্তরের কর্মকর্তা মাহফুজ কবির মুক্তাসহ মহানগর দক্ষিণ বিএনপির অন্যান্য নেতাকর্মীরা।


বিএনপি   চেয়ারপারসন   বেগম খালেদা জিয়া  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

জরুরি সংবাদ সম্মেলনে আসছেন মির্জা ফখরুল

প্রকাশ: ০২:১৭ পিএম, ১১ মে, ২০২৪


Thumbnail

জরুরি সংবাদ সম্মেলন ডেকেছে বিএনপি। আগামীকাল রোববার দুপুর ১২টায় রাজধানীর গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানান।

এতে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বক্তব্য রাখবেন। এর মধ্য দিয়ে ছয় মাসেরও বেশি সময় পর সংবাদ সম্মেলনে আসছেন মির্জা ফখরুল।

এর আগে ২০২৩ সালের ২৭ অক্টোবর সংবাদ সম্মেলন করেছিলেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। সে সময় ২৮ অক্টোবর ঢাকায় বিএনপি মহাসমাবেশ ডেকেছিল। গত ২৮ অক্টোবর ঢাকার নয়াপল্টনে বিএনপির মহাসমাবেশ পুলিশ পণ্ড করে দেওয়ার পরদিনই মির্জা ফখরুল গ্রেপ্তার হন। প্রায় সাড়ে তিন মাস কারাবাসের পর ১৫ ফেব্রুয়ারি জামিনে মুক্তি পান তিনি।

কারাগারে যাওয়ার পর থেকে বিএনপি মহাসচিব ও তার স্ত্রী রাহাত আরা বেগম উভয়ে শারীরিক নানা জটিলতায় ভুগছেন। এ জন্য কারাগার থেকে মুক্তির পর ৪ মার্চ তারা চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরে যান। সেখান থেকে দেশে ফিরে আবার গত ২ মে পবিত্র ওমরাহ পালনে স্ত্রী রাহাত আরা বেগমকে নিয়ে সৌদি আরব যান মির্জা ফখরুল। প্রথমে তারা মদিনায় হজরত মুহাম্মদ (সা.) রওজা মোবারক জিয়ারত করেন। গত ৫ মে মক্কায় এসে পবিত্র ওমরাহ পালন করেন তারা।


মির্জা ফখরুল  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

আওয়ামী লীগের শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশ আজ

প্রকাশ: ০৮:২৩ এএম, ১১ মে, ২০২৪


Thumbnail

আওয়ামী লীগের শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে আজ শনিবার। বিকেল সাড়ে ৩টায় মোহাম্মদপুর আড়ংয়ের সামনে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। শুক্রবার (১০ মে) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে দলের এক যৌথ সভার শুরুতে এ কথা জানান দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

ওবায়দুল কাদের বলেন, অনেকে বলে আমরা পাল্টাপাল্টি সমাবেশ করছি, আসলে আমরা কোনো সমাবেশ করছি না। আজ আমরা এখানে যৌথসভা করছি। আগামীকাল শনিবার আমাদের মন্ত্রিসভার সদস্য, আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানকের সংসদীয় এলাকায় আমরা একটি শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশ করব। সেখানে সবাইকে আমন্ত্রণ জানাচ্ছি।

এর আগে দলের দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়ার সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আওয়ামী লীগের নেতাদের সঙ্গে ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণ ও ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ এবং সব সহযোগী সংগঠনের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকদের যৌথসভা আজ শুক্রবার (১০ মে) অনুষ্ঠিত হয়।


আওয়ামী লীগ   শান্তি সমাবেশ   ওবায়দুল কাদের  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

কর্মীদের দাবি রিজভী, তারেকের পছন্দ খসরু

প্রকাশ: ১০:০০ পিএম, ১০ মে, ২০২৪


Thumbnail

বিএনপিতে নতুন মহাসচিব নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। লন্ডনে পলাতক বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়া বিভিন্ন জেলার স্থানীয় পর্যায়ের নেতাদের সঙ্গে নৈশ বৈঠকের আয়োজন করছেন। এ পর্যন্ত নোয়াখালী, কুমিল্লা, সিলেট, বরিশালসহ অন্তত দশটি জেলায় এই ধরনের জুম বৈঠক আয়োজন করা হয়েছে। যে বৈঠকগুলোতে লন্ডনে পলাতক তারেক জিয়া সরাসরি তৃণমূলের নেতাকর্মীদের সঙ্গে কথা বলছেন। তৃণমূলের নেতাকর্মী ছাড়াও ছাত্রদল, যুবদল, কৃষক দলের মতো বিভিন্ন অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের স্থানীয় পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ তারেক জিয়ার সঙ্গে কথা বলছেন। 

নোয়াখালীতে এ রকম বৈঠকের আয়োজন করা হয়েছে, যেখানে প্রজেক্টরের মাধ্যমে তারেক জিয়া সরাসরি কর্মীদের সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন এবং তাদের মতামত দিয়েছেন। এই সমস্ত মতামতে দল পুনর্গঠন, নতুন নেতৃত্ব ইত্যাদি বিষয় নিয়ে তারেক জিয়া দলের নেতৃবৃন্দের খোলাখুলি মতামত জানতে চান। আর এই খোলাখুলি মতামতে যদি মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর মহাসচিব না থাকেন তাহলে কাকে মহাসচিব করা যেতে পারে সেই প্রশ্নটি উত্থাপন করেন।

জানা গেছে, অধিকাংশ তৃণমূলের কর্মীরা তাদের পছন্দের কথা জানাতে প্রথমে অস্বস্তি প্রকাশ করেন। পরবর্তীতে তারেক তাদেরকে আশ্বস্ত করেন যে, এই বৈঠকের খবর বাইরে প্রকাশিত হবে না এবং বৈঠকে উপস্থিত নেতৃবৃন্দকেও সতর্ক করা হয় তারা যেন এই বৈঠকের বিষয়টি দলের কেন্দ্রীয় নেতা বা সিনিয়রদের সঙ্গে আলোচনা না করে। এরপর এই বৈঠকে মতামত প্রকাশের জন্য সবাইকে স্বাগত জানানো হয়। এই সব বৈঠকে বিভিন্ন জেলার অধিকাংশ কর্মীরা দলের পরবর্তী মহাসচিব হিসেবে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর নাম উচ্চারণ করেছেন। তার পেছনে বিএনপির নেতাকর্মীরা যুক্তি দেখিয়েছেন, তিনি নিবেদিতপ্রাণ ত্যাগী। কর্মীদের কাছে তিনি শ্রদ্ধার আসনে আসীন। তাছাড়া সব সংকটেই তাকে সাহসী ভাবে দেখা যায়। এ কারণে রিজভীর মহাসচিব হওয়া উচিত বলে অনেকে মনে করছেন। 

তবে বেশ কিছু স্থানীয় পর্যায়ের নেতা মনে করেন যে, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সবচেয়ে যোগ্য ব্যক্তি। এখন পর্যন্ত তাঁর কোনো বিকল্প নেই। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর দলের মহাসচিব থেকে সরে গেলে দলের জন্য সমস্যা হবে বলেও তারা অভিমত ব্যক্ত করেছেন। 

তারেক জিয়া উপযাচক হয়ে কয়েকটি বৈঠকে আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী যদি বিএনপির মহাসচিব হয় তাহলে সেটি কেমন হয়- এই প্রশ্নটা জিজ্ঞেস করছেন। এর উত্তরে স্থানীয় পর্যায়ের কিছু নেতা নীরবতা অবলম্বন করেছেন। অনেকে নেতিবাচক মন্তব্য করেছেন। খুব অল্প সংখ্যক ব্যক্তি আমীর খসরু মাহমুদকে ইতিবাচকভাবে দেখেছেন। তবে বিএনপির অধিকাংশ তৃণমূলের নেতারাই মনে করছেন যে, তারেক জিয়া যদি নেতৃত্বে থাকেন তাহলে কে মহাসচিব হলেন সেটি বড় বিষয় নয়। তারা জিয়া পরিবারের বাইরে যেন নেতৃত্ব না যায় সে ব্যাপারেও তারেক জিয়ার কাছে অনুরোধ করেছেন।

বিভিন্ন সূত্রগুলো বলছে, মির্জা ফখরুল মহাসচিব হিসেবে থাকতে চান না। তিনি কয়েক দফা এই বিষয়টি নিয়ে তারেক জিয়ার সঙ্গে কথা বলেছেন। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এখন এমন একটি অবস্থানে গেছেন শেষ পর্যন্ত যদি তাতে মহাসচিব পদে রাখার জন্য বাধ্য করা হয় তাহলে তিনি পদত্যাগ করতে পারেন বলেও ধারণা করা হচ্ছে। তাছাড়া ইদানিং তিনি দলের কার্যক্রম থেকে নিজেকে গুটিয়ে নিয়েছেন। এ রকম অবস্থায় নতুন মহাসচিব অনুসন্ধানের অংশ হিসেবে তারেক জিয়া বিভিন্ন জেলায় বৈঠক করছেন বলে অনেকের ধারণা।

বিএনপি   আমির খসরু   মির্জা ফখরুল   রুহুল কবির রিজভী  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

আওয়ামী লীগের শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশ শনিবার

প্রকাশ: ০৮:৫২ পিএম, ১০ মে, ২০২৪


Thumbnail

আওয়ামী লীগের শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে শনিবার (১১ মে)। বিকেল সাড়ে ৩টায় মোহাম্মদপুর আড়ংয়ের সামনে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে।

শুক্রবার (১০ মে) বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলের এক যৌথসভায় দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এ কথা জানান।

তিনি বলেন, অনেকে বলে আমরা পাল্টাপাল্টি সমাবেশ করছি, আসলে আমরা কোনো সমাবেশ করছি না। আজকে আমরা এখানে যৌথসভা করছি। আগামীকাল শনিবার আমাদের মন্ত্রিসভার সদস্য আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানকের সংসদীয় এলাকায় আমরা একটি শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশ করব। সেখানে আজকের সকলকে আমন্ত্রণ জানাচ্ছি।

এর আগে, দলের দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়ার সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আওয়ামী লীগের নেতাদের সঙ্গে ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণ ও ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ এবং সব সহযোগী সংগঠনের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকদের যৌথসভা আজ (১০ মে) অনুষ্ঠিত হয়।

আওয়ামী লীগ   শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশ  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন