ইনসাইড পলিটিক্স

দেশের মানুষের স্বার্থে আপোষের অবকাশ নেই: জন্মদিনে জিএম কাদের

প্রকাশ: ০৩:৩৫ পিএম, ২৪ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩


Thumbnail জন্মদিনে জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান ও বিরোধীদলীয় উপনেতা গোলাম মোহাম্মদ কাদের।

জন্মদিনে নেতা-কর্মীদের ফুলেল শুভেচ্ছায় আপ্লুত হয়ে জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান ও বিরোধীদলীয় উপনেতা গোলাম মোহাম্মদ কাদের এমপি বলেছেন, ‘আমরা দেশের মানুষের মুক্তির জন্য রাজনীতি করছি। আমরা দেশের মানুষকে মুক্তি দিতে চাই। দেশের মানুষ বৈষম্য ও দুঃশাসন থেকে মুক্তি চায়।’

তিনি বলেন, ‘দীর্ঘকাল দেশের সাধারণ মানুষ বৈষম্যের শিকার হয়েছেন। জমিদার ও রাজারা সাধারণ মানুষকে মানুষ বলেই গণ্য করেনি। এমন বৈষম্য ছিল সাধারণ মানুষকে জুতা পায়ে হাটতে দেয়নি এমনকি গুরুত্বপূর্ণ সড়কেও সাধারণ মানুষকে হাটতে দেয়া হতো না। বিভিন্ন ভাবে মানুষ নিগৃহিত হয়েছে, বৈষম্যের শিকার হয়েছেন। পাকিস্তান আমলেও আমরা বৈষম্যের শিকার হয়েছিলাম। ভালো করলেও বাঙালিদের চাকরি দেয়া হতো না, প্রমোশন দেয়া হতো না বাঙালিদের। সেনাবাহিনীতে বাঙালিদের প্রমোশন দেয়া হতো না। সুশাসন ছিলো না, আইনের শাসন ছিলো না। আমাদের হেয় করে দেখা হতো, অত্যাচার ও নিপিড়নের শিকার হতে হয়েছে আমাদের। দেশের মানুষ বিভিন্ন সময়ে মুক্তির জন্য সংগ্রাম করেছে। সেই মুক্তি সংগ্রাম একাত্তরে মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে রুপ নিয়েছে। কিন্তু দেশের মানুষ স্বাধীন হয়েছে, একটি ভূখন্ড ও পতাকা পেয়েছে। স্বাধীনতা সংগ্রামে দেশের লাখ লাখ মানুষ জীবন দিয়েছে। সেই স্বাধীনতার স্বপ্ন ও চেতনা কী বাস্তবায়ন হয়েছে?’

তিনি বলেন, ‘দেশের মানুষ কি বৈষম্য, নির্যাতন ও নিপীড়ন থেকে মুক্তি পেয়েছে? দেশের মানুষ কাঙ্খিত মুক্তি পায়নি। দেশের মানুষ যে মুক্তির জন্য দীর্ঘকাল ধরে সংগ্রাম করেছে সেই মুক্তি পায়নি সাধারণ মানুষ। এখনও দুঃশাসন থেকে মুক্তি পায়নি দেশের মানুষ।’  

শুক্রবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান এর বনানীস্থ কার্যালয় মিলনায়তনে জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান ও বিরোধীদলীয় উপনেতা গোলাম মোহাম্মদ কাদের এর শুভ জন্মদিন উপলক্ষে কেক কেটে ফুলেল শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানের আয়োজন করে জাতীয় পার্টি। হাজারো নেতা-কর্মীর ফুলেল শুভেচ্ছায় আপ্লুত হয়ে বক্তৃতায় গোলাম মোহাম্মদ কাদের এসব কথা বলেন। 

জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের বলেন, ‘এখনও দেশের মানুষের সাথে রাজনৈতিকভাবে বৈষম্য সৃষ্টি করা হচ্ছে। যারা দল করে তাদের অর্থ উপার্জনের ব্যবস্থা করে দেয়া হচ্ছে। সরকারি দলের উপজেলা পর্যায়ের নেতারা হাজার কোটি টাকার মালিক হয়ে গেছেন। তাদের দেশে টাকা রাখার জায়গা নেই, তারা বিদেশে টাকা পাচার করছে। সাধারণ মানুষের ওপর অত্যাচার করছে, তাদের চাঁদাবাজী থেকে ভিক্ষুকও রেহাই পায় না। দেশে আইনের শাসন নেই, দেশের মানুষের ধারণা আইন নিজের গতিতে চলতে পারছে না। ভালো মানুষ সমাজে টিকতে পারছে না। ভালো মানুষেরা সন্তানদের বিদেশ পাঠিয়ে দিতে চেষ্টা করছে। বিপুল সংখ্যক মানুষ ইউরোপ-আমেরিকায় যেতে আবেদন করেছে। সাধারণ মানুষ নিজ দেশকে নিরাপদ মনে করছে না। আইন-শৃখলা রক্ষা বাহিনীকে আমরা সঠিকভাবে ব্যবহার করতে পারছি না। বৈষম্যহীন ও ন্যায় বিচার ভিত্তিক একটি সমাজ গঠন হয়নি।’

জি এম কাদের আরও বলেন, মুক্তি সংগ্রামে বিজয়ের জন্য দেশের মানুষ তাকিয়ে আছেন। জাতীয় পার্টি স্বাধীনতার প্রকৃত চেতনা বাস্তবায়ন করতেই রাজনীতি করছে। নিজের একটি দেশ মানে প্রজাতন্ত্র, প্রজারাই দেশের মালিক। দেশের মালিকরাই প্রতিনিধি ঠিক করবেন- যারা দেশ পরিচালনা করবে। আবার সাধারণ মানুষের ইচ্ছেমত দেশ চালাতে ব্যর্থ হলে তারা আবার নির্বাচনের মাধ্যমে প্রতিনিধি পরিবর্তন করবেন। এটাই হচ্ছে প্রজাতন্ত্র এটাই প্রকৃত গণতন্ত্র। এজন্যই আমাদের স্বাধীনতা যুদ্ধ সংগঠিত হয়েছিলো। আমরা শোষন ও বৈষম্যহীন দেশ গড়েই রাজনীতি করছি। এই রাজনীতি নিয়ে আমরা মাঠে থাকবো। দেশের মানুষের স্বার্থে আপোষের অবকাশ নেই। আমরা কোন দলের জন্য কাজ করছি না। আমরা দেশের মানুষের স্বার্থে কাজ করছি। দেশের মানুষ যদি দেখে আমরা তাদের স্বার্থে কাজ করছি, তারা অবশ্যই আমাদের সমর্থন দেবে। দেশের জনগণের ভবিষ্যতের সাথেই আমাদের ভবিষ্যত। দেশ স্বাভাবিক গতিতে এগিয়ে যাবে। দেশের মানুষ সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতেই আমরা রাজনীতি করছি। দেশের মানুষ যেন মানসম্মান ও জীবনের নিরাপত্তা নিয়ে চিন্তিত না হয়। জাতীয় পার্টি একত্রিত আছে, ঐক্যবদ্ধভাবে এগিয়ে যাবে। সকল পরিস্থিতিতে নেতা-কর্মীদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে নির্দেশ দেন গোলাম মোহাম্মদ কাদের।

কেক কাটার আগে জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের তাঁর প্রেস সচিব খন্দকার দেলোয়ার জালালী রচিত ‘BLEEDING RAKHINE’-বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করেন।      

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে জাতীয় পার্টি মহাসচিব মো. মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, কোন ষড়যন্ত্রের কাছে মাথা নত করবে না জাতীয় পার্টি। দেশের মানুষ গোলাম মোহাম্মদ কাদেরকে বিশ্বাস করে। দেশের মানুষ তাকিয়ে আছে তার দিকে। তাই, মানুষের প্রত্যাশা পূরণে আমরা কখনোই পিছপা হবো না। দেশের মানুষের ভালোবাসা অর্জনের জন্যই জাতীয় পার্টির রাজনীতি। 

জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার বলেন, পার্টি চেয়ারম্যান দলের নেতা-কর্মীদের জন্য শীতল ছাঁয়া। দলের নেতা-কর্মীরা চেয়ারম্যান এর নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ আছেন। নির্বাচন ঘনিয়ে আসছে এর মধ্যেই জাতীয় পাটি কে আরও শক্তিশালী করতে হবে। গোলাম মোহাম্মদ কাদের এর নেতৃত্বে জাতীয় পার্টি অভিষ্ঠ লক্ষ্যে এগিয়ে যাবে। 

অপর কো-চেয়ারম্যান সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা বলেন, জাতীয় পার্টি হচ্ছে গণমাণুষের আস্থার রাজনৈতিক শক্তি। দেশের মানুষ এখনো পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের দেশ পরিচালনার কথা স্মরণে রেখেছে। তারা আবারও জাতীয় পার্টিকে রাষ্ট্র ক্ষমতায় দেখতে চায়। গোলাম মোহাম্মদ কাদের এমপি’র নেতৃত্বে জাতীয় পার্টি পল্লীবন্ধুর স্বপ্নের নতুন বাংলাদেশ গড়ে তুলবে। 

জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান সালমা ইসলাম বলেন, দেশের মানুষ গোলাম মোহাম্মদ কাদের এমপি’র এর দিকে তাকিয়ে আছে। দেশের মানুষ জাতীয় পার্টির দিকে তাকিয়ে আছে। আমরা ঐক্যবদ্ধ আছি। গোলাম মোহাম্মদ কাদের এর নির্দেশনায় দেশের মানুষের কল্যাণে জাতীয় পার্টির রাজনীতি এগিয়ে নেবো। 

জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান এর উপদেষ্টা ও জাতীয় সাংস্কৃতিক পার্টির সভাপতি শেরিফা কাদের বলেছেন, দেশ ও মানুষের জন্য জাতীয় পার্টির রাজনীতি। মানুষের কল্যাণের জন্য জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান রাজনীতি করছেন। তাই দেশবাসীর কাছে গোলাম মোহাম্মদ কাদের এর সুস্থ্যতা ও দীর্ঘায়ুর জন্য দোয়া কামনা করেছেন শেরিফা কাদের।

সকাল থেকেই জাতীয় পার্টির নেতা-কর্মীরা ফুল, মিষ্টি ও কেক নিয়ে প্রিয় নেতার জন্মদিন উদযাপন করতে চেয়ারম্যান এর বনানীস্থ কার্যালয়ে জড়ো হন। প্রতিটি অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের পক্ষ থেকে আলাদা কেক নিয়ে আসেন নেতারা। আবার প্রিয় নেতার জন্মদিন উপলক্ষে অনেকেই ব্যক্তিগত ভাবেও কেক নিয়ে আসেন জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান এর কার্যালয়ে। সকাল থেকেই ফুলের মৌমৌ সুবাসে নান্দনিক পরিবেশ সৃষ্টি হয় জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান এর বনানীস্থ কার্যালয়। বনানীতে জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যানের জন্মদিন উপলক্ষে এক উৎসবমূখর মিলনমেলা অনুষ্ঠিত হয়। ফুলেল শুভেচ্ছা বিনিময় করে প্রিয় নেতার প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করেন সবাই।

জাতীয় পার্টির মাননীয় চেয়ারম্যানের জন্মদিনে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু, কো-চেয়ারম্যান এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার, সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা, এডভোকেট সালমা ইসলাম, প্রেসিডিয়াম সদস্য ফখরুল ইমাম, এসএম ফয়সল চিশতী, মীর আব্দুস সবুর আসুদ, এডভোকেট রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া, নাজমা আখতার, লিয়াকত হোসেন খোকা, মোস্তফা আল মাহমুদ, মাননীয় চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা শেরীফা কাদের। ফুলের শুভেচ্ছা জানান জাতীয় পার্টির বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের মধ্যে জাতীয় যুব সংহতি, জাতীয় স্বেচ্ছাসেবক পার্টি, জাতীয় মহিলা, জাতীয় সাংস্কৃতিক পার্টি, জাতীয় মটর শ্রমিক পার্টি, জাতীয় ছাত্র সমাজ, জাতীয় হকার্স পার্টি, জাতীয় শ্রমিক সিএনজি। 

পার্টির নেতৃবৃন্দের মধ্যে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান প্রেসিডিয়াম সদস্য ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী, আলমগীর সিকদার লোটন, মাননীয় চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা হেনা খান পন্নি, প্রফেসর গোলাম মোস্তফা, যুগ্ম মহাসচিব মো. বেলাল হোসেন, মো. আমির হোসেন ভূঁইয়া, সৈয়দ মঞ্জুর হোসেন মঞ্জু, সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য মো. হেলাল উদ্দিন, আনোয়ার হোসেন তোতা, হুমায়ুন খান, এডভোকেট ইউসুফ আজগর, মাখন সরকার, মাসুদুর রহমান মাসুম, এমএ রাজ্জাক খান, আহাদ ইউ চৌধুরী শাহীন, এডভোকেট খন্দকার ফায়েকুজ্জামান ফিরোজ, যুগ্ম সম্পাদকমন্ডলী এডভোকেট সেকেন্দার আলী ছেরনিয়াবাদ, মাহমুদ আলম, সমরেশ মন্ডল মানিক, হাফেজ ক্বারী আলহাজ্ব ইছারুহুল্লাহ আসিফ, কেন্দ্রীয় নেতা ফরিদা সিকদার, প্রিন্সিপাল মোস্তফা চৌধুরী, রীতা নূর, মো. আসাদুল হক, তাসলিমা আকবর রুনা, ইঞ্জিনিয়ার এলাহান উদ্দিন, শাহীনুর বেগম, আলমগীর হোসেন, ড. নাসির উদ্দিন বকুল, জহিরুল ইসলাম মিন্টু, শরিফুল ইসলাম শরিফ, মো. ওয়াহিদুর রহমান, শারমীন, আব্দুর রহিম, আনোয়ার হোসেন শান্ত, আনোয়ার হোসেন আনু, শামীম আহমেদ রিজভী, শফিকুল ইসলাম দুলাল, আলাউদ্দিন আহমেদ, মিথিলা রোওয়াজা, শ্রাবণী চাকমা, ইঞ্জিনিয়ার মো. সাইফুর রহমান সরকার, জিয়াউর রহমান বিপুল, সানাউল্লাহ সানু, আবু নাঈম ইকবাল, আফজাল হোসেন প্রমুখ।


জন্মদিন   জাতীয় পার্টি   চেয়ারম্যান   বিরোধীদলীয় উপনেতা   গোলাম মোহাম্মদ কাদের  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

বিএনপি নেতানিয়াহুর দোসরে পরিণত হয়েছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

প্রকাশ: ০২:১৮ পিএম, ১৪ মে, ২০২৪


Thumbnail

ফিলিস্তিনের পক্ষে না দাঁড়িয়ে বিএনপি ইসরায়েলের দোসরে পরিণত হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

মঙ্গলবার (১৪ মে) সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বাংলাদেশ স্বাধীনতা পরিষদ আয়োজিত ফিলিস্তিনে গণহত্যা বন্ধ ও বিএনপির দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে এক মানববন্ধন ও সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বিএনপি ফিলিস্তিনের পক্ষে না দাঁড়িয়ে ইসরায়েলের দোসরে পরিণত হয়েছে, নেতানিয়াহুর দোসরে পরিণত হয়েছে। ইসরায়েলের এজেন্টদের সঙ্গে মিলে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। আমাদের কাছে তথ্য প্রমাণ আছে। এদের মুখোশ উন্মোচন করতে হবে।

তিনি বলেন, পুরো পৃথিবী এই বর্বরতার প্রতিবাদে সোচ্চার হয়েছে কিন্তু আমরা দেখতে পাচ্ছি বিএনপি ও জামায়াত, যারা ধর্ম নিয়ে রাজনীতি করার চেষ্টা করে, এই মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধের বিরুদ্ধে একটা শব্দও উচ্চারণ করেনি। কারণ কেউ অসন্তুষ্ট হতে পারে। গত নির্বাচনে তাদের পরিকল্পনা ভেস্তে যাওয়ার পর ইসরায়েলি লবিস্টদের সঙ্গে মিলে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। 

তিনি আরও বলেন, আমাদের দেশে কিছু ইসলামী দল আছে, তারা কারণে-অকারণে বায়তুল মোকাররমের দাঁড়িয়ে যান। আপনারা কোথায় এখন? আপনাদের কেন খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। নির্বাচনের আগে সরকার নামানোর জন্য বায়তুল মোকাররমের সামনে এসে আন্দোলন করেন, কই ফিলিস্তিনি ভাইদের পক্ষে, ইসরায়েলের বিপক্ষে তো একটা বড় মিছিল করতে দেখলাম না।

সামাজিক মাধ্যমে সরকারের সমালোচনাকারীদের নিয়ে বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনেককেই দেখি সরকারের বিরুদ্ধে বড় বড় ভাষণ দেয়, সরকারের বিরুদ্ধে বিষোদগার করে। নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে তাদের কথা বলতে তো শুনলাম না। এরা কোথায়? এরা কোথায় লুকিয়ে আছে? এরা আসলে ইসলাম প্রেমী নয়, এরা হলো মুখোশধারী ধর্ম ব্যবসায়ী। এদের মুখোশও উন্মোচন করতে হবে।

এরপর ফিলিস্তিনি মানুষদের প্রতি সহমর্মিতা প্রকাশ করে তিনি বলেন, ইসরায়েলি বর্বরতার কারণে যারা নিহিত হয়েছেন তাদের মাগফেরাত কামনা করি। যারা আহত হয়েছেন তাদের প্রতি সহানুভূতি জানাই। বাংলাদেশের মানুষের অবস্থান সবসময় মুক্তিকামী মানুষের পক্ষে ছিল। আমাদের নীতি ফিলিস্তিনি মুক্তিকামী মানুষের পক্ষে।


বিএনপি   নেতানিয়াহু   দোসর   হাছান মাহমুদ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

স্ত্রীকে নিয়ে সিঙ্গাপুর গেলেন মির্জা আব্বাস

প্রকাশ: ০১:৪৫ পিএম, ১৪ মে, ২০২৪


Thumbnail

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস ও তার স্ত্রী মহিলা দলের সভাপতি আফরোজা আব্বাস চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরের উদ্দেশ্যে ঢাকা ছেড়েছেন। 

মঙ্গলবার (১৪ মে) সকালে হযতর শাহজালাল বিমানবন্দর থেকে বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটে সিঙ্গাপুর যান তারা। 

বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান গণমাধ্যমকে জানান, মঙ্গলবার সকালে মির্জা আব্বাস ও তার স্ত্রী আফরোজা দুইজনই চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুর গিয়েছেন। চিকিৎসা শেষে তারা কবে দেশে ফিরবেন সেটা এখনি বলতে পারছেন না তিনি। 


সিঙ্গাপুর   মির্জা আব্বাস   বিএনপি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

মার্কিন স্যাংশন, ভিসানীতির পরোয়া করে না আওয়ামী লীগ: কাদের

প্রকাশ: ০১:০০ পিএম, ১৪ মে, ২০২৪


Thumbnail

আওয়ামী লীগ সরকার মার্কিন স্যাংশন, ভিসানীতি পাত্তা দেয় না বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। 

তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগ কাউকে দাওয়াত করে আনে নি,তাদের এজেন্ডা আছে। তারা সেসব নিয়ে ঢাকায় এসেছে। ওপরে ওপরে বিএনপি তাদের পাত্তা দেয় না বললেও, তলে তলে  বিএনপির সঙ্গে তাদের কি আছে, তারাই ভালো জানে। 

মঙ্গলবার (১৪ মে) সচিবালয়ে সমসাময়িক বিষয়ে আলোচনাকালে এসব কথা বলেন তিনি।  

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ভারতীয় পণ্য বর্জনের ডাক বিএনপির আন্দোলনের ব্যর্থ চেষ্টা। আন্দোলনে ব্যর্থ হয়ে খড়কুটো ধরে বাজতে চায় তারা। আসলে তাদের কোনো ইস্যু নাই। তারা ভারতীয় পণ্য বর্জনকে ইস্যু বানাতে চায়। আমার প্রশ্ন হলো-ভারতীয় মসলা ছাড়া কি আমাদের চলে?  

তিনি বলেন, ভারতের মসলা ছাড়া আমাদের চলে না। শুধু মসলা কেন, ভারত থেকে শাড়ী-কাপড় আসবে, এছাড়া আরও কিছু নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যও আসবেই। 

তিনি আরও বলেন, সম্প্রতি ঢাকায় বিএনপির দুইটা সমাবেশই ফ্লপ হয়েছে। বিএনপি ও তাদের সমমনাদের আন্দোলনের ডাকে জনগণের সাড়া নেই। দলটির কর্মীরা হতাশ, তাদের আর নেতাদের ওপর আস্থা নেই। সে কারণেই বিএনপির কর্মীরা তাদের সমাবেশে যোগ দেয় না।


মার্কিন স্যাংশন   ভিসানীতি   আওয়ামী লীগ   ওবায়দুল কাদের  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

ডোনাল্ড লু’র ঢাকা সফর: যা বললেন আওয়ামী লীগ-বিএনপির শীর্ষ নেতারা

প্রকাশ: ১১:০০ পিএম, ১৩ মে, ২০২৪


Thumbnail

যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক সহকারী মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু আগামীকাল মঙ্গলবার ঢাকায় আসছেন। এ সফরে তিনি ব্যবসা-বিনিয়োগ, নিরাপত্তা, প্রতিরক্ষা, জলবায়ু পরিবর্তন, নাগরিক অধিকারসহ দুই দেশের অগ্রাধিকারের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে আলোচনা করবেন বলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে। 

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে গত বছর ডোনাল্ড লু’র সফর ছিল বেশ আলোচনায়। সরকার পতনের এক দফা আন্দোলন করা বিএনপি বেশ চাঙ্গা হয়ে উঠেছিল। ভোট হয়ে যাওয়ার চার মাস পর যুক্তরাষ্ট্রের এই সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবার ঢাকায় আসছেন। রাজনৈতিক অঙ্গনে তাঁর ঢাকা সফর নিয়ে বেশ আলোচনা হলেও ৭ জানুয়ারি নির্বাচনের আগে লু’র সফর নিয়ে যেভাবে বিভিন্ন ধরনের গুঞ্জন বা আতঙ্কের কথা শোনা গিয়েছিল এবার সেটি হচ্ছে না। কিন্তু তারপরও তাঁর ঢাকা সফর নিয়ে কথা বলেছেন আওয়ামী লীগ এবং বিএনপির শীর্ষ নেতাদের মধ্যে কথা বাহাস লক্ষ্য করা গেছে।


লু’র ঢাকা সফর নিয়ে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, কে আসলো আর কে গেলো তা নিয়ে মাথা ঘামানোর সময় নেই। যদিও নির্বাচনের আগে লু’র ঢাকা সফর নিয়ে সবচেয়ে বেশি উচ্ছ্বসিত ছিল বিএনপির নেতারা। তবে এবার দলটির মহাসচিব সুর পাল্টে বলছেন, ‘কে আসলো আর কে গেলো তা নিয়ে মাথাঘামানোর সময় নেই। তিনি বলছেন তার দলের প্রধান শক্তি হলো জনগণ।’

লু’র ঢাকায় আসাটা গুরুত্বপূর্ণ নয় উল্লেখ্য করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু’র আসা-না আসায় কিছু যায়-আসে না। লু তো অনেক দূরের কথা। আমরা শঙ্কিত দেশের অবস্থা নিয়ে। 


এদিকে লু’র এবারের সফর দুই দেশের সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাবে বলে মনে করছে আওয়ামী লীগ। দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘ডোনাল্ড লু বাংলাদেশের সরকারের সঙ্গে কথাবার্তা বলবেন। দুই দেশের মধ্যকার সম্পর্ক এগিয়ে নিতে তিনি আসবেন। বিএনপি মনে করেছে, আবার নতুন করে নিষেধাজ্ঞা দেবে কি না। এই ধরনের উদ্ভট চিন্তা করছে। এ রকম উদ্ভট চিন্তা তারা আগেও করেছিল।’

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, বিদেশিদের কাছে বারবার ধরর্না দিয়ে কোনো কিছুই করতে পারেনি বিএনপি। এজন্য লু’র ঢাকা সফর নিয়ে প্রকাশ্যে উচ্ছ্বাস দেখাচ্ছেনা বিএনপি। দেশে শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচন হওয়া এবং বর্তমান সরকারের সাথে কাজ করার ঘোষণা দেওয়ায় বিএনপির মোহভঙ্গ হয়েছে। তাই প্রকাশ্যে লু’র সফর নিয়ে উচ্ছ্বাস দেখাচ্ছে না বিএনপির নেতারা।



ডোনাল্ড লু   আওয়ামী লীগ   বিএনপি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

কারামুক্ত হলেন বিএনপি নেতা হাবিব উন নবী সোহেল

প্রকাশ: ০৯:৩৩ পিএম, ১৩ মে, ২০২৪


Thumbnail

জামিনে কেরাণীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সাবেক সভাপতি হাবিব উন নবী খান সোহেল।

সোমবার (১৩ মে) সন্ধ্যা পৌনে সাতটার দিকে কেন্দ্রীয় কারাগার কেরানীগঞ্জ থেকে মুক্তি লাভ করেন তিনি। এ সময় ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন নাসিরসহ বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মী তাকে ফুলের মালা দিয়ে বরণ করেন।

বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান জানান, মুক্তি পাওয়ার পর তিনি নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে যান। 
এর আগে গত ৩১ মার্চ আদালতে জামিন নিতে গেলে জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানো হয় সোহেলকে।

বিএনপি   হাবিব উন নবী সোহেল  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন