বঙ্গবাজারের অগ্নিকান্ড নিয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বক্তব্যকে দায়িত্বজ্ঞানহীন বলে মন্তব্য করেছেন তথ্যমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।
শুক্রবার (৭ এপ্রিল) সন্ধ্যায় রাজধানীর ফকিরাপুলের সন্দ্বীপ ভবনে চট্টগ্রাম জার্নালিস্ট ফোরাম, ঢাকা (সিজেএফডি) আয়োজিত ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘মির্জা ফখরুল সাহেব সকালে বক্তৃতা করে বলেছেন, তদন্ত হলে না কি বঙ্গবাজারের অগ্নিকান্ডে সরকারের কারা কারা যুক্ত তা বেরিয়ে আসতে পারে। এ রকম একটি দায়িত্বহীন, কান্ডজ্ঞানহীন কথা বিএনপির মতো দলের মহাসচিবের কাছে আশা করা যায় না।’
হাছান মাহমুদ বলেন, ‘বঙ্গবাজারে যে ঘটনা ঘটেছে, তা অত্যন্ত দু:খজনক। প্রধানমন্ত্রী এটি সার্বক্ষণিক মনিটর করেছেন এবং ইতিমধ্যেই ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনকে এ ঘটনার সরেজমিনে তদন্ত, ক্ষতিগ্রস্তদের পুণর্বাসন ও নিরাপদ স্থায়ী কাঠামোর বিষয়ে যথাযথ নির্দেশনা দিয়েছেন। আমাদের দলের সদস্যরা বিপদাপন্নদের পাশে দাঁড়িয়েছে।’
সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপিই আগুন নিয়ে খেলা করে। ২০১৩-১৪ সালে আগুন দিয়ে মানুষ পুড়িয়েছেন মির্জা ফখরুল সাহেবরাই, দেশ ও মানুষের সম্পত্তিও তারাই পুড়িয়েছেন।’
সাম্প্রতিক সময়ে বিভিন্ন জায়গায় বিস্ফোরণ এবং আগুন লাগার পেছনে নাশকতা আছে কি না সেটিও খতিয়ে দেখা প্রয়োজন উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘মির্জা ফখরুল সাহেব যেহেতু এ কথা বলেছেন, সেহেতু উনাকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা প্রয়োজন। তাহলে তথ্য বেরিয়ে আসার ক্ষেত্রে সহায়তা হবে। তবে আমি অনুরোধ জানাবো, একজন সিনিয়র রাজনীতিবিদ হয়ে এ ধরনের কথা না বলার জন্য।’
সমাজ ও রাষ্ট্রের বিকাশে সাংবাদিকতার ভূমিকাকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অভিহিত করে তথ্যমন্ত্রী চট্টগ্রামসহ সারাদেশের বিস্ময়কর উন্নয়ন তুলে ধরার জন্য সাংবাদিকদের প্রতি আহবান জানান। তিনি বলেন, ‘ভালো কাজকে উৎসাহ দিতে সরকারের সাফল্য তুলে ধরা প্রয়োজন। পাশাপাশি ভুলকে আড়াল করে নয়, গঠনমূলক সমালোচনা করলেই সংশোধনের সুযোগ থাকে।’
সিজেএফডির সভাপতি মামুন আব্দুল্লাহর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক তৌহিদুর রহমানের সঞ্চালনায় আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমীন, মাহফুজুর রহমান মিতা এমপি এবং সাইমুম সরওয়ার কমল এমপি অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন।
সিজেএফডির সাবেক সভাপতি শাহীন উল ইসলাম চৌধুরী, সিনিয়র সাংবাদিক সাইফ ইসলাম দিলাল, মেজবাহ উদ্দিন জংগি চৌধুরী, মোস্তফা কামাল, যমুনা টেলিভিশনের সিইও ফাহিম আহমেদসহ সংগঠনের সাবেক সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকরা সভায় সাংবাদিকতা, সমসাময়িক বিষয় ও চট্টগ্রাম নিয়ে বক্তব্য দেন।
ড. হাছান মাহমুদ বিএনপি বঙ্গবাজার আগুন
মন্তব্য করুন
শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন বিএনপি
মন্তব্য করুন
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জাতীয় প্রেস ক্লাব
মন্তব্য করুন
বিএনপি ভারত বিরোধী মার্কিন বিরোধী মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর
মন্তব্য করুন
শেখ হাসিনা বাহাউদ্দিন নাছিম আওয়ামী লীগ ঢাকা-৮
মন্তব্য করুন
নির্বাচন কমিশনার মো. আহসান হাবিব খান
বলেছেন, নির্বাচন কমিশনের প্রতি ভোটার ও প্রার্থীদের ধারণা পাল্টিয়েছে, বিশ্বাস জন্মেছে।
তার কারণেই প্রার্থীরা আবারও ভোটাদের দ্বারে দ্বারে যাচ্ছে। প্রার্থীরা ভোটাদের দ্বারে
যাওয়ার যে সংস্কৃতি সেটা আবারও ফিরে এসেছে।
বৃহস্পতিবার (১৬ মে) যশোর শিল্পকলা
একাডেমির মিলনায়তনে ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে
অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে যশোর, নড়াইল ও মাগুরার জেলার প্রার্থী নির্বাচন সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে
মতবিনিময় শেষে গণমাধ্যমকর্মীদের তিনি এ কথা বলেন।
একদিন বাংলাদেশের নির্বাচন কমিশন বিশ্বের
রোল মডেল হবে মন্তব্য করে তিনি আরও বলেন, উপজেলা নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি ৩৬ শতাংশ
এ সময়ে অনেক। দেশের কয়েকটা রাজনৈতিক দল নির্বাচনে অংশ না নেয়াতে ভোটার উপস্থিতি কম।
আগামীতে দেশের যত ভোট আসছে, ততই আমাদের ভোটের পরিবেশ, ভোট গ্রহণ পরিবর্তন ঘটছে। বিগত
সময়ে নির্বাচন নিয়ে কি ঘটেছে সেটা ফিরে তাকানোর আর কোন সুযোগ নেই। বাংলাদেশের নির্বাচন
কমিশন সকল বির্তক, সমালোচনা পিছনে ফেলে ঘুরে দাঁড়িয়ে দিন দিন উন্নতির দিকে যাচ্ছে।
ইসি আহসান হাবিব বলেন, নির্বাচনে ভোটারের
উপস্থিতি বাড়ানোর জন্য নির্বাচন কমিশন ও প্রার্থীরা কাজ করবে। উপজেলা নির্বাচনের প্রথম
ধাপে মোট ভোট গ্রহণের শতাংশ প্রকাশ করা হয়েছে। আমরা এবার থেকে ভোট গ্রহণে উপজেলা ভিত্তিক
তালিকা প্রকাশ করা হবে। ভোটার উপস্থিতি বাড়ানোর জন্য নির্বাচন কমিশন ও প্রার্থীরা আলাদাভাবে
প্রচারণা করতে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। যারা ভোটাদের বাঁধা দিবে তাদের প্রতিহত করবে প্রশাসন।
আমরা প্রশাসনকে নির্দেশনা দিয়েছি আইনের হাত ও ক্ষমতা অনেক বেশি। নির্বাচন বানচাল করতে
সেই ক্ষমতা কঠোরভাবে প্রয়োগ করবে প্রশাসন।
ইসি আরও বলেন, বিগত সময়ের চেয়ে বর্তমান
কমিশন সততার সঙ্গে কাজ করছে। শুধু কমিশন নয়, নির্বাচনে দায়িত্বে থাকা সংশ্লিষ্টরা সততার
সঙ্গে কাজ করছে। নির্বাচনে সাংবাদিকদের সুরক্ষার জন্য আইন পাস করেছে এ কমিশন। কেউ সাংবাদিকদের
কাজে বাধাগ্রস্ত করলে জেল জরিমানার বিধান করা হয়েছে। মিডিয়াকে এ অবস্থানে নেয়ার ক্ষেত্রে
এ কমিশন ও সরকার ভূমিকা রাখছে।
যশোর জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবরাউল
হাছান মজুমদারের সভাপতিত্বে সভায় যশোর, নড়াইল ও মাগুরা জেলার জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপাররা
বক্তব্য রাখে। সভায় যশোর, মাগুরা ও নড়াইল জেলার সকল প্রার্থী, নির্বাচন সংশ্লিষ্ট উপজেলাসমূহের
উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তাবৃন্দ, আচরণবিধি ও আইনশৃঙ্খলা
রক্ষায় দায়িত্বপ্রাপ্ত এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটবৃন্দ, জেলা ও উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাবৃন্দ
এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োজিত বিভিন্ন বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিনিধিবৃন্দ অংশ
নেয়।
অনুষ্ঠান শেষে বিকেলে শার্শা উপজেলা
পরিষদ মিলনায়তনে উপজেলার ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের সঙ্গে প্রশিক্ষণে অংশ নেন ইসি আহসান
হাবিব খান।
মন্তব্য করুন
১৯৮১ সালের ১৭ মে। স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। আওয়ামী লীগ সভাপতি স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করেছিলেন এক বৃষ্টিমুখর দিনে। সেই দিনে লাখো মানুষ মানিক মিয়া এভিনিউতে জড়ো হয়েছিল জাতির পিতার কন্যাকে দেখার জন্য। তাদের শোক এবং আবেগ ছিল হৃদয়স্পর্শী। সারা বাংলাদেশ উত্তাল হয়েছিল। জাগরণের এক গান গেয়ে স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করেছিলেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বাংলাদেশের জন্ম হওয়ার পর থেকেই প্রতিবেশী দেশ বাংলাদেশকে নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেছে। এই সরকার পুরোপুরিভাবে নতজানু সরকারে পরিণত হয়েছে। শুধু ফারাক্কা নয়, গঙ্গার পানি নয়, বাংলাদেশের ১৫৪টি নদীতে পানি দিতে তারা গড়িমসি করে যাচ্ছে। তিস্তা নদীর পানি বণ্টন, এ করছি, এ হচ্ছে এমন করে সময় শেষ করছে সরকার। এ যে ব্যর্থতা এর মূল কারণ হচ্ছে, সরকারে যারা আছে তারা পুরোপুরিভাবে একটা নতজানু সরকার।