পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, ‘আওয়ামী লীগের ভয় নেই। এ দেশের মানুষ অনেক সেয়ানা। তার সব বুঝে, জানে। তারা ভুল করে না। আওয়ামী লীগ জনগণের ওপর আস্থা রাখে।’
শুক্রবার (১৪ এপ্রিল) সকালে সিলেট জেলা প্রশাসন আয়োজিত বৈশাখের মঙ্গল শোভাযাত্রায় অংশ নিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কথা বলেন।
আব্দুল মোমেন বলেন, ‘নতুন বছরের প্রত্যাশা হচ্ছে, সবার মধ্যে সহিষ্ণুতা, সম্প্রীতি ও সম্মানবোধ জাগ্রত হোক। ধর্ম-বর্ণ গোষ্ঠীর সংমিশ্রণে দেশটা হবে একটি স্বতন্ত্র অসাম্প্রদায়িক অর্থনীতির উন্নত বাংলাদেশ।’
সাংবাদিকরা নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন করলে মন্ত্রী বলেন, ‘নির্বাচনের এখনো নয় মাস বাকি, নির্বাচন নিয়ে তাড়াহুড়ার কিছু নেই। সরকার সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠানের ব্যাপারে আন্তরিক। তবে শুধু সরকার চাইলেই হবে না। নির্বাচন কমিশনের বড় দায়দায়িত্ব রয়েছে। এজন্য শক্তিশালী নির্বাচন কমিশন গঠন করা হয়েছে। সকল দায়দায়িত্ব তাদের। তবে সবচেয়ে বেশি দায়িত্ব পালন করতে হবে রাজনৈতিক দল, সমর্থক ও ভোটারদের। সবাই আন্তরিক হলে ফ্রি অ্যান্ড ফেয়ার ইলেকশন অনুষ্ঠিত হবে।’
তিনি বলেন, ‘গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য সব ধরনের ব্যবস্থা করেছে সরকার। আগে বিএনপির সময়ে ভুয়া ভোটার ছিল ১ কোটি ২৩ লাখ। এই ভুয়া ভোট যাতে না হয় জন্য এখন ফটো আইডি বায়োমেট্রিক ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। আগে অভিযোগ হতো ব্যালট বাক্স ভরে দেওয়ার, এজন্য এখন স্বচ্ছ ব্যালট বাক্স আনা হয়েছে।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, ‘১৪ বছরে আওয়ামী লীগের হাত ধরে বাংলাদেশের যে অভাবনীয় সাফল্য ও উন্নয়ন সাধিত হয়েছে সে জন্যই জনগণ আবারও আওয়ামী লীগকে নির্বাচিত করবে।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন আওয়াসী লীগ
মন্তব্য করুন
সরকারবিরোধী আগামীর আন্দোলন শুরুর আগে কর্মসূচি প্রণয়ন ও আন্দোলন পরিচালনায় শক্তিশালী লিয়াজোঁ কমিটি চায় বিএনপির মিত্ররা। তারা মনে করে, লিয়াজোঁ কমিটি না থাকায় বিগত আন্দোলন পরিচালনায় এক ধরনের সমন্বয়হীনতা ছিল।
কারণ, যুগপতের সব দল ও জোটের সঙ্গে বিএনপির পৃথক বৈঠক শেষে তাদের স্থায়ী কমিটিতে কর্মসূচি চূড়ান্ত হওয়াকে যথাযথ প্রক্রিয়া এবং আন্দোলনের সঠিক প্ল্যাটফর্ম বলে মনে করে না শরিকরা, বিশেষ করে গণতন্ত্র মঞ্চ। তাই এবার এ প্রশ্নে একটা সিরিয়াস মীমাংসা চান মঞ্চের নেতারা।
বিএনপির সঙ্গে বুধবার (১৫ মে) রাতে চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে লিয়াজোঁ কমিটি গঠনের পরামর্শ দিয়ে গণতন্ত্র মঞ্চের নেতারা বলেন, প্রতিটি জোট ও দল থেকে একজন করে নিয়ে ১০-১২ সদস্যবিশিষ্ট একটি লিয়াজোঁ কমিটি গঠন করতে হবে। সেই লিয়াজোঁ কমিটিতে আলোচনার ভিত্তিতে আন্দোলনের কর্মসূচি প্রণীত হবে। তার আগে নিজ নিজ দল ও জোটের সিদ্ধান্ত নিয়ে সংশ্লিষ্ট নেতারা বৈঠকে উপস্থিত হবেন।
নব্বইয়ে এরশাদবিরোধী আন্দোলনসহ অতীতের আন্দোলনগুলোতে লিয়াজোঁ কমিটি এভাবে কাজ করেছে। কিন্তু বিগত আন্দোলনে এ প্রক্রিয়ায় কর্মসূচি প্রণীত হয়নি। পাঁচ-দশ মিনিট আগে মিত্রদের কর্মসূচির বিষয়ে জানানো হতো এবং কর্মসূচির সঙ্গে সহমত না হলেও সেটাই তারা ঘোষণা করতেন। বৈঠক সূত্রে এমন তথ্য জানা গেছে।
যুগপৎ আন্দোলন পুনরুজ্জীবিত করে সরকারের পদত্যাগ ও নতুন নির্বাচনের দাবিতে ঈদুল আজহার পর মাঠে নামার পরিকল্পনা করছে বিএনপি। সেই আন্দোলনের কর্মকৌশল নির্ধারণে পরামর্শ নিতে গত রোববার থেকে মিত্রদের সঙ্গে ধারাবাহিক বৈঠক করছে দলটি। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের পর এ ধরনের বৈঠক এবারই প্রথম। এর অংশ হিসেবে বৃহস্পতিবার (১৬ মে) এনডিএম, বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ এবং মিয়া মসিউজ্জামান ও ফারুক হাসানের নেতৃত্বাধীন গণঅধিকার পরিষদের সঙ্গে বৈঠক করে বিএনপির লিয়াজোঁ কমিটি।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গণতন্ত্র মঞ্চ ছাড়াও এর আগে গত সোমবার বিএনপির সঙ্গে বৈঠকে আন্দোলনের কর্মসূচি প্রণয়নে সমন্বয়হীনতা দূরীকরণে যুগপতের সব দল ও জোট থেকে দু-একজন করে নিয়ে শক্তিশালী লিয়াজোঁ কমিটি গঠনের ওপর জোর দেন সমমনা জোটের নেতারা।
মন্তব্য করুন
শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন বিএনপি
মন্তব্য করুন
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জাতীয় প্রেস ক্লাব
মন্তব্য করুন
বিএনপি ভারত বিরোধী মার্কিন বিরোধী মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর
মন্তব্য করুন
শেখ হাসিনা বাহাউদ্দিন নাছিম আওয়ামী লীগ ঢাকা-৮
মন্তব্য করুন
১৯৮১ সালের ১৭ মে। স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। আওয়ামী লীগ সভাপতি স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করেছিলেন এক বৃষ্টিমুখর দিনে। সেই দিনে লাখো মানুষ মানিক মিয়া এভিনিউতে জড়ো হয়েছিল জাতির পিতার কন্যাকে দেখার জন্য। তাদের শোক এবং আবেগ ছিল হৃদয়স্পর্শী। সারা বাংলাদেশ উত্তাল হয়েছিল। জাগরণের এক গান গেয়ে স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করেছিলেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বাংলাদেশের জন্ম হওয়ার পর থেকেই প্রতিবেশী দেশ বাংলাদেশকে নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেছে। এই সরকার পুরোপুরিভাবে নতজানু সরকারে পরিণত হয়েছে। শুধু ফারাক্কা নয়, গঙ্গার পানি নয়, বাংলাদেশের ১৫৪টি নদীতে পানি দিতে তারা গড়িমসি করে যাচ্ছে। তিস্তা নদীর পানি বণ্টন, এ করছি, এ হচ্ছে এমন করে সময় শেষ করছে সরকার। এ যে ব্যর্থতা এর মূল কারণ হচ্ছে, সরকারে যারা আছে তারা পুরোপুরিভাবে একটা নতজানু সরকার।