ইনসাইড পলিটিক্স

নির্বাচনের সবুজ সংকেত পেলেন বিএনপির ৩ প্রার্থী

প্রকাশ: ০৯:০০ পিএম, ২৩ এপ্রিল, ২০২৩


Thumbnail

আসন্ন পাঁচ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে তিনটিতে বিএনপির নেতারা অংশগ্রহণ করছেন এটা মোটামুটি নিশ্চিত। তবে দলীয় প্রতীক ব্যবহার করে নয়, দলীয় পরিচয় ব্যবহার করেও নয়। বরং স্বতন্ত্র ভাবে আসন্ন সিটি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে যাচ্ছেন বিএনপির তিনজন হেভিওয়েট নেতা। এর ফলে পাঁচ সিটি করপোরেশনের নির্বাচন জমজমাট হয়ে উঠতে পারে বলে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন। বাকি দুটি সিটি করপোরেশনে বিএনপি নির্বাচন করবে কি করবে না সে ব্যাপারে এখন পর্যন্ত চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্ত নেয়া হয়নি। যে তিনটি সিটি কর্পোরেশনের বিএনপির প্রার্থীরা অংশগ্রহণ করতে আগ্রহী এবং আগ্রহের কথা বলে দলের হাইকমান্ডকে জানিয়েছিলেন তাদের মধ্যে রয়েছেন সিলেট সিটি করপোরেশনের বর্তমান মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী। তিনি আগামী নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছেন মোটামুটি নিশ্চিত। গাজীপুরে হাসান উদ্দিন সরকার এবং খুলনায় নজরুল ইসলাম মঞ্জু। এই তিন নেতাই আগামী নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার জন্য বিভিন্ন নেতাদের সঙ্গে দেন-দরবার করেছিলেন। 

গতকাল দলের স্থায়ী কমিটির সদস্যরা বেগম খালেদা জিয়ার সাথে বৈঠক করেন। এই বৈঠকে আসন্ন সিটি করপোরেশনের নির্বাচন প্রসঙ্গটি আলোচিত হয়। সেখানে এই তিনজন প্রার্থী স্বতন্ত্রভাবে নির্বাচন করতে চায় এই প্রসঙ্গটি দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বিএনপির চেয়ারপারসনকে অবহিত করেন। বেগম খালেদা জিয়া এর উত্তরে বলেন তারা যদি নির্বাচন করতে চায় অসুবিধা কি। স্বতন্ত্রভাবে নির্বাচন করলে কেন আমরা তাদের বাধা দেব। বরং এই নির্বাচনের মধ্য দিয়ে সরকারকে চ্যালেঞ্জ জানানো হবে বলেও বিএনপির চেয়ারপারসন মন্তব্য করেছেন বলে একাধিক সূত্র জানিয়েছে। 

সিলেট সিটি করপোরেশনের নির্বাচনে আরিফ আগে থেকেই প্রার্থী হয়েছিলেন এবং প্রার্থী হওয়ার জন্য অনুমোদন অনুমতি নিতে তিনি লন্ডন সফরে গিয়েছিলেন। সেখানে তারেক জিয়ার সঙ্গে তাঁর দীর্ঘ বৈঠক হয়েছে। তারেক জিয়াকে তিনি এ ব্যাপারে নজরানা দিয়েছেন বলে একাধিক সূত্র বাংলা ইনসাইডারকে নিশ্চিত করেছে। কিন্তু তারপরও তারেক জিয়া নানা বাস্তবতায় আরিফকে নির্বাচনে দাঁড়ানোর অনুমতি দেননি। কারণ এর আগে তৈমুর আলম খন্দকার এবং মনিরুল হক সাক্কুকে নির্বাচন করার জন্য দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছিল। একইভাবে যদি  আরিফ নির্বাচনে দাঁড়ান এবং তাঁর বিরুদ্ধে যদি ব্যবস্থা না নেয়া হয় তাহলে দলের নেতাকর্মীদের কাছে একটি ভুল বার্তা হিসেবে বিবেচিত হবে। এ কারণেই আরিফকে নির্বাচনে দাঁড়ানোর অনুমতি দেননি তারেক জিয়া। কিন্তু দমবার পাত্র নয় আরিফ। তিনি লন্ডন থেকে শর্মিলা রহমানের সাথে এ ব্যাপারে যোগাযোগ করেন। শর্মিলা রহমান লন্ডন থেকে এখন ঢাকায় এসেছেন। তিনি বিষয়টি বেগম খালেদা জিয়ার কাছে উপস্থাপন করেন। খালেদা জিয়া গতকাল আরিফ যেন নির্বাচন করতে পারেন সে ব্যাপারে সবুজ সংকেত দিয়েছেন। 

অন্যদিকে নজরুল ইসলাম মঞ্জু বেগম খালেদা জিয়ার অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ কর্মী হিসেবে পরিচিত। খালেদা জিয়ার নেতৃত্বের প্রতি যারা অকুণ্ঠ সমর্থন জানান তাদের মধ্যে মঞ্জু অন্যতম। তিনি খুলনা জেলার বিএনপির একজন ভালো সংগঠক হিসেবেও পরিচিত। কিন্তু তারেক জিয়ার সঙ্গে তাঁর দূরত্বের কারণেই তাকে সমস্ত দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। এর ফলে খুলনায় বিএনপির দুর্বল হয়ে পড়েছে বলে বিভিন্ন মহল মনে করেন। এরকম পরিস্থিতিতে মঞ্জু নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন এবং তিনি এই বিষয়টি বেগম খালেদা জিয়া পর্যন্ত পৌঁছাতে পেরেছেন বলে একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে। বেগম খালেদা জিয়া তাঁর ব্যাপারেও সবুজ সংকেত দিয়েছেন বলে জানা গেছে। 

অন্যদিকে গাজীপুরে হাসান উদ্দিন সরকার শুরু থেকেই খালেদা জিয়ার ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত। তিনি শামীম ইস্কান্দার এর মাধ্যমে খালেদা জিয়ার সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন এবং খালেদা জিয়া তাকেও নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য ইতিবাচক সংকেত দিয়েছেন। ফলে আগামী পাঁচ সিটি নির্বাচন গুলোর অন্তত তিনটিতে বিএনপি যে স্বতন্ত্রভাবে অংশগ্রহণ করছে এটি মোটামুটি নিশ্চিত। 

বিভিন্ন সূত্রগুলো বলছে, যখন তিনটিতে অংশগ্রহণের সিদ্ধান্ত বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে জানাজানি হয়ে যাবে তখন বাকি দুটিতে অংশগ্রহণের জন্য আগ্রহীদের ভিড় তৈরি হবে এবং তারা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে চাইবে। এই পরিস্থিতি কিভাবে বিএনপি সামাল দিবে সেটাই দেখার বিষয়। তবে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন যে, তিনটি সিটি করপোরেশন নির্বাচনে যদি বিএনপি অংশগ্রহণ করে তাহলে এই নির্বাচনগুলো জমজমাট এবং প্রতিদ্বন্দ্বতীপূর্ণ  হয়ে উঠবে। 

নির্বাচন   বিএনপি   খালেদা জিয়া  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

আওয়ামী লীগের অর্জন প্রশ্নবিদ্ধ করছে আওয়ামী লীগ

প্রকাশ: ১০:০০ পিএম, ১৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর থেকে আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরীণ কোন্দল এবং একে অন্যের বিরুদ্ধে কাদা ছোড়াছুড়ি যেন কিছুতেই থামানো যাচ্ছে না। নির্বাচন পরবর্তী কোন্দল বন্ধে বিভিন্ন রকম উদ্যোগও ব্যবস্থা গ্রহণ করছে আওয়ামী লীগ। দলের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজেই একাধিক বার দলীয় কোন্দল বন্ধের জন্য তাগাদা দিয়েছেন। কিন্তু কোন কিছুতেই কাজ হচ্ছে না। বরং আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরীণ কোন্দল নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে। সাংগঠনিক অবস্থা রীতিমতো ভেঙে পড়েছে। এই কোন্দল এখন এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে আওয়ামী লীগ সরকারের উন্নয়ন বা অর্জন প্রশ্নবিদ্ধ করছেন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরাই। দলের এই কোন্দল এতদিন তৃণমূল পর্যায় থাকলেও সেটি এখন কেন্দ্রীয় নেতৃত্বেও শুরু হয়েছে।

সাম্প্রিতক সময়ে আবারও মুখোমুখি অবস্থান নিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) সাবেক মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন এবং বর্তমান মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস। যদিও এটিই তাদের প্রথম নয়। এর আগে এই দুই নেতার মধ্যে মার্কেট, অনিয়ম-দুর্নীতি ও সিটি করপোরেশনের টাকা রাখা নিয়ে বাকযুদ্ধ হয়েছিল। এবার তারা মুখোমুখি হয়েছেন ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ে। গত বুধবার মেয়র তাপস দাবি করেন, ২০১৯ সালের তুলনায় গত বছর ঢাকায় ডেঙ্গু রোগী কমেছে। এর পাল্টা প্রতিউত্তরে শনিবার মিট দ্য প্রেসে সাংবাদিকদের ডেকে খোকন বলেন, বর্তমান কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, ২০১৯ এর তুলনায় ২০২৩ সালে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা ৪১ হাজার কম। আমি ভদ্রতার জন্য কারো নাম উল্লেখ করছি না। তবে এ ধরনের অপপ্রচার করা হলে আমি কষ্ট পাই, ব্যথিত হই। আমি এই দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য, আমি আওয়ামী লীগ মনোনীত সংসদ সদস্য, আমার সীমাবদ্ধতা রয়েছে। পাবলিকলি আমি যে কোন বক্তব্য দিতে পারি না, আমার জবাবদিহিতা রয়েছে। সাবেক এবং বর্তমান মেয়রের এই বাকযুদ্ধ সুস্পষ্টভাবে প্রমাণ করে যে, আওয়ামী লীগ এখন ফ্রি স্টাইলে চলছে। দলের চেইন অব কমান্ড ভেঙে গেছে।

তৃণমূলের কোন্দল আরও ভয়ঙ্কর। এই মুহূর্তে উপজেলা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। আগামী ২১ মে দ্বিতীয় ধাপে উপজেলা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। মন্ত্রী-এমপিদের পরিবারের সদস্যদের উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী না হতে নির্দেশনা দেওয়া হলেও প্রথম ধাপের মতোই এবার এই নির্দেশনা উপেক্ষিত। সামনে উপজেলা নির্বাচনের পরিস্থিতি আরও ভয়ঙ্কর হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। 

বিভিন্ন স্থানে যেখানে জাতীয় নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থীরা জয়ী হয়েছেন সেখানে তাদের মাইম্যানদের উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী করছেন। আবার যারা স্বতন্ত্রদের কাছে পরাজিত হয়েছেন তারা তাদের প্রভাবপত্তি ধরে রাখার জন্য তাদের মাইম্যানদের প্রার্থী করছেন। এলাকায় নিজেদের হারানো অবস্থান পুনরুদ্ধারের জন্য উপজেলা নির্বাচনকে বেছে নিয়েছেন। এটা করতে গিয়ে লাগামহীন ভাবে একে অন্যের বিরুদ্ধে কুৎসা রটানো থেকে শুরু করে সহিংসতার ঘটনাও ঘটাচ্ছে। সবকিছু মিলিয়ে আওয়ামী লীগের মধ্যে একটি লেজেগোবরে অবস্থা তৈরি হয়েছে। সবচেয়ে বড় ব্যাপার হলো যে, আওয়ামী লীগের যে অঙ্গ সহযোগী সংগঠন আছে তারাও এখন ক্রমশ বিভক্ত হয়ে পড়ছে। সবকিছু মিলিয়ে নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে আওয়ামী লীগের কোন্দল। আওয়ামী লীগ সরকারের অর্জন এখন প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছেন আওয়ামী লীগেরই নেতাকর্মীদের দিয়ে। এ অবস্থা পরিত্রাণ পেতে আওয়ামী লীগ কি ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করবে সেটাই এখন দেখার বিষয়।

আওয়ামী লীগ   মোহাম্মদ সাঈদ খোকন   ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

ওবায়দুল কাদেরকে রিজভীর পাল্টা প্রশ্ন

প্রকাশ: ০৪:৩৩ পিএম, ১৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরকে এবার পাল্টা প্রশ্ন ছুড়ে দিলেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। ‘ব্যাংকে সাংবাদিক ঢুকবে কেন’— ওবায়দুল কাদেরের এমন বক্তব্যের সমালোচনা করে বিএনপির এই নেতা বলেছেন, ব্যাংকে সাংবাদিক ঢুকবে না, তাহলে কী মাফিয়া, মাস্তান, ঋণ খেলাপিরা ঢুকবে?

রোববার (১৯ মে) রাজধানীর নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আর্থিক সহায়তা প্রদান অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের কাছে তিনি এ প্রশ্ন রাখেন। এসময় গত ১৮ এপ্রিল সন্ধ্যায় মধুখালী উপজেলার ডুমাইন ইউনিয়নের পঞ্চপল্লী গ্রামের কালী মন্দিরে আগুনের ঘটনায় হামলায় নিহত ২ নির্মাণশ্রমিকের পরিবারকে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান পক্ষ থেকে সহায়তা প্রদান করা হয়।

অনুষ্ঠানে রিজভী বলেন, এক মর্মান্তিক পরিস্থিতির মধ্যে দেশের মানুষ দিন অতিক্রম করছে। এখানে জীবন ও সম্পদের কোনো নিরাপত্তা নেই। জনগণের মনোভাব ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার জন্য সরকার একের পর এক পন্থা অবলম্বন করছে। মধুখালীতে শ্রমিকদের পিটিয়ে হত্যা এটি একটি পন্থা। এরা মানুষকে মানুষ হিসেবে বিবেচনা করে না। এরা মানুষের লাশ ও রক্তপাতের ওপর দিয়ে হেঁটে যেতে ভালোবাসেন।

আওয়ামী লীগ গোটা জাতিকে একটি গোরস্তান বানানোর প্রক্রিয়ায় লিপ্ত উল্লেখ করে রিজভী বলেন, আজ লাশ হচ্ছে জীবন্ত মানুষ। তার একটি ঘটনা মধুখালীতে। সরকার তার বহুমুখী ব্যর্থতা ঢাকতেই একের পর নাটক করে যাচ্ছে।

তিনি বলেন, শুধু ব্যাংক থেকে ১২ হাজার কোটি টাকা লোপাট হয়ে গেছে। এটা আমার বক্তব্য না। এটা সিডিপির বক্তব্য। আমাদের জিডিপি ১২ শতাংশ নাই হয়ে গেছে। ৯২ হাজার কোটি টাকা শুধু ব্যাংক থেকে লোপাট হয়ে গেছে। লোপাটকারী সবাই ক্ষমতাসীন দলের লোক ও আত্মীয়-স্বজন।

রিজার্ভ থেকে ৫০ বিলিয়ন ডলার উধাও করে দেওয়া হয়েছে মন্তব্য করে রিজভী বলেন, এখন তলানিতে রিজার্ভ। সরকার বলছে, ১৩ বিলিয়ন ডলার আছে। অথচ যারা সচেতন মানুষ তারা বলছেন ৭ থেকে ৮ বিলিয়ন ডলার আছে। এর মধ্যে বিদ্যুৎ খাতের ঋণ পরিশোধ করতে ৪ বিলিয়ন ডলার যাবে।

রিজভী আরও বলেন, যারা ব্যাংকের টাকা লুটপাট করে সম্পদের মালিক হয়েছেন, দেশের বাইরে বাড়ি করেছেন তাদের কথা সাংবাদিকরা যেন না জানতে পারেন তার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিকদের ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না।

আওয়ামী লীগ   সাধারণ সম্পাদক   ওবায়দুল কাদের   রুহুল কবির রিজভী  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

নাশকতার মামলায় বিএনপি নেতা ইশরাক কারাগারে

প্রকাশ: ০৪:০৬ পিএম, ১৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

নাশকতার অভিযোগে রাজধানীর পল্টন থানায় দায়ের করা মামলায় বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক কমিটির সদস্য ঢাকা মহানগর বিএনপির সিনিয়র সদস্য ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেনকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।

রোববার (১৯ মে) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ আস-সামছ জগলুল হোসেন আদেশ দেন।

মামলায় উচ্চ আদালত থেকে জামিনে ছিলেন ইশরাক। আজ আদালতে হাজির হয়ে আইনজীবীর মাধ্যমে জামিন বর্ধিত করার আবেদন করেন তিনি। শুনানি শেষে আদালত তার জামিন বাড়ানোর আবেদন বাতিল করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

সংশ্লিষ্ট আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর তাপস কুমার পাল বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।


নাশকতা   মামলা   বিএনপি   ইশরাক হোসেন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

‘‌‌‌‍‍‍‍ব্যাংকে কী মাফিয়া, মাস্তান, ঋণ খেলাপিরা ঢুকবে?’

প্রকাশ: ০৩:৫৭ পিএম, ১৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

ব্যাংকে সাংবাদিক ঢুকবে কেন’-আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের এমন বক্তব্যের সমালোচনা করেছেন রুহুল কবির রিজভী। বিএনপির এই সিনিয়র নেতা বলেছেন, ব্যাংকে সাংবাদিক ঢুকবে না, তাহলে কী মাফিয়া, মাস্তান, ঋণ খেলাপিরা ঢুকবে?

রোববার (১৯ মে) রাজধানীর নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আর্থিক সহায়তা প্রদান অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের কাছে তিনি প্রশ্ন রাখেন। এসময় গত ১৮ এপ্রিল সন্ধ্যায় মধুখালী উপজেলার ডুমাইন ইউনিয়নের পঞ্চপল্লী গ্রামের কালী মন্দিরে আগুনের ঘটনায় হামলায় নিহত নির্মাণশ্রমিকের পরিবারকে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান পক্ষ থেকে সহায়তা প্রদান করা হয়।

রিজভী আরও বলেন, যারা ব্যাংকের টাকা লুটপাট করে সম্পদের মালিক হয়েছেন, দেশের বাইরে বাড়ি করেছেন তাদের কথা সাংবাদিকরা যেন না জানতে পারেন তার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিকদের ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না।


‘‌‌‌ব্যাংক   মাফিয়া   মাস্তান   ঋণখেলাপি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা ভয়াবহ: জিএম কাদের

প্রকাশ: ০৩:৪৬ পিএম, ১৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

সংসদে বিরোধী দলীয় নেতা জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের বলেছেন, দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা ভয়াবহ। সামনের সংকট আরো প্রকট আকার ধারণ করতে পারে। সে জন্যই সাংবাদিকদের বাংলাদেশ ব্যাংকে প্রবেশাধিকার নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এটা সরকারের একটা গণবিরোধী সিদ্ধান্ত এবং যা অবিলম্বে প্রত্যাহার করা উচিত। 

রোববার (১৯ মে) দুপুরে রংপুর সার্কিট হাউজে এসে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় কালে তিনি এসব কথা বলেন।

এর আগে দুপুরে জিএম কাদের ঢাকা থেকে বিমানযোগে সৈয়দপুর বিমান বন্দরে যান। সেখান থেকে সরাসরি রংপুর সার্কিট হাউজে পৌঁছান। সেখানে জেলা প্রশাসক মোবাস্বের হাসান, পুলিশ সুপার ফেরদৌস আলম চৌধুরী, মহানগর জাপার সাধারণ সম্পাদক এস এম ইয়াসির, জেলা সভাপতি আলাউদ্দিন মিয়াসহ প্রশাসনের পার্টির নেতাকর্মীরা তাকে ফুল দিয়ে স্বাগত জানান।

পরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে জিএম কাদের বলেন, সামনে অর্থনৈতিক সংকটের কারণে ভয়াবহ অবস্থার সৃষ্টি হতে পারে। দেশের রিজার্ভ এখন ১৩ বিলিয়ন ডলারের নিচে নেমে এসেছে, যা যাবৎ কালের সর্বনিম্ন।

তিনি আরও বলেন, সরকার যতই রির্জাভের কথা বলুক আসলে ১০ বিলিয়ন ডলারই আছে বলে আমার মনে হয় না। এসব আমাদের জন্য অশুভ সংকেত। দেশে টাকা নেই প্রতিদিন রিজার্ভ কমে যাচ্ছে। দেশে বিনিয়োগ আসছে না। যে অর্থ আসে তা বিদেশে চলে যাচ্ছে। ফলে ডলারের এবং দেশীয় টাকার চরম অবমূল্যায়ন হচ্ছে। দিন দিন টাকার ভ্যালু কমে যাচ্ছে।

জিএম কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ অনেক বড় বড় কথা বলে। দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরকে আমি রেসপেক্ট করি। কিন্তু তিনি যেসব কথা বলছেন এটা জনগণ আর বিশ্বাস করে না। আওয়ামী লীগ আগে জনগণকে ধারণ করলেও এখন তারা জনগণের ঘাড়ে চেপে বসেছে। আগে আওয়ামী লীগ একটা গাছের মতো ছিল। জনগণ যেখানে বিশ্রাম নিতো। এখন সেটা পরগাছা হয়ে গেছে। তারা দেশের জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।


দেশ   অর্থনৈতিক   জিএম কাদের  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন