দেশের ২২ তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে আজ সোমবার (২৪ এপ্রিল) সকালে শপথ নিয়েছেন মো. সাহাবুদ্দিন। রাষ্ট্রপতি হিসেবে তার শপথ অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগ জাতীয় পার্টিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিল। তবে বিএনপি’র কোন নেতাকে শপথ অনুষ্ঠানে দেখা যায়নি। বিএনপি রাস্ট্রপতির ব্যাপারে আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো মন্তব্যও করেনি। যখন রাষ্ট্রপতি হিসেবে মো. সাহাবুদ্দিন নির্বাচিত হয়েছিলেন তখনও বিএনপি তার সম্পর্কে কোনো মন্তব্য করেনি। তাদের এই বিষয় নিয়ে কোনো আগ্রহ নেই বলেই তারা বর্ণনা করেছিল। অবশ্য বিএনপি'র একজন সাবেক সংসদ সদস্য রুমিন ফারহানা বলেছিলেন যে, আওয়ামী লীগের বিদ্যমান নেতাকর্মীদের মধ্যে মো. সাহাবুদ্দিন সবচেয়ে ভালো পছন্দ। তার কোন বিকল্প ছিল না। তবে নতুন রাষ্ট্রপতির ব্যাপারে বিএনপির অবস্থান স্পষ্ট নয়। বিএনপি’র এ ব্যাপারে কোনো আনুষ্ঠানিক বক্তব্য এখন পর্যন্ত পাওয়া যায়নি।
তবে
বিভিন্ন সূত্রগুলো বলছে, নতুন রাষ্ট্রপতিকে তারা
পর্যবেক্ষণ করবেন এবং তারা প্রত্যাশা
করবেন নতুন রাষ্ট্রপতি নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালন করবেন। বর্তমানে বিএনপি
নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে আন্দোলন করছে। তারা বলছে যে,
তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তারা
অংশগ্রহণ করতে পারবে না। তবে তত্ত্বাবধায়ক সরকার হোক না হোক
বিএনপিকে নির্বাচন করতে হবে বর্তমান
রাষ্ট্রপতির অধীনেই। তাই বর্তমান রাষ্ট্রপতির ব্যাপারে বিএনপির অবস্থান সুস্পষ্ট হওয়া জরুরি বলেই মনে করছেন
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। বিএনপি’র মধ্যে এ নিয়ে নানামুখী
আলোচনা হচ্ছে।
নাম
প্রকাশে অনিচ্ছুক বিএনপির এক নেতা স্বীকার
করেছেন যে, মো. সাহাবুদ্দিন রাষ্ট্রপতি
হবে এটি ছিল তাদের
কাছে অপ্রত্যাশিত। তারা চিন্তাও করতে
পারেন নি যে এরকম
একজন ব্যক্তিকে রাষ্ট্রপতি করা হবে। মো.
সাহাবুদ্দিনের অতীত কর্মকাণ্ড সম্পর্কেও
বিএনপি নেতৃবৃন্দের খুব একটা হোমওয়ার্ক
ছিল না। তাই নতুন রাষ্ট্রপতি
সামনের দিনগুলোতে কি করেন তা
নিয়ে বিএনপি’র নেতৃবৃন্দের মধ্যে এক ধরনের অনিশ্চয়তা
এবং সন্দেহ রয়েছে।
বিএনপি’র কোন
কোন নেতা বলছেন যে, নতুন রাষ্ট্রপতি
আওয়ামী লীগের স্বার্থ সংরক্ষণ করবেন। তিনি রাষ্ট্রের অভিভাবক হিসেবে দায়িত্ব
পালন করবেন না। তবে কোনো
কোনো বিএনপি’র নেতারা স্বীকার করছেন যে, শেখ হাসিনা
একটি বিচক্ষণ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এর মাধ্যমে তিনি আগামী
জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে
সম্ভাব্য রাজনৈতিক সংকট মোকাবেলার একটি
কৌশল গ্রহণ করেছেন বলেও তারা মনে
করছেন। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে
যদি কোনো আন্তর্জাতিক চাপ
এবং রাজনৈতিক অস্থিরতা সৃষ্টি হয় তাহলে রাষ্ট্রপতির
ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠবে। অতীতেও
নির্বাচনকালীন সময়ে রাষ্ট্রপতি ভূমিকা ছিল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
যদিও সংবিধান অনুযায়ী রাষ্ট্রপতির পদ এখন অলংকারিক। কিন্তু নির্বাচনকালীন সময়ে রাষ্ট্রপতি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠেন। সেই
বিবেচনাতেই নূতন রাষ্ট্রপতির দিকে
তাকিয়ে থাকবে।
বিএনপির
একাধিক নেতা বলেছেন তারা
কিছুদিন রাষ্ট্রপতির কর্মকাণ্ডকে পর্যবেক্ষণ করবেন। নতুন রাষ্ট্রপতি কতটা
নিরপেক্ষতার সাথে দায়িত্ব পালন
করেন সে বিষয়টি তারা
দেখবেন এবং তারপরই তারা
রাষ্ট্রপতির ব্যাপারে আনুষ্ঠানিক অবস্থান গ্রহণ করবেন। এর আগে আওয়ামী
লীগের সময় যারা রাষ্ট্রপতি ছিলেন তাদের অন্তত দুই জনের সঙ্গে
বিএনপির সুসম্পর্ক ছিল। আওয়ামী লীগ
১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় এসে প্রথম রাষ্ট্রপতি
নির্বাচন করেন শাহাবুদ্দিন আহমেদকে। শাহাবুদ্দিনের সঙ্গে বিএনপি’র
অত্যান্ত ভালো সম্পর্ক
ছিল এবং ২০০১ সালের নির্বাচনে বিএনপি’র জয়ের পেছনে শাহাবুদ্দিনের একটি বড় ভূমিকা
ছিল বলেই অনেকে মনে
করেন।
বিচারপতি
শাহাবুদ্দিনের সঙ্গে একাধিকবার বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া
সাক্ষাৎও করেছিলেন। দ্বিতীয় দফায় আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে
জিল্লুর রহমানকে রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত করেন। জিল্লুর রহমানকেও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া
শ্রদ্ধা করতেন এবং তার মৃত্যুর
পর বেগম খালেদা জিয়া
বঙ্গভবনে গিয়ে তার প্রতি শ্রদ্ধা
জানান।
আবদুল
হামিদের সঙ্গে প্রথম দিকে বিএনপি নেতৃবৃন্দের
সুসম্পর্ক ছিল। বিএনপি আবদুল
হামিদের সঙ্গে একাধিক বৈঠকও করেছিল। কিন্তু শেষের দিকে রাষ্ট্রপতিকে এড়িয়ে
যাওয়ার নীতি গ্রহণ করেছিল
বিএনপি। এখন দেখার বিষয়
নতুন রাষ্ট্রপতি বিচারপতি
সাহাবুদ্দিনের এর ব্যাপারে বিএনপি
কি করে।
নতুন রাষ্ট্রপতি রাষ্ট্রপতি শাহাবুদ্দিন
মন্তব্য করুন
সরকারবিরোধী আগামীর আন্দোলন শুরুর আগে কর্মসূচি প্রণয়ন ও আন্দোলন পরিচালনায় শক্তিশালী লিয়াজোঁ কমিটি চায় বিএনপির মিত্ররা। তারা মনে করে, লিয়াজোঁ কমিটি না থাকায় বিগত আন্দোলন পরিচালনায় এক ধরনের সমন্বয়হীনতা ছিল।
কারণ, যুগপতের সব দল ও জোটের সঙ্গে বিএনপির পৃথক বৈঠক শেষে তাদের স্থায়ী কমিটিতে কর্মসূচি চূড়ান্ত হওয়াকে যথাযথ প্রক্রিয়া এবং আন্দোলনের সঠিক প্ল্যাটফর্ম বলে মনে করে না শরিকরা, বিশেষ করে গণতন্ত্র মঞ্চ। তাই এবার এ প্রশ্নে একটা সিরিয়াস মীমাংসা চান মঞ্চের নেতারা।
বিএনপির সঙ্গে বুধবার (১৫ মে) রাতে চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে লিয়াজোঁ কমিটি গঠনের পরামর্শ দিয়ে গণতন্ত্র মঞ্চের নেতারা বলেন, প্রতিটি জোট ও দল থেকে একজন করে নিয়ে ১০-১২ সদস্যবিশিষ্ট একটি লিয়াজোঁ কমিটি গঠন করতে হবে। সেই লিয়াজোঁ কমিটিতে আলোচনার ভিত্তিতে আন্দোলনের কর্মসূচি প্রণীত হবে। তার আগে নিজ নিজ দল ও জোটের সিদ্ধান্ত নিয়ে সংশ্লিষ্ট নেতারা বৈঠকে উপস্থিত হবেন।
নব্বইয়ে এরশাদবিরোধী আন্দোলনসহ অতীতের আন্দোলনগুলোতে লিয়াজোঁ কমিটি এভাবে কাজ করেছে। কিন্তু বিগত আন্দোলনে এ প্রক্রিয়ায় কর্মসূচি প্রণীত হয়নি। পাঁচ-দশ মিনিট আগে মিত্রদের কর্মসূচির বিষয়ে জানানো হতো এবং কর্মসূচির সঙ্গে সহমত না হলেও সেটাই তারা ঘোষণা করতেন। বৈঠক সূত্রে এমন তথ্য জানা গেছে।
যুগপৎ আন্দোলন পুনরুজ্জীবিত করে সরকারের পদত্যাগ ও নতুন নির্বাচনের দাবিতে ঈদুল আজহার পর মাঠে নামার পরিকল্পনা করছে বিএনপি। সেই আন্দোলনের কর্মকৌশল নির্ধারণে পরামর্শ নিতে গত রোববার থেকে মিত্রদের সঙ্গে ধারাবাহিক বৈঠক করছে দলটি। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের পর এ ধরনের বৈঠক এবারই প্রথম। এর অংশ হিসেবে বৃহস্পতিবার (১৬ মে) এনডিএম, বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ এবং মিয়া মসিউজ্জামান ও ফারুক হাসানের নেতৃত্বাধীন গণঅধিকার পরিষদের সঙ্গে বৈঠক করে বিএনপির লিয়াজোঁ কমিটি।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গণতন্ত্র মঞ্চ ছাড়াও এর আগে গত সোমবার বিএনপির সঙ্গে বৈঠকে আন্দোলনের কর্মসূচি প্রণয়নে সমন্বয়হীনতা দূরীকরণে যুগপতের সব দল ও জোট থেকে দু-একজন করে নিয়ে শক্তিশালী লিয়াজোঁ কমিটি গঠনের ওপর জোর দেন সমমনা জোটের নেতারা।
মন্তব্য করুন
শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন বিএনপি
মন্তব্য করুন
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জাতীয় প্রেস ক্লাব
মন্তব্য করুন
বিএনপি ভারত বিরোধী মার্কিন বিরোধী মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর
মন্তব্য করুন
শেখ হাসিনা বাহাউদ্দিন নাছিম আওয়ামী লীগ ঢাকা-৮
মন্তব্য করুন
১৯৮১ সালের ১৭ মে। স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। আওয়ামী লীগ সভাপতি স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করেছিলেন এক বৃষ্টিমুখর দিনে। সেই দিনে লাখো মানুষ মানিক মিয়া এভিনিউতে জড়ো হয়েছিল জাতির পিতার কন্যাকে দেখার জন্য। তাদের শোক এবং আবেগ ছিল হৃদয়স্পর্শী। সারা বাংলাদেশ উত্তাল হয়েছিল। জাগরণের এক গান গেয়ে স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করেছিলেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বাংলাদেশের জন্ম হওয়ার পর থেকেই প্রতিবেশী দেশ বাংলাদেশকে নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেছে। এই সরকার পুরোপুরিভাবে নতজানু সরকারে পরিণত হয়েছে। শুধু ফারাক্কা নয়, গঙ্গার পানি নয়, বাংলাদেশের ১৫৪টি নদীতে পানি দিতে তারা গড়িমসি করে যাচ্ছে। তিস্তা নদীর পানি বণ্টন, এ করছি, এ হচ্ছে এমন করে সময় শেষ করছে সরকার। এ যে ব্যর্থতা এর মূল কারণ হচ্ছে, সরকারে যারা আছে তারা পুরোপুরিভাবে একটা নতজানু সরকার।