ইনসাইড পলিটিক্স

হেভিওয়েট নেতারা কেন রাষ্ট্রপতি হতে পারেন না

প্রকাশ: ০৮:০০ পিএম, ২৪ এপ্রিল, ২০২৩


Thumbnail

বাংলাদেশের রাজনীতির ইতিহাসে ২২তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে আজ শপথ নিলেন মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন। মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন আওয়ামী লীগের কোনো বড় হেভিওয়েট নেতা ছিলেন না। বরং নেতাদেরকে আড়ালে রেখে মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিনের রাষ্ট্রপতি হওয়াটা ছিল এক ধরনের বিস্ময় এবং চমক। শুধু মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন কেন, এর আগে বাংলাদেশের রাজনীতিতে মাত্র তিনজন গুরুত্বপূর্ণ রাজনীতিবিদ রাষ্ট্রপতি পদ অলংকৃত করেছিলেন। এদের মধ্যে অবশ্যই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রথম এবং প্রধান। যার সঙ্গে কারোর তুলনা হয়না। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি। তবে সেটি ছিল একটি বিশেষ পরিস্থিতিতে যুদ্ধকালীন সময়ে। তাঁর নেতৃত্বেই বাংলাদেশ পরিচালিত হচ্ছে দেখানোর জন্যই তাজউদ্দিন আহমেদ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে রাষ্ট্রপতি করেন। কিন্তু সে সময় বঙ্গবন্ধু ছিলেন কারাগারে। তাঁর অনুপস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তাজউদ্দিন আহমেদই মুক্তিযুদ্ধকালীন সরকার পরিচালনা করেছিলেন। 

বঙ্গবন্ধু দেশে ফিরেই সংসদীয় গণতন্ত্রে দেশকে ফিরিয়ে আনেন। তিনি রাষ্ট্রপতির পদ থেকে পদত্যাগ করেন এবং প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন। এ সময় রাষ্ট্রপতি ছিলেন আবু সাঈদ চৌধুরী। পরবর্তীতে রাষ্ট্রপতি হন মোহাম্মদ উল্লাহ। এরা কেউই আওয়ামী লীগের প্রথম সারির গুরুত্বপূর্ণ নেতা হিসেবে ছিলেন না। আবু সাঈদ চৌধুরী একজন বিচারপতি হিসেবে স্বনামধন্য থাকলেও মোহাম্মদ উল্লাহ ছিলেন একজন ইউনিয়ন পর্যায়ের লোভাতুর নেতা। 

বঙ্গবন্ধু ১৯৭৫ সালে ২৫ জানুয়ারি বাকশাল গঠন করেন এবং বাকশাল গঠনের মাধ্যমে বাংলাদেশে রাষ্ট্রপতি শাসন ব্যবস্থা প্রবর্তিত হয়। ২০২ দিন রাষ্ট্রপতি হিসেবে থাকার পর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে নির্মমভাবে হত্যা করে স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তি। এরপরে বাংলাদেশে যারা রাষ্ট্রপতি হয়েছিলেন, বিচারপতি আবু সাদাত মোহাম্মদ সায়েম, জিয়াউর রহমান, আব্দুস সাত্তার, বিচারপতি আহসানউদ্দীন চৌধুরী এবং হোসেন মুহাম্মদ এরশাদ। এরা কেউই রাজনীতিবিদ ছিলেন না। বরং সামরিক জান্তা, বিচারপতি হিসেবে তারা রাজনীতিতে এসেছিলেন গণতন্ত্র বিনাশী ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে। 

১৯৯১ সালে বিচারপতি শাহাবুদ্দিন আহমেদ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান হয়েছিলেন। সেটিও রাজনীতিবিদ হিসেবে নয় বরং আপৎকালীন সংকট মেটানোর জন্য। ১৯৯১ সালে নির্বাচনে বিএনপি বিজয়ী হওয়ার পর দেশে সংসদীয় গণতন্ত্র প্রবর্তিত হয়। সংসদীয় গণতন্ত্রে রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা খর্ব করা হয় এবং রাষ্ট্রপতি হয়ে ওঠেন স্রেফ অলংকার। এরকম এক পরিস্থিতিতে রাষ্ট্রপতি হিসেবে বিএনপি স্থানীয় পর্যায়ের এক নেতাকে পছন্দ করে এবং ওই সময় রাষ্ট্রপতি হন বরিশালের স্থানীয় একাত্তরের রাজাকার আবদুর রহমান বিশ্বাস। আবদুর রহমান বিশ্বাস এর রাষ্ট্রপতি হওয়াটা রাষ্ট্রপতির পদমর্যাদাকে অপমানিত করার একটি দৃষ্টান্ত। 

আওয়ামী লীগ ১৯৯৬ সালে দীর্ঘ ২১ বছর পর ক্ষমতায় এসে দেশের রাষ্ট্রপতি হিসেবে বেছে নেন শাহাবুদ্দিন আহমেদকে। মূলত একটি নিরপেক্ষ অবয়ব তৈরি এবং রাষ্ট্রপতির মর্যাদাকে দৃঢ করার জন্যই আওয়ামী লীগ শাহাবুদ্দিন আহমেদকে রাষ্ট্রপতি হিসেবে বিবেচনা করেছিল। তবে শাহাবুদ্দিন আহমেদকে রাষ্ট্রপতি করার ফল ইতিবাচক হয়নি আওয়ামী লীগের জন্য। আর ২০০১ সালে বিএনপি ক্ষমতায় এসে আরেকজন হেভিওয়েট নেতাকে রাষ্ট্রপতি হিসেবে অলংকৃত করে। তিনি হলেন অধ্যাপক বদরুদ্দোজা চৌধুরী। কিন্তু সেই হেভিওয়েট নেতারও রাষ্ট্রপতি ভাগ্য সুখকর হয়নি। কিছুদিনের মধ্যেই তাকে বিদায় নিতে হয়। তিনি বিএনপির একান্ত অনুগত, বাধ্যগত হিসেবে থাকেননি বা থাকতে পারেননি জন্যই তাকে সরিয়ে দেওয়া হয়। এরপর তার স্থলাভিক্তি হয় একান্ত অনুগত, বাধ্যগত, মেরুদণ্ডহীন, ব্যক্তিত্বহীন, অধ্যাপক ড. ইয়াজউদ্দিন আহম্মেদ। রাষ্ট্রপতি হিসেবে তিনি যে সমস্ত কেলেঙ্কারি করেছিলেন তার ইতিহাসের সব সময় স্মরণীয় হয়ে থাকবে। এরকম একজন অপদার্থ, দায়িত্বজ্ঞানহীন রাষ্ট্রপতির জন্যই দেশে গণতন্ত্র সংকটে পড়ে ছিল। তবে ২০০৮ সালের নির্বাচনের পর আরেকজন হেভিওয়েট নেতা জিল্লুর রহমানকে রাষ্ট্রপতি হিসেবে পছন্দ করে আওয়ামী লীগ। জিল্লুর রহমানের রাষ্ট্রপতি হওয়াটা ছিল কাঙ্ক্ষিত এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পর তিনি সবচেয়ে বড় এবং প্রবীণ নেতা যিনি রাষ্ট্রপতি হিসেবে অলংকৃত হন। এরপর আবদুল হামিদের অধ্যায়। তিনি রাষ্ট্রপতি হিসেবে ১০ বছর অতিক্রান্ত করছেন। 

আওয়ামী লীগের অনেক গুরুত্বপূর্ণ নেতা আছেন যারা রাষ্ট্রপতি হওয়ার যোগ্য বা স্বাভাবিক সময় হয়তো তারা রাষ্ট্রপতি হতেন। যেমন; আমির হোসেন আমু, তোফায়েল আহমেদ, আবুল হাসনাত আব্দুল্লাহ, শেখ ফজলুল করিম সেলিম, মতিয়া চৌধুরী সহ আরও অনেক গুরুত্বপূর্ণ নেতা। কিন্তু এ সমস্ত হেভিওয়েট নেতারা কেন রাষ্ট্রপতি হন না? ভারতের প্রণব মুখার্জির মতো নেতারা যখন রাষ্ট্রপতি হন তখন বাংলাদেশে এই সমস্ত হেভিওয়েট নেতারা রাষ্ট্রপতি হতে পারেন না কেন? কারণ রাষ্ট্রপতি পদটি এমন একটি স্পর্শকাতর পদ যে পদে আপাতদৃষ্টিতে মনে হয় যে তেমন কোন ক্ষমতা নাই। কিন্তু বাস্তবতা হলো রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন কিছু সংকটকালে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। যেমন; নির্বাচন। আর এই কারণেই বাংলাদেশের হেভিওয়েট নেতারা আস্থাশীল এবং আদর্শের প্রতি অবিচল থাকতে পারেন না। বিভিন্ন সংকটে তারা যেভাবে পক্ষ ত্যাগ করেন বা সাহসী সিদ্ধান্ত নিতে ব্যর্থ হন সে কারণেই রাষ্ট্রপতি হিসেবে হেভিওয়েট নেতাদের বিবেচিত হন না।

রাষ্ট্রপতি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

কাউন্সিলের আগে বিএনপিতে নেতৃত্বের পরিবর্তন নয়

প্রকাশ: ১০:০০ পিএম, ১৭ মে, ২০২৪


Thumbnail

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সরে যেতে পারেন এমন গুঞ্জন রয়েছে। তিনি জেল থেকে বেরিয়ে বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে মহাসচিবের দায়িত্ব থেকে সরে যাওয়ার ব্যাপারে আগ্রহ দেখিয়েছিলেন। বেগম খালেদা জিয়া এই বিষয়টি নিয়ে তাকে লন্ডনে পলাতক বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়ার সাথে কথা বলার পরামর্শ দেন। তবে তারেক জিয়া এ বিষয়ে ইতিবাচক সাড়া দেননি বলে জানা গিয়েছে। বরং বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্যদেরকে তারেক জিয়া জানিয়েছেন, কাউন্সিলের আগে বিএনপিতে নেতৃত্বের পরিবর্তন নয়। তবে বিএনপির কাউন্সিল কবে, কীভাবে হবে- এ সম্পর্কে কোন বিস্তারিত তথ্য জানা যায়নি। 

বিএনপির একজন স্থায়ী কমিটির সদস্য বলেছেন, দল এখন আন্দোলনে ব্যস্ত, তবে আন্দোলনের সঙ্গে সঙ্গে সংগঠনের বিষয়টিও সম্পৃক্ত। আন্দোলন এবং সংগ্রাম একসাথেই চলবে। এই অংশ হিসেবেই আমরা দলের নেতৃত্বের পুনর্গঠনের বিষয়টি বিবেচনা করছি। 

বিএনপির এই নেতা বলেন, তারেক জিয়া যখন বলবেন তখনই কাউন্সিল করার জন্য তাদের প্রস্তুতি আছে। তবে বিএনপির একাধিক নেতা আভাস দিয়েছেন, চলতি বছরের ডিসেম্বর নাগাদ তারা একটি সংক্ষিপ্ত কাউন্সিল করতে পারেন এবং সংক্ষিপ্ত কাউন্সিলের মাধ্যমে নেতৃত্ব পুনর্গঠন করা হতে পারে। 

বিএনপিতে এখন নীতি নির্ধারণী সংস্থা স্থায়ী কমিটিতে পাঁচ সদস্য পদ শূন্য রয়েছে। আবার যারা স্থায়ী কমিটিতে আছেন এ রকম বেশ কয়েক জন এখন গুরুতর অসুস্থ এবং জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে। অনেকে বার্ধক্যজনিত কারণে অসুস্থ। ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলামের মতো নেতারা এখন এতই অসুস্থ যে তারা কোন রাজনৈতিক দায়িত্ব পালনের মতো অবস্থায় নেই। 

বিএনপির একজন নেতা স্বীকার করেছেন, তারা দলকে সার্ভিস দিতে পারছেন না। কিন্তু বিষয়টি খুব স্পর্শকাতর বলে মন্তব্য করে তিনি বলেছেন, অসুস্থ অবস্থায় তাদেরকে নেতৃত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হবে অমানবিক। তবে বিএনপির তরুণ নেতারা মনে করেন, এটি মোটেও অমানবিক নয়। একজন পদে থাকা ব্যক্তি যদি দায়িত্ব পালন না করতে পারেন তাহলে তাকে কোন আলঙ্কারিক পদ দিয়ে ওই শূন্যপদ পূরণ করা উচিত। বিএনপির মধ্যে একটি চাপ আছে যে, যারা মাঠের আন্দোলনে সক্রিয়, অপেক্ষাকৃত তরুণ তাদেরকে নেতৃত্বের সামনে আনা হয়। কিন্তু এ ব্যাপারে তারেক জিয়া এবং বেগম খালেদা জিয়ার মধ্যে মতপার্থক্য রয়েছে বলে বিভিন্ন সূত্র দাবি করেছে। 

তারেক জিয়া বিএনপিতে তরুণদেরকে সামনে আনতে চান। তবে বিভিন্ন সময়ে আন্দোলন সংগ্রামে যারা ত্যাগ স্বীকার করেছেন এ ধরনের ব্যক্তিদেরকে খালেদা জিয়া এখনই দল থেকে বাদ দিতে রাজি নন বলেই বিভিন্ন সূত্র দাবি করেছে। এ প্রসঙ্গে বলা যায় যে, রফিকুল ইসলাম মিয়া বেগম খালেদা জিয়া অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ। বিভিন্ন সংকটে তিনি বেগম জিয়ার পাশে ছিলেন। এ কারণেই দীর্ঘদিন রোগশয্যা থাকার পরও তাকে স্থায়ী কমিটিতে রাখা হয়েছে। যদিও তারেক জিয়া তাকে স্থায়ী কমিটি থেকে সরিয়ে চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পদে দেওয়ার জন্য একাধিকবার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু খালেদা জিয়ার আপত্তির কারণে তিনি সেটি করতে পারেননি। 

একইভাবে ব্যারিস্টার জমির উদ্দীন সরকারকেও স্থায়ী কমিটিতে না রাখার ব্যাপারে তারেক জিয়ার আগ্রহ আছে। কিন্তু বেগম খালেদা জিয়ার অত্যন্ত আস্থাভাজন হওয়ার কারণ তারেক জিয়ার সেই চেষ্টা সফল হয়নি। আর এ কারণেই তারেক জিয়া কাউন্সিল করছেন না বলে অনেকে মনে করেন। কারণ এখন কাউন্সিল হলে বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে তাকে সমঝোতা করতে হবে। বেগম খালেদা জিয়ার পছন্দের অনেক ব্যক্তিকে দলের নেতৃত্ব রাখতে হবে। সেটি তারেক জিয়া চান। খালেদা জিয়ার হাত থেকে বিএনপির পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নিলেও এখন তারেক বিএনপিকে খালেদা জিয়ার প্রভাব মুক্ত করতে পারেনি। তাই কাউন্সিলের জন্য তার অপেক্ষা। তবে একাধিক সূত্র বলছে, দলের নেতাকর্মী মধ্যে কাউন্সিল করে নতুন নেতৃত্ব নির্বাচনের জন্য একটি বড় ধরনের চাপ আছে।


কাউন্সিল   বিএনপি   তারেক জিয়া   মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর   বেগম খালেদা জিয়া  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

জামিনে কারামুক্ত হলেন বিএনপি নেতা

প্রকাশ: ০৯:৩৬ পিএম, ১৭ মে, ২০২৪


Thumbnail

বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য ও জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রশিদ হাবিব জামিনে মুক্তি পেয়েছেন। শুক্রবার (১৭ মে) বিকেলে কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তি পান তিনি।

এ সময় কারাফটকে তাকে স্বাগত জানাতে শত শত নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন। উপস্থিত নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে হাবিবুর রশিদ হাবিব বলেন, পুরো দেশটাকে কারাগারে পরিণত করেছে এই জালিম সরকার।

তারা শুধু বিএনপি নেতাকর্মী নয়, দেশের জনগণের অধিকার, স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব সবকিছুকে ধ্বংস করেছে। এই মাফিয়া আর পুতুল সরকার থেকে মুক্তি পেতে আন্দোলনের বিকল্প নাই। সেই আন্দোলনের প্রস্তুতি নেওয়ার আহ্বান জানান হাবিব।

উল্লেখ্য, গত ১৮ এপ্রিল নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণ করলে হাবিবুর রশীদ হাবিবকে কারাগারে পাঠিয়ে দেন আদালত। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে তাকে তিন মামলায় ৬ বছর নয় মাসের সাজা দেন আদালত।

এছাড়া দুটি মামলা গ্রেপ্তারি পরোয়ানাও ছিলো। সব মামলায় জামিন শেষে তাকে মুক্তি দেওয়া হয়।

হাবিবুর রশিদ হাবিব   বিএনপি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

নির্বাচনের আগে ও পরে একই কথা বলেছে যুক্তরাষ্ট্র: মঈন খান

প্রকাশ: ০৭:১৫ পিএম, ১৭ মে, ২০২৪


Thumbnail

নির্বাচনের আগে যুক্তরাষ্ট্র যে কথা বলেছিল, নির্বাচনের পরেও একই কথাই বলেছে বলে দাবি করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান।

শুক্রবার (১৭ মে) কারামুক্ত বিএনপি নেতা নবী উল্লাহ নবীর বাসায় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন।

মঈন খান বলেন, সরকার যদি ভাবে মার্কিন প্রতিনিধি তাদের সঙ্গে এসে কথা বলেছে আর সব সমস্যার সমাধান হয়েছে, তাহলে সরকারের ধারণা ভুল। নির্বাচনে আগে যুক্তরাষ্ট্র যে কথা বলেছিল, নির্বাচনের পরেও সেই কথা বলেছে।

তিনি বলেন, বিরোধীদলের নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার ও আটকের একমাত্র উদ্দেশ্য এ দেশের মানুষকে কথা বলতে দেবে না। মানুষকে ভিন্নমত পোষণ করতে দেওয়া হবে না। গণতন্ত্র দেওয়া হবে না। সরকার জানে সুষ্ঠু নির্বাচন দিলে দেশের মানুষ তাদের প্রত্যাখ্যান করবে।

এই সরকার সব অধিকার হরণ করেছে জানিয়ে বিএনপির এই নেতা বলেন, তাদের (সরকার) কোনো ভিত্তি নেই। এদেশের ৯৭ শতাংশ জনগণ তাদের ভোট দেয়নি। এ জন্য সরকার ভীতু। বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের ওপর নিপীড়ন নির্যাতন চালিয়ে যাচ্ছে।

মঈন খান বলেন, সরকার এদেশের রাজনীতি অনেক আগেই ধ্বংস করে দিয়েছে। দেশে আর সুস্থ ধরার রাজনীতি নেই। এখন আছে পরহিংসার রাজনীতি। সংঘাতের রাজনীতি।

তিনি বলেন, ভবিষ্যৎ বলে দেবে এ সরকারের পরিণতি কি হবে। ইতিহাস পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, স্বৈরাচারী সরকারের কি পরিণতি হয়ে ছিল। এ দেশের সরকারের বেলায় যে ভিন্ন কিছু হবে এটা কিন্তু ইতিহাস সাক্ষ্য দেয় না।

বিএনপি   ড. আব্দুল মঈন খান  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

কেন জোট করতে চায় না বিএনপি

প্রকাশ: ০৭:০০ পিএম, ১৭ মে, ২০২৪


Thumbnail

সরকারের বিরুদ্ধে নতুন করে আন্দোলন শুরু করার লক্ষ্যে প্রস্তুতি গ্রহণ করছে দীর্ঘ দিন ক্ষমতার বাইরে থাকা বিএনপি। তারা সাম্প্রতিক সময়ে আবার রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বৈঠক শুরু করেছে। তবে এসব বৈঠকে যুগপৎ আন্দোলনের কথা বলা হলেও বিএনপি এখন পর্যন্ত সরকার বিরোধী কোন জোট করতে রাজি নয়। ২০ দলীয় জোট আনুষ্ঠানিকভাবে ভেঙে যাওয়ার পর বিএনপি এখন পর্যন্ত জোটগত ভাবে কোন আন্দোলন করেনি। তবে বিভিন্ন সরকার বিরোধী রাজনৈতিক দলের সঙ্গে তারা সম্পর্ক রেখেছে। ২৮ অক্টোবর পর্যন্ত এই রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে তারা যুগপৎ আন্দোলন করেছিল। এখন আবার নতুন করে যুগপৎ আন্দোলন শুরু করার জন্য বিএনপির পক্ষ থেকে এই সমস্ত রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে যোগাযোগ করা হচ্ছে। তবে রাজনৈতিক দলগুলো বিএনপির ব্যাপারে ইতিবাচক মনোভাব দেখাচ্ছে না। 

বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বৈঠকে একটি বিষয় সুস্পষ্ট হয়ে উঠেছে। যারা বিএনপির সঙ্গে এতদিন ছিল এবং আন্দোলন করেছে, তারা এখন নতুন করে আন্দোলনের আগে একটি লিয়াজোঁ কমিটি করতে চায়। আর আন্দোলনের লক্ষ্য এবং পথ পরিক্রমা চূড়ান্ত করতে চায়। লিয়াঁজো কমিটির নিয়মিত বৈঠক অনুষ্ঠিত হোক, সেটিও তারা চায়। কিন্তু বিএনপির পক্ষ থেকে এ ব্যাপারে এখন পর্যন্ত ইতিবাচক সাড়া দেওয়া হয়নি। নানা বাস্তবতার কারণে বিএনপির জোটবদ্ধ আন্দোলন করতে চায় না। লিয়াঁজো কমিটিও করতে চায় না। 

বিএনপির একাধিক শীর্ষ নেতার সাথে আলাপ করে দেখা গেছে, তারা যে সমস্ত শরিক দলগুলো এখন বিএনপির সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলনে আগ্রহী, তাদের সঙ্গে কোন আনুষ্ঠানিক ঐক্যে যেতে চায় না। এমনকি লিয়াঁজো কমিটির করতে চায় না। এর কারণ হিসেবে বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য বলছেন, যে সমস্ত শরিক রাজনৈতিক দলগুলো বিএনপির সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলন করতে চায়, আন্দোলনের মাধ্যমে তারা অনেকেই সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চায়। সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করে সরকারের কাছ থেকে সুবিধা আদায় করা বা রাজনৈতিক ডিগবাজি দেওয়ার মাধ্যমে তারা আন্দোলনকে ঝুঁকিতে ফেলতে পারে। এটি শুধু এই স্থায়ী কমিটির সদস্য নয়, বিএনপি অনেকের ধারণা।

গত বছরের আন্দোলনের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করে বিএনপির একজন ভাইস চেয়ারম্যান বলেছেন, বিএনপির সঙ্গে আন্দোলন করার কারণে যারা পরিচিতি পেয়েছিল তারাই সরকারের সঙ্গে প্রকাশ্যে এবং গোপনে যোগাযোগ করেছেন। এদের মধ্যে জেনারেল ইব্রাহিমের কথা বিএনপির অনেক নেতাই বলছেন। তারা বলছেন, তিনি রাজনৈতিকভাবে একেবারে এতিম ছিলেন। বিএনপির সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলন করার কারণেই তাঁর রাজনৈতিক পরিচিতি হয়েছিল। আর সেই পরিচিতিকে কাজে লাগিয়ে তিনি সরকারের সাথে গোপনে আঁতাত করেছেন। 

এর আগেও অধ্যাপক বদরুদ্দোজা চৌধুরীর নেতৃত্বে বিকল্পধারা প্রসঙ্গটিও বিএনপির অনেক নেতা বলে থাকেন। তাছাড়া ২৮ অক্টোবরের পর আকস্মিকভাবে মাহমুদুর রহমান মান্নার নীরবতাকেও বিএনপির নেতারা সন্দেহ করছেন। 

বিএনপির কাছে এরকম তথ্য আছে যে, আন্দোলন বানচালের জন্য সরকারের পক্ষ থেকে অনেকগুলো দলের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছিল এবং তাদেরকে নানা রকম টোপ দেওয়া হয়েছিল। ভবিষ্যতেও আন্দোলন যদি বেগবান হয় তাহলে আবার টোপ দেওয়া হবে। এই সমস্ত লোভ পরিত্যাগ করে শরিকরা কতটুকু আন্দোলনের ব্যাপারে অটল থাকতে পারবে এ নিয়ে বিএনপির মধ্যে সন্দেহ রয়েছে। আর কারণেই বিএনপি এখন আনুষ্ঠানিক ভাবে জোটে যেতে চায় না।

বিএনপি মনে করে তারা আন্দোলন করবে। তাদের কর্মসূচির সঙ্গে যদি কেউ একমত পোষণ করে তাহলে তারা যুগপৎ আন্দোলন করবে। তবে আন্দোলন তাদের নিজেদেরই করতে হবে এমনটি মনে করছেন বিএনপির শীর্ষ নেতারা। আর এ কারণে বিএনপি কোন রকম জোট বা লিয়াঁজো কমিটির পক্ষে নয়।

বিএনপি   যুগপৎ আন্দোলন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

২০৪ নেতাকে বহিষ্কার করল বিএনপি

প্রকাশ: ০২:৫৩ পিএম, ১৭ মে, ২০২৪


Thumbnail

চার ধাপে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে পর্যন্ত (তৃতীয় ধাপ) ২০৪ জনকে দল থেকে বহিষ্কার করেছে বিএনপি। দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় তাদের বহিষ্কার করা হয়।

এরমধ্যে তৃতীয় ধাপের নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় তৃণমূলের ৫৫ নেতাকে বহিষ্কার করে বিএনপি। আর প্রথম ধাপে ভোটের জন্য ৮০ জন, দ্বিতীয় ধাপে ৬৯ জনকে বহিষ্কার করে দলটি।

বর্তমান সরকার নির্বাচন কমিশনের অধীনে উপজেলাসহ কোনো নির্বাচনে অংশ না নিচ্ছে না বিএনপি। গত ১৬ এপ্রিল দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলেন, দলের স্থায়ী কমিটির বৈঠকে গৃহীত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, শেখ হাসিনার সরকার তার আজ্ঞাবহ নির্বাচন কমিশন, বেসামরিক পুলিশ প্রশাসন একটি অবাধ, সুষ্ঠু, অংশগ্রহণমূলক গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আয়োজন করতে পারে না। অবাধ, সুষ্ঠু অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠানের পরিবেশ নেই। তাই উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেবে না দল।

দেশে চার ধাপে ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। তফসিল অনুযায়ী, গত মে প্রথম ধাপে ১৩৯টি উপজেলায় ভোট গ্রহণ হয়। এই ধাপের নির্বাচনে বিএনপির বহিষ্কৃত জন চেয়ারম্যান পদে, জন ভাইস চেয়ারম্যান পদে জয়লাভ করে বলেও জানা যায়।

দ্বিতীয় ধাপের ১৬১টি উপজেলা পরিষদের নির্বাচনের ভোট গ্রহণ করা হবে ২১ মে। তৃতীয় ধাপে ১১২টি উপজেলা পরিষদের নির্বাচন ২৯ মে অনুষ্ঠিত হবে। চতুর্থ ধাপের উপজেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে জুন।


বহিষ্কার   বিএনপি  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন