নির্দলীয়, নিরপেক্ষ, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে বিএনপি আন্দোলন করছে। বিএনপি বলছে, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন কোনো দলীয় সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত হবে না। এই আন্দোলনের অংশ হিসেবে বিএনপি রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের রূপরেখা দিয়েছে, দশ দফা দাবিও উপস্থাপন করেছে। এই দাবিতে দেশব্যাপী বিভিন্ন ধাপে আন্দোলন করছে বিএনপি। গত বছরের শেষের দিকে এই আন্দোলন কিছুটা হলেও বেগ পেয়েছিল এবং নেতা-কর্মীদের মধ্যে এক ধরনের উৎসাহ-উদ্দীপনাও লক্ষ্য করা যাচ্ছিল। দলের শীর্ষ নেতাদের মধ্যে চাঙ্গা ভাবও দৃশ্যমান হয়েছিল। কিন্তু সে আন্দোলনে হঠাৎ ভাটার টান।
বিএনপির আন্দোলন বেগবান হয়, গত বছরের অক্টোবর থেকে বিএনপি যখন বিভাগীয় শহরগুলোতে মহাসমাবেশ করার উদ্যোগ গ্রহণ করে। এই মহাসমাবেশের শেষ কর্মসূচি ছিল ঢাকার মহাসমাবেশ। ঢাকার এই মহাসমাবেশ নিয়ে রাজনৈতিক উত্তেজনা বাড়ে। বিএনপি নয়াপল্টনের সামনে অবস্থান গ্রহণ করার চেষ্টা করে এবং পুলিশের বাঁধার মুখে পড়ে। সেই ঘটনায় দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ বেশ কয়েকজন নেতা গ্রেপ্তারও হন। বিএনপি ওই ধারাবাহিকতায় তাদের সকল সংসদ সদস্যকে সংসদ থেকে পদত্যাগের ঘোষণা দেয় এবং সেই ঘোষণা তারা কার্যকরও করে। কিন্তু রোজার মধ্যেও বিএনপি রীতিভঙ্গ করে আন্দোলনের কর্মসূচি পালন অব্যাহত রেখেছিল। কিন্তু রোজার শেষ দিকে এসে বিএনপির আন্দোলন ম্রিয়মান হয়ে পড়ে এবং আন্দোলনে ভাটার টান লক্ষ্য করা যায়। সেই অবস্থা থেকে এখন পর্যন্ত বিএনপি মুক্তি পায়নি। সামনের দিনগুলোতে বিএনপি বড় ধরনের আন্দোলন করতে পারবে কি পারবে না- এই নিয়ে বিএনপির মধ্যে নানা রকম সংশয় এবং সন্দেহ রয়েছে।
কেন বিএনপির আন্দোলনে ভাটার টান? - এ প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে গিয়ে কয়েকটি সনির্দিষ্ট কারণ পাওয়া গেছে-
১. বেগম খালেদা জিয়ার সরব উপস্থিতি: রোজার শেষ দিক থেকেই বেগম খালেদা জিয়া দীর্ঘদিনের বিরতি দিয়ে রাজনীতিতে আস্তে আস্তে দৃশ্যমান হচ্ছেন। তিনি বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে তার ফিরোজার বাসভবনে ডেকে নিয়ে গিয়েছিলেন। সেখানে তার সাথে দীর্ঘ বৈঠক করেছেন। ঈদের দিন বেগম জিয়া বিএনপির স্থায়ী কিমটির সদস্যদেরকে তার বাসায় নিয়ে যান এবং সেখানেও তিনি তাদের সঙ্গে দেশের গণতন্ত্র এবং রাজনীতিক বিষয়ে আলাপ-আলোচনা করেন। আজ বেগম খালেদা জিয়া এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য গিয়েছিলেন। এইসব ঘটনাগুলো বিএনপিকে এক ধরনের বিভ্রান্তিতে ফেলেছে বলে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন। বিএনপিতে দ্বৈত নেতৃত্বের কারণে নেতারা কার কথা শুনবেন?- এ নিয়ে বিভ্রান্তিতে পড়েছেন। কাজেই তারা বড় ধরনের কর্মসূচি থেকে নিজেদেরকে বিরত রাখছেন। বিশেষ করে খালেদা জিয়া অনেকটাই নির্বাচনমুখী- এমন আভাস পাওয়া যাচ্ছে। এটি বিএনপির জন্য এক ধরনের অস্বস্থির কারণ বলেও কেউ কেউ মনে করছেন। এখান থেকেই বিএনপির আন্দোলনে কিছুটা হলেও ভাটার টান লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
২. তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবির ব্যাপারে কূটনৈতিকদের অনিহা: বিএনপির প্রধান দাবি হলো নির্দলীয়, নিরপেক্ষ, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে আগামী নির্বাচন অনুষ্ঠান করা। কিন্তু বিএনপির নির্দলীয়, নিরপেক্ষ, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবির প্রতি আন্তর্জাতিক মহলের সমর্থন আদায় করা সম্ভব হয়নি। বরং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশগুলো এখন পর্যন্ত সংবিধানের আলোকে নির্বাচনের ব্যাপারেই ইতিবাচক মনোভাব পোষন করছেন। এটি বিএনপির জন্য একটি বড় ধরনের হোঁচট বলেই মনে করছে। শেষ পর্যন্ত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে বিএনপির আন্দোলন আসলে সফল হবে কি না, এ নিয়ে বিএনপির মধ্যেই নানা রকম দ্বিধাদ্বন্দ্ব রয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
৩. বিএনপির নেতা-কর্মীদের চাপ: বিএনপির নেতা-কর্মীদের মধ্যে অনেকেই আসন্ন সিটি করপোরেশন নির্বাচনসহ বিভিন্ন নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার পক্ষপাতী। তারা মনে করছেন যে, এ সমস্ত নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করলে দলের লাভের চেয়ে ক্ষতিই বেশি হবে। অতীতের অভিজ্ঞতা থেকে তারা এটিই মনে করছেন। এ কারণেই বিএনপি তৃণমূলের অনেকেই এখন নির্বাচনমুখী। এটি বিএনপির জন্য আরেকটি সমস্যা বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।
৪. নেতৃত্বের কোন্দল: বিএনপির মধ্যে এখন শীর্ষ পর্যায়ের নেতৃত্বেই শুধু নয়, তৃণমূলের নেতৃত্বেও কোন্দল রয়েছে। বিশেষ করে কমিটি বাণিজ্যের মাধ্যমে অযোগ্য এবং লোটেরা বিতর্কিতদেরকে কমিটিতে আনা- বিএনপির মধ্যে অনেকেই পছন্দ করছেন না। এর ফলে দলের মধ্যে এক ধরনের হতাশা বিরাজ করছে বলে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন।
এ সমস্ত কারণেই বিএনপির আন্দোলনে এখন ভাটার টান বলেই রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের ধারণা।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
ওবায়দুল কাদের আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক
মন্তব্য করুন
আম আদমি পার্টির নেতা অরবিন্দ কেজরিওয়ালের একটি বক্তব্যকে নিয়ে বিএনপির উচ্ছ্বাস লক্ষ্য করা যাচ্ছে। ভারতের লোকসভা নির্বাচনে সাম্প্রতিক সময়ে আম আদমি পার্টির জামিনে মুক্তি পাওয়া এই নেতার একটি বক্তব্য বিএনপি তাদের নিজস্ব ইউটিউব চ্যানেলে শেয়ার করেছে। অরবিন্দ কেজরিওয়াল বক্তার বক্তব্য রাখতে গিয়ে বাংলাদেশের নির্বাচন প্রসঙ্গ তুলেছেন। তিনি রাশিয়ার উদাহরণ দিয়েছেন। রাশিয়া নির্বাচনে পুতিন একচ্ছত্রভাবে বিরোধী দল দমন করে বিজয়ী হয়েছেন বলে অরবিন্দ কেজরিওয়াল উল্লেখ করেছেন। বাংলাদেশের নির্বাচনে শেখ হাসিনা সকল বিরোধী দলের নেতাদেরকে গ্রেপ্তার করে নির্বাচনে জয়ী হয়েছেন বলেও অরবিন্দ কেজরিওয়াল দাবি করেছেন। তিনি পাকিস্তানে ইমরান খানকে গ্রেপ্তার করে তার দলের প্রতীক কেড়ে নিয়ে নির্বাচনে ক্ষমতাসীনরা বিজয়ী হয়েছেন বলে উল্লেখ করেছেন।
অরবিন্দ কেজরিওয়াল আসলে সমালোচনার তীর ছুড়েছেন নরেন্দ্র মোদীর দিকে। পাকিস্তান এবং বাংলাদেশকে অনুসরণ করে নরেন্দ্র মোদী ক্ষমতা কুক্ষিগত করতে চান বলেও আম আদমি পার্টির এই নেতা তার বক্তব্যে উল্লেখ করেছেন। আর এই বক্তব্য নিয়েই বিএনপির মধ্যে উচ্ছ্বাস লক্ষ্য করা গেছে। বিএনপির নেতারা শুধু ইউটিউবেই এটি রিপোস্ট করেনি, তারা তাদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক এবং টুইটারেও এই বক্তব্যের ভিডিও ছড়িয়ে দিয়েছে।
সাম্প্রতিক সময়ে বিশেষ করে ৭ জানুয়ারি নির্বাচনের পর বিএনপির মধ্যে এক ধরনের ভারত বিরোধী প্রবণতা লক্ষ্য করা গিয়েছিল। ভারতের সমালোচনা করা এবং ভারত এই সরকারকে টিকিয়ে রেখেছে এমন বক্তব্য বিএনপি নেতাদের মধ্যে দেখা যাচ্ছিল। যদিও ইন্ডিয়া জোটের প্রধান শরিক কংগ্রেস তাদের নির্বাচনী ইস্তাহারে বাংলাদেশের সাথে সম্পর্ককে এগিয়ে নেওয়ার বার্তা দিয়েছেন এবং সম্পর্ক আরও গভীর করার বার্তা দিয়েছেন। ভারতের অন্য একটি প্রভাবশালী রাজনৈতিক দল তৃণমূল কংগ্রেসও আওয়ামী লীগ এবং বর্তমান সরকারের সমর্থক। বিজেপি গত এক দশকে বাংলাদেশের সাথে সম্পর্ককে নতুন মাত্রায় নিয়ে গেছে। এরকম অবস্থায় ভারতের নির্বাচনে যে ফলাফলই হোক না কেন বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্কের ক্ষেত্রে তেমন কোন ব্যত্যয় হবে না বলেই কূটনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করেন।
এর মধ্যে আম আদমি পার্টির বক্তব্য নিয়ে বিএনপির উচ্ছ্বাস নিয়ে অনেকেই নানারকম টীকা-টিপ্পনি কেটেছেন। কেউ কেউ মনে করেন যে, এর আগে যখন কংগ্রেসকে হারিয়ে নরেন্দ্র মোদী প্রথমবার ক্ষমতায় এসেছিলেন তখনও বিএনপির মধ্যে উৎসব উৎসব ভাব সৃষ্টি হয়েছিল। বিএনপি নেতারা মিষ্টিমুখ করিয়েছিলেন। তাদের ধারণা ছিল যে, কংগ্রেস চলে গেলেই আওয়ামী লীগের উপর চাপ সৃষ্টি হবে। কিন্তু বাস্তবে দেখা গেছে, বিজেপির সরকার ক্ষমতা গ্রহণ করার পর দুই দেশের সম্পর্ক আরও গভীর হয়েছে। এখন কেজরিওয়ালের নির্বাচনের মাঠের বক্তব্যকে নিয়ে বিএনপি আশায় বুক বেঁধে আছে। মুখে মুখে ভারত বিরোধীতা করলেও ভারতের অনুগত এবং ভারতের আস্থাভাজন হওয়ার জন্য বিএনপি কম চেষ্টা করেনি।
আর এখনও বিএনপি যে ভারতের সাথে ঘনিষ্ঠ হতে চায় তার প্রমাণ পাওয়া গেল অরবিন্দ কেজরিওয়ালের বক্তব্যকে নিজেদের দলের ইউটিউব চ্যানেলে প্রকাশ করে। কিন্তু বিএনপি নেতারা ভুলে গেলেন যে, একজন রাজনৈতিক নেতার রাজনৈতিক বক্তব্য, আর ক্ষমতায় এসে তার প্রশাসনিক কর্মকাণ্ড- দুটি সম্পূর্ণ ভিন্ন। দেউলিয়া রাজনীতির কারণে বিএনপি সবসময় অন্যের দিকে তাকিয়ে থাকে আওয়ামী লীগকে কোণঠাসা করার জন্য। সাম্প্রতিক সময়ে কেজরিওয়ালের বক্তব্য বিএনপির ইউটিউবে ছাড়ার মধ্য দিয়ে সেই দেউলিয়াত্ব আরেকবার প্রকাশিত হল বলেই মনে করেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।
বিএনপি মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অরবিন্দ কেজরিওয়াল রুহুল কবির রিজভী
মন্তব্য করুন
চীনা কমিউনিস্ট পার্টির আমন্ত্রণে দেশটিতে বিশেষ প্রশিক্ষণ নিতে যাচ্ছে আওয়ামী লীগের সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের নেতা-কর্মীরা। চলতি মাসের শেষের দিকে ৫০ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল চীনে যাবে।
গণপ্রজাতন্ত্রী চীন প্রতিষ্ঠার ৭৫ বছরপূর্তি উদযাপন উপলক্ষে এই প্রশিক্ষণ কর্মসূচি আয়োজন করা হয়েছে। এই সফর কর্মসূচির লক্ষ্য আওয়ামী লীগের সঙ্গে চীনের কমিউনিস্ট পার্টির দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কোন্নয়ন এবং মতবিনিময়।
দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের গত ১৪ এপ্রিল এক চিঠিতে চীনের কমিউনিস্ট পার্টির কাছে ৫০ সদস্যের একটি তালিকা পাঠিয়েছেন। এতে আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, মহিলা আওয়ামী লীগ, যুব মহিলা লীগ, ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন ছাত্রলীগ ও মহিলা শ্রমিক লীগ এবং আওয়ামী লীগের ডেটাবেজ টিমের সদস্যরা রয়েছেন।
দলীয় একাধিক সূত্র মতে, আওয়ামী লীগের প্রতিনিধি দলটিকে চীনের কমিউনিস্ট পার্টি সংগঠন গড়ে তোলা, সুশাসন, ইতিহাসসহ নানা বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেবে।
৫০ সদস্যের প্রতিনিধি টিমে রয়েছেন:
আওয়ামী যুব লীগ:
সহ সভাপতি মৃনাল কান্তি জোয়ারদার ও তাজউদ্দীন আহমদ; যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ বদিউল আলম; সাংগঠনিক সম্পাদক হেলাল উদ্দিন, মো জহির উদ্দিন, প্রচার সম্পাদক জয়দেব নন্দী, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ক সম্পাদক কাজী সারোয়ার হোসেন, উপ আন্তর্জাতিক সম্পাদক মো সাফেড আসফাক আকন্দ।
আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ:
স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি গাজী মেজবাউল হোসেন, সাধারণ সম্পাদক আফজালুর রহমান, সহ সভাপতি আব্দুল রাজ্জাক, তানভীর শাকিল জয় এমপি, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোবাশ্বের চৌধুরী, একেএম আজিম, সাংগঠনিক সম্পাদক আবুল ফজল মো নাফিউল করিম, আবদুল্লাহ আল সায়েম৷
বাংলাদেশ মহিলা আওয়ামী লীগ:
যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শিরিন রোকসানা, মিনা মালেক, সুলতানা রেজা, মিসেস রোজিনা নাসরিন, নীলিমা আক্তার লিলি, সাংগঠনিক সম্পাদক ঝর্না বাড়ুই, মরিয়ম বিনতে হোসেন, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মেহেনিগার হোসেন।
বাংলাদেশ যুব মহিলা লীগ:
সভাপতি আলেয়া সারোয়ার, সাধারণ সম্পাদক শারমিন সুলতানা, সহ সভাপতি বিনা চৌধুরী, রাফিয়া আক্তার, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বিউটি কানিজ, সাংগঠনিক সম্পাদক নিলুফার ইয়াসমিন।
মহিলা শ্রমিক লীগ:
সভাপতি সুরাইয়া আক্তার, সাধারণ সম্পাদক কাজী রহিমা আক্তার, কার্যকরী সভাপতি শামসুর নাহার, সহ সভাপতি মেহেরুন নেসা, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জিনাত রেহেনা নাসরিন।
বাংলাদেশ ছাত্রলীগ:
সহ সভাপতি মো. রাকিবুল হাসান, কুহিনূর আক্তার, খাদেমুল বাশার জয়, খন্দকার মো আহসান হাবিব, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো হোসাইন আহমেদ, মো আবদুল্লাহ হিল বারী, এসডিজি বিষয়ক সম্পাদক রাইসা নাহার, সাংস্কৃতিক সম্পাদক জান্নাতুল হাওয়া আখি।
ডেটাবেজ টিম মেম্বার, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ:
মো নুরুল আলম প্রধান, সাজ্জাদ সাকিব বাদশা, কাজী নাসিম আল মমিন, জাফরুল শাহরিয়ার জুয়েল, অদিত্য নন্দী, মো. সাদিকুর রহমান চৌধুরী, সাব্বির আহমেদ।
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগ মোহাম্মদ সাঈদ খোকন ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। ইতোমধ্যে তিনি একটি হ্যাটট্রিক করেছেন। টানা তিন তিনবার আওয়ামী লীগের মতো একটি ঐতিহ্যবাহী প্রাচীন রাজনৈতিক দলের সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানই একমাত্র যিনি আওয়ামী লীগের তিনবার বা তার বেশি সাধারণ সম্পাদক হয়েছিলেন। এখন ওবায়দুল কাদেরও আওয়ামী লীগের টানা তিনবারের সাধারণ সম্পাদক। এবার তিনি আরেক রকম হ্যাটট্রিক করলেন।
আম আদমি পার্টির নেতা অরবিন্দ কেজরিওয়ালের একটি বক্তব্যকে নিয়ে বিএনপির উচ্ছ্বাস লক্ষ্য করা যাচ্ছে। ভারতের লোকসভা নির্বাচনে সাম্প্রতিক সময়ে আম আদমি পার্টির জামিনে মুক্তি পাওয়া এই নেতার একটি বক্তব্য বিএনপি তাদের নিজস্ব ইউটিউব চ্যানেলে শেয়ার করেছে। অরবিন্দ কেজরিওয়াল বক্তার বক্তব্য রাখতে গিয়ে বাংলাদেশের নির্বাচন প্রসঙ্গ তুলেছেন। তিনি রাশিয়ার উদাহরণ দিয়েছেন। রাশিয়া নির্বাচনে পুতিন একচ্ছত্রভাবে বিরোধী দল দমন করে বিজয়ী হয়েছেন বলে অরবিন্দ কেজরিওয়াল উল্লেখ করেছেন। বাংলাদেশের নির্বাচনে শেখ হাসিনা সকল বিরোধী দলের নেতাদেরকে গ্রেপ্তার করে নির্বাচনে জয়ী হয়েছেন বলেও অরবিন্দ কেজরিওয়াল দাবি করেছেন। তিনি পাকিস্তানে ইমরান খানকে গ্রেপ্তার করে তার দলের প্রতীক কেড়ে নিয়ে নির্বাচনে ক্ষমতাসীনরা বিজয়ী হয়েছেন বলে উল্লেখ করেছেন।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর থেকে আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরীণ কোন্দল এবং একে অন্যের বিরুদ্ধে কাদা ছোড়াছুড়ি যেন কিছুতেই থামানো যাচ্ছে না। নির্বাচন পরবর্তী কোন্দল বন্ধে বিভিন্ন রকম উদ্যোগও ব্যবস্থা গ্রহণ করছে আওয়ামী লীগ। দলের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজেই একাধিক বার দলীয় কোন্দল বন্ধের জন্য তাগাদা দিয়েছেন। কিন্তু কোন কিছুতেই কাজ হচ্ছে না। বরং আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরীণ কোন্দল নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে। সাংগঠনিক অবস্থা রীতিমতো ভেঙে পড়েছে। এই কোন্দল এখন এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে আওয়ামী লীগ সরকারের উন্নয়ন বা অর্জন প্রশ্নবিদ্ধ করছেন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরাই। দলের এই কোন্দল এতদিন তৃণমূল পর্যায় থাকলেও সেটি এখন কেন্দ্রীয় নেতৃত্বেও শুরু হয়েছে।