ইনসাইড পলিটিক্স

বিএনপির হাতে বন্দী বেগম জিয়া?

প্রকাশ: ০৫:০০ পিএম, ০১ মে, ২০২৩


Thumbnail

রাজনীতিতে সক্রিয় হতে না হতেই বেগম জিয়া হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এভারকেয়ার হাসপাতালে এখন তিনি কেবিনে অবস্থান করছেন। বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে যে চিকিৎসকদের পরামর্শে তিনি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। সেখানে কেবিনে রেখে তাকে নিবিড় পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। কিন্তু বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা বলছেন, কেবিনে রেখে কাউকে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা সম্ভব নয়। নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখতে হয় সিসিইউতে অথবা আইসিইউতে। কিন্তু বেগম জিয়ার শারীরিক এরকম পরিস্থিতি তৈরি হয়নি। বেগম জিয়া যে দিন হাসপাতালে গিয়েছিলেন সে দিন তিনি গাড়ি থেকে নেমে খানিকটা হেঁটেছিলেন, তারপর তাকে হুইল চেয়ারে বসানো হয়েছিল।

উল্লেখ্য যে ঈদের দিনে বেগম খালেদা জিয়া সুস্থ ছিলেন। তিনি প্রায় দুই ঘণ্টা দলের স্থায়ী কমিটির নেতাদের সাথে বসে ছিলেন। এ নিয়ে স্থায়ী কমিটির সব সদস্যই ব্যক্তিগত আলাপচারিতায় জানিয়েছিলেন যে বেগম খালেদা জিয়া আগের চেয়ে অনেক ভালো এবং তিনি সপ্রতিভ। কিন্তু হঠাৎ করেই তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হল অনির্দিষ্ট সময়ের জন্য কেন?—এ নিয়ে রাজনীতিতে ধূম্রজাল সৃষ্টি হয়েছে। 

কোনো কোনো রাজনৈতিক বিশ্লেষক মনে করছেন বেগম জিয়া সাম্প্রতিক সময়ে যে সমস্ত রাজনৈতিক পদক্ষেপ গুলো নিচ্ছেন তা বিএনপির জন্য বুমেরাং হয়ে যাচ্ছে। এই কারণেই তারেক জিয়ার নির্দেশে এভারকেয়ার হাসপাতালে বন্দী করা হয়েছে বেগম খালেদা জিয়াকে। তিনি আসলে অসুস্থ নন, হাসপাতালে রেখে তাকে সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করার পথ বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। 

উল্লেখ্য যে রোজার মধ্যে বেগম খালেদা জিয়ার সাথে সরকারের বিভিন্ন উর্দ্ধতন ব্যক্তিদের যোগাযোগের খবর পাওয়া যায়। এই যোগাযোগ সূত্র ধরেই বেগম জিয়া দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে ফিরোজার বাসায় ডেকে নেন এবং সেখানে এক ঘণ্টার বেশি সময় তার সঙ্গে আলাপ করেন। এ সময় তিনি নির্বাচনে অংশ নেয়ার পক্ষে অবস্থান নেন বলে জানা যায়। এরপর পরই ঈদের সময় তিনি দলের স্থায়ী কমিটির সদস্যদের নিয়ে বৈঠক করেন এবং এই বৈঠকে বেগম খালেদা জিয়া গণতন্ত্রের পক্ষে অবস্থান রাখার জন্য দলের সিনিয়র নেতাদের নির্দেশ দেন। তিনি আরেকটি এক-এগারো কোনভাবেই যেন না আসে সে ব্যাপারেও নেতাদেরকে সতর্ক করে দেন। এরপর বিএনপির মধ্যে শুরু হয় বিভ্রান্তি। এই বার্তা পাঠানো হয় তারেক জিয়ার কাছে। তারেক জিয়া উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন। কারণ বিএনপি এখন নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে আন্দোলন করছে। তারা বলছে যে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া কোনো নির্বাচনে তারা যাবে না। কিন্তু এরকম আন্দোলনের মধ্যে যদি বেগম খালেদা জিয়া আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচনের ঘোষণা দেন তাহলে সেটি বিএনপির জন্য একটি অস্বস্তির কারণ হবে। এর ফলে বিএনপির নেতাকর্মীরা বিভ্রান্ত হয়েছে পড়বেন। 

বিএনপি নেতারাই স্বীকার করছেন দলের শতকরা নব্বই শতাংশ নেতাকর্মী বেগম খালেদা জিয়ার পক্ষে। বেগম জিয়া যে নির্দেশ দেবেন সেই নির্দেশই তারা মানবেন। কাজেই বেগম জিয়া যদি নির্বাচনের যাওয়ার নির্দেশ দেন সেক্ষেত্রে দলের ভেতর নতুন করে ভাঙ্গন সৃষ্টি হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। 

সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে যে সরকার বেগম খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশ যাওয়ার অনুমতি দিবেন—এই শর্তে খালেদা জিয়া নির্বাচনে যেতে পারেন এমন একটি দরকষাকষি চলছে। আর এই দরকষাকষি যদি সফল হয় তাহলে বিএনপির আন্দোলন ব্যর্থতায় পর্যবসিত হবে। আর এ কারণে বেগম খালেদা জিয়া যেন রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে সক্রিয় হতে না পারেন, 
তিনি যেন সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে না পারেন এই জন্যই তাকে এভারকেয়ার হাসপাতালে নিয়ে রাখা হয়েছে। এখানে বিএনপির চিকিৎসক এবং নেতারা তাকে নিয়ন্ত্রণ করছেন। ফলে বেগম জিয়া এখন বিএনপির হাতে বন্দি এমনটি মনে করছেন কেউ কেউ। তবে বিএনপির নেতারা বলছেন যে খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা আসলেই খারাপ। চিকিৎসকদের পরামর্শে তাকে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তবে এভারকেয়ার হাসপাতালের চিকিৎসকরা জানিয়েছেন যে তিনি নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য এসেছিলেন, তার সবকিছুই স্বাভাবিক ছিল। কিন্তু তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ডা. জাহিদ হোসেন এভারকেয়ার হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করেন যে তিনি যেন কিছুদিন হাসপাতাল অবস্থান করেন। এ কারণেই তাকে হাসপাতালে রাখা হয়েছে। অর্থাৎ বেগম জিয়া যেন ফিরোজা থেকে অবাধে রাজনৈতিক বিষয়গুলো দেখ ভাল না করতে পারেন এজন্যই কি তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে? 

রাজনীতির খবর   খালেদা জিয়া  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

খালেদা জিয়ার ছবি দিয়ে পোস্টার সাঁটানো কর্মসূচি শুরু

প্রকাশ: ০৩:২২ পিএম, ১১ মে, ২০২৪


Thumbnail

বিশ্ব মা দিবস উপলক্ষে দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার ছবি সম্বলিত পোস্টার সাঁটানো কর্মসূচি গ্রহণ করেছে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপি। একইসঙ্গে বিশ্ব মা দিবস উপলক্ষে বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবি জানিয়েছেন দলটির নেতাকর্মীরা। ওই পোস্টারে লেখা হয়েছে- ‘মা আমায় দিচ্ছে ডাক, স্বৈরাচার নিপাত যাক, গণতন্ত্র মুক্তি পাক’।

শনিবার (১১ মে) নয়াপল্টনে মহানগর বিএনপির কার্যালয়ের সামনে এবং আশপাশের এলাকায় খালেদা জিয়ার ছবি সম্বলিত পোস্টার সাঁটানো কর্মসূচি উদ্বোধন করেন মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আবদুস সালাম।

এ সময় সালাম বলেন, ‘বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া আজ নিপীড়িত জনগণের মা। তাকে অন্যায়ভাবে মিথ্যা মামলায় আটকে রাখা হয়েছে। এবারের মা দিবসে বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে আমাদের এই ব্যতিক্রমী উদ্যোগ। আমরা দাবি করছি, অনতিবিলম্বে বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্তি দেওয়ার। তিনি চলমান গণতান্ত্রিক আন্দোলনের নেতৃত্ব দেবেন।’

বিএনপি নেতা আব্দুস সালাম আরও বলেন, ‘ধারাবাহিকভাবে সব ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে এই পোস্টার লাগানোর মধ্য দিয়ে বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবি তরান্বিত করা হবে।’

এ সময় উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনু, যুগ্ম আহ্বায়ক আলহাজ ইউনুস মৃধা, মোহাম্মদ মোহন, আব্দুস সাত্তার, সদস্য খালেদ সাইফুল্লাহ রাজন, আরিফা সুলতানা রুমা, বিএনপির তথ্য ও প্রযুক্তি দপ্তরের কর্মকর্তা মাহফুজ কবির মুক্তাসহ মহানগর দক্ষিণ বিএনপির অন্যান্য নেতাকর্মীরা।


বিএনপি   চেয়ারপারসন   বেগম খালেদা জিয়া  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

জরুরি সংবাদ সম্মেলনে আসছেন মির্জা ফখরুল

প্রকাশ: ০২:১৭ পিএম, ১১ মে, ২০২৪


Thumbnail

জরুরি সংবাদ সম্মেলন ডেকেছে বিএনপি। আগামীকাল রোববার দুপুর ১২টায় রাজধানীর গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানান।

এতে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বক্তব্য রাখবেন। এর মধ্য দিয়ে ছয় মাসেরও বেশি সময় পর সংবাদ সম্মেলনে আসছেন মির্জা ফখরুল।

এর আগে ২০২৩ সালের ২৭ অক্টোবর সংবাদ সম্মেলন করেছিলেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। সে সময় ২৮ অক্টোবর ঢাকায় বিএনপি মহাসমাবেশ ডেকেছিল। গত ২৮ অক্টোবর ঢাকার নয়াপল্টনে বিএনপির মহাসমাবেশ পুলিশ পণ্ড করে দেওয়ার পরদিনই মির্জা ফখরুল গ্রেপ্তার হন। প্রায় সাড়ে তিন মাস কারাবাসের পর ১৫ ফেব্রুয়ারি জামিনে মুক্তি পান তিনি।

কারাগারে যাওয়ার পর থেকে বিএনপি মহাসচিব ও তার স্ত্রী রাহাত আরা বেগম উভয়ে শারীরিক নানা জটিলতায় ভুগছেন। এ জন্য কারাগার থেকে মুক্তির পর ৪ মার্চ তারা চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরে যান। সেখান থেকে দেশে ফিরে আবার গত ২ মে পবিত্র ওমরাহ পালনে স্ত্রী রাহাত আরা বেগমকে নিয়ে সৌদি আরব যান মির্জা ফখরুল। প্রথমে তারা মদিনায় হজরত মুহাম্মদ (সা.) রওজা মোবারক জিয়ারত করেন। গত ৫ মে মক্কায় এসে পবিত্র ওমরাহ পালন করেন তারা।


মির্জা ফখরুল  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

আওয়ামী লীগের শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশ আজ

প্রকাশ: ০৮:২৩ এএম, ১১ মে, ২০২৪


Thumbnail

আওয়ামী লীগের শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে আজ শনিবার। বিকেল সাড়ে ৩টায় মোহাম্মদপুর আড়ংয়ের সামনে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। শুক্রবার (১০ মে) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে দলের এক যৌথ সভার শুরুতে এ কথা জানান দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

ওবায়দুল কাদের বলেন, অনেকে বলে আমরা পাল্টাপাল্টি সমাবেশ করছি, আসলে আমরা কোনো সমাবেশ করছি না। আজ আমরা এখানে যৌথসভা করছি। আগামীকাল শনিবার আমাদের মন্ত্রিসভার সদস্য, আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানকের সংসদীয় এলাকায় আমরা একটি শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশ করব। সেখানে সবাইকে আমন্ত্রণ জানাচ্ছি।

এর আগে দলের দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়ার সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আওয়ামী লীগের নেতাদের সঙ্গে ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণ ও ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ এবং সব সহযোগী সংগঠনের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকদের যৌথসভা আজ শুক্রবার (১০ মে) অনুষ্ঠিত হয়।


আওয়ামী লীগ   শান্তি সমাবেশ   ওবায়দুল কাদের  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

কর্মীদের দাবি রিজভী, তারেকের পছন্দ খসরু

প্রকাশ: ১০:০০ পিএম, ১০ মে, ২০২৪


Thumbnail

বিএনপিতে নতুন মহাসচিব নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। লন্ডনে পলাতক বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়া বিভিন্ন জেলার স্থানীয় পর্যায়ের নেতাদের সঙ্গে নৈশ বৈঠকের আয়োজন করছেন। এ পর্যন্ত নোয়াখালী, কুমিল্লা, সিলেট, বরিশালসহ অন্তত দশটি জেলায় এই ধরনের জুম বৈঠক আয়োজন করা হয়েছে। যে বৈঠকগুলোতে লন্ডনে পলাতক তারেক জিয়া সরাসরি তৃণমূলের নেতাকর্মীদের সঙ্গে কথা বলছেন। তৃণমূলের নেতাকর্মী ছাড়াও ছাত্রদল, যুবদল, কৃষক দলের মতো বিভিন্ন অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের স্থানীয় পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ তারেক জিয়ার সঙ্গে কথা বলছেন। 

নোয়াখালীতে এ রকম বৈঠকের আয়োজন করা হয়েছে, যেখানে প্রজেক্টরের মাধ্যমে তারেক জিয়া সরাসরি কর্মীদের সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন এবং তাদের মতামত দিয়েছেন। এই সমস্ত মতামতে দল পুনর্গঠন, নতুন নেতৃত্ব ইত্যাদি বিষয় নিয়ে তারেক জিয়া দলের নেতৃবৃন্দের খোলাখুলি মতামত জানতে চান। আর এই খোলাখুলি মতামতে যদি মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর মহাসচিব না থাকেন তাহলে কাকে মহাসচিব করা যেতে পারে সেই প্রশ্নটি উত্থাপন করেন।

জানা গেছে, অধিকাংশ তৃণমূলের কর্মীরা তাদের পছন্দের কথা জানাতে প্রথমে অস্বস্তি প্রকাশ করেন। পরবর্তীতে তারেক তাদেরকে আশ্বস্ত করেন যে, এই বৈঠকের খবর বাইরে প্রকাশিত হবে না এবং বৈঠকে উপস্থিত নেতৃবৃন্দকেও সতর্ক করা হয় তারা যেন এই বৈঠকের বিষয়টি দলের কেন্দ্রীয় নেতা বা সিনিয়রদের সঙ্গে আলোচনা না করে। এরপর এই বৈঠকে মতামত প্রকাশের জন্য সবাইকে স্বাগত জানানো হয়। এই সব বৈঠকে বিভিন্ন জেলার অধিকাংশ কর্মীরা দলের পরবর্তী মহাসচিব হিসেবে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর নাম উচ্চারণ করেছেন। তার পেছনে বিএনপির নেতাকর্মীরা যুক্তি দেখিয়েছেন, তিনি নিবেদিতপ্রাণ ত্যাগী। কর্মীদের কাছে তিনি শ্রদ্ধার আসনে আসীন। তাছাড়া সব সংকটেই তাকে সাহসী ভাবে দেখা যায়। এ কারণে রিজভীর মহাসচিব হওয়া উচিত বলে অনেকে মনে করছেন। 

তবে বেশ কিছু স্থানীয় পর্যায়ের নেতা মনে করেন যে, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সবচেয়ে যোগ্য ব্যক্তি। এখন পর্যন্ত তাঁর কোনো বিকল্প নেই। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর দলের মহাসচিব থেকে সরে গেলে দলের জন্য সমস্যা হবে বলেও তারা অভিমত ব্যক্ত করেছেন। 

তারেক জিয়া উপযাচক হয়ে কয়েকটি বৈঠকে আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী যদি বিএনপির মহাসচিব হয় তাহলে সেটি কেমন হয়- এই প্রশ্নটা জিজ্ঞেস করছেন। এর উত্তরে স্থানীয় পর্যায়ের কিছু নেতা নীরবতা অবলম্বন করেছেন। অনেকে নেতিবাচক মন্তব্য করেছেন। খুব অল্প সংখ্যক ব্যক্তি আমীর খসরু মাহমুদকে ইতিবাচকভাবে দেখেছেন। তবে বিএনপির অধিকাংশ তৃণমূলের নেতারাই মনে করছেন যে, তারেক জিয়া যদি নেতৃত্বে থাকেন তাহলে কে মহাসচিব হলেন সেটি বড় বিষয় নয়। তারা জিয়া পরিবারের বাইরে যেন নেতৃত্ব না যায় সে ব্যাপারেও তারেক জিয়ার কাছে অনুরোধ করেছেন।

বিভিন্ন সূত্রগুলো বলছে, মির্জা ফখরুল মহাসচিব হিসেবে থাকতে চান না। তিনি কয়েক দফা এই বিষয়টি নিয়ে তারেক জিয়ার সঙ্গে কথা বলেছেন। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এখন এমন একটি অবস্থানে গেছেন শেষ পর্যন্ত যদি তাতে মহাসচিব পদে রাখার জন্য বাধ্য করা হয় তাহলে তিনি পদত্যাগ করতে পারেন বলেও ধারণা করা হচ্ছে। তাছাড়া ইদানিং তিনি দলের কার্যক্রম থেকে নিজেকে গুটিয়ে নিয়েছেন। এ রকম অবস্থায় নতুন মহাসচিব অনুসন্ধানের অংশ হিসেবে তারেক জিয়া বিভিন্ন জেলায় বৈঠক করছেন বলে অনেকের ধারণা।

বিএনপি   আমির খসরু   মির্জা ফখরুল   রুহুল কবির রিজভী  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

আওয়ামী লীগের শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশ শনিবার

প্রকাশ: ০৮:৫২ পিএম, ১০ মে, ২০২৪


Thumbnail

আওয়ামী লীগের শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে শনিবার (১১ মে)। বিকেল সাড়ে ৩টায় মোহাম্মদপুর আড়ংয়ের সামনে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে।

শুক্রবার (১০ মে) বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলের এক যৌথসভায় দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এ কথা জানান।

তিনি বলেন, অনেকে বলে আমরা পাল্টাপাল্টি সমাবেশ করছি, আসলে আমরা কোনো সমাবেশ করছি না। আজকে আমরা এখানে যৌথসভা করছি। আগামীকাল শনিবার আমাদের মন্ত্রিসভার সদস্য আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানকের সংসদীয় এলাকায় আমরা একটি শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশ করব। সেখানে আজকের সকলকে আমন্ত্রণ জানাচ্ছি।

এর আগে, দলের দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়ার সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আওয়ামী লীগের নেতাদের সঙ্গে ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণ ও ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ এবং সব সহযোগী সংগঠনের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকদের যৌথসভা আজ (১০ মে) অনুষ্ঠিত হয়।

আওয়ামী লীগ   শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশ  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন