ইনসাইড পলিটিক্স

বেগম জিয়াকে পদত্যাগে চাপ?

প্রকাশ: ০৬:০১ পিএম, ০২ মে, ২০২৩


Thumbnail

এভারকেয়ার হাসপাতালে নিবিড় পরিচর্যায় রয়েছেন বেগম খালেদা জিয়া। নিবির পরিচর্যায় থাকলেও তিনি কেবিনে অবস্থান করছেন। বিএনপি পন্থী চিকিৎসক ছড়া কারো সঙ্গে তাকে দেখা করতে দেয়া হচ্ছে না। আর এ নিয়ে রহস্যের ধুম্রজাল তৈরি হয়েছে। এমনকি বেগম খালেদা জিয়ার ছোট ভাই শামীম ইস্কান্দার এবং তার বোন সেলিনা ইসলাম পর্যন্ত মনে করছেন বেগম খালেদা জিয়াকে নিয়ে নোংরা রাজনীতির খেলা খেলছে বিএনপি নেতৃবৃন্দ। হঠাৎ করেই ঈদের পর বেগম খালেদা জিয়াকে কেন হাসপাতালে নেয়া হলো এবং তাকে কেন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে এই বিষয়টিও শামিম ইস্কান্দার অবহিত নয়। একাধিক সূত্র বলছে, এখন বেগম খালেদা জিয়াকে পদত্যাগ করানোর জন্য প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। লন্ডনে পলাতক বিএনপি'র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়ার নির্দেশেই এই প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

সূত্রগুলো বলছে, বেগম খালেদা জিয়ার যেন বিএনপিতে কোন পদ পদবী না থাকে সে ব্যাপারে বিএনপি নিশ্চিত হতে চাইছেন। বেগম জিয়া যদি শেষ পর্যন্ত পদত্যাগ করেন এবং বিএনপি'র কোন পদের না থাকেন তাহলে তিনি যদি দলকে নির্বাচনে যাওয়ার নির্দেশও দেন তাহলে সেই নির্দেশ দলীয় সিদ্ধান্ত হবে না। কিন্তু বর্তমানে বেগম খালেদা জিয়া এখনও কাগজে-কলমে দলের চেয়ারপারসন। তাই বেগম জিয়া যদি বলেন যে, দলকে নির্বাচনে যেতে হবে তাহলে সেটি বিএনপি'র জন্য আদেশ হিসেবে বিবেচিত হবে। কারণ বিএনপি’র গঠনতন্ত্র অনুযায়ী দলের চেয়ারপারসনের হাতে সর্বক্ষমতা। দলের গঠনতন্ত্রে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলে কোন পদ নেই এবং সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান বলেও কোন পদ নেই। তারেক জিয়া এ দুইটি পদের বলে বিএনপিকে যেভাবে ইচ্ছা সেভাবে ব্যবহার করছেন। আর একারণেই এখন তারেক জিয়া মরিয়া হয়ে উঠেছেন তার মা’কে বিএনপি থেকে মাইনাস করার জন্য। এ কারণেই বেগম খালেদা জিয়াকে হাসপাতালে নেয়া হয়েছে বলে একাধিক সূত্র বাংলা ইনসাইডারকে নিশ্চিত করেছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, খালেদা জিয়ার পদত্যাগের ব্যাপারে বিএনপি অন্য নাটক মঞ্চস্থ করছে। বিএনপি বলছে, সরকার যেহেতু মনে করছে যে বেগম খালেদা জিয়া বিএনপি চেয়ারপারসন এবং চেয়ারপারসন হওয়ার কারণে সরকার তাকে বিদেশে নেয়ার ক্ষেত্রে ভয় পাচ্ছে, আতঙ্ক বোধ করছে। এজন্য বেগম খালেদা জিয়া স্বইচ্ছায় সজ্ঞানে দলের সব ধরণের দায়িত্ব থেকে পদত্যাগ করবেন, ফলে তিনি বিএনপি’র কেউ থাকবেন না। তখন একজন জ্যেষ্ঠ নাগরিক হিসেবে মানবিক কারণে সরকার তাকে বিদেশে পাঠাতে আগ্রহী হবে।

কিন্তু বাস্তবতা হলো বেগম খালেদা জিয়া পদত্যাগ করুক আর নাই করুক না কেন তিনি বিএনপি চেয়ারপারসন এবং প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন সময়ে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট এবং জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের দুর্নীতির বিষয়টি সংঘটিত হয়েছিল। কাজেই তিনি একদিকে যেমন এর দায় এড়াতে পারেন না অন্যদিকে এখন তিনি দল থেকে পদত্যাগ করলেও তার পরিস্থিতির কোনো ব্যত্যয় ঘটবে না। বরং বেগম খালেদা জিয়াকে যেন সরকার ব্যবহার করতে পারে এবং বেগম খালেদা জিয়াকে ব্যবহার করে তাকে দিয়ে কোনো মুচলেকা নিলে তার নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া যেন বিএনপি’র উপর না পড়ে সেটি নিশ্চিত করতে চাইছে বিএনপি। আর একারণেই বেগম খালেদা জিয়াকে পদত্যাগের কথা বলা হচ্ছে।

আজ সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর খালেদা জিয়ার অসুস্থতা নিয়ে আওয়ামী লীগের বক্তব্য মিথ্যা ও ভিত্তিহীন বলেছেন। কিন্তু মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ছিলেন হাস্যোজ্জ্বল এবং বেগম খালেদা জিয়ার অসুস্থতা নিয়ে তার মধ্যে কোন উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা লক্ষ্য করা যায়নি। বেগম জিয়া যদি সত্যিই অসুস্থ থাকতেন তাহলে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এত হাস্যজ্জল থাকার কোনো কারণ নেই। বরং মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে সেই সময় একটু নমনীয় এবং বেদনার্ত থাকার কথা। কিন্তু সেরকম কিছু লক্ষ্য করা যাচ্ছে না। ফলে বেগম জিয়ার হাসপাতাল নাটক যে বিএনপি সৃষ্টি এটি নিয়ে বিএনপি নেতাদের মধ্যেও কোনো সংশয় নেই। বরং বেগম খালেদা জিয়াকে এখন পদত্যাগ করিয়ে বিএনপির ক্ষমতা যেমন নিরঙ্কুশ করতে চান তারেক জিয়া। তেমনি সরকারের সাথে সব দর কষাকষি নিজেই করতে চান। কিন্তু সরকারের পক্ষ থেকে একাধিক সূত্র বলছে যে কোনো অবস্থাতেই তারেক জিয়ার সঙ্গে সরকার কোনো আলোচনায় যাবেন। 


বেগম জিয়া  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

ওবায়দুল কাদেরকে রিজভীর পাল্টা প্রশ্ন

প্রকাশ: ০৪:৩৩ পিএম, ১৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরকে এবার পাল্টা প্রশ্ন ছুড়ে দিলেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। ‘ব্যাংকে সাংবাদিক ঢুকবে কেন’— ওবায়দুল কাদেরের এমন বক্তব্যের সমালোচনা করে বিএনপির এই নেতা বলেছেন, ব্যাংকে সাংবাদিক ঢুকবে না, তাহলে কী মাফিয়া, মাস্তান, ঋণ খেলাপিরা ঢুকবে?

রোববার (১৯ মে) রাজধানীর নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আর্থিক সহায়তা প্রদান অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের কাছে তিনি এ প্রশ্ন রাখেন। এসময় গত ১৮ এপ্রিল সন্ধ্যায় মধুখালী উপজেলার ডুমাইন ইউনিয়নের পঞ্চপল্লী গ্রামের কালী মন্দিরে আগুনের ঘটনায় হামলায় নিহত ২ নির্মাণশ্রমিকের পরিবারকে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান পক্ষ থেকে সহায়তা প্রদান করা হয়।

অনুষ্ঠানে রিজভী বলেন, এক মর্মান্তিক পরিস্থিতির মধ্যে দেশের মানুষ দিন অতিক্রম করছে। এখানে জীবন ও সম্পদের কোনো নিরাপত্তা নেই। জনগণের মনোভাব ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার জন্য সরকার একের পর এক পন্থা অবলম্বন করছে। মধুখালীতে শ্রমিকদের পিটিয়ে হত্যা এটি একটি পন্থা। এরা মানুষকে মানুষ হিসেবে বিবেচনা করে না। এরা মানুষের লাশ ও রক্তপাতের ওপর দিয়ে হেঁটে যেতে ভালোবাসেন।

আওয়ামী লীগ গোটা জাতিকে একটি গোরস্তান বানানোর প্রক্রিয়ায় লিপ্ত উল্লেখ করে রিজভী বলেন, আজ লাশ হচ্ছে জীবন্ত মানুষ। তার একটি ঘটনা মধুখালীতে। সরকার তার বহুমুখী ব্যর্থতা ঢাকতেই একের পর নাটক করে যাচ্ছে।

তিনি বলেন, শুধু ব্যাংক থেকে ১২ হাজার কোটি টাকা লোপাট হয়ে গেছে। এটা আমার বক্তব্য না। এটা সিডিপির বক্তব্য। আমাদের জিডিপি ১২ শতাংশ নাই হয়ে গেছে। ৯২ হাজার কোটি টাকা শুধু ব্যাংক থেকে লোপাট হয়ে গেছে। লোপাটকারী সবাই ক্ষমতাসীন দলের লোক ও আত্মীয়-স্বজন।

রিজার্ভ থেকে ৫০ বিলিয়ন ডলার উধাও করে দেওয়া হয়েছে মন্তব্য করে রিজভী বলেন, এখন তলানিতে রিজার্ভ। সরকার বলছে, ১৩ বিলিয়ন ডলার আছে। অথচ যারা সচেতন মানুষ তারা বলছেন ৭ থেকে ৮ বিলিয়ন ডলার আছে। এর মধ্যে বিদ্যুৎ খাতের ঋণ পরিশোধ করতে ৪ বিলিয়ন ডলার যাবে।

রিজভী আরও বলেন, যারা ব্যাংকের টাকা লুটপাট করে সম্পদের মালিক হয়েছেন, দেশের বাইরে বাড়ি করেছেন তাদের কথা সাংবাদিকরা যেন না জানতে পারেন তার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিকদের ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না।

আওয়ামী লীগ   সাধারণ সম্পাদক   ওবায়দুল কাদের   রুহুল কবির রিজভী  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

নাশকতার মামলায় বিএনপি নেতা ইশরাক কারাগারে

প্রকাশ: ০৪:০৬ পিএম, ১৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

নাশকতার অভিযোগে রাজধানীর পল্টন থানায় দায়ের করা মামলায় বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক কমিটির সদস্য ঢাকা মহানগর বিএনপির সিনিয়র সদস্য ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেনকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।

রোববার (১৯ মে) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ আস-সামছ জগলুল হোসেন আদেশ দেন।

মামলায় উচ্চ আদালত থেকে জামিনে ছিলেন ইশরাক। আজ আদালতে হাজির হয়ে আইনজীবীর মাধ্যমে জামিন বর্ধিত করার আবেদন করেন তিনি। শুনানি শেষে আদালত তার জামিন বাড়ানোর আবেদন বাতিল করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

সংশ্লিষ্ট আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর তাপস কুমার পাল বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।


নাশকতা   মামলা   বিএনপি   ইশরাক   কারাগা  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

‘‌‌‌‍‍‍‍ব্যাংকে কী মাফিয়া, মাস্তান, ঋণ খেলাপিরা ঢুকবে?’

প্রকাশ: ০৩:৫৭ পিএম, ১৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

ব্যাংকে সাংবাদিক ঢুকবে কেন’-আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের এমন বক্তব্যের সমালোচনা করেছেন রুহুল কবির রিজভী। বিএনপির এই সিনিয়র নেতা বলেছেন, ব্যাংকে সাংবাদিক ঢুকবে না, তাহলে কী মাফিয়া, মাস্তান, ঋণ খেলাপিরা ঢুকবে?

রোববার (১৯ মে) রাজধানীর নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আর্থিক সহায়তা প্রদান অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের কাছে তিনি প্রশ্ন রাখেন। এসময় গত ১৮ এপ্রিল সন্ধ্যায় মধুখালী উপজেলার ডুমাইন ইউনিয়নের পঞ্চপল্লী গ্রামের কালী মন্দিরে আগুনের ঘটনায় হামলায় নিহত নির্মাণশ্রমিকের পরিবারকে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান পক্ষ থেকে সহায়তা প্রদান করা হয়।

রিজভী আরও বলেন, যারা ব্যাংকের টাকা লুটপাট করে সম্পদের মালিক হয়েছেন, দেশের বাইরে বাড়ি করেছেন তাদের কথা সাংবাদিকরা যেন না জানতে পারেন তার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিকদের ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না।


‘‌‌‌ব্যাংক   মাফিয়া   মাস্তান   ঋণখেলাপি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা ভয়াবহ: জিএম কাদের

প্রকাশ: ০৩:৪৬ পিএম, ১৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

সংসদে বিরোধী দলীয় নেতা জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের বলেছেন, দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা ভয়াবহ। সামনের সংকট আরো প্রকট আকার ধারণ করতে পারে। সে জন্যই সাংবাদিকদের বাংলাদেশ ব্যাংকে প্রবেশাধিকার নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এটা সরকারের একটা গণবিরোধী সিদ্ধান্ত এবং যা অবিলম্বে প্রত্যাহার করা উচিত। 

রোববার (১৯ মে) দুপুরে রংপুর সার্কিট হাউজে এসে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় কালে তিনি এসব কথা বলেন।

এর আগে দুপুরে জিএম কাদের ঢাকা থেকে বিমানযোগে সৈয়দপুর বিমান বন্দরে যান। সেখান থেকে সরাসরি রংপুর সার্কিট হাউজে পৌঁছান। সেখানে জেলা প্রশাসক মোবাস্বের হাসান, পুলিশ সুপার ফেরদৌস আলম চৌধুরী, মহানগর জাপার সাধারণ সম্পাদক এস এম ইয়াসির, জেলা সভাপতি আলাউদ্দিন মিয়াসহ প্রশাসনের পার্টির নেতাকর্মীরা তাকে ফুল দিয়ে স্বাগত জানান।

পরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে জিএম কাদের বলেন, সামনে অর্থনৈতিক সংকটের কারণে ভয়াবহ অবস্থার সৃষ্টি হতে পারে। দেশের রিজার্ভ এখন ১৩ বিলিয়ন ডলারের নিচে নেমে এসেছে, যা যাবৎ কালের সর্বনিম্ন।

তিনি আরও বলেন, সরকার যতই রির্জাভের কথা বলুক আসলে ১০ বিলিয়ন ডলারই আছে বলে আমার মনে হয় না। এসব আমাদের জন্য অশুভ সংকেত। দেশে টাকা নেই প্রতিদিন রিজার্ভ কমে যাচ্ছে। দেশে বিনিয়োগ আসছে না। যে অর্থ আসে তা বিদেশে চলে যাচ্ছে। ফলে ডলারের এবং দেশীয় টাকার চরম অবমূল্যায়ন হচ্ছে। দিন দিন টাকার ভ্যালু কমে যাচ্ছে।

জিএম কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ অনেক বড় বড় কথা বলে। দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরকে আমি রেসপেক্ট করি। কিন্তু তিনি যেসব কথা বলছেন এটা জনগণ আর বিশ্বাস করে না। আওয়ামী লীগ আগে জনগণকে ধারণ করলেও এখন তারা জনগণের ঘাড়ে চেপে বসেছে। আগে আওয়ামী লীগ একটা গাছের মতো ছিল। জনগণ যেখানে বিশ্রাম নিতো। এখন সেটা পরগাছা হয়ে গেছে। তারা দেশের জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।


দেশ   অর্থনৈতিক   জিএম কাদের  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে বিএনপির অভ্যন্তরীণ কোন্দল

প্রকাশ: ০৯:১৯ এএম, ১৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে বিএনপির অভ্যন্তরীণ কোন্দল। সারা দেশেই বাড়ছে দলটির গৃহদাহ। দল পুনর্গঠন চলমান স্থানীয় সরকার নির্বাচন ঘিরে দলীটির বিবাদ প্রকাশ্যে আসছে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, স্থানীয় সরকার নির্বাচন নিয়ে কেন্দ্রীয় নির্দেশ সবচেয়ে বেশি লঙ্ঘন করছেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির নেতারা। তাদের অনেকে এলাকায় গিয়ে দলীয় সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করতে গোপনে উসকে দিচ্ছেন স্থানীয় নেতাদের। ঢাকায় ফিরে তারাই আবার দলীয় সিদ্ধান্ত লঙ্ঘনের দায়ে সংশ্লিষ্ট নেতাদের বহিষ্কারের মাধ্যমে নিজেদের পথ প্রশস্ত করছেন। এতে পারস্পরিক সন্দেহ-অবিশ্বাস ঘনীভূত হচ্ছে।

দলের নির্ভরযোগ্য সূত্রগুলো জানায়, গত বছরের ২৮ অক্টোবরের দলীয় মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে কারাগারে যাওয়া নেতাদের অনেকের ভূমিকা রহস্যজনক বলে মনে করছেন দলীয় অনেকে। নিয়ে দলের ভিতরে রয়েছে বিতর্ক। সুনির্দিষ্ট প্রমাণের (অডিও-ভিডিও) ভিত্তিতে বেশ কয়েকজন কেন্দ্রীয় নেতার বিরুদ্ধে ব্যবস্থাও নেওয়া হয়েছে কেন্দ্র থেকে। অনেককে অঘোষিতভাবেওএসডিকরা হয়েছে সাংগঠনিক কার্যক্রমের ক্ষেত্রে। নিয়ে ক্ষোভে কেউ কেউ রাজনীতি থেকেই নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়ছেন। চলে যাচ্ছেন দেশ ছেড়ে।

এসব বিষয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, বিএনপি মহাসাগরের মতো বিস্তৃত একটি বিশাল রাজনৈতিক দল। দলে নেতাদের মধ্যে কোনো বিষয়ে মতামত প্রদানের ক্ষেত্রে পার্থক্য থাকতেই পারে। তবে কোনো রকমের অভ্যন্তরীণ বিরোধ বা কোন্দল নেই।

জানা গেছে, সম্প্রতি সবচেয়ে বেশি বিরোধ-কোন্দল সৃষ্টি হয়েছে চলমান উপজেলা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে। এই নির্বাচনের প্রাক্কালে দলের হাইকমান্ডের পক্ষ থেকে বয়কটের পক্ষে নেতা-কর্মীদের মধ্যে গণসচেতনতা সৃষ্টির জন্য সারা দেশে সাংগঠনিক সহ-সাংগঠনিক সম্পাদকদের সুনির্দিষ্ট দায়িত্ব দেওয়া হয়। কিন্তু বেশির ভাগ নেতাই তাদের নিজ নিজ এলাকায় সেই দায়িত্ব পালন করেননি। অনেকে এলাকাতেই যাননি। জেলা বিএনপির শীর্ষকর্তারাও তেমন কোনো ভূমিকা রাখেননি। বরং উল্লিখিত নেতাদের এলাকাতেই ভোট কেন্দ্রে সবচেয়ে বেশি ভোটারের উপস্থিতি দেখা গেছে। নির্বাহী কমিটির দায়িত্বপ্রাপ্ত এসব নেতার দ্বৈত ভূমিকায় তৃণমূলের নেতারা ক্ষুব্ধ।


বিএনপি   অভ্যন্তরীণ   কোন্দল  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন