ইনসাইড পলিটিক্স

হাসানাত-সাদিক মাঠে না নামলেই খোকন সেরনিয়াবাতের জন্য আশীর্বাদ

প্রকাশ: ০৭:২৬ পিএম, ০৭ মে, ২০২৩


Thumbnail

আসন্ন বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের পঞ্চম পরিষদের নির্বাচনে মেয়র পদে আবুল খায়ের আব্দুল্লাহ ওরফে খোকন সেরনিয়াবাতকে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন দেয়ার পর ভোটের মাঠে চলছে নানা হিসেব নিকেশ। বিশেষ করে জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের একটি বড় অংশ এখন পর্যন্ত প্রকাশ্যে খোকন সেরনিয়াবাতের পক্ষে মাঠে নামেননি। তাদের এই মাঠে না নামার বিষয়টিকে ভোটের রাজনীতিতে কেউ বলছেন ইতিবাচক আবার কেউ বলছেন নেতিবাচক। তবে ১৯৯১ সাল থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত অনুষ্ঠিত বিভিন্ন নির্বাচনের ফলাফল বিশ্লেষণ করে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের অংশগ্রহণ না করাই আবুল খায়ের আব্দুল্লাহর জন্য আশীর্বাদ। তাদের দাবী যেই সব নির্বাচনে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহর অনুসারীরা দলীয় প্রার্থীর পক্ষে কাজ করেছেন সেই নির্বাচনেই পরাজয় নিশ্চিত হয়েছে। আসন্ন বরিশাল সিটি কর্পোরেশনে নির্বাচনে আওয়ামী লীগ দলীয় প্রার্থীর পক্ষে হাসানাত পরিবার মাঠে নামলে পরাজয়ের পুনরাবৃত্তি ঘটার আশঙ্কায় রয়েছেন এখানকার নেতাকর্মীরা।

বরিশাল সদরে বার বারই আওয়ামী লীগের এই হারের পেছনে ঐতিহাসিক কারণ খুঁজে পেয়েছেন শহর আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মীর আমিন উদ্দীন মোহন। তিনি বলছেন নিজের আখের গোছাতে ১৯৯১ সাল থেকে নিজ দলের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের সূচনা করেন আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহ। সাবেক প্রয়াত রাষ্ট্রপতি আব্দুর রহমানকে বরিশাল সদর আসনে সুযোগ করে নিজে এমপি নির্বাচিত হয়েছিলেন আগৈলঝাড়া থেকে। ওই নির্বাচনে সদর আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ছিলেন মাহবুব উদ্দীন আহমেদ বীর বিক্রম। মোহনের দাবী আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহ কৌশল করে নির্বাচনে ভেতরে ভেতরে রহমান বিশ্বাসের পক্ষে কাজ করেণ।

একইভাবে ১৯৯৬ সালেও সদর আসে বিএনপি প্রার্থীর কাছে বিপুল ভোটে পরাজয় বরণ করেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী মাহাবুব উদ্দীন আহমেদ বীর বিক্রম। এর আগে ১৯৯১ সালের উপ নির্বাচনে সার্জেন্ট ফজলুল হককে আওয়ামী লীগের প্রার্থী করা হলে তার জামানত পর্যন্ত বাজেয়াপ্ত হয়। ১৯৯৮ সাবেক এমপি নাসিম বিশ্বাসের মৃত্যু হলে সদর আসনে মনোনয়ন দেয়া হয় প্রয়াত মহিউদ্দীন আহমেদকে। তিনিও পরাজিত হন বিপুল ভোটে। একইভাবে ২০০১ সালে শওকত হোসেন দলীয় মনোনয়ন পেলেও বিএনপি প্রার্থীর কাছে পরাজিত হন। সব নির্বাচনেই উপরে উপরে সরব উপস্থিতি ছিলো আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহর। প্রবীন আওয়ামী লীগ নেতারা বলছেন সব হারের পেছনেই কাজ করেছে আবুল হাসানাত আব্দুল্লার চোখের ইশারা।

শুধু সংসদ নির্বাচন নয় পৌর এবং সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনেও যতবার মাঠে নেমে কাজ করেছেন আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহ ও তার অনুসারীরা ততবারই হেরেছে আওয়ামী লীগের প্রার্থী। যার উৎকৃষ্ট উদাহরণ ২০১৩ সালের বরিশাল সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন। ওই নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী ছিলেন প্রয়াত শওকত হোসেন হিরণ। আর বিএনপির প্রার্থী ছিলেন প্রয়াত আহসান হাবীব কামাল। নির্বাচনে আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহর লোকজন বিএনপির প্রার্থী আহসান হাবীব কামালের আনারস প্রতীকের পক্ষে কাজ করেণ। হাসানাত ঘরানার আওয়ামী লীগ নেতা মিলন ভূঁইয়াকে আনারস প্রতীকের লিফলেটসহ হাতেনাতে ধরা হয়। এর আওয়ামী লীগের প্রার্থী শওকত হোসেন হিরণ জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি সৈয়দ আনিচের বাসায় গিয়ে জরুরী বৈঠক করেণ। আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহর লোকজন যাতে বিরোধীতা না করে এ জন্য আনিসের মাধ্যমে অনেক অনুরোধও করা হয়েছিলো তৎকালীন সময়ে। অনেক জনপ্রিয় ব্যক্তি হওয়ার পরেও কেবল আবুল হাসানাতের ষড়যন্ত্রে কারণে ২০ হাজার ভোটের ব্যবধানে শেষ পর্যন্ত হেরে যান শওকত হোসেন হিরণ। অথচ ২০০৮ সালের নির্বাচনে আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহ পরিবার মাঠে না থাকায় প্রথমবারের মত মেয়র নির্বাচিত হয়ে বিএনপির দুর্গে আঘাত হেনেছিলেন হিরণ।

পৌরসভা থেকে বরিশাল সিটি কর্পোরেশনে উন্নীত হওয়ার পর প্রথম নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় ২০০৩ সালে। ওই নির্বাচনে নাগরিক ঐক্য পরিষদের ব্যানারে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন দেয়া প্রয়াত এনায়েত পীর খানকে। নির্বাচনে তার পক্ষে প্রকাশ্যে মাঠে করেছেন আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহ ও তার অনুসারীরা। কিন্তু তারপরেও বিপুল ভোটে পরাজয় বরণ করতে হয়েছে এনায়েত পীরকে। নির্বাচন পরিচালনার দায়িত্বে ছিলেন মতিয়া চৌধুরী। নির্বাচনে মাঠে ভূমিকা নিয়ে তার সাথে একটি সমাবেশ মঞ্চে আবুল হাসানাত আবদুল্লাহর স্ত্রী সাহানারা বেগমের মধ্যে বাগবিতন্ডা হয়। এর আগে একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হয়েছিলো ১৯৯৫ সালের পৌর নির্বাচনে। তখন আওয়ামী লীগের প্রার্থী ছিলেন সৈয়দ গোলাম মাহাবুব এবং বিএনপির প্রার্থী ছিলেন আহসান হাবীব কামাল। কিন্তু আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহর কৌশলের কারণে কামালের কাছে পরাজিত হয়েছিলেন মাহাবুব।

আসন্ন পঞ্চম পরিষদের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন দেয়া হয়েছে আবুল খায়ের আব্দুল্লাহকে। যিনি বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ফুপাতো ভাই। মনোনয়ন থেকে ছিটকে পড়েছেন বর্তমান মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ। যিনি আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহর বড় ছেলে। বাবা হাসানাত চেয়েছিলেন এবারও তার ছেলেকে মনোনয়ন দেয়া হোক। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী তার কথা না শোনায় অনেকটা নাখোশ তিনি। এ কারণে বাবা-ছেলে কেউ এখনো প্রকাশ্যে আওয়ামী লীগ দলীয় প্রার্থীর পক্ষে মাঠে নামেননি।

দলীয় একাধিক সূত্র বলছে আসন্ন নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীর পক্ষে হাসানাত পরিবারের অংশগ্রহণ ইতিবাচকের চেয়ে নেতিবাচক ভূমিকাই বেশি রাখবে।

এ প্রসঙ্গে শহর আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মীর আমির উদ্দীন মোহন আবুল হাসানাত পরিবারকে উদ্দেশ্য করে বলেন, তারা কার রাজনীতি করে আমরা বুঝিনা। যেখানে প্রধানমন্ত্রী ও দলীয় সভানেত্রী প্রার্থী দিয়েছেন সেখানে তারা এখনো নিশ্চুপ। প্রধানমন্ত্রী না বললে তারা মাঠে নামবেন না। এটা কেমন রাজনীতি। মোহনের আশঙ্কা আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহ ও তার অনুসারীরা নির্বাচনে নামলে আবুল খায়ের আব্দুল্লাহর পরাজয় নিশ্চিত। তিনি অভিযোগ করে বলেন, হাসানাত আব্দুল্লাহর চোখের গভীরতা বড়ই নিষ্ঠুর। নিজেকে ছাড়া কিছুই বোঝেন না। আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানকের মায়ের মিলাদের পর্যন্ত তিনি তোকর্মীদের যেতে নিষেধ করেন। এর চেয়ে খারাপ রাজনীতি আর কি হতে পারে।

হাসানাত-সাদিক   বরিশাল   সিটি নির্বাচন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

মা দিবস উপলক্ষে খালেদা জিয়ার ছবি সংবলিত পোস্টার লাগিয়েছে বিএনপি

প্রকাশ: ০৮:২৪ এএম, ১০ মে, ২০২৪


Thumbnail

বিশ্ব মা দিবস উপলক্ষে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার প্রতি সম্মান জানিয়ে তার ছবি সম্বলিত একটি বড় ব্যানার টানানো হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৯ মে) রাত ১১টার দিকে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলের উদ্যোগে এ ব্যানার টানানো হয়।

মায়েদের প্রতি সম্মান জানিয়ে প্রতি বছর মে মাসের দ্বিতীয় রোববার বিশ্ব মা দিবস হিসেবে পালন করা হয়। এ বছর রোববার (১২ মে) পালিত হবে বিশ্ব মা দিবস।

দিবসটি উপলক্ষে বৃহস্পতিবার দুপুরে খালেদা জিয়ার ছবি সম্বলিত পোস্টার উন্মোচন করেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। বিএনপির নয়াপল্টন কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে আশপাশের এলাকায় পোস্টার লাগিয়ে এ কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন ওলামা দলের সাধারণ সম্পাদক আবুল হোসেন, যুবদলের সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদক মেহবুব মাসুম শান্ত, ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডা. তৌহিদুর রহমান আউয়াল, সাবেক স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা ইমতিয়াজ বকুল প্রমুখ।

বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের দেয়ালে খালেদা জিয়ার ছবি সম্বলিত পোস্টার টানান যুবদলের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মোনায়েম মুন্না।



মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

মন্ত্রী হবার অফার: মান্নার নতুন স্টান্টবাজি

প্রকাশ: ১০:০০ পিএম, ০৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

রাজনীতিতে প্রায় পরিত্যক্ত আবর্জনার ডাস্টবিনে পড়ে থাকা মাহমুদুর রহমান মান্না নিজের ওজন বাড়াতে এবং রাজনীতিতে নিজের অবস্থান জানান দেওয়ার জন্য নতুন স্টান্টবাজি গ্রহণ করেছেন। সাম্প্রতিক সময়ে তিনি দৈনিক মানবজমিন পত্রিকায় এক সাক্ষাৎকারে দাবি করেছেন, নির্বাচনের আগে মাহমুদুর রহমান মান্নাকে মন্ত্রী হওয়ার অফার দেওয়া হয়েছিল এবং তিনি সেই প্রস্তাব গ্রহণ করেননি। 

বাংলা ইনসাইডারের নিজস্ব অনুসন্ধানে দেখা গেছে, মাহমুদুর রহমান মান্না ডাহা মিথ্যা কথা বলেছেন। শুধু মিথ্যা কথাই নয়, পুরো ঘটনাটা ছিল উল্টা। আমরা যদি নির্বাচনকালীন সময়ে বিশেষ করে ২৮ অক্টোবর থেকে ৭ জানুয়ারি পর্যন্ত ঘটনা প্রবাহ বিশ্লেষণ করি তখন সেই সময় দেখব মাহমুদুর রহমান মান্নাকে নিয়ে একাধিক জাতীয় দৈনিকে বেশ কিছু রহস্যময় প্রতিবেদন প্রকাশিত হচ্ছে। ২৮ অক্টোবরের পর থেকে হঠাৎ করেই পর্দার আড়ালে চলে যান মাহমুদুর রহমান মান্না। বিএনপি নেতারাও তাকে খুঁজে পাননি। যুগপৎ কর্মসূচির জন্য তাকে অনুরোধ জানানো হলেও তাদের ডাকে মান্না সাড়া দেননি। এসময় গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়েছিল যে মাহমুদুর রহমান মান্না নির্বাচনে যাবেন এবং নির্বাচনে যাওয়ার জন্য তিনি জোট করছেন না। আর এই রকম জোটের জন্য তিনি সরকারের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকাও দাবি করেছিলেন। 

মাহমুদুর রহমান মান্নার সঙ্গে কথা বলেছিলেন এরকম একজন কর্মকর্তা বাংলা ইনসাইডারকে থেকে নিশ্চিত করেছেন যে, মাহমুদুর রহমান মান্নার সঙ্গে সরকারের পক্ষ থেকে বা সরকারের কোন সংস্থা যোগাযোগ করেননি। বরং মান্নাই উপযাচক হয়ে তিনশ আসনে নির্বাচন করার জন্য প্রস্তাব দিয়েছিলেন এবং এজন্য তিনি তিনশ কোটি টাকার একটি বাজেটও চেয়েছিলেন। কিন্তু মাহমুদুর রহমান মান্নার এই প্রস্তাব যখন আওয়ামী লীগের নীতি নির্ধারক মহলকে দেওয়া হয় তখন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই প্রস্তাব নাকচ করে দেন। 

প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, মাহমুদুর রহমান মান্নাকে দিয়ে ভোটের রাজনীতি হবে না। তাকে এই মুহূর্তে দরকার নেই। সে যদি নির্বাচন করতে চায় তাহলে নিজ দায়িত্বে নির্বাচন করুক। আর এখানেই মাহমুদুর রহমান মান্নার অধ্যায়ের সমাপ্তি ঘটে। 

বিশ্লেষকরা বলছেন, যদি সত্যি সত্যি মাহমুদুর রহমানকে প্রস্তাব দেওয়া হত তাহলে মাহমুদুর রহমান মান্না কেন সেই সময়ে সেটি প্রকাশ করলেন না। মাহমুদুর রহমান মান্না কেন ২৮ অক্টোবরের পর ঘরে বসেছিলেন এবং তাকে নিয়ে যে গুঞ্জন হয়েছিল, সেই গুঞ্জনে জবাব তিনি দেননি। 

মূল বিষয় হলো মান্না ওই সময় সরকারের সঙ্গে গোপন আঁতাত করেছিলেন নিজ উদ্যোগে। এই সময়ে যারা যারা নির্বাচনে গেছেন বা আওয়ামী লীগে যোগদান করেছেন, তারা প্রত্যেকেই নিজ উদ্যোগে সরকারের সঙ্গে আপোষ সমঝোতা করতে চেয়েছেন। এই সময় জেনারেল ইবরাহিম নির্বাচনে যাওয়ার ঘোষণা দেন এবং ইবরাহিম এর এই ঘোষণার বিষয়টি মাহমুদুর রহমান মান্না জানতেন বলে নিশ্চিত তথ্য পাওয়া গেছে। 

মাহমুদুর রহমান মান্নাই জেনারেল ইবরাহিমকে আশ্বস্ত করেছিলেন যে, আপনি যান। আমরা পরিস্থিতি দেখি, তারপর কী করা যায়। ভাববো। মাহমুদুর রহমান মান্না হলেন সেই পঁচা বামদের একজন যিনি বারবার ভোল পাল্টিয়েছেন, মিথ্যার আশ্রয় নিয়েছেন এবং পর্দার আড়ালে থেকে অনৈতিক সুবিধা আদায় করেছেন।

আওয়ামী লীগের সঙ্গে নির্বাচনের আগে এরকম একটি অনৈতিক সুবিধা আদায়ের চেষ্টা করেই তিনি ব্যর্থ হয়েছিলেন। আর এটি বিএনপির নেতারা ভালো করেই জানেন। আর এজন্যই নির্বাচনের পর মাহমুদুর রহমান মান্নাকে বিএনপি এড়িয়ে যাচ্ছে। বিএনপিতেও এখন তাঁর আগের কদর নেই। রাজনীতিতে তিনি এখন আবর্জনা হিসেবে পরিগণিত হচ্ছেন। আর এরকম উদ্বাস্তু জীবন থেকে নিজের দাম একটু বাড়ানোর জন্যই মাহমুদুর রহমান মান্না মন্ত্রিত্বের স্টান্টবাজি করছেন বলে একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র নিশ্চিত করেছে।




মাহমুদুর রহমান মান্না  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

স্বেচ্ছা নির্বাসনে ফখরুল

প্রকাশ: ০৯:০০ পিএম, ০৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর কী স্বেচ্ছা নির্বাসনে গেলেন? গতকাল তিনি ওমরা পালন শেষে দেশে ফিরেছেন। দেশে ফেরার পরেও সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপে তাঁর কোন উৎসাহ লক্ষ্য করা যায়নি। তিনি ছিলেন প্রচন্ড বিরক্ত এবং অনুৎসাহী। বারবার সাংবাদিকদের তিনি অনুরোধ করেছিলেন তাকে ছেড়ে দেওয়ার জন্য। এরপর তিনি বাড়িতে গিয়েছেন এবং সেখানে রীতিমতো নিজেকে গৃহবন্দি করে রেখেছেন। আজ সারাদিন দলের নেতাকর্মীরা তাঁর সঙ্গে কোন যোগাযোগ করতে পারেননি। এমনকি ফোন করা হলেও তিনি ঘুমিয়ে আছেন, বিশ্রামে আছেন কিংবা পরে ফোন করুন- এরকম বক্তব্য পাওয়া গেছে। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এই নীরবতা বিএনপির মধ্যে নতুন প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে। 

সাধারণত মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বিদেশ থেকে ফেরার পর ফুরফুরে থাকেন, স্বতঃস্ফূর্ত থাকেন এবং স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে তিনি বিভিন্ন বিষয়ে নির্দেশনা প্রদান করেন। যেমন- দলকে কীভাবে পরিচালিত করতে হবে, তাঁর আন্দোলনের লক্ষ্য কী ইত্যাদি।

প্রতিবারই দেখা গেছে, বিদেশ থেকে ফেরার পরপরই তিনি পরের দিন দলীয় কার্যালয়ে অথবা চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে গেছেন নেতাকর্মীদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেছেন, সিনিয়র নেতাদের সাথে কুশল বিনিময় করেছেন। 

বিএনপির স্থায়ী কমিটির একজন সদস্য বলেছেন, অতীতে বিদেশ থেকে ফিরে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সব নেতাকে ফোন করতেন, তাদের খোঁজখবর নিতেন এবং আন্দোলন সংগ্রামের অবস্থা সম্পর্কে তথ্য হালনাগাদ করতেন। কিন্তু এবার মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ঢাকায় ফেরার পর সেই যে বাড়িতে গেছে এখন পর্যন্ত তিনি কারও সঙ্গে দেখা করেননি। আজ বিএনপির দলীয় কার্যালয়েও তাকে দেখা যায়নি। এই প্রতিবেদন যখন লেখা হচ্ছে তখন পর্যন্ত তিনি দলের চেয়ারপারসনের গুলশানের কার্যালয়ে যাননি।

তবে বিএনপির একজন শীর্ষ নেতা বলেছেন, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর আসলে শারীরিক ভাবে অসুস্থ। বিদেশ ভ্রমণের সময় তাঁর একটা ধকল গেছে। বিশেষ করে ওমরা পালনের সময় বেশ কিছু শারীরিক কাজ করতে হয়। একারণেই তিনি একটু অসুস্থ বোধ করছেন। দু একদিনের মধ্যেই তিনি আবার স্বরূপে ফিরবেন এবং রাজনীতির মাঠে তাকে দেখা যাবে। তবে বিএনপি নেতারা এমনটি মনে করছেন না। 

এর আগেও মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর যখন সিঙ্গাপুর থেকে ফিরলেন তখনও তিনি নীরবে ছিলেন এবং যে ক দিন তিনি দেশে ছিলেন সে কয়েকদিন রুটিন দু একটি কাজ ছাড়া কোন কাজেই তাকে খুব একটা উৎসাহী এবং আগ্রহী দেখা যায়নি। 

বিএনপির ঢাকা মহানগরীর একজন নেতা বলেছেন, আগের মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর যেন মরে গেছেন। এখন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে আগের মতো সপ্রতিভ উদ্যোমী দেখা যায় না। তাঁর মধ্যে উৎসাহ উদ্দীপনা একেবারেই নেই।

উল্লেখ্য, ৭ জানুয়ারি নির্বাচনের সময় কারাগারে ছিলেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। কারাগার থেকে মুক্ত হওয়ার পরপরই মির্জা ফখরুল বেগম খালেদা জিয়া এবং তারেক জিয়ার কাছে দলের মহাসচিব পদ ছাড়ার জন্য অনুরোধ করেন এবং শারীরিক অসুস্থতার জন্য তিনি এখন আর দায়িত্ব পালন করতে চান না- এমন বক্তব্য দেন। কিন্তু সেই বক্তব্য আমলে নেননি তারেক জিয়া। আর এ কারণেই নিজেকে সবকিছু থেকে গুটিয়ে নিয়েছেন এবং আস্তে আস্তে দলে নিজেকে অপ্রয়োজনীয় প্রমাণের জন্য তিনি যেন চেষ্টা করে চলছেন।

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর   বিএনপি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

রাজধানীতে সমাবেশের অনুমতি পাচ্ছে বিএনপি, তবে...

প্রকাশ: ০৮:১৬ পিএম, ০৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সুচিকিৎসাসহ নিঃশর্ত মুক্তি, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক নবী উল্লাহ নবীসহ নেতাকর্মীদের মুক্তির দাবিতে ঢাকায় সমাবেশ করার অনুমতি পাচ্ছে বিএনপি। তবে  সুনির্দিষ্ট কিছু শর্তসাপেক্ষে। 

বৃহস্পতিবার (৯ মে) সমাবেশের অনুমতি নিতে বেলা ১১টার দিকে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কার্যালয়ে ডিএমপি কমিশনারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন বিএনপির কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আবদুস সালাম এবং সদস্যসচিব রফিকুল আলম মজনু।

বৈঠক শেষে প্রতিনিধি দলের আবদুস সালাম জানান, সমাবেশের ব্যাপারে পুলিশের মনোভাব পজিটিভ। আমরা আগেই এই সমাবেশের ঘোষণা দিয়েছিলাম। তবে তাপপ্রবাহের কারণে সেটি পিছিয়ে আগামীকাল শুক্রবার (১০ মে) করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির উদ্যোগে এ সমাবেশ ও মিছিল করা হবে।

তিনি বলেন, পুলিশের সঙ্গে আমরা কথা বলেছি। তারা বলেছেন বিকেলের মধ্যে সিদ্ধান্ত জানাবেন। যেহেতু শুক্রবার ট্রাফিক সংক্রান্ত কোনো ইস্যু নেই, তাই আমরা প্রত্যাশা করছি তাদের সহযোগিতা পাবো।

বিএনপি সমাবেশের অনুমতির বিষয়ে ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) ড. খ. মহিদ উদ্দিন বলেন, ‘কোনো রাজনৈতিক দলের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে বাধা দেই না। রাজনৈতিক দলগুলো রাজনৈতিক কর্মসূচি করবে এটিই স্বাভাবিক। তবে রাজনৈতিক কর্মসূচি থেকে যেন জনদুর্ভোগ সৃষ্টি না হয় সেজন্য আমরা কিছু শর্ত আরোপ করি।’

তিনি বলেন, ‘জনদুর্ভোগ সৃষ্টি যাতে না হয় সে ব্যাপারে বিএনপিকে বলা হয়েছে। শর্ত মানলে তাদের নয়াপল্টনে সমাবেশের অনুমতি দেওয়া হতে পারে।’

বিএনপি   সমাবেশ   রাজনীতির খবর  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

উপজেলায় আরও বিভক্ত হল আওয়ামী লীগ

প্রকাশ: ০৮:০০ পিএম, ০৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

প্রথম ধাপে উপজেলা নির্বাচনের ফলাফলে দেখা গেছে আওয়ামী লীগ বনাম আওয়ামী লীগের লড়াই হয়েছে। বিভিন্ন উপজেলাগুলোতে আওয়ামী লীগের মধ্যে লড়াই করে জিতেছে। এর ফলে উপজেলা নির্বাচনের ফলাফল যাই হোক না কেন আওয়ামী লীগের মধ্যে বিভক্তি আরও তীব্র আকার ধারণ করলো বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। 

উপজেলা নির্বাচনে আত্মীয় স্বজনদের কারণে স্থানীয় পর্যায়ে অনেক ত্যাগী পরীক্ষিত নেতা পরাজিত হয়েছেন। আবার অনেক জায়গায় ত্যাগী পরীক্ষিত নেতারা বিজয়ী হয়েছেন। কিন্তু এই বিজয় বা পরাজয় আওয়ামী লীগের কোন্দল মেটাতে পারেনি। বরং অনেকেই মনে করছেন, এর ফলে আওয়ামী লীগের কোন্দল এবং বিভক্তি আরও বেড়ে যাবে। উপজেলা নির্বাচনের সবচেয়ে বড় চমক ছিল নোয়াখালীর সুবর্ণচর। সেখানে আওয়ামী লীগের পরীক্ষিত এবং জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সেলিম পরাজিত হয়েছেন একরামুল করিম চৌধুরীর পুত্র সাবাব চৌধুরীর কাছে। এটি তৃণমূলের মধ্যে একটা বড় ধরনের নাড়া দিয়েছে। এছাড়াও বিভিন্ন স্থানে দেখা গেছে যে, আওয়ামী লীগের মন্ত্রী এবং এমপিদের সমর্থিত প্রার্থীরা পরাজিত হয়েছেন। 

উপজেলা নির্বাচন গুলোর মধ্যে যেখানে যেখানে মন্ত্রী এবং এমপিদের স্বজনেরা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছে সেখানে নির্বাচন হচ্ছে উত্তেজনাপূর্ণ এবং এই উত্তেজনার কারণে স্থানীয় আওয়ামী লীগ পুরোপুরিভাবে ভেঙে পড়েছে। এমন একটা অবস্থা তৈরি হয়েছে যে, আওয়ামী লীগের সঙ্গে আওয়ামী লীগের মুখ দেখাদেখি রীতিমতো বন্ধ হয়ে গেছে। এটি আওয়ামী লীগের জন্য ভবিষ্যতে বড় ধরনের সমস্যা তৈরি করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। 

আওয়ামী লীগের একজন প্রেসিডিয়াম সদস্য স্বীকার করেছেন যে, উপজেলা নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী যে কৌশল গ্রহণ করেছিলেন, সেই কৌশল যদি বাস্তবায়িত হত তাহলে আওয়ামী লীগে বিভক্তি থাকত না। এসময় প্রধানমন্ত্রী চেয়েছিলেন মন্ত্রী-এমপিরা নির্বাচন থেকে দূরে থাকবেন। তৃণমূলের নেতারা যে যার মতো করে নির্বাচন করবেন এবং শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণ যাকে ভোট দিবে তিনি বিজয়ী হবেন। কিন্তু সমস্যা দেখা দেয় মন্ত্রী-এমপিদের ভূমিকা। মন্ত্রী-এমপিরা তাদের আত্মীয় স্বজন অথবা নিজস্ব লোককে জেতানোর জন্য শুরু থেকেই নির্বাচনে প্রভাব বিস্তার প্রভাব বিস্তার শুরু করেন। অনেক জায়গায় তারা এমন পরিস্থিতি তৈরি করেন যে আওয়ামী লীগের অন্য প্রার্থীরা নির্বাচনে প্রচারণার জন্য সুযোগ পাচ্ছিলেন না। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এই সমস্ত উপজেলাগুলোতে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে এবং ভোটার উপস্থিতি কম হয়। তারচেয়েও বড় কথা হলো এ ধরনের অবস্থান গ্রহণের ফলে আওয়ামী লীগের মধ্যে দুটি পক্ষ হয়ে গেছে এবং তারা একে অন্যের বিরুদ্ধে সাঁড়াশি আক্রমণের ঘটনাও ঘটিয়েছে কোথাও কোথাও। উপজেলা নির্বাচনের পর বেশ কয়েকটি জায়গায় সহিংসতার ঘটনাও খবর পাওয়া গেছে। এই বিভক্তি আওয়ামী লীগ কীভাবে মেটাবে সেটি হলো দেখার বিষয়।

উপজেলা নির্বাচন   আওয়ামী লীগ   দলীয় কোন্দল  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন