সিলেট সিটি করপোরেশন (সিসিক) নির্বাচনকে সামনে রেখে স্থানীয় আওয়ামী লীগ এবং বিএনপি- শীর্ষ এই দুই দলের মধ্যেই অন্যরকম আতঙ্ক বিরাজ করছে। বর্তমান মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীকে ঘিরেই এই আতঙ্ক ছড়িয়েছে বলে জানিয়েছে একাধিক সংশ্লিষ্ট সূত্র। সূত্র বলছে, ভোটযুদ্ধে নেমে প্রতিপক্ষকে সামলানোর আগেই ‘ঘরের শত্রু বিভীষণ’ চিন্তায় পতিত হয়েছেন আওয়ামী লীগ এবং বিএনপি- উভয় দলের নেতা-কর্মীরা। কেননা মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী এখনও স্পষ্ট করে নির্বাচনে অংশগ্রহণের ব্যাপারে কিছুই বলেননি।
সংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, সিলেট সিটি নির্বাচন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ সিলেটের জনপ্রিয় নেতা বদর উদ্দিন আহমদ কামরান পর পর শেষ দুটি নির্বাচনে মেয়র আরিফের কাছে পরাজিত হয়েছিলেন। এছাড়াও, রংপুর সিটি নির্বাচনে বিপুল ব্যবধানে পরাজিত হয়েছিলেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী হোসনে আরা লুৎফা ডালিয়া। তাই সিলেট সিটি নির্বাচনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতারা যেমন স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাদের পর্যবেক্ষণে রাখছেন, তেমনই বর্তমান মেয়র বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা আরিফুল হক চৌধুরীর গতিবিধিও পর্যবেক্ষণ করছেন বিএনপির হাইকমান্ড।
তবে আসছে ২০ মে জানা যাবে মেয়র অরিফুল হক চৌধুরী সিটি নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন কি না? ২০ মে স্থানীয় রেজিস্ট্রারি মাঠে সভা ডেকেছেন আরিফ। ওইদিন নির্বাচন করবেন কি না, তা পরিষ্কার করবেন তিনি। এই নিয়ে স্থানীয় রাজনৈতিক অঙ্গনে গুঞ্জন ওঠেছে, মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীই কি হচ্ছেন বিএনপির পরবর্তী ‘উকিল সাত্তার’?
আবার কেউ কেউ মনে করছেন, সম্প্রতি নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য তারেকের অনুমতি নিতে লন্ডনে গিয়েছিলেন আরিফুল। যেহেতু নির্দলীয়, নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া কোনো নির্বাচনে যাবে না বিএনপি- সেহেতু তারেকের পক্ষ থেকে আরিফুলের নির্বাচনে অংশগ্রহণের কোনো সবুজসঙ্কেত আসার কথা নয়। তবে কি সরকারের সঙ্গে কোনো গোপন সমঝোতার অপেক্ষায় রয়েছেন মেয়র অরিফুল হক চৌধুরী?
এসব বিষয়ে মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী জানান, আমি জিয়াউর রহমানের সময় থেকে বিএনপির রাজনীতি করছি। সিলেটবাসী আমাকে ভালোবেসে প্রতিকূল পরিবেশে টানা দুবার মেয়র নির্বাচিত করেছেন। নগরবাসীর চাওয়া-পাওয়ার মূল্যায়ন করা আমার দায়িত্ব। তাই ৪২টি ওয়ার্ডের জনগণ আসলে কী চান, তা জানতে চাই। ২০ মে পর্যন্ত অপেক্ষা করেন। শুধু সিটি নির্বাচন নয়, সবকিছু থেকে অবসরে চলে যেতে পারি। আবার জনগণের ভালোবাসার প্রতিদান দিতে নির্বাচনও করতে পারি।
তবে স্থানীয় বিএনপি নেতারা বলছেন, দলের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বিএনপির সব জাতীয় সংসদ-সদস্যদের সঙ্গে পদত্যাগ করলেও পরবর্তী সময়ে দলের সঙ্গে ‘বেইমানি’ করে উপনির্বাচনে প্রার্থী হয়ে বিজয়ী হন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার উকিল আব্দুস সাত্তার। দলীয় সিদ্ধান্ত না মেনে ব্যক্তিস্বার্থে সিসিক নির্বাচনে এবার কে হচ্ছেন ‘উকিল সাত্তার’, তা নিয়ে সতর্ক বিএনপি। মেয়র আরিফ রোববার পর্যন্ত নির্বাচনের ব্যাপারে কোনো সিদ্ধান্ত না নিলেও নগর বিএনপির অনেক নেতাই কাউন্সিলর নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন। যারা এক সময় নগর বিএনপির গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে ছিলেন, তারাও এই নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন। তবে মেয়র আরিফের সিদ্ধান্তের ওপর আটকে আছে এবারের সিসিক নির্বাচনের গতিপ্রকৃতি। আরিফ নির্বাচনে প্রার্থী হলেই বদলে যাবে প্রচারণার দৃশ্যপট।
অন্যদিকে টানা দুবার পরাজয়ের পর এবার হারের হ্যাটট্রিক ঠেকাতে মরিয়া ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগও। সেইসঙ্গে সিলেটের মেয়র পদ পুনরুদ্ধারে নতুন প্রার্থী দিয়েছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। এক সময়ে সিলেটের জনপ্রিয় নেতা বদর উদ্দিন আহমদ কামরান শেষ দুটি নির্বাচনে আরিফের কাছে পরাজিত হন। তাই এবার আওয়ামী লীগ নতুন প্রার্থী হিসেবে আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরীকে মনোনয়ন দিয়েছে এবং দলীয় প্রার্থীর বিজয় নিশ্চিত করতে কেন্দ্রীয় নেতারা আগের দুটি নির্বাচনে পরাজয়ের কারণগুলো খতিয়ে দেখছেন।
সূত্র জানায়, ২০১৩ সালে আরিফ বিজয়ী হন ৩৫ হাজার ভোটের ব্যবধানে। ওই নির্বাচনের আগে ঢাকায় হেফজতে ইসলামের ঘটনার প্রভাব পড়ে নির্বাচনে। ব্যক্তি কামরানকে ভালো পেলেও একাধিক ইসলামি সংগঠনের নেতা-কর্মীরা আওয়ামী লীগের বিপক্ষে ভোট দেন। যার ফায়দা লুটে নেন মেয়র আরিফ। আর সর্বশেষ ২০১৮ সালে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে ‘ঘরের শত্রু বিভীষণ’-এর শিকার হন কামরান। যার কারণে মাত্র ৬ হাজার ভোটের ব্যবধানে হেরে যান নৌকার প্রার্থী কামরান।
কামরানের ঘনিষ্ঠজনদের দাবি, ওই নির্বাচনে স্থানীয় আওয়ামী লীগ ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করলে কামরানের পরাজয় ঠেকানো যেত। দলে থাকা ‘খন্দকার মোশতাক’-এর প্রেতাত্মারা নৌকার সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে। নির্বাচনের পর বিষয়টি বুঝতে পারে দলের হাইকমান্ডও। তাই শোকজ করা হয় বেশ কয়েকজন নেতাকে।
তবে এবার যাতে এমনটি না হয়, সে ব্যাপারে সতর্ক করে দিয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক। গত বৃহস্পতিবার সিলেটে অনুষ্ঠিত কর্মীসভায় নানক বলেন, মোশতাক বাহিনীর কারণেই বিগত দিনে এই নগরীর অভিভাবক (সাবেক মেয়র) বদর উদ্দিন আহমদ কামরানকে হারতে হয়েছে। দলে খন্দকার মোশতাকের অনুসারী যেমন রয়েছে, তেমনই মুজিবাদর্শের লড়াকু এবং ত্যাগী কর্মীরাও রয়েছেন। এবার সেই সুযোগের পুনরাবৃত্তি দেখতে চায় না আওয়ামী লীগ। দলের প্রতিটি ওয়ার্ডে সভাপতি এবং সম্পাদকের ভোটকেন্দ্রগুলোয় সজাগ দৃষ্টি থাকবে আওয়ামী লীগের। ভোটকেন্দ্রের ফলাফল অনুযায়ী পুরস্কার এবং তিরস্কার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। এমন কোনো কর্মকাণ্ড করবেন না যাতে করে রংপুরের পরিণতি ভোগ করতে হয়।
স্থানীয় আওয়ামী লীগের একাধিক সূত্র জানায়, দলীয় প্রার্থীর বিজয় নিশ্চিত করতে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক সিলেট সিটি করপোরেশনকে চারটি অঞ্চলে ভাগ করে স্থানীয় শীর্ষ নেতাদের প্রচারণার দায়িত্ব দিয়ে গেছেন। প্রত্যেক অঞ্চল প্রধানকে সহযোগিতায় রয়েছেন কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতাদের নিয়ে গঠিত পৃথক টিম।
সিটি নির্বাচনের প্রচার উপকমিটির আহ্বায়ক আব্দুর রহমান জামিল বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক দলীয় প্রার্থীর নির্বাচন পরিচালনা কমিটির অধীনে আরও চারটি উপকমিটি গঠন করে দিয়েছেন। কমিটিগুলো হলো- দপ্তর উপকমিটি, প্রচার উপকমিটি, মিডিয়া উপকমিটি ও লিগ্যাল এইড উপকমিটি।
উল্লেখ্য, সিলেট সিটি নির্বাচনে রোববার (৮ মে) বিকাল ৪টা পর্যন্ত মেয়র পদে ৪ জন এবং কাউন্সিলর পদে ২৬৭ জন মনোনয়ন ফর্ম কিনেছেন। মেয়রপ্রার্থী ৩ জন স্বতন্ত্র ও কাউন্সিলর পদে ২৬৭ জনের মধ্যে ১৪টি সংরক্ষিত ওয়ার্ডে (মহিলা কাউন্সিলর) ৫৯ জন এবং ৪২টি সাধারণ ওয়ার্ডে ২০৮ জন মনোনয়ন ফর্ম নিয়েছেন। মেয়র পদে মনোনয়নপত্র ক্রয়কারীরা হলেন-মোহাম্মদ আবদুল হানিফ ওরফে কুটু, মোহাম্মদ আব্দুল মান্নান খান, সামছুন নুর তালুকদার ও হাফেজ মাওলানা মাহমুদুল হাসান (হাতপাখা)।
সিলেট সিটি নির্বাচন উকিল সাত্তার অরিফুল হক চৌধুরী
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
খালেদা জিয়া বিএনপি এভারকেয়ার হাসপাতাল তারেক জিয়া
মন্তব্য করুন
গতকাল আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠকে উপজেলা নির্বাচন প্রসঙ্গটি আলোচনাই হয়নি। আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কৌশলগত অবস্থান গ্রহণ করে কেবল সাংগঠনিক বিষয়ে আলোচনার জন্য নির্দেশনা দেন। ফলে আওয়ামী লীগের কোন নেতাই আর উপজেলা নির্বাচনের প্রসঙ্গটি আলোচনায় নিয়ে আসেনি।
আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় বৈঠকে উপস্থিত অন্তত দুজন নেতা বলেছেন যে, আগামী ২৩ জুন দলের ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী কীভাবে জাকজমকপূর্ণভাবে উদযাপন করা যায় ও ২১ থেকে ২৩ জুন পর্যন্ত তিন দিনব্যাপী অনুষ্ঠানমালা করা এবং শেষদিনে বড় সমাবেশ করার বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করা হয়। এবার আওয়ামী লীগ ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনা নিয়ে করবে। সেই প্রসঙ্গটি সামনে নিয়ে আসা হয়।
আর আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইচ্ছে করেই উপজেলা নির্বাচনের প্রসঙ্গটি আনেননি বলে ধারণা করা হচ্ছে। কিন্তু তাই বলে আওয়ামী লীগ সভাপতি যারা উপজেলা নির্বাচনে শৃঙ্খলাভঙ্গ করেছে, দলের নির্দেশনা অমান্য করে আত্মীয় স্বজনদেরকে প্রার্থী করেছেন, তাদেরকে ক্ষমা করে দিয়েছেন বলে মনে করলে ভুল হবে।
বিএনপিতে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় হটকারী ভাবে। যারা দলের সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করেছে তাদেরকে বহিষ্কার করে সবকিছু শেষ করে দেওয়া হয়। কিন্তু আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন রাজনৈতিক প্রজ্ঞায়, ধীরস্থিরভাবে, আস্তে আস্তে।
জাতীয় সংসদে একবার সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত বলেছেন যে, বাঘে ধরলেও ছাড়ে, কিন্তু শেখ হাসিনা যাকে ধরে তাকে ছাড়ে না। যারা উপজেলা নির্বাচনে দলের সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করে স্বজনদেরকে প্রার্থী করেছেন তারা দীর্ঘমেয়াদি প্রায়শ্চিত্ত ভোগ করবেন। আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে তারা শেখ হাসিনার কালো ডায়েরিতে নাম লিখিয়েছেন। শেখ হাসিনার কালো ডায়েরিতে নাম লেখালে রাজনৈতিক পরিণতি কী হয় তা অতীত অভিজ্ঞতা থেকে দেখা যায়।
এক এগারোর সময় যারা শেখ হাসিনাকে মাইনাস করতে চেয়েছিলেন সেই সমস্ত ডাকসাইটে নেতাদের কাউকেই তিনি দল থেকে বহিষ্কার করেননি। কিন্তু দলে তাদের অকার্য করেছেন, নিষ্ক্রিয় করেছেন। তাদের প্রায়শ্চিত্ত উপলব্ধি করার পথ প্রশস্ত করে দিয়েছেন। এটাই শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কৌশল।
শেখ হাসিনা এক এগারোর পর সংস্কারপন্থিদেরকে দুই ভাগে ভাগ করেছিলেন। যারা কম সংস্কারপন্থী ছিলেন, কম ষড়যন্ত্র করেছেন- তাদেরকে তিনি নির্বাচনে মনোনয়ন দিয়েছেন। প্রায়শ্চিত্ত করার সুযোগ দিয়েছেন। তাদের অনেক হেভিওয়েট নেতাকে প্রেসিডিয়াম থেকে সরিয়ে উপদেষ্টা পরিষদের আলঙ্কারিক পদ দিয়ে শাস্তি দিয়েছেন। এই শাস্তি দল থেকে বহিষ্কারের চেয়েও ভয়ঙ্কর। তিনি রাজনীতিতে নতুন করে বিদ্রোহী এবং বিশৃঙ্খলা তৈরি করার সুযোগ দেননি। বরং দলে তাদেরকে শাস্তি দিয়ে দলের ঐক্য অটুট রেখেছেন।
আর দ্বিতীয় প্রকার যারা ছিল এক এগারোর সংস্কারপন্থীর মূল হোতা তাদেরকে তিনি মনোনয়ন দেননি। মনোনয়ন না দিয়ে তাদেরকে দলে নিষ্ক্রিয় করেছেন। এদের মধ্যে অনেকে মনোনয়ন না পেয়ে আওয়ামী লীগ থেকে বেরিয়ে নতুন দল করেছে। কিন্তু রাজনীতিতে জীর্ণ শীর্ণ ভিখারীতে পরিণত হয়েছে। এটাই শেখ হাসিনার কৌশল।
কাজেই এবার যারা উপজেলা নির্বাচনে আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করেছে, তারা আসলে আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করেনি, তারা শেখ হাসিনার সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করেছে। শাস্তি তাদের পেতেই হবে। তবে তারা কবে কীভাবে পাবেন এবং দীর্ঘমেয়াদে তাদের কী হবে সেটি একটি বড় প্রশ্ন।
কারণ যারা আত্মীয়স্বজনদেরকে দলের সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে প্রার্থী করেছেন তারা অবশ্যই আওয়ামী লীগ সভাপতির কালো খাতায় নাম লিখিয়েছেন। শেখ হাসিনার কালো খাতায় নাম লেখালে কী হয় তা অতীতে অনেক নেতাই উপলব্ধি করেছেন। অনেকের রাজনৈতিক ক্যারিয়ার শেষ হয়ে গেছে।
বহিষ্কার হলে একজন রাজনৈতিক নেতা পরিত্রাণ পায়, নির্বাণ লাভ করে। তিনি নতুন সুযোগ পান অন্য কিছু করার। কিন্তু একজন রাজনৈতিক নেতা যখন দলেই উপেক্ষিত হন, অনাহূত হন, পরিত্যক্ত ঘোষিত হন- তখন তার রাজনৈতিক জীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠে। আর শেখ হাসিনার কালো খাতায় নাম লেখালে রাজনৈতিক জীবন দুর্বিষহ হতে বাধ্য।
শেখ হাসিনা আওয়ামী লীগ তৃণমূল উপজেলা নির্বাচন রাজনীতি ড. আব্দুর রাজ্জাক শাজাহান খান জাহিদ মালেক মোস্তফা কামাল
মন্তব্য করুন
এভারকেয়ার হাসপাতাল খালেদা জিয়া বিএনপি
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন