ইনসাইড পলিটিক্স

‘ডয়েচে ভেলে’র বিতর্কিত অনুষ্ঠানে কেন যান আওয়ামী লীগের নেতারা?


Thumbnail ‘ডয়েচে ভেলে’র বিতর্কিত অনুষ্ঠানে কেন যান আওয়ামী লীগের নেতারা?

সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়া তথা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সরকার বিরোধী বিভিন্ন ধরনের মিথ্যা, বানোয়াট গল্প-গুজব প্রচার, অপপ্রচার এবং সাইবার সন্ত্রাস ব্যাপক আকার ধারণ করেছে। সোশ্যাল মিডিয়া কেন্দ্রীক এসব সাইবার সন্ত্রাসীদের মধ্যে সুকৌশলে অন্যতম অবস্থানে রয়েছে জার্মানভিত্তিক সংবাদ মাধ্যম ডয়েচে ভেলে। বিশেষ করে এই সংবাদ মাধ্যমের একজন উপস্থাপক ‘খালেদ মহিউদ্দিন জানতে চায়’- শিরোনামে একটি টক-শো উপস্থাপনা করে এবং সরকার তথা আওয়ামী লীগের বিভিন্ন নেতাদের অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে আমন্ত্রণ জানিয়ে আক্রমাত্মক প্রশ্নমালা ছুড়ে দিয়ে সরকারকে বিব্রত করছেন। বর্তমান ক্ষমতাসীন সরকার এবং আওয়ামী লীগকে হেয় প্রতিপন্ন করার এজেন্ডা বাস্তবায়নের জন্যই তিনি এই অনুষ্ঠানটি করছেন বলে জানিয়েছে একাধিক সংশ্লিষ্ট সূত্র।

সূত্র বলছে, সম্প্রতি নেত্র নিউজের বরাত দিয়ে বাংলাদেশের র‌্যাবকে বিচারবহির্ভূত হত্যাকান্ডে দায়ী করে একটি তথ্যচিত্র নির্মাণ এবং তা প্রচার করে ডয়েচে ভেলে। এই তথ্যচিত্র প্রচারের পরও ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারের নেতারা কেন অংশগ্রহণ করেন ‘ডয়েচে ভেলে’র ‘খালেদ মহিউদ্দিন জানতে চায়’ অনুষ্ঠানে?- এই প্রশ্ন রাজনৈতিক মহলে ঘুরপাক খাচ্ছে। প্রশ্ন উঠেছে, শুধুই কি আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমে নিজেদের সুন্দর মুখশ্রী কেমন দেখা যায়, তা দেখানোর জন্যই সরকারকে ক্ষতিগ্রস্থ করে তারা এই অনুষ্ঠানের আলোচনায় অংশ নিচ্ছেন?    

সূত্র জানায়, বাংলাদেশের বর্তমান সরকার পরিবর্তনের এজেন্ডা বাস্তবায়ন নিয়ে কাজ করছে জার্মানভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ডয়েচে ভেলে। যে কারণেই সম্প্রতি বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর একটি সংস্থা র‌্যাব নিয়ে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড বিষয়ক একটি ভ্রান্ত তথ্যচিত্র নির্মাণ এবং প্রচার করেছে ডয়েচে ভেলে। বাংলাদেশের র‌্যাবের বিরুদ্ধে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড নিয়ে যে তথ্যচিত্রটি নির্মাণ এবং প্রচার করেছে ডয়েচে ভেলে- তার সম্পূর্ণ তথ্য-উপাত্ত এবং নির্মাণ কাজের দায়িত্ব ছিল নেত্র নিউজের কাছে। আর নেত্র নিউজের দায়িত্বে রয়েছেন তাসনিম খলিল। তাসনিম খলিল বিদেশে বসে বাংলাদেশের সরকার বিরোধী অপপ্রচারে নিযুক্ত সাইবার সন্ত্রাসীদের অন্যতম একজন ব্যক্তি। 

নেত্র নিউজের বরাত দিয়ে ওই তথ্যচিত্রটি একটি ফোন কল রেকর্ডকে কেন্দ্র করে নির্মাণ করে ডয়চে ভেলে। কিন্তু প্রশ্ন ওঠেছে, ওই ফোন কল রেকর্ডটির সত্যতা কতটুকু? জার্মানভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ডয়চে ভেলে ও সুইডেনভিত্তিক নেত্র নিউজের অনুসন্ধানী ওই তথ্যচিত্রে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন বিচারবহির্ভূত ও রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ডে জড়িত। তাদের দাবি, এই প্রথম র‌্যাবের ভেতরের দুজন বাহিনীর অভ্যন্তরীণ কর্মকাণ্ড নিয়ে কথা বলেছেন। কিন্তু প্রশ্ন ওঠেছে, র‌্যাব বাহিনীর ওই দুইজন ব্যক্তি- যারা বাহিনীর বিরুদ্ধে ওই তথ্যচিত্রে কথা বলেছেন, তারা কি প্রকৃতই ওই বাহিনীর? নাকি বানোয়াট কোনো ব্যক্তি? 

চলতি বছরের ৩ এপ্রিল ‘ডয়েচে ভেলে’ ‘অভিজাত বাহিনী র‌্যাব যেভাবে বাংলাদেশের মানুষকে ভীত সন্ত্রস্ত করে রাখে’- শীর্ষক ওই তথ্যচিত্রটি ইংরেজি এবং বাংলা ভাষায় ইউটিউব, ফেসবুকসহ অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশ করে। এছাড়া ডয়েচে ভেলের ওয়েবসাইটেওেএ নিয়ে বিস্তারিত সংবাদ প্রকাশ করা হয়। সেইসঙ্গে এই তথ্যচিত্রের ইংরেজি, জার্মান, আরবি এবং স্প্যানিশ সংস্করণ ডিডাব্লিউ টেলিভিশনেও প্রচার করা হয়। ডিডাব্লিউ রেডিওতেও এই অনুসন্ধানী তথ্যচিত্র নিয়ে আধা ঘণ্টার একটি অনুষ্ঠানও সম্প্রচার করে ডয়েচে ভেলে। 

একাধিক সংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, মূলত নেত্র নিউজ এবং ডয়েচে ভেলে একসূত্রে গাথা। বাংলাদেশের ভাবমূর্তি বাইরের দেশগুলোতে বিতর্কিত করতেই এ ধরনের অপপ্রচারে অংশ নিয়েছে নেত্র নিউজের তাসনিম খলিল এবং ডয়েচে ভেলের খালেদ মহিউদ্দিন। বিভিন্ন সময়ে বিশ্বের বিভিন্ন ধনকুবেরদের পৃষ্ঠপোষকতায় বিভিন্ন দেশের সরকার পরিবর্তনের এজেন্ডা নিয়ে কাজ করে থাকে ডয়েচে ভেলে। তারই সূত্র ধরে বাংলাদেশের সরকার পরিবর্তনের এজেন্ডা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে খালেদ মহিউদ্দিনকে বাংলাদেশ থেকে অধিক বেতন দিয়ে জার্মানিতে নেওয়া হয়েছে। যেহেতু খালেদ মহিউদ্দিন বাংলাদেশের একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলে কাজ করেছেন এবং বাংলাদেশের বিভিন্ন বিষয়ে ও বিভিন্ন ব্যক্তিদের সাথে তার ভালো জানাশোনা, তাই খালেদ মহিউদ্দিনকে এই কাজের জন্য নিযুক্ত করা হয়েছে।       

আর তাসনিম খলিল। বিদেশে বসে দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত স্বঘোষিত নাস্তিক। দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করাই তার নেশা এবং পেশা। তাই সুইডেনে বসে নিজের ‘বদ অভ্যাস’ হিসেবেই গুজব আর সাংবাদিকতাকে একত্রে গুলিয়ে ফেলেছেন তিনি। তাসনিম খলিলকে বলা হয় ‘গুজব গুরু’। আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের আগেই ২০০৭ সালে তাসনিম খলিল অপকর্মের জন্য দেশ থেকে ‘পাততাড়ি’ গুটিয়েছেন। বিলাসী জীবনের হাতছানিতে বিভোর হয়ে রাজনৈতিক আশ্রয় নিয়ে আয়েশে বসবাস করছেন সুইডেনে। এক যুগ ধরে সেখানে বসেই বিদেশি বিভিন্ন সংস্থার যোগসাজশে বাংলাদেশ বিরোধী ষড়যন্ত্র করছেন তিনি। বিদেশে বসে অনলাইনে দেশের বিভিন্ন স্পর্শকাতর বিষয়ে কূটকৌশলই তার নেশা এবং পেশা। 

তাসনিম খলিল মনে-প্রাণে জামায়াত মতাদর্শে বিশ্বাসী একজন নামসর্বস্ব সাংবাদিক। মূলত যুক্তরাষ্ট্রে পলাতক বিএনপি-জামায়াত সরকারের দুর্নীতিবাজ সাবেক কর্মকর্তা শামসুল আলমের নিয়ন্ত্রণাধীন বিএনপি-জামায়াতের ‘গুজব সেলে’র পেইড কর্মী হয়ে কাজ করছেন তিনি। তার মূল কাজ হলো, প্রোপাগান্ডা ছড়িয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করা ও সরকারবিরোধী মনোভাব তৈরিতে উসকানি দেয়া। 

২০০৭ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশের ডেইলি স্টার পত্রিকায় চাকরি করতেন তাসনিম খলিল। কিন্তু বিভিন্ন উদ্দেশ্য ও পক্ষপাতমূলক সংবাদের কারণে ডেইলি স্টার থেকে তাকে পদচ্যুত করা হয়। এছাড়াও তিনি সিএনএন-এর বাংলাদেশ প্রতিনিধি এবং হিউম্যান রাইটস ওয়াচ-এর একটি প্রকল্পে জড়িত ছিলেন। এসময় তিনি দেশের অভ্যন্তরীণ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আক্রমণাত্মক লেখা লিখতে থাকেন। সেই সময় অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, যুক্তরাষ্ট্রসহ আরও কয়েকটি দেশের কূটনীতিকদের সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে ওঠে, যাদের ব্যক্তিগত ইমেইলে ও মোবাইলে টেক্সট দিয়ে বিভিন্ন তথ্য দিতেন তিনি। পরবর্তীতে ভিনদেশিরা বিপুল পরিমাণে অর্থ সহায়তার প্রলোভন দিলে তাসনিম দেশের নানা গোপন নথি দেশবিরোধী শক্তিকে সরবরাহ করে দেন।

এদিকে ‘ডয়েচে ভেলে’র খালেদ ‘মহিউদ্দিন জানতে চায়’ অনুষ্ঠানটি বিশ্লেষণে দেখা গেছে, অনুষ্ঠানটির বিভিন্ন পর্বে অতিথি হয়ে আলোচনায় অংশ নিয়েছেনে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ড. সেলিম মাহমুদ, ড. এ আরাফাত, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন, সুভাস সিংহ রায়  প্রমুখ আওয়ামী লীগের নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিবর্গ। আওয়ামী লীগের এসব ব্যক্তিদের সুকৌশলে বিভিন্ন ধরনের অস্বস্থিকর প্রশ্ন করে তাদেরকে রীতিমত নাস্তানাবুদ করে ছেড়েছেন খালেদ মহিউদ্দিন। কিন্তু প্রশ্ন ওঠেছে, আওয়ামী লীগ এবং বর্তমান সরকার নিয়ে অপপ্রচারে লিপ্ত থাকার পরও এই সংবাদমাধ্যমের অনুষ্ঠানে কেন অংশ নিচ্ছেন আওয়ামী লীগের শীর্ষ পর্যায়ের এসব নেতৃবৃন্দ?           

সূত্র জানায়, ‘মহিউদ্দিন জানতে চায়’-এর আজকের পর্বে আলোচনায় অংশ নেওয়ার কথা রয়েছে অ্যাডভোকেট তারানা হালিমের। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে আওয়ামী লীগের চিহ্নিত এসব নেতা বা নেত্রী কেন এই অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন? বহির্বিশ্বে চেহারা দেখানোই কি তাদের মূল উদ্দেশ্য?  

আমন্ত্রিত অতিথিদের উদ্দেশ্যে  খালেদ মহিউদ্দিনের করা প্রশ্নগুলো বিশ্লেষণ করলে দেখা যাবে, তার প্রতিটি প্রশ্নই বাংলাদেশ সরকারকে কটাক্ষ করে করা, এমনকি সরকার প্রধানকে কটাক্ষ করতেও ছাড়ছেন না তিনি। এ ধরনের প্রশ্নবানে অনেক ব্যক্তিকেই নাস্তানাবুদ করে ছাড়ছেন তিনি। মূলত তার উদ্দেশ্য হচ্ছে সরকারকে যে কোনোভাবে বিতর্কিত করা। যে কারণে সরকারের বিভিন্ন স্পর্শকাতর বিষয়ই হচ্ছে তার অনুষ্ঠানের আলোচনার বিষয়বস্তু।   

এসব বিষয়ে রাজনৈতিক বিশ্লেষক প্রফেসর ড. নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ বাংলা ইনসাইডারকে বলেন, ‘খালেদ মহিউদ্দিনের অনুষ্ঠানে আমাকেও আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। নাক, নখ এবং দন্ত - এসব বিষয়ে বাংলা সার্ভিসে পারদর্শিতা অর্জন করেছেন খালেদ মহিউদ্দিন। সোশ্যাল মিডিয়ায় যারা কাজ করছেন তাদের সবার থেকে মুন্সীয়ানায় শীর্ষে তিনি। সকল ধরনের ব্যক্তিরা তার কাছে কম্পমান বলির পাঠাতে পরিণত হয়েছেন। যে কারণে তিনি অনেক জনপ্রিয় হয়ে ওঠেছেন। তিনি যে অনুষ্ঠান করছেন, আগামী নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ডে এর প্রভাব পড়বে।’

ডয়েচে ভেলে   আওয়ামী লীগ   খালেদ মহিউদ্দিন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

রাজধানীতে স্বেচ্ছাসেবক লীগের পানি ও শরবত বিতরণ

প্রকাশ: ০৯:১৮ পিএম, ০১ মে, ২০২৪


Thumbnail

তীব্র তাপদাহ বিপর্যস্থ জনজীবনে পরিশ্রান্ত ও তৃষ্ণার্ত জনসাধারণের মাঝে বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন জননেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে সংগঠনের সভাপতি গাজী মেজবাউল হোসেন সাচ্চু ও সাধারণ সম্পাদক আফজালুর রহমান বাবু'র নেতৃত্বে সুপেয় পানি, খাবার স্যালাইন ও শরবত বিতরণ করে স্বেচ্ছাসেবক লীগ।

বুধবার (১ মে) বেলা সাড়ে ১১ টায় মিরপুর ১৪ নম্বর থেকে শুরু করে বিভিন্ন স্পট ঘুরে বেলা সাড়ে তিনটায় জিগাতলায় এসে শরবত ও সুপেয় পানি বিতরণ করে স্বেচ্ছাসেবক লীগ। 

এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সহ- সভাপতি কাজী মোয়াজ্জেম হোসেন, ঢাকা মহানগর উত্তর স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি ইসহাক মিয়া, কেন্দ্রীয় গ্রন্থনা ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক কেএম মনোয়ারুল ইসলাম বিপুল, প্রতিবন্ধী উন্নয়ন বিষয়ক সম্পাদক আনোয়ার পারভেজ টিংকু, মহানগর উত্তর স্বেচ্ছাসেবক লীগ এর সহ সভাপতি শাহ আলম মিন্টু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আমজাদ হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক এ হান্নান হাওলাদার শাওন প্রমুখ।


স্বেচ্ছাসেবক লীগ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

বেগম জিয়া কি তারেকের ভুল কৌশলের শিকার?

প্রকাশ: ০৯:০০ পিএম, ০১ মে, ২০২৪


Thumbnail

আজ আবার এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে বেগম খালেদা জিয়াকে। স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য তাকে এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে বলে দলের চিকিৎসকরা জানিয়েছেন। 

কয়েক দিন পর পর হাসপাতালে যেতে হচ্ছে বেগম খালেদা জিয়াকে। তার শারীরিক অবস্থা আগের মতোই নড়বড়ে বলেই মনে করছেন বিএনপিপন্থি চিকিৎসকরা। বিএনপিপন্থি চিকিৎসকরা বলছেন, বেগম খালেদা জিয়ার যে অসুখ, সেই অসুস্থতার জন্য দীর্ঘমেয়াদি চিকিত্সা দরকার এবং সেই চিকিৎসা দেশের সম্ভব নয়। এজন্য তারা মনে করেন উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে বিদেশ নেওয়া দরকার। তবে বেগম খালেদা জিয়াকে বিদেশে নেওয়ার ব্যাপারে তারেক জিয়ার আগ্রহ নেই। বরং তারেক জিয়ার অনাগ্রহের কারণেই বেগম খালেদা জিয়ার বিদেশ যাওয়া প্রলম্বিত হচ্ছে, বিঘ্নিত হচ্ছে বলে মনে করেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। 

বিএনপি চেয়ারপারসনের বিদেশ যাওয়ার ক্ষেত্রে তিনটি উপায় রয়েছে। প্রথম উপায় হল, তিনি যদি তার অপরাধ স্বীকার করে রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করেন, তাহলে রাষ্ট্রপতি তার অপরাধের দণ্ড মওকুফ করতে পারে বা দণ্ড হ্রাস করতে পারে। সে ক্ষেত্রে তিনি একজন মুক্ত মানুষ হতে পারেন। তখন তার বিদেশে যাওয়ার ক্ষেত্রে কোন বাধা থাকবে না।

বিএনপির অধিকাংশ নেতাই এই মতের বিরোধী। তবে বেগম জিয়ার পরিবারের সদস্যরা অর্থাৎ তার ভাই এবং বোন তার জীবনের প্রয়োজনে সাধারণ ক্ষমা প্রার্থনার আবেদন করতে চান। তারা মনে করেন যে, বেগম জিয়ার এখন যে অবস্থা তাতে রাজনীতির চেয়ে তার চিকিত্সাই সবচেয়ে জরুরি। আর এই উন্নত চিকিৎসার জন্য তিনি যদি রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা প্রার্থনার আবেদন করেন তাহলে এতে দোষের কিছু নেই। কিন্তু তার তারেক জিয়া মনে করছে যদি বেগম জিয়া তার দোষ স্বীকার করে ক্ষমা চান তাহলে সেটি হবে রাজনৈতিক আত্মহত্যার সামিল। এর ফলে বিএনপির রাজনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হবে। তারেক জিয়ার ভবিষ্যৎ হবে অন্ধকার। নিজের স্বার্থে তিনি তার মায়ের উন্নত চিকিৎসার জন্য বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে বলেও মনে করছেন জিয়া পরিবারের দুই সদস্য। 

বেগম খালেদা জিয়ার বিদেশ যাওয়ার দ্বিতীয় উপায় হল আদালতের আশ্রয় নেওয়া। বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা যেরকম তা নিয়ে যদি আদালতে আবেদন করা হয়, আদালত সমস্ত কিছু বিচার বিবেচনা করে যদি রায় দেয় যে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য নির্দিষ্ট সময়ে বিদেশ যাওয়ার অনুমতি দেওয়া যেতে পারে, সেক্ষেত্রে সরকার কোন বাধা হবে না। কারণ আদালতের রায় চূড়ান্ত। এভাবে বহুবার উন্নত চিকিৎসার জন্য আদালতের রায়ে বিদেশ যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে বিভিন্ন রাজনীতিবিদদের। এটি কোন নতুন প্রক্রিয়া নয়। কিন্তু তারেক জিয়া বিএনপির আইনজীবীদেরকে এ নিয়ে আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণের জন্য বাধা দিচ্ছেন।

বিএনপি নেতারাও এই ধরনের বাধা বিস্মিত। তারা জানেন না তারেক জিয়া কেন বেগম খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বাধা দিচ্ছেন এবং তাকে আদালতের মাধ্যমে বিদেশ যাওয়ার অনুমতি নেওয়ার জন্য উৎসাহিত করছেন না। এ নিয়ে বিএনপির কারোরই কোন ব্যাখ্যা নেই। 

বিএনপির বিভিন্ন নেতাদের সঙ্গে আলাপ করে দেখা গেছে, বেগম জিয়ার আইনি প্রক্রিয়া তারেক জিয়ার নির্দেশে থমকে গেছে এবং সেই থমকে যাওয়ার কারণ অজানা। 

বিভিন্ন সূত্র বলছে, খালেদা জিয়া বন্দি অবস্থায় দেশের তিলে তিলে মৃত্যুবরণ করুক- এটিই হয়তো তারেক জিয়া চান। কারণ তারেক জিয়া যদি তার মার প্রতি ন্যূনতম ভালোবাসা দেখাতেন সে ক্ষেত্রে তিনি সরকারের সাথে সমঝোতা না করুন কিন্তু আইনি প্রক্রিয়া গ্রহণ করতে পারতেন। কিন্তু সেটি তিনি গ্রহণ না করাতে একটি বিষয় স্পষ্ট হয়েছে যে,বেগম জিয়াকে এই অবস্থায় রেখে তারেক জিয়া পূর্ণ ক্ষমতা গ্রহণ করতে চান। 

অনেকে মনে করেন যে, বেগম জিয়া যদি না থাকেন, সে ক্ষেত্রে তারেক জিয়ার একক কর্তৃত্ব চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বে। বেগম জিয়া সুস্থ হলে তারেক জিয়ার কর্তৃত্ব চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে পারে। এ কারণেই কি তিনি বেগম জিয়াকে আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে বিদেশে নিতে অনাগ্রহী? এই প্রশ্নটি এখন উঠেছে। 

বেগম জিয়ার বিদেশ যাওয়ার তৃতীয় পথ হলো সরকারের সাথে সমঝোতা। তবে সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে যে, সেটির কোন সুযোগ নেই। কারণ ইতোমধ্যে তিনি ফৌজদারি কার্যবিধির ৪০১ ধারার মাধ্যমে জামিন নিয়েছেন। একজন দণ্ডিত ব্যক্তিকে সরকারের দুটি সুবিধা দেওয়ার কোন বিধান নেই। আর বেগম জিয়ার পরিবারের সদস্যরা মনে করছেন যদি বেগম জিয়াকে রাজনীতি ছেড়ে দেওয়ার অঙ্গীকার করানো যায় এবং তিনি যদি বিএনপি সঙ্গে সকল সম্পর্ক ত্যাগ করেন তাহলে হয়তো সরকারের সাথে একটা সমঝোতা হতে পারে। কিন্তু সেটাতেও তারেক জিয়ার সায় নেই। তারেক জিয়ার কারণেই যেমন বেগম খালেদা জিয়া দুর্নীতিতে জড়িয়েছেন তারেক জিয়ার কারণেই হয়তো বেগম খালেদা জিয়ার উন্নত চিকিৎসাও বাঁধাগ্রস্ত হচ্ছে।




খালেদা জিয়া   বিএনপি   এভারকেয়ার হাসপাতাল   তারেক জিয়া  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

শেখ হাসিনার কালো খাতায় নাম লেখালে কী হয়?

প্রকাশ: ০৮:০০ পিএম, ০১ মে, ২০২৪


Thumbnail

গতকাল আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠকে উপজেলা নির্বাচন প্রসঙ্গটি আলোচনাই হয়নি। আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কৌশলগত অবস্থান গ্রহণ করে কেবল সাংগঠনিক বিষয়ে আলোচনার জন্য নির্দেশনা দেন। ফলে আওয়ামী লীগের কোন নেতাই আর উপজেলা নির্বাচনের প্রসঙ্গটি আলোচনায় নিয়ে আসেনি।

আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় বৈঠকে উপস্থিত অন্তত দুজন নেতা বলেছেন যে, আগামী ২৩ জুন দলের ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী কীভাবে জাকজমকপূর্ণভাবে উদযাপন করা যায় ও ২১ থেকে ২৩ জুন পর্যন্ত তিন দিনব্যাপী অনুষ্ঠানমালা করা এবং শেষদিনে বড় সমাবেশ করার বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করা হয়। এবার আওয়ামী লীগ ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনা নিয়ে করবে। সেই প্রসঙ্গটি সামনে নিয়ে আসা হয়।

আর আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইচ্ছে করেই উপজেলা নির্বাচনের প্রসঙ্গটি আনেননি বলে ধারণা করা হচ্ছে। কিন্তু তাই বলে আওয়ামী লীগ সভাপতি যারা উপজেলা নির্বাচনে শৃঙ্খলাভঙ্গ করেছে, দলের নির্দেশনা অমান্য করে আত্মীয় স্বজনদেরকে প্রার্থী করেছেন, তাদেরকে ক্ষমা করে দিয়েছেন বলে মনে করলে ভুল হবে।

বিএনপিতে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় হটকারী ভাবে। যারা দলের সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করেছে তাদেরকে বহিষ্কার করে সবকিছু শেষ করে দেওয়া হয়। কিন্তু আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন রাজনৈতিক প্রজ্ঞায়, ধীরস্থিরভাবে, আস্তে আস্তে।

জাতীয় সংসদে একবার সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত বলেছেন যে, বাঘে ধরলেও ছাড়ে, কিন্তু শেখ হাসিনা যাকে ধরে তাকে ছাড়ে না। যারা উপজেলা নির্বাচনে দলের সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করে স্বজনদেরকে প্রার্থী করেছেন তারা দীর্ঘমেয়াদি প্রায়শ্চিত্ত ভোগ করবেন। আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে তারা শেখ হাসিনার কালো ডায়েরিতে নাম লিখিয়েছেন। শেখ হাসিনার কালো ডায়েরিতে নাম লেখালে রাজনৈতিক পরিণতি কী হয় তা অতীত অভিজ্ঞতা থেকে দেখা যায়।

এক এগারোর সময় যারা শেখ হাসিনাকে মাইনাস করতে চেয়েছিলেন সেই সমস্ত ডাকসাইটে নেতাদের কাউকেই তিনি দল থেকে বহিষ্কার করেননি। কিন্তু দলে তাদের অকার্য করেছেন, নিষ্ক্রিয় করেছেন। তাদের প্রায়শ্চিত্ত উপলব্ধি করার পথ প্রশস্ত করে দিয়েছেন। এটাই শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কৌশল।

শেখ হাসিনা এক এগারোর পর সংস্কারপন্থিদেরকে দুই ভাগে ভাগ করেছিলেন। যারা কম সংস্কারপন্থী ছিলেন, কম ষড়যন্ত্র করেছেন- তাদেরকে তিনি নির্বাচনে মনোনয়ন দিয়েছেন। প্রায়শ্চিত্ত করার সুযোগ দিয়েছেন। তাদের অনেক হেভিওয়েট নেতাকে প্রেসিডিয়াম থেকে সরিয়ে উপদেষ্টা পরিষদের আলঙ্কারিক পদ দিয়ে শাস্তি দিয়েছেন। এই শাস্তি দল থেকে বহিষ্কারের চেয়েও ভয়ঙ্কর। তিনি রাজনীতিতে নতুন করে বিদ্রোহী এবং বিশৃঙ্খলা তৈরি করার সুযোগ দেননি। বরং দলে তাদেরকে শাস্তি দিয়ে দলের ঐক্য অটুট রেখেছেন।

আর দ্বিতীয় প্রকার যারা ছিল এক এগারোর সংস্কারপন্থীর মূল হোতা তাদেরকে তিনি মনোনয়ন দেননি। মনোনয়ন না দিয়ে তাদেরকে দলে নিষ্ক্রিয় করেছেন। এদের মধ্যে অনেকে মনোনয়ন না পেয়ে আওয়ামী লীগ থেকে বেরিয়ে নতুন দল করেছে। কিন্তু রাজনীতিতে জীর্ণ শীর্ণ ভিখারীতে পরিণত হয়েছে। এটাই শেখ হাসিনার কৌশল।

কাজেই এবার যারা উপজেলা নির্বাচনে আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করেছে, তারা আসলে আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করেনি, তারা শেখ হাসিনার সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করেছে। শাস্তি তাদের পেতেই হবে। তবে তারা কবে কীভাবে পাবেন এবং দীর্ঘমেয়াদে তাদের কী হবে সেটি একটি বড় প্রশ্ন।

কারণ যারা আত্মীয়স্বজনদেরকে দলের সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে প্রার্থী করেছেন তারা অবশ্যই আওয়ামী লীগ সভাপতির কালো খাতায় নাম লিখিয়েছেন। শেখ হাসিনার কালো খাতায় নাম লেখালে কী হয় তা অতীতে অনেক নেতাই উপলব্ধি করেছেন। অনেকের রাজনৈতিক ক্যারিয়ার শেষ হয়ে গেছে।

বহিষ্কার হলে একজন রাজনৈতিক নেতা পরিত্রাণ পায়, নির্বাণ লাভ করে। তিনি নতুন সুযোগ পান অন্য কিছু করার। কিন্তু একজন রাজনৈতিক নেতা যখন দলেই উপেক্ষিত হন, অনাহূত হন, পরিত্যক্ত ঘোষিত হন- তখন তার রাজনৈতিক জীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠে। আর শেখ হাসিনার কালো খাতায় নাম লেখালে রাজনৈতিক জীবন দুর্বিষহ হতে বাধ্য।


শেখ   হাসিনা   আওয়ামী লীগ   তৃণমূল   উপজেলা নির্বাচন   রাজনীতি   ড. আব্দুর রাজ্জাক   শাজাহান খান   জাহিদ মালেক   মোস্তফা কামাল  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

এভারকেয়ার হাসপাতালে খালেদা জিয়া

প্রকাশ: ০৭:৩৮ পিএম, ০১ মে, ২০২৪


Thumbnail

জরুরি স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে গেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া।

বুধবার (১ মে) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় গুলশানের বাসভবন ফিরোজা থেকে রওনা হয়ে ৭টা ৫ মিনিটে তিনি হাসপাতালে পৌঁছান।

খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক জাহিদ হোসেন বলেন, ম্যাডামের অবস্থা আগের মতই। তিনি চিকিৎসকদের নিবিড় পর্যবেক্ষণে চিকিৎসা নিচ্ছেন। চিকিৎসকরা কিছু পরীক্ষা দিয়েছেন সেটা করাতে নিয়মিত চেকআপের অংশ হিসেবে উনাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।

সর্বশেষ গত ৩১ মার্চ খালেদা জিয়াকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। সেখানে ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) রেখে তাকে চিকিৎসা দেওয়া হয়। ওই দফায় তিনদিন হাসপাতাল থাকার পর গুলাশানের বাসায় ফেরেন তিনি।

দুর্নীতির দুই মামলায় দণ্ডিত সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে নিজের বাসায় থেকে চিকিৎসা নেওয়া এবং দেশের বাইরে না যাওয়ার শর্তে ২০২০ সালের মার্চে সরকারের নির্বাহী আদেশে সাময়িক মুক্তি দেওয়া হয়।

৭৯ বয়সী এই রাজনীতিবিদ লিভার সিরোসিস, আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, হৃদরোগ, কিডনি ও ফুসফুস জটিলতাসহ নানা রোগে ভুগছেন। গত কয়েক বছর ধরে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে একটি মেডিকেল বোর্ডের অধীনে তার চিকিৎসা চলছে।

এভারকেয়ার হাসপাতাল   খালেদা জিয়া   বিএনপি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

আরও ৬৬ জনকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত বিএনপির

প্রকাশ: ০৭:২১ পিএম, ০১ মে, ২০২৪


Thumbnail

দলের সিদ্ধান্ত অমান্য করে উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় এবার একযোগে ৬৬ জন নেতাকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএনপি। দু–এক দিনের মধ্যেই তাদের দল থেকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেওয়া হবে। বিএনপির একাধিক কেন্দ্রীয় নেতা গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানিয়েছেন।

জানা গেছে, উপজেলা নির্বাচনে অংশ না নিতে দল থেকে নির্দেশনার পরও এ সব নেতারা প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেননি। একই কারণে সম্প্রতি তৃণমূলের ৭৫ জন নেতাকে বহিষ্কার করেছে বিএনপি। দুই ধাপে বিএনপির নেতাদের বহিষ্কারের সংখ্যা দাঁড়াচ্ছে ১৪১।

জানা গেছে, দ্বিতীয় দফায় বহিষ্কারের তালিকায় থাকা ৬৬ জনের মধ্যে উপজেলা চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হয়েছেন ২৯ জন। ২০ জন নেতা হয়েছেন ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী; আর মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী ১৭ জন। এর বাইরে দ্বিতীয় ধাপে প্রার্থী হওয়া নেতাদের মধ্যে চেয়ারম্যান পদে ৬ জন ও ভাইস চেয়ারম্যান পদের ২ জন প্রার্থী নিজেদের প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নিয়েছেন।

নির্বাচন কমিশনের তফসিল অনুযায়ী, এবার কমবেশি ৪৮০ উপজেলা পরিষদে চার ধাপে ভোট হবে। প্রথম ধাপে ভোট হবে ৮ মে। এরপর ২১ মে দ্বিতীয় ধাপে, ২৯ মে তৃতীয় ও ৫ জুন চতুর্থ ধাপের নির্বাচন হবে। ইতিমধ্যে সব ধাপের নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়েছে।

বহিষ্কার   বিএনপি  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন