ঘূর্ণিঝড় মোখায় জনগণের পাশে থেকে সব ধরনের সহযোগিতা করার জন্য দলের নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম পীর সাহেব চরমোনাই। তিনি দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, বিপদে-আপদে ধৈর্য না হারিয়ে মহান রাব্বুল আলামিনের উপর ভরসা রেখে সকলকে সতর্ক থেকে বিপদ থেকে রক্ষার অনুরোধ করেন। সেইসাথে বেশি বেশি তওবা ইস্তেগফার করারও আহ্বান জানান। তিনি কোরআনের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন, জলে-স্থলে যত বিপর্যয় তা মানুষের অর্জনকৃত। এজন্য তিনি সকলকে গুনাহের কাজ ছেড়ে পরিশুদ্ধ জীবনে ফিরে আসার আহ্বান জানান।
রোববার ( ১৪ মে) বরিশালে বিভিন্ন শ্রেণি ও পেশার মানুষের ইসলামী আন্দোলনে যোগদান অনুষ্ঠানে তিনি এ আহ্বান জানান।
পীর সাহেব চরমোনাই বলেন, ‘প্রবল ঘূর্ণিঝড় মোখা ধেয়ে আসছে। উপকূলীয় অঞ্চলগুলোতে ঘূর্ণিঝড় প্রবল বেগে আঘাত হানতে শুরু করেছে। ইতোমধ্যে ঝড়ের পূর্বে যে ঘটনা ঘটে সেগুলো শুরু হয়ে গেছে। বিকাল থেকে হয়তো বড় আঘাতটা আসতে পারে। তিনি বলেন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ও এর সকল সহযোগী সংগঠনের স্বেচ্ছাসেবক এই প্রাকৃতিক দুর্যোগে জনগণের পাশে থাকবে এবং সব রকমের সহযোগিতার জন্য তারা প্রস্তুত রয়েছে। আমরা আশা করি, জনগণও এই দুর্যোগে সাহস না হারিয়ে বিপদ কাটিয়ে উঠার চেষ্টা করবে।
পীর সাহেব চরমোনাই বলেন, সরকারকেও বিপদগ্রস্ত জনগণের পাশে থাকার আহ্বান জানাচ্ছি এবং সার্বিক সহযোগিতার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে যথাযথ পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।
বরিশালে বিভিন্ন শ্রেণি ও পেশার মানুষের ইসলামী আন্দোলনে যোগদান
বরিশালে বিভিন্ন শ্রেণি ও পেশার মানুষের ইসলামী আন্দোলনে যোগদান অনুষ্ঠানে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র নায়েবে আমীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীম শায়খে চরমোনাই বলেছেন, ‘ইসলাম বিজয় হলে এদেশের মানুষের বিজয় হবে। মানুষ অধিকার বঞ্চিত। নাগরিক ও ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত। নিত্যমূল্যের উর্ধ্বগতির কষাঘাতে মানুষের জীবন দুর্বিষহ হয়ে ওঠছে। ইসলামকে বিজয় করা গেলে মানুষ সবদিক থেকে অধিকার ফিরে পাবে। সুখে শান্তিতে বসবাস করতে পারবে।’
রোববার বরিশাল নগরীর ১০ নং ওয়ার্ডের বিভিন্ন শ্রেণি ও পেশার একদল যুবক দলের নায়েবে আমীর শায়েখে চরমোনাইকে ফুলের তোড়া উপহার দিয়ে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এ যোগদান করেছেন। এ সময় বরিশাল মহানগর নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
নায়েবে আমীর বলেন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এদেশবাসীর আশা-আকাঙ্খার ঠিকানা। যে সকল যুব সমাজ আজকের যোগদান অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছেন তারা সবচেয়ে ভাল সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। আদর্শবান যুবকরা জাগলে ইসলাম জাগবে, ইসলামী অনুশাসন প্রতিষ্ঠা হবে। ইনশাআল্লাহ। তিনি সকলকে আন্তরিক অভিনন্দন ও মুবারকবাদ জানান।
মুফতী রেজাউল করীম পীর সাহেব চরমোনাই ঘূর্ণিঝড়
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগ মোহাম্মদ সাঈদ খোকন ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের রুহুল কবির রিজভী
মন্তব্য করুন
নাশকতার অভিযোগে রাজধানীর পল্টন থানায় দায়ের করা মামলায় বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক কমিটির সদস্য ও ঢাকা মহানগর বিএনপির সিনিয়র সদস্য ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেনকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।
রোববার (১৯ মে) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ আস-সামছ জগলুল হোসেন এ আদেশ দেন।
এ মামলায় উচ্চ আদালত থেকে জামিনে ছিলেন ইশরাক। আজ আদালতে হাজির হয়ে আইনজীবীর মাধ্যমে জামিন বর্ধিত করার আবেদন করেন তিনি। শুনানি শেষে আদালত তার জামিন বাড়ানোর আবেদন বাতিল করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
সংশ্লিষ্ট আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর তাপস কুমার পাল বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।
নাশকতা মামলা বিএনপি ইশরাক হোসেন
মন্তব্য করুন
‘ব্যাংকে সাংবাদিক ঢুকবে কেন’-আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের এমন বক্তব্যের সমালোচনা করেছেন রুহুল কবির রিজভী। বিএনপির এই সিনিয়র নেতা বলেছেন, ব্যাংকে সাংবাদিক ঢুকবে না, তাহলে কী মাফিয়া, মাস্তান, ঋণ খেলাপিরা ঢুকবে?
রোববার (১৯ মে) রাজধানীর নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আর্থিক সহায়তা প্রদান অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের কাছে তিনি এ প্রশ্ন রাখেন। এসময় গত ১৮ এপ্রিল সন্ধ্যায় মধুখালী উপজেলার ডুমাইন ইউনিয়নের পঞ্চপল্লী গ্রামের কালী মন্দিরে আগুনের ঘটনায় হামলায় নিহত ২ নির্মাণশ্রমিকের পরিবারকে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান পক্ষ থেকে সহায়তা প্রদান করা হয়।
রিজভী আরও বলেন, যারা ব্যাংকের টাকা লুটপাট করে সম্পদের মালিক হয়েছেন, দেশের বাইরে বাড়ি করেছেন তাদের কথা সাংবাদিকরা যেন না জানতে পারেন তার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিকদের ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না।
‘ব্যাংক মাফিয়া মাস্তান ঋণখেলাপি
মন্তব্য করুন
সংসদে বিরোধী দলীয় নেতা ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের বলেছেন, দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা ভয়াবহ। সামনের সংকট আরো প্রকট আকার ধারণ করতে পারে। সে জন্যই সাংবাদিকদের বাংলাদেশ ব্যাংকে প্রবেশাধিকার নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এটা সরকারের একটা গণবিরোধী সিদ্ধান্ত এবং যা অবিলম্বে প্রত্যাহার করা উচিত।
রোববার (১৯ মে) দুপুরে রংপুর সার্কিট হাউজে এসে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় কালে তিনি এসব কথা বলেন।
এর আগে দুপুরে জিএম কাদের ঢাকা থেকে বিমানযোগে সৈয়দপুর বিমান বন্দরে যান। সেখান থেকে সরাসরি রংপুর সার্কিট হাউজে পৌঁছান। সেখানে জেলা প্রশাসক মোবাস্বের হাসান, পুলিশ সুপার ফেরদৌস আলম চৌধুরী, মহানগর জাপার সাধারণ সম্পাদক এস এম ইয়াসির, জেলা সভাপতি আলাউদ্দিন মিয়াসহ প্রশাসনের ও পার্টির নেতাকর্মীরা তাকে ফুল দিয়ে স্বাগত জানান।
পরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে জিএম কাদের বলেন, সামনে অর্থনৈতিক সংকটের কারণে ভয়াবহ অবস্থার সৃষ্টি হতে পারে। দেশের রিজার্ভ এখন ১৩ বিলিয়ন ডলারের নিচে নেমে এসেছে, যা এ যাবৎ কালের সর্বনিম্ন।
তিনি আরও বলেন, সরকার যতই রির্জাভের কথা বলুক আসলে ১০ বিলিয়ন ডলারই আছে বলে আমার মনে হয় না। এসব আমাদের জন্য অশুভ সংকেত। দেশে টাকা নেই প্রতিদিন রিজার্ভ কমে যাচ্ছে। দেশে বিনিয়োগ আসছে না। যে অর্থ আসে তা বিদেশে চলে যাচ্ছে। ফলে ডলারের এবং দেশীয় টাকার চরম অবমূল্যায়ন হচ্ছে। দিন দিন টাকার ভ্যালু কমে যাচ্ছে।
জিএম কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ অনেক বড় বড় কথা বলে। দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরকে আমি রেসপেক্ট করি। কিন্তু তিনি যেসব কথা বলছেন এটা জনগণ আর বিশ্বাস করে না। আওয়ামী লীগ আগে জনগণকে ধারণ করলেও এখন তারা জনগণের ঘাড়ে চেপে বসেছে। আগে আওয়ামী লীগ একটা গাছের মতো ছিল। জনগণ যেখানে বিশ্রাম নিতো। এখন সেটা পরগাছা হয়ে গেছে। তারা দেশের জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।
মন্তব্য করুন
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর থেকে আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরীণ কোন্দল এবং একে অন্যের বিরুদ্ধে কাদা ছোড়াছুড়ি যেন কিছুতেই থামানো যাচ্ছে না। নির্বাচন পরবর্তী কোন্দল বন্ধে বিভিন্ন রকম উদ্যোগও ব্যবস্থা গ্রহণ করছে আওয়ামী লীগ। দলের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজেই একাধিক বার দলীয় কোন্দল বন্ধের জন্য তাগাদা দিয়েছেন। কিন্তু কোন কিছুতেই কাজ হচ্ছে না। বরং আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরীণ কোন্দল নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে। সাংগঠনিক অবস্থা রীতিমতো ভেঙে পড়েছে। এই কোন্দল এখন এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে আওয়ামী লীগ সরকারের উন্নয়ন বা অর্জন প্রশ্নবিদ্ধ করছেন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরাই। দলের এই কোন্দল এতদিন তৃণমূল পর্যায় থাকলেও সেটি এখন কেন্দ্রীয় নেতৃত্বেও শুরু হয়েছে।