গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে দলের সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে কাউন্সিলর পদে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করায় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) ২৯ নেতার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। মঙ্গলবার রাতে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব এ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
দলীয় সূত্র জানায়, দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ করে নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার জন্য কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়। তবে সন্তোষজনক জবাব না দিয়ে বরং নির্বাচনী প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জড়িয়েছেন। দলীয় গঠনতন্ত্র মোতাবেক নির্বাচনে অংশ নেওয়া ২৯ জনকে দল থেকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে।
বহিষ্কৃত নেতারা হলেন -সদর মেট্রো থানা যুবদলের আহ্বায়ক হাসান আজমল ভূঁইয়া (২৮ নং ওয়ার্ড), সদর মেট্রো থানা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক হান্নান মিয়া হান্নু (২৬ নং ওয়ার্ড), বাসন মেট্রো থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোছলেম উদ্দিন মুসা চৌধুরী (১৭ নং ওয়ার্ড), টঙ্গী পূর্ব থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সফিউদ্দিন আহম্মেদ (৩৭ নং ওয়ার্ড)।
গাজীপুর মহানগর শ্রমিকদলের আহ্বায়ক ফয়সাল সরকার (১৭ নং ওয়ার্ড), বাইল মেট্রো থানা বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট নজরুল ইসলাম বিকি (৪০ নং ওয়ার্ড), পূবাইল মেট্রো থানা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক সুলতান উদ্দিন চেয়ারম্যান (৪২ নং ওয়ার্ড), সদর মেট্রো থানা বিএনপির সভাপতি মজিবর সরকার (২৫ নং ওয়ার্ড), সদর মেট্রো থানা বিএনপির সদস্য মাহবুবুর রশিদ খান শিপু (২৪ নং ওয়ার্ড)। সদর মেট্রো থানা বিএনপির সদস্য সবদের আহাম্মদ (২২ নং ওয়ার্ড), সদর মেট্রো থানা বিএনপির সদস্য খায়রুল আলম (২৯ নং ওয়ার্ড), সদর মেট্রো থানা বিএনপির সদস্য জি এস মনির (২৯ নং ওয়ার্ড), সদর মেট্রো থানা বিএনপির সদস্য শহীদ (২১ নং ওয়ার্ড),
সদর মেট্রো থানা বিএনপির সদস্য মো. তানভির আহমেদ (১৯ নং ওয়ার্ড), সদর মেট্রো থানা বিএনপির সদস্য শাহিন আলম (১৯ নং ওয়ার্ড), সদর মেট্রো থানা বিএনপির সদস্য আনোয়ার সরকার (৩০ নং ওয়ার্ড)। সদর মেট্রো থানা বিএনপির সদস্য রফিকুল ইসলাম রাতা,(১৬ নং ওয়ার্ড), গাজীপুর মহানগর বিএনপির সদস্য আবুল হাশেম (৫৫ নং ওয়ার্ড), টঙ্গী পশ্চিম থানা বিএনপির সদস্য সেলিম হোসেন (৫৫ নং ওয়ার্ড),
গাজীপুর মহানগর বিএনপির সাবেক সদস্য মো. ফারুক হোসেন খান (৩৫ নং ওয়ার্ড)। গাজীপুর মহানগর মহিলা দলের সিনিয়র সহ-সভাপতি খন্দকার নুরুন্নাহার (২৫,২৬ ও ২৭ নং ওয়ার্ড), গাজীপুর মহানগর মহিলা দলের সহ-সভাপতি কেয়া শারমিন (৫২,৫৩ ও ৫৪ নং ওয়ার্ড), গাজীপুর মহানগর মহিলা দলের সদস্য ফিরোজা বেগম (৪৬,৪৭ ও ৪৮ নং ওয়ার্ড), টঙ্গী পূর্ব থানা মহিলা দলের সিনিয়র সহ-সভাপতি হাসিনা মমতাজ (৪৬,৪৭ ও ৪৮ নং ওয়ার্ড)। ১১ নং ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট আলম (১১ নং ওয়ার্ড),
৩৭ নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি আউয়াল সরকার (৩৭ নং ওয়ার্ড), গাছা থানা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সম্পাদক মাহফুজুর রহমান (৩৪ নং ওয়ার্ড)। ৪৯ নং ওয়ার্ড বিএনপির যুব বিষয়ক সম্পাদক মোবারক হোসেন মিলন (৪৯ নং ওয়ার্ড) এবং টঙ্গী পশ্চিম থানা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক ইঞ্জিনিয়ার মনিরুজ্জামান (৫১ নং ওয়ার্ড)।
এদিকে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন আগামী ২৫ মে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।
গাজীপুর সিটি নির্বাচন বিএনপি বহিষ্কার
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচনে যে সমস্ত বিএনপি নেতারা প্রার্থী হয়েছেন, সেই সমস্ত প্রার্থীদেরকে ইতোমধ্যে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে যে, তারা যদি মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেন তাহলে তাদেরকে দলে ফিরিয়ে আনা হবে। কিন্তু মজার ব্যাপার হল যে, বিএনপিতে বহিষ্কৃত এই সমস্ত উপজেলা নির্বাচনের প্রার্থীদের পক্ষে কাজ করছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা।
কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে উপজেলা নির্বাচনের প্রার্থীদের যোগাযোগ হচ্ছে। একাধিক কেন্দ্রীয় নেতা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে উপজেলা নির্বাচনে তাদের প্রার্থীর পক্ষে কাজ করার জন্য নেতাকর্মীদের নির্দেশ দিয়েছেন। অনেকেই উপজেলা নির্বাচনে যারা প্রার্থী হয়েছেন তাদের পক্ষে কাজ করার জন্য কর্মীদেরকে টেলিফোনেও বার্তা দিচ্ছেন। ফলে উপজেলা নির্বাচন নিয়ে বিএনপির মধ্যে একটি স্ববিরোধী অবস্থান লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
উল্লেখ্য যে, বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল যে, উপজেলা নির্বাচনে বিএনপি অংশগ্রহণ করবে না। ওই বৈঠকেই আরও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় যে, যারা উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে তাদেরকে দল থেকে আজীবন বহিষ্কার করা হবে এবং সেই ধারাবাহিকতায় ৭৩ জন বিএনপি নেতাকে বহিষ্কার করা হয়েছিল উপজেলা নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার জন্য। কিন্তু বিএনপির অধিকাংশ তৃণমূলের নেতা যারা উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন তারা শেষ পর্যন্ত মনোনয়ন প্রত্যাহার করেননি।
প্রথম ধাপে ধাপে বিএনপির ৬৭ জন উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছিলেন। তাদের মধ্যে মাত্র আটজন মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন। এখনও ৫৯ জন বিএনপির প্রার্থী ১৫০টি উপজেলার নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছে। যে সমস্ত প্রার্থীরা উপজেলা নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করেছেন তাদের এলাকার কেন্দ্রীয় নেতারা সাবেক এমপি বা বিএনপির গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা ওই সমস্ত উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থীর বিরুদ্ধে প্রার্থীর পক্ষে কাজ করছেন এবং তাদের জন্য ভিন্ন কৌশলে প্রচারণা চালাচ্ছেন।
প্রচারণার ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় নেতারা অত্যন্ত সতর্কতা অবলম্বন করছেন। উপজেলা নির্বাচনে যারা প্রার্থী হয়েছেন তারা দলের স্থানীয় পর্যায়ের কর্মীদেরকে একত্রিত করছেন কর্মীসভার আদলে এবং সেই কর্মীসভায় বিএনপির সিনিয়র নেতৃবৃন্দ উপস্থিত হচ্ছেন। তারা বক্তব্য রাখছেন এবং শুধু বক্তব্য রেখেই ক্ষান্ত হননি, তারা উপজেলায় স্বতন্ত্র ওই প্রার্থীর পক্ষে কাজ করার জন্য নেতাকর্মীদেরকে আহ্বান জানাচ্ছেন। তারা দলের ঐক্য বজায় রাখার জন্য নির্দেশনা দিচ্ছেন এবং ঐক্যবদ্ধভাবে আওয়ামী লীগকে মোকাবিলার জন্য বার্তা দিচ্ছেন।
উপজেলা নির্বাচনে আওয়ামী লীগ দলগতভাবে অংশ গ্রহণ করছে না। সেখানে তাদের একাধিক প্রার্থী রয়েছে। প্রায় অধিকাংশ উপজেলা আওয়ামী লীগের গড়ে তিন জন করে প্রার্থী রয়েছে। এরকম বাস্তবতায় বিএনপির যারা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছেন, তারা মনে করছেন যে, এটি তাদের জন্য একটি অনবদ্য সুযোগ। কারণ এর ফলে উপজেলাগুলোতে আওয়ামী লীগের কোন্দলের ফসল তারা ঘরে তুলতে পারবে। আর এ কারণেই উপজেলা নির্বাচনের ব্যাপারে লন্ডনে পলাতক বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়ার সিদ্ধান্ত অনেকে মানছেন না। আর বাস্তবতা অনুধাবন করে যারা এলাকার এমপি তারাও উপজেলায় একটা ভিত্তি রাখার জন্য বিদ্রোহী প্রার্থীদেরকে সমর্থন করছেন।
বিএনপি আওয়ামী লীগ উপজেলা নির্বাচন মির্জা ফখরুল ড. মঈন খান নজরুল ইসলাম খান
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগ কার্যনির্বাহী কমিটি উপজেলা নির্বাচন শেখ হাসিনা
মন্তব্য করুন
সারাদেশে বিভিন্ন মামলায় গ্রেফতার নেতাকর্মীদের মুক্তির দাবিতে
নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ মিছিল করেছে বিএনপি। তবে অনুমতি না
থাকায় পুলিশের বাধার মুখে পড়তে হয় মিছিলটিকে।
পরে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে দলটির নেতারা
অভিযোগ করে বলেন, সরকার বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলোকে গণতান্ত্রিক কর্মসূচিতে বাধা দিচ্ছে।
রোববার (২৮ এপ্রিল) সকাল ১১টার পরে রাজধানীর বিভিন্ন ওয়ার্ড ও ইউনিটের
নেতাকর্মীরা জড় হন নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে। দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব
রুহুল কবীর রিজভীর নেতৃত্বে বিএনপি নেতাকর্মীরা মিছিল বের করেন৷
বিএনপি নেতাদের অভিযোগ, সরকারের নির্দেশেই পুলিশ বারবার বিএনপির কর্মসূচিতে বাধা দিচ্ছে। বিরোধী দল দমন করে ক্ষমতাসীনরা একদলীয় শাসন কায়েম করার অপচেষ্টা করছেন বলে অভিযোগ করেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী।
তিনি বলেন, সরকারের নির্দেশে পুলিশ বারবার বিএনপির মিছিলে বাধা
দিচ্ছে, বিরোধী দলের গণতান্ত্রিক কর্মসূচি পণ্ড করছে। দুর্নীতি দমন, আর জনকল্যাণ রেখে
ক্ষমতাসীনরা বিরোধী দলকে দমনে ব্যস্ত।
তিনি আরও বলেন, যত প্রতিকূল পরিবেশ হোক না কেন, আওয়ামী লীগকে বিদায় না করা পর্যন্ত রাজপথে বিএনপির কর্মসূচি চলবে। একদলীয় শাসন কায়েম করতেই বেগম জিয়াকে গৃহবন্দি করে রেখেছে সরকার।
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচনে যে সমস্ত বিএনপি নেতারা প্রার্থী হয়েছেন, সেই সমস্ত প্রার্থীদেরকে ইতোমধ্যে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে যে, তারা যদি মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেন তাহলে তাদেরকে দলে ফিরিয়ে আনা হবে। কিন্তু মজার ব্যাপার হল যে, বিএনপিতে বহিষ্কৃত এই সমস্ত উপজেলা নির্বাচনের প্রার্থীদের পক্ষে কাজ করছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা।
আগামী ৩০ এপ্রিল আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হচ্ছে। উপজেলা নির্বাচনে মন্ত্রী-এমপিদের অবাধ্যতা, দলের শৃঙ্খলা ভঙ্গ এবং উপজেলা নির্বাচনে প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা ইত্যাদি নিয়ে এই বৈঠকের দিকে তাকিয়ে আছে সারা দেশে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। আওয়ামী লীগ সভাপতি কী অবস্থান গ্রহণ করেন এবং কীভাবে তিনি বিদ্রোহীদের মোকাবেলা করেন সেটির দিকে তাকিয়ে আছে তৃণমূলের আওয়ামী লীগ।