শিল্পপ্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদারের সাক্ষাৎকার এবং বক্তব্য নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন মন্ত্রীরা। তারা আজ মন্ত্রী পরিষদের বৈঠকের পর প্রধানমন্ত্রীর কাছে এ নিয়ে নালিশও করেছেন। প্রধানমন্ত্রী সবার বক্তব্য শুনেছেন, তবে কোনো কিছু বলেননি। সরকারের একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র এই তথ্য নিশ্চিত করেছে।
সম্প্রতি শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার কয়েকটি গণমাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন। এসব সাক্ষাৎকারে তিনি সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রীর বিরুদ্ধে দুর্নীতি, শেয়ার কেলেঙ্কারিসহ নানা রকম অভিযোগ এনেছেন। তার এই সমস্ত বক্তব্য নিয়ে তোলপাড় চলছে। বিশেষ করে তিনি তার মন্ত্রণলায়ের পূর্ণ মন্ত্রী, খাদ্যমন্ত্রী এবং বাণিজ্যমন্ত্রীর সমালোচনা করেছেন। পাশাপাশি ইঙ্গিতপূর্ণভাবে কিছু কিছু মন্ত্রী এবং উপদেষ্টাদেরও সমালোচনা করেছেন। ১৬ এবং ১৭ মে বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত কামাল আহমেদ মজুমদারের সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, শেয়ার কেরেঙ্কারিতে জড়িতরা এখন মন্ত্রী। দুঃখ হয়, সবাই টাকার পেছনে ঘুড়ছে। সব কথা বলতে গেলে দেখবেন আমার লাশটা পড়ে আছে।
প্রতিমন্ত্রী তার মন্ত্রণালয়ের বিষয় নিয়েও অনেক কথাবার্তা বলেছেন। তিনি বলেছেন, আনেক ফাইল তার কাছে যায় না। সরকারের স্বচ্ছতা এবং জবাবদিহিতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেন প্রতিমন্ত্রী। প্রতিমন্ত্রী সাক্ষাৎকারে পণ্যমূল্য বৃদ্ধির সমালোচনা করেন। তিনি বলেন যে, বাণিজ্যমন্ত্রীকেই জিজ্ঞেস করুন, তারতো ব্যবসা আছে। খাদ্যমন্ত্রী নিজেই চারটা মিলের মালিক, আড়তের মালিক। তিনি মন্ত্রীসভা পরিবর্তনের কথাও বলেছেন। এই সমস্ত বক্তব্যগুলো নিয়ে সরকার একটা বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়েছে বলেই সরকারের বিভিন্ন সূত্রগুলো মনে করছে।
বিভিন্ন মহল বলছে, মন্ত্রণালয়ের সচিব এবং মন্ত্রীর কাছে কোনঠাসা হয়েই তিনি গণমাধ্যমে চটুল কথা বলে জনপ্রিয় হতে চাইছেন। আর তার এই বক্তব্য প্রকাশের পর সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী এবং আর কয়েকজন মন্ত্রী ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তারা ক্ষুব্ধ হয়ে আজ প্রধানমন্ত্রীর কাছে এ বিষয়টি নিয়ে নালিশ করেছেন।
বিভিন্ন সূত্র বলছে, আজ মন্ত্রীসভার বৈঠকের পর প্রধানমন্ত্রীর কাছে অন্তত দু’জন মন্ত্রী এ বিষয়ে অভিযোগ করেন। তারা বলেন, একজন প্রতিমন্ত্রী গোপনীয়তার শপথ নিয়ে নির্বাচনের আগে আগে এমন বিব্রতকর বক্তব্য দিতে পারেন কি না? তার এ সমস্ত বক্তব্য দলের ইমেজ ক্ষুন্ন করবে এবং বিরোধী দলের হাতে অস্ত্র তুলে দিবে। একজন মন্ত্রী বলেছেন যে, তিনি মন্ত্রীসভা পরিবর্তনের কথা বলেছেন। এ ধরনের কথা তিনি বলতে পারেন কি না? অন্য একজন মন্ত্রী অভিযোগ করেন, তিনি এইসব বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীকে অভিহিত করেছেন বলেও দাবি করেছেন। প্রধানমন্ত্রীর নাম ব্যবহার করা এখানে কতটুকু যৌক্তিক হয়েছে? এই সমস্ত অভিযোগগুলো প্রধানমন্ত্রী শুনেছেন। তবে প্রধানমন্ত্রী কোনো মন্তব্য করেননি।
উল্লেখ্য যে, সরকারের মেয়াদের শেষ প্রান্তে এসে প্রতিমন্ত্রীর এ ধরনের বক্তব্যে আওয়ামী লীগ সরকারের মধ্যে এক ধরনের বিভ্রান্তি এবং হতাশা তৈরি হয়েছে। কোনো কোনো আওয়ামী লীগের নেতা এবং মন্ত্রী বলেছেন, সম্ভবত প্রতিমন্ত্রী তার মন্ত্রণালয়ের ক্ষোভ থেকেই এ ধরনের কথা বলেছেন। যেখান থেকে তার মধ্যে এক ধরনের হতাশা সৃষ্টি হয়েছে।
প্রতিমন্ত্রী বক্তব্য মন্ত্রী ক্ষোভ প্রধানমন্ত্রী নালিশ
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
চীন সফর বাম দল জাসদ ওর্য়ার্কাস পার্টি সাম্যবাদী দল
মন্তব্য করুন
শৃঙ্খলা আওয়ামী লীগ উপজেলা নির্বাচন
মন্তব্য করুন
জামায়াত বিএনপি রাজনীতির খবর মির্জা আব্বাস
মন্তব্য করুন
ডোনাল্ড লু বিএনপি আওয়ামী লীগ মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সুশীল সমাজ
মন্তব্য করুন
অবশেষে আর ছাড় নয়, আওয়ামী লীগ তাঁর দলের শৃঙ্খলা ফেরাতে কঠোর অবস্থানে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল একাধিক সূত্রগুলো বলছে, দলের ভেতর যারা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছে, দলের সিদ্ধান্ত অমান্য করছে এবং দলের ভেতরের কোন্দল করছে তাদেরকে আর ছাড় দেওয়া হবে না। তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থাগ্রহণ করা হবে এবং এই যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের অংশ হিসেবে কোন্দলরত এলাকাগুলোতে কমিটি বাতিল করে দেওয়া হবে। যারা কোন্দলের সঙ্গে জড়িত তাদেরকে আহ্বায়ক কমিটিতে রাখা হবে না।
জামায়াতকে নিয়ে নতুন বিরোধের মুখোমুখি হচ্ছে বিএনপি। স্বাধীনতা বিরোধী যুদ্ধাপরাধীদের এই রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে বিএনপির ভেতরে যেমন শুরু হয়েছে দ্বন্দ্ব অন্তঃকলহ তেমনই বিএনপি যাদের সঙ্গে নির্বাচন প্রতিরোধের আন্দোলন করেছিল তাদের মধ্যে দেখা দিয়েছে মতদ্বৈততা। বিএনপির নেতৃত্বের একটি বড় অংশ জামায়াতকে নিয়ে আবার প্রকাশ্য আন্দোলনের পক্ষে। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সভাতেও বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়েছিল এবং সেই বৈঠকে মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায় সহ স্থায়ী কমিটির একাধিক সদস্য জামায়াতের সঙ্গে প্রকাশ্য জোটের ব্যাপারে তাদের ইতিবাচক মনোভাবের কথা জানিয়েছেন।
আগামীকাল দুদিনের সফরে ডোনাল্ড লু বাংলাদেশ সফরে আসছেন। বাংলাদেশের নির্বাচনের পর যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লুর এটি প্রথম সফর। নানা কারণেই এই সফরকে গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। তবে ৭ জানুয়ারির নির্বাচনের আগে ডোনাল্ড লুর বাংলাদেশ সফর নিয়ে যেরকম উত্তাপ ছড়িয়ে পড়ত, এখন সে রকম পরিস্থিতি নেই। ডোনাল্ড লু এর বাংলাদেশ সফর নিয়ে রাজনীতির মাঠে আলাপ আলোচনা আছে। তবে আওয়ামী লীগ, বিএনপি এর কেউই এই সফরকে খুব একটা গুরুত্বপূর্ণ মনে করছেন না।