ইনসাইড পলিটিক্স

গণ বহিষ্কার কি বিএনপির সাজানো নাটক

প্রকাশ: ০৬:০০ পিএম, ২০ মে, ২০২৩


Thumbnail

বিএনপি থেকে সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য অন্তত ১০০ নেতাকে এখন পর্যন্ত আজীবন বহিষ্কার করা হয়েছে। কিন্তু বহিষ্কৃত এ সমস্ত নেতারা সমস্ত কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করছেন, দলীয় অফিসে যাচ্ছেন এবং বিভিন্ন মিছিল-মিটিংয়েও তাদেরকে দেখা যাচ্ছে। তাহলে এই বহিষ্কারাদেশ কি সেফ সাজানো নাটক? এ নিয়ে বিএনপির মধ্যেই এখন প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়েছে। 

গতকাল বিএনপির বিক্ষোভ সমাবেশে বহিষ্কৃত সব নেতাকেই দেখা গেছে। কোথাও কোথাও তারা বক্তব্য রেখেছেন। এটি নিয়ে বিএনপির মধ্যেই এক ধরনের হাস্যরস এবং কৌতুক সৃষ্টি হয়েছে। উল্লেখ্য, বিএনপি বলেছে, নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া তারা কোনো নির্বাচনে যাবে না এবং এই দাবিতে তারা আন্দোলন শুরু করেছে। ধাপে ধাপে বিভিন্ন পর্যায়ে আন্দোলনে বিএনপির নেতাকর্মীরাও অংশগ্রহণ করছেন। তবে নিষেধাজ্ঞা স্বস্তেও বিএনপির বিভিন্ন নেতারা বিভিন্ন সময় স্বতন্ত্রভাবে স্থানীয় পর্যায়ের নির্বাচনগুলোতে অংশগ্রহণ করে। এ নিয়ে বিএনপির মধ্যে এক ধরনের ক্ষোভ অসন্তোষ এবং অস্বস্তি তৈরি হয়। এরপর বিএনপি সিদ্ধান্ত নেয় যে নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া যেই স্বতন্ত্র নির্বাচন করবে তাকে বহিষ্কার করা হবে। এই বহিষ্কারাদেশের কবলে পড়েন নারায়ণগঞ্জের বিএনপির হেভিওয়েট তৈমুর আলম খন্দকার, কুমিল্লার মনিরুল ইসলাম সাক্কুসহ অনেকে। 

এবার সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে বিএনপির নিষেধাজ্ঞা স্বত্ত্বেও অনেকে প্রার্থী হওয়ার জন্য দৌড়ঝাঁপ শুরু করেন এবং ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদে অন্তত ১০০ জন বিএনপির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মী প্রার্থী হয়েছেন। আর যারা প্রার্থী হয়েছেন তাদের ব্যাপারে বিএনপির কঠোর অবস্থান গ্রহণ করার সিদ্ধান্ত নেয়। এ পর্যন্ত প্রায় একশো তিন জনকে বহিষ্কার করা হয়েছে। এর মধ্যে ৩৪ জন রয়েছে গাজীপুরের। বহিষ্কারের তালিকা বরিশাল, খুলনা, রাজশাহী, সিলেট রয়েছে। আর যারা বহিষ্কৃত হয়েছেন তাদেরকে আর কোনদিন বিএনপিতে নেয়া হবে না এমন ঘোষণাও দেয়া হয়েছে। কিন্তু এ সমস্ত বহিষ্কার যেন শুধুমাত্র কাগজের ঘোষণা। বাস্তবে দেখা যাচ্ছে বহিষ্কারের কোন প্রভাব পড়েনি। তারা বিএনপির কর্মসূচিগুলোতে অংশগ্রহণ করছে নির্বিঘ্নে এবং সক্রিয়ভাবেই।

গতকাল ছিল বিএনপির বিক্ষোভ সমাবেশ ও বিক্ষোভ কর্মসূচি। এই বিক্ষোভ কর্মসূচির অংশ হিসেবে গাজীপুরে বিএনপি কর্মসূচি করেছে। সেখানে ওয়ার্ড কাউন্সিলর প্রার্থী হিসেবে বহিষ্কৃতরা অংশগ্রহণ করেছেন। তারা বিএনপির অনুষ্ঠানস্থলে বক্তৃতা দিয়েছেন। খুলনায় পুলিশের সঙ্গে বিএনপি সংঘর্ষ হয়েছে। সেই সংঘর্ষে বিএনপি থেকে বহিষ্কৃতদেরকে দেখা গেছে। তারাও সেখানে বক্তৃতা করেছেন। তাহলে প্রশ্ন উঠেছে বহিষ্কৃতরা কিভাবে বিভিন্ন কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করছেন এবং তাদের দলে অবস্থান কি? 

বিএনপির একজন নেতা বলেছেন যে বহিষ্কার হলো অন্যদেরকে জানান দেওয়া। বহিষ্কার মানে এই নয় যে তিনি কোনো কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করতে পারবেন না। বহিষ্কার অর্থ হলো তিনি দলে কোন পদ-পদবী পাবেন না। তবে এই ধরনের যুক্তিকে হাস্যকর মনে করছেন বিএনপির অধিকাংশ নেতারা। তারা মনে বলছেন যে বিএনপির যারা ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদে দাঁড়িয়েছেন তারা সবাই স্থানীয় পর্যায়ে ব্যাপক জনপ্রিয় এবং স্থানীয় পর্যায়ে সংগঠনের নিয়ন্ত্রণ তাদের হাতে। কাজেই তাদেরকে বহিষ্কার করলে বিএনপি সংগঠনই থাকবে না। এটি একটি আই ওয়াশ। বিভিন্ন সময় যাদেরকে বহিষ্কার করা হচ্ছে তারা আবার দলে ফিরে আসছেন। বিএনপিতে স্থানীয় পর্যায়ে কোন কমিটি নেই তাহলে বহিষ্কার করা হচ্ছে কিসের ভিত্তিতে এবং এই বহিষ্কারের কার্যকারিতা কি এ নিয়েই এখন বিএনপির মধ্যে নানামুখী বিদ্রুপ এবং কৌতুক চলছে। 

বিএনপি   আন্দোলন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

‘বেনজীর যেখানেই থাকুক, আইন নিজস্ব গতিতে চলবে’

প্রকাশ: ০২:৪০ পিএম, ০২ জুন, ২০২৪


Thumbnail

বাংলাদেশ পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদ দুর্নীতির অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হলে তাকে দেশে ফিরে আসতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

তিনি বলেন, ‘বেনজীর আহমেদ যদি দুর্নীতির দায়ে দোষী সাব্যস্ত হয় তাহলে তাকে দেশে ফিরে আসতেই হবে।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘বেনজীর যেখানেই থাকুক, আইন নিজস্ব গতিতে চলবে। বিচার হবেই, একদিন না একদিন তাকে বিচারের মুখোমুখি হতে হবে।বেনজীর ইস্যুতে যদি অন্য কারও গাফিলতি থাকে তবে তাদেরও বিচার হবে বলে জানান তিনি।

রোববার ( জুন) দুপুরে রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ের এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বেনজীর আহমেদের বিষয়টি দুদক তদন্ত করছে। এটা একটা প্রক্রিয়া। সরকার আগবাড়িয়ে কিছু করতে পারে না।

সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘মানি লন্ডারিংয়ের কথা বলতে হলে তারেক রহমানের কথা আগে বলতে হবে। তারেক দণ্ডিত হয়ে পাচারকৃত টাকা দিয়ে বিদেশে বসে আয়েশি জীবনযাপন করছে।

সাংবাদিকদের উদ্দেশে ওবায়দুল কাদের বলেন, বেনজীর আহমেদ যে এত অন্যায় করল তখন গণমাধ্যম কী করতেছিল। সাংবাদিকরা একটা সংবাদও প্রচার করল না কেন?


বেনজীর   আইন   ওবায়দুল কাদের  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

‘প্লাটিনাম জয়ন্তী’ উপলক্ষ্যে আওয়ামী লীগের ১০ দফা কর্মসূচি

প্রকাশ: ০১:০০ পিএম, ০২ জুন, ২০২৪


Thumbnail

২৩ জুন দেশের প্রাচীন বৃহত্তম রাজনৈতিক সংগঠন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। প্রতিষ্ঠার ৭৫ বছর-‘প্লাটিনাম জয়ন্তীউদযাপন করবে দলটি।শনিবার ( জুন) রাতে এক সংবাদ বিবৃতিতে তথ্য জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

দলের দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া স্বাক্ষরিত ওই বিবৃতিতে ওবায়দুল কাদের বলেন, দেশের মানুষের ভালোবাসা আকাঙ্ক্ষাকে ধারন করেই আওয়ামী লীগ পথ চলেছে এবং ভবিষ্যতেও চলবে। গত সাড়ে সাত দশক ধরে আওয়ামী লীগের পথচলা ছিল গৌরবোজ্জ্বল।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবিসংবাদিত নেতৃত্বে স্বাধীনতা সংগ্রামের পথ ধরে মহান মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে স্বাধীন বাংলাদেশ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা হয়। এদেশের মানুষের যা কিছু মহৎ অর্জন তা আওয়ামী লীগের নেতৃত্বেই অর্জিত হয়েছে। কালের বিবর্তনের সঙ্গে তাল মিলিয়ে আজ ডিজিটাল বাংলাদেশের পথ পেরিয়ে স্মার্ট বাংলাদেশের স্বাপ্নিক অভিযাত্রী বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। দীর্ঘ সাফল্য-সংগ্রামের পথ ধরে সফল রাষ্ট্রনায়ক বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার সুদক্ষ নেতৃত্বে বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে।

প্লাটিনাম জয়ন্তী উপলক্ষ্যে ১০ দফা কর্মসূচি

. ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ আয়োজন। এতে বীর মুক্তিযোদ্ধা, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ এবং নাগরিক সমাজ পেশাজীবীদের আমন্ত্রণ।

. দলের সব সাংগঠনিক শাখায় বছরব্যাপী উপযোগী কর্মসূচি গ্রহণ। তৃণমূলের কর্মসূচিতে কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের অংশগ্রহণ।

. রাজধানীতে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা আনন্দ র‌্যালির আয়োজন। একইসঙ্গে সকল দলীয় কার্যালয় স্থাপনায় আলোকসজ্জা, আনন্দ র‌্যালি, সভা-সমাবেশ, সেমিনার আলোচনা সভা আয়োজন।

. সারাদেশে এতিমখানা হাসপাতালে এবং কর্মজীবী, গরীব, অসহায় দুস্থ মানুষের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ।।

. শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে চিত্রাঙ্কন রচনা প্রতিযোগিতা এবং পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান আয়োজন।

. ক্রোড়পত্র, বিশেষ স্মরণিকা গ্রন্থ প্রকাশ এবং পোস্টার, ব্যানার আলোকচিত্র প্রদর্শনী। বিশেষ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে উপযোগী পোস্টার, ব্যানার ভিজ্যুয়াল কনটেন্ট প্রচার

. বিশেষ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন।

. ডকুমেন্টারি চিত্র প্রদর্শনীসহ বিভিন্ন উপযোগী কর্মসূচি গ্রহণ।

. দলের সর্বস্তরের প্রবীণ নেতাদের সম্মাননা প্রদান।

১০. প্লাটিনাম জয়ন্তী উপলক্ষ্যেসবুজ ধরিত্রীকর্মসূচি গ্রহণ।

বিবৃতিতে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির সঙ্গে সঙ্গতি রেখে জেলা/মহানগর, উপজেলা/থানা, পৌর, ইউনিয়ন ওয়ার্ডসহ সকল শাখাসমূহে কর্মসূচি গ্রহণ এবং বাস্তবায়নের জন্য সাংগঠনিক নির্দেশনা প্রদান করেছেন ওবায়দুল কাদের।


প্লাটিনাম জয়ন্তী   আওয়ামী লীগ   কর্মসূচি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

স্ত্রীর মর্যাদা দাবি: ছাত্রলীগ নেতার কাছে ছাত্রলীগ নেত্রীর

প্রকাশ: ১২:০৯ পিএম, ০২ জুন, ২০২৪


Thumbnail

সামাজিকভাবে বিয়ের স্বীকৃতি স্ত্রীর মর্যাদা দাবি করতে গিয়ে ছাত্রলীগের  কেন্দ্রীয় কমিটির এক সহসভাপতির কাছে মারধরের শিকার হয়েছেন এক তরুণী। তার ভাষ্য, ক্ষমতাসীন দলের সহযোগী সংগঠনের ওই নেতা তাকে বিয়ে করেছেন এবং জোর করে গর্ভপাত ঘটিয়েছেন। অভিযোগকারী তরুণী ইডেন কলেজের ছাত্রলীগ নেত্রী। তবে বন্ধুত্বের বাইরে অন্য কোনো সম্পর্ক নেই দাবি করে শাহাদাত বলছেন, তার বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগই ভিত্তিহীন। বন্ধুত্বের বাইরে তাদের আর কোনো সম্পর্ক ছিল না; বরং অনেক দিন ধরে তাকেই মানহানিসহ নানা ধরনের হুমকি দেওয়া হচ্ছে।

জানা গেছে, শাহাদাতের প্রতারণা নির্যাতনের অভিযোগ তুলে এর প্রতিকার চেয়ে গত ২৪ মে ছাত্রলীগ সভাপতি সাধারণ সম্পাদককে লিখিত অভিযোগ করেন ওই তরুণী। এতে বলা হয়, ফুয়াদ হোসেন শাহাদাতের সঙ্গে তার ১০ বছরের সম্পর্ক। এই দীর্ঘ সময়ে তার সঙ্গে ঘটে যাওয়া নানা ধরনের অন্যায়ের বিষয়ে তিনি গত ১৮ ফেব্রুয়ারি আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরকে অবহিত করেন। ওবায়দুল কাদের বিষয়টি মীমাংসার জন্য ছাত্রলীগ সভাপতি সাধারণ সম্পাদককে দায়িত্ব দেন। সে অনুযায়ী গত এপ্রিল মীমাংসার সময় নির্ধারণ করা হয়।

কিন্তু এর দুদিন আগে পারিবারিকভাবে সমাধানের কথা বলে শাহাদাত তাকে বাসায় ডেকে নিয়ে যান। ভুক্তভোগী তরুণীর দাবি, বাসায় যাওয়ার পর সমাধানের পরিবর্তে শাহাদাত তাকে এলোপাতাড়ি লাথি মারে এবং গুরুতর জখম করে। নিরুপায় হয়ে তিনি ৯৯৯- কল করেন। এরপর পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাকে উদ্ধার করে। সেখান থেকে বেরিয়ে ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফকে বিষয়টি জানান। পরে তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসা নেন। ঘটনায় তিনি মানসিক শারীরিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েন।

অভিযোগপত্রে ওই তরুণী বলেন, ‘আমি সামাজিকভাবে স্বীকৃতি চাওয়ার পর থেকেই শাহাদাত আমার পরিবারের সবার নামে মামলা দেওয়া এবং বিভিন্নভাবে ক্ষতি করার হুমকি দেয়। এমনকি আমাকে প্রতিনিয়ত প্রাণনাশের হুমকি প্রদান আমার মান-সম্মান যাতে না থাকে, সেই ব্যবস্থা করার হুমকি দেয়। তাই তার এসব কার্যকলাপে আমি আতঙ্কিত। ২০১৬ সালে মুসলিম আইন অনুসারে আমাদের বিয়ে হয় এবং সব ডকুমেন্ট নিজের কাছে আটকে রাখে। পরে তা অস্বীকার করে।

বিষয়টি নিয়ে গত ২৬ মে হাজারীবাগ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরিও (জিডি) করেছেন ভুক্তভোগী। এতে বলা হয়, ‘ফুয়াদ হোসেন শাহাদাত আমার স্বামী। তার সঙ্গে আমার বিয়ে হয় ২০১৬ সালে। পারিবারিক কলহের পর সে গত ১৮ মে আমাকে হোয়াটসঅ্যাপে কল করে মেরে ফেলার হুমকি দেয় এবং মিথ্যা মামলা দেবে বলে হুমকি প্রদান করেছে।এর আগে গত বছরের নভেম্বর একই থানায় ওই তরুণীর বিরুদ্ধে ফুয়াদ হোসেন শাহাদাত একটি সাধারণ ডায়েরি করেছিলেন।

চলতি বছরের এপ্রিলে শাহবাগ থানায় করা আরেকটি জিডিতে তিনি (ফুয়াদ হোসেন শাহাদাত) উল্লেখ করেন, গত এপ্রিল ওই তরুণী হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরে কল দিয়ে শাহাদাতকে বলেন, তার (তরুণী) কথা যদি শাহাদাত না শোনেন এবং কথামতো যদি কাজ না করেন, তাহলে তিনি তার কণ্ঠ নকল করে এআই বা অ্যাপের মাধ্যমে অপ্রীতিকর মন্তব্য ছোট ছোট অডিও ক্লিপ বানিয়ে সবার কাছে পাঠাবেন। কণ্ঠ ক্লোন করে এসব ক্লিপ বানানো হবে গুরুত্বপূর্ণ মানুষকে নিয়ে, যাতে প্রয়োগ করা হবে খারাপ অশ্লীল শব্দ।

সার্বিক বিষয়ে ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান বলেন, ‘গত ২৪ মে বিষয়ে আমরা একটি অভিযোগ পেয়েছি। ঘূর্ণিঝড় রিমালের কারণে সাংগঠনিক ব্যস্ততা থাকায় নিয়ে কাজ করতে পারিনি। শিগগির আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখব এবং তদন্তসাপেক্ষে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।


ছাত্রলীগ   সাদ্দাম   ইনান  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

অস্তিত্বের সংকটে ছোট দল

প্রকাশ: ১০:০০ পিএম, ০১ জুন, ২০২৪


Thumbnail

কদিন আগে আওয়ামী লীগ তাদের আদর্শিক জোট ১৪ দলের শরিকদেরকে নিয়ে বৈঠক করেছিল। গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই বৈঠকে ১৪ দলের নেতাদেরকে আমন্ত্রণ জানান। এই বৈঠকে ১৪ দলের নেতারা আওয়ামী লীগের উপেক্ষা-অবহেলার ব্যাপারে মুখ খুলেন এবং অনেক আবেগঘন অভিমানের কথা বলেছিলেন।

সকলে ধারণা করেছিল, এরপর ১৪ দল সক্রিয় হবে এবং ১৪ দলকে আওয়ামী লীগ গুরুত্ব দেবে। কিন্তু ওই বৈঠক হয়ে যাওয়ার বেশ কয়েকদিন পরও এখন পর্যন্ত ১৪ দলের নতুন কোনও পদক্ষেপ হয়নি। এমনকি ১৪ দলের শরিকদের একজন নেতা বলেছেন যে, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে যে কোন এ ধরণের বৈঠকের পর একটি ফলোআপ বৈঠক করতে হয়। যেটি ১৪ দলের সমন্বয়ক আহ্বান করেন এবং পরবর্তী বিষয়াদি নিয়ে আলোচনা করা হয়। সেটিও হয়নি। ঐ বৈঠকটা ছিল একটা সান্ত্বনা পুরস্কার বলে মনে করেন ১৪ দলের অধিকাংশ শরিক নেতারা। এরপর আর ১৪ দলের খোঁজখবর নিচ্ছেন না আওয়ামী লীগ। ফলে ১৪ দল এখন অপাংক্তেয় অবহেলায়।

১৪ দলের শরিকদের মধ্যে অধিকাংশ দলগুলি ক্ষয়িষ্ণু। আওয়ামী লীগের ছায়ায় তারা বেঁচে আছে। কিন্তু আওয়ামী লীগের ছায়া এখন নেই জন্য এই দলগুলো অস্তিত্বের সংকটে ভুগছে। ১৪ দলের ছোট ছোট দলগুলোর মধ্যে ক্ষোভ, কোন্দল, বিভক্তি প্রকাশ্য রূপ ধারণ করেছে। এই দলগুলোতে কর্মীদের মধ্যে হতাশা, তারা কেউ আওয়ামী লীগে চলে চাচ্ছে, কেউ আবার রাজনীতি ছেড়ে অন্য কাজে মনোযোগী হচ্ছে। সবকিছু মিলিয়ে অস্তিত্বের সংকট সৃষ্টি হয়েছে ১৪ দলের শরিক দলগুলোর মধ্যে।

আবার ১৪ দলের বাইরে যে রাজনৈতিক দলগুলো রয়েছে সেগুলোতেও অস্তিত্বের সংকট দেখা দিয়েছে। ১৪ দলের বাইরে রাজনৈতিক দলগুলোর একটা বড় অংশকে নিয়ে বিএনপি রীতিমতো নাটক করছে। নির্বাচনের আগে থেকেই তাদের মূলো ঝুলিয়ে রেখেছে বিএনপি। তাদের সাথে যুগপৎ আন্দোলন করার ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সেই আন্দোলন কিছুই হয়নি। নির্বাচনের পরে নতুন করে আন্দোলন সংগঠিত করার জন্য বিএনপির পক্ষ থেকে উদ্যোগ নেওয়া হয়। আবার রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। এই যোগাযোগের কোন ইতিবাচক ফলাফল দেখা যায়নি।

১৪ দলের শরিক দলগুলোর মধ্যে কল্যাণ পার্টি ইতোমধ্যে আওয়ামী লীগে চলে গেছে এবং সেই দলটি এক নেতার এক দল হিসেবে কোনরকমে টিকে আছে। বাকি দলগুলোর মধ্যে জেএসডি, নাগরিক ঐক্য, গণসংহতিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলগুলো এখন নিভু নিভু। তারা বিএনপির দিকে তাকিয়ে আছে। বিএনপির কর্মসূচি হলে তারা কিছু লোকজন জোগাড় করতে পারে। বাকি সময় তাদের অফিস তালাবদ্ধ থাকে।

এই দলগুলো অস্তিত্বের সংকটে এবং এদের ভবিষ্যৎ কী হবে তা তারা নিজেরাও জানে না। এই সমস্ত ছোট ছোট রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে হতাশা ছড়িয়ে পড়েছে এবং তারা বিএনপির অবহেলার জন্য ক্ষুব্ধ। আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টি এবং জামায়াত ছাড়া বাংলাদেশের রাজনীতিতে ক্রিয়াশীল যে বাম এবং গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দলগুলো ছিল, সেই দলগুলো ক্রমশ ম্লান এবং বিলীন প্রায় হয়ে যাচ্ছে।

সামনে এই অবস্থা যদি চলতে থাকে আওয়ামী লীগ এবং বিএনপি দুটি দলের কেউই যদি শেষ পর্যন্ত ছোট ছোট দলগুলোকে ছায়া না দেয় তাহলে কালের গর্ভে দলগুলো বিলীন হয়ে যাবে বলেও অনেকে মনে করেন। ফলে রাজনীতিতে একটা নতুন শূন্যতার সৃষ্টি হবে। সেখান থেকে উগ্র মৌলবাদের উত্থান ঘটতে পারে বলেও অনেকের আশঙ্কা।


১৪ দল   আওয়ামী লীগ   রাজনীতি   বাংলাদেশ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

‘তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে এনে বিচার করা হবে’

প্রকাশ: ০৯:৪৯ পিএম, ০১ জুন, ২০২৪


Thumbnail

বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেছেন, বিএনপি নেতা তারেক রহমান লন্ডনে বসে দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। তিনি একজন দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি। তাকে দেশে ফিরিয়ে এনে বিচার করা হবে। শনিবার (১ জুন) নরসিংদী সার্কিট হাউসে নরসিংদী জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন তিনি।

মন্ত্রী বলেন, আমরা যে টানা চারবার ক্ষমতায় এসেছি সে পথ সহজ ছিল না। নানারকম ষড়যন্ত্র হয়েছে। কিন্তু জনগণের সমর্থন নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা এগিয়ে চলেছি। যারা আওয়ামী লীগের দুর্দিন দেখেননি তারা বুঝবেন না-আমাদের কতটা কঠিন সময় গেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেই নেত্রী যাকে ১৯ বার হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে। আপনাদের ভালোবাসায় তিনি এখনো বেঁচে আছেন এবং গণমানুষের জন্য নিজেকে উৎসর্গ করেছেন।

কর্মীদের উদ্দেশ্যে জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, সবসময় জনগণের কাছে যেতে হবে। জনগণ হলো পানির মতো। তাদের সঙ্গে মিশতে হবে। মানুষকে বাদ দিয়ে রাজনীতি হবে না। আপনারা প্রতিদিন প্রধানমন্ত্রী কী বক্তৃতা দেন তা শুনবেন। প্রতিদিন পত্রিকা পড়বেন। বঙ্গবন্ধুর জীবনী পড়েন। নিজের মস্তিষ্ককে কাজে লাগান।

নরসিংদী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জি এম তালেব হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নরসিংদী-১ আসনের সংসদ সদস্য লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম হীরু, নরসিংদী-২ আসনের সংসদ সদস্য ও বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা. আনোয়ারুল আশরাফ খান দিলীপ, নরসিংদী-৩ আসনের সংসদ সদস্য সিরাজুল ইসলাম মোল্লা, সংরক্ষিত মহিলা আসন-৩৫ এর সংসদ সদস্য ফরিদা ইয়াসমিন প্রমুখ। মতবিনিময় সভা সঞ্চালনা করেন নরসিংদী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পীরজাদা কাজী মোহাম্মদ আলী।


জাহাঙ্গীর কবির নানক  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন