তথ্যমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘এদেশে আর ‘পঁচাত্তর’ সৃষ্টি করতে দেওয়া হবে না, কাউকে হত্যার রাজনীতি করতে দেওয়া হবে না।’ সোমবার (২২ মে) বিকেলে রাজধানীর মোহাম্মদপুরে টাউন হলের সামনে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগ আয়োজিত ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার হুমকির প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশ’-এ প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
মোহাম্মদপুর আওয়ামী লীগের সভাপতি এম এ সাত্তারের সভাপতিত্বে সংসদ সদস্য শেখ সাদেক খান, ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগ সভাপতি বজলুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক আজিজুল হক রানা এবং মহানগর উত্তরের বিভিন্ন ওয়ার্ড ও ইউনিটের নেতাকর্মীরা সমাবেশে যোগ দিয়ে বক্তব্য রাখেন।
সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর সময়েও অনেক ষড়যন্ত্র হয়েছিলো। বঙ্গবন্ধু মুজিবকে যখন রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা করতে ব্যর্থ হয়েছিলো তখন বঙ্গবন্ধু মুজিবকে হত্যা করা হয়েছিলো। জননেত্রী শেখ হাসিনার বিরোধীরা, দেশবিরোধীরা, দেশের উন্নয়নবিরোধীরা, তাঁরা জননেত্রী শেখ হাসিনাকে রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা করতে ব্যর্থ হয়ে আজকে তাঁকে হত্যা করতে চায়, যেটি বিএনপির রাজশাহীর জেলা আহ্বায়ক মুখ ফসকে বলে ফেলেছেন। এ দেশে হত্যার রাজনীতি কাউকে করতে দেওয়া হবে না।’
মন্ত্রী বলেন, ‘আওয়ামী লীগ প্রস্তুত আছে। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা প্রস্তুত আছে। আর এ দেশে ‘পঁচাত্তর’ সৃষ্টি করতে দেওয়া হবে না। নেতাকর্মীদের বলবো যে হাতে বোমা আনবে সেই হাত পুড়িয়ে দিতে হবে। যে হাতে অস্ত্র ধরবে, সেই অস্ত্র দিয়ে সন্ত্রাসীদের শায়েস্তা করতে হবে। তাদেরকে আর রক্তের হোলি খেলা খেলতে দেওয়া হবে না।’
বিএনপির কারণে মানুষ এমন কি মার্কিন দূতাবাসও আতংকিত উল্লেখ করে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘বিএনপি আজকে যে হত্যার রাজনীতি করছে, হত্যার হুমকি দিচ্ছে, পুলিশের ওপর হামলা পরিচালনা করছে এবং গাড়িঘোড়া ভাংচুর করছে, এতে সাধারণ মানুষ আতঙ্কিত, মার্কিন দূতাবাসও আতঙ্কিত হয়েছে। বিএনপির অপরাজনীতির কারণে আজকে তারা তাদের নাগরিকদের সতর্ক করেছে। বিএনপি আজ অপরাজনীতি করে দেশের মানুষকে আতংকিত করতে চায়।’
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ বলেন, ‘দেশে বিএনপির আতংকের এই খেলা আর খেলতে দেওয়া যাবে না, আমাদেরকে রাজপথে থাকতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ রাজপথ থেকে উঠে আসা দল। আমাদের নেত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার শিরায় বঙ্গবন্ধুর রক্তস্রোত প্রবহমান। যে রক্ত আপোষ জানে না, যে রক্ত ‘রক্তচক্ষু’কে উপেক্ষা করে এগিয়ে চলে, তিনি শেখ হাসিনা।’
এ দিনের বিক্ষোভ সমাবেশ নিয়ে সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা এতোদিন ধরে বিএনপির পাশাপাশি দেশে শান্তি সমাবেশ করছিলাম কারণ বিএনপির উদ্দেশ্য হচ্ছে দেশে অশান্তি তৈরি করা। কিন্তু আজ আমরা বিক্ষোভ সমাবেশ করছি কারণ গত শুক্রবার বিএনপির রাজশাহীর জেলা আহ্বায়ক বক্তৃতা করে আমাদের নেত্রী মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার হুমকি দিয়েছেন।’
মন্ত্রী বলেন, ‘জিয়াউর রহমান মানুষের রক্তের ওপর দাঁড়িয়ে বঙ্গবন্ধুর হত্যাকান্ডের মাধ্যমে ক্ষমতা দখল করেছিলো, হাজার হাজার সেনাসদস্যকে এবং আওয়ামী লীগের ২২ হাজার নেতাকর্মীকে হত্যা করে ক্ষমতায় টিকেছিলো। জিয়াউর রহমানের স্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াও হত্যার রাজনীতি করেছেন। তার এবং তারেক রহমানের পরিচালনায় ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা হয়েছে, বিএনপি এবং জঙ্গিগোষ্ঠীর পরিচালনায় বিভিন্ন জায়গায় আমাদের সমাবেশের ওপর হামলা পরিচালনা করে মানুষ হত্যা করা হয়েছে। আর ২০১৩, ১৪, ১৫ সালে অগ্নিসন্ত্রাস চালিয়ে এ দেশের নিরীহ মানুষকে তারা আগুনে পুড়িয়ে হত্যা করেছে। সুতরাং তাদের রাজনীতি হচ্ছে হত্যার রাজনীতি, খুনের রাজনীতি। তারা এ থেকে বের হয়ে আসতে পারেন নাই। তাদেরকে, কাউকে আর এ দেশের হত্যার রাজনীতি করতে দেওয়া হবে না।’
তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বিএনপি আওয়ামী লীগ সমাবেশ
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচনে যে সমস্ত বিএনপি নেতারা প্রার্থী হয়েছেন, সেই সমস্ত প্রার্থীদেরকে ইতোমধ্যে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে যে, তারা যদি মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেন তাহলে তাদেরকে দলে ফিরিয়ে আনা হবে। কিন্তু মজার ব্যাপার হল যে, বিএনপিতে বহিষ্কৃত এই সমস্ত উপজেলা নির্বাচনের প্রার্থীদের পক্ষে কাজ করছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা।
কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে উপজেলা নির্বাচনের প্রার্থীদের যোগাযোগ হচ্ছে। একাধিক কেন্দ্রীয় নেতা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে উপজেলা নির্বাচনে তাদের প্রার্থীর পক্ষে কাজ করার জন্য নেতাকর্মীদের নির্দেশ দিয়েছেন। অনেকেই উপজেলা নির্বাচনে যারা প্রার্থী হয়েছেন তাদের পক্ষে কাজ করার জন্য কর্মীদেরকে টেলিফোনেও বার্তা দিচ্ছেন। ফলে উপজেলা নির্বাচন নিয়ে বিএনপির মধ্যে একটি স্ববিরোধী অবস্থান লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
উল্লেখ্য যে, বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল যে, উপজেলা নির্বাচনে বিএনপি অংশগ্রহণ করবে না। ওই বৈঠকেই আরও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় যে, যারা উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে তাদেরকে দল থেকে আজীবন বহিষ্কার করা হবে এবং সেই ধারাবাহিকতায় ৭৩ জন বিএনপি নেতাকে বহিষ্কার করা হয়েছিল উপজেলা নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার জন্য। কিন্তু বিএনপির অধিকাংশ তৃণমূলের নেতা যারা উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন তারা শেষ পর্যন্ত মনোনয়ন প্রত্যাহার করেননি।
প্রথম ধাপে ধাপে বিএনপির ৬৭ জন উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছিলেন। তাদের মধ্যে মাত্র আটজন মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন। এখনও ৫৯ জন বিএনপির প্রার্থী ১৫০টি উপজেলার নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছে। যে সমস্ত প্রার্থীরা উপজেলা নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করেছেন তাদের এলাকার কেন্দ্রীয় নেতারা সাবেক এমপি বা বিএনপির গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা ওই সমস্ত উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থীর বিরুদ্ধে প্রার্থীর পক্ষে কাজ করছেন এবং তাদের জন্য ভিন্ন কৌশলে প্রচারণা চালাচ্ছেন।
প্রচারণার ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় নেতারা অত্যন্ত সতর্কতা অবলম্বন করছেন। উপজেলা নির্বাচনে যারা প্রার্থী হয়েছেন তারা দলের স্থানীয় পর্যায়ের কর্মীদেরকে একত্রিত করছেন কর্মীসভার আদলে এবং সেই কর্মীসভায় বিএনপির সিনিয়র নেতৃবৃন্দ উপস্থিত হচ্ছেন। তারা বক্তব্য রাখছেন এবং শুধু বক্তব্য রেখেই ক্ষান্ত হননি, তারা উপজেলায় স্বতন্ত্র ওই প্রার্থীর পক্ষে কাজ করার জন্য নেতাকর্মীদেরকে আহ্বান জানাচ্ছেন। তারা দলের ঐক্য বজায় রাখার জন্য নির্দেশনা দিচ্ছেন এবং ঐক্যবদ্ধভাবে আওয়ামী লীগকে মোকাবিলার জন্য বার্তা দিচ্ছেন।
উপজেলা নির্বাচনে আওয়ামী লীগ দলগতভাবে অংশ গ্রহণ করছে না। সেখানে তাদের একাধিক প্রার্থী রয়েছে। প্রায় অধিকাংশ উপজেলা আওয়ামী লীগের গড়ে তিন জন করে প্রার্থী রয়েছে। এরকম বাস্তবতায় বিএনপির যারা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছেন, তারা মনে করছেন যে, এটি তাদের জন্য একটি অনবদ্য সুযোগ। কারণ এর ফলে উপজেলাগুলোতে আওয়ামী লীগের কোন্দলের ফসল তারা ঘরে তুলতে পারবে। আর এ কারণেই উপজেলা নির্বাচনের ব্যাপারে লন্ডনে পলাতক বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়ার সিদ্ধান্ত অনেকে মানছেন না। আর বাস্তবতা অনুধাবন করে যারা এলাকার এমপি তারাও উপজেলায় একটা ভিত্তি রাখার জন্য বিদ্রোহী প্রার্থীদেরকে সমর্থন করছেন।
বিএনপি আওয়ামী লীগ উপজেলা নির্বাচন মির্জা ফখরুল ড. মঈন খান নজরুল ইসলাম খান
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগ কার্যনির্বাহী কমিটি উপজেলা নির্বাচন শেখ হাসিনা
মন্তব্য করুন
সারাদেশে বিভিন্ন মামলায় গ্রেফতার নেতাকর্মীদের মুক্তির দাবিতে
নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ মিছিল করেছে বিএনপি। তবে অনুমতি না
থাকায় পুলিশের বাধার মুখে পড়তে হয় মিছিলটিকে।
পরে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে দলটির নেতারা
অভিযোগ করে বলেন, সরকার বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলোকে গণতান্ত্রিক কর্মসূচিতে বাধা দিচ্ছে।
রোববার (২৮ এপ্রিল) সকাল ১১টার পরে রাজধানীর বিভিন্ন ওয়ার্ড ও ইউনিটের
নেতাকর্মীরা জড় হন নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে। দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব
রুহুল কবীর রিজভীর নেতৃত্বে বিএনপি নেতাকর্মীরা মিছিল বের করেন৷
বিএনপি নেতাদের অভিযোগ, সরকারের নির্দেশেই পুলিশ বারবার বিএনপির কর্মসূচিতে বাধা দিচ্ছে। বিরোধী দল দমন করে ক্ষমতাসীনরা একদলীয় শাসন কায়েম করার অপচেষ্টা করছেন বলে অভিযোগ করেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী।
তিনি বলেন, সরকারের নির্দেশে পুলিশ বারবার বিএনপির মিছিলে বাধা
দিচ্ছে, বিরোধী দলের গণতান্ত্রিক কর্মসূচি পণ্ড করছে। দুর্নীতি দমন, আর জনকল্যাণ রেখে
ক্ষমতাসীনরা বিরোধী দলকে দমনে ব্যস্ত।
তিনি আরও বলেন, যত প্রতিকূল পরিবেশ হোক না কেন, আওয়ামী লীগকে বিদায় না করা পর্যন্ত রাজপথে বিএনপির কর্মসূচি চলবে। একদলীয় শাসন কায়েম করতেই বেগম জিয়াকে গৃহবন্দি করে রেখেছে সরকার।
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচনে যে সমস্ত বিএনপি নেতারা প্রার্থী হয়েছেন, সেই সমস্ত প্রার্থীদেরকে ইতোমধ্যে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে যে, তারা যদি মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেন তাহলে তাদেরকে দলে ফিরিয়ে আনা হবে। কিন্তু মজার ব্যাপার হল যে, বিএনপিতে বহিষ্কৃত এই সমস্ত উপজেলা নির্বাচনের প্রার্থীদের পক্ষে কাজ করছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা।
আগামী ৩০ এপ্রিল আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হচ্ছে। উপজেলা নির্বাচনে মন্ত্রী-এমপিদের অবাধ্যতা, দলের শৃঙ্খলা ভঙ্গ এবং উপজেলা নির্বাচনে প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা ইত্যাদি নিয়ে এই বৈঠকের দিকে তাকিয়ে আছে সারা দেশে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। আওয়ামী লীগ সভাপতি কী অবস্থান গ্রহণ করেন এবং কীভাবে তিনি বিদ্রোহীদের মোকাবেলা করেন সেটির দিকে তাকিয়ে আছে তৃণমূলের আওয়ামী লীগ।