পাঁচ সিটি করপোরেশন নির্বাচন আওয়ামী লীগের জন্য অগ্নিপরীক্ষা। একদিকে যেমন এই নির্বাচনের মাধ্যমে আওয়ামী লীগের জনপ্রিয়তা যাচাই করা হবে, অন্যদিকে এই নির্বাচন জাতীয় এবং আন্তর্জাতিকভাবে অবাধ, সুষ্ঠু এবং নিরপেক্ষ প্রমাণ করতে হবে আওয়ামী লীগকে। তা না হলে দলীয় সরকারের অধীনে অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব- এটা প্রমাণ করা আওয়ামী লীগের জন্য কঠিন হয়ে পড়বে। এরকম একটি পরিস্থিতিতে পাঁচ সিটি করপোরেশনের মধ্যে তিনটিতেই অত্যন্ত স্বস্তিদায়ক অবস্থায় রয়েছে আওয়ামী লীগ। এই তিনটি সিটি করপোরেশন নির্বাচনেই আওয়ামী লীগের জন্য সহজ জয় অপেক্ষা করছেন বলে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন।
যে তিনটি সিটি করপোরেশনে আওয়ামী লীগের অবস্থা সংহত এবং আওয়ামী লীগ অনেকটা নির্ভার, তার মধ্যে রয়েছে- রাজশাহী, খুলনা এবং সিলেট। রাজশাহী সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন বর্তমান মেয়র খায়রুজ্জামান লিটন। লিটন এর আগেও ২০০৯ সালে মেয়র ছিলেন। তার নেতৃত্বে রাজশাহীর ব্যাপক উন্নতি হয়েছে। তিনি এখন রাজশাহীর অপ্রতিদ্বন্দ্বী নেতা হিসেবে আবির্ভূত হয়েছেন। এই নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বীতা হতো, যদি বিএনপির কোনো প্রার্থী নির্বাচনে দাঁড়াতেন। কিন্তু বিএনপির এখানে প্রার্থী না হওয়ায় অন্য যে সমস্ত প্রার্থীরা হয়েছেন, তারা অত্যন্ত দুর্বল এবং ধারণা করা হচ্ছে, এখানে সহজ জয় পাবেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী খায়রুজ্জামান লিটন।
খুলনাতেও একই অবস্থা। খুলনাতে বিএনপির প্রার্থী হওয়ার কথা ছিল নজরুল ইসলাম মঞ্জুর। কিন্তু শেষ পর্যন্ত বিএনপির কোনো নেতাই এই নির্বাচনে দাঁড়ায়নি। এখানে এখন তালুকদার আব্দুল খালেককে চ্যালেঞ্জ করার মতো আর কোনো বড় প্রতিদ্বন্দ্বী নেই। তাছাড়া আব্দুল খালেক একজন সৎ রাজনীতিবিদ হিসেবেই পরিচিত। আর এ কারণেই এই নির্বাচনে তার সহজ জয়ের সম্ভাবনা দেখছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।
সিলেটের সিটি নির্বাচন উত্তপ্ত হয়ে ওঠার কথা ছিল এবং আওয়ামী লীগ এই সিটি নির্বাচন নিয়েই বেশি শঙ্কিত এবং সন্দিহান ছিল। কিন্তু এখন সিলেটে সহজ জয়ের অপেক্ষায় আওয়ামী লীগ। সিলেটের বর্তমান মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিয়ে জানিয়েছেন যে, তিনি আগামী সিটি করপোরেশন নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছেন না। আর তার এই সরে দাঁড়ানোর ফলে আনোয়ারুজ্জামান চোৗধুরী এখন প্রতিদ্বন্দ্বীহীন। এখানে জাতীয় পার্টির যে প্রার্থী আছেন, সেই প্রার্থী আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরীর সঙ্গে তেমন প্রতিদ্বন্দ্বীতা করতে পারবেন না। আরিফ যদি প্রার্থী হতেন, তাহলে আওয়ামী লীগের মধ্যেও বিভাজন দেখা দিত। অনেকে গোপনে আরিফের সমর্থনে কাজ করতেও পারতেন। কিন্তু সেরকম অবস্থাও হচ্ছে না। কারণ যেহেতু আর কোনো শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী নাই, কাজেই আওয়ামী লীগে যারা আনোয়ারের মনোনয়ন পছন্দ কনেননি, তারাও এখন আনোয়ারের পেছনে কাজ করছেন। ফলে আওয়ামী লীগ এখন সুবিধাজনক অবস্থানে রয়েছে।
এই তিনটি সিটি করপোরেশনে যদি আওয়ামী লীগ অনায়াসে জয় পায়, তাহলে অন্য দুটি সিটি করপোরেশনে আওয়ামী লীগের আর কারচুপি বা প্রশাসনকে ব্যবহার করার প্রয়োজন হবে না। ফলে পাঁচ সিটি করপোরেশন নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ করার একটি সুবর্ণ সুযোগ তৈরি হয়েছে আওয়ামী লীগের জন্য।
গাজীপুর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে আগামী ২৫ মে। এই নির্বাচনে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে। কাজেই সরকার এই নির্বাচনের ব্যাপারে কোনো রকম হস্তক্ষেপ করবে না বলেই ধারণা করা হচ্ছে। অন্যদিকে বরিশাল সিটি করপোরেশনে আওয়ামী লীগ অভ্যন্তরীণ কোন্দলে ব্যাকফুটে চলে গেছে। এই নির্বাচনের ফলাফল শেষ পর্যন্ত কি হবে- সেটার জন্য নির্বাচন পর্যন্ত আপেক্ষা করতে হবে। তবে আওয়ামী লীগ যদি শেষ পর্যন্ত তিনটিতে বিজয়ী এবং দুটিতে পরাজিত হয়, তারপরও যদি নির্বাচনটা অবাধ, সুষ্ঠু এবং প্রশ্নবিদ্ধ না হয়, তাহলেই সেটা হবে আওয়ামী লীগের জন্য বড় অর্জন।
রাজশাহী খুলনা সিলেট সিটি নির্বাচন আওয়ামী লীগ
মন্তব্য করুন
বিএনপি মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
খালেদা জিয়া এভারকেয়ার হাসপাতাল বিএনপি শামীম ইস্কান্দার ডা. জাহিদ
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগের সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের সভা শনিবার (৪ মে) সন্ধ্যা ৭টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারি বাসভবন গণভবনে অনুষ্ঠিত হবে।
সভায় সভাপতিত্ব করবেন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের সভাপতি শেখ হাসিনা।
শুক্রবার (৩ এপ্রিল) দুপুরে আওয়ামী লীগের উপদপ্তর সম্পাদক অ্যাডভোকেট সায়েম খান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শনিবার (৪ এপ্রিল) সন্ধ্যায় গণভবনে আওয়ামী লীগের সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের সভা অনুষ্ঠিত হবে। এতে সভাপতিত্ব করবেন দলের সভাপতি ও সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের সভাপতি শেখ হাসিনা।
সভায় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এমপি সংশ্লিষ্ট সবাইকে যথাসময়ে উপস্থিত থাকার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন।
আওয়ামী লীগ মনোনয়ন বোর্ড সভাপতি শেখ হাসিনা
মন্তব্য করুন
ওবায়দুল কাদের আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক উপজেলা নির্বাচন
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচনের দুই ধাপের প্রস্তুতি এবং প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এই দুই ধাপে আওয়ামী লীগের প্রায় ৫০ জন মন্ত্রী এমপির স্বজন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। আর মন্ত্রী-এমপিদের নিজস্ব ব্যক্তি বা মাইম্যান প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে একশরও বেশি। উপজেলা নির্বাচনের ব্যাপারে যখন আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নমনীয় অবস্থান গ্রহণ করেছেন তখন আওয়ামী লীগের মন্ত্রী-এমপিরা বেপরোয়া হয়ে উঠেছেন।
বেগম খালেদা জিয়া একদিনের জন্য এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। এভারকেয়ার হাসপাতাল থেকে তাকে আবার বাড়িতে ফিরিয়ে নেওয়া হয়েছে গতকাল সন্ধ্যায়। বাড়িতে ফেরার পর বিএনপি পন্থী চিকিৎসক এবং ড্যাব নেতা ডা. জাহিদ দাবি করেছেন যে, খালেদা জিয়াকে এখন লিভার ট্রান্সপ্ল্যান্ট করতে হবে এবং এর জন্য তাকে বিদেশ নেওয়ার কোন বিকল্প নেই।