ইনসাইড পলিটিক্স

নির্বাচনের রাজনীতিতে নতুন শক্তি ‘হাতপাখা’

প্রকাশ: ০৯:০০ পিএম, ২৭ মে, ২০২৩


Thumbnail

ইসলামী আন্দোলন যার নির্বাচনী প্রতীক হাতপাখা। গত দুই বছরে আস্তে আস্তে নির্বাচনের রাজনীতিতে এই প্রতীকটি এবং দক্ষিণপন্থী রাজনৈতিক দলটি নতুন শক্তি হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। গত দুই বছরের নির্বাচনগুলো পর্যালোচনা করলে দেখা যায় অধিকাংশ স্থানেই হাতপাখা প্রতীক নিয়ে ইসলামী আন্দোলন হয় তৃতীয় না হলে চতুর্থ হয়েছে। গড় ভোট পেয়েছে ২০ হাজারের কাছাকাছি। গাজীপুর সিটি করপোরেশেনের নির্বাচনে হাতপাখা  প্রতীক নিয়ে ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী তৃতীয় হয়েছেন। ভোট পেয়েছেন ৪০ হাজারের বেশি। এটি রাজনীতিতে একটি নতুন মেরুকরণ বলে মনে করা হচ্ছে। শুধু তাই নয় বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী খোকন সেরনিয়াবাত এর প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী হাতপাখা। সেখানে ইসলামী আন্দোলনের দ্বিতীয় ব্যক্তি হিসেবে পরিচিত ইসলামী আন্দোলনের মূল নেতা মুফতি সৈয়দ ফয়জুল করিম প্রার্থী হয়েছেন। এই নির্বাচনে আওয়ামী লীগের ভরাডুবি হলেও অবাক হবার কিছু হবে না বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। 

আস্তে আস্তে ইসলামী আন্দোলন নির্বাচনে রাজনীতিতে একটি বড় শক্তি হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। চরমোনাইয়ের পীর কেন্দ্রিক এই রাজনৈতিক দলটি ইসলামপন্থী রাজনৈতিক দল এবং জামাত বিরোধী হিসেবে পরিচিত। আর আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ইসলামী দলগুলো ঐক্যবদ্ধ হয়ে নির্বাচন করতে চাইছে এবং তার অন্যতম উদ্যোক্তা ইসলামী আন্দোলন এবং হাতপাখা। যারা এই পর্যন্ত অন্তত ১৫ টি ইসলামী রাজনৈতিক দলের সঙ্গে কথা বলেছে। তাদেরকে এক ছাতার নিচে নিয়ে এসে ঐক্যবদ্ধভাবে নির্বাচন করার বিষয়টি বিবেচনা করছে।

বিভিন্ন সূত্রগুলো বলছে যে সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশের সব জেলাতেই ইসলামী আন্দোলন এর সংগঠন বিস্তৃত করা হয়েছে এবং সংগঠনকে শক্তিশালী করার একটি প্রতিযোগিতা দেখা যাচ্ছে। এই দক্ষিণপন্থী মৌলবাদী রাজনৈতিক দলটির কর্মীরাই আবার তারাই নির্বাচন কেন্দ্রগুলো পাহারা দিচ্ছে বিভিন্ন ভোটে। যার ফলে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের ভরাডুবি হলেও ভোট সংখ্যা কমে গেলেও হাতপাখা প্রতীক নিয়ে ইসলামী আন্দোলন নির্বাচনে একটা নির্দিষ্ট সংখ্যক ভোট পেয়ে যাচ্ছে। 

গত বছরের ২০টি নির্বাচন পর্যালোচনা করে দেখা যায় এর মধ্যে ১১টি নির্বাচনেই হাতপাখা প্রতীক নিয়ে ইসলামী আন্দোলন জাতীয় পার্টিকে পিছনে ফেলে দিয়েছে। তাহলে আগামী নির্বাচনে কি ইসলামী আন্দোলন নতুন শক্তি হিসেবে আবির্ভূত হতে যাচ্ছে? এর সঙ্গে যদি আবার অন্যান্য ইসলামী দলগুলো যুক্ত হয় তাহলে সেটি  একটি বড় শক্তি হিসেবে কাজ করবে। কোনো কোনো রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন ইসলামী আন্দোলনকে সরকারই পৃষ্ঠপোষকতা দিচ্ছে। শেষ পর্যন্ত যদি আগামী নির্বাচনে বিএনপি অংশগ্রহণ না করে তাহলে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল নির্বাচন করবে এবং সেই নির্বাচনকে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ অবাধ সুষ্ঠু নিরপেক্ষ করা হবে। আর তাতে ইসলামী আন্দোলনের মতো রাজনৈতিক দলগুলো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। 

অনেক রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন যে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের পর আস্তে আস্তে জামাত কোণঠাসা হয়ে পড়েছে এবং ইসলাম পছন্দ অনেক ব্যক্তি ইসলামী আন্দোলনের দিকে ঝুঁকে পড়েছে। এই কারণেই ২০০৯ এর পর থেকে ইসলামী আন্দোলন আস্তে আস্তে বিকশিত হচ্ছে। তবে দলটির নেতাকর্মীরা তা মনে করে না। তারা মনে করে যে উদারনৈতিক ইসলামের প্রচার করে তারা জনগণের কাছাকাছি যাচ্ছে এবং তাদের সংগঠনকে বিস্তৃত করছে।

নির্বাচন   হাতপাখা  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

দলের ভেতর থাকা দুর্বৃত্তদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে যাচ্ছে আওয়ামী লীগ

প্রকাশ: ০৭:০০ পিএম, ১৩ জুন, ২০২৪


Thumbnail

দলের ভেতর থাকা বিভিন্ন রকমের অপকর্ম করছে যে সমস্ত আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা, তাদের বিরুদ্ধে শুদ্ধি অভিযান শুরু করতে যাচ্ছে টানা ক্ষমতায় থাকা দলটি। আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। 

সাম্প্রতিক সময়ে আনার হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন করতে গিয়ে আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরে দুর্বৃত্তদের ব্যাপারে নানারকম চাঞ্চল্যকর তথ্য গণমাধ্যমে আসছে। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা এই সমস্ত ঘটনায় অত্যন্ত বিব্রত। আওয়ামী লীগ মনে করছে, দলের ভেতর থেকে যারা এ ধরনের অপকর্ম করছে তাদের বিরুদ্ধে এখনই ব্যবস্থা নেওয়ার সময়। আর এ কারণেই দলের ভেতরে থেকে যারা বিভিন্ন রকমের অনিয়ম করছে, বিভিন্ন কমিটিতে থেকে যারা দলের সুনাম নষ্ট করছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল সূত্রগুলো বলছে, আগামী ২৩ জুন দলটির ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। এই প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী নিয়ে আওয়ামী লীগের এখন প্রস্তুতি চলছে। ঈদের পর থেকে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর জন্য ব্যস্ত থাকবে দলের নেতৃবৃন্দ। প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর পর থেকেই শুদ্ধি অভিযান শুরু হবে।


সাম্প্রতিক সময়ে ঝিনাইদহর এমপি আনার হত্যাকাণ্ডের পর বেরিয়ে আসতে থাকে আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরীণ কিছু চিত্র। এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িয়ে গেছেন আওয়ামী লীগের কিছু নেতাও। ঘটনাটি যে শুধু ঝিনাইদহের এমনটি নয়, সারা দেশে আওয়ামী লীগের ভেতর এ ধরণের একটি সহিংস গোষ্ঠীর উত্থান ঘটেছে। একটি দুর্বৃত্ত চক্র ক্রমশ বিভিন্ন স্থানে প্রভাবশালী হয়ে উঠেছে বলে মনে করছেন আওয়ামী লীগের নীতি নির্ধারকরা। আর এই কারণেই তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য এখনই উদ্যোগ নেওয়া প্রয়োজন বলেও মনে করছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ইতোমধ্যেই বিষয়টি নিয়ে দলের একাধিক শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে কথা বলেছেন। দলের সাধারণ সম্পাদক এখন সিঙ্গাপুরে অবস্থান করছেন তার চিকিৎসার জন্য। সিঙ্গাপুর থেকে ফিরে আসার পর এ বিষয়ে তিনি সাংগঠনিক সম্পাদক এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ নেতাদের সঙ্গে বসবেন বলে জানা গেছে। 

আওয়ামী লীগের একটি দায়িত্বশীল সূত্র বলছে, প্রতিটি বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক এবং যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকদের দায়িত্ব দেওয়া হবে, তারা যেন তাদের বিভাগে প্রত্যেকটি জেলা, ওয়ার্ডের তালিকা তৈরি করে, যেখানে আওয়ামী লীগের বিভিন্ন নেতাকর্মীরা নানা ধরনের অনিয়ম করছেন, অপকর্ম করছেন। এই তালিকার ভিত্তিতে যাচাই বাছাই করা হবে এবং কার কী ভূমিকা ইত্যাদি নিরীক্ষা করা হবে। এরপর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। 


তবে একাধিক সূত্র বলছে, শুধু মাত্র আওয়ামী লীগের উৎস থেকে তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে না, অন্যান্য বিভিন্ন উৎস থেকেও তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। সাম্প্রতিক সময়ে একটি গোয়েন্দা সংস্থাকেও দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পদে থাকা ব্যক্তিরা কে কী করছেন সে সম্পর্কে খোঁজখবর নেওয়ার জন্য।

আওয়ামী লীগের একাধিক নেতাই মনে করেন টানা ক্ষমতায় থাকার কারণে আওয়ামী লীগের অনেকে এখন দুর্বৃত্ত হিসেবে দাঁড়িয়ে গেছেন। তারা এলাকায় আধিপত্য বিস্তারের চেষ্টা করছেন। ব্যবসা-টেন্ডার সহ নানা রকম সুযোগ সুবিধা আদায়েরও চেষ্টা করছেন। এই সমস্ত বিষয়গুলোকে এখনই না থামালে তা দলের জন্যই ক্ষতিকারক হবে এবং দলের সুনাম নষ্ট করবে। ইতোমধ্যে আনার হত্যাকণ্ডের ঘটনায় আওয়ামী লীগের মধ্যেই নানারকম সমালোচনা হচ্ছে। এ ধরনের লোকরা কীভাবে এতদিন বহাল তবিয়তে ছিলেন সে নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। আর এ কারণেই আওয়ামী লীগ এখন দলের ভেতর থাকা দুর্বৃত্তদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে যাচ্ছে বলে জানা গেছে।

আওয়ামী লীগ   অপকর্ম   প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী   আনার হত্যাকাণ্ড  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

বিএনপিতে হঠাৎ আলোচনায় সিঁথি

প্রকাশ: ০৬:০০ পিএম, ১৩ জুন, ২০২৪


Thumbnail

শর্মিলা রহমান সিঁথি প্রয়াত আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী। তিনি থাকেন লন্ডনে। তার দুই সন্তান সেখানেই লেখাপড়া করেন। তারেক জিয়ার সাথে তার সম্পর্ক খুব একটা ভালো না। কিন্তু বেগম খালেদা জিয়া তাকে অত্যন্ত পছন্দ করেন। বিভিন্ন সময়ে বেগম খালেদা জিয়ার অসুস্থতার সময় তিনি লন্ডন থেকে ঢাকায় ছুটে এসেছেন। এবার ঈদেও তিনি ঢাকায় আসছেন এবং রাজনীতিতে তার মনোযোগ বাড়ছে—এমন গুঞ্জন উঠেছে বিএনপির মধ্যে। বিএনপিতে এখন নতুন করে সিঁথিকে নিয়ে চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। 

তারেক জিয়াকে নিয়ে যখন বিএনপিতে তীব্র সমালোচনা এবং তার নেতৃত্ব নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে সে সময় বেগম খালেদা জিয়ার আগ্রহেই সিঁথিকে সামনে আনা হয়েছে কি না তা নিয়ে গুঞ্জন চলছে বিএনপির বিভিন্ন অঙ্গনে। সাম্প্রতিক সময়ে শর্মিলা রহমান সিঁথি বিএনপির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দের সাথে কথা বলছেন। গত দুই দিনে তিনি স্থায়ী কমিটির অন্তত পাঁচ জন সদস্যের সাথে কথা বলেছেন। যদিও স্থায়ী কমিটির একজন সদস্য শর্মিলা রহমান সিঁথির সঙ্গে কথা বলার বিষয়টি স্বীকার করে বলেছেন এটি বেগম খালেদা জিয়ার অসুস্থতা এবং চিকিৎসা বিষয়ে, রাজনৈতিক বিষয়ে নয়। 


তবে বিভিন্ন সূত্র বলছে, রাজনীতিতে শর্মিলা সিঁথির যেমন আগ্রহ বাড়ছে তেমনি বেগম খালেদা জিয়াও তাকে রাজনৈতিক বিষয়ে মনোযোগ দেয়ার ব্যাপারে প্রশ্রয় দিচ্ছেন। সাম্প্রতিক সময়ে অন্তত দুটি কমিটি গঠনের ক্ষেত্রে শর্মিলা সিঁথিকে অগ্রাধিকার দেয়া হয়েছে। এছাড়াও শর্মিলা সিঁথি এখন সাংগঠনিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে খোঁজ-খবর নিচ্ছেন এবং দলের কর্মসূচি কি ধরনের হওয়া উচিত তা নিয়ে বার্তা দিচ্ছেন। 

সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে যে, সিঁথি ঈদের ছুটিতে ঢাকায় আসছেন এবং বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে ঈদুল আজহা পালন করবেন। এসময় তিনি রাজনীতিতে আরও মনোযোগী হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। উল্লেখ্য যে, তারেক জিয়ার স্ত্রী ডা. জোবাইদা রহমান একজন চিকিৎসক। তিনি চিকিৎসক হলেও বেগম খালেদা জিয়ার দীর্ঘ কারাবাস এবং অসুস্থতার মধ্যে একবারও আসেননি। এমনকি তারেক জিয়ার পরিণত কন্যা জাইমা রহমানও এসময় দাদির কাছে আসেননি। দাদির খোঁজ খবরও খুব একটা নেননি। এই পুরো সময়ে একমাত্র শর্মিলা সিঁথি নানারকম ঝুঁকি নিয়ে দেশে এসেছেন এবং বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে বঙ্গবন্ধু মেডিকেল হাসপাতালে এমনকি এভারকেয়ার হাসপাতালে থেকেছেন, সেবা করেছেন। 

 
বিভিন্ন দায়িত্বশীল সূত্রগুলো বলছে, শাশুড়ির প্রতি সিঁথির এই ভালোবাসা এবং দায়িত্ববোধ বেগম জিয়াকে মুগ্ধ করেছে। বিএনপি নেতাদের মধ্যেও সিঁথি নতুন করে সম্মান কুঁড়িয়েছেন। আর একারণেই তার গ্রহণযোগ্যতা এখন তারেক জিয়ার চেয়ে কোন অংশে কম না বলে মনে করছে অনেকে।
 
উল্লেখ্য, শর্মিলা সিঁথি বিএনপির রাজনীতিতে নতুন নন। তার বাবা বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন। আর একারণেই শেষ পর্যন্ত যদি সিঁথি বিএনপির নেতৃত্বের গুরুত্বপূর্ণ জায়গা দখল করেন তবে অবাক হওয়ার কিছু থাকবেনা। তবে বিভিন্ন সূত্রগুলো বলছে শর্মিলা সিঁথির সঙ্গে তারেক জিয়ার সম্পর্ক ভালো নয়। বিশেষ করে আর্থিক বিষয় নিয়ে তাদের মধ্যে বিরোধ রয়েছে। আর এই বিরোধের কারণেই সিঁথি এখন বিএনপির রাজনীতিতে সক্রিয় হতে চাচ্ছেন। এটি তারেক জিয়ার সঙ্গে তার দেনা পাওনার জন্য একটি মনস্তাত্বিক চাপ বলে অনেকে মনে করছেন। 

শর্মিলা রহমান সিঁথি   বিএনপি   খালেদা জিয়া   তারেক জিয়া  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

দুর্নীতির বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে: নানক

প্রকাশ: ০৪:০৮ পিএম, ১৩ জুন, ২০২৪


Thumbnail

আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য এবং পাট ও বস্ত্রমন্ত্রী অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেছেন, দুর্নীতির বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ থেকে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। যেই দুর্নীতি করেছে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছেন। কিন্তু বিএনপির নেতারা এই নজির সৃষ্টি করতে পারেননি।

বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

নানক বলেন, হাওয়া ভবনের তারেক রহমান হাজার হাজার কোটি টাকা অর্থ পাচার করেছেন। লন্ডনে বসে রাজপ্রাসাদ থেকে দেশের টাকা লুটপাট করে উপভোগ করছেন।

বস্ত্রমন্ত্রী বলেন, ফখরুল সাহেবের ভেতরের কথা বের হয়ে গেছে। আওয়ামী লীগের সরকার বিএনপির প্রধান শত্রু। কারণ এই সরকার জনগণের সরকার , এই সরকার অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশের সরকার, এ সরকার দেশের উন্নয়নের সরকার। কারণ এই সরকার আপনাদের (বিএনপি) বন্ধু একাত্তরের মানবতাবিরোধী ওই যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করেছে, বিচারের রায় কার্যকর করেছে।

আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আমাদের শুধু ঢেকুর দিলে চলবে না। আমরা পঞ্চমবারের মতো সরকার গঠন করেছি। সতর্ক থাকতে হবে। বিএনপি-জামায়াত জনগণের সমর্থন না পেয়ে আন্দোলনে ব্যর্থ হয়েছে। এখন তারা নতুন করে ষড়যন্ত্রের পথ খুঁজছে।

আলোচনা সভায় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম বলেন, ষড়যন্ত্রকারীরা এখনো থেমে নেই। সেই পরাজিত শক্তি দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে। তাদেরকে মোকাবিলা করতে গেলে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।

ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা বেনজীর আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক পনিরুজ্জামান তরুন। এ সময় ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।


দুর্নীতি   জাহাঙ্গীর নানক  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

আজ মোহাম্মদ নাসিমের চতুর্থ মৃত্যুবার্ষিকী

প্রকাশ: ০৩:২০ পিএম, ১৩ জুন, ২০২৪


Thumbnail

বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ, আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সাবেক সদস্য, কেন্দ্রীয় ১৪ দলের সাবেক সমন্বয়ক ও সাবেক মন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিমের চতুর্থ মৃত্যুবার্ষিকী আজ বৃহস্পতিবার। ২০২০ সালের ১৩ জুন ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। 

মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক সংগঠন বিস্তারিত কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে-প্রয়াতের কবরে শ্রদ্ধা নিবেদন, মিলাদ ও দোয়া মাহফিল, আলোচনা সভা, গরিবদের মাঝে খাবার বিতরণ।

১৯৪৮ সালের ২ এপ্রিল সিরাজগঞ্জ জেলার কাজীপুর উপজেলায় জন্মগ্রহণ করেন মো. নাসিম। তার পিতা শহীদ ক্যাপ্টেন এম. মনসুর আলী বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঘনিষ্ঠ সহচর ছিলেন। তিনি ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের প্রাক্কালে মেহেরপুরের বৈদ্যনাথতলার আম্রকাননে গঠিত বাংলাদেশ সরকারে অর্থ, শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের এবং স্বাধীনতা পরবর্তী বঙ্গবন্ধু সরকারের মন্ত্রিসভায় প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। জাতীয় চার নেতার অন্যতম এম. মনসুর আলী ৩ নভেম্বর জেলখানায় ঘাতকদের হাতে নিহত হন। 

মোহাম্মদ নাসিমের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে তার জন্মস্থান সিরাজগঞ্জের কাজিপুর থানা আওয়ামী লীগ আয়োজিত মিলাদ মাহফিল ও আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছে। বিকেল ৩টায় সিরাজগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগ আলোচনা সভা ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করে। 

মোহাম্মদ নাসিম ১৯৮৬, ১৯৯১, ১৯৯৬ ও ২০০১, ২০১৪ ও ২০১৮ সালে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তিনি বিভিন্ন সময় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ, স্বরাষ্ট্র, গৃহায়ন ও গণপূর্ত এবং ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ছিলেন। তিনি ১৪ দলীয় জোটের মুখপাত্রও ছিলেন।


রাজনীতিবিদ   নাসিম   মৃত্যুবার্ষিকী  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

আওয়ামী লীগ আমাদের প্রধান শত্রু: মির্জা ফখরুল

প্রকাশ: ০৭:২৩ পিএম, ১২ জুন, ২০২৪


Thumbnail

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, এই সরকার (আওয়ামী লীগ) আমাদের প্রধান শত্রু। তারা দেশের সবকিছু ধ্বংস করে ফেলেছে। আমাদের সুর একটাই, এই সরকারকে সরিয়ে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করা। আন্দোলন চলছে, আন্দোলন চলবে। শিগগিরই আমাদের আন্দোলন আরও বেগবান হবে। আমরা সব দল (সমমনা) একত্রিত হতে পেরেছি। কিভাবে এই সরকারকে সরাতে পারি, কিভাবে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করতে পারি, সেই লক্ষ্যেই আমরা সংগ্রাম করছি। 

বুধবার (১২ জুন) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি আয়োজিত মতবিনিময় সভায় মির্জা ফখরুল এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, দেশে সর্বগ্রাসী সংকট চলছে। একদিকে রাজনৈতিক সংকট আরেকদিকে অর্থনৈতিক সংকট। গণতন্ত্রের লেবাসে রাজনীতির কাঠামো শেষ করে একদলীয় শাসন তৈরি করেছে সরকার। এ অবস্থার পরিবর্তনের জন্য তরুণদের এগিয়ে আসতে হবে।

এই সরকারের অপকীর্তি স্বল্প সময়ে বলে শেষ করা যাবে না উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, এই সরকার প্রথম সর্বনাশ করেছে বাংলাদেশের রাজনৈতিক কাঠামো ধ্বংস করে। আগেও করেছিল, এবার করেছে একটু ভিন্ন কায়দায়। এখন একটু শিক্ষিত হয়েছে, ছদ্মবেশী আবরণ দিয়ে, গণতন্ত্রের লেবাস পরিয়ে দিয়ে দেশের রাজনৈতিক কাঠামো ধ্বংস করেছে। ফখরুল বলেন, আওয়ামী লীগ একটি একদলীয় ফ্যাসিবাদী শাসন প্রতিষ্ঠা করেছে।

তিনি বলেন, এখন কিন্তু দেশের প্রখ্যাত অর্থনীতিবিদরাও কথা বলতে শুরু করেছেন। তারা দেখছেন, যদি আওয়ামী লীগের এরকম ফ্যাসিবাদ চলতেই থাকে তাহলে এই দেশের আর কোনো অস্তিত্ব থাকবে না।

আওয়ামী লীগ   মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন