সাবেক রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ বলেছিলেন, রাজনীতি এখন রাজনীতিবিদদের হাতে নাই। আর রাজনীতি যখন রাজনীতিবিদদের কাছে থাকবে না, তখন রাজনীতির দুর্দিন শুরু হবে।- তার এই আশঙ্কাই যেন বাংলাদেশে আস্তে আস্তে সত্য প্রমাণিত হতে যাচ্ছে। গণতান্ত্রিক বিধি ব্যবস্থা, নির্বাচন এবং জনগণের অধিকারকে তামাশা বানানো হচ্ছে। রাজনীতিকে খেলো এবং হাস্যরসের একটি বিষয়ে পরিণত করা হচ্ছে পরিকল্পিতভাবে। যারা বাংলাদেশে বিরাজনীতিকে লালন করেন, যারা বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে ধ্বংস করতে চান, তারা ধীরে ধীরে রাজনীতিবিদদেরকে কোণঠাসা করে রাজনীতিবিদদেরকে খেলো করার চেষ্টা করছেন। সেই খেলো করার একটি নাটক মঞ্চস্থ হতে যাচ্ছে ঢাকা-১৭ আসনের উপ-নির্বাচনে।
এই উপ-নির্বাচনে প্রার্থী হিসেবে মোহাম্মদ এ আরাফাতের নাম ঘোষণা করেছে ইতিমধ্যে আওয়ামী লীগ। মোহাম্মদ আরাফাত একজন সজ্জন, শিক্ষিত ব্যক্তি। বিভিন্ন টকশোতে তিনি আওয়ামী লীগের পক্ষে কথা বলেন। সুচিন্তা ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে তিনি আওয়ামী লীগ সরকারের একজন থিংকট্যাঙ্ক হিসেবে পরিচিতি পেয়েছেন। কিন্তু একজন বুদ্ধিজীবী বা থিংকট্যাঙ্ক আর রাজনীতির মাঠের কর্মী সম্পূর্ণ আলাদা জিনিস। আওয়ামী লীগ হয়তো বিভিন্ন বিষয় বিবেচনা করেই আরাফাতকে গুলশানের আসনে মনোনয়ন দিয়েছে। তার অন্যতম একটি বিবেচনার বিষয় হলো, আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে দৃষ্টি আকর্ষণ করা। মোহাম্মদ এ আরাফাত যেহেতু উচ্চ শিক্ষিত এবং ঢাকা-১৭ আসনটি মূলত কূটনৈতিক পাড়ার মধ্যে অবস্থিত। এ কারণেই তাকে মনোনয়ন দিয়ে, অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ নির্বাচন করে একটি দৃষ্টান্ত স্থাপন করার কৌশল থেকেই আওয়ামী লীগ হয়তো মোহাম্মদ এ আরাফাতকে মনোনয়ন দিয়েছে।
কিন্তু তার এ মনোনয়ন গুলশান, বনানী, বারিধারা ইত্যাদি এলাকার আওয়ামী লীগ নেতাদের মধ্যে এক ধরনের হতাশা তৈরি করেছে। অনেকেই মনে করছেন, গুলশান, বনানী, বারিধারা এলাকার জনগণকে আরাফাত কতটুক চেনেন। জনগণতো দূরের কথা- এখানে আওয়ামী লীগের কর্মীদেরকেই বা আরাফাত কতটুকু চেনেন। রাজনীতিতে এরকম হঠাৎ করে প্রার্থী হওয়াটা নিয়ে আওয়ামী লীগের মধ্যে এখন হতাশা প্রকাশ্য রূপ ধারন করেছে। বিশেষ করে এই গুরুত্বপূর্ণ আসনে আওয়ামী লীগের বহু ত্যাগী, পরীক্ষিত নেতা রয়েছেন, যারা দীর্ঘদিন ধরে লড়াই-সংগ্রাম এবং আন্দোলনের মধ্যে আছেন। যারা এই নির্বাচনী এলাকার পথ-ঘাট অলিগলি সব চেনেন- তাদের বাদ দিয়ে আরাফাতের মনোনয়নের মধ্য দিয়ে রাজনীতিকে একটি এলিট শ্রেণীতে তুলে দেওয়া হলো কি না- সেই প্রশ্ন ওঠেছে।
কিন্তু মোহাম্মদ এ আরাফাতকে যখন মনোনয়ন দেওয়া হলো, তার পর পরই হিরো আলম ঘোষণা দিয়েছেন, তিনি গুলশান আসনে উপ-নির্বাচন করবেন। তিনি বগুড়ার একটি আসনের উপ-নির্বাচনে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই করে শেষ পর্যন্ত পরাজিত হয়েছিলেন। এই সময়ে বাংলাদেশের রাজনীতিতে এক ধরনের অশুভ ইন্ধন এবং প্রবণতা প্রকাশ্য হয়। হিরো আলম একজন ইউটিউবার বা শোবিজে কাজ করা ব্যক্তি। কিন্তু তার যে সমস্ত কর্মকাণ্ড- তা নিয়ে মানুষের মধ্যে হাস্য-তামাশাই বেশি হয়। মানুষ একটু কৌতুক বিনোদনের জন্যই হিরো আলমকে দেখেন এবং তার ভিডিও কন্টেন্টগুলো উপভোগ করেন। সেই হিরো আলমকে রাজনীতিতে কারা আনছে বা কিভাবে আনা হচ্ছে - তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠেছে।
বগুড়ার উপ-নির্বাচনে দেখা গেছে, বিএনপি হিরো আলমকে জয়ী করার জন্য কাজ করেছিল। হিরো আলমকে সংসদে এনে বিএনপি কি প্রমাণ করতে চেয়েছিল? সংসদকে একটি খেলো, কৌতুকের জায়গা হিসেবেই প্রমাণ করার জন্যই বিএনপি এই ধরনের প্রবণতার মধ্যে গিয়েছিল? এবার গুলশানে হিরো আলমকে প্রার্থী করার ক্ষেত্রে কারা উদ্যোগী হয়েছেন? কারণ একজন সংসদ সদস্য পদে স্বতন্ত্রভাবে দাঁড়ালে তাকে এক শতাংশ ভোটারের স্বাক্ষর সংগ্রহ করতে হয়। হিরো আলম গুলশানের বাসিন্দা নয়। কাজেই এই চার লক্ষ লোকের অধ্যুষিত গুলশানে তাকে চার হাজার স্বাক্ষর জোগাড় কতে হচ্ছে। এটি কিভাবে তিনি করতে পারছেন?
এটি তিনি করতে পারছেন- কারণ কেউ কেউ তাকে সহায়তা দিচ্ছেন। যারা রাজনীতিকে কলুষিত করতে চান, রাজনীতিকে বিপন্ন করতে চান, রাজনীতিকে জনগণের কাছে এক ধরনের তামাশায় পরিণত করতে চান, তারা এটি করছেন। রাজনীতি রাজনীতিবিদদের হাতেই থাকা উচিৎ। রাজনীতিবিদরাই এই দেশকে এগিয়ে নিয়েছেন। রাজনীতিবিদরাই ৫২’র ভাষা আন্দোলন করেছেন, একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ করেছেন এবং বাংলাদেশকে আজকের জায়গায় নিয়ে আসার ক্ষেত্রে রাজনীতিবিদরাই সবচেয়ে বড় অবদান রেখেছেন। কিন্তু সেই রাজনীতিবিদদেরকেই এখন অপাংক্তেয় করা হচ্ছে এবং সর্বশেষ হিরো আলমকে প্রার্থী করার মধ্যে দিয়ে রাজনীতির প্রতি যেন চরম উপেক্ষার একটি পরিকল্পিত নীল নকশার বাস্তবায়ন চলছে।
মন্তব্য করুন
আজিজ আহমেদ মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
ওবায়দুল কাদের আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক
মন্তব্য করুন
আম আদমি পার্টির নেতা অরবিন্দ কেজরিওয়ালের একটি বক্তব্যকে নিয়ে বিএনপির উচ্ছ্বাস লক্ষ্য করা যাচ্ছে। ভারতের লোকসভা নির্বাচনে সাম্প্রতিক সময়ে আম আদমি পার্টির জামিনে মুক্তি পাওয়া এই নেতার একটি বক্তব্য বিএনপি তাদের নিজস্ব ইউটিউব চ্যানেলে শেয়ার করেছে। অরবিন্দ কেজরিওয়াল বক্তার বক্তব্য রাখতে গিয়ে বাংলাদেশের নির্বাচন প্রসঙ্গ তুলেছেন। তিনি রাশিয়ার উদাহরণ দিয়েছেন। রাশিয়া নির্বাচনে পুতিন একচ্ছত্রভাবে বিরোধী দল দমন করে বিজয়ী হয়েছেন বলে অরবিন্দ কেজরিওয়াল উল্লেখ করেছেন। বাংলাদেশের নির্বাচনে শেখ হাসিনা সকল বিরোধী দলের নেতাদেরকে গ্রেপ্তার করে নির্বাচনে জয়ী হয়েছেন বলেও অরবিন্দ কেজরিওয়াল দাবি করেছেন। তিনি পাকিস্তানে ইমরান খানকে গ্রেপ্তার করে তার দলের প্রতীক কেড়ে নিয়ে নির্বাচনে ক্ষমতাসীনরা বিজয়ী হয়েছেন বলে উল্লেখ করেছেন।
অরবিন্দ কেজরিওয়াল আসলে সমালোচনার তীর ছুড়েছেন নরেন্দ্র মোদীর দিকে। পাকিস্তান এবং বাংলাদেশকে অনুসরণ করে নরেন্দ্র মোদী ক্ষমতা কুক্ষিগত করতে চান বলেও আম আদমি পার্টির এই নেতা তার বক্তব্যে উল্লেখ করেছেন। আর এই বক্তব্য নিয়েই বিএনপির মধ্যে উচ্ছ্বাস লক্ষ্য করা গেছে। বিএনপির নেতারা শুধু ইউটিউবেই এটি রিপোস্ট করেনি, তারা তাদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক এবং টুইটারেও এই বক্তব্যের ভিডিও ছড়িয়ে দিয়েছে।
সাম্প্রতিক সময়ে বিশেষ করে ৭ জানুয়ারি নির্বাচনের পর বিএনপির মধ্যে এক ধরনের ভারত বিরোধী প্রবণতা লক্ষ্য করা গিয়েছিল। ভারতের সমালোচনা করা এবং ভারত এই সরকারকে টিকিয়ে রেখেছে এমন বক্তব্য বিএনপি নেতাদের মধ্যে দেখা যাচ্ছিল। যদিও ইন্ডিয়া জোটের প্রধান শরিক কংগ্রেস তাদের নির্বাচনী ইস্তাহারে বাংলাদেশের সাথে সম্পর্ককে এগিয়ে নেওয়ার বার্তা দিয়েছেন এবং সম্পর্ক আরও গভীর করার বার্তা দিয়েছেন। ভারতের অন্য একটি প্রভাবশালী রাজনৈতিক দল তৃণমূল কংগ্রেসও আওয়ামী লীগ এবং বর্তমান সরকারের সমর্থক। বিজেপি গত এক দশকে বাংলাদেশের সাথে সম্পর্ককে নতুন মাত্রায় নিয়ে গেছে। এরকম অবস্থায় ভারতের নির্বাচনে যে ফলাফলই হোক না কেন বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্কের ক্ষেত্রে তেমন কোন ব্যত্যয় হবে না বলেই কূটনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করেন।
এর মধ্যে আম আদমি পার্টির বক্তব্য নিয়ে বিএনপির উচ্ছ্বাস নিয়ে অনেকেই নানারকম টীকা-টিপ্পনি কেটেছেন। কেউ কেউ মনে করেন যে, এর আগে যখন কংগ্রেসকে হারিয়ে নরেন্দ্র মোদী প্রথমবার ক্ষমতায় এসেছিলেন তখনও বিএনপির মধ্যে উৎসব উৎসব ভাব সৃষ্টি হয়েছিল। বিএনপি নেতারা মিষ্টিমুখ করিয়েছিলেন। তাদের ধারণা ছিল যে, কংগ্রেস চলে গেলেই আওয়ামী লীগের উপর চাপ সৃষ্টি হবে। কিন্তু বাস্তবে দেখা গেছে, বিজেপির সরকার ক্ষমতা গ্রহণ করার পর দুই দেশের সম্পর্ক আরও গভীর হয়েছে। এখন কেজরিওয়ালের নির্বাচনের মাঠের বক্তব্যকে নিয়ে বিএনপি আশায় বুক বেঁধে আছে। মুখে মুখে ভারত বিরোধীতা করলেও ভারতের অনুগত এবং ভারতের আস্থাভাজন হওয়ার জন্য বিএনপি কম চেষ্টা করেনি।
আর এখনও বিএনপি যে ভারতের সাথে ঘনিষ্ঠ হতে চায় তার প্রমাণ পাওয়া গেল অরবিন্দ কেজরিওয়ালের বক্তব্যকে নিজেদের দলের ইউটিউব চ্যানেলে প্রকাশ করে। কিন্তু বিএনপি নেতারা ভুলে গেলেন যে, একজন রাজনৈতিক নেতার রাজনৈতিক বক্তব্য, আর ক্ষমতায় এসে তার প্রশাসনিক কর্মকাণ্ড- দুটি সম্পূর্ণ ভিন্ন। দেউলিয়া রাজনীতির কারণে বিএনপি সবসময় অন্যের দিকে তাকিয়ে থাকে আওয়ামী লীগকে কোণঠাসা করার জন্য। সাম্প্রতিক সময়ে কেজরিওয়ালের বক্তব্য বিএনপির ইউটিউবে ছাড়ার মধ্য দিয়ে সেই দেউলিয়াত্ব আরেকবার প্রকাশিত হল বলেই মনে করেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।
বিএনপি মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অরবিন্দ কেজরিওয়াল রুহুল কবির রিজভী
মন্তব্য করুন
চীনা কমিউনিস্ট পার্টির আমন্ত্রণে দেশটিতে বিশেষ প্রশিক্ষণ নিতে যাচ্ছে আওয়ামী লীগের সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের নেতা-কর্মীরা। চলতি মাসের শেষের দিকে ৫০ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল চীনে যাবে।
গণপ্রজাতন্ত্রী চীন প্রতিষ্ঠার ৭৫ বছরপূর্তি উদযাপন উপলক্ষে এই প্রশিক্ষণ কর্মসূচি আয়োজন করা হয়েছে। এই সফর কর্মসূচির লক্ষ্য আওয়ামী লীগের সঙ্গে চীনের কমিউনিস্ট পার্টির দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কোন্নয়ন এবং মতবিনিময়।
দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের গত ১৪ এপ্রিল এক চিঠিতে চীনের কমিউনিস্ট পার্টির কাছে ৫০ সদস্যের একটি তালিকা পাঠিয়েছেন। এতে আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, মহিলা আওয়ামী লীগ, যুব মহিলা লীগ, ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন ছাত্রলীগ ও মহিলা শ্রমিক লীগ এবং আওয়ামী লীগের ডেটাবেজ টিমের সদস্যরা রয়েছেন।
দলীয় একাধিক সূত্র মতে, আওয়ামী লীগের প্রতিনিধি দলটিকে চীনের কমিউনিস্ট পার্টি সংগঠন গড়ে তোলা, সুশাসন, ইতিহাসসহ নানা বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেবে।
৫০ সদস্যের প্রতিনিধি টিমে রয়েছেন:
আওয়ামী যুব লীগ:
সহ সভাপতি মৃনাল কান্তি জোয়ারদার ও তাজউদ্দীন আহমদ; যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ বদিউল আলম; সাংগঠনিক সম্পাদক হেলাল উদ্দিন, মো জহির উদ্দিন, প্রচার সম্পাদক জয়দেব নন্দী, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ক সম্পাদক কাজী সারোয়ার হোসেন, উপ আন্তর্জাতিক সম্পাদক মো সাফেড আসফাক আকন্দ।
আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ:
স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি গাজী মেজবাউল হোসেন, সাধারণ সম্পাদক আফজালুর রহমান, সহ সভাপতি আব্দুল রাজ্জাক, তানভীর শাকিল জয় এমপি, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোবাশ্বের চৌধুরী, একেএম আজিম, সাংগঠনিক সম্পাদক আবুল ফজল মো নাফিউল করিম, আবদুল্লাহ আল সায়েম৷
বাংলাদেশ মহিলা আওয়ামী লীগ:
যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শিরিন রোকসানা, মিনা মালেক, সুলতানা রেজা, মিসেস রোজিনা নাসরিন, নীলিমা আক্তার লিলি, সাংগঠনিক সম্পাদক ঝর্না বাড়ুই, মরিয়ম বিনতে হোসেন, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মেহেনিগার হোসেন।
বাংলাদেশ যুব মহিলা লীগ:
সভাপতি আলেয়া সারোয়ার, সাধারণ সম্পাদক শারমিন সুলতানা, সহ সভাপতি বিনা চৌধুরী, রাফিয়া আক্তার, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বিউটি কানিজ, সাংগঠনিক সম্পাদক নিলুফার ইয়াসমিন।
মহিলা শ্রমিক লীগ:
সভাপতি সুরাইয়া আক্তার, সাধারণ সম্পাদক কাজী রহিমা আক্তার, কার্যকরী সভাপতি শামসুর নাহার, সহ সভাপতি মেহেরুন নেসা, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জিনাত রেহেনা নাসরিন।
বাংলাদেশ ছাত্রলীগ:
সহ সভাপতি মো. রাকিবুল হাসান, কুহিনূর আক্তার, খাদেমুল বাশার জয়, খন্দকার মো আহসান হাবিব, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো হোসাইন আহমেদ, মো আবদুল্লাহ হিল বারী, এসডিজি বিষয়ক সম্পাদক রাইসা নাহার, সাংস্কৃতিক সম্পাদক জান্নাতুল হাওয়া আখি।
ডেটাবেজ টিম মেম্বার, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ:
মো নুরুল আলম প্রধান, সাজ্জাদ সাকিব বাদশা, কাজী নাসিম আল মমিন, জাফরুল শাহরিয়ার জুয়েল, অদিত্য নন্দী, মো. সাদিকুর রহমান চৌধুরী, সাব্বির আহমেদ।
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। ইতোমধ্যে তিনি একটি হ্যাটট্রিক করেছেন। টানা তিন তিনবার আওয়ামী লীগের মতো একটি ঐতিহ্যবাহী প্রাচীন রাজনৈতিক দলের সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানই একমাত্র যিনি আওয়ামী লীগের তিনবার বা তার বেশি সাধারণ সম্পাদক হয়েছিলেন। এখন ওবায়দুল কাদেরও আওয়ামী লীগের টানা তিনবারের সাধারণ সম্পাদক। এবার তিনি আরেক রকম হ্যাটট্রিক করলেন।
আম আদমি পার্টির নেতা অরবিন্দ কেজরিওয়ালের একটি বক্তব্যকে নিয়ে বিএনপির উচ্ছ্বাস লক্ষ্য করা যাচ্ছে। ভারতের লোকসভা নির্বাচনে সাম্প্রতিক সময়ে আম আদমি পার্টির জামিনে মুক্তি পাওয়া এই নেতার একটি বক্তব্য বিএনপি তাদের নিজস্ব ইউটিউব চ্যানেলে শেয়ার করেছে। অরবিন্দ কেজরিওয়াল বক্তার বক্তব্য রাখতে গিয়ে বাংলাদেশের নির্বাচন প্রসঙ্গ তুলেছেন। তিনি রাশিয়ার উদাহরণ দিয়েছেন। রাশিয়া নির্বাচনে পুতিন একচ্ছত্রভাবে বিরোধী দল দমন করে বিজয়ী হয়েছেন বলে অরবিন্দ কেজরিওয়াল উল্লেখ করেছেন। বাংলাদেশের নির্বাচনে শেখ হাসিনা সকল বিরোধী দলের নেতাদেরকে গ্রেপ্তার করে নির্বাচনে জয়ী হয়েছেন বলেও অরবিন্দ কেজরিওয়াল দাবি করেছেন। তিনি পাকিস্তানে ইমরান খানকে গ্রেপ্তার করে তার দলের প্রতীক কেড়ে নিয়ে নির্বাচনে ক্ষমতাসীনরা বিজয়ী হয়েছেন বলে উল্লেখ করেছেন।