ইনসাইড পলিটিক্স

গোপনে আবারও সংগঠিত হচ্ছে জামায়াত

প্রকাশ: ০৯:৫৫ পিএম, ১৪ জুন, ২০২৩


Thumbnail

জামায়াত ইসলামী বিলুপ্তির পথে, বিগত ১৫ বছর ধরে এমন ধারণা তৈরি হলেও গোয়েন্দা তথ্য এবং দলীয় নথি বলছে ভিন্ন কথা। বরং বাংলাদেশের স্বাধীনতা বিরোধী এই ইসলামী দলটি গোপনে আরও বড় এবং সংগঠিত হচ্ছে। 

পুলিশের একটি গোয়েন্দা রিপোর্টের তথ্য অনুসারে, ২০০৮ সালে দলটির স্থায়ী সদস্য সংখ্যা ছিল ২৩,৮৬৩। কিন্তু এই সংখ্যা এখন তিন গুনেরও বেশি বৃদ্ধি পেয়ে ৭৩,০৪৬ জনে দাঁড়িয়েছে। 

গোয়েন্দা তথ্যমতে, দলটির কর্মী সংখ্যাও প্রায় তিনগুন বৃদ্ধি পেয়েছে। ২.২১ লক্ষ থেকে বেড়ে ইসলামী এই দলটির কর্মী সংখ্যা এখন ৬.৩৯ লক্ষ।

সম্প্রতি পুলিশের অনুমতি পেয়ে রাজধানী ঢাকায় সমাবেশ করার পর আবারও আলোচনায় এসেছে জামায়াত। ১০ বছরের মধ্যে প্রথমবারের মতো দলটিকে এমন অনুমতি দেওয়া হয়েছে। 

এ বিষয়ে রোববার কৃষিমন্ত্রী আবদুর রাজ্জাক বলেন, জামায়াতের সমর্থন রয়েছে তাই সরকার দলটিকে সমাবেশের অনুমতি দিয়েছে।

আসন্ন জাতীয় নির্বাচন ও তহবিল নিয়ে জামায়াতের কৌশলও পুলিশের গোয়েন্দা প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, যা সম্প্রতি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে জমা দেওয়া হয়েছে। দলটির গোপন নথি, শীর্ষ নেতাদের জিজ্ঞাসাবাদ এবং দলের নেতাদের মধ্যে যোগাযোগের ভিত্তিতে এটি তৈরি করা হয়েছে।

নথিতে দেখা যায়, দলটির স্থায়ী নারী সদস্যের সংখ্যা প্রায় ৫ গুন বেড়েছে এবং নারী কর্মীদের সংখ্যা বেড়েছে প্রায় ৪গুন।একইভাবে, সহযোগী সদস্য সংখ্যা ২০০৮ সালে ১.০৩ কোটি থেকে এখন ২.২৯ কোটিতে উন্নীত হয়েছে।

দলের সাম্প্রতিক কর্মকাণ্ড সম্পর্কে জানতে চাইলে জামায়াতের নায়েবে আমীর (উপপ্রধান) আবদুল্লাহ মোঃ তাহের বলেন, এক দশকেরও বেশি সময় ধরে আমাদের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড চালানোর অনুমতি দেওয়া হয়নি। তবে আমরা গোপনে আমাদের 'দাওয়াতি' কার্যক্রম চালিয়ে গেছি এবং চালিয়ে যাবো।

দলের সদস্য সংখ্যা, বিশেষ করে নারী সদস্য বৃদ্ধি সম্পর্কে তিনি বলেন, এটা তাদের দাওয়াতি কর্মকাণ্ডের ফল। তারপরও নারীদের তুলনায় পুরুষের সংখ্যা অনেক বেশি, তবে নারী সদস্যের বৃদ্ধির হার বেশি।

২০০৮ সালের ডিসেম্বর থেকে জামায়াত অগণিত চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হয়েছে। ২০১৩-২০১৫ সালে যখন বিএনপি-জামায়াত জোট যখন তীব্র সরকার বিরোধী আন্দোলন করেছিল তখন জামায়াতের অনেক নেতাকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। তবে দলটি সর্বোচ্চ অস্তিত্ব সংকটে পড়েছিল যখন এর বেশির ভাগ শীর্ষস্থানীয় নেতাকে আন্তর্জাতিক যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে বিচার করা হয়েছিল এবং মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছিল।

যুদ্ধাপরাধের বিচারের পর এর শীর্ষস্থানীয় পাঁচ নেতাকে ফাঁসি দেওয়া হয় এবং তিনজন হেফাজতে মারা যায়। দুইজন নেতার বিভিন্ন মেয়াদে সাজা হয়েছে এবং বর্তমানে তারা সাজা কাটছেন।

জামায়াতের ডাটাবেসের তথ্য অনুযায়ী, ৩১ মার্চ পর্যন্ত প্রায় ১,৮৫০ জন জামায়াত নেতা কারাগারে রয়েছেন, যেখানে ১৫ জন জামায়াত নেতা গুমের শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। গত ১২ বছরে প্রায় ২৯৪ জামায়াত কর্মী নিহত হয়েছে বলেও দাবি করেছে দলটি।

১৯৪১ সালে বিতর্কিত ইসলামপন্থী বুদ্ধিজীবী আবুল আলা মওদুদী দ্বারা প্রতিষ্ঠিত, জামায়াতকে তার সাম্প্রদায়িক ভূমিকার জন্য পাকিস্তানে ১৯৫৯ এবং ১৯৬৪ সালে দুইবার নিষিদ্ধ করা হয়েছিল।

এটি সেই দল যারা মুক্তিযুদ্ধের সময় সরাসরি দেশের স্বাধীনতার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছিল এবং মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি ও স্বাধীনতার সমর্থনকারী কর্মীদের উপর নির্বিচারে হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছিল। ১৯৭১ সালে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর সহায়ক বাহিনী আল-বদর বাহিনী শহীদ বুদ্ধিজীবীদের হত্যায় মুখ্য ভূমিকা পালন করে। আল-বদর মূলত মুক্তিযুদ্ধের সময় জামায়াতের ছাত্র সংগঠন ইসলামী ছাত্র সংঘের কর্মীদের নিয়ে গঠিত। 

জামায়াতের সাবেক আমির গোলাম আযমের বিরুদ্ধে তার রায়ে, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ অভিযুক্ত অধ্যাপক গোলাম আযমের নেতৃত্বে জামায়াতে ইসলামী একটি রাজনৈতিক দল হলেও এটি মূলত একটি অপরাধমূলক সংগঠন হিসেবে কাজ করে আসছিল। বিশেষ করে ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় দলটি ব্যাপক অপরাধমূলক কাজের সাথে জড়িত ছিল। 

স্বাধীনতার পর দলটিকে আবার নিষিদ্ধ করা হলেও প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের শাসনামলে দলটিকে আবারও রাজনীতির অনুমতি দেয়া হয়। একাত্তরে জামায়াতের ভূমিকার জন্য দীর্ঘদিন ধরে যুদ্ধাপরাধের শিকার ও তাদের পরিবারের সদস্যরা জামায়াতের বিচারের দাবি করে আসছিলেন।

জামায়াত সূত্রে জানা গেছে, ১৯৭১ সালে তার ভূমিকার জন্য দলটি কখনও অনুশোচনা বা ক্ষমা চায়নি। ২০১৭ সালে ক্ষমা চাওয়ার বিষয়টি দলের মধ্যে আলোচনা হয়েছিল। তবে এ বিষয়ে কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি।

মুক্তিযুদ্ধে জামায়াতের ভূমিকার জন্য ক্ষমা চাওয়া এবং এর গঠনতন্ত্রে পরিবর্তন আনতে ব্যর্থ হওয়ায় ২০১৯ সালে দলের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক দল থেকে পদত্যাগ করেছিলেন।

বিএনপি ১৯৯৯ সালে জামায়াতের সাথে জোট করে এবং ২০০১ সালের জাতীয় নির্বাচনের আগে চারদলীয় জোট গঠন করে। পরবর্তীতে নির্বাচনে নিরঙ্কুশ বিজয়ের পর তারা সরকার গঠন করে এবং খালেদা জিয়ার নেতৃত্বাধীন সরকারে জামায়াতের সাবেক আমির ও সেক্রেটারি জেনারেলকে মন্ত্রী করা হয়।

রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা ব্যবহার করে জামায়াত তখন তাদের সাংগঠনিক কার্যক্রম জোরদার করে। আওয়ামী লীগ সরকারের বিরুদ্ধে ২০১৩-১৫ সালের আন্দোলন ব্যর্থ হওয়ায় এবং এর হিংসাত্মক প্রকৃতির জন্য দেশে এবং বিদেশে সমালোচনার সম্মুখীন হওয়ায় বিএনপিকে জামায়াতের সাথে তাদের সম্পর্কের ক্ষেত্রে কৌশলী হতে হয়েছিল। তবে সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করতে এবং নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবী বাস্তবায়ন করতে দলগুলো আবার তাদের দূরত্ব কমিয়ে একযোগে আন্দোলন চালাতে সম্মত হয়েছে।

২০১৩ সালে রাজনৈতিক দল হিসেবে জামায়াতের নিবন্ধন হাইকোর্ট বেআইনি ঘোষণা করে। এই রায়ের ভিত্তিতে নির্বাচন কমিশন ২০১৮ সালের অক্টোবরে জামায়াতের নিবন্ধন বাতিল করে।

গত অক্টোবরে, বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট পার্টি (বিডিপি), যেটিকে ছদ্মবেশে জামায়াতে ইসলামী বলেই অনেকে বিশ্বাস করে, তারা ইসির কাছে নিবন্ধনের জন্য আবেদন করেছিল।

কয়েকটি গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়, বিডিপির শীর্ষ নেতারা জামায়াতের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। দলটির সাধারণ সম্পাদক জামায়াতের ছাত্র সংগঠন ইসলামী ছাত্রশিবিরের সাবেক নেতা।

এই মাসের শুরুতে, জামায়াতের কয়েকজন সাবেক নেতাদের নিয়ে প্রতিষ্ঠিত আমার বাংলাদেশ পার্টিও রাজনৈতিক দল হিসেবে নিবন্ধনের জন্য আবেদন করেছিল। যদিও বিডিপি এবং আমার বাংলাদেশ কাওকেই নিবন্ধন দেইয়া হয়নি। সমস্ত বাধা সত্ত্বেও, পুলিশের গোয়েন্দা প্রতিবেদনে দলটিকে গত ১৫ বছরে নীরবে সংগঠিত এবং আরও বিস্তৃত হতে দেখা যায়।
চলতি বছরের শেষের দিকে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া আসন্ন জাতীয় নির্বাচন নিয়ে দলটি দ্বৈত নীতি গ্রহণ করেছে।

ইতিমধ্যে ৩০০টি নির্বাচনী এলাকার প্রার্থীদের প্রাথমিক তালিকা এবং এমনকি ১০টি মন্ত্রণালয়ের সম্ভাব্য মন্ত্রী করা হবে সেটির প্রাথমিক তালিকাও প্রস্তুত করেছে দলটি। রাজনৈতিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে তারা চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে বলেও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। প্রার্থী নির্বাচনের ক্ষেত্রে জামায়াতকে ব্যবসায়ী, ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, পুলিশ এবং সাবেক আমলাদের প্রাধান্য দিতে দেখা গেছে। যারা জনপ্রিয় এবং নিজ এলাকায় যথেষ্ট প্রভাবশালী তাদেরকেই নির্বাচন করা হয়েছে। 

ইতোমধ্যে সদস্যদের কাছ থেকে নির্বাচনী তহবিল সংগ্রহও শুরু করেছে দলটি। দলের সদস্যদের নির্বাচনী তহবিল সংগ্রহের জন্য অতিরিক্ত অর্থ প্রদান করতে সারাদেশে তার সমস্ত ইউনিটকে চিঠি দিয়েছে জামায়াত। 

যেসব নির্বাচনী এলাকায় তাদের শক্তিশালী ভিত্তি রয়েছে সেখানে ভোটার বাড়াতে এক অনন্য কৌশল গ্রহণ করেছে সংগঠনটি। শহরেও তারা তাদের ভোটারদের সংঘবদ্ধ করেছে। সাংগঠনিক ভিত্তি প্রসারিত করতে, নতুন সদস্য সংগ্রহ এবং তহবিল সংগ্রহের জন্য বিদেশেও ডানা বিস্তারের চেষ্টা করছে জামায়াত।

পুলিশের নথি অনুযায়ী, জামায়াত গত বছর দেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং বর্তমান সরকারকে "ইসলাম বিরোধী" বলে উল্লেখ করে বিভিন্ন মুসলিম দেশ এবং বিদেশের ইসলামিক সংগঠনকে চিঠি পাঠিয়েছিল। 

সংগঠনটি ৮ ডিসেম্বর মুসলিম ব্রাদারহুডের চেয়ারম্যান, ২৪ নভেম্বর মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী, ৬ নভেম্বর তুরস্কের ওয়েলফেয়ার পার্টির চেয়ারম্যান, ২৪ অক্টোবর তুরস্কের ফেলিসিটি পার্টির সভাপতি, ১৭ অক্টোবর এরদোগান এবং ৩০ সেপ্টেম্বর সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানকে চিঠি লিখেছেন। 

নথি অনুযায়ী, সংগঠনটি অন্য সংগঠনের নামে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা এবং কোন নির্দিষ্ট অফিস না থাকায় দলটি ভাড়া বাসায় তাদের সাংগঠনিক কার্যক্রম পরিচালনা করছে। 

এবং সারাদেশে ওয়াজ মাহফিলের মতো বিভিন্ন ধর্মীয় সভা-সমাবেশের মাধ্যমে দলটি তাদের আদর্শ প্রচার করছে এবং সাংগঠনিক কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। এছাড়া জামায়াতের ছাত্র সংগঠন ইসলামী ছাত্র শিবির মূলত সংগঠনের জন্য কর্মী ও সমর্থকদের নিয়োগের কাজ করে থাকে এবং একটি আদর্শ ইসলামী সমাজ গঠনে প্ররোচিত করে।

জামায়াত  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

২০৪ নেতাকে বহিষ্কার করল বিএনপি

প্রকাশ: ০২:৫৩ পিএম, ১৭ মে, ২০২৪


Thumbnail

চার ধাপে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে পর্যন্ত (তৃতীয় ধাপ) ২০৪ জনকে দল থেকে বহিষ্কার করেছে বিএনপি। দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় তাদের বহিষ্কার করা হয়।

এরমধ্যে তৃতীয় ধাপের নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় তৃণমূলের ৫৫ নেতাকে বহিষ্কার করে বিএনপি। আর প্রথম ধাপে ভোটের জন্য ৮০ জন, দ্বিতীয় ধাপে ৬৯ জনকে বহিষ্কার করে দলটি।

বর্তমান সরকার নির্বাচন কমিশনের অধীনে উপজেলাসহ কোনো নির্বাচনে অংশ না নিচ্ছে না বিএনপি। গত ১৬ এপ্রিল দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলেন, দলের স্থায়ী কমিটির বৈঠকে গৃহীত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, শেখ হাসিনার সরকার তার আজ্ঞাবহ নির্বাচন কমিশন, বেসামরিক পুলিশ প্রশাসন একটি অবাধ, সুষ্ঠু, অংশগ্রহণমূলক গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আয়োজন করতে পারে না। অবাধ, সুষ্ঠু অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠানের পরিবেশ নেই। তাই উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেবে না দল।

দেশে চার ধাপে ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। তফসিল অনুযায়ী, গত মে প্রথম ধাপে ১৩৯টি উপজেলায় ভোট গ্রহণ হয়। এই ধাপের নির্বাচনে বিএনপির বহিষ্কৃত জন চেয়ারম্যান পদে, জন ভাইস চেয়ারম্যান পদে জয়লাভ করে বলেও জানা যায়।

দ্বিতীয় ধাপের ১৬১টি উপজেলা পরিষদের নির্বাচনের ভোট গ্রহণ করা হবে ২১ মে। তৃতীয় ধাপে ১১২টি উপজেলা পরিষদের নির্বাচন ২৯ মে অনুষ্ঠিত হবে। চতুর্থ ধাপের উপজেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে জুন।


বহিষ্কার   বিএনপি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

শক্তিশালী লিয়াজোঁ কমিটি চায় বিএনপির মিত্ররা

প্রকাশ: ১০:৪১ এএম, ১৭ মে, ২০২৪


Thumbnail

সরকারবিরোধী আগামীর আন্দোলন শুরুর আগে কর্মসূচি প্রণয়ন আন্দোলন পরিচালনায় শক্তিশালী লিয়াজোঁ কমিটি চায় বিএনপির মিত্ররা। তারা মনে করে, লিয়াজোঁ কমিটি না থাকায় বিগত আন্দোলন পরিচালনায় এক ধরনের সমন্বয়হীনতা ছিল।

কারণ, যুগপতের সব দল জোটের সঙ্গে বিএনপির পৃথক বৈঠক শেষে তাদের স্থায়ী কমিটিতে কর্মসূচি চূড়ান্ত হওয়াকে যথাযথ প্রক্রিয়া এবং আন্দোলনের সঠিক প্ল্যাটফর্ম বলে মনে করে না শরিকরা, বিশেষ করে গণতন্ত্র মঞ্চ। তাই এবার প্রশ্নে একটা সিরিয়াস মীমাংসা চান মঞ্চের নেতারা।

বিএনপির সঙ্গে বুধবার (১৫ মে) রাতে চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে লিয়াজোঁ কমিটি গঠনের পরামর্শ দিয়ে গণতন্ত্র মঞ্চের নেতারা বলেন, প্রতিটি জোট দল থেকে একজন করে নিয়ে ১০-১২ সদস্যবিশিষ্ট একটি লিয়াজোঁ কমিটি গঠন করতে হবে। সেই লিয়াজোঁ কমিটিতে আলোচনার ভিত্তিতে আন্দোলনের কর্মসূচি প্রণীত হবে। তার আগে নিজ নিজ দল জোটের সিদ্ধান্ত নিয়ে সংশ্লিষ্ট নেতারা বৈঠকে উপস্থিত হবেন।

নব্বইয়ে এরশাদবিরোধী আন্দোলনসহ অতীতের আন্দোলনগুলোতে লিয়াজোঁ কমিটি এভাবে কাজ করেছে। কিন্তু বিগত আন্দোলনে প্রক্রিয়ায় কর্মসূচি প্রণীত হয়নি। পাঁচ-দশ মিনিট আগে মিত্রদের কর্মসূচির বিষয়ে জানানো হতো এবং কর্মসূচির সঙ্গে সহমত না হলেও সেটাই তারা ঘোষণা করতেন। বৈঠক সূত্রে এমন তথ্য জানা গেছে।

যুগপৎ আন্দোলন পুনরুজ্জীবিত করে সরকারের পদত্যাগ নতুন নির্বাচনের দাবিতে ঈদুল আজহার পর মাঠে নামার পরিকল্পনা করছে বিএনপি। সেই আন্দোলনের কর্মকৌশল নির্ধারণে পরামর্শ নিতে গত রোববার থেকে মিত্রদের সঙ্গে ধারাবাহিক বৈঠক করছে দলটি। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের পর ধরনের বৈঠক এবারই প্রথম। এর অংশ হিসেবে বৃহস্পতিবার (১৬ মে) এনডিএম, বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ এবং মিয়া মসিউজ্জামান ফারুক হাসানের নেতৃত্বাধীন গণঅধিকার পরিষদের সঙ্গে বৈঠক করে বিএনপির লিয়াজোঁ কমিটি।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গণতন্ত্র মঞ্চ ছাড়াও এর আগে গত সোমবার বিএনপির সঙ্গে বৈঠকে আন্দোলনের কর্মসূচি প্রণয়নে সমন্বয়হীনতা দূরীকরণে যুগপতের সব দল জোট থেকে দু-একজন করে নিয়ে শক্তিশালী লিয়াজোঁ কমিটি গঠনের ওপর জোর দেন সমমনা জোটের নেতারা।


লিয়াজোঁ   কমিটি   বিএনপি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন: সেদিন কী বলেছিলেন বিএনপির নেতারা

প্রকাশ: ১০:০০ পিএম, ১৬ মে, ২০২৪


Thumbnail

১৯৮১ সালের ১৭ মে। স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। আওয়ামী লীগ সভাপতি স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করেছিলেন এক বৃষ্টিমুখর দিনে। সেই দিনে লাখো মানুষ মানিক মিয়া এভিনিউতে জড়ো হয়েছিল জাতির পিতার কন্যাকে দেখার জন্য। তাদের শোক এবং আবেগ ছিল হৃদয়স্পর্শী। সারা বাংলাদেশ উত্তাল হয়েছিল। জাগরণের এক গান গেয়ে স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করেছিলেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। 

শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের চারদিন পর ২১ মে দ্বিতীয় জাতীয় সংসদের অধিবেশন বসে। ওই অধিবেশন ছিল ৩৪ কার্যদিবসের। মোট ৪১ দিন অধিবেশন চলে। ২১ মে এর অধিবেশন শুরু হওয়ার পরই আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে বিরোধী দলের নেতা আসাদুজ্জামান খান, আওয়ামী লীগ সভাপতির স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের বিষয়টি উত্থাপন করেন এবং বঙ্গবন্ধুর বাসভবন শেখ হাসিনার কাছে ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য দাবি করেন। পয়েন্ট অফ অর্ডারে দাঁড়িয়ে আসাদুজ্জামান খানের এই বক্তব্যের পর শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন নিয়ে অনির্ধারিত আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়েছিল। সেই অনির্ধারিত আলোচনায় বিএনপির অনেক নেতাই টিপ্পনি মূলক ঔদ্ধত্যপূর্ণ এবং আপত্তিকর মন্তব্য করেছিলেন। 

আওয়ামী লীগের নেতাদের পক্ষ থেকে সুধাংশু শেখর হালদার এসব বক্তব্য এক্সপাঞ্জ করে দেওয়ার জন্য স্পিকারকে অনুরোধও জানিয়েছিলেন। এই সময় যে সমস্ত বিএনপির নেতারা পয়েন্ট অফ অর্ডারে দাঁড়িয়ে বক্তব্য রেখেছিলেন তাদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী এবং সংসদ নেতা শাহ আজিজুর রহমান। তিনি বলেছেন, শেখ হাসিনা এখন রাজনীতিতে গুরুত্বহীন। তিনি এসে বাংলাদেশের রাজনীতিতে কোন কিছুই করতে পারবেন না।

শাহ আজিজ এটাও মন্তব্য করেছিলেন যে, বাংলাদেশের মানুষ আর কোনদিন বাকশালে ফিরে যাবে না। আওয়ামী লীগ আর বাংলাদেশে কোনোদিন জনগণের ভোটে নির্বাচিত হতে পারবে না। তিনি আওয়ামী লীগ সরকারের সাড়ে তিন বছরের শাসনামলেরও তীব্র সমালোচনা করেছিলেন। 

এসময় বিএনপির আরেকজন সংসদ সদস্য তৎকালীন পাবনা-২ নির্বাচিত ডা. এম এ মতিন বলেছিলেন, শেখ হাসিনা এবং আওয়ামী লীগ বাংলাদেশের রাজনীতিতে গুরুত্বহীন। স্বাধীনতার পর শেখ মুজিব যা করেছেন তাঁর জন্য আওয়ামী লীগকে ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান জানান জাতীয় সংসদে এই নেতা। 

যশোর-৯ থেকে নির্বাচিত তরিকুল ইসলামও ঐ অনির্ধারিত আলোচনায় অংশ নেন এবং বক্তব্য রাখেন। এই বক্তব্যে তিনি আওয়ামী লীগের সাড়ে তিন বছর শাসনের তীব্র সমালোচনা করেন এবং আওয়ামী লীগের রাজনীতি নিষিদ্ধ করার জন্য দাবি জানান। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ ঐতিহাসিকভাবে দিলীন হয়ে গেছে। কাজেই আওয়ামী লীগকে বাংলাদেশে আর রাজনীতি করার সুযোগ দেওয়া যায় না। তিনি শেখ হাসিনার বিচারও দাবি করেছিলেন। 

এই অনির্ধারিত আলোচনায় অংশগ্রহণ করে বিএনপির আরেক নেতা তৎকালীন ঢাকা-২৮ থেকে নির্বাচিত আব্দুল মতিন চৌধুরীও আওয়ামী লীগ সরকারের কঠোর সমালোচনা করেছিলেন এবং আওয়ামী লীগের রাজনীতি নিষিদ্ধ করার দাবি জানিয়েছিলেন। এই অনির্ধারিত আলোচনায় বিএনপির নেতা কে এম ওবায়দুর রহমান শেখ হাসিনাকে অবিলম্বে গ্রেপ্তার করার দাবি জানিয়েছিলেন। তিনি যেন নতুন ষড়যন্ত্র না করেন সেজন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে লক্ষ্য রাখার জন্য আহ্বান জানিয়েছিলেন। পয়েন্ট অফ অর্ডারের এই আলোচনায় অবশ্য কোন রকমের সিদ্ধান্ত হয়নি। স্পিকার এর পর মূল আলোচনার জন্য দিনের কার্যসূচিতে ফিরে যান।

শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন   বিএনপি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

এই সরকার পুরোপুরিভাবে নতজানু: মির্জা ফখরুল

প্রকাশ: ০৯:১২ পিএম, ১৬ মে, ২০২৪


Thumbnail

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বাংলাদেশের জন্ম হওয়ার পর থেকেই প্রতিবেশী দেশ বাংলাদেশকে নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেছে। এই সরকার পুরোপুরিভাবে নতজানু সরকারে পরিণত হয়েছে। শুধু ফারাক্কা নয়, গঙ্গার পানি নয়, বাংলাদেশের ১৫৪টি নদীতে পানি দিতে তারা গড়িমসি করে যাচ্ছে। তিস্তা নদীর পানি বণ্টন, এ করছি, এ হচ্ছে এমন করে সময় শেষ করছে সরকার। এ যে ব্যর্থতা এর মূল কারণ হচ্ছে, সরকারে যারা আছে তারা পুরোপুরিভাবে একটা নতজানু সরকার।

বৃহস্পতিবার (১৬ মে) ফারাক্কা দিবস উপলক্ষে জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, নতজানু সরকার বলেই দেশের জনগণের স্বার্থে প্রকৃতভাবে যে একটা স্ট্যান্ড ( অবস্থান) নেওয়া দরকার সেটি নিতে ব্যর্থ হয়েছে আওয়ামী সরকার।

তিনি বলেন, ফারাক্কা দিবস মনে করে দেয় জনগণের শক্তির কাছে বড় কোনো শক্তি নেই। গণতান্ত্রিক অধিকার ফিরে পাওয়ার জন্য বহু রাজনৈতিক দল এক হয়ে লড়াই করছে, অনেকে প্রাণ দিয়েছে। বিএনপির ৬০ লাখ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। আজও নির্যাতন-নিপীড়ন চলছে। নেতাকর্মীদের সাজা দিয়ে কারাগারে পাঠানো হচ্ছে।

২৮ অক্টোবরের পর তিন দিনের মধ্যে আমাদের ২৭ হাজার নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল এমন তথ্য জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, এখনও সেই নিপীড়ন নির্যাতন চলছে। যারা গণতন্ত্রের জন্য আন্দোলন সংগ্রাম করছেন তাদের সাজা দেওয়া হচ্ছে। বর্তমান সরকার দখলদার সরকার। তাদের একমাত্র কাজ হচ্ছে তাদের স্বার্থ আর প্রভুদের স্বার্থ রক্ষা করা। বিশেষ একটা দায়িত্ব নিয়ে এ সরকার ক্ষমতা দখল করে আছে। এটা নির্বাচিত নয় এরা নির্বাচন করে না। এরা জানে, নির্বাচন করলে তাদের একটা ভূমিধস পরাজয় হবে। বিভিন্ন কৌশলে নির্বাচন দেখিয়ে ক্ষমতায় টিকে আছে।

তিনি বলেন, যারা সরকারের গুণগান করে, তাদের উদ্দেশ্য হলো এ সরকার টিকে থাকলে তাদের লুণ্ঠন, পাচার অব্যাহত থাকবে। তারা বেনিফিশিয়ারি হবে। এমন একটি বেনিফিশিয়ারি গোষ্ঠী তৈরি করা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, সরকারের একমাত্র কাজ হচ্ছে নিজেদের বিত্ত তৈরি করা ও অন্য দেশের স্বার্থ রক্ষা করা। তাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে নিজেদের দাবি নিজেদেরই আদায় করতে হবে। অন্য কেউ এসে করে দেবে না।

ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলুর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক হাসনাত কাইয়ুম, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সহ-সভাপতি তানিয়া রব, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, ভাসানী অনুসারী পরিষদের সদস্য সচিব আবু ইউসুফ সেলিম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল, অধ্যাপক ও অর্থনীতিবিদ ড. মাহবুব উল্লাহ প্রমুখ।

বিএনপি   মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর   জাতীয় প্রেস ক্লাব  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

বিএনপিতে ভারত বিরোধিতার সাথে যুক্ত হচ্ছে মার্কিন বিরোধিতাও

প্রকাশ: ০৯:০০ পিএম, ১৬ মে, ২০২৪


Thumbnail

বিএনপি ৭ জানুয়ারি নির্বাচনের পর আবার ভারত বিরোধী অবস্থানে চলে গেছে। প্রথমে তারা ব্যক্তিগতভাবে, এখন প্রকাশ্যে দলগতভাবে ভারত বিরোধিতার নীতি গ্রহণ করেছে। বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর প্রতিদিনই ভারতের সমালোচনা করেছেন। ভারতের বিভিন্ন নীতির বিপক্ষে বক্তব্য রাখছেন। 

বিএনপির দায়িত্বশীল সূত্রগুলো বলছে, দলগত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী দলের মহাসচিব ভারত বিরোধী অবস্থান গ্রহণ করেছেন। তবে ভারত বিরোধী অবস্থান করেই দলটি ক্ষান্ত হয়নি। দলের ভিতরে এখন মার্কিন বিরোধী প্রবণতাও লক্ষ্য করা যাচ্ছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নীতি এবং কৌশলের সমালোচনা করার কৌশলও বিএনপি গ্রহণ করেছে। 

বিএনপির দায়িত্বশীল একাধিক নেতা বলেছেন, তারা দলগত ভাবে এখন মার্কিন বিরোধিতা করবেন না। বিএনপির কিছু নেতাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে যারা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সমালোচনা করবেন, মার্কিন নীতির বিরুদ্ধে বক্তব্য রাখবেন এবং এই সমস্ত বক্তব্য দিয়ে জনমত যাচাইয়ের চেষ্টা করবেন। 

উল্লেখ্য, ৭ জানুয়ারির নির্বাচন নিয়ে বিএনপির যে অভ্যন্তরীণ মূল্যায়ন তাতে তারা বলছে, ভারতের কারণেই প্রভাবিত হয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নির্বাচনের ব্যাপারে নীরব অবস্থান গ্রহণ করেছিল। তবে বিএনপির কোনো কোনো নেতার দাবি যে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আসলে ভারতের পক্ষ থেকে বাংলাদেশে বিরোধিতার নামে এক ধরনের অভিনয় করেছে। বিএনপিকে বোকা বানিয়েছে। 

বিএনপির একজন স্থায়ী কমিটির সদস্য বাংলা ইনসাইডারকে বলেছেন, আওয়ামী লীগ জানে যে বিএনপি যদি নির্বাচনে আসে তাহলে সেই নির্বাচনে তাদের পক্ষে জয়লাভ করা কঠিন হবে। আর এ কারণে বিএনপি যেন নির্বাচন থেকে দূরে থাকে থাকে এজন্যই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র অভিনয় করছে। 

সাম্প্রতিক সময়ে বিএনপির নেতা এবং সাবেক আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য গোলাম মাওলা রনি সরাসরি ভাবে মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার ডি হাসকে অভিযুক্ত করেছেন। তিনি বলেছেন যে, পিটার ডি হাস ভারতের এজেন্ট হয়ে বিএনপির সাথে অভিনয় করেছেন। তাঁর অভিনয় এত ভাল ছিল যে বিএনপির নেতারা নাকি সেটা বুঝতে পারেননি। তাঁর এই বক্তব্যের বিরুদ্ধে বিএনপি থেকে কোন প্রতিবাদ করা হয়নি। 

বিএনপির আরেকজন নেতা রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ডোনাল্ড লু’র বাংলাদেশ সফর নিয়ে কোন কিছু যায় আসে না। বিএনপির একদা চীন পন্থী নেতা নজরুল ইসলাম খানও ডোনাল্ড লু’র বাংলাদেশ সফর নিয়ে বিএনপির কোনো আগ্রহ নেই বলে মন্তব্য করেছেন। 

বিএনপির নীতি নির্ধারক মহল মনে করছেন, নির্বাচনের আগে বিশেষ করে ২৮ অক্টোবরের পর ভারত এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এককাট্টা হয়ে যায়। ভারতের সঙ্গে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থ জড়িত রয়েছে। আর এই স্বার্থের কারণেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভারতের কথা মতো সব কিছু করছে। এ বারের ডোনাল্ড লু’র সফর সেই ইঙ্গিত দেয় বলেও বিএনপির নেতারা স্বীকার করেছেন।

প্রশ্ন উঠেছে যে, এই বিশ্বায়নের যুগে বিএনপি যদি ভারত এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র দুটি প্রভাবশালী দেশের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয় তাহলে এই দলটি কীভাবে অস্তিত্ব রক্ষা করবে। বিএনপির নেতারা বলছেন, তারা বাংলাদেশের শক্তিতে বিশ্বাসী। বাংলাদেশের জাতীয়তাবাদীতে বিশ্বাসী। তবে বিএনপির একাধিক নেতা বলছেন যে, বিএনপি নেতাদের এই ভারত বিরোধী এবং মার্কিন বিরোধী অবস্থানের সঙ্গে দলের অনেক নেতাই একমত নন। বিশেষ করে স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. মঈন খান মনে করেন যে, ভারতের সঙ্গে প্রকাশ্য বিরোধিতায় জড়ানো দলের জন্যই ক্ষতিকর হবে। তবে ড. মঈন খান চেয়ে এখন দলে ভেতর যারা ভারত বিরোধী তারাই ক্রমশ শক্তিশালী হয়ে উঠছেন।

বিএনপি   ভারত বিরোধী   মার্কিন বিরোধী   মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন