বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৫ সালের ২৫ জানুয়ারি সংবিধানের চতুর্থ সংশোধনী উত্থাপন করেন। এই সংশোধনের মাধ্যমে প্রচলিত সংসদীয় শাসন বাতিল করে বাকশাল চালু করা হয়। বিএনপি অনেক সময় এখনো বলে যে, দেশে বাকশাল কায়েম হচ্ছে। কিন্ত এই বাকশাল ছিল বহুদলীয় একটি শাসনব্যবস্থা। ওই সময় যারা সংসদে ছিলেন- তারা সবাই একদলীয় ছিলেন না। তারা বিভিন্ন দল-মতের ছিলেন- যারা সবাই বাকশালে অংশগ্রহণ করেন।
বাকশালে ১১৫ জন সদস্য ছিলেন । ১৯৭৫ সালে ৬ জুন- যারা এই বাকশাল’র কেন্দ্রীয় কমিটিতে ছিলেন তাদের নাম নিচে উত্থাপন করা হলো:-
১৯৭৫ সালের ৬ই জুন বাকশালের কেন্দ্রীয় কমিটির ১১৫ জন সদস্যের নাম ঘোষণা:
বাকশলা কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্যবৃন্দ --- পদবী
১। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ---- চেয়ারম্যান, বাকশাল
২। সৈয়দ নজরুল ইসলাম
৩। এম মুনসুর আলী --- সেক্রেটারী জেনারেল বাকশাল
৪। আব্দুল মালেক উকিল ---- আওয়ামীলীগ
৫। এ এইচ এম কামরুজ্জামান --- আওয়ামীলীগ
৬। এ এইচ এম কামরুজ্জামান --- আওয়ামীলীগ
৭। মোঃ মোহাম্মদ উল্লাহ --- আওয়ামীলীগ
৮। আব্দুস সালাম আজাদ
৯। অধ্যাপক ইউসুফ আলী --- জাতীয় শ্রমিক লীগ
১০। ফণী মজুমদার --- জাতীয় কৃষক লীগ
১১। ড. কামাল হোসেন --- আওয়ামীলীগ
১২। মোঃ সোহরাব হোসেন --- আওয়ামীলীগ
১৩। আব্দুল মান্নান --- আওয়ামীলীগ
১৪। আব্দুর রব সেরনিয়াবাত ---- আওয়ামীলীগ
১৫। মনোরঞ্জন ধর ---- আওয়ামীলীগ
১৬। আব্দুল মোমেন খান ---- বিলুপ্ত জাতীয় সংগ্রেস
১৭। আসাদুজ্জামান খান ---- আওয়ামীলীগ
১৮। এম কোরবান আলী --- আওয়ামীলীগ
১৯। ড. এ আর মল্লিক ---- শিক্ষাবিদ
২০। ড. মুজাফফর আহমদ চৌধুরী ---- শিক্ষাবিদ
২১। তোফায়েল আহমদ ----- জাতীয় যুবলীগ
২২। শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন ----- আওয়ামীলীগ
২৩। আব্দুল মোমিন তালুকদার ------- আওয়ামীলীগ
২৪। দেওয়ান ফরিদ গাজী ------- আওয়ামীলীগ
২৫। অধ্যাপক নুরুল ইসলাম চৌধুরী --- আওয়ামীলীগ
২৬। তাহের উদ্দিন ঠাকুর -------- আওয়ামীলীগ
২৭। মোসলেম উদ্দিন খান ------- আওয়ামীলীগ
২৮। নুরুল ইসলাম মঞ্জুর --------- আওয়ামীলীগ
২৯। কে এম ওবায়দুর রহমান --------- আওয়ামীলীগ
৩০। ডা: ক্ষিতিশ চন্দ্র মন্ডল ------ আওয়ামীলীগ
৩১। রিয়াজ উদ্দিন আহমদ (ভোলা মিয়া) ---- আওয়ামীলীগ
৩২। এম বায়তুল্লাহ ------- ডেপুটি স্পীকার
৩৩। রুহুল কুদ্দুস ----------- মুখ্য সচিব, রাষ্ট্রপতির সচিবালয়
৩৪। জিল্লুর রহমান -------- সেক্রেটারী বাকশাল
৩৫। মহিউদ্দিন আহমেদ ------ এমপি
৩৬। শেখ ফজলুল হক মনি ----- সেক্রেটারী বাকশাল
৩৭। আব্দুর রাজ্জাক ------- সেক্রেটারী বাকশাল
৩৮। শেখ শহিদুল ইসলাম ------ জাতীয় ছাত্রলীগ
৩৯। আনোয়ার চৌধুরী
৪০। বেগম সাজেদা চৌধুরী -------- জাতীয় মহিলালীগ
৪১। তসলিমা আবেদ ----- এমপি
৪২। আব্দুর রহিম ---- দিনাজপুর
৪৩। আব্দুল আউয়াল ----- এমপি, রংপুর
৪৪। লুৎফর রহমান ---- এমপি, রংপুর
৪৫। এ কে মজিবর রাহমান ----- এমপি, বগুড়া
৪৬। মফিজ চৌধুরী --------- এমপি, বগুড়া
৪৭। ডা: আলাউদ্দিন ------ এমপি, রাজশাহী
৪৮। আহসাবুল হক --------- এমপি কুষ্টিয়া
৪৯। আজিজুর রহমান আক্কাস ------ এমপি, কুষ্টিয়া
৫০। রওশন আলী ----- এমপি যশোর
৫১। শেখ আব্দুল আজিজ ---- এমপি, খুলনা
৫২। সালাউদ্দিন ইউসুফ ---- এমপি, খুলনা
৫৩। মাইকেল সুশীল অধিকারী ------ এমপি, খুলনা
৫৪। কাজী আবুল কাশেম -------- এমপি, পটুয়াখালী
৫৫। মোল্লা জালাল উদ্দিন আহমদ ----- এমপি, ফরিদপুর
৫৬। শামসুদ্দীন মোল্লা ------- এমপি, ফরিদপুর
৫৭। গৌড় চন্দ্র বালা -------- ফরিদপুর
৫৮। গাজী গোলাম মোস্তফা ----- এমপি, ঢাকা সিটি
৫৯। শামসুল হক ------ এমপি,ঢাকা
৬০। শামসুজ্জোহা ------ এমপি,ঢাকা
৬১। রফিকউদ্দিন ভূইয়া ---- এমপি, ময়মনসিংহ
৬২। সৈয়দ আহমদ --- ময়মনসিংহ
৬৩। শামসুল রহমান খান ---- এমপি, টাঙ্গাইল
৬৪। নূরুল হক ------- এমপি, নোয়াখালী
৬৫। ক্যাপ্টেন সুজাত আলী ------ এমপি, কুমিল্লা
৬৬। কাজী জহিরুল কাইয়ূম --- এমপি, কুমিল্লা
৬৭। এম আর সিদ্দিকী ------ এমপি, চট্টগ্রাম
৬৮। এম এ ওয়াহেদ ------- এমপি, চট্টগ্রাম
৬৯। চিত্ত রঞ্জন সুতার ------ এমপি
৭০। সৈয়দা রাজিয়া বানু --- এমপি
৭১। আতাউর রহমান খান ---- এমপি
৭২। খন্দকার মোহাম্মদ ইলিয়াস --- পাবনা
৭৩। মং প্রু সাইন ----- পার্বত্য চট্টগ্রাম
৭৪। অধ্যাপক মুজাফফর আহমদ ---- বিলুপ্ত ন্যাপ
৭৫। আতাউর রহমান --- বিলুপ্ত ন্যাপ
৭৬। পীর হবিবুর রহমান ----- বিলুপ্ত ন্যাপ
৭৭। সৈয়দ আলতাফ হোসেন ------- এমপি, বিলুপ্ত ন্যাপ
৭৮। মোহাম্মদ ফরহাদ ------- বিলুপ্ত কম্যুনিষ্ট পার্টি
৭৯। বেগম মতিয়া চৌধুরী ---------- বিলুপ্ত কম্যুনিষ্ট পার্টি
৮০। হাজী মোহাম্মদ দানেশ --------- বিলুপ্ত ন্যাপ ভাসানী
৮১। তওফিক ইমাম ---------- সচিব মন্ত্রী পরিষদ
৮২। নুরুল ইসলাম ---------- সচিব বহিবাণিজ্য মন্ত্রণালয়
৮৩। ফয়েজ উদ্দিন আহমদ ---------- সচিব স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
৮৪। মাহবুবুর রহমান ------ সচিব সংস্থাপন মন্ত্রণালয়
৮৫। আব্দুল খালেক ------ সচিব উপ-রাষ্ট্রপতির দফতর
৮৬। মুজিবুল হক ------ সচিব প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়
৮৭। আব্দুল রহিম -------- সচিব রাষ্ট্রপতির সচিবালয়
৮৮। মঈনুল ইসলাম -------- সচিব পূর্ত মন্ত্রণালয়
৮৯। সৈয়দুজ্জামান --------- সচিব পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়
৯০। আনিসুজ্জামান ----------- সচিব কৃষি মন্ত্রণালয়
৯১। ড. এ সাত্তার ---------- সচিব রাষ্ট্রপতির সচিবালয়
৯২। এম এ সামাদ ---------- সচিব যোগাযোগ মন্ত্রণালয়
৯৩। আবু তাহের ---------- সচিব ভূমি প্রশাসন মন্ত্রণালয়
৯৪। আল হোসেইনী -------- সচিব বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয়
৯৫। ডা: টি হোসেন -------- সচিব স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়
৯৬। মতিউর রহমান -------- চেয়ারম্যান, টিসিবি
৯৭। মেজর জেনারেল শফিউদ্দিন ---- সেনাবাহিনী প্রধান
৯৮। এয়ার ভাইস মার্শাল খন্দকার ----- বিমানবাহিনী প্রধান
৯৯। কমোডর এম এইচ খান ---- নৌবাহিনী প্রধান
১০০। মেজর জেনারেল খলিলুর রহমান ---- ডিজি বিডিআর
১০১। নাজির উদ্দিন আহমদ ----- গভর্ণর বাংলাদের ব্যাংক
১০২। ড. মতিন চৌধুরী ------- উপাচার্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
১০৩। ড. মাজহারুল ইসলাম -------- উপাচার্য রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়
১০৪। ড. এনামুল হক ------ উপাচার্য জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়
১০৫। সৈয়দ হোসেন ------ অতিরিক্ত সচিব সংস্থাপন মন্ত্রণালয়
১০৬। নূরুল হোসেন ---------- আইজি পুলিশ বাহিনী
১০৭। ড. নীলিমা ইব্রাহিম -------- বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ
১০৮। ডা. নূরুল ইসলাম ----- পরিচালক পিটি ইন্সটিটিউট
১০৯। ওবায়দুল হক --------- সম্পাদক বাংলাদেশ অবজারভার
১১০। আনোয়ার হোসেন মঞ্জু ------ সম্পাদক দৈনিক ইত্তেফাক
১১১। মিজানুর রহমান -------- সম্পাদক বিপিআই
১১২। মনোয়ারুল ইসলাম -------- যুগ্ম সচিব রাষ্ট্রপতির সচিবালয়
১১৩। ব্রিগেডিয়ার নূরুজ্জামান --------- ডিজি, জাতীয় রক্ষী বাহিনী
১১৪। কামরুজ্জামান --------- সভাপতি বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি
১১৫। ডা: মাজহার আলী কাদেরী ---------- চিকিৎসক সমিতি
বাকশাল আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
চীন সফর বাম দল জাসদ ওর্য়ার্কাস পার্টি সাম্যবাদী দল
মন্তব্য করুন
শৃঙ্খলা আওয়ামী লীগ উপজেলা নির্বাচন
মন্তব্য করুন
যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক সহকারী মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু আগামীকাল মঙ্গলবার ঢাকায় আসছেন। এ সফরে তিনি ব্যবসা-বিনিয়োগ, নিরাপত্তা, প্রতিরক্ষা, জলবায়ু পরিবর্তন, নাগরিক অধিকারসহ দুই দেশের অগ্রাধিকারের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে আলোচনা করবেন বলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে।
অবশেষে আর ছাড় নয়, আওয়ামী লীগ তাঁর দলের শৃঙ্খলা ফেরাতে কঠোর অবস্থানে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল একাধিক সূত্রগুলো বলছে, দলের ভেতর যারা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছে, দলের সিদ্ধান্ত অমান্য করছে এবং দলের ভেতরের কোন্দল করছে তাদেরকে আর ছাড় দেওয়া হবে না। তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থাগ্রহণ করা হবে এবং এই যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের অংশ হিসেবে কোন্দলরত এলাকাগুলোতে কমিটি বাতিল করে দেওয়া হবে। যারা কোন্দলের সঙ্গে জড়িত তাদেরকে আহ্বায়ক কমিটিতে রাখা হবে না।