ইনসাইড পলিটিক্স

বিএনপির চূড়ান্ত আন্দোলনের ২০তম ঘোষণা

প্রকাশ: ০৬:০০ পিএম, ২৭ জুন, ২০২৩


Thumbnail

২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর বিএনপি আনুষ্ঠানিকভাবে ক্ষমতা ছাড়ে। ড. ইয়াজউদ্দিন আহম্মেদকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান করে বিএনপি নির্বাচনের প্রস্তুতি গ্রহণ করে। কিন্তু ড. ড. ইয়াজউদ্দিন আহম্মেদের তত্ত্বাবধায়ক সরকারও ছিলো কার্যত বিএনপিরই সরকার। সে হিসেবে ২০০৭ সালের ১১ জানুয়ারি বিএনপি ক্ষমতাচ্যুত হয়। ২০০৭ সাল থেকে এখন পর্যন্ত দীর্ঘ ১৬ বছরের বেশি বিএনপি ক্ষমতার বাইরে। এই দীর্ঘ সময় বিএনপি অন্তত ১৯ বার চূড়ান্ত আন্দোলনের মাধ্যমে সরকারকে ফেলে দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছিল। এবার ঈদের আগে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর আবার ঘোষণা করেছেন যে, ঈদের পরে চূড়ান্ত আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে। এর ফলে বিএনপি ২০তম বার চূড়ান্ত আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণা করলো। ১৯ বার ব্যর্থ হওয়ার পর ২০তম বার বিএনপি সফল হয় কিনা সেটাই এখন দেখার বিষয়। 

বিএনপি প্রথম সরকার ফেলে দেয়ার ঘোষণা দিয়েছিল ২০১২ সালের ঈদের সময়। সেই সময় ঈদুল ফিতরের পর বিভিন্ন বিশিষ্টজনদের সঙ্গে ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে বেগম খালেদা জিয়া বলেছিলেন, ঈদের পর চূড়ান্ত আন্দোলনের কর্মসূচির মাধ্যমে সরকারের পতন ঘটানো হবে। ২০১২ সালের ডিসেম্বরে এসে বিএনপি আবার ঘোষণা দেয় যে, সরকার  একতরফা নির্বাচন করলে চূড়ান্ত আন্দোলনের মাধ্যমে এই সরকারকে হটানো হবে। নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে তখন বিএনপির আন্দোলন শুরু করেছিল। কিন্তু বিএনপির আন্দোলন শর্তেও ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় এবং সেই নির্বাচনে নির্বাচন বিএনপি বয়কট করে। নির্বাচনের পর ২০১৪ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি বেগম খালেদা জিয়া আবার ঘোষণা করেন যে, চূড়ান্ত আন্দোলনের মাধ্যমে সরকারের পতন ঘটানো হবে। এই সরকারকে আর সময় দেওয়া যাবে না। ওই বছরই ঈদুল ফিতরের আগে দেশবাসীর উদ্দেশে দেওয়া এক শুভেচ্ছা বক্তব্যে ঈদের পর চূড়ান্ত আন্দোলনের মাধ্যমে সরকারের পতন ঘটানোর ঘোষণা দেন বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। তিনি সবাইকে এজন্য প্রস্তুত হতে বলেন।

২০১৪ সালের অক্টোবরে বেগম খালেদা জিয়া আবারও সরকার পতনের চূড়ান্ত আন্দোলনের ঘোষণা দিয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন, অবিলম্বে সংসদ বাতিল এবং নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর না করা হলে লাগাতার আন্দোলন ঘোষণা করা হবে। সেই হিসেবে তিনি অনির্দিষ্টকালের জন্য অবরোধ ডাকেন। সেই অবরোধ অবশ্য শেষ পর্যন্ত কাজে লাগেনি। অবরোধ সত্ত্বেও সরকার তার বর্ষপূর্তি উদযাপন করে। একসময়ের আন্দোলনে ব্যর্থ হয়ে খালেদা জিয়া নিজেই ঘরে ফিরেছেন।

২০১৫ সালের ঈদুল ফিতরের আগে বেগম খালেদা জিয়া ঈদের পর চূড়ান্ত আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণা করেন এবং সরকার হটানোর জন্য দেশবাসীকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান। ওই বছরই কোরবানি ঈদের আগেও বেগম খালেদা জিয়া একই ঘোষণা দিয়েছিলেন। ২০১৬ সালে বিএনপির পক্ষ থেকে আবার নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি উত্থাপন করা হয় এবং সেই দাবিতে চূড়ান্ত আন্দোলনের মাধ্যমে সরকার ফেলে দেওয়া ঘোষণা হয়। কিন্তু সেই আন্দোলনও সফল হয়নি। ২০১৭ সালে বেগম খালেদা জিয়া বলেছিলেন, আর সময় দেওয়া যায় না। সরকারকে এখনই ফেলে দিতে হবে। ঈদুল ফিতরের আগে নেতাকর্মীদের সাথে ইফতার মাহফিলে বেগম জিয়া এই মন্তব্য করেছিলেন। ঈদের দিনের শুভেচ্ছা বিনিময়ে বেগম খালেদা জিয়া দেশবাসীকে ঈদের পর চূড়ান্ত আন্দোলনের প্রস্তুতি গ্রহণের জন্য আহ্বান জানিয়েছিলেন। 

২০১৮ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি বেগম খালেদা জিয়া দুর্নীতির মামলায় গ্রেপ্তার হন এবং দুর্নীতি মামলা গ্রেপ্তার হওয়ার আগে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছিলেন, খালেদা জিয়ার কিছু হলে দেশকে অচল করে দেওয়া হবে এবং চূড়ান্ত আন্দোলন করা হবে। কিন্তু ২০১৮ ফেব্রুয়ারিতে বেগম খালেদা জিয়া আদালতে দণ্ডিত হলে তাকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়। বিএনপির বড় ধরনের আন্দোলন গড়ে তুলতে পারেনি। ওই বছরের ডিসেম্বরে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় এবং জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি অংশগ্রহণ করে এবং শোচনীয়ভাবে পরাজিত হয়। 

২০১৮ নির্বাচনের পর ২০১৯ সালের ৫ জানুয়ারি বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ঘোষণা করেন যে, এই সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচন নয় এবং তারা সংসদে যাবেন না। সরকারের পতন না হওয়া পর্যন্ত তারা ঘরে ফিরবেন না। কিন্তু এরপর বিএনপি আবার জাতীয় সংসদে যান এবং তাদের ৬ জন সংসদ সদস্য সংসদে নিয়মিত কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করে। ওই বছরে ঈদ-উল-ফিতর এর আগেও বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ ঘোষণা দিয়েছেন। এভাবে প্রতি বছরই ঈদ এলে বিএনপির পক্ষ থেকে চূড়ান্ত আন্দোলনের ঘোষণা দেওয়া হয়। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। বিএনপি মহাসচিব বলেছেন, ঈদের পর আন্দোলন করা হবে। এবার দেখার বিষয় এই আন্দোলনের ফলাফল কি হয়।

বিএনপি   চূড়ান্ত আন্দোলন   ঈদ   খালেদা জিয়া  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

আওয়ামী লীগের অর্জন প্রশ্নবিদ্ধ করছে আওয়ামী লীগ

প্রকাশ: ১০:০০ পিএম, ১৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর থেকে আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরীণ কোন্দল এবং একে অন্যের বিরুদ্ধে কাদা ছোড়াছুড়ি যেন কিছুতেই থামানো যাচ্ছে না। নির্বাচন পরবর্তী কোন্দল বন্ধে বিভিন্ন রকম উদ্যোগও ব্যবস্থা গ্রহণ করছে আওয়ামী লীগ। দলের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজেই একাধিক বার দলীয় কোন্দল বন্ধের জন্য তাগাদা দিয়েছেন। কিন্তু কোন কিছুতেই কাজ হচ্ছে না। বরং আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরীণ কোন্দল নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে। সাংগঠনিক অবস্থা রীতিমতো ভেঙে পড়েছে। এই কোন্দল এখন এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে আওয়ামী লীগ সরকারের উন্নয়ন বা অর্জন প্রশ্নবিদ্ধ করছেন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরাই। দলের এই কোন্দল এতদিন তৃণমূল পর্যায় থাকলেও সেটি এখন কেন্দ্রীয় নেতৃত্বেও শুরু হয়েছে।

সাম্প্রিতক সময়ে আবারও মুখোমুখি অবস্থান নিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) সাবেক মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন এবং বর্তমান মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস। যদিও এটিই তাদের প্রথম নয়। এর আগে এই দুই নেতার মধ্যে মার্কেট, অনিয়ম-দুর্নীতি ও সিটি করপোরেশনের টাকা রাখা নিয়ে বাকযুদ্ধ হয়েছিল। এবার তারা মুখোমুখি হয়েছেন ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ে। গত বুধবার মেয়র তাপস দাবি করেন, ২০১৯ সালের তুলনায় গত বছর ঢাকায় ডেঙ্গু রোগী কমেছে। এর পাল্টা প্রতিউত্তরে শনিবার মিট দ্য প্রেসে সাংবাদিকদের ডেকে খোকন বলেন, বর্তমান কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, ২০১৯ এর তুলনায় ২০২৩ সালে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা ৪১ হাজার কম। আমি ভদ্রতার জন্য কারো নাম উল্লেখ করছি না। তবে এ ধরনের অপপ্রচার করা হলে আমি কষ্ট পাই, ব্যথিত হই। আমি এই দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য, আমি আওয়ামী লীগ মনোনীত সংসদ সদস্য, আমার সীমাবদ্ধতা রয়েছে। পাবলিকলি আমি যে কোন বক্তব্য দিতে পারি না, আমার জবাবদিহিতা রয়েছে। সাবেক এবং বর্তমান মেয়রের এই বাকযুদ্ধ সুস্পষ্টভাবে প্রমাণ করে যে, আওয়ামী লীগ এখন ফ্রি স্টাইলে চলছে। দলের চেইন অব কমান্ড ভেঙে গেছে।

তৃণমূলের কোন্দল আরও ভয়ঙ্কর। এই মুহূর্তে উপজেলা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। আগামী ২১ মে দ্বিতীয় ধাপে উপজেলা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। মন্ত্রী-এমপিদের পরিবারের সদস্যদের উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী না হতে নির্দেশনা দেওয়া হলেও প্রথম ধাপের মতোই এবার এই নির্দেশনা উপেক্ষিত। সামনে উপজেলা নির্বাচনের পরিস্থিতি আরও ভয়ঙ্কর হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। 

বিভিন্ন স্থানে যেখানে জাতীয় নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থীরা জয়ী হয়েছেন সেখানে তাদের মাইম্যানদের উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী করছেন। আবার যারা স্বতন্ত্রদের কাছে পরাজিত হয়েছেন তারা তাদের প্রভাবপত্তি ধরে রাখার জন্য তাদের মাইম্যানদের প্রার্থী করছেন। এলাকায় নিজেদের হারানো অবস্থান পুনরুদ্ধারের জন্য উপজেলা নির্বাচনকে বেছে নিয়েছেন। এটা করতে গিয়ে লাগামহীন ভাবে একে অন্যের বিরুদ্ধে কুৎসা রটানো থেকে শুরু করে সহিংসতার ঘটনাও ঘটাচ্ছে। সবকিছু মিলিয়ে আওয়ামী লীগের মধ্যে একটি লেজেগোবরে অবস্থা তৈরি হয়েছে। সবচেয়ে বড় ব্যাপার হলো যে, আওয়ামী লীগের যে অঙ্গ সহযোগী সংগঠন আছে তারাও এখন ক্রমশ বিভক্ত হয়ে পড়ছে। সবকিছু মিলিয়ে নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে আওয়ামী লীগের কোন্দল। আওয়ামী লীগ সরকারের অর্জন এখন প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছেন আওয়ামী লীগেরই নেতাকর্মীদের দিয়ে। এ অবস্থা পরিত্রাণ পেতে আওয়ামী লীগ কি ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করবে সেটাই এখন দেখার বিষয়।

আওয়ামী লীগ   মোহাম্মদ সাঈদ খোকন   ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

ওবায়দুল কাদেরকে রিজভীর পাল্টা প্রশ্ন

প্রকাশ: ০৪:৩৩ পিএম, ১৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরকে এবার পাল্টা প্রশ্ন ছুড়ে দিলেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। ‘ব্যাংকে সাংবাদিক ঢুকবে কেন’— ওবায়দুল কাদেরের এমন বক্তব্যের সমালোচনা করে বিএনপির এই নেতা বলেছেন, ব্যাংকে সাংবাদিক ঢুকবে না, তাহলে কী মাফিয়া, মাস্তান, ঋণ খেলাপিরা ঢুকবে?

রোববার (১৯ মে) রাজধানীর নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আর্থিক সহায়তা প্রদান অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের কাছে তিনি এ প্রশ্ন রাখেন। এসময় গত ১৮ এপ্রিল সন্ধ্যায় মধুখালী উপজেলার ডুমাইন ইউনিয়নের পঞ্চপল্লী গ্রামের কালী মন্দিরে আগুনের ঘটনায় হামলায় নিহত ২ নির্মাণশ্রমিকের পরিবারকে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান পক্ষ থেকে সহায়তা প্রদান করা হয়।

অনুষ্ঠানে রিজভী বলেন, এক মর্মান্তিক পরিস্থিতির মধ্যে দেশের মানুষ দিন অতিক্রম করছে। এখানে জীবন ও সম্পদের কোনো নিরাপত্তা নেই। জনগণের মনোভাব ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার জন্য সরকার একের পর এক পন্থা অবলম্বন করছে। মধুখালীতে শ্রমিকদের পিটিয়ে হত্যা এটি একটি পন্থা। এরা মানুষকে মানুষ হিসেবে বিবেচনা করে না। এরা মানুষের লাশ ও রক্তপাতের ওপর দিয়ে হেঁটে যেতে ভালোবাসেন।

আওয়ামী লীগ গোটা জাতিকে একটি গোরস্তান বানানোর প্রক্রিয়ায় লিপ্ত উল্লেখ করে রিজভী বলেন, আজ লাশ হচ্ছে জীবন্ত মানুষ। তার একটি ঘটনা মধুখালীতে। সরকার তার বহুমুখী ব্যর্থতা ঢাকতেই একের পর নাটক করে যাচ্ছে।

তিনি বলেন, শুধু ব্যাংক থেকে ১২ হাজার কোটি টাকা লোপাট হয়ে গেছে। এটা আমার বক্তব্য না। এটা সিডিপির বক্তব্য। আমাদের জিডিপি ১২ শতাংশ নাই হয়ে গেছে। ৯২ হাজার কোটি টাকা শুধু ব্যাংক থেকে লোপাট হয়ে গেছে। লোপাটকারী সবাই ক্ষমতাসীন দলের লোক ও আত্মীয়-স্বজন।

রিজার্ভ থেকে ৫০ বিলিয়ন ডলার উধাও করে দেওয়া হয়েছে মন্তব্য করে রিজভী বলেন, এখন তলানিতে রিজার্ভ। সরকার বলছে, ১৩ বিলিয়ন ডলার আছে। অথচ যারা সচেতন মানুষ তারা বলছেন ৭ থেকে ৮ বিলিয়ন ডলার আছে। এর মধ্যে বিদ্যুৎ খাতের ঋণ পরিশোধ করতে ৪ বিলিয়ন ডলার যাবে।

রিজভী আরও বলেন, যারা ব্যাংকের টাকা লুটপাট করে সম্পদের মালিক হয়েছেন, দেশের বাইরে বাড়ি করেছেন তাদের কথা সাংবাদিকরা যেন না জানতে পারেন তার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিকদের ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না।

আওয়ামী লীগ   সাধারণ সম্পাদক   ওবায়দুল কাদের   রুহুল কবির রিজভী  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

নাশকতার মামলায় বিএনপি নেতা ইশরাক কারাগারে

প্রকাশ: ০৪:০৬ পিএম, ১৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

নাশকতার অভিযোগে রাজধানীর পল্টন থানায় দায়ের করা মামলায় বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক কমিটির সদস্য ঢাকা মহানগর বিএনপির সিনিয়র সদস্য ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেনকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।

রোববার (১৯ মে) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ আস-সামছ জগলুল হোসেন আদেশ দেন।

মামলায় উচ্চ আদালত থেকে জামিনে ছিলেন ইশরাক। আজ আদালতে হাজির হয়ে আইনজীবীর মাধ্যমে জামিন বর্ধিত করার আবেদন করেন তিনি। শুনানি শেষে আদালত তার জামিন বাড়ানোর আবেদন বাতিল করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

সংশ্লিষ্ট আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর তাপস কুমার পাল বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।


নাশকতা   মামলা   বিএনপি   ইশরাক হোসেন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

‘‌‌‌‍‍‍‍ব্যাংকে কী মাফিয়া, মাস্তান, ঋণ খেলাপিরা ঢুকবে?’

প্রকাশ: ০৩:৫৭ পিএম, ১৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

ব্যাংকে সাংবাদিক ঢুকবে কেন’-আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের এমন বক্তব্যের সমালোচনা করেছেন রুহুল কবির রিজভী। বিএনপির এই সিনিয়র নেতা বলেছেন, ব্যাংকে সাংবাদিক ঢুকবে না, তাহলে কী মাফিয়া, মাস্তান, ঋণ খেলাপিরা ঢুকবে?

রোববার (১৯ মে) রাজধানীর নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আর্থিক সহায়তা প্রদান অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের কাছে তিনি প্রশ্ন রাখেন। এসময় গত ১৮ এপ্রিল সন্ধ্যায় মধুখালী উপজেলার ডুমাইন ইউনিয়নের পঞ্চপল্লী গ্রামের কালী মন্দিরে আগুনের ঘটনায় হামলায় নিহত নির্মাণশ্রমিকের পরিবারকে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান পক্ষ থেকে সহায়তা প্রদান করা হয়।

রিজভী আরও বলেন, যারা ব্যাংকের টাকা লুটপাট করে সম্পদের মালিক হয়েছেন, দেশের বাইরে বাড়ি করেছেন তাদের কথা সাংবাদিকরা যেন না জানতে পারেন তার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিকদের ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না।


‘‌‌‌ব্যাংক   মাফিয়া   মাস্তান   ঋণখেলাপি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা ভয়াবহ: জিএম কাদের

প্রকাশ: ০৩:৪৬ পিএম, ১৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

সংসদে বিরোধী দলীয় নেতা জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের বলেছেন, দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা ভয়াবহ। সামনের সংকট আরো প্রকট আকার ধারণ করতে পারে। সে জন্যই সাংবাদিকদের বাংলাদেশ ব্যাংকে প্রবেশাধিকার নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এটা সরকারের একটা গণবিরোধী সিদ্ধান্ত এবং যা অবিলম্বে প্রত্যাহার করা উচিত। 

রোববার (১৯ মে) দুপুরে রংপুর সার্কিট হাউজে এসে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় কালে তিনি এসব কথা বলেন।

এর আগে দুপুরে জিএম কাদের ঢাকা থেকে বিমানযোগে সৈয়দপুর বিমান বন্দরে যান। সেখান থেকে সরাসরি রংপুর সার্কিট হাউজে পৌঁছান। সেখানে জেলা প্রশাসক মোবাস্বের হাসান, পুলিশ সুপার ফেরদৌস আলম চৌধুরী, মহানগর জাপার সাধারণ সম্পাদক এস এম ইয়াসির, জেলা সভাপতি আলাউদ্দিন মিয়াসহ প্রশাসনের পার্টির নেতাকর্মীরা তাকে ফুল দিয়ে স্বাগত জানান।

পরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে জিএম কাদের বলেন, সামনে অর্থনৈতিক সংকটের কারণে ভয়াবহ অবস্থার সৃষ্টি হতে পারে। দেশের রিজার্ভ এখন ১৩ বিলিয়ন ডলারের নিচে নেমে এসেছে, যা যাবৎ কালের সর্বনিম্ন।

তিনি আরও বলেন, সরকার যতই রির্জাভের কথা বলুক আসলে ১০ বিলিয়ন ডলারই আছে বলে আমার মনে হয় না। এসব আমাদের জন্য অশুভ সংকেত। দেশে টাকা নেই প্রতিদিন রিজার্ভ কমে যাচ্ছে। দেশে বিনিয়োগ আসছে না। যে অর্থ আসে তা বিদেশে চলে যাচ্ছে। ফলে ডলারের এবং দেশীয় টাকার চরম অবমূল্যায়ন হচ্ছে। দিন দিন টাকার ভ্যালু কমে যাচ্ছে।

জিএম কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ অনেক বড় বড় কথা বলে। দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরকে আমি রেসপেক্ট করি। কিন্তু তিনি যেসব কথা বলছেন এটা জনগণ আর বিশ্বাস করে না। আওয়ামী লীগ আগে জনগণকে ধারণ করলেও এখন তারা জনগণের ঘাড়ে চেপে বসেছে। আগে আওয়ামী লীগ একটা গাছের মতো ছিল। জনগণ যেখানে বিশ্রাম নিতো। এখন সেটা পরগাছা হয়ে গেছে। তারা দেশের জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।


দেশ   অর্থনৈতিক   জিএম কাদের  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন