রাত পোহালেই ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচন। ইতিমধ্যে ভোটের যাবতীয় প্রস্তুতি নিয়েছে নির্বাচন কমিশন। নির্বাচনের প্রচার-প্রচারণা শেষে নগরজুড়ে চলছে জল্পনা-কল্পনা, কে হচ্ছেন ঢাকা-১৭ আসনের সংসদ সদস্য। এই আসনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী মোহাম্মদ এ আরাফাত। তার বিপরীতে প্রার্থী হয়েছেন আলোচিত ইউটিউবার হিরো আলম। স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে তিনি একতারা প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন। বিএনপি, বিজেপিসহ বিভিন্ন বিরোধী দল এই নির্বাচন বর্জন করলেও তারাই হিরো আলমকে পরিকল্পিতভাবে প্রার্থী বানিয়েছেন বলে বিভিন্ন দায়িত্বশীল সূত্রগুলো নিশ্চিত করেছে। হিরো আলমকে প্রার্থী হিসেবে সবচেয়ে বেশি যিনি সমর্থন করছেন, তিনি হলেন বিজেপির চেয়ারম্যান আন্দালিব রহমান পার্থ। আর এ কারণেই এই আসনটিতে হিরো আলমের জয়ের সম্ভাবনা দেখছেন কোন কোন মহল।
হিরো আলমের জয়ের পিছনে একাধিক নানা কারণ উল্লেখ্য করেছেন কোন কোন রাজনৈতিক বিশ্লেষক। তারা বলছেন, ঢাকা-১৭ আসনে সুষ্ঠু নির্বাচন করতে সরকার বদ্ধপরিকর। কারণ এই মুহূর্তে ইইউ প্রাক-নির্বাচন পর্যবেক্ষক প্রতিনিধি দল ঢাকা সফর করছেন। অন্যদিকে নির্বাচনী প্রচারণা চলাকালীন হামলার শিকার হয়ে হিরো আলম মার্কিন দূতাবাসে চিঠি দিয়েছিলেন এবং মার্কিন দূতাবাস সেই চিঠির উত্তর দিয়েছে। সেই সঙ্গে হিরো আলমের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছে মার্কিন দূতাবাস। আর সবচেয়ে বড় বিষয় হলো, আন্দালিব রহমান পার্থ আড়ালে থেকে হিরো আলমের পক্ষে কাজ করছেন।
উল্লেখ্য যে, আন্দালিব রহমান পার্থ গত পাঁচ বছর ধরে গুলশানের এই নির্বাচনী এলাকায় কাজ করছেন। ২০১৮’র নির্বাচনে তিনি এখানে প্রার্থী হয়েছিলেন। কিন্তু সেই নির্বাচনে তিনি পরাজিত হন। পরাজিত হওয়ার পর তিনি থেমে থাকেননি। সবার অলক্ষ্যে গোপনে গোপনে এখানে তিনি সংগঠন গুছিয়েছেন এবং এখন হিরো আলমকে জেতানোর জন্য তার দল জোরেশোরেই কাজ করছে বলে নিশ্চিত তথ্য পাওয়া গেছে। এছাড়াও এই আসনে হিরো আলমের জয়ের পিছনে আরেকটি অন্যতম কারণ হিসেবে কাজ করতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে, আর সেটি হচ্ছে আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরীণ কোন্দল। এ কোন্দলের কারণেই গাজীপুর সিটি নির্বাচনের মতো অনেক আওয়ামী লীগ নেতাই গোপনে হিরো আলমের পক্ষে কাজ করছেন।
বিভিন্ন সূত্র বলছে, ঢাকা-১৭ আসনে একাধিক আওয়ামী লীগ প্রার্থী মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত মনোনয়ন পেয়েছেন মোহাম্মদ এ আরাফাত। মোহাম্মদ এ আরাফাত এর সঙ্গে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের যোগাযোগ ভালো হলেও আওয়ামী লীগের তৃণমূল নেতাকর্মীদের কাছে তিনি অতিথি রাজনীতিবিদ হিসেবেই পরিচিত। অনেকের কাছে তিনি উড়ে এসে জুড়ে বসার মত। ফলে তিনি তৃণমূলের নেতাকর্মীদের কতটুকু মন জয় পারবেন, সেটিও একটি প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে।
বিভিন্ন সূত্র বলছে, আওয়ামী লীগের পরে যদি এই নির্বাচনী এলাকায় কারও বড় সংগঠন থাকে- সেটি আন্দালিব রহমান পার্থ’র বিজেপি। সারাদেশে তার রাজনৈতিক সংগঠন তেমনভাবে বিস্তৃত না হলেও গুলশানে তিনি একটা বিশাল কর্মী বাহিনী তৈরি করেছেন। তরুণ প্রজম্মের কাছে তার জনপ্রিয়তাও তুঙ্গে। আর এই কর্মী বাহিনীকে তিনি ব্যবহার করছেন হিরো আলমকে জেতানোর কাজে।
ঢাকা-১৭ আসনে যদি হিরো আলমের কাছে আওয়ামী লীগ হেরে যায় তাহলে সেটি হবে অত্যন্ত একটি লজ্জার ব্যাপার। জাতীয় এবং আন্তর্জাতিকভাবে আওয়ামী লীগকে উপহাসের পাত্র হিসেবে পরিণত করা খুব সহজ হবে। আওয়ামী লীগ বিরোধীরা সহজে বলতে পারবে হিরো আলমের মত একজন কৌতুক অভিনেতার কাছে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হেরে যায়। তাহলে এই দলের জনপ্রিয়তা কি। সেই লক্ষ্যেই তারা এখন হিরো আলমের পক্ষে মাঠে নেমেছে। তবে তাদের এই প্রচেষ্টা সফল হয় কিনা সেটিই এখন দেখার বিষয়।
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগ মোহাম্মদ সাঈদ খোকন ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের রুহুল কবির রিজভী
মন্তব্য করুন
নাশকতার অভিযোগে রাজধানীর পল্টন থানায় দায়ের করা মামলায় বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক কমিটির সদস্য ও ঢাকা মহানগর বিএনপির সিনিয়র সদস্য ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেনকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।
রোববার (১৯ মে) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ আস-সামছ জগলুল হোসেন এ আদেশ দেন।
এ মামলায় উচ্চ আদালত থেকে জামিনে ছিলেন ইশরাক। আজ আদালতে হাজির হয়ে আইনজীবীর মাধ্যমে জামিন বর্ধিত করার আবেদন করেন তিনি। শুনানি শেষে আদালত তার জামিন বাড়ানোর আবেদন বাতিল করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
সংশ্লিষ্ট আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর তাপস কুমার পাল বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।
নাশকতা মামলা বিএনপি ইশরাক হোসেন
মন্তব্য করুন
‘ব্যাংকে সাংবাদিক ঢুকবে কেন’-আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের এমন বক্তব্যের সমালোচনা করেছেন রুহুল কবির রিজভী। বিএনপির এই সিনিয়র নেতা বলেছেন, ব্যাংকে সাংবাদিক ঢুকবে না, তাহলে কী মাফিয়া, মাস্তান, ঋণ খেলাপিরা ঢুকবে?
রোববার (১৯ মে) রাজধানীর নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আর্থিক সহায়তা প্রদান অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের কাছে তিনি এ প্রশ্ন রাখেন। এসময় গত ১৮ এপ্রিল সন্ধ্যায় মধুখালী উপজেলার ডুমাইন ইউনিয়নের পঞ্চপল্লী গ্রামের কালী মন্দিরে আগুনের ঘটনায় হামলায় নিহত ২ নির্মাণশ্রমিকের পরিবারকে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান পক্ষ থেকে সহায়তা প্রদান করা হয়।
রিজভী আরও বলেন, যারা ব্যাংকের টাকা লুটপাট করে সম্পদের মালিক হয়েছেন, দেশের বাইরে বাড়ি করেছেন তাদের কথা সাংবাদিকরা যেন না জানতে পারেন তার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিকদের ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না।
‘ব্যাংক মাফিয়া মাস্তান ঋণখেলাপি
মন্তব্য করুন
সংসদে বিরোধী দলীয় নেতা ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের বলেছেন, দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা ভয়াবহ। সামনের সংকট আরো প্রকট আকার ধারণ করতে পারে। সে জন্যই সাংবাদিকদের বাংলাদেশ ব্যাংকে প্রবেশাধিকার নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এটা সরকারের একটা গণবিরোধী সিদ্ধান্ত এবং যা অবিলম্বে প্রত্যাহার করা উচিত।
রোববার (১৯ মে) দুপুরে রংপুর সার্কিট হাউজে এসে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় কালে তিনি এসব কথা বলেন।
এর আগে দুপুরে জিএম কাদের ঢাকা থেকে বিমানযোগে সৈয়দপুর বিমান বন্দরে যান। সেখান থেকে সরাসরি রংপুর সার্কিট হাউজে পৌঁছান। সেখানে জেলা প্রশাসক মোবাস্বের হাসান, পুলিশ সুপার ফেরদৌস আলম চৌধুরী, মহানগর জাপার সাধারণ সম্পাদক এস এম ইয়াসির, জেলা সভাপতি আলাউদ্দিন মিয়াসহ প্রশাসনের ও পার্টির নেতাকর্মীরা তাকে ফুল দিয়ে স্বাগত জানান।
পরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে জিএম কাদের বলেন, সামনে অর্থনৈতিক সংকটের কারণে ভয়াবহ অবস্থার সৃষ্টি হতে পারে। দেশের রিজার্ভ এখন ১৩ বিলিয়ন ডলারের নিচে নেমে এসেছে, যা এ যাবৎ কালের সর্বনিম্ন।
তিনি আরও বলেন, সরকার যতই রির্জাভের কথা বলুক আসলে ১০ বিলিয়ন ডলারই আছে বলে আমার মনে হয় না। এসব আমাদের জন্য অশুভ সংকেত। দেশে টাকা নেই প্রতিদিন রিজার্ভ কমে যাচ্ছে। দেশে বিনিয়োগ আসছে না। যে অর্থ আসে তা বিদেশে চলে যাচ্ছে। ফলে ডলারের এবং দেশীয় টাকার চরম অবমূল্যায়ন হচ্ছে। দিন দিন টাকার ভ্যালু কমে যাচ্ছে।
জিএম কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ অনেক বড় বড় কথা বলে। দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরকে আমি রেসপেক্ট করি। কিন্তু তিনি যেসব কথা বলছেন এটা জনগণ আর বিশ্বাস করে না। আওয়ামী লীগ আগে জনগণকে ধারণ করলেও এখন তারা জনগণের ঘাড়ে চেপে বসেছে। আগে আওয়ামী লীগ একটা গাছের মতো ছিল। জনগণ যেখানে বিশ্রাম নিতো। এখন সেটা পরগাছা হয়ে গেছে। তারা দেশের জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।
মন্তব্য করুন
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর থেকে আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরীণ কোন্দল এবং একে অন্যের বিরুদ্ধে কাদা ছোড়াছুড়ি যেন কিছুতেই থামানো যাচ্ছে না। নির্বাচন পরবর্তী কোন্দল বন্ধে বিভিন্ন রকম উদ্যোগও ব্যবস্থা গ্রহণ করছে আওয়ামী লীগ। দলের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজেই একাধিক বার দলীয় কোন্দল বন্ধের জন্য তাগাদা দিয়েছেন। কিন্তু কোন কিছুতেই কাজ হচ্ছে না। বরং আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরীণ কোন্দল নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে। সাংগঠনিক অবস্থা রীতিমতো ভেঙে পড়েছে। এই কোন্দল এখন এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে আওয়ামী লীগ সরকারের উন্নয়ন বা অর্জন প্রশ্নবিদ্ধ করছেন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরাই। দলের এই কোন্দল এতদিন তৃণমূল পর্যায় থাকলেও সেটি এখন কেন্দ্রীয় নেতৃত্বেও শুরু হয়েছে।