ইনসাইড পলিটিক্স

জামায়াতকে নিয়ে দ্বিধা-দ্বন্দ্বে আওয়ামী লীগ


Thumbnail জামায়াতকে নিয়ে দ্বিধা-দ্বন্দ্বে আওয়ামী লীগ।

গত ১৫ জুলাই (শনিবার) ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধিদলের সাথে বৈঠকে জামায়াত ইসলামী বাংলাদেশ ইইউ প্রতিনিধি দলকে জানিয়েছে, আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে বাংলাদেশে সুষ্ঠু নির্বাচন হতে পারে না। ওই দিন বিকেলে রাজধানীর গুলশানে অবস্থিত ইউরোপীয় ইউনিয়নের কার্যালয়ে ইইউ প্রাক নির্বাচন পর্যবেক্ষক দলের সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে এ কথা জানান দলটির নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মো. তাহের। জামায়াত নেতা মো. তাহের বলেন, ‘আওয়ামী লীগের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন হতে পারে না, সে বিষয়টি আমরা ইইউ প্রতিনিধি দলকে জানিয়েছি। দেশ বাঁচাতে হলে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে ভোট হতে হবে।’ 

সূত্র জানায়, শনিবার দুপুর আড়াইটার দিকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধি দলের সাথে বৈঠক করে জামায়াত। বৈঠকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন রিকার্ডো শেলেরি। অন্যদিকে আব্দুল্লাহ মো. তাহেরের নেতৃত্বে জামায়াতের চারজন নেতা ওই বৈঠকে অংশ নেন। বৈঠকে জামায়াত নেতারা নির্বাচনের ব্যাপারে সরাসরি ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারের বিরোধীতা করেছেন। অন্যদিকে জামায়াতের কারাবন্দি নেতাদের মুক্তির দাবি নিয়ে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারের সাথে জামায়াতের আঁতাত গড়ে ওঠার একটি গুঞ্জনও বাংলাদেশের রাজনৈতিক মহলে ছড়িয়েছে।   

তবে গত প্রায় চার দশকেরও বেশি সময় ধরে দলটি নিজেদের অস্তিত্বের স্বার্থে কখনো বিএনপি আবার কখনও আওয়ামী লীগের সাথে এক ধরনের বোঝাপড়া করেই বাংলাদেশে রাজনীতি করে আসছে বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। বিশ্লেষকরা বলছেন, আদালতের একটি রায়ের ভিত্তিতে ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে নির্বাচন কমিশন দলটির নিবন্ধন বাতিল করেছিলো। এর পর ২০০২ সালে বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট পার্টি বা বিডিপি নামে নতুন একটি দল সংগঠিত করার চেষ্টা করে জামায়াত। বিডিপি নামের দলটির কার্যক্রম আগে জানা না গেলেও ২০২২ সালের আক্টোবরের দিকে নিবন্ধনের জন্য নির্বাচন কমিশনে আবেদন করে দলটি, তখনই নতুন গঠিত দল বিডিপির সাথে জামায়াত সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ পাওয়া যায়। নিবন্ধিত দল হিসেবে বাংলাদেশে রাজনীতি করার স্বাধীনতা পেলে দলটির এককভাবে রাজনৈতিক অঙ্গনে মাথাচাড়া দিয়ে ওঠার সমূহ সম্ভাবনা রয়েছে।   

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা আরও বলছেন, শুধু নির্বাচনকেন্দ্রীক নয়, সব সময়ই দেশের স্বাধীনতা বিরোধী হিসেবে সক্রিয় ছিল জামায়াত। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতাকারী দল হিসেবে জামায়াতের নিবন্ধন বাতিল ও অবৈধ ঘোষণা করে ২০১৩ সালের ১ আগস্ট রায় দেন হাইকোর্ট। এর পর বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতাকারী দল হিসেবে ২০১৮ সালের ২৯ অক্টোবর জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন বাতিল করে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। তার পর থেকে জামায়াত কিছুটা আত্মগোপনে চলে গিয়েছিল। কিন্ত  চলতি বছরের ১০ জুন রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে জামায়াত যে সমাবেশ করেছিল, সে সমাবেশে দলটি বেশ ভালো করেই তাদের উপস্থিতির কথা জানান দিয়েছিল।   

এসব বিষয়গুলোর প্রেক্ষিতেই জামায়াতকে নিয়ে ত্রিমুখী সঙ্কটে রয়েছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকার। এসব সঙ্কটগুলোর বিষয়ে জামায়াতকে  নিয়ে দ্বিধা-দ্বন্দ্বে রয়েছে সরকার। সঙ্কটগুলোর মধ্যে :-  

প্রথমত, প্রথম সঙ্কট হলো জামায়াতকে যদি সভা-সমাবেশ করতে না দেয়া হয়, তাহলে আন্তর্জাতিক চাপ শুরু হয়। গত বছরের ডিসেম্বরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যে মানবাধিকার প্রতিবেদন দিয়েছে, সেই মানবাধিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জামায়াতকে বাংলাদেশে সমাবেশ করতে দেয়া হচ্ছে না। এছাড়া মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নতুন যে ভিসানীতি ঘোষণা করেছে- তাতে বলা হয়েছে, কোনো রাজনৈতিক দলকে যদি সভা-সমাবেশ করতে দেয়া না হয়, যারা এ ধরনের সভা-সমাবেশে বাধা হয়ে দাঁড়াবে, তাদেরকে কোনো ভিসা দেওয়া হবে না। যার ফলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ভেতরে এক ধরনের ভীতি তৈরি হয়েছে। যার ফলে এখন তারা জামায়াতকে সভা-সমাবেশ করতে দিচ্ছে।

দ্বিতীয়ত, জামায়াতকে সভা-সমাবেশ করতে দেওয়ার ফলে, যারা উদার প্রকৃতির, প্রগতিশীল ও গণতান্ত্রিক ধারার এবং মুক্তবুদ্ধির চর্চা করে থাকেন, তারা আওয়ামী লীগের এই সিদ্ধান্তটাকে সহজভাবে নেননি। তারা মনে করছেন, আওয়ামী লীগ সমঝোতা করেছে, জামায়াতের সাথে আপোষ করেছে। এতে আওয়ামী লীগের যে ভোট ব্যাংক, যারা স্বাধীনতার পক্ষে, মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে- এ ঘটনা তাদের কাছে একটা ভুল বার্তা দিচ্ছে। 

তৃতীয়ত, আন্তর্জাতিক মহলে যারা বাংলাদেশের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা চায়, গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত থাকুক- এটা চায়, তারাও জামায়াতের ব্যাপারে নেতিবাচক। বিশেষ করে ভারত, ভারত মনে করে- বাংলাদেশে উগ্র, মৌলবাদী, সাম্প্রদায়িক, ধর্মান্ধ গোষ্ঠীর উত্থান ঠেকানো দরকার। এজন্য জামায়াতকে প্রতিহত করা দরকার। বিশেষ করে ১০ ট্রাক অস্ত্র আটকের ঘটনার পর- ভারত এখন সরাসরি মনে করে, জামায়াত গণতন্ত্রের বড় শত্রু এবং জামায়াত সাম্প্রদায়িকতা ও সন্ত্রাসবাদকে লালন করে। 

সুতরাং জামায়াত সরকারের জন্য বড় একটি চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তবে কোনো কোনো মহল মনে করে, জামায়াতকে মাঠে নামানোর জন্য সরকারের একটি প্রচ্ছন্ন সমর্থন আছে। তারা মনে করে, শেষ পর্যন্ত যদি বিএনপি নির্বাচনে না আসে- তাহলে জামায়াত, হেফাজত, খেলাফত মজলিস- এ সমস্ত দক্ষিণপন্থি রাজনৈতিক দলসহ আরও কিছু নির্বাচনমুখী দলকে মাঠে নামিয়ে একটি নির্বাচনী আবহ তৈরি করা সম্ভব হবে। সেই রকম একটি আবহ তৈরি করতে পারলে বিএনপি যদি নির্বাচনে অংশগ্রহণ না-ও করে, তাহলেও সে নির্বাচন প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হবে।

লক্ষ্য করলে দেখা যায়, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বলেছে যে, নির্বাচন হতে হবে অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ এবং অংশগ্রহণমূলক। তারা কখনোই বলেনি যে, তত্ত্বাবধায়ক সরকার। তত্ত্বাবধায়ক সরকার তাদের কাছে কোনো ইস্যু নয়। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের বেসামরিক নিরাপত্তা, গণতন্ত্র ও মানবাধিকার বিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি উজরা জেয়া বাংলাদেশ সফরে এসে বলেছেন, ‘জনগণের মতামতের প্রতিফলন যেন নির্বাচনে ঘটে।’ সেই হিসেবে আওয়ামী লীগের জন্য ছোট একটা পথ খোলা আছে। সেই খোলা পথটি হচ্ছে, আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপিকে বাদ দিয়ে অনেকগুলো রাজনৈতিক দলকে সম্পৃক্ত করার মাধ্যমে সেটা অর্জন করা সম্ভব। তাই যদি হয়, সেজন্য জামায়াতকে মাঠে নামানো হয়েছে। 

আবার জামায়াতকে বিশ্বাস করা আর আত্মহত্যা করা একই ব্যাপার বলে মনে করছেন কোনো কোনো রাজনৈতিক বিশ্লেষক। তারা বলছেন, মানুষ সাপকে বিশ্বাস করতে পারে, কিন্তু জামায়াতকে নয়। সরকারের মধ্যে কেউ কেউ সন্দেহ করছে, জামায়াত এই নির্বাচনে অংশগ্রহণের সু0যোগ নিয়ে বিএনপির বি-টিম হিসেবে মাঠে নামতে পারে। কারণ বিএনপি সন্ত্রাস, সহিংসতা করতে পারবে না। সেক্ষেত্রে জামায়াতের ছাত্র সংগঠন ছাত্রশিবির এবং অন্যান্য যে অঙ্গ-সংগঠনগুলো রয়েছে, তাদের মাধ্যমে বিএনপি সন্ত্রাস, সহিংসতা চালাতে পারে। জামায়াতের অঙ্গ-সংগঠন যেগুলো রয়েছে, এর সবই সন্ত্রাসী সংগঠন এবং অতীত ইতিহাস তাই বলে। এছাড়াও হরকাতুল জিহাদ, লস্কর-ই-তাইয়েবার মতো জঙ্গি সংগঠনগুলোর সাথেও জামায়াতের সম্পর্ক রয়েছে। কাজেই সামনের দিনগুলোতে যখন বিএনপি বড় ধরনের আন্দোলন গড়ে তুলতে চাইবে, তখন জামায়াত তাদের সাথে যুক্ত হবে এবং সন্ত্রাস ও অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টি করার চেষ্টা করবে। 

কাজেই জামায়াতকে আসলে কি করা উচিৎ এবং দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জামায়াতের ভূমিকা আসলে কি হবে?- এসব নিয়েই ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকার একটি দ্বিধা-দ্বন্দ্বে রয়েছে।


জামায়াত   দ্বিধা-দ্বন্দ্ব   আওয়ামী লীগ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

উপজেলায় বেপরোয়া মন্ত্রী-এমপিরা

প্রকাশ: ০৬:০০ পিএম, ০৩ মে, ২০২৪


Thumbnail

উপজেলা নির্বাচনের দুই ধাপের প্রস্তুতি এবং প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এই দুই ধাপে আওয়ামী লীগের প্রায় ৫০ জন মন্ত্রী এমপির স্বজন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। আর মন্ত্রী-এমপিদের নিজস্ব ব্যক্তি বা মাইম্যান প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে একশরও বেশি। উপজেলা নির্বাচনের ব্যাপারে যখন আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নমনীয় অবস্থান গ্রহণ করেছেন তখন আওয়ামী লীগের মন্ত্রী-এমপিরা বেপরোয়া হয়ে উঠেছেন।

আগামী ৮ মে যে ১৫০ উপজেলায় নির্বাচন হবে সেখানে প্রায় ৭০ টিতেই মন্ত্রী-এমপিদের নিজস্ব পছন্দের ব্যক্তি রয়েছেন। সেই পছন্দের ব্যক্তিদেরকে জেতাতে আওয়ামী লীগের প্রভাবশালীরা এখন মরিয়া হয়ে উঠেছে। নির্বাচন কমিশনও এদের নিয়ে উদ্বিগ্ন এবং নির্বাচন কমিশন মন্ত্রী-এমপিদের প্রভাব ঠেকানোর জন্য করণীয় নিয়ে দফায় দফায় বৈঠক করছে। 

একাধিক উপজেলার খবর নিয়ে দেখা গেছে, সেখানে মন্ত্রী-এমপিরা তাদের পছন্দের ব্যক্তিকে জেতানোর জন্য নানা কৌশল অবলম্বন করছেন। যেমন, তারা জেলা প্রশাসনের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ করছেন। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে নানা রকম পরামর্শ দিচ্ছেন। বিশেষ করে নির্বাচনে যারা প্রতিপক্ষ রয়েছে তাদেরকে নানা রকম হয়রানি করার জন্য মিথ্যা মামলা দেওয়া হচ্ছে। কোথাও কোথাও ভোটারদের ভীতি দেখানোর জন্য সহিংস ঘটনার খবর পাওয়া যাচ্ছে। এই সমস্ত প্রেক্ষিতে উপজেলা নির্বাচনে মন্ত্র-এমপিদের স্বজন এবং তাদের পছন্দের প্রার্থীদেরকে জেতানোর জন্য নির্বাচনের উৎসবমুখর আমেজ ক্ষুণ্ণ হতে পারে বলেও বিভিন্ন মহল আশঙ্কা প্রকাশ করছেন। 

গতকাল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উপজেলা নির্বাচনের ব্যাপারে একটি নমনীয় এবং সহনীয় অবস্থান গ্রহণ করেছেন। তিনি থাইল্যান্ড সফর পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন যে, আওয়ামী লীগের বহু মন্ত্রী-এমপির আত্মীয় স্বজনরা আগে থেকেই রাজনৈতিক দল করে এবং রাজনৈতিক বিভিন্ন কমিটিতে আছে। তাদেরকে আমরা কীভাবে নির্বাচন করতে বাধা দেব। তার এই বক্তব্যের পর চাপে থাকা মন্ত্রী-এমপিরা এখন যেন আরও বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। 

তারা মনে করছেন যে, যেহেতু প্রধানমন্ত্রী উপজেলা নির্বাচনে দলের শৃঙ্খলা ভঙ্গকারীদের বিরুদ্ধে আপাতত কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করছে না, সেহেতু এখন তাদেরকে জিতিয়ে আনার জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা করা যেতে পারে। আর এই কারণেই তারা একের পর এক উপজেলাগুলোতে নানা রকম পদক্ষেপ গ্রহণ করছেন। নিজস্ব প্রভাব বিস্তারের জন্য তারা এলাকায় নানারকম কৌশল গ্রহণ করছেন। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদেরকে তাদের পক্ষে আনার জন্য প্রলুদ্ধ করছেন। যা তাদের প্রতিপক্ষ আওয়ামী লীগকে ঘায়েল করার চেষ্টা করা হচ্ছে। ফলে উপজেলা নির্বাচন এখন কার্যত আওয়ামী লীগ বনাম আওয়ামী লীগের লড়াইয়ে পরিণত হয়েছে। 

তবে আওয়ামী লীগের কোন কোন নেতা বলছেন, এটা আওয়ামী লীগ বনাম আওয়ামী লীগ নেতার লড়াই না। উপজেলা নির্বাচন এখন আসলে আওয়ামী লীগের মন্ত্রী-এমপির পছন্দের প্রার্থীর সাথে তৃণমূলের পছন্দের প্রার্থীর লড়াইয়ের বিষয়ে পরিণত হয়েছে। যেখানে তৃণমূল শক্তিশালী সেখানে মন্ত্রী-এমপিদের স্বজনদের বিরুদ্ধে তারা প্রতিবোধ করতে পারছেন। যেখানে তারা শক্তিশালী নন সেখানে মন্ত্রী-এমপিদের কাছে তারা কোণঠাসা হয়ে পড়ছেন।

উপজেলা নির্বাচন   আওয়ামী লীগ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

খালেদার বিদেশে চিকিৎসা: পর্দার আড়ালে কী হচ্ছে?

প্রকাশ: ০৫:০০ পিএম, ০৩ মে, ২০২৪


Thumbnail

বেগম খালেদা জিয়া একদিনের জন্য এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। এভারকেয়ার হাসপাতাল থেকে তাকে আবার বাড়িতে ফিরিয়ে নেওয়া হয়েছে গতকাল সন্ধ্যায়। বাড়িতে ফেরার পর বিএনপি পন্থী চিকিৎসক এবং ড্যাব নেতা ডা. জাহিদ দাবি করেছেন যে, খালেদা জিয়াকে এখন লিভার ট্রান্সপ্ল্যান্ট করতে হবে এবং এর জন্য তাকে বিদেশ নেওয়ার কোন বিকল্প নেই।

এর আগে বেগম খালেদা জিয়া চিকিৎসার জন্য জনস হপকিন্স ইউনিভার্সিটি থেকে কয়েকজন চিকিৎসককে ঢাকায় নিয়ে আসা হয়েছিল এবং তারা একটি অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থাকে স্থিতিশীল করেছিলেন। এবার অবশ্য বিএনপির নেতারা সে পথে হাঁটছে না। বরং তারা মনে করছেন যে, বেগম খালেদা জিয়াকে বিদেশ নেওয়াই উত্তম এবং বেগম খালেদা জিয়ার উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে যাওয়ার অনুরোধ বা দাবিটি আবার সামনে চলে আসছে। 

তবে বেগম খালেদা জিয়ার বিদেশ যাওয়া নিয়ে বিএনপি এবং বেগম জিয়ার ভাই বোনের মধ্যে ভিন্ন ভিন্ন অবস্থান লক্ষ্য করা যাচ্ছে। বিএনপির নেতৃবৃন্দ মনে করছেন যে, সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টি করে বেগম খালেদা জিয়াকে বিদেশে চিকিৎসার জন্য যেতে অনুমতি দেওয়াই আসল কৌশল। সরকারের ওপর যদি চাপ সৃষ্টি করা যায় তাহলে সরকার শেষ পর্যন্ত বেগম খালেদা জিয়াকে বিদেশ যাওয়ার অনুমতি দেবে।

বিএনপি নেতারা মনে করছেন, এই চাপের মধ্যে শুধু রাজনৈতিক আন্দোলন নয়, কূটনৈতিক অঙ্গনে বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা নিয়ে সঠিক ভাবে জানানো এবং আন্তর্জাতিক জনমত গড়ে তোলার জন্য তারা গুরুত্ব দিচ্ছেন। কিন্তু বেগম খালেদা জিয়ার ছোট ভাই শামীম ইস্কান্দার এ সম্পর্কে সম্পূর্ণ ভিন্ন মত পোষণ করেন। তিনি মনে করেন যে, বেগম খালেদা জিয়াকে এই মুহূর্তে যদি বিদেশ না নেওয়া যায় তাহলে তার অবস্থা সংকটাপন্ন। আর এ কারণেই তার বিদেশ যাওয়ার ব্যাপারটাকে রাজনীতির বাইরে রাখা উচিত। আর এ ক্ষেত্রে যে কোন শর্তে বেগম জিয়াকে বিদেশ নেওয়ার পক্ষে তিনি অবস্থান নিয়েছেন বলে একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র নিশ্চিত করেছে। 

শামীম ইস্কান্দার নিজে এবং কয়েকদফা সরকারের বিভিন্ন লোকজনের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন এবং যে কোনো শর্তে তিনি তার বোনকে বিদেশ নিয়ে যেতে চান চান বলেও আশ্বস্ত করেছেন। তবে সরকারের পক্ষ থেকে সুস্পষ্টভাবে বলা হয়েছে, বেগম খালেদা জিয়ার বিদেশ যাওয়ার জন্য যদি সরকারকে অনুমতি দেওয়া হয় তা হলে সেখানে রাষ্ট্রপতির কাছে আবেদন করতে হবে। এ নিয়ে শামীম ইস্কান্দার সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি এবং বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব মাহবুব উদ্দিন খোকনের সঙ্গেও দেখা করেছেন বলে জানা গেছে। আজ ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন বেগম খালেদা জিয়াকে কোনো এক সময় দেখা করতে যেতে পারেন বলে বিভিন্ন সূত্র নিশ্চিত করেছেন। 

বেগম খালেদা জিয়া এখন আগের অবস্থানে নেই। তিনি যে কোন প্রকারে বিদেশ যেতে চান। তার সঙ্গে ঘনিষ্ঠরা বলছেন যে, রাজনীতিতে তার এখন কোন আগ্রহ নেই এবং তিনি নিজেও মনে করেন যে, তার চিকিত্সাটাই উত্তম। তবে এটি আসলে কোন রাজনৈতিক কৌশল নাকি সত্যি সত্যি বেগম জিয়া অসুস্থ সেটি নিয়ে পরস্পর বিরোধী বক্তব্য পাওয়া গেছে। 

চিকিৎসক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বেগম খালেদা জিয়ার যে অস্ত্রোপচার হয়েছে তাতে তার এক থেকে দেড় বছর স্থিতিশীল থাকার কথা। আর বেগম খালেদা জিয়ার যে বয়স এবং তার যে অন্যান্য শারীরিক অবস্থা তাতে লিভার ট্রান্সপ্লান্ট করার মতো পরিস্থিতি তার নাই। লিভার ট্রান্সপ্লান্ট করার একটা বয়স লাগে। অন্যান্য রোগ শোক থেকেও মুক্ত থাকতে হয়। কিন্তু বেগম খালেদা জিয়া একাধিক রোগে আক্রান্ত। তার কিডনির অবস্থা ভালো না। তার হার্টে রিং পরানো হয়েছে। তার উচ্চ রক্তচাপ আছে। এছাড়াও তিনি ডায়াবেটিস এ আক্রান্ত। এ রকম পরিস্থিতিকে একজন রোগীর লিভার ট্রান্সপ্লান্ট করা অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। এটি একটি রাজনৈতিক বাহানা কি না সেটি নিয়েও কেউ কেউ সংশয় প্রকাশ করেছেন। তবে শামীম ইস্কান্দার সরকারের কাছে বলেছেন যে, বেগম খালেদা জিয়ার যে শারীরিক অবস্থা তাতে তার উন্নত চিকিৎসা প্রয়োজন। সেটার জন্য তারা সিঙ্গাপুর, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র অথবা সৌদি আরবে যেতে চান।

খালেদা জিয়া   এভারকেয়ার হাসপাতাল   বিএনপি   শামীম ইস্কান্দার   ডা. জাহিদ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

আওয়ামী লীগের সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ড সভা শনিবার

প্রকাশ: ০৪:৪০ পিএম, ০৩ মে, ২০২৪


Thumbnail

আওয়ামী লীগের সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের সভা শনিবার (৪ মে) সন্ধ্যা ৭টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারি বাসভবন গণভবনে অনুষ্ঠিত হবে।

সভায় সভাপতিত্ব করবেন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের সভাপতি শেখ হাসিনা।

শুক্রবার (৩ এপ্রিল) দুপুরে আওয়ামী লীগের উপদপ্তর সম্পাদক অ্যাডভোকেট সায়েম খান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শনিবার (৪ এপ্রিল) সন্ধ্যায় গণভবনে আওয়ামী লীগের সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের সভা অনুষ্ঠিত হবে। এতে সভাপতিত্ব করবেন দলের সভাপতি ও সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের সভাপতি শেখ হাসিনা।

সভায় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এমপি সংশ্লিষ্ট সবাইকে যথাসময়ে উপস্থিত থাকার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন।


আওয়ামী লীগ   মনোনয়ন বোর্ড   সভাপতি   শেখ হাসিনা  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

স্বজন বলতে স্ত্রী-সন্তানকে বুঝিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী: কাদের

প্রকাশ: ০৪:০৮ পিএম, ০৩ মে, ২০২৪


Thumbnail

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, উপজেলা নির্বাচন নিয়ে আমি যেসব বক্তব্য রেখেছি, অনেকে ভেবেছিলেন আমি নিজেই নিজের নামে বলে বেড়াচ্ছি। কিন্তু বৃহস্পতিবার নেত্রী নিজেই এই বিষয়ে খোলাসা করে বলেছেন। স্বজন বলতে প্রধানমন্ত্রী স্ত্রী-সন্তানকে বুঝিয়েছেন। 

শুক্রবার (৩ মে) দুপুরে রাজধানী ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগের সভাপতির কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, প্রধানমন্ত্রী বলেছেন-‘সেখানে (উপজেলা নির্বাচনে) কোনো প্রকার হস্তক্ষেপ ও প্রভাব বিস্তার করা যাবে না।  প্রশাসনকে প্রভাবিত করা যাবে না। নির্বাচনকে প্রভাবিত করা যাবে না। সে কথা তিনি (প্রধানমন্ত্রী) পরিষ্কারভাবে বলেছেন। তার (প্রধানমন্ত্রীর) গাইডলাইন অনুযায়ী আমরা আমাদের পার্টির কার্যক্রম পরিচালনা করব এবং উপজেলা নির্বাচনের ব্যাপারেও আমাদের নেত্রীর গাইডলাইনস অনুযায়ী আমাদের দায়িত্ব পালন করব।’

উপজেলা নির্বাচনে নিজের ভাইয়ের প্রার্থী হওয়া নিয়েও সংবাদ সম্মেলনে কথা বলেন ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, এখানে আমার সমর্থনের প্রশ্নই উঠে না...স্বজনপ্রীতি আমি কোনো অবস্থাতেই প্রশ্রয় দেব না। এটা আপনারা দেখবেন।

সাংবাদিকদের তিনি আরও বলেন, আপনারা প্রশ্ন করতে পারেন, আমার একজন স্বজনও উপজেলায় প্রার্থী হয়েছেন। সেখানে প্রশ্নটা হচ্ছে, আমাদের সমর্থন আছে কি না? আমি তার পক্ষে প্রশাসন বা নির্বাচনকে প্রভাবিত করছে কি না সেটাই দেখার বিষয়।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘পার্টির কারও এর সঙ্গে কোনো সংযোগ নেই, নেতৃস্থানীয় কারও এর সঙ্গে কোনো সমর্থন নেই। আমার সমর্থনের তো প্রশ্নই উঠে না। শেষ পর্যন্ত সরে যাবে না, সেটাও বলা যায় না। আমাদের প্রধানমন্ত্রীর যে গাইডলাইন সেটা আমি মুখে বলব একটা, আর কাজে করব আরেকটা, এই নীতিতে আমি বিশ্বাসী নই। কোনো প্রকার স্বজনপ্রীতি আমি কোনো অবস্থাতেই প্রশ্রয় দেব না। এটা আপনারা বাস্তবে দেখবেন।’ 

এখনো অনেকের স্বজন প্রার্থী রয়ে গেছেন, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, অনেকে এরই মধ্যে প্রত্যাহার করা শুরু করেছেন। সামনে আরও সময় আছে। প্রত্যাহার করতে চাইলে নির্ধারিত সময়ের পরেও করা যায়।

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম জিয়ার বিদেশে চিকিৎসায় সরকার বাধা দিচ্ছে-বিএনপির এমন অভিযোগের বিষয়ে আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে মামলা করেছে তত্ত্বাবধায়ক, আওয়ামী লীগ করেনি। সেই মামলায় তিনি গ্রেপ্তার ও বন্দী হয়েছেন। বিএনপি নেতাদের অবহেলার জন্য, খালেদা জিয়ার আদালতের হাজিরা প্রলম্বিত করা, এক বছরের বিচার দশ বছরেও শেষ হয়নি-এটার জন্য বিএনপির নেতারা দায়ী।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হক, এস এম কামাল হোসেন, উপদপ্তর সম্পাদক সায়েম খান, কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্য আনিসুর রহমান প্রমুখ।

ওবায়দুল কাদের   আওয়ামী লীগ   সাধারণ সম্পাদক   উপজেলা নির্বাচন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

এখন কাদের কাকে নির্দেশ অমান্যকারী বলবেন

প্রকাশ: ০২:০০ পিএম, ০৩ মে, ২০২৪


Thumbnail

ওবায়দুল কাদের গত তিন সপ্তাহ ধরে লাগাতার ভাবে দলের মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয় স্বজনরা যেন নির্বাচনে না দাঁড়ায় সে জন্য আহ্বান জানাচ্ছিলেন। এ জন্য তিনি কঠোর হুঁশিয়ারিও উচ্চারণ করেছিলেন। তিনি বলছিলেন, যারা দলের নির্দেশনা লঙ্ঘন করবে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। কিন্তু ব্যবস্থাগ্রহণ তো দূরের কথা তাদেরকে সতর্ক পর্যন্তও করা হয়নি। উল্টো ৩০ এপ্রিলে আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠকে এই বিষয় নিয়ে কোন আলোচনাই হয়নি। 

গত বৃহস্পতিবার (০২ এপ্রিল) অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী যা বলেছেন তাতে স্পষ্ট হয়েছে, যে সমস্ত মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয় স্বজনরা উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন তাদের বিরুদ্ধে খুব একটা কিছু করা হবে না। আর ওবায়দুল কাদের যখন তার নির্দেশনা নিয়ে দলের নেতাকর্মীদেরকে বাধ্য করতে পারছেন না ঠিক সেই সময়ে তিনি নিজেই একজন নির্দেশ লঙ্ঘনকারী হিসাবে আবির্ভূত হলেন।

দলীয় নির্দেশ অমান্য করে এবার নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই ও ভাগ্নে। ছোট ভাই শাহাদাত হোসেন প্রার্থী হয়েছেন চেয়ারম্যান পদে। আর ভাগ্নে (আপন বোনের ছেলে) মাহবুব রশীদ মঞ্জু প্রার্থী হচ্ছেন ভাইস চেয়ারম্যান পদে।

গতকাল বিকেলে রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে প্রকাশ করা চেয়ারম্যান পদে প্রার্থীদের তালিকায় এক নম্বর ক্রমিকে শাহাদাত হোসেনের নাম রয়েছে। আর ভাইস চেয়ারম্যান পদের তালিকায় মাহবুবুর রশিদের নাম রয়েছে তিন নম্বরে। মন্ত্রীর ছোট ভাই ছাড়াও এই উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে আরও তিনজন প্রার্থী আছেন। তাদের মধ্যে রয়েছেন যুবলীগের সাবেক আহবায়ক এবং ব্যবসায়ী মোহাম্মাদ গোলাম শরিফ চৌধুরী, সাবেক উপজেল চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগের বর্তমান সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান বাদল এবং যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী ওমর আলী।

প্রশ্ন হল ওবায়দুল কাদের যখন বারবার বলছিলেন যে, মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয় স্বজনদের উপজেলার নির্বাচনে প্রার্থী হওয়া যাবে না এবং এটি প্রধানমন্ত্রীর অনুশাসন তাহলে তিনি নিজে কেন এই অনুশাসন ভঙ্গ করলেন? তার আত্মীয় স্বজনদেরকে তিনি কেন প্রার্থী হিসেবে দাঁড় করাতে দিলেন? তিনি তো এখানে বাধা দিতে পারতেন। তিনি দলের শৃঙ্খলা পরিপন্থি এবং দলের নির্দেশনার বাহিরে একারণে তার ভাই এবং ভাগ্নেকে সর্তক করতে পারতেন। নির্বাচনে না যাওয়ার জন্য পরামর্শ দিতে পারতেন। কিন্তু সেটি তিনি করেননি। তার ফলে ওবায়দুল কাদেরের নির্দেশনা খেলো হালকা এবং অকার্যকর হয়ে গেল বলেই আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা মনে করছেন। 

আওয়ামী লীগের একজন শীর্ষস্থানীয় প্রেসিডিয়াম সদস্য বলেছেন, গত কিছুদিন ধরে আওয়ামী লীগের নির্দেশনা দলের তৃণমূলের নেতাকর্মীরা মানছে না। এর প্রধান কারণ হল, আমরা যেই নির্দেশ দিচ্ছি সেই নির্দেশ আমরা নিজেরাই মানছিনা। আমরা যখন কোন নির্দেশনা মানিনা তখন তৃণমূলকে আমরা মানাবো কিভাবে। তিনি মহানবী হযরত মোহাম্মাদ (স:) এর উদাহরণ দিয়ে বলেন, মহানবী হযরত মোহাম্মাদ (স:) এর কাছে যখন এক মা গেয়েছিল তার সন্তানের অতিরিক্ত মিষ্টি খাওয়া বন্ধ করতে তখন মহানবী হযরত মোহাম্মাদ (স:) তাকে কিছু বলেননি। এরপর মহানবী হযরত মোহাম্মদ (স:) নিজে মিষ্টি খাওয়া বন্ধ করেছিলেন। নিজে মিষ্টি খাওয়া বন্ধ করে তারপরে ছেলেটিকে মিষ্টি খাওয়া বন্ধ করার জন্য অনুরোধ জানিয়েছিলেন। যে কাজটি আপনি নিজে প্রতিপালন করেননা, সেই কাজের জন্য অন্যকে নির্দেশ দেওয়াটা হল এক ধরণের প্রতারণা। এটি সাধারণ মানুষ সহজেই বুঝতে পারে। ওবায়দুল কাদের নিজেই যখন তার দুই আত্মীয়কে নির্বাচনে প্রার্থী করেছেন তখন তিনি অন্যদের শাসন করবেন কিভাবে।

ওবায়দুল কাদের   আওয়ামী লীগ   সাধারণ সম্পাদক  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন