সাংবাদিকদের কারণে বিদেশি রাষ্ট্রদূতেরা বাংলাদেশের নানা অভ্যন্তরীণ বিষয়ে ‘মাতব্বরি’ করেন বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন। বৃহস্পতিবার (২৭ জুলাই) বিকেলে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক অনুষ্ঠানের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী আশরাফুল হোসেন ওরফে হিরো আলমের ওপর হামলার ঘটনায় উদ্বেগ জানিয়ে যৌথ বিবৃতি দেয় যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্যসহ ১২টি দেশের ঢাকা দূতাবাস ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের বাংলাদেশ মিশন। ওই বিবৃতিদাতা দেশগুলোর মধ্যে ইতালিও ছিল।
প্রধানমন্ত্রীর সদ্য সমাপ্ত রোম সফরে সরকারপ্রধান থেকে শুরু করে মন্ত্রী পর্যায়ে ওই বিবৃতি নিয়ে অসন্তোষ জানানো হয়েছে কি না, জানতে চাইলে আব্দুল মোমেন বলেন, ‘আমরা সেখানে এটা নিয়ে কিছু বলিনি। আমাদের ভদ্রতাজ্ঞান আছে। আপনি ময়লা নিয়ে আলাপ করবেন কেন। আর আপনারা সব সময় ময়লা খোঁজেন। আপনাদের অভ্যাসটা খারাপ হয়ে গেছে।’
সাংবাদিকদের ‘ভালো জিনিস’ দেখার পরামর্শ দেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুল মোমেন। তিনি বলেন, ‘আপনাদের কারণে বিদেশি রাষ্ট্রদূতেরা অতি সক্রিয় রাষ্ট্রদূতগুলো বিভিন্ন রকমের অভ্যন্তরীণ বিষয়েও মাতব্বরি করেন। এটা আপনাদেরও কারণে। যে কোনোভাবে এটা একটা সংস্কৃতি তৈরি হয়েছে অনেক দিনের। এখন সময় এসেছে এটা বন্ধ করার।’
‘এর দায় কি রাজনীতিবিদদের নেই’- এমন প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘অনেক দিন ধরে এটা তৈরি করেছেন। আমরা এ কালচারটা পছন্দ করি না।’
অভ্যন্তরীণ বিষয়ে বিদেশিদের বক্তব্য বা হস্তক্ষেপ বন্ধে সরকার কোনো উদ্যোগ নিয়েছে কি না, জানতে চাইলে তিনি প্রধানমন্ত্রীর রোম সফরে ইউরোপে নিযুক্ত বাংলাদেশি দূতদের নিয়ে বৈঠকের কথা তুলে ধরেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের দেশের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে একটা বৈঠক করেছি। সেখানে আমরা বলেছি, আমাদের দেশ সম্পর্কে অনেক দেশের জ্ঞান সীমিত। আমরা বিভিন্ন ইস্যুতে মানবাধিকার, গণতন্ত্র, নির্বাচনপ্রক্রিয়া, নির্বাচন কমিশন—এসব নিয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় প্রায় ১০টি বিশেষ ব্রিফ তৈরি করেছি। আমরা বলেছি, আপনারা এটা শেয়ার করেন।’
সাংবাদিক দোষ রাষ্ট্রদূত মাতব্বর পররাষ্ট্রমন্ত্রী
মন্তব্য করুন
সরকারবিরোধী আগামীর আন্দোলন শুরুর আগে কর্মসূচি প্রণয়ন ও আন্দোলন পরিচালনায় শক্তিশালী লিয়াজোঁ কমিটি চায় বিএনপির মিত্ররা। তারা মনে করে, লিয়াজোঁ কমিটি না থাকায় বিগত আন্দোলন পরিচালনায় এক ধরনের সমন্বয়হীনতা ছিল।
কারণ, যুগপতের সব দল ও জোটের সঙ্গে বিএনপির পৃথক বৈঠক শেষে তাদের স্থায়ী কমিটিতে কর্মসূচি চূড়ান্ত হওয়াকে যথাযথ প্রক্রিয়া এবং আন্দোলনের সঠিক প্ল্যাটফর্ম বলে মনে করে না শরিকরা, বিশেষ করে গণতন্ত্র মঞ্চ। তাই এবার এ প্রশ্নে একটা সিরিয়াস মীমাংসা চান মঞ্চের নেতারা।
বিএনপির সঙ্গে বুধবার (১৫ মে) রাতে চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে লিয়াজোঁ কমিটি গঠনের পরামর্শ দিয়ে গণতন্ত্র মঞ্চের নেতারা বলেন, প্রতিটি জোট ও দল থেকে একজন করে নিয়ে ১০-১২ সদস্যবিশিষ্ট একটি লিয়াজোঁ কমিটি গঠন করতে হবে। সেই লিয়াজোঁ কমিটিতে আলোচনার ভিত্তিতে আন্দোলনের কর্মসূচি প্রণীত হবে। তার আগে নিজ নিজ দল ও জোটের সিদ্ধান্ত নিয়ে সংশ্লিষ্ট নেতারা বৈঠকে উপস্থিত হবেন।
নব্বইয়ে এরশাদবিরোধী আন্দোলনসহ অতীতের আন্দোলনগুলোতে লিয়াজোঁ কমিটি এভাবে কাজ করেছে। কিন্তু বিগত আন্দোলনে এ প্রক্রিয়ায় কর্মসূচি প্রণীত হয়নি। পাঁচ-দশ মিনিট আগে মিত্রদের কর্মসূচির বিষয়ে জানানো হতো এবং কর্মসূচির সঙ্গে সহমত না হলেও সেটাই তারা ঘোষণা করতেন। বৈঠক সূত্রে এমন তথ্য জানা গেছে।
যুগপৎ আন্দোলন পুনরুজ্জীবিত করে সরকারের পদত্যাগ ও নতুন নির্বাচনের দাবিতে ঈদুল আজহার পর মাঠে নামার পরিকল্পনা করছে বিএনপি। সেই আন্দোলনের কর্মকৌশল নির্ধারণে পরামর্শ নিতে গত রোববার থেকে মিত্রদের সঙ্গে ধারাবাহিক বৈঠক করছে দলটি। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের পর এ ধরনের বৈঠক এবারই প্রথম। এর অংশ হিসেবে বৃহস্পতিবার (১৬ মে) এনডিএম, বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ এবং মিয়া মসিউজ্জামান ও ফারুক হাসানের নেতৃত্বাধীন গণঅধিকার পরিষদের সঙ্গে বৈঠক করে বিএনপির লিয়াজোঁ কমিটি।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গণতন্ত্র মঞ্চ ছাড়াও এর আগে গত সোমবার বিএনপির সঙ্গে বৈঠকে আন্দোলনের কর্মসূচি প্রণয়নে সমন্বয়হীনতা দূরীকরণে যুগপতের সব দল ও জোট থেকে দু-একজন করে নিয়ে শক্তিশালী লিয়াজোঁ কমিটি গঠনের ওপর জোর দেন সমমনা জোটের নেতারা।
মন্তব্য করুন
শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন বিএনপি
মন্তব্য করুন
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জাতীয় প্রেস ক্লাব
মন্তব্য করুন
বিএনপি ভারত বিরোধী মার্কিন বিরোধী মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর
মন্তব্য করুন
শেখ হাসিনা বাহাউদ্দিন নাছিম আওয়ামী লীগ ঢাকা-৮
মন্তব্য করুন
১৯৮১ সালের ১৭ মে। স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। আওয়ামী লীগ সভাপতি স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করেছিলেন এক বৃষ্টিমুখর দিনে। সেই দিনে লাখো মানুষ মানিক মিয়া এভিনিউতে জড়ো হয়েছিল জাতির পিতার কন্যাকে দেখার জন্য। তাদের শোক এবং আবেগ ছিল হৃদয়স্পর্শী। সারা বাংলাদেশ উত্তাল হয়েছিল। জাগরণের এক গান গেয়ে স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করেছিলেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বাংলাদেশের জন্ম হওয়ার পর থেকেই প্রতিবেশী দেশ বাংলাদেশকে নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেছে। এই সরকার পুরোপুরিভাবে নতজানু সরকারে পরিণত হয়েছে। শুধু ফারাক্কা নয়, গঙ্গার পানি নয়, বাংলাদেশের ১৫৪টি নদীতে পানি দিতে তারা গড়িমসি করে যাচ্ছে। তিস্তা নদীর পানি বণ্টন, এ করছি, এ হচ্ছে এমন করে সময় শেষ করছে সরকার। এ যে ব্যর্থতা এর মূল কারণ হচ্ছে, সরকারে যারা আছে তারা পুরোপুরিভাবে একটা নতজানু সরকার।