আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে সঙ্কট কাটিয়ে তোলার জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে সংলাপের প্রস্তাব দিতে পারে আওয়ামী লীগ। আওয়ামী লীগের একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। যদিও আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে এর আগে বলা হয়েছিল যে, বিএনপির সাথে কোনো সংলাপ নয়। কিন্ত আওয়ামী লীগ এখন কৌশলগত কারণে সংলাপের প্রস্তাব দিতে পারে বলে বিভিন্ন সূত্র বাংলা ইনসাইডারকে নিশ্চিত করেছে। আওয়ামী লীগের একাধিক নেতা বলছেন, আন্তর্জাতিক বলয়ে তারা প্রমাণ করতে চায়- বিএনবি নির্বাচন চায় না, তারা দেশে একটি অশান্তি এবং অরাজকতা সৃষ্টি করতে চায়। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন বানচাল করাই বিএনপির প্রধান লক্ষ্য। আর অন্যদিকে আওয়ামী লীগ শান্তিপূর্ণ একটি রাজনৈতিক পরিবেশ চায়, দেশের উন্নয়ন এবং অগ্রগতির ধারা অব্যাহত রাখতে চায়, পাশাপাশি সংবিধান অনুযায়ী আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠান করতে চায়। এ লক্ষ্যে বিএনপিকে আন্দোলন, ধ্বংসাত্মক তৎপরতা, জ্বালাও-পোড়াও, ভাংচুর থেকে সরে এসে নির্বাচনের পথে আনার জন্য আহবান জানাবে।
আওয়ামী লীগের একজন দায়িত্বশীল নেতা বলেছেন, বর্তমান সংবিধান কাঠামোর মধ্যে অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য বিএনপির কি প্রস্তাব, বিএনপি কি করতে চায়- এটি আওয়ামী লীগ শুনতে প্রস্তুত এবং অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ নির্বাচন আয়োজনের জন্য সকলের সহযোগীতা নিতেও আওয়ামী লীগ সরকার কার্পণ্য করবে না। উল্লেখ্য যে, ২০১৮ সালের নির্বাচনের আগেও আওয়ামী লীগ সকল রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংলাপে গিয়েছিল এবং সেই সংলাপের মাধ্যমে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের মাধ্যমে বিএনপিসহ প্রায় সকল রাজনৈতিক দল নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছিল। এবার বিএনপি বলছে, তারা নির্দলীয়, নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়কের দাবি আদায় ছাড়া কোনো রকম নির্বাচনে যাবে না। এই দাবি আদায়ের লক্ষ্যে তারা এক দফা আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। যদিও বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে যে, তারা শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে বিশ্বাসী, কোনো সন্ত্রাস, সহিংসতার পথে তারা পা বাড়াতে চায় না, কিন্তু গতকাল শনিবার ঢাকার বিভিন্ন প্রবেশমুখে বিএনপি তাদের শক্তি পরীক্ষা করছে। সামনের দিনগুলোতে রাজনৈতিক পরিস্থিতি আরও সহিংস হয়ে উঠতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
গতকাল এ ধরনের সহিংস পরিস্থিতির মধ্যে আওয়ামী লীগ এক ধরনের কৌশলগত অবস্থান নিয়েছে। একদিকে যেমন বিএনপির আহত নেতা আমান উল্লাহ আমানকে দেখার জন্য প্রধানমন্ত্রী প্রতিনিধিরা হাসপাতালে গিয়েছিলেন এবং তাকে ফল দিয়ে তার দ্রুত আরোগ্য কামনা করেছেন। আবার অন্যদিকে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়কে ডিবি কার্যালয়ে নিয়ে গিয়ে আপ্যায়ন করা হয়েছে। এর মাধ্যমে প্রমাণিত হয় যে, আওয়ামী লীগ একটি কৌশলগত অবস্থান গ্রহণ করেছে এবং আওয়ামী লীগ জনগণের কাছে ও আন্তর্জাতিকভাবে প্রমাণ করতে চায়, বিএনপি আসলে অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ নির্বাচন চায় না। বরং তারা একটি সংঘাতময় পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে চায়। আর এ কারণেই আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে সংলাপের আহ্বান জানানো হতে পারে বলে বিভিন্ন সূত্র জানিয়েছে। তবে কবে কখন কিভাবে এই রাজনৈতিক সংলাপ অনুষ্ঠিত হবে, এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানা যায়নি।
ইতিমধ্যে আওয়ামী লীগের মধ্যে গুঞ্জন রয়েছে যে, নির্বাচন সামনে রেখে আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নাটকীয় ঘোষণা দিবেন। তিনি যে কোনো সময় বিএনপিকে সংঘাতের পথ পরিহার করে আলোচনায় বসার জন্য আহ্বান জানাতে পারেন। উল্লেখ্য যে, ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা, ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত বিএনপির সন্ত্রাস, নৈরাজ্য, আওয়ামী লীগের উপর বিএনপির তান্ডবের পরও বিএনপির সঙ্গে বিভিন্ন সময়ে সংলাপের আহবান জানিয়েছিল আওয়ামী লীগ এবং সংলাপও করেছিল। এখন নির্বাচনের আগে আওয়ামী লীগের এই প্রস্তাব রাজনীতিতে একটি নাটকীয় মোড় দিবে বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগের শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে আজ শনিবার। বিকেল সাড়ে ৩টায় মোহাম্মদপুর আড়ংয়ের সামনে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। শুক্রবার (১০ মে) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে দলের এক যৌথ সভার শুরুতে এ কথা জানান দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
ওবায়দুল কাদের বলেন, অনেকে বলে আমরা পাল্টাপাল্টি সমাবেশ করছি, আসলে আমরা কোনো সমাবেশ করছি না। আজ আমরা এখানে যৌথসভা করছি। আগামীকাল শনিবার আমাদের মন্ত্রিসভার সদস্য, আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানকের সংসদীয় এলাকায় আমরা একটি শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশ করব। সেখানে সবাইকে আমন্ত্রণ জানাচ্ছি।
এর আগে দলের দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়ার সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আওয়ামী লীগের নেতাদের সঙ্গে ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণ ও ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ এবং সব সহযোগী সংগঠনের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকদের যৌথসভা আজ শুক্রবার (১০ মে) অনুষ্ঠিত হয়।
আওয়ামী লীগ শান্তি সমাবেশ ওবায়দুল কাদের
মন্তব্য করুন
বিএনপি আমির খসরু মির্জা ফখরুল রুহুল কবির রিজভী
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগ শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশ
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
বিএনপিতে নতুন মহাসচিব নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। লন্ডনে পলাতক বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়া বিভিন্ন জেলার স্থানীয় পর্যায়ের নেতাদের সঙ্গে নৈশ বৈঠকের আয়োজন করছেন। এ পর্যন্ত নোয়াখালী, কুমিল্লা, সিলেট, বরিশালসহ অন্তত দশটি জেলায় এই ধরনের জুম বৈঠক আয়োজন করা হয়েছে। যে বৈঠকগুলোতে লন্ডনে পলাতক তারেক জিয়া সরাসরি তৃণমূলের নেতাকর্মীদের সঙ্গে কথা বলছেন। তৃণমূলের নেতাকর্মী ছাড়াও ছাত্রদল, যুবদল, কৃষক দলের মতো বিভিন্ন অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের স্থানীয় পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ তারেক জিয়ার সঙ্গে কথা বলছেন।